নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামী আন্দোলন করলেই যদি রাজাকার হতে হ তাহলে আমি রাজাকারই হতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থই যদি হয় আওয়ামী লীগের গোলামী করা তাহলে লাথি মারি সে চেতনাকে। সংবিধানের আইন যদি হ কুরআন বিরোধী তাহলে চুলায় যাক সে সংবিধান।

সাইফুল্লাহ আবিদ

proud to be a Muslim.

সাইফুল্লাহ আবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবুতরের রোমাঞ্চ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০৮

“ভূপৃষ্ঠে বিচরণশীল কোন প্রাণী এবং বাতাসে ডানা বিস্তার করে উড়ে চলা কোন পাখিকেই দেখ না কেন, এরা সবাই তোমাদের মতই বিভিন্ন শ্রেণী ৷ তাদের ভাগ্যলিপিতে কোন কিছু লিখতে আমি বাদ দেইনি৷ তারপর তাদের সবাইকে তাদের রবের কাছে সমবেত করা হবে৷” –- সূরা আল আনআম- ৩

আমাদের সবার অতি পরিচিত একটি পাখির নাম হল কবুতর।
আমরা অনেকেই বাসায় পালন করে থাকি পাখিটি। কিন্তু কখনও কি অন্তরদৃষ্টি মেলে তাকিয়েছি পাখিটির দিকে?? কখনও কি মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি উপরের আয়াতটি সাথে??
আসলে আমি কবুতর নিয়ে কোন গবেষনাধর্মী আর্টিকেল কখনই পড়িনি। কিন্তু নিজেদের বাসায় কোন এক কালে কবুতর পোষার কারনে আমার চোখে পরেছিল অসাধারন কিছু ঘটনা যার মধ্যে সত্যিই লুকায়িত আছে মহান রবের নিদর্শন।
>যারা কবুতর পালন করেন তারা জানেন যে বেজোড় সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ক কবুতর রাখা মোটামোটিভাবে অসম্ভব। কারন জুটি না বেধে বাচতে পারে না এ ছোট্ট পাখিটি। শুধু এখানেই শেষ নয়। কবুতর যখন ডিমে তাঁ দেয় তখনও খুব সুন্দরভাবে তারা ভাগ করে নেয় নিজেদের ডিউটি। প্রতিদিন সকালে ডিমে তাঁ দেয়ার জন্য ভেতরে চলে যায় পুরুষ কবুতর। নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে একটুও দেরি হয় না। একটানা বিকাল পর্যন্ত চলে তার ডিউটি। তারপর বিকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত আবার চলে স্ত্রী কবুতরের ডিউটি। আমি কখনই এ নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেখিনি। শুধু এখানেই শেষ নয়। নিজেদের বাসা তৈরি, বাচ্চার জন্য খাবার সংগ্রহ সব কাজই করে দুটি কবুতর একত্রে। কখনই এক জনের মাথার উপর দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয় না তারা।
আমি কখনই দেখিনি যে জুটির একটি কবুতর অন্য কবুতককে পরিত্যাগ করেছে। শুধু মাত্র জুটির এক সদস্যের মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন কারনেই কোন কবুতর অন্য একটি কবুতরের কাছে যায় না প্রশান্তি লাভের আশায়। নিজেরদের জুটির মধ্যেই তারা খুজে পায় এক জান্নাতি প্রশান্তি। সেখানেই তারা খুজে পায় প্রকৃত ভালবাসা। দীর্ঘদিনের কবুতর পালনের সময় কখনই আমি দেখিনি জুটির একটি কবুতর অন্যটির সাথে ঝগড়া বা মারামারি করছে।
বাস্তবতার কারনে কবুতর পালন করা ছেড়ে দিয়েছি বহু পূর্বেই। কিন্তু এখনো চোখের সামনে মাঝে মাঝেই ভেসে ওঠে আমার প্রিয় সেই কবুতর জুটির ভালবাসার মুহূর্তগুলো। তাদের সেই অপরূপ রোমাঞ্চের দৃশ্যগুলো।
কিন্তু প্রশ্ন হল এই কবুতরদের কে শিক্ষা দিল এ রোমাঞ্চ? কে তাদের শিক্ষা দিল এ ভালবাসা? নিশ্চই তারা হুমায়ন আহমদের বই পড়ে এ এ রোমাঞ্চ শিখেনি। এবং কোন সিনেমার অভিনয় দেখেও তারা শেখেনি এ ভালবাসা। বরং তিনিই মহান আল্লাহ যিনি এ ছোট্ট পাখিটিকে শিখিয়েছেন ভালবাসা কিনিস। তিনিই আল্লাহ যিনি এই কবুতর জুটিকে শিক্ষা দিয়েছেন রোমাঞ্চ কি জিনিস।
অন্য দিকে আমরা যদি রাস্তার কুকুরের দিকে তাকাই? তাহলে দেখব সম্পুর্ন ভিন্ন চিত্র। এ নিকৃষ্ট প্রানীটি জানে না ভালবাসতে। বোঝে না কোন রোমাঞ্চ। শুধু মাত্র খাবার আর সুনির্দিষ্ট সময়ে জৈবিক চাহিদা পূরন করা ছাড়া আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই তার। তাই কবুতর জুটির মত মনোরম কোন রোমাঞ্চের দৃশ্যও চোখে পরে না এখানে।
প্রশ্ন হল কে সেই মহান স্রষ্টা যিনি আমাদের চোখের সামনেই তুলে ধরলেন দুটি বাস্তব নিদর্শন? তার উত্তরই আমরা দেখব এখন মহাগ্রন্থ কালামে হাকীম থেকে। চলুন একটু দৃষ্টি বুলাই সূরা আনআমের ১০২ এবং ১০৩ নং আয়াতে।
“এ তো আল্লাহ তোমাদের রব৷ তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই৷ সবকিছুর তিনিই স্রষ্টা৷ কাজেই তোমরা তাঁরই বন্দেগী করো৷ তিনি সবকিছুর তত্বাবধায়ক৷ দৃষ্টিশক্তি তাঁকে দেখতে অক্ষম কিন্তু তিনি দৃষ্টিকে আয়ত্ব করে নেন৷ তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মদর্শী ও সর্বজ্ঞ৷”
ঠিক এর পরের আয়াতেই আল্লাহ বলে দিয়েছেন সেইসব লোকদের পরিনাম যারা এসব নিদর্শনগুলো দেখেও না দেখার ভান করে।
“দেখো, তোমাদের কাছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে অন্তরদৃষ্টির আলো এসে গেছে৷ এখন যে ব্যক্তি নিজের দৃষ্টিশক্তিকে কাজে লাগাবে, সে নিজেরই কল্যাণ সাধন করবে৷ আর যে অন্ধ সাজবে, সে নিজেই নিজের ক্ষতি করবে৷ আমি তো তোমাদের পাহারাদার নই৷”
আমরা একটু লক্ষ্য করলেই দেখব যে আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক আছে যারা শিক্ষা নিয়েছে আল্লাহর এ ক্ষুদ্র সৃষ্টি কবুতরটির কাছে থেকে। তারা জানে বালবাসতে। তারা বোঝে ভালবাসার মর্ম। তাদেরকে স্পর্শ করে না চলমান সমাজের অশ্লীলতা। তাদেরকে আক্রান্ত করতে পারে না পরকীয়া নামক মরন ব্যখি।
আবার সমাজে এমন কিছু লোকেরও দেখা পাওয়া যায় যাদের স্বভাব অবিকল কুকুরের মত। এরা জানে না কাউকে ভালবাসতে। শুধুমাত্র অর্থবিত্ত আর জৈরিক চাহিদা পূরন ছাড়া আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই তাদের।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে হিফাজাত করুন। আমীন।
#সাবধান_সৃষ্টিও তাঁর (আল্লাহর) হুকুমও তাঁরই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০০

শোভন শামস বলেছেন: ভালো লাগলো। এগিয়ে যান। শুভ কামনা থাকলো

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: দোয়া করবেন, ভাই

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

কানিজ রিনা বলেছেন: উরন্ত পাখির সভ্য়তা নিয়ে আমার ছোট্ট বয়সের একটি লেখা আপনার লেখার সাথে মিলে গেল। আমারও একই প্রশ্ন মানুষ কেন উরন্ত পাখির থেকে সভ্য়তা শিখলনা। মানুষ কেন বানর
কুকুরের জীবন অনুশরন করে। ধন্য়বাদ,

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: জাঝাকাল্লাহু খাইরাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.