নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামী আন্দোলন করলেই যদি রাজাকার হতে হ তাহলে আমি রাজাকারই হতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থই যদি হয় আওয়ামী লীগের গোলামী করা তাহলে লাথি মারি সে চেতনাকে। সংবিধানের আইন যদি হ কুরআন বিরোধী তাহলে চুলায় যাক সে সংবিধান।

সাইফুল্লাহ আবিদ

proud to be a Muslim.

সাইফুল্লাহ আবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ রহস্যের শেষ কোথায়??

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

শুরু থেকেই কেমন যেন রহস্যজনক মনে হচ্ছিল পুরো ঘটনাপ্রবাহ। ব্লগার রাজীব হত্যা থেকে শুরু করে জাফর ইকবালের উপর হামলা। কারা এর হামলাকারী?? আর কারা এ ধরনের ঘটনা থেকে সুবিধাভোগকারী?? এসব প্রশ্নের উত্তর বেশিরভাগ সময় সাধারন জনগনের অগোচরেই থেকে যায়।
কিন্তু কিছু কিছু প্রশ্ন তো দিনের আলোর মত স্পষ্ট। আচ্ছা, আসলেই কি এসব ঘটনার সাথে তথাকথিত জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক আছে?? কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে ব্লগার অভিজিৎ রায় কিভাবে শাহবাগের মত জনবহুল এলাকায় খুন হল?? পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী কার ইশারায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল?? আর জাফর ইকবালের মাথায় আঘাত করার জন্য যে ছুরি ব্যবহার করা হয়েছে তা তো আকাশ থেকে নাযিল হয় নি। কিভাবে এত গুরুত্বপূর্ন একটি অনুষ্ঠানে একজন বহিরাগত ছুরি নিয়ে প্রবেশ করতে পারল। আমি নিজেও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল। কিন্তু তারপরও এ পর্যন্ত কোন ডিপার্টমেন্টাল অনুষ্ঠানে কোন বহিরাগত কেউ প্রবেশ করার মত দুঃসাহস করে নি। কিন্তু ওখানে কিভাবে প্রবেশ করল?? কিভাবে ছুরি নিয়ে একজন লোক জাফর ইকবালের ঠিক পেছনে যেতে পারল?? কেন প্রশাসনের কেউই তার ভার্সিটি আইডি কার্ড চেক করতে চাইল না??
ঘটনার ধারাবাহিকতা ভেঙ্গে একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যাক। ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় অনেক চলাচল করেছি আমি। এবং সব কয়বারই আমার সাথে আমার আম্মা এবং খালা ছিল। দুজন মধ্যবয়সী মহিলার সাথে একজন তরুন। তারপরও এমন কখনও হয় নি যে আমরা ঐ এলাকা পার হয়েছি কিন্তু দুই থেকে তিনবার পুলিশ চেকপোষ্টে সিএনজি থামাতে হয়নি। আচ্ছা, ছোট একটি প্রশ্ন তো জাগতেই পারে। যেসব জঙ্গিরা হলি আর্টিজানে হামলা করল তারা কিভাবে এসব এলাকা পার হল?? তাদের কি একবারও পুলিশ চেকপোষ্টে থামতে হয়নি?? না কি অজানা কোন ইশারায় তাদের থামাতে সাহস পায় নি পুলিশ প্রশাসন?? এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা খুজে পাই না।
ড. জাফর ইকবালের উপর হামলার ঘটনাও এ ধরনের একটি ঘটনার প্রতিচ্ছবিইই মনে হয় আমার কাছে। আচ্ছা, হামলাকারী এখন কি অবস্থায় আছে?? তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য কি তাকে ডিবি কার্যলয়ে পঞ্চাশ দিন রিমান্ড দেয়া হবে?? না কি হঠাৎই তাকে ক্রস ফায়ারে দিয়ে পুরো ঘটনাটাই ধামাচাপা দেয়া হবে??
পুরো ঘটনাটা বিবেচনা করলে আমার কাছে মনে হয়, কোন এক অদৃশ্য শক্তি যেন রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করছে সব ঘটনাগুলো। সব ঘটনাগুলো একইভাবে ঘটছে। ঘটছেও প্রশাসনের নাকের ডগায়। তারপর বেশিরভাগ সময়ই নিরাপদে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। অজানা কারো ইশারায় নীরব থাকে পুলিশ। আর যদি কোন হামলাকারী জনতার হাতে আটক হয় তাহলেও পরিনতি একই। দুই-এক দিনের মধ্যেই একটি বন্দুকযুদ্ধ। আর নিমিষেই ঘটনার সব আলামত নষ্ট। যেমনটি হয়েছিল মাদারীপুরের সরকারী নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিতের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার সময়। জেলার ডিসির ব্রিজ এলাকা থেকে জনতার হাতে আটক হয়েছিল খোদ হামলাকারী। কিন্তু ঘটনার তৃতীয়দিনেই সে নিহত হয় ‘বন্দুকযুদ্ধে’। যদিও ঘটনার সময় তাকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে রাখা হয়েছিল। জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী যেহেতু হাতে-নাতে ধরা পরেছে তাই আরও একটি বন্দুকযুদ্ধ দেখার জন্য প্রস্তুত হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারন এটাই হয়ত ঘটবে।
আমার মাঝে মাঝে ভীষন ইচ্ছা জাগে ঐ হামলাকারীদের কারো সাথে সামনাসামনি সাক্ষাৎ করার। ভীষন ইচ্ছা জাগে আমার মোবাইলের সামান্য ক্যামেরাটির ভিডিও রেকর্ডিং অন করে ঘটনার পেছনের ঘটনা জানাতে আর জাতিকে জানাতে। ভীষন ইচ্ছা জাগে সেই অদৃশ্য শক্তির পরিচয়টা জানতে যাদের ইশারায় সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিস্ক্রিয় হয়ে যায় কিছুক্ষনের জন্য। যেন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কোন লেজার রশ্মি।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:২৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: রাঘব বোয়াল বা তিমি একটা কিছু তো আছে। যাদের/যার কাছে পুলিশ অসহায়।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাগুরা সবসময় ছাগুদের মতই ভাবে।

সিরিয়ান ফটোশপ বাদ দিয়া এখন নতুন স্টোরিতে....

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: ্মাদারীপুরের রিপন স্যারের উপত হামলার রহস্য ধামাচাপা দেয়ার জন্য হামলাকারীরে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছিল কারা?? এটাও কি জঙ্গিরা করেছিল??

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পেছনের কথা কেউ আর জাতিকে জানাবে না।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০২

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
রহস্য স্পষ্ট। জানোয়ারদের কাজ এটা। কোনও মানুষের নয়।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: কাজ জানোয়ারের না মানুষের তা আমার প্রশ্ন না। প্রশ্ন হল, একজন বহিরাগত কিভাবে ডিপার্টমেন্টাল অনুষ্ঠানে গেল??

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

বারিধারা ২ বলেছেন: @নয়ন, জানোয়ারকে মঞ্চে উঠতে দেয়া হল কেন?
@লেখক, কি চেক করে আপনি দেখেননি? জানালায় উঁকি দিয়ে দেখে ভেতরে কে আছে, তারপর যেতে ইশারা করে। হোলি আর্টিজানে হামলাকারীদের বহনকারী কালো প্রাডো গাড়ির নম্বর পুলিশের কাছে আছে। কিন্তু পুলিশ আজো তার খোঁজ বের করতে পারেনি। পারবে কি করে? তাহলে ট্রান্সকমের লতিফুরের নাতি যে কত বড় দেশপ্রেমিক, তা মানুষ জেনে ফেলবেনা?

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

নতুন বলেছেন: আপনি কি ফেসবুকে স্যারের উপরের নিউজের কমেন্ট গুলি পড়েছেন?

পড়ে দেখুন... সেখানে ৮০-৯০% কমেন্ট কারীই এই হামলার পক্ষে.... এরা কারা সেটা দেখলে টের পাবেন

আরেকটা কথা এখানে তো অনেক কথা বললেন.... কিন্তু আপনার কলেজের অনুস্ঠানে কত বার পুলিশ দেহ তল্লাশি করে অনুস্ঠানে লোক ঢুকিয়েছে? বলতে পারেন?


০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সবাইকে দেহ তল্লাশি করে ঢুকানো হয় কি না জানি না। কিন্তু ডিপার্টমেন্টাল কোন অনুষ্ঠানে সবাইকেই আইডি কার্ড চেক করে ঢুকানো হয়, জনাব। একজন বহিরাগত অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করল তাও আবার জাফর ইকবালের ঠিক পেছনে!! দারুন!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.