![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দূর্নিতি দমন কমিশন ব্যাপক ক্ষমতা সম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে আমাদের দেশের নাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে এই প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক নেতাদের কব্জায় থাকলেও বর্তমানে এটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর দুদক স্বাভাবিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেই রেলের আলোচিত ৭০ লাখ টাকার বস্তা নিয়ে ধৃত ইউসুফ আলী মৃধাকে ছাড়াই অভিযোগপত্র দিতে পেরেছিল। বরং অস্বাভাবিক হতো যদি দুদকের মামলায় মৃধা অভিযুক্ত হতেন। কারণ জন্মের পর থেকেই দুদক এই একই ধরনের কর্মকান্ড করে আসতেছে। একটু ব্যতিক্রম ছিলো মঈন ফখরুদ্দীনদের সময়ে তাও আবার অনেকটা গ্যাড়াকলে পড়ে বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে।
এই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের কি কাজে লাগে, এর সুফল আমাদের আদেী এসেছে কিনা বা ভবিষ্যতে আসবে কিনা তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। এটি গত কয়েক বছর যাবত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের সাথে দ্বিমত পোষনকারী আমলা, ভিন্নমতাদর্শের ব্যবসায়ীদের দমনে ব্যবহার ছাড়া আর কোন কাজে ব্যবহৃত হওয়ার সংবাদ আমারা পাই না।
বাংলাদেশের অধিকাংশ দূর্নিতির জন্য সরকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয় যেহেতু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়েই তাদের অবৈধ কর্ম সম্পাদন করতে হয়। এই সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পিছনে দুদকের অনুসন্ধান একেবারেই শূণ্যের কোটায়। সরকারী প্রকৃত দূর্নিতিবাজেরাই এখন দুদক নিয়ন্ত্রন করেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দুদকের পথ নির্দেশক।
সরকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের দূর্নিতি বন্ধ করতে পারলে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ দূর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব। অথচ দুদক সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে শতভাগ দূর্নীতিগ্রস্থ। এই প্রতিষ্ঠানের ইট পাথর ও সুদ ঘুষের সাথে জড়িত তাই যদি না হয় তবে কিভাবে রেলের অসাধু আমলা মৃধাকে রেহাই দেয় কমিশন। এখানেও দুদক কর্মকর্তাদের ঘুষ ব্যবসা জড়িত তা না হলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এখানে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, ঘটনার নেপথ্য নায়কদের আড়াল করার জন্যই দুদকের এই নতি স্বীকার ।
দুদকের করা মামলাগুলো শতভাগই প্রশ্নবিদ্ধ এগুলো কোনটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশঃত আবার কোনটা জমজমাট ঘুষের ব্যবসার অংশিদারি না পাওয়ার হতাশা থেকে আবার সবচেয়ে লেীহমর্ষক হলো বিভিন্ন সেক্টরের লোকদের জিম্মি করে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে। দুদক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যা দিয়েছে তার চেয়ে কয়েক হাজার গুণ অপচয় করেছে গত কয়েক বছরে।
বাছুর না দেয়া বন্ধ্যা গাভী পালন করে কি হবে এটিতো কেবল খেয়ে নিজে রিস্টপুষ্ট হবে কিন্তু কোন আউটফুট দিতে পারবেনা। একসময় বয়সের ভারে নুজ হয়ে শেষ হয়ে যাবে, মাঝখানে আপনার অনেক সম্পদ গচ্ছা দিতে হবে। আমাদের দুদক বন্ধ্যা গাভীর চেয়েও আরো ক্ষতিকর এটি কেবল রাষ্ট্রের সম্পদ লুটে পুটেই খাচ্ছে না রাষ্ট্রীয় অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করে দিচ্ছে। দুদকের পিছে বছরে যে টাকা ব্যয় হয় সে টাকা যদি বেকার যুবকদের প্রশিক্ষনের পিছে ব্যয় করা হতো তাহলে দেশে বেকার সমস্য কিছুটা হলেও লাঘব হতো।
দুদক বর্তমানে একটি অলাভজনক ক্ষতিকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে । এই দুদক এখনই বন্ধ করা না গেলে দেশ যেমন আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে তেমনি দেশে কালো বিড়ালদের দেীরাত্ম দিন দিন বাড়তে থাকবে। দুদক এখন ক্যান্সার আক্রান্ত এর পূর্নগঠনে কোন কাজ হবে না দেশকে কালো বিড়ালের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে দুদকের মতো এরকম সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
এমএস ইসলাম বলেছেন: স্বার্থে লাগলে আমি নাই
স্বার্থে হলে বুজিনা কোন অন্যায়
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৭
অতঃপর জাহিদ বলেছেন:
টিআইবি'র রিপোর্ট অনুযায়ী ৫০
হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকায়
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির
ভুয়া সার্টিফিকেট পাওয়া যায়!
দারুণ একটা রিপোর্ট করেছেন
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল,
বাংলাদেশ নামে এই
দূর্নীতি বিরোধী এই সামাজিক
প্রতিষ্ঠানটি!
কিন্তুু আপনাদের রির্পোট
করতে কি ভয়
করে যারা কোটি কোটি টাকার
বিনিময়ে প্রাইভেট
ইউনিভার্সিটি গুলোর অনুমোদন
দেন।
নাকি আপনারাও টাকা খেয়ে চুপ
থাকেন!
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
গুলো থেকে ও
কি আপনারা টাকা খান,
আপনাদের রির্পোট এ কি এটা কখনও
প্রকাশ পায় না দেশের অনেক
পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ৩ লক্ষ
টাকা হলে ভর্তি হওয়া যায়।
টি আই বি --টাকা ইনকামে ব্যস্ত
যখন টাকা কম পাই তখন
সে সেক্টরে দূর্নীতি!
পারলে অভিযুক্ত প্রাইভেট
গুলো বন্ধ করে দেন, কিন্তুু
টাকা খেয়ে সেটাও তো পারবেন
না।
আর দুদক তো সরকারি দুর্নীতি হবে স্বাভাবিক!