![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বিএনপির চেয়ারপার্সন কিংবা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হলে গতকাল(সোমবার) বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসে পুলিশী অভিযান এবং নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার অভিযানের জন্য অভিযান সংশ্লিষ্ট পুলিশকে রজনীগন্ধা এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কে এক হাড়ি রসমালাই উপহার দিতাম।
কারণ, গত সোমবার নয়াপল্টনের অফিসে পুলিশী অভিযান এবং নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের ঘটনা বিএনপিকে এক কোমর কাঁদায় আটকে থাকা গ্যাড়াকল অবস্থা থেকে একটানে তুলে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ঝকঝকে হাইওয়েতে। অথচ গত একমাস আড্ডা-অলোচনা,হিসাব-নিকাশে সাধারণ মানুষের মুখে এই বিএনপির অবস্থান ছিল পাঁচ নম্বরে। হাটবাজার,চায়ের দোকান থেকে শুরু করে আড্ডা,আলোচনা, রাজনীতি,টিভি টকশো এবং মিডিয়া কভারেজের শীর্ষে ছিল 01.গণজাগরণ মঞ্চ 02.জামাত-শিবিরের তাণ্ডব এবং তাদের শক্তির মহড়া 03.সহিংশ ঘটনায় পুলিশসহ শতাধিক মানুষের মৃত্যু 04.সরকার এবং আওয়ামী লীগ.05.বিএনপি । সরকার এবং আওয়ামী লীগের প্রাধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপি নয় আলোচিত হচ্ছিল জামাত-শিবিরের নাম। এমন কি জনমন থেকে হাওয়া হয়েছিল বিএনপির রাজনৈতিক উপস্থিতি এবং তাদের তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি ।
গত সোমবার নয়াপল্টনে পুলিশ অভিযান আড়াই ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে টিভিতে লাইভ টেলিকাস্ট হয়েছে। দেশের প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান ক্লাব বাসাবাড়ির টিভির সামনে ছিল ভীড়। আমি আমার শহরের কয়েক ডজন দোকানে শ’শ মানুষকে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে এই টেলিকাস্ট প্রত্যক্ষ করতে দেখছি এবং অধিকাশ দর্শককে ফিসফিস করে যা বলতে শুনেছি তাতে বিএপির প্রতি সহমর্মীতাই প্রকাশ পাচ্ছিল।
অথচ সোমবার নয়াপল্টনে পুলিশী অভিযান এবং নামমাত্র পিকেটিংএ সাম্প্রতিককালের সফলতম হরতালের মধ্যদিয়ে হটাৎই আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছে বিএনপি। গত ২৪ ঘণ্টার পর্যক্ষেণ তাই বলে । অথচ বিএনপিকে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে পুনঃস্থাপন করতে অনেক কাঠঘড় পোড়াতে হত। অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণ বলে সোমবারের বিএনপি অফিসে পুলিশী অভিযান এবং গণগ্রেফতার শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের উত্থানের ফলে বিএনপির শরীরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল সে ক্ষত সারাতে শুধু মলম হিসেবেই নয় মহাকার্যকর এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছে। বিএনপি সহসাই বড় কোন ভুল না করলে সামনের দিনে অনেকটাই স্বচ্ছন্দ বোধ করবে এবং তুলে ধরবার সুযোগ পাবে তাদের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার দাবি।
এতবড় উপকারী বন্ধুকে (!) রজনীগন্ধা আর রসমালাইয়ে শুভেচ্ছা না জানানো নিতান্তই অকৃতজ্ঞতা। আর হ্যাঁ,বিএনপির উচিত হবে যেসব পণ্ডিতরা ফেসবুক টুইটার ব্রগে নয়াপল্টন অভিযানকে উদার দিলে বাহবা জানিয়ে উচ্ছ্বাস করেছেন তাদেরও মিষ্টি মুখ করানো
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৬
ভুদাই আমি বলেছেন: এখানে কি দেখছেন
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১২
ফাঁটা বাশ বলেছেন:
ইতিহাস কথা বলে ।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৪
ফাঁটা বাশ বলেছেন: ২০০৪ সালের ১লা মার্চ। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পুলিশের হামলা। হামলার কথা শুনে শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় অফিসে আসতে গেলে রাস্তায় শেখ হাসিনার গাড়ি ব্যরিকেড দিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। ১০০ জনেরও অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। নির্মম নির্যাতন করা হয় নেতাকর্মীদের উপর।
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৩
সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেছেন: বিএনপির ঐ জাতীয় অপকর্মের জন্যই তো জনগণ গত সংসদ নির্বাচনে ৩০ আসন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে ৩০ সিট পাওয়া দলের আচরণকে কেন অনুসরণ করবে ? তাহলে দুদলের তফাৎ কী শুধু নামে ?
৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৪
পলাতক আসামী বলেছেন: বেফুক বিনুদুন চলছে দেশজুড়ে!!
৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
আইলসা০ বলেছেন: হাছাই বলেছেন ভাইয়া। আপনারেও রসমালাই খাওয়ান দরকার।
বিএমপি অনেক ক্ষতি হইছিল গত কয়দিনে কাইলকা পুলিশ সব পোষাইয়া দিছে।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪১
দখিনা বাতাস বলেছেন: লাভ নাই ভাই। মানুষ এত সহজে কিছু ভুলে না। ৮৬তে আওয়ামীলীগ এরশাদের সাথে ইলেকশন করছিল, তার ৫ বছর পরে মানুষ ৯১এ বিএনপিরে ভোট দিয়া তা মনে করাইয়া দিছিল। ঐ সময় ৩০০ সিটে প্রার্থী দেওয়ার মত বিএনপিতে নেতা ছিলনা।
২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি যেই লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করছিল চুরি বাটপারির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হইয়া, ২০০৮ এর ডিসম্বরে মানুষ তার জবাব দিছিল আওয়ামীলীগরে দুই তৃতীয়াংশ দিয়া।
মানুষ এত সহজে কিছু ভুলে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৫
ভুদাই আমি বলেছেন: :!> :!> :!>