নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.shahanur.blogspot.com www.facebook.com/Shahanur.Saikot

সৈকত বিআইএইচআর

আধুনিক দাসত্বের জীবন, চিন্তার স্বাধীনতাহীন বাক্সবন্দী বিবেক! মনুসত্ত্বহীন........মনে হয় সব ছেড়ে পালিয়ে যাই- আদিম থেকে আদিমে!পাহাড়, বন, নদী, ঝরনাধা্রা আর পাখির কলতান অথবা.....

সৈকত বিআইএইচআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলিতের প্রতি বৈষম্যের কি কোন প্রতিকার নেই?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৯


অধিকাংশ মানবশিশু অসীম সম্ভাবনা নিয়ে জন্ম গ্রহন করে। এমন কি গড়ীব পরিবারে যে শিশু জন্ম গ্রহন করে সেও তার পিতা মাতার আর্থিক অবস্থার চেয়ে উন্নতর অবস্থা অথবা অন্তত তা থেকে অন্য অবস্থায় জীবন ধারনের স্বপ্ন দেখার অধিকার রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের দলিত পরিবারের সন্তানের ক্ষেত্রে সে স্বপ্ন আকাশ কুসুম কল্পনা বলে মনে হয়। যদি কোন শিশুর পিতা ঝাড়ুদার হয় তবে সে শিশুটিও যে বড় হয়ে ঝাড়ুদার হবে এটাই যেন কার চরম নিয়তি। তেমনি নাপিতের ছেলেকে বড় হয়ে নাপিত এবং মুচির ছেলেকে বড় হয়ে মুচি হিসেবে দেখতে পাবেন।

কিন্তু দলিতদের কাজের নিরাপত্তা ও জন্মগত দক্ষতার কারনে আমাদের দেশের মত এই গড়ীর দেশে তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে সীমিত প্রবেশাধিকারের কারন কি বা কি ভুলের কারনে তাদের কাজের নিরাপত্তা নেই বা জন্মগত দক্ষতার বাহিরে বেরিয়ে আসতে পারছে না? সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের চোখে তারা “অচ্ছুত” এই মনোভাবই প্রধান কারন বলে প্রতিয়মান হয়। একজন দলিত হিসেবে তারা প্রতিনিয়ত তাদের দৈনন্দিন জীবনে সমাজের মানুষের নিকট থেকে তাচ্ছিল্লের শিকার হয়।

স্বাভাবিত ভাবে বেঁচে থাকা ও বেড়ে উঠার জন্য সমাজের তথাকথিত বাসস্থান, খেলার মাঠ, চায়ের দোকান অথবা কবরস্থান বা শশান যেখানে সবায় প্রবেশ করতে পারে কিন্তু সেখানে দলিতরা প্রবেশ করতে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। যে বাড়ীতে নতুন শিশু জন্ম গ্রহন করে অথবা বিয়ে বাড়ীতে সকলের সহজ প্রবেশাধিকার থাকলেও দলিতরা পারে না। এমন কি দলিতদের অনেক টয়লেট ব্যবহার এবং তাদের শিশুদের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে অস্বীকার করা হয়। সমাজের সংখ্যাগড়িষ্ট জনঅংশের কেউ বাজার বা মার্কেটে যদি কোন দলিত সদস্যের দেখা পায় তবে সাধারনত তাকে বাজারের ব্যাগ তার বাড়ী পর্যন্ত বহনের নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।

বাংলাদেশে বসবাসরত মুসলিম এবং হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে জাত বৈশম্য, নিম্ন সম্প্রদায়ের প্রতি অষ্পৃশ্যতা ও তাদের বর্জনের মত সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে। এই তথাকথিত নিম্ম জাতের দলিত সম্প্রদায়ের সংখ্যা অনুমানিক ৩.৫ থেকে ৫.৫ মিলিয়ন। দলিতদের নিষ্পেশনের বিষয়টি এতটাই সহজাত যে নিষ্পেষনকারী ও নিষ্পেষনের শিকার উভয়েই তার গভীরতা জানেন, কিন্তু তা কখনো সঠিকভাবে নথিবদ্ধ হয় না বা জনসম্মূখে প্রকাশের আড়ালেই থেকে যায়। বাংলাদেশে জাত-পাত, অস্পৃশ্যতা ও কর্মভিত্তিক বৈশম্য এত ব্যপক হওয়া সত্বেও যারা এ বিষয়ে চর্চা করে বা রাষ্ট্রীয় পক্ষ থেকে এ বিষয়ে খুব কমই প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে সকল প্রকার বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করা হলেও বাস্তবে তার কার্যকরন নেই বললেই চলে। এমন কি সরকার পরিচালিত বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানেও বৈশম্য বিদ্যমান রয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অংগনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সদা সচেষ্ঠ, তখন দেশে আন্তর্জতিকভাবে উদ্বেগিত শিশুশ্রমের অনুশীলন সম্প্রশারনশীল এবং জাতিগত বৈশম্য অনুশিলনে রাষ্ট্র পরোভাবে ইন্ধন দিয়ে চলেছে। যা শুধু বর্তমানে দারিদ্রতার জন্য নয় ভবিষ্যতে পুরো জাতির জন্য অশনি সংকেত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০২

রাসেদুল হায়দার বলেছেন: তাহারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী। হিন্দু ধর্ম মহান। সেই ধর্ম মতে, তাহাদের কোন অধিকার নাই। তবে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কোন জায়গায়, এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। সেখানে কাউকে জিজ্ঞাসা করাও হয় না, কে দলিত বা ব্রাহ্মণ। এটা যা বললেন, সম্ভবত ইন্ডিয়ার থেকে ধার করা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছেন। বাংলাদেশের সাধারন মুসলিম বা সাধারন মানুষজন অনেক মহৎ। তারা নাপিত, ধোপা কাউকেই আপনার দেখা চোখে দেখেনা। একত্রে বসে চা ও খায়। এমনকি আমি নিজে যে স্কুলে পড়েছি , সেখানেও নাপিত ধোপার ছেলে ছিল, এটা আমাদের জানা ই ছিল না, তাদের ধর্মমতে তারা অচ্ছুৎ। হ্যা, আপনি যেটা বলেছেন,সেটা হিন্দুরা নিজেদের মধ্যে হয়তোবা করতে পারে। এখন সেটা তাদের নিজস্ব চয়েস। তবে বাংলাদেশের মানুষজন তাদের অসম্মান করে বা তাদের জন্য সুযোগ সংংকুচিত, এটা ফাউল টক ছাড়া আর কিছুই নয়। বরঞ্চ বর্তমান পেক্ষাপটে, একজন মুসলিম থেকে একজন অছুৎ হিন্দু সরকারিভাবে অনেক মূল্যবান। আশা করছি, আপনার এই লেখা ইন্ডিয়াতে কাজে দিবে।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনার খবর কি?

তারা কয়েকজন নাকি এরেস্ট হয়েছে?
সত্যি নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.