![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা একই রকম কিনা জানা নেই ,তবে আমার ধারণা হুবহু একই করম না হলেও কাছাকাছি। আমাদের এখানে নিজের ডিসিপ্লিন ও বাইরের ডিসিপ্লিন মানেই বিস্তর পার্থক্য। নিজের ডিসিপ্লিন এ অনেকে যত্নশীল হলেও বাইরের ডিসিপ্লিনে অনেক শিক্ষকই দায়সারা টাইপের ক্লাস নেন। যদিও বাইরের ইউনিভার্সিটি হলে আবার লা’ জবাব (বিশেষ করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি), একেবারে দায়িত্ব নিষ্ঠতার চরম শিখরে। এর কারণে অনেক ছাত্রের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নিজের ডিসিপ্লিনের বিষয়গুলোতে বেশ ভাল করছে কিন্তু বাইরের বিষয়গুলোতে একেবারে ধ্বংসযজ্ঞ। অনেক শ্রদ্ধাস্পদ শিক্ষকের আবার ধারণা এরকম যে, টার্ম শুরু হয়ে গেছে তাতে কি হয়েছে, পাঁচ সপ্তাহ পার হয়ে গেছে তাতে কি হয়েছে, দশ ক্লাশের পড়াতো আমি এক ক্লাসেই পড়িয়ে দিতে পারি! অতএব গোটা বিষয়ের জন্য তো আমার তিন-চারটি ক্লাসই যথেষ্ঠ। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, দুই-তিন সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত ছয় থেকে নয়টি ক্লাস একসঙ্গে নিয়ে নেওয়ার প্রবণতা। বিষয়টা এরকম যে, পনেরদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুধা সৃষ্টি করা অতঃপর একসঙ্গে দুনিয়ার খাবার গিলিয়ে দেওয়া।
সন্তানদের উপর মায়ের বাহ্যিক আচরণেও অনেক ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়, কিন্তু মায়ের অন্তরের মমতা প্রত্যেক সন্তানদের জন্য সবসময়ই শতভাগ। একজন খুনি সন্তানের জন্যও মাতৃহৃদয় ততোধিক কাঁদে যতটা না তার সুসন্তানের জন্য। এই লেখাটির দ্বারা কেউ আক্রান্ত হতে পারেন, তবে আমি তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি আক্রান্ত হয়েই এই লেখাটি লিখছি। আমার কাছে কিছু শব্দ অন্যান্য সকল শব্দের থেকে সম্পূর্ন আলাদা, তার মধ্যে ‘শিক্ষক’ অন্যতম। আমার কাছে এই শব্দটিকে যাঁরা মহান করে তুলেছেন তাঁরাও ভালোদের সমাদর করতেন, অমনোযোগীদের শাস্তি দিতেন, মনোযোগী করে তোলার জন্য প্রচন্ড চেষ্টা করতেন কিন্তু কোনদিন ভিন্ন দৃষ্টিতে তাকাতে দেখিনি, একজন শিক্ষার্থী থেকে আরেকজন শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ন আলাদা করে ফেলতে দেখিনি। এমনটা খুবই স্বাভাবিক যে, কোন সমস্যার কারণে অনেক সময় অনেকের পক্ষে দায়িত্ব নেয়া সম্ভব হয়না, কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণ করে তার অবহেলা অন্ততপক্ষে ‘শিক্ষক’ শব্দটির সঙ্গে যায় না। অ্যারিস্টটলের কাছেও তার শিক্ষকের স্থানটি অন্য রকম ছিল, তানাহলে একথা বলবেন কেন-
“Those who educate children well are more to be honored than they who produce them; for these only gave them life, those the art of living well.”
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪
সৈকত মন্ডল বলেছেন: সত্যিই তাই হোক। ধন্যবাদ
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০
অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: আপনার কষ্টের সাথে আমি শেয়ার করছি। ভালো লেখা।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪
সৈকত মন্ডল বলেছেন: শেয়ার করায় কষ্ট কিছুটা কমলো। অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১
খাটাস বলেছেন: সততা থেকে লিখেছেন স্যার। আপনার আক্ষেপ টা সত্যি ই আমাদের দেশে কমন ব্যাপার হয়ে গেছে। নিজে শিক্ষক হয়ে শিক্ষক দের কিছু ভুল তুলে ধরায় আপনাকে সহস্র শ্রদ্ধা জানাই।
শুভ কামনা।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
সৈকত মন্ডল বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
বিজন শররমা বলেছেন: “Those who educate children well are more to be honored than they who produce them; for these only gave them life, those the art of living well.” - যতদুর মনে হয় এই কোটেশনটা লেখকের, যিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে মাস্টার্স বা প্রকৌশলের ক্ষেত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রী লাগে । এই সব কোর্সের অনেকটাই ইংরেজীতে পড়ানো হয় । তার পর ইংরেজীর এই অবস্থা । স্বীকার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার অবস্থা আসলেই খারাপ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
সৈকত মন্ডল বলেছেন: যেহেতু আমরা অনেক ক্ষেত্রেই পরনির্ভরশীল তাই আমাদের বাধ্য হয়ে ইংরেজী শেখা লাগে, তানাহলে হয়তো কোনদিনই ইংরেজী শিখতাম না। তবে ইংরেজীতে খুব ভাল না হলেও কাজ চালিয়ে নিতে সমস্যা হয় না।
তবে আপনার মনোযোগে মনে হয় কিঞ্চিৎ ঘাড়তি আছে। নীচের লেখা ও পরে কোটটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
অ্যারিস্টটলের কাছেও তার শিক্ষকের স্থানটি অন্য রকম ছিল, তানাহলে একথা বলবেন কেন-
“Those who educate children well are more to be honored than they who produce them; for these only gave them life, those the art of living well.”
এটি অ্যারিস্টটলের কথা, যেটা হুবহু কোট করা হয়েছে। নিচের লিংকের ৩য় কোটটি একটু দেখে নিলে বাধিত হব। ধন্যবাদ। http://www.goodreads.com/quotes/tag/teachers
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: বাইরের ডিসিপ্লিনের সব সাবজেক্টে আমার অবস্থা খুব খারাপ হইছিলো। যেমন সাইকোলজি, ফিলোসোফি, প্রোগ্রাম ইন সি, ইকোনোমিকস। সাইকোলজি তো আমারে এক রকম কান্দাইয়া ছারছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
নাসরীন খান বলেছেন: সততা সবার সংগী হোক, অাপনার মত।