নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.shahanur.blogspot.com www.facebook.com/Shahanur.Saikot

সৈকত বিআইএইচআর

আধুনিক দাসত্বের জীবন, চিন্তার স্বাধীনতাহীন বাক্সবন্দী বিবেক! মনুসত্ত্বহীন........মনে হয় সব ছেড়ে পালিয়ে যাই- আদিম থেকে আদিমে!পাহাড়, বন, নদী, ঝরনাধা্রা আর পাখির কলতান অথবা.....

সৈকত বিআইএইচআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলি করে হত্যার মাধ্যমে জঙ্গি দমনে সরকারের কৌশল সমর্থনযোগ্য কি?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার অবর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামাতে ইসলামী বাংলাদেশসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে কোণঠাসা করতে গিয়ে দেশে ইসলামি জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠায় দেশী-বিদেশী চাপ সামাল দেয়া সরকারের জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সরকারের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা আর কূটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে এখন মনে হচ্ছে সে চাপ অনেকটা সামলিয়ে উঠেছে।

বিশেষ করে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন সন্দেহে একের পর এক অভিযান পরিচালনা এবং অভিযান অন্তে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেফতার না করে সরাসরি গুলি করে হত্যার কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে জঙ্গি দমনে সরকারের কঠোর মনোভাবই প্রকাশ পাচ্ছে। জঙ্গিদের জীবিত না ধরে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে জঙ্গিদের মধ্যে একধরণের ভীতির সঞ্চার করতে পেরেছে বলেই মনে হচ্ছে এবং আগামী কিছুদিন হয়ত জঙ্গিবাদ কিছুটা হলেও স্থিমিত থাকবে।

একজন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত নির্যাতন, গুম, বিনা বিচারে হত্যার বিরুদ্ধে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আসায় বিনা বিচারে কোনো হত্যাই আমি সমর্থন করতে পারি না। কিন্তু--------

বিনা বিচারে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে জঙ্গি নিধনের এ কৌশল সরকার যদি আরও কিছুদিন আগে গ্রহণ করত তাহলে হয়ত ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান এত বেশী ঘটত না এবং হলি আর্টিজান, হোশিও কোর্ণি, তাবেলা সিজার, অভিজিৎ রায়, দিপন, অনন্ত বিজয়, রাজীব হায়দার, ওয়াশিকুর বাবু, নিলয় নীল সহ অন্যান্য মুক্তমনা প্রগতিশীল লেখক, ব্লগার, অন্যধর্মাবলী ও বিদেশী নাগরিক তাদের দ্বারা হত্যার শিকার হত না।

ফেসবুক: https://www.facebook.com/Shahanur.Saikot, ডেডিকেটেড ব্লগ: https://www.shahanur.blogspot.com

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: এতে করে জঙ্গির উৎপাদন বাড়ে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: হয়ত, হয়তবা না!

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

যোগী বলেছেন:
তো কী করতে হবে? ওদের গুলি খায়া ৫টা পুলিশ মরে ৬ নম্বর পুলিশ চাপাতি খায়া আহত হয়ে কোন মতে একটা কে জাপতে ধরে গ্রেফতার করতে হবে?
ঐ সব বাল ফেলানো মানবাধিকারী দেখায়া লাভ নাই।
আমারিকার মত অপরাধ কঠোর হাতে দমন না করে দীর্ঘ্য দিন ধরে অপরাধ নিয়ে রির্সাচ করারমত বিলাসিতা বাংলাদেশের করার সুজোগ নাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ক্রস ফায়ারের যে নাটক বিএনপি শুরু করেছিল সে নাটকের ফাঁদ থেকে কিন্তু বিএনপিও বাদ যাচ্ছে না, ভুলে গেলে চলবে না প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে!

আর জঙ্গিদের গুলি খায়া পুলিশ কেন মরে তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? একটি জিম্মি ঘটনায় অপারেশন পরিচালনার জন্য যে প্রস্তুতি বা প্রশিক্ষণ তা কি অপারেশনে যাওয়া পুলিশ অফিসারদের আদৌ ছিল?

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

নতুন বলেছেন: বিশেষ করে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন সন্দেহে একের পর এক অভিযান পরিচালনা এবং অভিযান অন্তে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেফতার না করে সরাসরি গুলি করে হত্যার কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে জঙ্গি দমনে সরকারের কঠোর মনোভাবই প্রকাশ পাচ্ছে। জঙ্গিদের জীবিত না ধরে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে জঙ্গিদের মধ্যে একধরণের ভীতির সঞ্চার করতে পেরেছে বলেই মনে হচ্ছে এবং আগামী কিছুদিন হয়ত জঙ্গিবাদ কিছুটা হলেও স্থিমিত থাকবে।

আপনি কি ভাবে নিশ্চিত হলেন যে তাদের গ্রপ্তারের চেস্টা না করে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে?

সন্ত্রাসীরা যদি পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি করতে থাকে... তাকে কিভাবে গ্রেপ্তার করবে?

তাদের কে বোঝাতে হবে যে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না<< যেমনটা বাংলা ছবিতে দেখায়?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: হলি আর্টিজান ঘটনা ছাড়া অন্যান্য জঙ্গি আস্তানায় অপারেশনের সময় কতটা পাল্টা আক্রমনের ঘটনা ঘটেছিল?

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিষয়টির উত্তর নিহিত আছে জঙ্গী ধরতে গিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজন জঙ্গীদের হাতে মারা যাবে না জঙ্গী মারা যাবে সে বিষয়টি ফয়সালা হওয়ার উপর ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: হলি আর্টিজানের ঘটনা ছাড়া অন্যান্য ঘটনাগুলিতে পুলিশ বাহিনীর যদি সঠিক পরিকল্পনা আর প্রস্তুতি থাকত তাহলে হয়ত নূন্যতম জীবনহানি ঘটিয়ে জঙ্গিদের জীবিত গ্রেফতার করা সম্ভব হত!

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫১

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
একজন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত নির্যাতন, গুম, বিনা বিচারে হত্যার বিরুদ্ধে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আসায় বিনা বিচারে কোনো হত্যাই আমি সমর্থন করতে পারি না।

এ অভিমতের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করিতেছি।

এ উন্মাদরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে ওখানে গিয়াছে। উহাদের সামনে যাইয়া কোন কিছু বিনিময় করা মানে নিজের জীবন বিলায়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছু না ।
তাই এই পোষ্টের লেখককেই আমরা এই জংগী উন্মাদদের সাথে আলোচনা করিতে পাঠাইতে বলিলে তিনি যাইতে রাজি আছেন কিনা জানিতে চাই!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: জঙ্গিরা অপরাধী, তাই বলে কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবিধান প্রদত্ত অধিকার অস্বীকার করতে পারে?

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আহারে! জঙ্গীদেরকে কোলে বসিয়ে লজেন্স খাইয়ে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কথা বললেই ভাল হত। এরপর বিচারের জন্য কাঠগড়ায় যাওয়ার আগেই কেউ না কেউ এসে জামিন করে নিত। তারপর তারা সুখে শান্তিতে দেশের অনিষ্ট করতে পারতো।

জঙ্গীদেরকে ধরার মিশন নিয়েই যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদেরকে দেখলেই জঙ্গীরা আক্রমণ শুরু করে, তখন পুলিশকেও আক্রমণ করা ছাড়া উপায় থাকে না। তাদেরকে জীবিত ধরার চেষ্টা করলে পুলিশ বাহিনীর টিকে থাকা লাগতো না - অর্ধেক মরতো জঙ্গীর হাতে, বাকি অর্ধেক চাকরি ছেড়েই পালাতো।

আর, এইসব জঙ্গীরাও ওয়ান ওয়ে রাস্তায়ই চলছে। তারা হয় মরবে, নয় মারবে - তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখায় কোন লাভও নেই। এইসব চুনোপুটিরা রাঘব-বোয়ালদেরকে পারলে চিনেই না। ওদের থেকে খুব তথ্যও পাওয়া যাবে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে এ কথা স্প্ষ্ট যে দেশে আইনের শাসন কতটা অবর্তমান। পুলিশ আত্বরক্ষার্থে কতটুকু শক্তি প্রয়োগ করতে পারে? আর জঙ্গিরা যদি অপরাধী হয়েই থাকে তবে তাদের বিচার করুন, বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ফাসি দিন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.