নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা ভালোবাসা

এমএস ইসলাম

বলার মত কিছু নাই

এমএস ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসের উৎপত্তিস্থল ও পৃষ্ঠপোষকতা (২য় অংশ)

২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

সন্ত্রাসের উৎপত্তি ও পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দলের ভূমিকাঃ



সন্ত্রাস সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে যত বড় সন্ত্রাসী সে তত বড় রাজনীতিবিদ।সন্ত্রাস সৃস্টিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশী এগিয়ে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের জন্মদাতা, যুবলীগ তাদের লালন করে আর আওয়ামীলীগ তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে।



আজকের শীর্ষ সন্ত্রাসী গডফাদার যেমন শামীশ ওসমান, হাজি সেলিম, তাহের, নানক, শাওনরা ছাত্রলীগেরই প্রোডাক্ট। তাদের যুবলীগ লালন পালন করেছে আর আওয়ামীলীগ তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে।

ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগের ডান হাত হলে যুবলীগ তাদের বাম হাত। গাড়ি পেড়ানো, গাড়ি ভাংচুর, খুন, হত্যা, ধর্ষন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি এই সব অপকর্ম ছাত্রলীগ দ্বারা করানো হয়, আর তার ফসল ঘরে তোলে আওয়ামীলীগ।



ছাত্রলীগের অপরাধের মাত্রা যখন সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন তাকে ক্লোজ করে যুবলীগে পদায়ন করা হয় আর যুবলীগে থেকে সে নিয়ন্ত্রন করে আন্ডার গ্রাউন্ডের মাদক ব্যবসা, চোরাচালানি ব্যবসা। ছাত্রাবস্থায় যে ছাত্রলীগ কর্মী যত বড় অপরাধ করতে পারে তাকে তত বড় পদে পদায়ন করা হয়। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে নিজ দলের কর্মী হত্যাকারী তুহিন, সুইটারা ভালো পদ পেয়েছে, ভবিষ্যতে তারা যুবলীগের ভালো পদ পাওয়ার আশায় এখনও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।



ক্যাম্পাসের ভর্তি বানিজ্যের টাকা ছাত্রলীগ একাই ভোগ করে এটা ভাবার কোন কারণ নেই, তার বড় অংশ পায় আওয়ামীলীগের নেতারা, একটা অংশ পায় যুবলীগের নেতারা। ছাত্রলীগ বর্তমানে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার খুটিঁ হিসাবে কাজ করে, তারা আওয়ামীলীগের লাঠিয়াল বাহিনী হিসাবে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে।

আর তার জন্য বড় বড় অপরাধ ছাত্রলীগ সংগঠিত করেও সহজে পার পেয়ে যায়।



ছাত্রলীগ নেতা যখন শিশু ধর্ষন করে গ্রেফতার হয় তখন যুবলীগ তাদের থানা থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে আর আওয়ামীলীগ তাকে থানার মামলা থেকে অব্যাহতির ব্যবস্থা করে দেয়। ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ তারা একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে। একদল ব্যবহার করে আরেকদল ব্যবহৃত হয়।



নব্বই দশকের পর হতে সৃষ্ঠ সন্ত্রাসীদের বেশীর ভাগই ছাত্রলীগের তৈরী। আজকের দূনিতীগ্রস্থ প্রশাসন এর মূলে রয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সরকারী বাহিনীতে চাকুরী প্রদান।বর্তমান বাংরাদেশের আলাচিত হত্যাকান্ডগুলোর সন্দেহের তীর কিন্তু আজ আওয়ামীলগের দিকে তোলা হয় এবং তা প্রমানিতও হয়। আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকেই তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়।



বর্তমানের নব্য সন্ত্রাসীদের বেশীর ভাগেরই উথ্থান ছাত্রলীগের থেকে, অন্য দলে থেকে তাদের উঠে আসা বর্তমানে অনেক কঠিন আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবেও অনেকে অন্য দিকে যেতে চায় না। সন্ত্রাসীদের জন্য আওয়ামীলীগই বর্তমানে সবচেয়ে বেশী নিরাপদ। অন্য রাজনৈতিক দল যে ধোয়া তুলশী পাতা সেটা বলছি না তবে আওয়ামীলীগই সন্ত্রাসীদের লালন পালন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য উৎকৃষ্ট।



বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে আপনি আরো বেশী স্পষ্ট হয়ে যাবেন। ছাত্রলীগের বর্তমান উপজেলা বা থানা সভাপতি, সেক্রেটারীদের নিয়ে একটু পরীক্ষা করলেই বুজবেন তারা কতো বড় মাপের সন্ত্রাসী তবে দু'একজন তার বতিক্রম হতে পারে।একেকজন থানা সভাপতি একেক এলাকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, টাকার বিনিময়ে খুন কোনটাই তাদের কর্মের আওতামুক্ত নয়।



অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়া কঠিন তবে যদি তারা ভালো পৃষ্ঠপোষক পায় তাহলে তারা তাদের অপরাধের মাত্রা আরো বাড়াতে থাকে কারণ তারা জানে অপরাধ করলেও তাদের শাস্তি হবে না। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগেরই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়ার নজির বেশী যার দরুন ডাঃ ইকবাল, ইলিয়াস মোল্লা, ইরান, ইসমাইল, আবু কাউছাররা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এখনো নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে।



যদি রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে সন্ত্রাস লালন বন্ধ করা যায় তবে ৬০ ভাগই সন্ত্রাসীই বিলিন হয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে। আর যদি শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করে তাহলে বাংলাদেশে অপরাধের মাত্রা ৯০ভাগ কমে যাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

গাধা গরু বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.