![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘড়ির কাঁটা তখন ৬ টা ৩ মিনিটে, হৃদরোগ হাসপাতালের গেটে দাঁড়িয়ে আছি অপেক্ষা করছি ভিতরে প্রবেশ করার জন্য। বন্ধুর বাবা হাসপাতালের ভিতরেই আছে, স্ট্রোক করেছিলেন বর্তমানে তিনি সিসিইউতে আছেন। ভিতরে প্রবেশ করতে গিয়েও করতে পারলাম না বাধ সাধল দারোয়ান, ৬ টার পর ভিতরে ঢোকার অনুমতি নেই। অনেক অনুনয় বিনয় করলাম কিন্তু ব্যর্থ হলাম। ভাবলাম যাক সরকারী প্রতিষ্ঠান একটা নিয়মের মধ্যে আসছে তাহলে ।
খারাপ লাগলেও যখনি চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন দেখলাম কিছু কিছু লোক ভিতরে প্রবেশ করছে। কেীতুহল বশত একটু দাঁড়ালাম দেখি কি উপায়ে তারা প্রবেশ করছে। কেউ গায়ের জোরে, নেতার পরিচয়ে আবার কেউ টাকা দিয়ে প্রবেশ করছে । আমি জিজ্ঞাস করতেই বললো আপানকে ডুকতে না করেছে কে? ২০ টাকা দেন চা খাওয়ার জন্য বার বার আসবেন যাবেন কেউ কিছু বলবেনা।
অবাক হলাম সামান্য ২০ টাকার জন্য তারা মানুষের সাথে এমন আচরন করে, আমার এমন নম্র ভদ্র আচরন, সুন্দর ব্যবহার, অনুনয় বিনয়, কাকুতি মিনতি সামান্য ২০ টাকার লোভকে পরাভূত করতে পারলো না? বেশী তা চায়নি মাত্র ২০ টাকাই তো! দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম, যেখানে ২০০ টাকা সিএনজি ভাড়া অলরেড়ি খরচ হয়ে গেছে।
দারোয়ানের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম একটা দামী মোবাইল সেট শোভা পাচ্ছে।আর আমি ৭ বছর মানসম্মত একটা চাকুরী করেও দামী একটা ফোন কিনার সাহস হলো না। আমি অবাক হয়েছি যদিও অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ এই দারোয়ান সপ্তাহে যে টাকা অবৈধভাবে কামায় তা হয়তো আমার পুরো একমাসের বেতনকেও ছাড়িয়ে যায়।
আমরা দিচ্ছি বলেই তারা পাচ্ছে কেউ প্রতিবাদ করছি না বা এর প্রতিকারের চেষ্টাও করছিনা। নিজেদের প্রয়োজনে সবাই এই অনৈতিক সুবিধাটা নিচ্ছি। কিন্তু শুধু কি এখানেই এই অপকর্মের শেষ? না এই অনৈতিক কর্মটি আজ আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলছে। সামন্য বেতনের টাকা উত্তোলনের জন্যও আমাদের এখন ঘুষ দিয়ে তুলতে হয়। অন্যায়, অপকর্ম জোঁকের ন্যায় চুষে খাচ্ছে আমাদের নীতি নৈতিকতাকে।
কিন্তু এভাবে কি চলে? প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই এই ছোট খাট দূর্নিতিগুলো বন্ধ না করলে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষেরা সৎভাবে থাকবে কি করে? আর বড় দূর্নিতির বিরুদ্ধে বলার মতো সাহসতো আমরা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। আসুন আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে একটু ভালো হয়ে থাকার চেষ্টা করি এতে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্যরা যেন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দান করুন (আমিন)।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
এমএস ইসলাম বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছেন তবে চেষ্টা করতে থাকি যতদূর পারা যায়
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
শফিক আলম বলেছেন: পারবেন না। আমরা সবাই পচে গেছি। ধম্মো-কম্মো সবই করবো, কিন্তু কম্মো করে ধর্মের বারোটা বাজাবো। তাতেও অসুবিধা নাই। জুম্মার দিন তো আছেই। দুই রাকাতেই সব পার। ঐ যে মোবাইল ফোনের ব্যাপারটা লিখলেন, ও রকম ব্যাপার-স্যাপার এ দেশে সব জায়গাতেই পাবেন। এ সবই আমরা জায়েজ করে নিয়েছি মশাই।