![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পীর-মুরিদ এর ব্যাপারে একটু পর বলছি।
তার আগে কিছু কথা…
অনলাইন এ কছু জ্ঞানপাপীর আভির্বাব ঘটেছে, যারা নিজেদেরকে অনেক পণ্ডিত ভাবে। কথায় কথায় হক্কানী ওলামায়ে কেরামদের তিরস্কার করে।
বিশেষ করে ফেসবুকে কিছু লাইক পাওয়ার আশায় পীর মাশায়েকদেরকে ভণ্ড, পিরবাবা, পিরতন্ত্র ইত্যাদি ভাষায় কটুক্তি করে।
তাদের ভাষায় প্রত্যেক পীর সাহেবই নাকি শিরক, বিদয়াত, কুফরি ও ভণ্ডামিতে লিপ্ত।
তবে যারা সত্যিকারেই ভণ্ড, মাজার পুজারি, শিরক-বিদয়াত ও কুফরি আকিদায় লিপ্ত, তাদের ব্যাপারে একেবারেই নিরব ভূমিকা পালন করে এ সকল জ্ঞানপাপী মহদয়গণ।
যারা মানুষকে সঠিক পথের দিকে আহবান করে, তাদের নাম শুনলেই যত চুলকানি…
এ সকল তথাকথিত জ্ঞানীরা কোন মাদরাসার বারান্দায় পা দিয়েছেন??? না!!! এরা ইংলিশ এ কুরান পরে এতো বড় পণ্ডিত হয়েছেন…
এরা খুব সহজেই বিদয়াতি, মুশরিক, কাফের, ভণ্ড ইত্যাদি শব্দগুলো বলে দেয়। অথচ, এ শব্দগুলোর সংজ্ঞা জিজ্ঞাস করলে শুধু “হা” করে তাকিয়ে থাকবে…
মুলত এরাই হলো “শিক্ষিত শয়তান”
এবার আসি মূল কথায়…
পীর শব্দটি ফারসি শব্দ। যার প্রতিশব্দসমূহ নিম্নরূপ…
★মোর্শেদ।
★শায়েখ।
★উস্তাদ।
★অলি।
★পথপ্রদর্শক।
★যোগ্য নেতা।
★শিক্ষক।
★মুয়াল্লিম।
★সৎকাজের আদেশ দাতা।
★অগ্রপথিক।
★গুরুজন।
★পাঞ্জেরী।
★Teachers.
ইত্যাদি।
এই ভারতীয় উপমহাদেশ এ ইসলামের আগমনে যাদের অবদান চিরস্বরণীয়,তারাই পীর-মুরিদি করতেন। কিংবা আত্বশুদ্ধির এ মাধ্যম কে ভালোবাসতেন।
বাংলাদেশ এর মাটির নিচে যে সকল আউলিয়া কেরাম শুয়ে আছেন, তারা প্রত্যেকেই পীর-মুরিদি করেছেন।
হজরত শাহজালাল রহ. বায়জিদ বোস্তামী রহ. খানজাহান আলি রহ. সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক রহ. শাহ নেছারুদ্দীন রহ. আ. রশিদ আহমদ গংগুহী রহ. কারি ইব্রাহিম রহ. সহ অগণিত আউলিয়া কেরাম রয়েছেন, যারা সমাজকে আলোকিত করেছেন।
হজরত হুসাইন আহম্মদ মাদানি রহ. হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রহ. তারা ইংরেজ জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। যারা বাতিলের সাথে কখনো আপোষ করেনি…
তারাও পীর-মুরিদ করেছেন।
অথচ ঐ সকল শিক্ষিত শয়তানরা পিরতন্ত্র, শিরিক মতবাদ বলে কটুক্তি করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ইসলামি মহাজাগরণ এর নেতৃত্ব দিয়েছেন হাফেজ্জী হুজুর রহ.
তারি ধারাবাহিকতায় সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. হলেন জাতীয় সিপাহসালার। যিনি বাতিলের বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত ছিলেন। তিনি ছিলেন আপোষহীন ইসলামি নেতা।
যারা ইসলামের মুখোশ পরে ভণ্ডামি করত, তাদের মুখোশ উন্মোচন এ এক বিন্দুও ছাড় দেননি এই মহান ব্যাক্তি। ইনি হলেন বাতিলের আতংক পীর সাহেব চরমোনাই রহ.
এছাড়া শায়খুল হআহাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. মুফতি ফজলুল হক আমীনি রহ. এবং বর্তমান বাঙ্গালী মুসলিমদের প্রানপ্রিয় নেতা আল্লামা আহমদ শফি দা. বা. তারাও হক্কানী পীরদের ভালোবাসতেন।
তাহলে ঐ সকল জ্ঞানপাপীরা কি এদের চেয়েও বড় মুফতি???
আজ যারা হক্কানী পীরদের ভণ্ড বলে, তাদের পূর্বপুরষরাই হাফেজ্জী হুজুর রহঃ, সৈয়দ ফজলুল করীম রহঃ, শায়খুল হাদিস রহঃ, মুফতি আমীনি রহঃ প্রমুখদের ভারতের দালাল বলে অপবাদ দিয়েছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১২:২৬
বাংলার ঈগল বলেছেন: সুন্দর যুক্তি ও কথা, ভালো লাগলো।
হাক্কানী পীররা ভাল.....
কিন্তু এরা কারা?????
.......দেওয়ানবাগী(উটবাগী),
........কুতুববাগী(ভেড়াবাগী),
..........আটরশী(গরুরশী),
আর রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাজার- গুলিস্থান, ইত্তেফাকের মোড় (মতিঝিল), শাহআলী(মিরপুর-১০)......................................... অসংখ্য........