নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু হতে চাইলে কিছু করে দেখাও...

সাইফুল বিডি

আমার একা থাকতে ভাল লাগে। ভাল লাগে স্বাধীন ভাবে চলতে।

সাইফুল বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মুসলমান কখনই কাউকে হত্যা করতে পারে না

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৪




আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ খুব ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কারণ গুলশানে হামলা দেশের রাজনীতিতে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে। যে যাই বলুক না কেন গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র এবং রাজনীতির জন্য হুমকী¯^রূপ। আজ একথা বাস্তব জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ এবং ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের ধোঁয়া তুলে ইতোমধ্যেই ষড়যন্ত্রকারীরা সফলতার শীর্ষে। আমাদের দেশকে জঙ্গিবাদের কালিমা লেপনে কারা তুষ্ট তাদের মুখোস ইতোমধ্যে উন্মোচিত হয়েছে।

জঙ্গিরা হামলা করে মানুষ হত্যা করে তার দায় নিতে হচ্ছে মুসলমানদেরকে। জঙ্গিরা তো জঙ্গিই, সন্ত্রাসীরা তো সন্ত্রাসীই তাদের আবার ধর্ম কীসের। আমাদের পাশের রাষ্ট্র ভারতে প্রতিনিয়ত হিন্দুরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। কৈ বিশ্ব মিডিয়া এবং রাজনীতিকরা তো হিন্দুদের সন্ত্রাসী বলে না।

ধর্মের নামে যারা মানুষের মস্তিষ্ককে ডাইভার্ট করছে তাদেরকে স্বমূলে উৎখাত না করে একচেটিয়াভাবে ইসলামকে দোষারোপ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলাসমূহে কোন মসজিদ-মাদরাসার ছাত্র বা আলেম ছিল না। ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভ্য ছাত্ররা। অথচ এই হামলাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়া ফন্দি আঁটতে শুরু করেছে। মসজিদ-মাদরাসার ছাত্র-আলেমদের হয়রানিতে রাখা, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি সবই ঐ পশ্চিমাদের এজেন্ডা।

এ দেশে আরো অনেক হত্যাকান্ড ঘটেছে। গুলশান আর শোলাকিয়া হামলার পর আমরা ভুলতে বসেছি নারায়ণগঞ্জের খুনের কথা, শাপলা ট্র্যাজেডিসহ আরো হত্যাকান্ডসমূহ! আপসোস, এ জাতির হুঁস হবে কবে। এ দেশের মিডিয়াগুলো কি আসলে স্বাধীনতা আর দেশপ্রেমের চেতনা লালন করে নাকি অন্য কিছু? আসুন আমরা সচেতন হই।

যুথকণ্ঠে বলিষ্ঠ আওয়াজে বলি-
আমি মুসলমান।
ইসলামে সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই।
ইসলামে জঙ্গীবাদের ঠাঁই নাই।
যারা জঙ্গি হামলা আর সন্ত্রাসী করে তারা ইসলামের বারোটা বাজাচ্ছে।
এই কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব নয় কি?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হত্যা মিশনে থাকে মাত্র হাতে গুনা কয়েকজন । কিন্তু তার পিছনে থাকে মুখুশধারী অনেকবেশি লোক ঈমানদারের বেশ ধরে ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

সাইফুল বিডি বলেছেন: জি স্যার, মনে হচ্ছে বেশ ধরাই সন্ত্রাসী/ জঙ্গিদের নীতি। সমাজে উনারাই বড় কথা বলে যারা জঙ্গিবাদের গডফাদার।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: কে বললো একজন মুসলমান অন্য মানুষ হত্যা করতে পারে ন? জিহাদ কি ফরয না? আপনি হয়ত বলবেন, আই এস যা করে সেভাবে না, আমি বলবো এটা আপনার মতামত, আইএস তো আপনার মতামত মানবে না, কুরআন হাদিস থেকে জিহাদের শিক্ষা নিবে। আপনি বলবেন কুরআনে যে জিহাদের কথা বলা হয়েছে তা অমুক অমুক দৃষ্টিতে আইএস এর জিহাদ বৈধ নয়, আইএস বলবে অমুক অমুক ব্যখ্যার আলোকে তাদের জিহাদই শত পার্সেন্ট ঠিক, আপনি বরং কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত। এখন বিতর্ক করলে উভয় পক্ষেই দলিল পাওয়া যাবে। মূল দোষ কার? মূল দোষটি হল কুরআনে কোন বিষয়ই পরিস্কার করেনি,যার ফলে বহু ব্যখ্যার অবকাশ রাখে যা বহু দল মতে জন্ম দেয়। সৃষ্টিকর্তার বিধান এত নিম্নমানের হয় না,এটা মানবরচিত কিতাব, এ কারনেই এর মান এমন।
[link|http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30145559|ইসলামের নামে এত দল, মুল দোষ কার?
আল্লাহর আইন চাই
আল কুরআনের আলোকে নারী অধিকার (সত্য উম্মোচিত)/আল কুরআন মানব রচিত নাকি স্রষ্টার তার বিচারের দায় পাঠকের বিবেকের উপর

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

সাইফুল বিডি বলেছেন: জিহাদ অবশ্যই ফরয। জিহাদ যেমন ফরয কীভাবে জিহাদ করতে হয় সেটা জানাও ফরয। ইসলামে ফুকাহায়ে কিরামগণের পরিভাষা ‘ফরয’ মানে অবশ্য পালনীয়। জিহাদ মানে মানুষ হত্যা নয়, জিহাদ মানে সন্ত্রাস নয় এমনকি জিহাদ মানে তথাকথিত যুদ্ধও নয়। জিহাদ মানে চেষ্টা করা। মানে ইসলামের বিধি-বিধান পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করাই জিহাদ। যেমন- নামায পড়তে মাঝে মাঝে কষ্ট হয়, মন চায় এক ওয়াক্ত নামায পড়ব না। কিন্তু কোন মুসলিম ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্ত নামায না পড়ে থাকবে না। কারণ নামায তার ওপর ফরয। নামায না পড়লে আল্লাহ আযাব দেবেন। এই বিধান মনে করে আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত রেখে একজন মুমিন তার সমস্ত ইচ্ছাকে বাদ দিয়ে আল্লাহর বিধান পালনে আগ্রহী হয়ে সে নামায ছেড়ে দেবে না। তার এই অদম্য চেষ্টাই হল জিহাদ। আর ইসলামে যুদ্ধের ময়দানের যে জিহাদের কথা বলা হয়েছে সেটি একান্ত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটিও শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে।

আপনি কুরআনে বিশ্বাসী না সেটা কমেন্টে বোঝা যায়। কোরআনের দোহায় দিয়ে আপনাকে কোন লাভ নেই। কোরআন মানবরচিত এটি পৃথিবীর কেউ কখনও প্রমাণ করতে পারে নি। পারবেও না। কুরআন একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত। এটি যেভাবে নাযিল হয়েছে সেভাবেই আছে। মহাপ্রলয় পর্যন্তও থাকবে। এটাই চিরন্তন সত্য, মহাসত্য। আপনি বিশ্বাস করেন কি করেন না সেটা বিশ্বাসীদের কিছু যায় আসে না।

কুরআনে সবকিছুই পরিষ্কার করে বলে দেয়া আছে। যদি আমি আপনি না বুঝি সেটা আমার আপনার দুর্বলতা। ইসলামে কুরআন, হাদিস, ইজমা এবং কিয়াস এই চারের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধান হবে। হাদিস, ইজমা এবং কিয়াস এগুলো কুরআনকে ভিত্তি করে আবর্তিত।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: বিবেক ও সত্য ভাই তুমি নাস্তিকতার বেশ ধইরা আর কত অযোউক্তিক কথা বলবা। কুরানে বলা হয়েছে, জিহাদ তখন ফরয যখন মিমাংসার ও সমঝতার পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং ইসলাম ও কোন রাষ্ট্রের ওপর চরম আঘাত আসার সম্ভাবনা থাকে। অযথা জিহাদের নামে রক্তারক্তি, মানুষ খুন ইসলাম সমর্থন করে না। কুরান স্টাডি কর, অযথা ভুল-ভাল লেইখা, ইসলাম কুরানের নামে খিস্তি খেউর লেখা প্রসব কইরা জার্মানি যাওআর ধান্ধা বাদ দিআ যউক্তিক নাস্তিক হবার চেষ্টা কর

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

সাইফুল বিডি বলেছেন: স্যার আর বলবেন কি? এদেশের নাস্তিকদের দেখে আমার মাঝে মাঝে হাসি পায়। এরা নাস্তিকতার কিছুই বোঝে না। এদের নাস্তিকাতা মানেই ইসলামের বিরোধিতা। অন্য কোন ধর্মের বিরোধিতা এটা করে না। শুনেছেন কখনও হিন্দুদের বিরোধিতা করতে, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের বিরোধিতা করতে। শুধুই ইসলামের বিরোধিতা করে।

ইসলাম সম্পর্কে স্টাডি করে না ভয়ে। অথচ ইসলাম, কুরআন স্টাডি করলে এবং এর মর্ম বুঝলে একজন মানুষ কখনও অন্য মানুষকে হত্যা করতে পারে না, খারাপ কাজ করতে পারে না।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

বিবেক ও সত্য বলেছেন: লেখক আমার মন্তব্যে বোঝেননি, আমার পূর্বেল মন্তব্যের এ লাইনটি আবার ভাল করে দেখুন-এখন বিতর্ক করলে উভয় পক্ষেই দলিল পাওয়া যাবে
আমি দু’টি লিঙ্ক দিয়ে প্রমান দেখিয়েছি যে কুরআনি মানব রচিত। কুরআন স্রষ্টার তার যথার্থ প্রমান আপনি দেখাতে পারবেন না, অথচ কুরআন মানব রচিত তার শত শত প্রমান আমি আপনাকে দেখাতে পারবো। আপনার প্রতি আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ।,শর্ত হল সত্য গ্রহণেল মানসিকত নিয়ে আসবেন, বিতর্ক করা বা আজে বাজে ভাষা ব্যবহার করে নিচু মানসিকতার পরিচয় না দিয়ে ভদ্রভাবে বিতর্ক হতে পারে।
কুরআন মানবরচিত কিতাব হওয়ার পক্ষে যে কয়টি প্রমান এ ব্লগে উপাস্থাপন করেছি তার একটিও এখন পর্যন্ত খন্ডন করতে পারেনি, আশা করি পারবেও না।

আপনি বলেছেন আমি কুরআন ভাল করি পড়িনি। আমি সম্পূর্ণ কুরআন বহু বার পড়েছি, এখনও পড়ি। কুরআন আংশিক পড়লেই বরং বিশ্বাসি থাকা যায়। আপনিও যদি দু’টি শর্ত মেনে কুরআন পড়েন, আপনিও বলতে বাধ্য হবেন যে কুরআন মানবরচিত। শর্ত দু’টি হল:
১। অন্ধভাবে নয়, নিরপেক্ষ মনে কুরআন পড়বেন
২। আংশিক নয়, সম্পূর্ণ কুরআন পড়বেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.