![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?
কুমির এক প্রকার চতুষ্পদ জলচর প্রাণি। আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে এদের বিচরণ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে এই সরীসৃপটি পৃথিবীর শুরু থেকেই টিকে আছে।
ধারণা করা হয় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে প্রচুর পরিমাণে বিলুপ্তির পরও এরা শত শত বছর ধরে কোন প্রকার পরিবর্তন ছাড়াই টিকে আছে। এজন্যই কুমিরকে বিবর্তন ক্ষমতার বাইরের প্রাণি হিসেবে ধরা হয়।
কুমির সম্পর্কে আজ জানব আরো কিছু মজার তথ্য। সেই সাথে জানার চেষ্টা করব কুম্ভিরাশ্রু কথাটির সত্যতা নিয়ে। কথা না বাড়িয়ে চলুন:
কুমিরের গড় আয়ুষ্কাল: কুমিরের গড় আয়ুষ্কাল ৮০ বছর। সবথেকে বয়স্ক কুমির ছিল রাশিয়ায়। যেটি ১৯৯৭ সালে ১১৫ বছর বয়সে মারা যায়।
মুখ খোলা মানেই আক্রমণের উদ্দেশ্য নয়: কুমিরের কোন ঘর্মগ্রন্থি নেই। গরমে শরীর শীতল করার জন্য মুখ খুলে রাখে। এটাকে Panting বলে। কুকুর যে জিহ্বা বের করে থাকে সেটাও শরীর শীতলের উদ্দেশ্যে। এসময় লালাও ঝরতে পারে। এই লালা ঝরা কিন্তু খাওয়ার লোভে নয়।
পাথর গিলে ফেলা: কুমির একমাত্র সরীসৃপ যার দাঁত স্তন্যপায়ী প্রাণির মত দন্তমূল হাড়ের ভিতর গাথা। তবে এই দাঁত স্বাভাবিকভাবে আমাদের মত খাবার চিবানোর জন্য কাজে লাগায় না। শিকার আঁকড়ে ধরে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে। পেটের ভিতরের খাবার চূর্ণ করার উদ্দেশ্যে এরা পাথর গিলে থাকে।
কুম্ভিরাশ্রু: যখন কেউ মিথ্যা কান্নার ছল করে তখন তাকে আমরা ‘Cry crodile tear’, ‘কুমিরের কান্না’ বা ‘কুম্ভিরাশ্রু’ বলে থাকি। ‘Cry crodile tear’ প্রবাদ কথাটির সত্যিকারের উৎপত্তি নিয়ে সঠিক ধারণা পাওয়া না গেলেও ১৪ শতকে প্রকাশিত “The Voyage and Travel of Sir John Mandeville” নামক বইয়ে প্রকাশের পর তা ব্যাপক বিস্তৃত লাভ করে। সেখানে লেখা হয়েছিল কুমির নাকি মানুষকে খাবার পর সেই দুঃখে কান্না করে!
কুমির যখন খাবার খায়, হা করে থাকে তখন থেকে বা তার পরবর্তী সময়ে পানি আসে। কুমিরের ল্যাক্রিমাল গ্রন্থির নালির শেষটা চোখের কোণায়। তাই খাবার সময় বা হা করে থাকলে সাইনাসের মাধ্যমে ল্যাক্রিমাল গ্রন্থিতে বাতাসের চাপ লাগে ও পানি ঝরে। তবে এ পানি ঝরা কখনই দুঃখে পড়ে কিংবা ছল করে নয়। তাহলে বোঝা গেল মায়াকান্না মানুষই করে কুমির নয়।
বাচ্চা মারা যাওয়া: কুমিরের শতকরা ৯৯ ভাগ বাচ্চা জন্মের পর নানা কারণে মারা যায়। অধিকাংশ নবজাতকই জন্মের এক বছরের মধ্যেই বড় কুমির, রাক্ষুসে মাছ, পাখির খাদ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
বর্ষাকালে আক্রমণাত্মক হওয়া: কুমির বর্ষাকালে অর্থাৎ প্রজনন মৌসুমে খুবই আক্রমণাত্মক হয়। এসময় এরা মানুষের জন্য আরো বেশি বিপজ্জ্বক হয়ে থাকে।
বুলেটপ্রুফ: কুমিরের পিঠে কোন চামড়া নেই। চামড়ার পরিবর্তে শক্ত হাড়ের মত গঠন রয়েছে। যাকে বলে অস্টিওডার্ম। এটি বুলেট, বর্শা ও তীরের আঘাত প্রতিহত করতে সক্ষম।
চোখ জ্বলতে থাকা: চাঁদনী রাতে কুমিরের চোখ ক্রিস্টালের ন্যায় জ্বলতে থাকে। একাকী রাতের বেলায় উজ্জ্বল লাল আলো দূর থেকে দেখলে ভীতির উদ্রেক হতেই পারে।
সাঁতার কাটা: কুমির লেজের সাহায্যে পানিতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে সাঁতার কাটতে পারে। তবে ডাঙ্গায় একটুতেই হাপিয়ে ওঠে।
ছবি: ইন্টারনেট।
©somewhere in net ltd.