![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোটের মাত্র কমাস আগে আওয়ামী লীগকে বাঁশ দেবার জন্য আরও একটি আইন প্রনয়ন করা হচ্ছে,আইনটি প্রনয়ন করছেন আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এ আইনের আতঙ্কে দমবন্ধ জীবন কাটাবেন দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ শিক্ষক । রাজধানী এবং বিভাগীয় শহরের ডজনতিনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাদবাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ঘারে ভাতে-পানিতে মারার খড়গ নেমে আসবেই।
সংসদের আগামী অধিবেশনে উত্থাপনের অপেক্ষায় থাকা “ শিক্ষা আইন ” নামের এ আইনের নানা নিবর্তনমূলক ধারার একটি ধারায় যা বলা হয়েছে ‘ এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের হার শতকরা ৭০ শতাংশের কম থাকলে সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান্থলি পে অর্ডার বাতিল করে দেয়া হবে।’ (সংবাদসূত্র : দৈনিক কালের কন্ঠ (29.08.2013) শেষ পৃষ্ঠা। বেতন বন্ধ করে দেয়া হবে, নিউজ লিংক নীচে দেখুন)। সোজা কথায় আইনের এ প্রস্তাবনা সংসদে পাশ হলে দেশের জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ের শতকরা ৯০ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ যে হবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। এই খরগ যে কোন বছর বাকী দশভাগের ঘারেও নেমে অসতে পারে। ৭০ ভাগ পাশের হার কিন্তু সহজ খেলা নয়।
এ লেখার এটুকু পড়ে অনেকেই বলতে পারেন ঠিকইতো আছে ,সঙ্গত আইন। তাদের বলি আরেকটু পড়ুন তারপর বলুন । আইনটি অবিবেচনা প্রসূত এক অপরাধ। কেন ? কারণ এবং যুক্তি বলছি।
:: ০১।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফাঁকিবাজ দায়িত্বহীন যোগ্যতার ঘাটতি আছে এমন শিক্ষকও যেমন আছেন তেমনি ভালমানের অত্যন্ত্ যোগ্য এবং যথেষ্ট দায়িত্বশীল ও আন্তরিক শিক্ষকও আছেন। ধরে নেই ‘ক’ কলেজের রসায়ন,বাংলা,হিসাববিজ্ঞান,ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক ফাঁকিবাজ দায়িত্বহীন এবং অযোগ্য। ছাত্ররা তাদের বিষয়ে প্রতিবছর ৪০ কিংবা ৪৫ শতাংশ হারে ফেল করে। অন্যদিকে এই কলেজের ইংরেজি,ইতিহাস,কিংবা ব্যবস্থাপনা বিষয়ের শিক্ষক অসাধারণ যোগ্যতা সম্পন্ন এবং প্রচণ্ড রকমের দায়িত্ববান এদের সাবজেক্টগুলোতে পাশের হার প্রতিবছর ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত আইনটি পাশ হলে ঐ স্কুলের ফাঁকিবাজ শিক্ষকের সাখে যোগ্য এবং দায়িত্বশীল শিক্ষকও তার বিষয়ে ৯৯% ছাত্রকে পাশ করিয়েও বেতন থেকে বঞ্চিত হবেন। তার বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। ভাবুন একবার ন্যায় বিচারটি কেমন।
কোন যুক্তিতে কেন এই ঢালাও শাস্তি ?
::০২
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মেধার মান কি এক ? পারিবারিক আর্থিক সামর্থ এবং সামাজিক অবস্থান কী এক অভিন্ন ? সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী একই মানের শিক্ষার্থীরা পড়েন ? না,না,এবং না।
নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাবী,ভাল মানের,ভাল পরিবারের শতভাগ শিক্ষার্থী নিয়ে পাশ করাবেন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আর দুর্বল মেধা,দুর্বল পারিবারিক অবস্থানের শতভাগ শিক্ষার্থী নিয়েও পাশ করাতে হবে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ। কী অদ্ভুত বিধান। দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র শিক্ষক অনুপাত
যেখানে ৩৫ : ১ সেখানে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র শিক্ষক অনুপাত কমপক্ষে ১০০ : ১ । কোথাও কোথাও ১৫০ : ১ বা তারও বেশী আছে। এ অসামঞ্জস্যপূর্ণ অনুপাত নিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম শিক্ষকের পক্ষেও সাধারণ মানের ছাত্র-ছাত্রীদের ৫০ থেকে ৬০ শতাশের বেশী পাশ করানো অসম্ভব। তাহলে কেন এমন বিধান ? শিক্ষকরাতো আর পরীক্ষার হলে বসে ছাত্রের খাতায় লিখে দিয়ে আসতে পারবেন না কিংবা প্রতিটি ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে পাহাড়া দিতে পারবেন না সে ঠিকমত পড়লো কী পড়লো না তা নিয়ে। নাকি পারবেন ?
আর যুক্তি দিতে চাই না। এমন শাস্তির বিধানের বিরুদ্ধে কমপক্ষে আরও এক ডজন যৌক্তিক যুক্তি দেখানো যাবে।
এবার আসি শুরুতে কেন বলেছি আওয়ামী লীগকে আরেকটি বাঁশ দেয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে। কারণ ক্ষমতার শেষ সময়ে এবং নতুন একটি নির্বাচনের মাত্র কমাস আগে এমন শাস্তির বিধান সম্বলিত আইন দেশের লক্ষ লক্ষ বেসরকারি শিক্ষকরা নিশ্চই গদগদ চিত্তে বরণ করবেন না। আতঙ্কিত হবেন আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্ভাবনায়। ক্ষুব্ধ হবেন সমান মাত্রায়। ক্ষুব্ধ আতঙ্কিত শিক্ষকরা আওয়ামী লীগের পক্ষে কোমর বেঁধে ভোট চাইবেন ? মোটেও নয়,নিশ্চই নয় বরং উল্টোটাই করবেন। এটা ভুলে না যাওয়াই ভাল শতপতন সত্ত্বেও শহর এবং গ্রামেগঞ্জের শিক্ষকরা জনমতকে দারুণভাবে প্রভাবিত করবার ক্ষমতা এখনও রাখেন। একই সাথে এ শিক্ষকরাই আবার আসন্ন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের পোলিং অফিসার , প্রিজা্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন । তারা সেখানে কী বিন্দুমাত্র ছাড় আওয়ামী লীগকে দেবেন ? মনে হয় না। আমার মাথায় আসেনা শিক্ষকদের গলা টিপে ধরার জন্য এই মুহূর্তে কী এমন জরুরী প্রয়োজন পড়লো ,কার বুদ্ধিতে এমন বাঁশ তৈরী করা হচ্ছে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে । ভেবে দেখুন ক্ষমতাবানেরা। আর হ্যাঁ আইনে সরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকদের শাস্তি কী হবে তা কিন্তু বলা নাই্।
[[ সংবাদসূত্র : দৈনিক কালের কন্ঠ (29.08.2013) শেষ পৃষ্ঠা। ]]
Click This Link
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৩
অর্থব আমি বলেছেন: জানেনতো এই দেশে প্রাইমারি শিক্ষকের বেতন কতো? কোন এক প্রাইমারি শিক্ষক এক সময় বলছিলেন," হাজার মানুষের সন্তানরে আমি পড়ই, কিন্তু আমার ছেলেরে ভার্সিটিতে পড়ানোর ক্ষমতা আমার নাই"
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৭
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: নিব্বাচন যে হবে সেটা আপনে কেমনে সিউর হইলেন? উর্দু লীগ কি এতই বোকা যে ভালোয় ভালোয় এলেকশন দিয়া নিজের ভরা ডুবি করে বিএনপি কে ক্ষমতায় এনে স্বচ্ছায় নিজের ইয়ে দিয়ে বাশ ভরার সুযোগ করে দিবে???
একজন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার সাথে কথা হচ্ছিল। তার ভাষ্যমতে- তারা যত দিন পারবে ইলেকশন না দিয়ে থাকা যায় তত দিন তা দিবে না, আর ক্ষমতা ছাড়তেই হলে সেনা সমর্থীত কারও হাতে দিয়ে যাবে যারা আরও ৩/৪ বছর ক্ষমতায় থাকবে।
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
ভিটামিন সি বলেছেন: পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: নিব্বাচন যে হবে সেটা আপনে কেমনে সিউর হইলেন? উর্দু লীগ কি এতই বোকা যে ভালোয় ভালোয় এলেকশন দিয়া নিজের ভরা ডুবি করে বিএনপি কে ক্ষমতায় এনে স্বচ্ছায় নিজের ইয়ে দিয়ে বাশ ভরার সুযোগ করে দিবে???
একজন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার সাথে কথা হচ্ছিল। তার ভাষ্যমতে- তারা যত দিন পারবে ইলেকশন না দিয়ে থাকা যায় তত দিন তা দিবে না, আর ক্ষমতা ছাড়তেই হলে সেনা সমর্থীত কারও হাতে দিয়ে যাবে যারা আরও ৩/৪ বছর ক্ষমতায় থাকবে।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
দখিনা বাতাস বলেছেন: এইবার আরও বেশিদিন থাকবো সেনা সরকার। এইবার আসলে তারা আর আগে ২০০৭ এর মত ব্যাবসায়ীদের পিছনে লাগার মত বোকামী করবো না। আর সেনা সরকার আসবেই, কারন এইবার আওয়ামীলীগও চাইতেছে ঐকাজ করতে। আর যাই করুক, বিএনপি জামায়াতের হাতে দিয়া যাইবো না।
সেনা সরকার আসলে ভালই হয় আমগো আমজনতার। থাকুক ৫/৭ বছর। খারাপ হইবো না। বিএনপি জামায়াত হেফাজতের চাইতে সেনা সরকার ভালো
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৪
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: গ্রামের স্কুলে ক্লাস টেনে ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকে, SSC পরীক্ষা দিতে পাঠায় হয়তো ৬০ জনকে, পাশ করে ২০-৪০ জন। এখন এই আঈন চালু হলে স্কুল থেকে শিক্ষকেরাই SSC এর জন্য এলাউ করবে ১০০ জনে ২০/৩০ জন করে। এতে গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ বছরের পর বছর ক্লাস টেনে থেকেও SSC পরীক্ষা দিতে পারবে না অনেকে।