নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?
আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বৃষ্টিপাত আছেই। বৃষ্টির সময় শুধু উত্তরাঞ্চলে নয় দেশের সর্বত্রই সাপের উপদ্রপ বেড়ে যেতে পারে। বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃতের সংখ্যা কিন্তু কম নয়! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর ৮৩ হাজার লোক সাপের দংশনের শিকার হন। যার মাঝে ১১ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
বাংলাদেশে প্রায় ৯০ প্রজাতির সাপ আছে। তবে সব প্রজাতিই বিষাক্ত নয়। মাত্র ২৭ টি প্রজাতি বিষধর বলে জানা যায়। যেহেতু সব সাপই বিষাক্ত নয় তাই কামড়ালে ভীত হওয়া যাবে না। ডাক্তারদের মতে প্রাথমিক পর্যায়ে বিষ ছড়ানো বন্ধ করে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে পারলে বিষাক্ত সাপের কামড় থেকেও রোগীকে বাঁচানো যায়।
চলুন জানা যাক প্রাথমিক ব্যবস্থাগুলো:
#সাপে কামড়ানো রোগীকে সাপ থেকে দূরে সরিয়ে নিবেন এবং তাকে সাহস দিবেন।
#সাপটি দেখতে পেলে তা কোন প্রজাতির তা চিনতে চেষ্টা করতে পারেন।
#আক্রান্ত স্থানটি সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। গোবর লাগাবেন না।
#কামড়ের স্থানে বা কাছে কোন গহনা পড়া থাকলে তা খুলে ফেলুন।
#জুতা পড়া থাকলে তা খুলে দিবেন। কাপড় ঢিলেঢালাভাবে পড়ান।
#কামড়ের স্থান থেকে কিছুটা উপর বেঁধে দিন। গজ বা দঁড়ি না থাকলে গাছের বাকল, কাগজ, ব্যাগের ফিতা ইত্যাদি দিয়েই বাঁধন দিন।
#এরপর দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিন। বাঁধন খুবই শক্ত করা যাবে না।
#রোগীকে বা আক্রান্ত অঙ্গটিকে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না।
#রোগীকে হাঁটতে দিবেন না। কারণ এতে মাংসপেশীর সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে দ্রুত বিষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
#রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এসপিরিন বা কোন ব্যথানাশক ঔষধ দিবেন না।
#মুখ দিয়ে বিষ টেনে তোলার চেষ্টা করবেন না। এটা সিনেমায় দেখানো একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। এতে স্নায়ু ও রক্তনালীসমূহের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া মুখে থাকা জীবাণুর সংক্রমন ঘটতে পারে।
সাপ তাড়ানোর উপায়:
বন্যা বিধৌত বাসা-বাড়িতে যাতে সাপ ঢুকতে না পারে সেজন্য একটি কাঁচের বোতলে কার্বলিক এসিড বা ফেনল নিয়ে তার মুখ খুলে রাখুন। সাপ এই এসিডের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই আর আসবে না। অনেকে বাড়ির চারপাশে ছিটাতে বলেন। এটা ঠিক নয়। কারণ চারপাশে ছিটালে বাড়ির ভিতরে কোন সাপ থাকলে তা বের হবে না।
কিছু কথা:
#গ্রামাঞ্চলে বন্যায় বিস্তৃত মাঠের উপর বা আপনার বাড়ির পাশের কোন পরিত্যাক্ত ভিটায় ঝোপঝাড়যুক্ত জায়গা ভেসে থাকতে পারে। সেসব স্থানে সাপকে আশ্রয় নিতে দিন। যেখানে আপনারা যাবেন না সেখানে কার্বলিক এসিড ছিটাবেন না। সাপ খুবই উপকারি প্রাণি। এরা খুব সহজে কামড়ায় না। পরিবেশ রক্ষায় এদের বাঁচতে দিন।
#সাপ কামড়ালে ওঝা বা কবিরাজের কাছে যাবেন না। কারণ যদি সত্যিকারই বিষাক্ত সাপ কামড়ায় তবে ঝাঁড়ফুঁতে বিষ নষ্ট হবে না।
-
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)।
আমার লেখাটির পূর্বে প্রকাশিত লিংক: http://www.paribarik.com/article/71
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: দঁড়িতে বাঁধলে মাসলে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। তাই গামছা ব্যবহার করতে বলা হয়।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯
আহলান বলেছেন: ভাই সত্যিই সাপে কাটা রোগি ঝাঁড় ফুঁকেই নিরাময় হতে দেখেছি ... আপনার ধারণা সঠিক নয়। তবে কোন ওঝা দ্বারা নয়, হাক্কানী আলেম দ্বারা ....
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ভাই বিষ ছিলনা। তাই ভাল হয়েছে।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
আহলান বলেছেন: ভাই আপনি তো সহিহ হাদিসই অমান্য করলেন ... যাই হোক ....ইটস আপ টু ইউ ....
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: কোন হাদীসটা? একটু উদ্ধৃতি দিলে খুশি হতাম ভাই।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সচেতনতামূলক লেখা!!
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: অভিনন্দন আপনাকে।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
গর্বিত মুসলিম বলেছেন: ভাই আপনাকে যখন কামড়াবে তখন ডাক্তার ছাড়াও যে অন্যরাও পারে এটা বুঝবেন।অনেকে বলেন জিন নেই, যখন জিন আছর করে তখন ডাক্তার দেখালে বলে, মানষিক চাপ, হ্যালুশুনেসন। ঔষধ খান সেড়ে যাবে।যখন সাড়ে না তখন হুজুর কই হুজুর কই
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ভাই এই লেখায় জ্বীনকে অস্বীকার করার কথা কোথায় পেলেন? সাপে কামড়িয়েছে জ্বীনে নয়।
জ্বীন একবার আমাকেও ধরেছিল। সুতরাং আমি অস্বীকার করতে পারি না। তাছাড়া কোরআন, হাদীস যা বলে তাকে ১০০% বিশ্বাস করি। হয়ত আমার কোরআন হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান কম আছে।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল একটি লেখা পোস্ট করার জন্য।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল উপকারী পোস্ট। অবশ্য বাংলাদেশে এখন অতিরিক্ত মানুষের যন্ত্রনায় সাপ সব ভ্যানিশ হয়ে গেছে। চারিদিকে খালি মানুষ আর মানুষ!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৭
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সাপ ভ্যানিশ হয়েছে বলেই বিপদ কমেনি। কারণ সাপ কমে যাওয়ায় আমাদের সচেতনতাও কমে গেছে। দেখবেন হাসপাতালগুলোতে সাপের জন্য এন্টিভেনিন ইঞ্জেকশন পাওয়ায় যায় না। অনেক কষ্টে পেতে হয়। যদি সাপ প্রচুর থাকত তবে চিকিৎসারও গতি থাকত।
হমম চারিদিকে খালি মানুষ আর মানুষ!
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
তরিকুল_ইসলাম বলেছেন: দড়ি বা এধরণের কিছু দিয়ে বাঁধন দেয়া একেবারেই রিকমেন্ডেড না। এক্ষেত্রে যা করতে পারেন তা হল একটা গামছা দিয়ে আক্রান্ত হাত বা পা শক্ত করে পেঁচিয়ে রাখতে পারেন।