নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.shahanur.blogspot.com www.facebook.com/Shahanur.Saikot

সৈকত বিআইএইচআর

আধুনিক দাসত্বের জীবন, চিন্তার স্বাধীনতাহীন বাক্সবন্দী বিবেক! মনুসত্ত্বহীন........মনে হয় সব ছেড়ে পালিয়ে যাই- আদিম থেকে আদিমে!পাহাড়, বন, নদী, ঝরনাধা্রা আর পাখির কলতান অথবা.....

সৈকত বিআইএইচআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন: মানবাধিকারের প্রতি হুমকি

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২০

জলবায়ূর নেতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশের সর্বত্র লক্ষ করা যায়। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী আগামী ২১০০ ইং সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বর্তমানের চেয়ে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। ফলে গৃষ্মকালে গরম আরো বৃদ্ধি পাবে এবং শীতকালে তাপমাত্রা নেমে যাবে। বৃষ্টি পাতের স্বাভাবিক ধরণ পরিবর্তন হয়ে একই সময় ১০ শতাংশ বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বর্তমান স্তরের চেয়ে ৮৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্বাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকা সমুদ্রের লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে ব্যপক ক্ষতি সাধিত হবে। প্রায়শ তীব্র বন্যা ও ঝড় বৃষ্টির কারণে হাজার হাজার গড়ীব মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যহত হবে।

বৈশ্যিক উষ্ণতা বৃদ্ধি জীবন, স্বাথ্য, সম্পত্তি, সংস্কৃতি, জীবন-জীবিকা, বাসস্থান ও চলাচলসহ সকল প্রকার মানবাধিকারের প্রতি আজ চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তেনের ফলে সৃষ্ট অনাবৃষ্টি, খড়া, অতিবৃষ্ট, বন্যা, তাপদাহ, ঝড়, সমুদ্রপৃষ্টের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি কৃষি, খাদ্য ও গবাদি পশু উৎপাদনে প্রভাব ফেলে যা জনসাধারণের জীবন হানি ও জীবন হানির ঝুকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রপৃষ্টে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্র ও নদী সংগ্লগ্ন এলাকার জনগনের বাসস্থান থেকে জোড়পূর্বক উচ্ছেদের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্টে পানির উচ্চতা আরো বেশী বৃদ্ধি পেলে অবস্থা কি হবে তা আর বলার অবকাশ রাখে না।

আমাদের মনে হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কিভাবে মানবাধিকার লংঘিত হতে পারে অথবা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানবাধিকারের সম্পর্ক কি? বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করতে হলে আমাদের প্রথমেই মানবাধিকারের মূল বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে। মানবাধিকার হল হল এমন কিছু সহজাত মৌল অধিকার ও স্বাধীনতা যা সকল মানব শিশু আপনা আপনি পাওয়ার অধিকারী। স্থান-কাল-পাত্রভেদে সেসকল অধিকার ও স্বাধীনতার লংঘন প্রতিরোধে বিশ্বের সকল রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহনে দায়বদ্ধ।

সভ্যতা উন্নয়নের সাথে সাথে বিভিন্ন দূষণমূলক ও ধবংসাত্ত্বক কার্যকলাপের ফলে জলবায়ুর যে পরিবর্তন দেখা দিয়েছে তা থেকে মানব জাতিকে সুরক্ষিত করার জন্য বিংশ্ব শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং স্থানীয় আইন ও বিধিবিধান প্রনীত হয়েছে। কিন্তু এইসব চুক্তি, আইন ও বিধিবিধানে প্রথম দিকে জলবায়ু সুরক্ষাকে মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। পরবর্তিতে বিংশ্ব শতাব্দীর ৭০ এর দশকের শুরুতে সর্বপ্রথম জলবায়ু ও মানবাধিকারের মধ্যে একটি যোগসুত্র আছে বলে বিবেচনা করতে থাকে এবং একপর্যায়ে জলবায়ু সুরক্ষার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

একই সাথে জীবন, স্বাধীনতা, দাম্পত্য জীবন, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের মত অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকারের মত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জলবায়ুর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে আরো বেশী বেশী বিবেচনা করতে শুরু করে। কারন মানুষের সকল মানবাধিকারই মূলত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জলবায়ুর উপর নির্ভর করে। এমন কি ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অব হিউম্যান রাইটসও অনেকগুলো মানবাধিকার যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জলবায়ুর সাথে সম্পর্কযুক্ত তা স্বীকৃতি দিয়েছে।

তাছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এর মতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সকল মানবাধিকারের প্রতি হুমকি। আবার অ্যাডভাইজারী কাউন্সিল অব জুরিস্ট অব দি আশিয়া-প্যাসিফিক ফোরাম অন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইন্সটিটিউশনস এর মতানুযায়ী পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষা করা স্বাস্থ্যের অধিকার ও জীবনের অধিকারের মত কনটেম্পোরারি হিউম্যান রাইটস ডক্ট্রিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বস্তুত, সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র, নাগ্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি, নির্যাতনের বিরুদ্ধে চুক্তি এবং শিশু অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি সহ সকল ঘোষণা পত্র ও চুক্তির স্বীকৃত অনেকগুলো মানবাধিকার শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হুমকির সম্মুখীন হয়। তাইত এইসকল ঘোষণা ও চুক্তির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে প্রত্যেক রাষ্ট্রের দায়িত্ব জল্বায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসকল মানবাধিকার লংঘিত হয় তা প্রতিকারের ব্যবস্থা করা অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জলবায়ু নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: বেশ গুরুত্বপূর্ন ইস্যু নিয়ে লিখবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু লেখাটি হয়েছে সাদামাটা গোছের। জলবায়ু পরিবর্তন বলতে কোন এলাকার গড় জলবায়ুর দীর্ঘ মেয়াদী পরিবর্তনকে বোঝায় যেটি কিনা চলতে পারে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। আর আমাদের এই পৃথিবী হাজার হাজার বার জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়েছে পূর্বে। জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারন হল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যেটির মূলে রয়েছে শিল্পবিপ্লব ও কার্বন নিঃসরণ।

কিয়োটো প্রটোকল নিয়ে আপনি কোন কথা বলেন নি শুধু আন্তর্জাতিক চুক্তি বলে দায় সেরেছেন অথচ কিয়োটো প্রটোকল নিয়ে বলবার অনেক জায়গা ছিল বিশেষত বৈশ্বিক বানিজ্য তথা রাজনীতি। মানবাধিকারের কথা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে রিলেট করে। চমৎকার তবে মানবাধিকারের সংজ্ঞাটা হাস্যকর। মানবাধিকার হল হল এমন কিছু সহজাত মৌল অধিকার ও স্বাধীনতা যা সকল মানব শিশু আপনা আপনি পাওয়ার অধিকারী।

প্রচুর টাইপো রয়েছে লেখায়। যাই হোক লেখায় ভালোলাগা রেখে গেলাম!

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষের ভেতর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না, বিশেষ করে ব্যবসায়িক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে যাদের কলকারখানা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.