নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.shahanur.blogspot.com www.facebook.com/Shahanur.Saikot

সৈকত বিআইএইচআর

আধুনিক দাসত্বের জীবন, চিন্তার স্বাধীনতাহীন বাক্সবন্দী বিবেক! মনুসত্ত্বহীন........মনে হয় সব ছেড়ে পালিয়ে যাই- আদিম থেকে আদিমে!পাহাড়, বন, নদী, ঝরনাধা্রা আর পাখির কলতান অথবা.....

সৈকত বিআইএইচআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণা ও মুক্ত চিন্তার জন্য কতটা বাঁধাকর?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

তথ্য প্রযুক্তি প্রবাহের সাথে তাল মিলিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম এর মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এ বিশ্ব বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে মনে মনে খুব খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম মতিহারের সবুজ চত্ত্বরের সৌন্দর্যমিশ্রিত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিক্রিয়াশীল-মৌলবাদের চারুণভূমির তকমা থেকে বের হয়ে কিছুটা হলেও তথ্য প্রযুক্তির নবযুগে প্রবেশ করতে সক্ষম হতে চলেছে। কিন্তু আমার সে খুশিভাব আজ বিস্বাদে পরিনত হয়েছ যখন দেখলাম উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম এর মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি রেকর্ড করার পদ্ধতির বিরোধিতা করে প্রত্যাহারের দাবি জানানো এবং দাবি না মানলে কর্ম বিরতির হুশিয়ারী দেয়ার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এর এই ডিজিটাল পদ্ধতির বিরোধিতা কেন? এই পদ্ধতি চালু হলে নাকি শিক্ষকদের স্বাধীনতা খর্ব করে নিয়ন্ত্রণারোপ করা হবে। এভাবে শৃঙ্খলিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও মুক্ত চিন্তার পরিপন্থি। তাছাড়া, ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স এর এ সিদ্ধান্ত নাকি ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী শিক্ষকরা যে শুধু বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে তার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ!

কিন্তু আমার প্রশ্ন ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে শুধু বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে গবেষণা ও মুক্ত চিন্তার করার অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কতটা বাঁধাকর হবে? নাকি এ পদ্ধতি চালু করলে নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে না এসে, সংশ্লিষ্ট বিভাগে সময়মত ক্লাস পরীক্ষা না নিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা কাজে সময় ব্যয় না করে শুধুমাত্র রাজনীতি আর বেসরকারী প্রতিষ্টানে শ্রম দেয়ার বিষয়টি একটু হলেও প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলেই শিক্ষকদের এ বিরোধিতা!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নতুন প্রযুক্তি প্রথম প্রথম বাধার সম্মুখীন হয়েছে সব সময়।

ধন্যবাদ সৈকত।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.