নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের বহু নারী-পুরুষ জীবন দিয়েছেন। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে মেরে বিভিন্ন স্থানে গণ কবর দিয়েছিল। এমনই একটি গণকবর হচ্ছে চট্টগ্রামের ফয়’স লেক এলাকায় অবস্থিত পাহাড়তলী বধ্যভূমি।
এটি দেশের (বাংলাদেশ প্রতিদিন)/ চট্টগ্রামের (প্রথম আলো) সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বধ্যভূমিটির শুধু একটি গর্ত থেকেই প্রায় এগারো শত মাথার খুলি উদ্ধার হয়। পত্রিকা দুটির লেখাগুলো পড়ে আরো জানলাম, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বধ্যভূমির বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে পাঁচ হাজার (প্রথম আলো)/ ২৫-৩০ হাজার (বাংলাদেশ প্রতিদিন) লোককে গুলি ও জবাই করে হত্যা করেছিল! হত্যার পূর্বে নির্যাতনও করা হত। শরীরের চামড়া কেঁটে লবণ মরিচ লাগানো হত! ক্যাপ্টেন সামদারানির নেতৃত্বে চলত এসব নির্যাতন। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বাঙালীদের নিয়ে এসে গভীর রাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত চালাতো হত্যাকাণ্ড।
বাংলাদেশ প্রতিদিন ও প্রথম আলো দেশের প্রথম সারির পত্রিকা। এ কথায় কারো দ্বিমত আছে বলে মনে করি না। কিন্তু তাদের তুলনা করলে কি পাওয়া যায়? কোথায় ৫ হাজার আর কোথায় ২৫-৩০ হাজার? এত ব্যবধান কেন? কে সঠিক জানতে চাই?
আবার বাংলাদেশ প্রতিদিন যেখানে বলছে দেশের বৃহত্তম বধ্যভূমি সেখানে প্রথম আলো লিখছে চট্টগ্রামের বৃহত্তম! কোনটা সঠিক?
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বুদ্ধিজীবীদের ইতিহাস লেখার অধিকার আমার নেই। তবে সঠিক ইতিহাস জানার অধিকার তো আছে। কিন্তু কিভাবে?
ও হ্যা, বিসিএস এ যদি আবার আসে দেশের বৃহত্তম বধ্যভূমি কোনটি কি উত্তর দিব? সে জন্যই আজকাল ইতিহাস ঘাটছি! অন্যথায় তো ঘাটতাম না। লজ্জ্বায় নিজেকেই ধিক্কার দিতে হয়। কারণ সবখানে লাভ খুঁজি আমি! নাহ্, আপনার দোষ দিচ্ছি না। আপনি আমার মত না।