নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামী আন্দোলন করলেই যদি রাজাকার হতে হ তাহলে আমি রাজাকারই হতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থই যদি হয় আওয়ামী লীগের গোলামী করা তাহলে লাথি মারি সে চেতনাকে। সংবিধানের আইন যদি হ কুরআন বিরোধী তাহলে চুলায় যাক সে সংবিধান।

সাইফুল্লাহ আবিদ

proud to be a Muslim.

সাইফুল্লাহ আবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোখের আড়ালের অপ্রিয় সত্য। চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ (৩য় পর্ব)

২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

আপনার গৃহশিক্ষক নিরাপদ তো??
প্রশ্নটি বর্তমান সমাজের একটি বহুল আলোচিত প্রশ্ন। আমাদের সমাজের অভিভাবকেরা একটি ব্যপারে খুবই সতর্ক। কোন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে তরুন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে দেয়ার ব্যপারে তারা খুবই সতর্ক। কারন এক্ষেত্রে যে দুর্ঘটনাটি ঘটে তা সমাজের কাছে দৃশ্যমান। কিন্তু যে মেয়েটি এখনও প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠে নি তার ব্যপারে অভিভাবকরা একটু কমই চিন্তা করে থাকেন। কারনও ষ্পষ্ট। কারন এসব ক্ষেত্রে যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে তা সমাজের দৃষ্টিতে দৃশ্যমান নয়। এমনকি এসব দুর্ঘটনা পিতা-মাতার চোখের আড়ালেই থেকে যায় অধিকাংশ সময়। বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের হাতে অনেক ছাত্রীর ফিজক্যাল হ্যারেজমেন্ট এমনকি ধর্ষনের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। হয়ত সমাজের দৃষ্টি কিছুটা উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমাভাবে এসব ঘটনার বৃদ্ধি প্রমান করে যে এখনও আমাদের সচেতনতা বাড়ে নি।
প্রায় প্রতিটি শিশুর জন্যই বর্তমানে গৃহশিক্ষক থাকে। কিন্তু আপনার সন্তানের গৃহশিক্ষক আসলেই নিরাপদ কি না তা কি একবারও পর্যবেক্ষন করেছেন? কখনও যদি ছোট্ট শিশুটি ঐ শিক্ষকের কাছে আর পড়তে না চায় তাহলে তো তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। শিক্ষকের হাতে তুলে দেন নতুন আরও একটি লাঠি। কিন্তু একবারও কি চিন্তা করে দেখেছেন যে পড়তে না চাওয়ার পেছনে অন্য কোন কারন আছে কি না? কখনও কি আদর করে কাছে টেনে শিশুটির মুখ থেকে শুনতে চেয়েছেন কি কারনে ঐ শিক্ষকের কাছে সে পড়তে চায় না? শিক্ষক যখন পড়ানো শেষ করে তখন আপনার আদকের মেয়েটির চেহারায় কোন বিষন্নতার ছাপ পরে কি না, শিক্ষকের কাছে যাওয়ার কথা বললেই সে আঁতকে ওঠে কি না, হঠাৎই তার আচারনে কোন পরিবর্তন আসে কি না তা কি কখনও সময় নিয়ে চিন্তা করে দেখেছেন??
আপনি হয়ত কর্মজীবী মা। হয়ত অফিস থেকে ফিরে এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সময় আপনি পান না। অথবা পারিবারিক ব্যস্ততার কারনে এসব নিয়ে ভাবার সময় আপনার নেই। নয়ত এত ছোট মেয়েকে নিয়ে আপনি এসব চিন্তার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি যদি এ ব্যপারটি সত্যিই উড়িয়ে দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার সন্তানের কত বড় সর্বনাশ যে আপনি করছেন তা কোনদিনই টের পাবেন না।
আপনি হয়ত খুবই সরলমনে একজনকে বিশ্বাস করলেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সরলরেখা শুধু সরলরেখারই সমান্তরাল হয়ে থাকে। সরলরেখা কখনই বক্ররেখার সমান্তরাল হতে পারে না। আপনি যদি একটি বাকা মনের মানুষকে সরল মনে বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে ঐ বিশ্বাস আপনার সন্তানের ক্ষতি ছাড়া কিছুই ডেকে আনবে না।
বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। ‘গাছ পাকলে হয় সাড় আর মানুষ পাকলে হয় অসাড়”। তাই একটু সাবধান থাকবেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা কিন্তু আমাদের সমাজের এসব অসাড় বৃদ্ধরাই ঘটিয়ে থাকে। একজন মুরুব্বি দেখলেই বাছ-বিচার ছাড়া আপনার আদরের মেয়েটিকে তার কাছে দিয়ে দেবেন না। বৃদ্ধ লোকটি কি সাড় না কি অসাড় তা একবারের জন্য হলেও চিন্তা করে দেখুন।
দায়োয়ান মামা, ড্রাইভার আঙ্কেল, পিয়ন চাচা এসব লোকজনের ব্যপারে একটু সাবধান। কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব লোকজন অসাড় হয়ে থাকে।
আর খালাত ভাই, মামাত ভাই (সোজা কথায় সকল ‘তো’ ভাই) দের ব্যপারে একটু সতর্ক থাকবেন। আসলে এই ব্যক্তিদের প্রতি শিশুরা বিশেষ করে মেয়ে শিশুরা খুবই দুর্বল থাকে। যার অন্যতম কারন হল বয়সে বড় খালাত ভাই/ মামাত ভাইদের সঙ্গ পাওয়া মানেই তার সাথে একটু বাহিরে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যা শিশুদের ভীষন পছন্দ। আমি ব্যপারটা বুঝি। কারন আমার একঝাক ছোট ছোট খালাত আর মামাত ভাইবোন রয়েছে যারা সত্যিই আমাকে অনেক পছন্দ করে। আমিও অন্যরকম আনন্দ পাই এদের সঙ্গ দিয়ে। ছোট ছোট ভাইবোনগুলো যখন আমার চারপাশ দিয়ে প্রজাপতির মত ছোটাছোটি করে তখন আমার মনে হয়- আমি যেন পৃথিবীতে নেই; বরং আমি রূপকথার কোন পরীর রাজ্যে। তবে, শিশুদের এ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন মনের ভেতরের পাষবিক রূপটাকে জাগিয়ে তুলতে না পারে তা পর্যবেক্ষন করার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই।
আসলেই শিশুরা সুন্দর। আর শিশুদের মধ্যে বেশি সুন্দর মেয়ে শিশুরা। তাইতো গোলাপের কুড়ির মত মেয়েশিশুদের প্রতি বিষাক্ত সাপের এ জিঘাংসা। তাদের এ বিষাক্ত নিঃশ্বাস যাতে ফুল হয়ে ফোটার আগেই কোন গোলাপকুড়িকে ধ্বংস করে না দিতে পারে সে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ফুল হয়ে ফুটুক প্রতিটি গোলাপের কুড়ি। আর মনরোম সুঘ্রান এবং অপরিসীম ভালবাসায় ভরিয়ে তুলুক আমাদের এ বিষাক্ত সমাজকে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: একসময় আমরাও টিউশনি করেছি , মেয়েদেরকে পড়িয়েছি কই সেরকমতো কিছু ঘটেনি। আসলে আমাদের নৈতিকতার বড় অভাব; কিন্তু সে অভাব দূর হবে কী করে?

২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: ভাই, হয়ত আপনার দ্বারা ঘটেনি। কিন্তু কলঙ্কিত এ ঘটনা থেকে সমাজ মুক্ত ছিল না কখনই। নারী সমাজ নিশ্চুপ বলে প্রকাশিত হয় না।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক কঠিন সময় সামনে অপেক্ষা করছে। নৈতিকতাহীনতার কারন, ধর্মহীনতা। কারন খুঁজে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এ অবক্ষয় আরো বাড়তে থাকবে।

সুন্দর পোস্টে ধন্যবাদ।

২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আসলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তির পথ একটাই। তা হল, এ সংক্রান্ত ইসলামী বিধান কার্যকর। (প্রথম পর্বে এ বিষয়ে লিখেছি আমি)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.