নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীন বাংলা মা এর ছেলে। মা আমার বাংলায় কথা বলে। কিন্তু মা আমার আদৌ বর্ণমালা জানে না। তাই তো আমরা বাংলা ভাল ভাবে বলতে, লেখতে পারি না।
হাসপাতাল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ
বড় ভাইয়ের সাথে ঝামেলা হয়েছে। তাই কোথায় একটু নীরবে থাকতে চাই আড়ালে। যাকে তাকে বলছি, কোনো ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। খোঁজা খুঁজি করতে করতে কয়েক দিন পার হয়ে গেলো। একদিন সকালে ফোন এলো। ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরলাম তখনই বলছে- সাইফুল তুমি কি ফ্রি আছো আগারগাঁও আসতে পারবে এখনই? আমি বললাম পারবো। সে বললো তাহলে চলে এসো। গাড়ি ভাড়া কোথাও থেকে যোগাড় করে এসো। আসলেই দিয়ে দিবো। আমি তো অতি খুশি! সাথে সাথে চলে গেলাম। সেই দিনই মেট্রোরেল অনিচ্ছায় সুযোগ পেয়ে গেলাম আরো আনন্দিত মহা প্রফুল্ল!
পরিচিত খুব ভালো সম্মানিত বড় ভাই খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে দীর্ঘ দুই মাস বিছানায় থেকে চলে গেলেন পৃথিবী থেকে। গন্তব্য “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল”, আগারগাঁও। হাসপাতালে পৌঁছে ভাবির কথা মতো সিঁড়ির বেয়ে উঠতে লাগলাম। তিন তলায় উঠে দেখি নাজা ঝিমুচ্ছে খুব ক্লান্ত! তার সাথে কথা বলে উঠে পড়লাম ৯ তলায়। ভাবির সাথে কথা বলে আবার তিন তলায় এসে বসলাম। এই হাসপাতাল সম্পর্কে প্রথম জানলাম প্রথম দেখলাম। সেদিন থেকেই এক মাস হাসপাতালেই ছিলাম। কেউ মারা যাচ্ছে, কেউ সুস্থ হচ্ছে, কেউ ভর্তি হচ্ছে। বসার সিট দখল নিয়ে চুপিচুপি প্রতিযোগিতা হয়। প্রত্যেকে এগিয়ে আসে একে অন্যের সাথে কথা বলার জন্য। কেউ আবার ঘনিষ্ঠও হয়। কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু তাতে কী সবাই রোগীর সুস্থতার জন্য এসেছে আসছে। সবাই মানুষ রোগ প্রায় সবার আছে বা হয়।
রোজার মাস ছিলো। ঈদ হাসপালেই কেটেছে। আমিও রোগীর সেবা করতে পেরে তৃপ্ত। তারাও একজন সহায়ক পেয়ে তৃপ্ত। নিহাদ রোগীর ছেলে আমার সমবয়সী, শিক্ষক। তার সাথে মিশে অনেক কিছুেই জানতে পারলাম। শান্ত স্বল্পভাষী। সে আর আমি ভাবি ও নাজা এ চার জন ছিলাম সেবায় নিয়োজিত। এছাড়াও আরো নতুন লোক এসেছে সেবা করার জন্য। যখন আমি চলে আসি তারপর থেকে। সত্যি বলছি আমি এতো মানসিক প্রশান্তিতে ছিলাম যা আর কখনো ছিলাম না মনে হয় আলহাদুলিল্লাহ। আল্লাহ ভাইকে জান্নাতবাসী করুন।
উত্তরা, ঢাকা।
১৮.০৯.২০২৩
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: কবিতার চেয়ে আপনার এই লেখা ভালো হয়েছে। জীবনমূখী লেখা।