নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা ভালোবাসা

এমএস ইসলাম

বলার মত কিছু নাই

এমএস ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসের উৎপত্তি ও পৃষ্ঠপোষকতায় এক শ্রেনীর মিডিয়ার ভূমিকাঃ

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

(৩য় অংশ



সন্ত্রাসের উৎপত্তি ও পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দলগুলোর পরে যারা সবচেয়ে বেশী দায়ী তারা হলো এক শ্রেনীর হলুদ মিডিয়া। এরা হয় কোন দলীয় লেজুড় ভিত্তিক, না হয় কোন ব্যবসায়িক গোষ্ঠি, না হয় কোন ভিনদেশী দালালের প্রতিনিধিত্ব করে বিধায় এরা ন্যায়ের পথে সাম্যের পথে থাকতে পারে না।

শক্তিশালী গণমাধ্যমকে বিকল্প সংসদ বলা হয়, পার্লামেন্টের বিরোধীদল হিসাবেও গণমাধ্যম মূখ্য ভূমিকা পালন করে। অথচ বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমাধ্যম বর্তমানে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু। এরা সরকারের অন্যায় কাজে বাধা প্রদানের চেয়ে অন্যায়কে বেশী প্রশ্রয় দেয়, সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকান্ডে নিয়ামক ভুমিকা পালন করে এক শ্রেনীর গণমাধ্যম। এরা বিরোধীমত দমনে সরকারের নানা কর্মকান্ড উস্কে দেয় এবং বিরোধীদের গঠনমূলক কর্মকান্ডও জনগনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধভাবে উপস্থাপন করে। হলুদ গণমাধ্যমগুলোর তথ্য সন্ত্রাসের বলি আজকের বাংলাদেশ, বর্তমানে বাংলাদেশ একবারে খাদের কিণারায় এসে দাঁড়িয়েছে।

একশ্রেনীর সাংবাদিক চাঁদাবাজিকে বর্তমানে পেশা হিসাবে গ্রহন করেছে। তারা মানুষকে নানারকম ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায় করে। ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন করে, দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এরা মানুষকে বিভ্রান্ত করে অতঃপর ভয় দেখিয়ে, চাপ সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। টাকার বিনিময়ে খুনির সাথে এরা লিঁয়াজো করে, খুন অপহরণ সংগঠনে সাহায্য সহযোগিতা করে।

ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন হওয়ায় এরা ব্যক্তি কেন্দ্রীক ও প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক তাদের কার্যক্রম চালায় এবং নিরপেক্ষতা, নীতিবোধ এদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। একপক্ষ আরেক পক্ষের চরিত্রহননে ব্যস্ত থাকে যেমনটা করেছিল কালের কন্ঠ আর প্রথম আলো। এদের সাংবাদিকতা এতো নির্লজ্জ অবস্থায় পেীঁছেছে যে এরা একজনের ভালে কাজকে অন্যজন সহ্য করতে পারে না। কালের কন্ঠ শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে নিউজ ছাপায় না যেহেতু প্রথম আলো শামীম উসমানকে নিয়ে ছাপায়।কিন্তু শামীম উসমানের পক্ষে তাদের পত্রিকায় ভিন্নভাবে ধুতিয়ালী করতে দেখা যায়, সাফাই গাইতে দেখা যায়।

আলোচিত ঘটনাগুলো এক শ্রেনীর মিডিয়াগুলো ধাপাচাপা দিয়ে দেয় অন্য একটি অসম ইস্যুকে সামনে এনে। মিডিয়াগুলো এত বেশী সংকীর্ণ, দলীয় মন মানসিকতা ধারণ করেছে যে এরা দলের উর্ধ্বে উঠে কোন সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। এরা মন্ত্রীর দূর্নিতির খবর তাদের কাগজে ছাপায় না কিন্তু নর্তকীর প্র্যাগনেন্সির খবর ফলাও করে ছাপায়। এরা একুশে আগষ্ট এর গ্রেনেড হামলা, রমনার বটমূলে বোমা হামলার জন্য ধারাবাহিক অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাপালেও সাগর রুনির হত্যাকান্ড নিয়ে একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও ছাপাতে পারে না।এরা সন্ত্রাসীর পক্ষ নিয়ে সন্ত্রাসীকে এদের পত্রিকার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে দাওয়াত দেয়।

ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্ত্রের মহড়া এরা দেখে না কিন্তু কোন কোরআন তালিমের অনুষ্ঠানের জন্য কয়েকজন ছাত্র জড়ো হলেই এরা পুলিশে খবর দেয়, জঙ্গি উত্থানের নাটক সাজায়। ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ছবি অন্যের নামে তাদের পত্রিকায় চালিয়ে দেয় পরে মিথ্যা ধরা খেলেও দুঃখ প্রকাশও করে না।এরা পুলিশকে লাঠি দিয়ে পিটানোর দৃশ্য বার বার প্রচার করে কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করার দৃশ্য, হাত পা বেঁধে পায়ের মধ্যে গুলির দৃশ্য দেখায় না। এরা অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ছবি ছাপায় না কিন্তু লাঠি হাতে থাকা লোকজনকে সন্ত্রাসী বানিয়ে পত্রিকায় ফিচার সাজায়।

এক শ্রেনীর মিডিয়া দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরের ঘটনা তে সাম্প্রদায়িকতা খোঁজে কিন্তু যুবলীগনেতার লোভের বলিতে হিন্দু বস্তিতে আগুনে এরা কোন কিছু খুজে পায় না। এরা কোন মসজিদের ইমামের অনৈতিক কর্মকান্ড প্রথম পাতায় জায়গা দেয় কিন্তু কোন আওয়ামীলীগ নেতার যেীন স্ক্যান্ডাল পত্রিকার কোথাও ঠাঁই দেয় না। এরা আলেমদের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আলেমদের চরিত্রে কলংক লেপন করতে যতটা উদগ্রীব ততটা উদগ্রীব এরা হয় না শয়তানের দোসর কিবরিয়ার চরিত্র উম্মোচন করতে যে শিশুদের যেীনকাজে বাধ্য করে ভিডিও বিদেশে বিক্রি করছে বছরের পর বছর।

দলীয় স্বার্থে , রাজনৈতিক স্বার্থে এরা সংবাদের রং পাল্টিয়ে ফেলে। এদের হলুদ রংয়ে ভালো মানুষ সাজে মাদক সম্রাট, চোর সাজে পরহেজগার, দূর্নিতিবাজ থাকে দেশপ্রেমিক। কোন বিশেষ ধমাবলম্বীকে কেউ চপেটাঘাত করলে এরা পুরো পত্রিকা জুড়ে সিরিজ রিপোর্ট করে কিন্তু কোন উপজাতি নারী ধর্ষিত হলে এদের পত্রিকায় কোন লেখা দেখা যায় না। এরা সমাজের রাঘব বোয়ালদের দূর্নিতির খবর ছাপায় না কিন্তু সামান্য ছিটকে চোরকে এরা সন্ত্রাসী বানিয়ে উপসম্পাদকীয় ছাপে। এরা দাঁড়িটুপি ধারীদের জঙ্গী বানিয়ে প্রথম পেজে ক্যাপসন দেয় কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী কোন লেখকের যেীন কেলেংকারীকে এরা সুকেীশলে এড়িয়ে যায়।

সাংবাদিকরা এখন চাঁদার ভাগ নেয়, খুনের টাকার ভাগ নেয়, ভর্তি বানিজ্যের টাকার ভাগ নেয়, নিয়োগ বানিজ্যের টাকার ভাগ নেয়, চোরাচালানির টাকার ভাগ নেয়, মাদক বিক্রির কমিশন গ্রহন করে। এই সাংবাদিকদের পৃস্ঠপোষকতা করে আমাদের এক শ্রেনীর হলুদ মিডিয়া, তারা আশ্রয় দেয়, প্রশ্রয় দেয়। এই নষ্ট ভ্রষ্ট হলুদ সাংবাদিকতা নির্মূল করতে পারলে সমাজে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অনেকাংশে নির্মূল করা সম্ভব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.