![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?
১। তিনি ছিলেন একজন দন্ত চিকিৎসক। দেশে চিকিৎসক অনেক আছে। তাই শুধু দাঁত নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না। তো পরিচিতি বাড়াতে কি করা যায়? সুন্দর সুন্দর কাপড় পড়ে আপলোড দিলেন। এখন মডেল! বিশ্বাস করেন আগে তাকে চিনতামই না।
২। নাটকের মোশারফ করিম, আখম হাসান, জাহিদ হাসান, যক্ষার রাসেল আর সিনেমার নায়ক মান্না, শাকিব, শাবানা, মৌসুমী আর কয়েকজন ভিলেন ছাড়া বাকিদের চিনতে একটু কনফিউশন লাগত। বিশ্বাস করেন, সাধু খায়াদেম যে কিসের খায়াদেম চিনতামই না। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে চিনলাম। ৪ টা মহিলারে উদ্ভট একটা প্রশ্ন করে হিট হয়ে গেলেন। ইউটিউবে তার সেই ভিডিওর, দর্শক ঝড়ের গতিতে বেড়ে গেল।
৩। সম্প্রতি আরও দুজন মডেল গজাইতেছে। এই তুমি কোথায় হাত দাও? এটুকু বলেই ক্ষান্ত হয়নি। হাত দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে
বলতেছে তাহলে হাত এমন করলা কেনো? অতঃপর দুজনের হাসি!
৪। এক সময় ব্লগ/ব্লগার কি জানতামই না। আসলে ব্লগ/ব্লগার আগেও ছিল। কিন্তু তারা তাদেরকে লাইম লাইটে আনতে ব্যর্থ ছিল। পরে কিছুকিছু পোলাপাইন ঝোঁপে কোপ বসাল। এখন ব্লগ/ব্লগার সবই চিনি।
আপনি একটা ভার্সিটির ব্যাক বেঞ্চার। কেউই চেনে না। একদিন ভিসির গাড়ির সামনে দাঁড়ান। আপনি হিট। আর যদি ভার্সিটির হোটেল
বয়কে দুইটা থাপ্পরও মারেন কাজের কাজ কিছুই হবে না। এজন্যই ফেমাসদের নিয়ে কটুক্তি করবেন, মনে যা ধরে লিখবেন সমস্যা নাই। হিট হওয়ার এগুলোই বড় উপায়।
এক মেয়ে লিখছে, গাড়িতে তার পিছনে প্যান্টের চেইন খুলে এক যাত্রী অসভ্যতা করছিল। তারপর সে লোকটার বেল্ট চেপে ধরল। ধরার পর সে বাদামী.... ঝলক দেখছে! ইত্যাদি ইত্যাদি....। তার ৩০০ শব্দের লেখার ২০০ শব্দ শুধু এই বিশেষ অঙ্গ ও তার বিবরণ নিয়েই লেখা। এখানে ঘটনাটা জাফরুল্লাহ শরাফতের মত A to Z বর্ণনা দিয়েছে। আর লোকটার কলার ধরে কমপক্ষে ৩০ বার শুয়োরের বাচ্চা বলছে। এখানে শুয়োরে কি দোষ? আচ্ছা এখানে লেখাটা শর্ট করে বোঝানো যেত না?
আসলে লাইম লাইটে আসার জন্য এটাই আজকাল প্রথম উপায় মনে হচ্ছে। আপনার পাশের বন্ধুটির ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। জাস্ট বলবেন, জানিস অমুক মেয়েটা আজ কেমন জামা পড়ে ক্লাসে আসছিল? আপনার বন্ধুর ঘুম ভেঙ্গে যাবে। এই ঘুম ভাঙ্গা স্বাভাবিক। আর এই বিষয়গুলোকে পুঁজি করে নিজেদের জনসম্মুখে আনতে চাওয়াটাই অস্বাভাবিক।
ডেল কার্নেগীর বইয়ে একজন রেডিও গায়িকার সম্পর্কে পড়েছিলাম। তবে কোন বই ও যার সম্পর্কে পড়েছিলাম তার নাম মনে নাই। মেয়েটি রেডিওতে খুবই ভাল গান গাইতো। কিন্তু তার সামনের দাঁত ছিল উঁচু। গান গাইতে দাঁত বেরোয়। একবার এক মঞ্চে তাকে নিয়ে যাওয়া হল। সবাই তার গান শোনার জন্য উপস্থিত হল। এবার স্টেজে গান গাইতে গিয়ে মেয়েটা তার দাঁত ঢেকে গান গাওয়ার চেষ্টা করল। তখন তার গান খুবই খারাপ হল। আয়োজকরাও অপমানিত হয়েছিল। সকলে বলাবলি করল এই মেয়ে রেডিওর সেই গায়িকা নয়। আমাদের সাথে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্য শিল্পী নিয়ে আসছে।
তখন আয়োজকরা মেয়েটিকে বলেছিলেন, এখানে সবাই তোমার গান শুনতে আসছে, দাঁত দেখতে আসেনি। তাই রেডিওতে যেভাবে গাও সেভাবে গাইতে থাক। অতঃপর মেয়েটি তার সম্মুখ দন্ত বের করেই গান গায় এবং সকলেই তার গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিল।
আপনি মডেল, আপনি হা-show অনুষ্ঠান করেন। সেই অনুষ্ঠান ভালভাবে চালিয়ে বিখ্যাত হন সমস্যা নাই। ভিন্ন পন্থায় কেন? আপনার ভিডিও ভিউ আর নায়িকা হওয়ার গল্প আপনার ছোট্ট কাপড় কেন? এটুকু বোঝার মত মেধাটাও কি আপনার হয়নি? ভূমিকা এ পর্যন্তই। বেশি দিলে আবার ত্যানা পেচিয়ে যাবে। সবার সুবুদ্ধির উদয় হোক।
জয়া শীলকে উৎসর্গ করে....
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৮
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ইহাকে বলে ভার্চুয়াল প্রস্টিটিউশন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: এরাই সাহসী। কিভাবে যে পারে ওরা! সামান্য খ্যাতির লোভেই তাদের জীবনটা শেষ হয়ে যায়।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২১
আহা রুবন বলেছেন: এক মেয়ে লিখছে, গাড়িতে তার পিছনে প্যান্টের চেইন খুলে এক যাত্রী অসভ্যতা করছিল। তারপর সে লোকটার বেল্ট চেপে ধরল। ধরার পর সে বাদামী.... ঝলক দেখছে! ইত্যাদি ইত্যাদি....
লেখাটা পড়েছি। ঠিক এ-ধরণেরই একটি লেখা পড়েছিলাম সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম এ। আবার সামুর লেখার মতই লেখা কোন সংবাদ পত্রে যেন দেখলাম কিছু দিন আগে। তখন বুঝতে পারলাম এসব বানানো লেখা, মোটেই সত্য নয়। শুধু মনোযোগ কাড়ার জন্যই এরা এসব করে।
খ্যাতির লোভে আমরা অহেতুক নানা কর্ম-কাণ্ড ঘটিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করে চলেছি। যা সাময়িকভাবে লাভবান মনে হলেও সত্যিকারে এসব মানুষ কি টিকে থাকতে পারে?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: খ্যাতির লোভে আমরা অহেতুক নানা কর্ম-কাণ্ড ঘটিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করে চলেছি। যা সাময়িকভাবে লাভবান মনে হলেও সত্যিকারে এসব মানুষ কি টিকে থাকতে পারে?
সুন্দর বলেছেন। আমি অবশ্য তার ফেজবুক আইডিতে পড়ছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৮
আছির মাহমুদ বলেছেন: নাচতে নেমে কেউ এখন আর ঘোমটা দেয় না তো! উদ্দেশ্যতো একটাই- লোক জমিয়ে হাততালি নেয়া!