![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিষয়টি নিয়ে মোটেই লেখার ইচ্ছা ছিল না। কারন কৈশোর পার করে যৌবনে পদার্পন করার অনেকগুলো বছর পার করার পরও এখনও আমি কিছু কিছু শব্দের সেন্সেটিভ। কিছু কিছু শব্দ আমার লেখা বা কথার মধ্যে ব্যবহার না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি আমি। তবুও লিখতে বাধ্য হচ্ছি আমি। লেখাটির বিষয় মূলত ক্ররমবর্ধমানভাবে বাড়তে থাকা চাইল্ড ফিজিক্যাল অ্যাবিউজ Which is always turns to sexual abused.
আসলে বিষয়টি খুবই স্পর্সকাতর। তবে আমার বদ্ধমূল ধারনা যে এ জিনিসটি থেকে সমাজ হয়ত কখনই মুক্ত ছিল না। লোকচক্ষুর আড়ালে সংঘটিত এসব ঘটনার মিশে যেত ফুলের মত নিস্পাপ শিশুদের চোখের পানির ঊষ্ণ স্রোতের সাথে। আমি জানি না, হয়ত বেশিরভাগ শিশুর শৈশবকালেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যা লিপিবদ্ধ হয়না কোন ডায়েরীর পাতায়। শুধু হৃদয়ের একটি অংশকে অনুভূতিহীন করে এক কোনায় পরে থাকে ঘটনাটা। আর ঐ অন্ধকার স্থানে আলো জ্বলানোর জন্য কেউ ছুটে আসে না।
আসলে ম্যাথমেটিকস পড়ে সামাজিক অপরাধ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অপরাধবিজ্ঞানকে গণিতের ফিক্সড পয়েন্ট থিওরির সাথে মিলিয়ে ফেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও রিক্স নিচ্ছি।
শিশুদের শারিরীক হ্যারেজমেন্টের ব্যপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কি?? উত্তরটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। যদি কোন নাবালিকা মেয়েকে ব্যভিচারে বাধ্য করা হয় (হতে পারে কোন প্রলোভন দেখিয়ে কিংবা জোর খাটিয়ে) তাহলে ব্যভিচারের নির্ধারিত শাস্তি শুধু প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর কার্যকর করা হবে। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু ১৮ বছর নয়। এখানে প্রাপ্তবয়স্কের জন্য কিছু শারিরিক উপসর্গকেই নির্ধারিত করা হয়ে থাকে। (দেখুন তাফহীমুল কুরআন সূরা নূরের ১-৪ আয়াতের ব্যখ্যা)
ইসলাম কোন শিশুর উপর পর্দার বিধান ফরয করে নি। আর পর্দার বিধান সংক্রান্ত আয়াতের কোথাও লেখা নেই যে, “ধর্ষন প্রতিরোধের জন্যই পর্দাকে ফরয করা হয়েছে”। এ বিষয়টি ক্লিয়ার করতে আমাদের আলেম সমাজ মাঝে মাঝেই ভুল করেন আর এতে নাস্তিকরা পায় কথা বলার ইস্যু। অথচ ধর্ষন প্রতিরোধে ইসলাম ফরয করেছে ব্যভিচারের শাস্তি যা বেশির ভাগ সময়ই আমাদের আলেম সমাজের মুখ ফুটে বের হতে পারে না।
যেহেতু শিশুদের উপর পর্দার বিধান ফরয নয় সেহেতু কিভাবে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব?? এ প্রশ্নের উত্তর খোজাই আমার আজকের লেখার প্রধান বিষয়বস্তু।
শিশু যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রচুর টিপস পাওয়া যায় বিভিন্ন ওয়েলফেয়ার সংগঠনের ওয়েবসাইটে। টিপসগুলো মোটামোটি গ্রহনযোগ্য। তবে, আমার পক্ষ থেকে আমি শিশু নির্যাতনের জন্য এককভাবে আমি দায়ী করব পিতামাতার অসচেতনতাকে।
নয়/দশ বছরের একটি মেয়েকে যখন জামার মাপ নেয়ার জন্য কাপড়ের দোকানদারের হাতে তুলে দেয়া হয় কিংবা বাস কন্ডাক্টরের হাতে তুলে দিয়ে বলা হয়, “বাচ্চাটাকে একটু বসিয়ে দিন” তখন ঐ পিতামাতা সম্পর্কে কিছুই আর বলার থাকে না।
একটি শিশু কার সাথে খেলে, কোন কোন প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে মিশে, তার শিক্ষকরা কেমন এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অভিভাবকের কাছে অবশ্যই থাকতে হবে। আমাদের গ্রামীন সংস্কৃতিতে একটি নোংরা জিনিস প্রচলিত আছে। গ্রামের কিছু কিছু বৃদ্ধবয়সী লোকজন ছোট মেয়েদের দেখলেই বলে, “এটা আমার বউ”। এবং অনেকক্ষেত্রেই বিষয়টা অশ্লীল কথাবার্তা এবং অশ্লীল আচারনে রূপ নেয়। আপনি কি জানেন, এ ধরনের জিনিস আপনার শিশুর মানসিক অবস্থার উপর কি ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে?? অথচ এ ধরনের আচারন প্রত্যক্ষ করে আপনি শুধু হাসেন। মনে হয় যেন আপনি মজা পাচ্ছেন। বাস্তবেও হয়ত মজাই পান। কিন্তু নিজের অজান্তেই সর্বনাশ করেন আপনার শিশুর।
একটি শিশুকে হয়রানি থেকে রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে বড় যে জিনিসটি করতে হবে তা হল শিশুর সাথে বন্ধুত্ব। আপনার সন্তান আপনার কাছে যেন কোন বিষয়ে নালিশ করতে ভয় না পায়। একটি শিশু যদি কোন ভিত্তিহীন বিষয়েও আপনার কাছে জানতে চায় তাহলে কোনরকম বিরক্ত না হয়ে যা বলার দরকার বুঝিয়ে বলুন। এমন যাতে না হয় যে আপনার কাছে আপনার শিশু নির্ভরতা খুজে পাচ্ছে না। আর নিজের সন্তানদের ব্যপারে নিজের চেয়ে বেশি সচেতন কেউকেই মনে করবেন না।
বয়সে বড় কারো সাথেই শুধু নয় বরং সমবয়সী বাচ্চাদের সাথেও মিশতে দেয়ার ব্যপারে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
আমরা সাধারনত একজন লোকের অপরাধী প্রমানিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নিরপরাধই ধরে থাকি। কিন্তু গোয়েন্দাদের ভাষা হল অন্যরকম। তারা যখন কোন ক্রাইম নিয়ে কাজ করেন তখন তাদের কাছে প্রত্যেকেই অপরাধী যতক্ষন পর্যন্ত না সে নিরাপরাধ প্রমানিত হয়। দয়া করে শিশুদের ব্যপারে কেউকে বিশ্বাস করার ব্যপারে গোয়েন্দাদের ফর্মুলাটা ফলো করুন। হঠাৎ করেই কেউকে বিশ্বাস করে একটি শিশুকে তার কাছে সমর্পন করবেন না।
-
(চলবে)
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
কাতিআশা বলেছেন: ভালো লিখেছেন!..সহমত।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২০
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: আমাদের সমাজের মাত্রাতিরিক্ত রক্ষণশীলতা আমাদের লাভের বদলে ক্ষতিই বেশী করছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে এসব ঘটনা কম হয়না, বরং বেশী হয় বলাটা অত্যুক্তি হবেনা। কিন্তু ধামাচাপা পড়ে থাকে সমাজের চোখে। কখনো প্রকাশ পেলে দোষীর সাথে সাথে ভুক্তভোগীরও ভোগান্তি কম হয়না।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
চলুক সিরিজ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মাআইপা বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। সহমত রইল।