নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামী আন্দোলন করলেই যদি রাজাকার হতে হ তাহলে আমি রাজাকারই হতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থই যদি হয় আওয়ামী লীগের গোলামী করা তাহলে লাথি মারি সে চেতনাকে। সংবিধানের আইন যদি হ কুরআন বিরোধী তাহলে চুলায় যাক সে সংবিধান।

সাইফুল্লাহ আবিদ

proud to be a Muslim.

সাইফুল্লাহ আবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুদের হাতে স্মার্টফোনঃ উন্নতি না কি ধ্বংস??

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্লিজ একটু মনযোগ দিন। কিছু তিক্ত কথাই আজ আমি বলব। হ্যা, খুবই তিক্ত। বলার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই এ কথাগুলো বলতে বাধ্য করল আমাকে।
>আপনি আজ আপনার স্কুল পড়ুয়া ছেলে বা মেয়ের হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন। তার হাতে তুলে দিচ্ছেন একটি ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড। আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার সন্তান অনেক স্মার্ট হবে। (যদিও আজ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও আমি জানতে পারিনি স্মার্টনেসের সঠিক সঙ্গা আসলে কি।) হয়ত ভাবছেন আপনার সন্তান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিখবে। তা হয়ত শিখবে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কালের স্রোত আসলে কোন দিকে যাচ্ছে?? যুগের এ স্রোতধারা কি ইসলামের অনুকূলের দিকে যাচ্ছে?? কখনও নয়। বরং আধুনিক বিশ্বের গতি ইসলামী বিধানের বিপরীত দিকে। আপনার জেনে রাখা উচিৎ যে আপনার সন্তান যদি আসলেই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিখে যায় তাহলে কালের এ স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ইসলামের নাগালের বাহিরে। আপনি কি তা ই চান??
আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার সন্তান হয়ত আধুনিক সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে শিখছে। কিন্তু আপনি কি একবারও ভেবে দেখেছেন যে এ আধুনিক সমাজ আপনার সন্তানকে শিক্ষা দিচ্ছে পর্দাহীনতা আর অশ্লীলতা??
হাদীসে বলা হয়েছে শিশুদের মন হল কাদামাটির মত কোমল। এখানে যা খোদাই করে দেয়া হবে তার চিত্রই সে বহন করবে সারাটি জীবন। আপনি কি পেরেছেন এ কাদামাটির উর্বর মনে ইসলামের বেসিক চিত্রগুলো এঁকে দিতে??
আপনি নিজেও হয়ত ফেসবুক ব্যবহার করেন। আপনি খুব ভালভাবেই জানেন যে ফেসবুক চালানোর সময় মাঝে মাঝে এমন কিছু পেজ এবং অ্যাড চোখের সামনে পরে যা দেখে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে আপনার। খুব দ্রুত এসব জিনিসগুলো স্কিপ করেন আপনি। কিন্তু আপনার কোমল মনের সন্তানের সামনে যখন এ ধরনের কোন অশ্লীল জিনিস পরে তখন সে কি করে তা নিয়ে কি কখনও চিন্তা করেছেন?? বয়সজনিত আগ্রহের কারনে কি সে এসব জায়গায় প্রবেশ করে না?? আচ্ছা, আপনার সন্তানের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়ার আগে কি তাকে কুরআনের এ আয়াতগুলো সম্পর্কে অবগত করেছেন?? জানিয়ে দিয়েছেন কি এ আয়াতগুলোর ব্যখ্যা এবং তাফসীর??
“দৃষ্টিশক্তি তাঁকে (আল্লাহকে) দেখতে অক্ষম কিন্তু তিনি দৃষ্টিকে আয়ত্ব করে নেন৷ তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মদর্শী ও সর্বজ্ঞ৷” – সূরা আনআম -১০২
“হে বনী আদম! শয়তান যেন তোমাদের আবার ঠিক তেমনিভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে নিক্ষেপ না করে যেমনভাবে সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল এবং তাদের লজ্জাস্থান পরস্পরের কাছে উন্মুক্ত করে দেবার জন্যে তাদেরকে বিবস্ত্র করেছিল৷ সে ও তার সাথীরা তোমাদেরকে এমন জায়গা থেকে দেখে যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না৷ এ শয়তানদেরকে আমি যারা ঈমান আনে না তাদের অভিভাবক করে দিয়েছি৷”—সূরা আরাফ – ২৭
আপনি হয়ত জানেন যে নাস্তিকরা ফেসবুকে খুবই অ্যাকটিভ এরা বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপ খুলে ইসলাম ও ইসলামী বিধানের বিরুদ্ধে নানা রকম আপত্তিকর কথা ছড়ায়। আপনার সন্তানের কোমল হৃদয়ে কি এসব আজেবাজে কথাগুলো একটুও রিঅ্যাক্ট করে না?? তাকে কি আপনি জানিয়েছেন যে যেখানে কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় সেখানে বসা এবং তা শ্রবন করা বা পড়া সম্পূর্ন হারাম?? তাকে কি শিখিয়েছেন কুরআনের এ আয়াতটি??
“আল্লাহ এই কিতাবে তোমাদের পূর্বেই হুকুম দিয়েছেন, যেখানে তোমরা আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধে কুফরী কথা বলতে ও তার প্রতি বিদ্রূপবাণ নিক্ষেপ করতে শুনবে সেখানে বসবে না, যতক্ষন না লোকেরা অন্য প্রসংগে ফিরে আসে৷ অন্যথায় তোমরাও তাদের মতো হবে৷ নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ মুনাফিক ও কাফেরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় একত্র করবেন ৷” – সূরা নিসা ১৪০
প্লিজ একটু নজর দিন। মনে রাখবেন, এ আয়াতগুলো শিখিয়ে দিলেই কিন্তু হবে না। বারবার এমনকি প্রতিদিনই তাঁকে স্মরন করিয়ে দিতে হবে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের এ বিধানগুলো। যদি তা না করেন তাহলে হয়ত আপনার সন্তান আগ্রহের বশে এসব অশ্লীল বিষয় কিংবা নাস্তিকদের কথাবার্তা শুনবে। জাস্ট আগ্রহের বশে। কিন্তু এ আগ্রহটার ফলাফল কি হবে তার পরিনাম তো কুরআনের আয়াতটিতেই স্পষ্ট। এমনকি আপনার সন্তানের কোমল হৃদয়েও ঢুকে যেতে পারে নাস্তিকতার ভয়ঙ্কর বীজ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ইসলামী আন্দোলন? ৭৩ সারির মধ্যে ৭২ সারি জাহান্নামী। অনেক সাবধান অচেনা পথিক(!) । পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। তবে পোষ্টটিকে আরো অনেক বেশি তথ্য সমৃদ্ধ করতে পারতেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। প্রশ্নবোধক চিহ্নের অর্থ ষ্পষ্ট করলে ভাল হয়।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাইফুল্লাহ আবিদ ,




শিশুদের হাতে স্মার্টফোন অবশ্যই তাদের ভবিষ্যৎকে ঝরঝরে করে দেবে ।

কিন্তু স্মার্টফোন এর সাথে পবিত্র "কুরআন"কে জড়ালেন কেন ? কথায় কথায় পবিত্র "কুরআন" কে টেনে আনার বদ অভ্যেসটাকে ত্যাগ করুন । এতে পবিত্র "কুরআন" হেফাজতে থাকবে । যদিও হেফাজতের মালিক আল্লাহতায়ালা স্বয়ং ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫১

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: যেহেতু আমি মুসলিম তাই আমার প্রতিটি কথা এবং কাজে কুরআনের প্রতিফলন থাকাই স্বাভাবিক। আপনাদের ব্যপার আলাদা। আর হ্যা, লেখাটি মূলত মুসলিমদের জন্যই লেখা হয়েছে। ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ইসলামী আন্দোলন? অনেক অনেক আছে। তারা কে কতটুকু সঠিক জানিনা। তবে ধর্মের না নামে মিথ্যাচার, নিরাপরাধ মানুষ হত্যা নিশ্চই ধর্ম সাপোর্ট করেনা। এধরনের আন্দোলন থেকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। কারণ ধর্মের যেমন ব্যাখ্যা আছে তেমনি অপব্যাখ্যাও আছে। ধর্মকে পুরোপুরি না জানলে এগুলো একটা থেকে আরেকটা আলাদা করা যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.