নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা ভালোবাসা

এমএস ইসলাম

বলার মত কিছু নাই

এমএস ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ ইভটিজিং, দায়ী কে?

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

ইভটিজিং শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশী পরিচিত। ইভটিজিং সচরাচর নারীদেরকে করা হয় তা আমারা সবাই জানি কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষ পুরুষেরাও ইভটিজিং এর স্বীকার হয় তবে সেটা ভিন্ন নামে প্রকাশ পায়।



এই নারী ইভটিজিং এর পিছনে দায়ী কারা, নারী নিজে নাকি পুরুষেরা না নারী পুরুষ সবাই?

আসলে দায় সবারই, তারতম্য কম বা বেশী। অনেকে ইভটিজিং এর জন্য নারীর পোশাক পরিচ্ছদ আর চালচলনকে দায়ী করেন কিন্তু এটাই একমাত্র কারন নয় এটা অনেকগুলো কারণের একটা হতে পারে।



বাজারে ভালে ভালো খাবার দেখলেই কি আপনাকে সেগুলোর উপর হামলে পড়তে হবে? দেখতে হবে সেগুলোর মালিক কে, আদেী কি আপনি সে খাবারগুলো কিনতে পারার যেীগ্য কিনা বা আপনার সামর্থ আছে কিনা? নারী অশালীন পোশাক পরলেই কি তাকে ইভটিজিং করতে হবে? আর নারী অশালীন পোশাক পরে বের হয়েছে বিধায় আপনি তাকে কটু কথা বলবেন অশ্লীল ইঙ্গিত করবেন আর নারী যখন পর্দার সাথে বের হয় তখন কি আপনি তাদেরকে সালাম করেন, তার ভালো গুনগুলো অনুসরন করেন? না আপনি তা করেন না, করবেন না, আপনার লক্ষ্য নারীর পোষাক নয় নারীই আপনার লক্ষ্য।



কেউ রাস্তায় উলংগ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুক বা বোরকা পরে থাকুক তাতে মাথাব্যথা থাকবে কেন? সব অশ্লীল কাজ করার সামর্থ্য কি আমাদের আছে? নাই আমাদের যেমন সব ভালে কাজ করার সামর্থ্য নাই তেমনি সব খারাপ কাজ করার সামর্থ্যও আমাদের নাই। আর আমাদের নারীরা যদি তাদের পোশাক আশাকে একটু শালীনতা অবলম্বন করে নিজেদের রক্ষা করতে পারে তাহলে সেখানে তাদের আপত্তি থাকবে কেন? নারী যদি ইচ্ছা করে নিজেকে অন্যের কাছে পন্য হিসাবে উপস্থাপন করে তবে তা যাছাই বাছাই করার জন্য পুরুষ আসবেই। তাই নারী নিজেকে অন্যের কাছ থেকে রক্ষা করার জন্য পোশাক আশাক আচার আচরন চালচলনে শালীন হতে হবে। অশালীন চরিত্রের নারীরা সবচেয়ে বেশী নিগৃহিত হয় আর পর্দানশীন শালীন পোশাকের নারীরা ইভটিজিং এর স্বীকার হয়েছেন এমন নজির খুবই দূর্লভ।



আবার অনেকেই নারীর উপর পুরুষের প্রাধান্য কে দায়ী করে থাকেন যদিও বাংলাদেশে এখন সকল ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা নারী।কেবল নারীর ক্ষমতায়নই নারীর প্রতি অসদাচারন রুখতে পারবেনা যার প্রমান বাংলাদেশ। তাই নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য উসকানিমূলক স্বভাব পরিত্যাগ করতে হবে।



এমনও লোক আছে যারা মনে করে অন্যায় অত্যাচার নারীরা মুখ বুজে সহ্য করে নেয় আর জোরালো প্রতিবাদ করতে পারেনা বিধায় তারা ইভটিজিং এর স্বীকার হয়।নারী প্রতিবাদ করলেই কি ইভটিজিং বন্ধ হয়ে যাবে? কয়েকজন সামর্থ্যবান পুরুষের সাথে একজন নারীর প্রতিবাদের ভাষা কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা সহজেই অনুমেয়।



দেশের প্রচলিত আইন, বিচার প্রক্রিয়াকেও দায়ী করেন এক শ্রেনীর মানুষ। দেশের প্রচলিত আইনে ইভটিজারদের শাস্তির বিধান দূর্বল ও মামলার দীর্ঘসূত্রতা থাকায় ইভটিজাররা সহজে পার পেয়ে যায়। কঠোর নীতিমালা করে ইভটিজারদের শাস্তির আওতায় আনলে ইভটিজিং এর মাত্রা কমানো সম্ভব।



তবে সবচেয়ে বেশী যেীক্তিক একটি কারন হলো নারী পুরুষ সবার মাঝে ধর্মীয় অনুশীলনের অভাবই ইভটিজিং এর অন্যতম কারণ। ইসলামে চক্ষু ও লজ্জাস্থানের হেফাজতকে ফরজ করা হয়েছে আর যার চক্ষু ও লজ্জাস্থানের হেফাজত থাকবে তার দ্বারা ইভটিজিং কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আমরা সবাই যদি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি, ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলি, সবাই তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখি তাহলে ইভটিজিং কেন, কোন অপরাধই সংগঠিত হবে না। আর একমাত্র ধর্মীয় বিধানই পারে আমাদের এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে।



ইভটিজিং এর কারণ যাই হোক ইভটিজিং বর্তমানে একটি সামাজিক ব্যধিতে পরিনত হয়েছে। এই ইভটিজিং এর স্বীকার হয়ে অনেক নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই আত্মহনন কোন সমাধান নয় বরং ইভটিজারদের বিরুদ্ধে লড়াই করাই সঠিক সমাধান।ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, আইন করে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যার যার অবস্থানে থেকে সবাইকে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং নিজেদেরকে ইভটিজিং থেকে দূরে রাখতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

চড়ুই বলেছেন: সেটা তো বুঝলাম তাহলে ১ টা কথা বলেন ৩ মাসের শিশু টিকেও কি পর্দা করে চলতে হবে আর ৯৩ বছরের বৃদ্ধা কেও কি সাবধানে রাস্তাঘাটে চলা ফেরা করতে হবে? আসল কথা হল ইভটিজিং এর জন্য আর কেউনা বরং ওই সব বিকার গ্রস্ত রাই দায়ী।

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

এমএস ইসলাম বলেছেন: না তিন মাসের শিশু বা ৯৩ বছরের বুড়ি কাউকেই পর্দা করে চলতে হবে না যদি যারা ইভটিজিং করতে সামর্থবান তারা ইসলামী অনুশাসন মেনে চলে

২| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমারেই তো আজকাল টিজিংএর স্বিকার হইতে হইতাসে । :(

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫১

এমএস ইসলাম বলেছেন: কিই বা করার আছে?? চোখ বুজে থাকা ছাড়া

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫০

কাজী রায়হান বলেছেন: ভাই নারীদের যে টিজ করা হয় তকেই বলে ইভটিজিং ।ইভটিজিং কখন ছেলেদের করা যায় না। কোন মেয়ে ছেলেকে টিজ করলে তাকে বলে এডাম টিজিং

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫১

এমএস ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.