![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি ,
আলোচনার দরজা এখনো খোলা : প্রধানমন্ত্রী
এখনো আলোচনার সময় আছে : বিরোধীদলীয় নেত্রী
কি হাসি আসে নাই, তার মানে জমে নাই, জমে নাই। জমে নাই নাকি ফাইনাল খেলা নিয়ে ভীষণ টেনশনে আছেন? ঠিকই ধরেছেন, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল পার করে খেলা এখন ফাইনাল পর্বে এবং ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৫শে অক্টোবর। কিন্তু প্রত্যেকটি খেলার তো কিছু নিয়ম কানুন থাকে, এ খেলার নিয়ম কি? বিগ-শো তে দেখা যায় বিশাল দেহ ও শক্তিধারী লোকজন মারামারী করে। টিভি শোরুমের সামনে বিভিন্ন বয়সী লোকজন ভিড় করে সেই মারামারী দেখে, কেউ কেউ আবার অতি উৎসাহে হাত পা ছুড়াছুড়ি করে, কেউ কেউ বিনা কারণে লাফালাফিও করে। ঐ খেলায়ও নাকি কিছু নিয়ম থাকে, একজন রেফারী থাকে যদিও রেফারীও মাঝে মাঝে মার খায়। কিন্তু ২৫শে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনাল খেলার নিয়ম কানুন কি হবে? এদিকে খোকাবাবু আবার সবাইকে দা-কুড়াল নিয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করতে বলেছেন, যদিও তিনি তো বলেই খালাস, তাকেই নাকি এখন খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এটুকু অনুমান করা যায়, দা-কুড়াল যে খেলায় যায়েজ, সেটা নিশ্চয়ই আগের যুগের রাজায় রাজায় তরবারী নিয়ে যুদ্ধের বিডি ২০১৩ ভার্সন ‘সামসুর কোপাকুপি’ ভিন্ন আর কিছুই হবে না। বিএনপি টিমের স্ট্রাইকার ফকরুল ইসলাম সাহেব মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন যে ২৫ শে অক্টোবর ফাইনাল খেলা এবং সে খেলায় জয় তাদের নিশ্চিত। তাহলে তো মনে হচ্ছে এটা পাতানো খেলা।
এদিকে আওয়ামী টিম থেকে বলা হচ্ছে, খেলা সেমিফাইনাল হোক আর ফাইনালই হোক বল কিন্তু তাদের হাতে। তাই তোমরা যতই কোপাকুপি করনা কেনো গোল দিতে পারবা না। আর যেহেতু খেলার কোন নিয়ম কানুন নাই, রেফারীও নাই, থাকলেও সে জয়নাল হাজারী বা শামীম ওসমান টাইপের কেউ হবে, তাই বল হাতে থাকুক আর মাথায় থাকুক তাতে ফাউল হবার কোন সম্ভাবনা নেই। যেহেতু আওয়ামী টিমের কাছে দা-কুড়ালের বাইরেও কামান-বন্দুক ওয়ালা খেলোয়াড় আছে তাই তারা খোকা টোকাদের তেমন আমলে আনছে না।
কিন্তু মরণ হয়েছে সানাইদারের, এই হতভাগা নিরীহ জনগনের। আওয়ামী টিমের সমর্থক হলে দা-কুড়ালের কোপ, বিএনপি টিমের সমর্থক হলে গুলি। ভাবছেন নিরপেক্ষ থাকবেন? তাইলে গুলির পরে কোপ অথবা কোপের পরে গুলি হবে। এখেলা কি হতেই হবে? কোন দলের সমর্থন করবো, গুলি ভালো হবে নাকি কোপ?
©somewhere in net ltd.