নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধবিশ্বাসী মানুষেরাই প্রকৃত অন্ধ

সাইফুদ্দীন আহমেদ

সাইফুদ্দীন আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৌশলে মস্তবড় ভুল করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ এবং এরশাদ

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

এরশাদের জাতীয় পার্টির একপাল মন্ত্রী অন্তবর্তীকালীন মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দিয়ে এবং ঠাঁই নিয়ে বড় একটি কৌশলগত ভুল করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ এবং এরশাদ। কৌশলটা হওয়া উচিত ছিলো গোপন সমঝোতায় প্রবল সরকার বিরোধী কথাবার্তা বলে মহাজোট থেকে বেড়িয়ে গিয়ে একাই নির্বাচন করবো বলে এরশাদের ঘোষণা দেয়া । বলতে পারেন এ দুদলের বর্তমান সিদ্ধান্তকে কেন ভুল বলছি,তাহলে মিনিট খনেক সময় হাতে নিয়ে নিচের কথাগুলো পড়ুন।

ধরে নিলাম বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বচনে এলো না এবং নির্বাচন প্রতিহতও করতে পারলো না। সে ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের প্রধান প্রতিপক্ষ এবং অওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে এরশাদ অনায়াসে মাঠ মাতাতে পারতো । নৌকা ঠেকাও মানসিকতার ভোটার কিন্তু সক্রিয় বিএনপি কর্মী নন এমন ভোটার রা ভোট কেন্দ্রে যেতো লাঙলে ভোট দিতে প্লাস নৌকার ভোট,দুই ভোট মিলে মোট কাস্টিং ভোট মিলে যে সংখ্যা দাঁড়াতো তা নির্বাচনকে অনেকটাই বৈধতা দিতো। সে ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের হার আমার ধারনায় কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৫০ % এ দাঁড়াতো। এখন কিন্তু তা দাঁড়াবে না । কারন এই মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়ে এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং অওয়ামী লীগ ভোটারদের কাছে সমার্থক হয়ে গেছে। নৌকা ঠেকাতে লাঙ্গল এই বোধ এই মুহুর্তে ভোটারদের মাঝে নেই। আগামী এক-দেড় মাসে তা বদলাবেও না । উপরন্তু একই মন্ত্রীসভায় থাকায় মহাজোটে থাকা না থাকার পার্থক্য অতিশয় গৌন হয়ে গেছে।

এরশাদ নির্বাচনের আগে লাঙল নিয়ে যতই আওয়ামী লীগ বিরোধী কথা বলুক,মানুষ গিলবে না। সে বিশ্বাস যোগ্যতাও এরশাদ নিজেই হারিয়েছেন,‘থুতু দেবে’ , ‘বিএনপি নির্বাচনে না গেলে সে নির্বাচনে জাতীয় পার্টিও যাবে ন ‘ জাতীয় কথা বলে নির্বাচনে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়া এবং মন্ত্রীসভায় যোগ দেবার মাধ্যমে। আগামী দেড় মাসে “গরুমার্কা” ইমেজ পুনরুদ্ধারও অসম্ভব। এমনকি নির্বাচনের আগে মন্ত্রীসভা থেকে বেড়িয়ে এলেও।

এরশাদের জাপা ছাড়া অন্য যে দলগুলো নির্বাচনে যাবে সেগুলোর তিনশ আসনে প্রার্থী দেবারও ক্ষমতা নেই। আর যাওবা থাকবে তারাও এই মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছে। ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি কার্যকর বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসার মধ্যদিয়ে বিএনপির অনুপস্থিতিকে গৌণ করে প্রতিষ্ঠা করা কার্যত অসম্ভব।

কিন্তু জাতীয় পার্টি যদি মহাজোট এবং মন্ত্রীসভা দুটো বর্জন করে নির্বাচনের মাঠে থাকতো তা হলে লড়াইটা তীব্র হত। বিএনপির বিকল্প এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সাধারণ ভোটাররাও নির্বাচনের দিকে ঝুঁকতো। জমে উঠতো নির্বাচন।

এজন্যই বলছি বড় ধরনের কৌশলগত ভুলটা আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যেই করে ফেলেছে। যা আর শুধরানোর সময় নেই। অন্তত জানুয়ারীর নির্বাচনে।

আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি বাইরে শত্রুতা ভেতরে গোপন সমঝোতার কৌশলে এ কাজটি অনায়াসে করতে পারতো।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ডিজটাল দুনিয়ায় আর কোন কিছুই গোপন থাকেনা ।।
পোস্ট এ ধন্যবাদ ।।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৩

puronodin বলেছেন: সহমত....সুন্দর লিখেছেন ভাই.....

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫

খালিদ মুহাম্মদ ইফতেখার আবেদীন বলেছেন: আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দল যাদের প্রকৃতই জনগণের সমর্থন রয়েছে তাদেরকে সামরিক শাসকদের মতো দল ভাঙা, অর্থের বিনিময়ে অন্যান্য দলকে নির্বাচনে আনা, মন্ত্রি কিংবা উপদেষ্টার টোপ ফেলে জনসমর্থনহীন কিছু নেতাকে ভাগিয়ে আনা -- এ ধরনের কার্যক্রম করতে হচ্ছে এটা খুবই দুখ:জনক একটা বিষয় । সত্যিকার অর্থে তাদের নিজেদের প্রতি আস্থা এখন শুন্যের কোঠায় । খড়-কুটো যা পাচ্ছে তাই ধরে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার মিশনে অবতীর্ণ হয়েছে । কিন্তু এতে কি তাদের শেষ রক্ষা হবে? এ দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, সাময়িক পরাজিত হলেও ন্যায়ের পক্ষে যারা ছিল সব সময় তাদেরই জয় হয়েছে । অন্যায় ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার ফলাফল শেষ পর্যন্ত খুবই খারাপ হয় ।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১

পাউডার বলেছেন:
এর্শাদ কি ইচ্ছা কৈরা গেছে নাকি। পরের দিন মনজু হত্যা মামলার শুনানি ছিলো।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

নানাভাই বলেছেন: এরশাদের চরিত্র, ফুলের মত পবিত্র। :P

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

হাসিব০৭ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~চাচা তো চাচাই পল্টিবাজি তার চেয়ে কে ভালো জানে

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: আওয়ামীলীগ মুখে স্বাধীনতা ও দুর্নিতীর কথা বলে অথচ তারা বড় দুর্নিতীবাজ, স্বৈরশাসক ও রাজাকারদের নিয়েই মন্ত্রীসভা করেছে

মানুষ এতো বোকা না, ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকরী প্রলোভন, এইসব ভুলে যাইনি, এখন সময় এসেছে এই সব মিথ্যে আশ্বাসের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করে আইন করা, প্রতারনা মামলা আইমিন ৪২০ মামলা---------------

আর একটা কথা বাংলা একাডেমী কে বলব অভিধানে "এরশাদ" নামটি অন্তভুক্ত করা, যার অর্থ হবে যারা কথা ঘন ঘন কথা পরিবর্তন করে তাদের কে এরশাদ বলে ডাকা হবে।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

পথহারা সৈকত বলেছেন: puronodin বলেছেন: সহমত....সুন্দর লিখেছেন ভাই.....

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ।

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

এম আর ইকবাল বলেছেন:
গুনিজনেরা বলেন,
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই

আমরা হয়ত আরো অনেক চমক দেখবো ।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

দখিনা বাতাস বলেছেন: রাজনীতিবিদ আর ব্যাবসা্য়ীরা দুনিয়া চালায়। তাগো মাথায় আপনের চাইতে অনেক বেশি বুদ্বি আছে ভাই। আওয়ামীলীগ আর এরশাদ জানে, যতকিছুই হোক, যত ভোটই আসুক, বিএনপি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন কোনভাবেই সবার কাছে গ্রহনযোগ্য না। খেলা এখনও অনেক বাকি আছে। আগে ফাসির ঘটনা শুরু হোক, তারপরে বুজবেন কে কি বু্দ্বি করছে আগে থেকেই।

খেলা আগেও হইছে, এখনও হইতাছে, আরও কিছুদিন হইবো-- খেলোয়াড় ২টাই। আওয়ামীলীগ আর জামায়াত। এরশাদ আর বিএনপি আপাতত ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চা

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফালতু এরশাদের কথা বাদ দেন।

সরকার থেকে বার বার আলোচনায় ডাকা হলেও, বেহায়া বিএনপি জামাত এর অনুমতি ছাড়া একপাও নড়তে পারছে না। সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী মির্জা ফকরুলকে সরাসরি আলোচনার আহবান জানানোর পরও মির্জার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানের কথা স্বীকার পর্যন্ত করেন নাই
পরদিন সরোয়ার্দি উদ্যানের সমাবেশেও এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য নেই।
গতরাতেও জামাতকে লুকিয়ে গভীর রাতে আশরাফের সাথে গোপনে প্রাথমিক আলোচনার সুত্রপাত করতে হয়েছে।


কারনটা খুবই স্পষ্ট। আলোচনা করে শান্তিপুর্ন নির্বাচনে জামাতের কোন লাভ নেই।

প্রবল সহিংসতা চালিয়ে সবকিছু বিধ্বস্ত করে আওয়ামীলিগকে কোনঠাসা না করা পর্যন্ত সুধু আলোচনা করে হাসিনাকে সরিয়ে নর্মাল শান্তিপুর্ন নির্বাচনে গেলে জামাতের রাজনৈতিক মৃত্যু হবে। সুধু এই কারনেই জামাত বিএনপিকে আলোচনা থেকে সরিয়ে রেখেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.