নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামী আন্দোলন করলেই যদি রাজাকার হতে হ তাহলে আমি রাজাকারই হতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থই যদি হয় আওয়ামী লীগের গোলামী করা তাহলে লাথি মারি সে চেতনাকে। সংবিধানের আইন যদি হ কুরআন বিরোধী তাহলে চুলায় যাক সে সংবিধান।

সাইফুল্লাহ আবিদ

proud to be a Muslim.

সাইফুল্লাহ আবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্দা মানেই কি অসামাজিকতা?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২


আমি সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র নই; গনিতের ছাত্র। আর Differential Equation দিয়ে যে সামাজিকতার সঙ্গা দেয়া যায় না তাও আমি ভালভাবেই জানি। তবে একটি জিনিস আমার কাছে স্পস্ট। তা হল সমাজ ভেদে সামাজিকতা ভিন্ন হয়। ছোট্ট একটি উদাহরনের মাধ্যমে বলা যেতে পারে। আমাদের সমাজে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম ধরে ডাকার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারে না। স্যারের অনুপুস্থিতিতেও চরম বেয়াদব ছাড়া কেউ শুধু স্যারের নাম বলে না। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের দিকে যদি তাকাই? সেখনে হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল এবং ইউনিভার্সিটি লেভেলে শিক্ষকদের নাম ধরে ডাকা বাধ্যতামূলক এবং এটাই তাদের কালচার। কেউ যদি নাম ধরে না ডাকে তাহলেই বরং তাকে শামিল করা হয় বেয়াদবের কাতারে।
এ জিনিসটি থেকে একটি বিষয় আমাদের কাছে স্পস্ট। তা হল এক সমাজের সামাজিকতা অন্য সমাজের কাছে অসামাজিকতাও হতে পারে।
এবার আসি মূল কথায়। ইসলাম শুধু একটি ধর্ম নয়; একটি পরিপূর্ন জীবন বিধান। ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট সামাজিক কাঠামো, রাষ্ট্র কাঠামো সহ সবকিছু। আর উপরের আলোচনা থেকে আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, যে সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত নেই সে সমাজের দৃষ্টিতে ইসলামী কালচারগুলো অসামাজিকতা হিসাবেই চিহ্নিত হবে।
এবার আমার মূল প্রশ্ন। আমাদের সমাজে তথা বাংলাদেরশের সমাজে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠিত?? কখনই না। আমি আগেই উদাহরনসহ বলেছি যে আমাদের সমাজের পদে পদে লুকিয়ে আছে পর্দাহীনতা আর অশ্লীলতার সংস্কৃতি। এখানে ভাবীর সাথে দৃষ্টি অবনত করে কথা বললে বলা হয় অসামাজিক। দুলাভাইয়ের সাথে মোটর সাইকেলে না উঠলে বলা হয় অসামাজিক। দুলাভাই আর ভাবীর ভাই বোনদের সাথে হাসাহাসি না করতে পারলে বলা হয় ব্যগডেটেড আর খালাতো ভাইয়ের ছেলের সাথে পর্দার আড়াল থেকে কথা বললে বলা হয় ______। (Please fill the gap with your own responsibility) আর নিজের স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গেলে বলা হয় লজ্জাহীন!! অথচ মহানবী (স) সফরকালে তো বটেই এমনকি যুদ্ধের সময়ও মাঝে মাঝে স্ত্রীদের মধ্যে থেকে কোন একজনকে সফরসঙ্গী হিসাবে নিয়ে যেতেন।
ধিক্কার জানাই এ শয়তানের তৈরি করা মেকি সমাজ ব্যবস্থাকে।
এখন আপনাদের কাছেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম যে আপনারা কি আমাদের সমাজের দৃষ্টিতে সামাজিক হতে চান??
হিজাব বা পর্দা কেবল একটি বিধানই নয় একইসাথে ইসলামী সংস্কৃতির অংশ। ইসলামী সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য হল এখানে পর্দা প্রথা প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
আর যে সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত নেই সে সমাজের দৃষ্টিতে এসব বিধানগুলো অসামাজিকতাই হবে।
আমার দীর্ঘ দিনের কুরআন নিয়ে গবেষনা এটাই বলে যে আপনি তখনই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হবেন যখন বাতিলের দৃষ্টিতে আপনি ভুল পথে থাকবেন। কাজেই এ বাতিল সমাজ যদি আপনাকে সামাজিক হিইসাবে চিহ্নিত করে তাহলে আমি বলব আপনি ইসলাম থেকে এখনো অনেক দূরে। আপনি তখনই ইসলামের মধ্যে দাখিল হবেন যখন শয়তানের তৈরি করা এ মেকি সমাজ আপনাকে অসামাজিক হিসাবে চিত্রিত করবে; অন্যথায় নয়।
“সাবধান! সৃষ্টিও তার (আল্লাহর) হুকুমও তারই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বড়ই বরকতময়”
--------- (সূরা আল আরাফ -৫৪)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নিজের পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। ছোটবেলা থেকে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে...

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: পর্দা প্রতিটি সাবালক মেয়েদের জন্য ফরজ
ইসলাম শুধু মেয়েদের পর্দা করার উপর
জোর দেয়না সেই সাথে ছেলেদের চোখের
পর্দার উপর ফরজ করা হয়েছে। মুসলিম
প্রতি পরিবার থেকেই এশিক্ষা অতি জরুরী।
আসলে আমরা নামেই মুসলিম কার্জ ক্ষেত্রে
যত এড়িয়ে চলা যায়। ধন্যবাদ,

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বোন। পুরুষের পর্দা নিয়েও লিখব ইনশাআল্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.