নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.shahanur.blogspot.com www.facebook.com/Shahanur.Saikot

সৈকত বিআইএইচআর

আধুনিক দাসত্বের জীবন, চিন্তার স্বাধীনতাহীন বাক্সবন্দী বিবেক! মনুসত্ত্বহীন........মনে হয় সব ছেড়ে পালিয়ে যাই- আদিম থেকে আদিমে!পাহাড়, বন, নদী, ঝরনাধা্রা আর পাখির কলতান অথবা.....

সৈকত বিআইএইচআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দ উৎসব থেকে সমকামী যুবক গ্রেফতার: মানবাধিকারে ওপর চপেটাঘাত!

২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

গত ১৮ মে ২০১৭ ইং তারিখ দিবাগত রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি কমিউনিটি সেণ্টারে অনুষ্ঠিত আনন্দ সমাবেশ/উৎসব থেকে ২৭ জন সমকামী যুবক গ্রেফতারের ঘটনায় যৌন প্রবৃত্তিগত সংখ্যালঘু সমকামী সম্প্রদায় আজ বড় বেশী উদ্বিগ্ন। যদিও কৌশলে আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের দণ্ডবিধির ৩৭৭ নং ধারায় গ্রেফতার না দেখিয়ে মাদক দ্রব্য রাখার অপরাধে গ্রেফতার দেখিয়েছে, যেন কেউ প্রশ্ন করলে তাদের সমকামীতার অপরাধে নয়, আর দশটি নিয়মিত অপরাধে গ্রেফতার করেছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংঠন এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও দেশসমূহকে ঘোড়াবুঝ দিতে পারে!

উক্ত গ্রেফতারের ঘটনা সমকামী সম্প্রদায়ের মানবাধিকার ও বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ (আইনের চোখে সমতা), ২৮ (বৈষম্যহীনতা), ৩২ (ব্যক্তিগত স্বাধীনতা) এবং ৩৭ (সমাবেশের অধিকার) অনুচ্ছেদ কর্তৃক প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এর স্পষ্টত লংঘন। সাথে সাথে জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ (ইউডিএইচআর) এর ২, ৩, ৭, ও ২০ নং অনুচ্ছেদ এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) এর ২১, ২৪ ও ২৬ নং ধারার লংঘনও বটে।

শান্তিপূর্ণ আনন্দ সমাবেশ/ উৎসব থেকে সমকামী যুবকদের গ্রেফতারের ঘটনা রাষ্ট্র কর্তৃক যৌন প্রবৃত্তিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ। উক্ত ঘটনার মাধ্যমে সরকার যৌন প্রবৃত্তিগত সংখ্যালঘু সমকামীদের নিষ্পেষণের মাধ্যমে অদৃশ্য থেকে অদৃশ্য করাসহ সমুলে উৎপাটন করার প্রয়াশ চালিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে হয়।

আজ এই পরিস্থিতে সমকামী যুবকদের গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো আর অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সমকামী যুবকদের মুক্তি প্রদানসহ দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল করে সমকামী ব্যক্তিদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান এখন সময়ের জোড় দাবী। তা না হলে সেইদিন খুব দূরে নয় যেদিন যৌন সংখ্যালঘু সমকামী সম্প্রদায়ের মত সকল ধর্মীয়, ভাষাগত, নৃতাত্ত্বিক ও লিংগীয় সংখ্যালঘু্দের অস্তিত্ব এ দেশ থেকে বিলীন হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



গত বছরের শেষের দিকে আপনার একটি পোস্ট অনেকের মত আমাদেরও দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছিল। 'অনলাইনে যৌন ব্যবসার প্রচারণার আড়ালে সেক্স ট্রাফিকিং: প্রশাসন নির্বিকার!' শিরোনামের সাহসী সে পোস্টটি ক্রমান্বয়ে আপডেট দিয়েছিলেন আপনি। তার আগে-পরে সম্ভবত: আপনার আর কোন পোস্ট পড়া হয়ে ওঠে নি। তা না হলেও ক্ষতি নেই। ঐ একটি পোস্টের জন্য আপনার জন্য আমাদের শুভকামনা ছিল অন্তহীন। সামাজিক এক দুষ্টক্ষতকে সবার সামনে যেভাবে প্রচন্ড সাহসিকতার সাথে হুমকি ধমকি উপেক্ষা করে তুলে ধরেছিলেন, সত্যি অভিভূত হয়েছিলাম। আপনার সে পোস্টটিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনের পরিবর্তে বরং তা লালনের অভিযোগ ছিল। আপনার জন্য দোআ করতে হয় নি। নিজের অজান্তেই তা সতত উৎসারিত ছিল।

দীর্ঘ দিন পরে সেই একই ব্যক্তির থেকে যখন সমকামী নামের বিকৃত রুচির অভিশপ্তদের পক্ষে সাফাই গেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখি, তখন আশ্চর্য না হয়ে পারি না।

সাহানুর ভাই, আপনার মত প্রকাশের অধিকারকে অবশ্যই শ্রদ্ধা করি। আমি জানি, আপনি মানবতাবাদী। এটা অনেক বড় গুন। কিন্তু, মানবতা দেখাবেন কার প্রতি? স্বয়ং মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক যে কাজটিকে জঘন্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করলেন এবং যে মারাত্মক অপরাধ করার কারনে একটি জাতিকে তিনি ধ্বংস করে দিলেন, তাদের? সমকামীদের ইতিহাস নিয়ে আপনি কি আল কুরআনে বর্নিত ঘটনাবলী দেখেছেন? আল্লাহর নবী হযরত লূত আলাইহিসসালামের জাতির ধ্বংসের ইতিহাস কি আপনার অজানা?

ভাই, এটাও ঠিক, সব কিছু আমাদের সকলের জানা থাকবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। আপনার মানবতাবাদী মানসিকতা থেকে হয়তো আপনি কথাগুলো বলেছেন, কিন্তু আমাদের সম্ভবত: স্রষ্টাবিরোধী, স্রষ্টার ইচ্ছের বিপরীতের কোন কর্মকান্ডে কারও প্রতি দরদ প্রদর্শনের সুযোগ নেই। সম্ভবত: মুসলিম হিসেবে এটা কোনভাবে আমাদের থাকার প্রশ্নও আসে না। তাহলে তো আমাদের ঈমান তথা বিশ্বাসকেই আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করলাম!

আল্লাহ পাকের প্রতি আমাদের বিশ্বাস মানে, আল্লাহর সমস্ত আদেশ-নিষেধ, সবগুলোকে নিশর্তভাবে মনে প্রানে মেনে নেয়া, বিনা প্রশ্নে গ্রহন করা। যেহেতু সমকামীগন আল্লাহর দৃষ্টিতে ঘৃনিত। তো, আমরা তাদের প্রতি দয়া দেখাতে যাব কোন সাহসে, কোন যুক্তিতে? যিনি তাদের স্রষ্টা, স্বয়ং তিনিই যদি নিকৃষ্ট কর্মকান্ডের কারনে তাদের প্রতি অভিশাপ বর্ষন করে থাকেন, তাহলে অন্য কে আছেন যিনি স্রষ্টার চেয়ে তাদের প্রতি বেশি দয়া দেখানোর যোগ্যতা রাখেন?

মুসলিম হিসেবে, সর্বোপরি একজন বিজ্ঞ ল'ইয়ার হিসেবে আমার ধারনা, এগুলো আপনার স্টাডির বাইরে থাকার কথা নয়। তারপরেও যদি দেখে নেন, অনেক খুশি হব।

ইচ্ছে করলে আপনি নিচের লিঙ্ক থেকে এ বিষয়ে কিছুটা জেনে নিতে পারেন।

কাসাসুল আম্বিয়া আঃ

ভাই, আপনি বিজ্ঞ ব্যক্তি। দয়া করে কথাগুলো অন্যভাবে নিবেন না। আপনার সাথে জাস্ট শেয়ার করা। আপনার উজ্জ্বল আগামী প্রত্যাশা করি। আশা করি, আপনার থেকে সামুতে আরও সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে পারব।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য! সমকামিতা যে স্বাভাবিক ব্যাপার তা একটু স্টাডি করলেই জানতে পারবেন। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। শুধু এইটুকু বলব সরকার স্মকামীদের গ্রেফতার করে তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। র যেখানেই মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে সেখানেই আমার কণ্ঠ উচ্চারিত!

২| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

সত্যের ছায়া বলেছেন: সম-কামিতা সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে জেন্ডার এবং সেক্সের মধ্যে পার্থক্য।

জেন্ডার হল নারী-পুরুষের সমতা, সম-অধিকার ও সম-মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং কাজের ক্ষেত্রে এক অপরের সম্পর্ক।

এতে আমাদের আপত্তি নেই।

সেক্স হলো নারী-পুরুষের বৈশিষ্ট্রের সূচকের মধ্যে ভিন্নতা যা শারীরিক গঠনের ভিত্তিতে নারী পুরুষ আলাদা স্বাতন্ত্র নির্ধারণ করে শারীরবৃত্তীয় জৈবিক চাহিদা পূরণ করে।

এটা প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক ঘটনা। রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় আইনে এর কতগুলো Terms and Conditions আছে। এই Terms and Conditions এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে যারা শারীরবৃত্তীয় জৈবিক চাহিদা পূরণ করে (সেটা হউক বিপরীত মুখী কিংবা সমমুখী) তাকে আমরা যিনা বা ব্যভিচার নামে অভিহিত করি। যা রাষ্ট্রীয় আইনে আপরাধ। (এই সম্পর্কে অনেক আইন আছে যেটা আপনার জানার কথা)

সমকামিতা যেহেতু Terms and Conditions ভঙ্গ করে তাই ইহাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায়।
এবং তাদের কাছে যেহেতু লুব্রিকেন্ট এবং মাদক পাওয়া গেছে (যা রাখা রাষ্টীয় আইনে অপরাধ) সেহেতু ধরা যায় তারা নাশকতার পরিকল্পণায় লিপ্ত ছিল।

এখন, সংবিধানে তাদের অধিকার দিতে হলে আগে তাদের সেক্স নির্ধারণ করতে হবে এবং তা সংসদে উত্থাপন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত লাগবে। যা আমাদের দেশে অপরিকল্পণীয়।

সোজা কথায়, সম-কামিতা হলো মানুষের কু-প্রবৃত্তি এবং প্রকৃতির বিপরীত মুখী। তাই ইহাকে নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরী।

মনে রাখবেন আইন, ম্যানুয়াল এগুলো মানুষের কল্যাণে পাশ হয় এবং তা মানুষ পাশ করে। যদি তা সমাজে বিশৃখলা সৃষ্টি করে তা এড়িয়ে যাওয়া উত্তম।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: সমকামিতা সম্পর্কে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতবাদগুলো জানুন তাহলে বুঝতে পারবেন সমকামিতা আসলে প্রকৃতি বিরুদ্ধ কিনা? আর হ্যা কনডম আর লুব্রিকেন্টস কি বিস্ফোরক দ্রব্য?

৩| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

মানবী বলেছেন: "উক্ত গ্রেফতারের ঘটনা সমকামী সম্প্রদায়ের..."

- "সমকামী সম্প্রদায়" ? :-)
ড্রাগ বা মাদক সহকারে ধর পড়েছে, সমকামী দেখে ধরেনি মনে হয়।
আজ এরা ২৭ জন সমকামী না হয়ে যদি ২৭ জন বুয়েট বা ঢাকা কলেজের ছাত্র মাদকদ্রব্য সহ ধরা পরতো, তখন কি শিরোনাম দিতেন "আনন্দ উৎসব থেকে ঢাকা কলেজ/বুয়েটের ছাত্র গ্রেফতার: মানবাধিকারে ওপর চপেটাঘাত!" ?

তাই যদি না হয়, এখন সমকামী দেখে আলাদা ভাবে সহানুভূতি দেখানোটা যৌক্তিক কিনা ভেবে দেখা জরুরী!


ভালো থাকুন।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ২৭ জন সবার কাছ থেকে ত আর মাদক দ্রব্য পায় নি? যেখানে শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে দেদারসে মাদক দ্রব্য বিক্রয় এবং ব্যবহৃত হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে সেখানে সমকামীদের আনন্দ উৎসব থেকে সামআন্য একটু মাদক দ্রব্য সহকারে গ্রেফতার কিসের লক্ষন?

৪| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিতর্কমুলক ব্যাপার স্যাপার!

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গির ব্যপার

৫| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: @ সত্যের ছায়া।

সোজা কথায়, সম-কামিতা হলো মানুষের কু-প্রবৃত্তি এবং প্রকৃতির বিপরীত মুখী।

কোথায় পাইছেন এই যুক্তি ভাই?
সমাকামীতা ডান-হাতী বাম-হাতী হওয়ার মতই একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
পড়াশুনা করে জেনে আসবেন দয়াকরে।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: সহমত

৬| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:




হাতুড়ে, প্রিয় ভাই আমার, স্রষ্টার সৃষ্টির স্বাভাবিক নিয়মকেই তো আমরা প্রকৃতি বলি, প্রাকৃতিক নিয়ম বলে ধরে নিই। পরস্পর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত আকর্ষন স্রষ্টা প্রদত্ত। এটাকেও প্রাকৃতিক নিয়মেরই একটি অনুসঙ্গ ধরতে হয়। এর বিপরীত, অর্থাৎ সম লিঙ্গের প্রতি পরস্পরের যে কৃত্রিম আকর্ষন কিংবা যুক্তিহীন বন্ধনের কথা বলা হয়, সেটাকে কি প্রকৃতি বিরুদ্ধ বলবেন না?

নারী পুরুষের মিলনে সন্তান উৎপাদন সম্ভব। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম। এই নিয়মেই আদি কাল থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবী চলে এসেছে। এর ব্যত্যয় হলে পৃথিবীর আবাদ উন্মেষ উন্নয়ন কোনটিই সম্ভব হত না। স্রষ্টার এই চিরাচরিত নিয়মকে যারা ব্যর্থ করে দিয়ে পুরুষে পুরুষে কিংবা নারীতে নারীতে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের নামে রুচি বিরুদ্ধ অপকর্মে লিপ্ত হতে চান, তাদের এগুলোকে প্রকৃতি বিরুদ্ধ অনৈতিকতা অথবা বিকৃত অসুস্থ মানসিকতা না বলে উপায় কি?

ভাই, ভালই আছেন আশা করি।
আপনার সাথে অনেক দিন কথা হয় না। ঐ যে হাতুড়ের কঠিন আঘাতে মিথ্যের পলেস্তরা খসে পড়ার কথা বলেছিলাম কবে। সেতো কত দিন হয়ে গেল।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: প্রেম ভালবাসা যৌনতা কি শুধুমাত্রই সন্তান উৎপাদনের জন্য?

৭| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: নতুন নকিব

আমার কথা হয়তো আপনি অনুধাবন করতে পারেননি।

স্রষ্টার সৃষ্টির স্বাভাবিক নিয়মকেই তো আমরা প্রকৃতি বলি, প্রাকৃতিক নিয়ম বলে ধরে নিই। পরস্পর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত আকর্ষন স্রষ্টা প্রদত্ত। এটাকেও প্রাকৃতিক নিয়মেরই একটি অনুসঙ্গ ধরতে হয়। এর বিপরীত, অর্থাৎ সম লিঙ্গের প্রতি পরস্পরের যে কৃত্রিম আকর্ষন কিংবা যুক্তিহীন বন্ধনের কথা বলা হয়, সেটাকে কি প্রকৃতি বিরুদ্ধ বলবেন না?


আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বেশিরভাগ রোগ, বিশেষ করে ক্রনিক রোগগুলোর জন্যে বহুবিধ কারণ দায়ী। এটাকে বলা হয় মাল্টি ফ্যাক্টোরিয়াল মডেল। যেমন ধরুন স্তনের ক্যান্সার। কারো স্তন ক্যান্সারের বংশগত জিন শরীরে থাকে, কিন্তু তা থাকলেই যে রোগ হবে, এমন কথা নেই। হয়তো খাদ্যাভ্যাস, বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, বয়স ইত্যাদি অন্যান্য ফ্যাক্টর বা উপাদান মিলিয়ে একজনের স্তন ক্যান্সার হয়। ডায়াবেটিসও তাই। শরীরে জিন থাকে কিন্তু তারপরও খাবারের অভ্যাস, ব্যায়াম না করা, এমন কি কী পরিবেশে বড় হলো - সব মিলিয়ে তার রোগটি হবে।

সমকামিতার ব্যাপারটাও তাই। আগে ডাক্তার, বিজ্ঞানী কেউ বুঝতে পারে নি যে, এটা কোন রোগ না। মানসিক রোগের কোন শর্তও এটা পূরণ করে না। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষ, যাদের আমরা প্রতিদিন দেখি, তারা সমকামী, কিন্তু সামাজিক, নৈতিক, প্রফেশনাল দিক থেকে এরা অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষের মতোই। বিজ্ঞানে যা এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা হলোঃ এদের শরীরে একটি বিশেষ জিন (জিনেটিক প্যাটার্ন) থাকে যা বিষমকামীদের থাকে না। কিংবা, পৃথিবীর কেউ-ই ১০০ ভাগ সমকামী বা ১০০ ভাগ বিষমকামী হয়ে জন্মায় না। এদের মস্তিস্কের নিউরনের নিউরোট্রান্সমিটার, হরমোন এগুলোও কিছুটা ভিন্ন। অন্য আরেকটি ফ্যাক্টর হলো 'এপিজিনেটিক' যা পরিবেশ এমন কি বাবা-মার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেও যুক্ত।

তাহলে একজন সমকামী হবার পেছনে অনেক কারণ যুক্ত যার অনেকগুলোই নিজেদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। যার দরুণ আপনি অথবা আমি চাইলেও সমকামী হতে পারবো না। অথবা সমকামি ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তাই। এবার আমাকে বলুন এটা প্রকৃতি বিরুদ্ধ কি করে??



নারী পুরুষের মিলনে সন্তান উৎপাদন সম্ভব। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম। এই নিয়মেই আদি কাল থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবী চলে এসেছে। এর ব্যত্যয় হলে পৃথিবীর আবাদ উন্মেষ উন্নয়ন কোনটিই সম্ভব হত না। স্রষ্টার এই চিরাচরিত নিয়মকে যারা ব্যর্থ করে দিয়ে পুরুষে পুরুষে কিংবা নারীতে নারীতে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের নামে রুচি বিরুদ্ধ অপকর্মে লিপ্ত হতে চান, তাদের এগুলোকে প্রকৃতি বিরুদ্ধ অনৈতিকতা অথবা বিকৃত অসুস্থ মানসিকতা না বলে উপায় কি?


সন্তান জন্মানোই যদি বিয়ের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে প্রকৃতিগতভাবে যারা বন্ধ্যা, তাদের কি বিয়ের অধিকার থাকবে না? সন্তান উৎপাদনের জন্যে কি একমাত্র যৌন সঙ্গমই প্রয়োজন? সেকথা না হয় বাদই দিলাম। একটি সন্তান উৎপাদনে অক্ষম যুগল যখন মিলিত হন, তখন কি সেখানে কেবলই যৌনতা থাকে? ভোগবাদীতা থাকে? পৃথিবীতে যতো সমকামী যুগল, তার চেয়ে অনেক বেশি বিষমকামী যুগলের কোন সন্তান নেই। তবে কি সেখানে কোন বাৎসল্য থাকে না? বিবর্তনের শারীরবিদ্যা না জানা থাকলেই এমন সরলীকরণ করা যায়।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিত ব্যখ্যার জন্য!

৮| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বলার কিছু নেই।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: চুপ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ!

৯| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

জেন রসি বলেছেন: যা বলতে চেয়েছিলাম তার কিছু ব্যাপার ব্লগার হাতুড়ি লেখক ব্যাখ্যা করেছেন।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: গুড!

১০| ২০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

নতুন বলেছেন: সমকামী হওয়াতে সমস্যার কিছু দেখিনা। আমারও মনে হয় এটও বাহাতী মানুষ যেমন হয় তেমন প্রাকৃতিক ব্যপার হতে পারে।

বিদেশে অনেকেই সমকামী সাধারন মানুষের মতন চলাফেরা করে এবং কখনোই কাউকে ডিস্ট্রাবকরেনা। তারা তাদের মতন জীবনজাপন করে... এবং সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

কিন্তু ওরজী বা গ্রুপ জাতীয় কিছুর আয়োজন অবশ্যই বাড়াবাড়ী... এবং সেটা অবশ্যই ভদ্রতাকে অতিক্রম করে যায়...

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: বাট সেইটা যদি অন্দর মহলে হয় তবে ক্ষতি কি?

১১| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনি কি শিওর ওরা সমকামী হিসেবেই ধরা পড়েছে, কোন আইন লঙ্ঘন করেনি? তাদের কাছে ড্রাগ বা মাদক পাওয়া যায়নি, সে ব্যাপারে কতটুকু শিওর?

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: তারা কি ড্রাগ বিক্রেতা ছিল? প্রতিনিয়ত রাজধানীর অভিজাত পাড়ায় দড্রাগ এর জমজমাট পার্তী হচ্ছে সেইসব জায়গায় কিন্তু প্রশাসন নিরব!

১২| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫২

খরতাপ বলেছেন: সমকামিতা যাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার, পশুকামিতা, বহুগামিতা, শিশুকামিতা এবং ধর্ষণ তাদের কাছে পুণ্যের কাজ বলেই আমার মনে হয়। তাহলে কেউ ধর্ষিত হলে এরা কি আফসোস করে যে ঐ মেয়েটা না হয়ে নিজে কেন ধর্ষিত হলনা?

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: কখনো কি দেখেছেন কোন সমকামী কাউকে ধর্ষ্ণ করেছে?

১৩| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১১

মানবী বলেছেন: এই পোস্টের মূল বক্তব্য "মানবাধিকারে ওপর চপেটাঘাত"!!!!

২৭ জন যুবক মাদকদ্রব্য সহ গ্রেফ্তার হলে তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় কিনা!
দুই প্রিয় ব্লগার এখানে কি নিয়ে আলোচনা করছেন!!!!

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: সমকামীদের গ্রেফতারের পিছনে মাদকদ্রব্য যতণা মুখ্য বিষয় ছিল তারচেয়ে মূখ্য বিষয় ছিল সমকামীতা!

১৪| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান সব কিছুতে চুপ থাকতে পারে না। সমকামীতা সমাজের আবর্জনা। এই আবর্জনা দূর করাটাই উচিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে এসব কখনোই মানা যাবে না। আর দেশের আইন মানা(ভালো না লাগলেও) সকল নাগরিকের কর্তব্য...

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: মুসলিম সংখ্যাগড়িষ্ট দেশ বলেই কি যৌনপ্রবৃত্তিগত সংখ্যালঘুদের মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন.।কি মহান মানসিকতা আপনার!

১৫| ২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় হাতুড়ে,
অনেক অনেক ধন্যবাদ, তথ্যপূর্ন সুন্দর উত্তরদানে। যদিও আপনার বিশ্লেষন সুন্দর, কিন্তু ইসলাম ধর্মের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রেখে আবারও একটু কিছু লিখতে হচ্ছে। আশা করি, বিরক্ত হবেন না। আর যে প্রত্যাশা মনের কোনে লুকিয়ে রয়েছে, তা হচ্ছে আপনার সুখময় সুন্দর জীবন। আশা করি দারুন সময় উপভোগ করছেন।

//সমকামিতার ব্যাপারটাও তাই। আগে ডাক্তার, বিজ্ঞানী কেউ বুঝতে পারে নি যে, এটা কোন রোগ না। মানসিক রোগের কোন শর্তও এটা পূরণ করে না। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষ, যাদের আমরা প্রতিদিন দেখি, তারা সমকামী, কিন্তু সামাজিক, নৈতিক, প্রফেশনাল দিক থেকে এরা অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষের মতোই। বিজ্ঞানে যা এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা হলোঃ এদের শরীরে একটি বিশেষ জিন (জিনেটিক প্যাটার্ন) থাকে যা বিষমকামীদের থাকে না। কিংবা, পৃথিবীর কেউ-ই ১০০ ভাগ সমকামী বা ১০০ ভাগ বিষমকামী হয়ে জন্মায় না। এদের মস্তিস্কের নিউরনের নিউরোট্রান্সমিটার, হরমোন এগুলোও কিছুটা ভিন্ন। অন্য আরেকটি ফ্যাক্টর হলো 'এপিজিনেটিক' যা পরিবেশ এমন কি বাবা-মার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেও যুক্ত।

তাহলে একজন সমকামী হবার পেছনে অনেক কারণ যুক্ত যার অনেকগুলোই নিজেদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। যার দরুণ আপনি অথবা আমি চাইলেও সমকামী হতে পারবো না। অথবা সমকামি ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তাই। এবার আমাকে বলুন এটা প্রকৃতি বিরুদ্ধ কি করে??//


-ভাই হাতুড়ে,
জীব-জগতের সবকিছুকে বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে কিংবা বিজ্ঞান দিয়ে মেপে মেপে ব্যাখ্যা করা যায় না। আবার বিজ্ঞান ছাড়াও কোন পৃথিবী কল্পনা করা আজ আর সম্ভব নয়। বিজ্ঞানের এরকম অসংখ্য অসঙ্গতি প্রতিনিয়ত আমাদের যাপিত জীবনে প্রকাশ পাচ্ছে, যা বিজ্ঞানের থিউরীতে সঠিক বলে ধরে নেয়ার পরে আবার ক্ষনিক পরেই সেটি ঠিক নয় বলে মেনে নিতে হয়। নতুন একটি থিউরী এসে তার জায়গা দখল করে নেয়। বিজ্ঞান কোথাও থেমে থাকে না। গবেষনার মাধ্যমে আজ বিজ্ঞান যেটাকে 'সঠিক' বলে মত দেয়, দেখা যায়, পরবর্তী অধিকতর উন্নত গবেষনার মাধ্যমে পূর্ববর্তী গবেষনায় প্রাপ্ত সেই 'সঠিক' টি 'বেঠিক' বলে প্রমান হয়ে যায়। সঙ্গত কারনে, বিজ্ঞানের চূড়ান্ত কিংবা শেষ অথবা নির্ভুল বলে কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা কঠিন। হ্যাঁ, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, চিকিতসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা রোগ নির্নয়, রোগ নিরাময়, ওষুধ উতপাদন ইত্যাদি অনেক বিষয়ে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধনে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু, বিশেষ জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারনে কিংবা মস্তিস্কের নিউরনের নিউরোট্রান্সমিটার, হরমোন ইত্যাদির কারনে সমকামীগন বাকী পৃথিবীর স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত মানবগোষ্ঠীর থেকে আলাদা বলে বিজ্ঞান প্রমান করেছে বলে যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন, এই গবেষনার অথেন্টিসিটি নিয়ে কি কোন প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকতে পারে না? এই গবেষনার পরবর্তী আরও আরও গবেষনায় এগুলো বেঠিক বলে প্রমানিত হবে না, তারও কি কোন নিশ্চয়তা দেয়া যায়?

আর 'সন্তান উতপাদনই নারী পুরুষের বিয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য' তা কিন্তু বলি নি। যেটা বলেছি, তা হল, নারী পুরুষের মিলনে সন্তান উৎপাদন সম্ভব, এবং এটা প্রাকৃতিক নিয়মেরও অংশ বটে। আপনার পরের প্রশ্নের জবাবে বিনীতভাবে বলতে চাই, যারা বন্ধা তাদের বিয়ের অধিকার থাকবে না কেন? আমরা কি কোথাও তা বলেছি? বিবর্তনের শারিরীক বিদ্যা জানা থাকার মানে কি সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া?

আচ্ছা, এবার আসি সমকামিতার কুফল সম্মন্ধে একটু আলোকপাত করি,
সমকামিতার অসংখ্য কুফলের ভেতরে সবচে' ইমপোর্টেন্ট যে বিষয়টি সামনে চলে আসে সেটি হচ্ছে, আজকের বিশ্বের 'অপ্রতিরোধ্য মরনব্যধি এইডস' এর জনক হিসেবে সমকামিতাকে বাদ দেয়ার কোন উপায় নেই। এযাবত প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষনে দেখা যায়, মানব জাতির জন্য অভিশাপ হয়ে আসা এই মরনব্যধির আগমন ঘটেছে পশুকামিদের দ্বারা। এই সব বিকৃতকাম মানুষগুলো মানব সভ্যতায় এক মরণ বীজ রোপন করে গেছেন, যার ফল মানব সমাজকে আরো কত শতাব্দী বয়ে বেড়াতে হবে ধারনা করা কঠিন। পশুকামীদের দ্বারা সংক্রমিত এই রোগ প্রথম ধরা পড়ে সমকামিদের মধ্যে। অপ্রিয় হলেও সত্য, সেজন্য অনেকেই সমকামিতাকে এইডস রোগের মূল ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।

ইসলামে সমকামিতা-
মানব সভ্যতার উন্নয়নে সমকামিতা এক বড় অন্তরায়। পৃথিবীতে মানুষের ফ্যামিলি ট্রি বাঁচিয়ে রেখেছে প্রজনন ধারা। সমকামিতা এমনই এক স্থবির সিস্টেম যেখানে বংশবিস্তারের কোন সুযোগ নেই। সঙ্গত কারনে ইসলাম সমকামিতার মত জঘন্য ব্যবস্থাকে তার অনুসারীদের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।

হাদিস ও কুরআনের আলোকে সমকামিতা-
আল কুরআন এবং হাদিসের নানা জায়গায় সমকামিতাকে কঠোরভাবে তিরষ্কার করা হয়েছে। আল কুরানের অনেক স্থানে লুত আলাইহিসসালাম এর কওমের কথা বলা হয়েছে যাদেরকে সমকামিতার অপরাধের জন্য আল্লাহ রব্বুল আলামিন ধ্বংস করে দেন। লুত আলাইহিসসালাম এর কওম বাস করত সোদম নগরীতে। এই সোদম থেকে ইংরেজী সোডোমি শব্দটি এসেছে যেটা পায়ুকাম বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। আল কোরআনের কয়েকটি আয়াতের রেফারেন্স দেয়া হল। ইচ্ছে করলে দেখে নিতে পারেন-

১। সুরা আল আরাফের ৮০-৮৪ আয়াত
২। সুরা হুদ এর ৭১-৮৩ আয়াত
৩। সুরা আল আম্বিয়া এর ৭৪ আয়াত
৪। সুরা আল হাজ্জ্ব এর ৪৩ আয়াত
৫। সুরা আশ-শুয়ারা এর ১৬৫-১৭৫ আয়াত
৬। সুরা আন-নামল এর ৫৬-৫৯ আয়াত
৭। সুরা আনকাবুত এর ২৭-৩৩ আয়াত

এবার আসুন আমরা দেখি হাদিসে কি বলা হয়েছে-
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস ও সীরাহ অধ্যয়নে জানা যায়, হাদিসে সমকামিতাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। হাদিসের কিতাবগুলো খুললে দেখা যায়, এই গর্হিত অপরাধের কঠোর শাস্তির কথাও ব্যক্ত করা হয়েছে তাতে। ইচ্ছে করলে এই বিষয়ক অনেক হাদিসের উদ্ধৃতি দেয়া যায়। কলেবর বৃদ্ধির চিন্তায় তা থেকে বিরত থাকলাম।

ইমাম শামসুদ্দিন আযযাহাবী তার বিখ্যাত 'কিতাবুল কাবায়ের' গ্রন্থে কবিরাহ গোনাহ বা মহাপাপ হিসেবে যে বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করেছেন তার ১০ নং ক্রমিকে স্থান দিয়েছেন ব্যভিচারকে। সেখানে সমকামিতা সম্পর্কেও তিনি কুরআন হাদিসের আলোচনা প্রমানসহ সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরেছেন। ইচ্ছে করলে নিচের লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন-
Kabirah Gunah

সর্বোপরি বলতে হয়, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুসারে, মানব গোষ্ঠীর ভেতরে যারা লূত আলাইহিসসালামের কওমের মত পাপাচারে লিপ্ত হয় তারা মুলত স্রষ্টার সৃষ্টির পথে বাধা সৃষ্টি করে। সৃষ্টির স্বাভাবিক গতিধারাকে রুদ্ধ করে দিতে চায়। এক কথায় তারা স্রষ্টার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এটা নৈতিকতা, প্রাকৃতিক নিয়ম তথা সৃষ্টিগত স্বাভাবিকতা পরিপন্থী, বিকৃত রুচি এবং নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচায়ক।

ভাল থাকবেন, ভাই।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ইসলামে যেহেতু সমকামিতা নিশিদ্ধ করেছে সেহেতু সমকামীদের যৌনপ্রবৃত্তিগত আচরণ ও পরিবর্তন করে দেয়া উচিত ছিল। যেহেতু সমকামিতা সাধারন ব্যপার সেহেতু ইসলামের এ বিষয়ে নিরব থাকায় উত্তম.।

১৬| ২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: তারা এ্যাকচুয়ালি করতেছিলোটা কী?

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: আনন্দ উৎসব!

১৭| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "তা না হলে সেইদিন খুব দূরে নয় যেদিন যৌন সংখ্যালঘু সমকামী সম্প্রদায়ের মত সকল ধর্মীয়, ভাষাগত, নৃতাত্ত্বিক ও লিংগীয় সংখ্যালঘু্দের অস্তিত্ব এ দেশ থেকে বিলীন হয়ে যাবে।"
মুড়ি মুড়কি সব এক কইরা ফেললেন দেহি ! ধর্মীয়, ভাষাগত ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সাথে হোগাজীবীরাও সংখ্যালঘু !

@ হামা ভাই ! উহারা হোগামারামারির উৎসব করিতে গিয়াছিল ! অপব্যবহারে ডান্ডা পেনশনে চলিয়া যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় মাদকদ্রব্যের সাহায্যে পতাকা সবল রাখিতে চেষ্টা করিয়াছিল ! বেরসিক পুলিশ আসিয়া উনাদের হোগায় ব্যারিকেড দিয়াছে !

এতো চেঁচামেচি ভালো লাগে না। সরকার বাহাদুরের কাছে অনুরোধ , হোগাজীবী ও তাহাদের সমর্থকদের আমেরিকা , জার্মানির হোগাজীবীদের কাছে রপ্তানি করা হোক। দেশ প্রভূত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করিতে পারিবে। উহাদের চেচাঁমেচিও বন্ধ হইবে !

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: দেশ কি শুধু আপনাদের বসবাসের জন্য?

১৮| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত! ছোট্ট একটা ভুল হয়ে গিয়েছিল। পূর্বোক্ত মন্তব্যে প্রদত্ত ইমাম শামসুদ্দিন আযযাহাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিখ্যাত 'কিতাবুল কাবায়ের' গ্রন্থের ১০ নং এর স্থানে ১১ নং হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। লিঙ্কটি পুনরায় দেয়া হল-

Kabirah Gunah

শুভকামনা সকলের জন্য।

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ধর্ম যেখানে অধিকার কেড়ে নেই সেখানে ধর্মকে আভোয়েড করে চলাই শ্রেয়!

১৯| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



সাহানুর ভাই,
অনেক ধন্যবাদ,
দেরিতে হলেও উত্তরে আসায়। এই পোস্টে সর্ব প্রথম যে কমেন্টটি রয়েছে সেটি আমার। আপনার অনুপস্থিতিজনিত কারনে হোক কিংবা অন্য যে কারনেই হোক, প্রিয় সহব্লগার হাতুড়ের সাথে এ বিষয়ে ডিসকাশন চলছিল। যাক, ইতোমধ্যে আপনি এলেন দেখে ভাল লাগলো। আশা করি সুন্দর, মুঠি মুঠি রোদমাখা তপ্ত জ্যৈষ্ঠর দগ্ধ প্রহরগুলো পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন নিরবচ্ছিন্ন মগ্নতায়। তা, সাহানুর ভাই, আপনি কি আমার প্রতিটি কমেন্ট একটু মনযোগ দিয়ে দেখেছেন? দেখে থাকলে তো এরকম এ্যানসার করতেন বলে মনে হয় না। আসুন, আপনার কমেন্টসগুলোর দিকে একটু দৃষ্টিপাত করি-

১ নং কমেন্টের উত্তরে বলেছেন-
//লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য! সমকামিতা যে স্বাভাবিক ব্যাপার তা একটু স্টাডি করলেই জানতে পারবেন। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। শুধু এইটুকু বলব সরকার স্মকামীদের গ্রেফতার করে তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। র যেখানেই মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে সেখানেই আমার কণ্ঠ উচ্চারিত!//

আপনার প্রতিমন্তব্যে আমরা বলতে চাই-
আপনার সদয় অবগতির জন্য বিনীতভাবে জানাচ্ছি যে, সমকামিতা স্রষ্টা প্রদত্ত কোন স্বাভাবিক যৌন পদ্ধতি নয়। এটি বিকৃত রুচির, পশু স্বভাবের বিকৃতকাম ইতর শ্রেনির মানব গোষ্ঠীর নিকৃষ্টতম মন্দ কাজ। এগুলোর মাধ্যমে তারা আপনাদের মত বিজ্ঞজনদের ভাবনার খোরাক হিসেবে এইডস আমদানী করেছেন। আপনারা এখন মাথা খাটান। চুলের দফা রফা হবে ঠিক, কিন্তু, আল্লাহর গজব এইডস নিয়ে কূল কিনারা করা বোধ হয়, আর হয়ে উঠল না।

সরকার কর্তৃক কারও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার প্রতিবাদ ইচ্ছে করলে আপনি করতে পারেন। এটা আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছে অনিচ্ছার ব্যাপার। তবে, উকিল ভাই, আমাদের মনে রাখতে হবে- অপরাধীকে রাষ্ট্র যখন শাস্তি দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়, তখন সেখানে মানবাধিকার মানবাধিকার বলে চিতকার করাটাও আরেকটা অন্যায়। এই সব সমকামী ইতরশ্রেনির লোকজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সময় তাদের নিকট মাদক দ্রব্য পাওয়া গিয়েছে বলে আমরা খবরে জানতে পেরেছি। সমকামীতার অভিযোগ ছাড়াও তো এরা আইনের দৃষ্টিতে মাদক বহন, সেবন ইত্যাদির দায়ে অভিযুক্ত হতে পারেন। তো, এই অপরাধীদের পক্ষে এত সাফাই কেন? আপনারা কি মাদকের পক্ষে? দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাদক দ্রব্য ব্যাপক হয়ে উঠুক- আপনাদের কি তাই চাওয়া-পাওয়া? ইউরোপ-আমেরিকার মত এখানের ক্লাবে ক্লাবে, পার্কে, সী-বিচগুলোতেও যৌন উতসব শুরু হোক- আপনাদের কি তা একান্তই কামনা? আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন।


৩ নং কমেন্টের উত্তরে বলেছেন-
//২৭ জন সবার কাছ থেকে ত আর মাদক দ্রব্য পায় নি? যেখানে শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে দেদারসে মাদক দ্রব্য বিক্রয় এবং ব্যবহৃত হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে সেখানে সমকামীদের আনন্দ উৎসব থেকে সামআন্য একটু মাদক দ্রব্য সহকারে গ্রেফতার কিসের লক্ষন?//

আপনার প্রতিমন্তব্যে আমাদের কথা-
জ্বি, ভাই! এটাতো সরকারী বাহিনীর মহাঅন্যায় দেখছি!!! সামান্য পরিমান মাদক বলে কথা! তা, আপনি পরিমানটা উল্লেখ করলে আরেকটু ভাল হত না!

আচ্ছা, সাহানুর ভাই, সামান্য পরিমান বিষ কেউ যদি আপনাকে খেতে দেয়, আপনি কি খাবেন? সামান্য পরিমান এসিড যদি কেউ কারও গায়ে লাগিয়ে দেয় সেটাকে কি অপরাধ বলা যাবে? সামান্য পরিমান আগুন কেউ যদি আপনার কাপড়ে ছুঁড়ে দেয়, তাহলে কি তা খুব বড় অন্যায় বলে বিবেচিত হবে?

এগুলোর প্রত্যেকটি যদি আপনার দৃষ্টিতে জঘন্য গর্হিত কাজ বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে কেন এমন যুক্তিহীন কথা বলেন, প্রিয় ভাই আমার? একজন জ্ঞানী ব্যক্তির পক্ষে এই ধরনের যুক্তিহীন কথা কিভাবে বলা সম্ভব- ভেবে পাই না!

১৫নং কমেন্টের উত্তরে বলেছেন-
//ইসলামে যেহেতু সমকামিতা নিশিদ্ধ করেছে সেহেতু সমকামীদের যৌনপ্রবৃত্তিগত আচরণ ও পরিবর্তন করে দেয়া উচিত ছিল। যেহেতু সমকামিতা সাধারন ব্যপার সেহেতু ইসলামের এ বিষয়ে নিরব থাকায় উত্তম.।//

আমাদের কথা-
ভাই, একথা কাকে বলছেন? ইসলাম ধর্মের মালিককে? তিনি তো স্বয়ং আল্লাহ পাক! আল্লাহ পাকের সৃষ্টিগত ভুল (না্উজুবিল্লাহ!) সংশোধনের চেষ্টা করছেন? আল্লাহ পাকের কাছে মাফ চাচ্ছি। তিনি আমাদের মাফ করুন।

১৮নং কমেন্টের উত্তরে বলেছেন-
//ধর্ম যেখানে অধিকার কেড়ে নেই সেখানে ধর্মকে আভোয়েড করে চলাই শ্রেয়!//

আমরা বলি-
ভাই, ধর্মকে এভয়েড! সর্বনাশ!! প্রিয় ভাই, আমার, এমন কথা বলতে নেই! আপনার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা রেখেই আপনাকে আল্লাহর দিকে রুজু হওয়ার বিনীত আহবান জানাচ্ছি।

আপনার অব্যহত কল্যান কামনা করছি। ভাল থাকবেন অহর্নিশ।

আল্লাহ পাকের কাছে মাফ চাচ্ছি। তিনিই একমাত্র ক্ষমাকারী।

০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: নির্ভরযোগ্য সুত্রে প্রাপ্ত যে উক্ত অনুষ্ঠানে মাদকের কোন ব্যবহার হয়নি। প্রশাসন তাদের কৌশলের অংশ হিসেবে বাহির থেকে তাদের সোর্সের মাধ্যমে মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে তাদের গ্রেফতার করেছে। আর হ্যা সমকামিতা যে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম তা এখন বিজ্ঞান কর্তৃক স্বীকৃত। তাছাড়া, ধর্ম বিশ্বাস সেত মানুষের একান্ত নিজস্ব ব্যপার, সেখানে কারো হস্তক্ষেপ করা মানাই না।

২০| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সাহানুর ভাই,
আপনার প্রতিবাদী মানসিকতাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, তা যেন কখনই স্রষ্টাবিরুদ্ধ না হয়, সেটাও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

ভাল থাকুন, ভাই।

০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: নিজস্ব বিশ্বাসবোধকে সবারই শ্রদ্ধা করা উচিত হোক না তা আপনার বিশ্বাসের পরিপন্থি.।

২১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সাহানুর ভাই,
অবশেষে উত্তরে আসায় অভিনন্দন।

আমার বিশ্বাস সকলে ধারন করবেন, সেটা বলি নি। বলতে চেয়েছি, আমরা যেন কোন বিষয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর বিরুদ্ধে অবস্থান না নেই। এড়িয়ে, চাপিয়ে কথা বলেন কেন, প্রিয় ভাই? উত্তর যথাযথ হওয়া বাঞ্চনীয়।

ভাল থাকবেন।

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: কেউ যদি আল্লাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও থাকে তবুও তার সেই অবস্থানকে সম্মান করাই উচিত হবে একজন মানুষ হিসে্বে.।।।

২২| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:







কথা ঠিক আছে। সম্মান শ্রদ্ধা পরস্পরে সর্বদাই রাখা উচিত। থাকা উচিত। সত্যি কথা বলতে কি, আপনার প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা পরিপূর্নভাবেই লালন করি। তবে মানুষ হিসেবে, বিশেষ করে, মুসলিম হিসেবে হাদিসের নির্দেশনা থেকে যা পাই, অবিরত অনবরত সতত অপর ভাইয়ের কল্যান কামনার নামই প্রকৃত ইসলাম। সুতরাং কাউকে, কোন মুসলিম ভাইকে আপনি আল্লাহ বিরোধী কোন কাজে কিংবা অবস্থানে দেখলে আপনার নৈতিক এবং ঈমানী দায়িত্ব তাকে সজাগ সতর্ক করে দেয়া।

তা না হলে তো কবির ভাষায়-

''অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,
তব ঘৃনা যেন তারে তৃনসম দহে।''

কিংবা-

''অন্ধ জনে চলতে যদি সামনে থাকে কূপ,
পাপ হবে তার দেখার পরে যে জন থাকে চুপ।''

ধর্মের অনেক বিষয়েই তো আমরা অন্ধের মত। ধর্মের জ্ঞান ক'জন কতটুকুই বা রাখি? বিশেষ করে সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিতদের অধিকাংশই তো ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী থাকেন না। সুতরাং তাদের কল্যান কামনা তো এটাই যে, কোন কাজে কোন ছন্দপতন দৃষ্টিগোচর হলে তা অবহিত করে দেয়া।

আর পরিশেষে, অপরের ভুল-ভ্রান্তি-ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখেও নিরবতা পালন করে যাওয়াটাও কি আরেকটি অন্যায় নয়?

ভাল থাকুন ভাই। আপনার মানবতাবাদী মানসিকতাকে আবারও শ্রদ্ধা, কিন্তু আমাদের প্রতিটি নি:শ্বাস যেন ব্যয়িত হয় মহান স্রষ্টার আনুগত্যকে প্রাধান্য দিয়ে। আল্লাহ পাক কবুল করুন।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: মানবতার চেয়ে বড় ধর্ম আর কিছু হতে পারে না! যে ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে বা মানুষের প্রতি বৈষম্য করে সে ধর্ম নিয়ে উচ্চ বাচ্য না করে নিরব থাকাটাই শ্রেয়!

২৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: আমার এক বন্ধু সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতো। শুধু তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করতো তা নয়, সে সমকামীতে আসক্ত অনেক আগে থেকেই। বহুদিন পর তার সাথে দেখা। সে তার কাজের অভিজ্ঞতার কথা এসে আমাকে বলতো। সমকামীর পক্ষে যুক্তি দেখানোর জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিতো। আমি কোন মন্তব্য করতাম না, শুধু ওর কথাগুলো শুনতাম। একদিন সে আমাকে বলে,
"কি হয়েছে তোর, তুই আমার কাজের ব্যাপারে কি মোটেও সন্তুষ্ট না?" আমি বললাম,
"কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি।"
"বল।"
"সমকামীদের বিষয়ে তুই নিজেই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনেক শুনিয়েছিস আমাকে। এটা অনেকটা নাকি জেনেটিক্যাল বিষয়। তোর কথা সব মেনে নিলাম এবং সে কারণেই তুই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছিস। বেশ ভালো কথা। এখানে আমার একটা প্রশ্ন। তোর ছেলেটা বড় হলো। জেনেটিক্যালী সেও তোর মতই সমকামী হলো। এক রাতে তোর সাথেই শুয়ে আছে। মধ্য রাতে বুঝতে পারলি যে তোর ছেলে তোর লুঙ্গী তুলে তোর গুহ্যে তার শিশ্ন প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। তখন কি তুই তাকে বাধা দিতে পারবি? কারণ তুই সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিস। সেখানে তোর বাধা দেওয়ার কোন অধিকার নেই। অতএব বিনা বাক্য ব্যয়ে তোকে তোর সন্তানের দ্বারা যা হওয়ার তাই হতে হবে। এই হয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা কি তুই গর্বভরে সকলের কাছে বলতে পারবি, আমার পুত্র আমাকে এই করেছে? এ কাজ তোর পুত্র করতেই পারে কারণ সমকামীদের তো আর কোন বিধি বিধান নাই যে পুত্র পিতার সাথে সহবাস করা অবৈধ। সহবাসের বিধি বিধান তো শুধুু বিপরীতকামীদের ক্ষেত্রে। অতএব তোর পুত্র গোপনে লুঙ্গী না তুলে প্রকাশ্যে বলে, বাবা আজ আমি তোমার সাথে শুবো। তাহলেও তার আশা পূর্ণ করতেই হবে। কারণ তুই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি।" আমার কথাগুলো শুনতে শুনতে তার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। আমাকে আর কোন উত্তর না করে, উঠে চলে যায়। আমিও তাকে পিছন থেকে ডাকি নি। সে ঘটনার বহুদিন পর আবার এসেছিলো আমার কাছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
"কি রে কেমন চলছে তোদের কাজ কর্ম?" সে উত্তরে বললো,
"ছেড়ে দিয়েছি ঐসব কাজ।"

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: সমকামীতা মানে অবাধ যৌনাচার এই বিষয়টি কোথায় আবিষ্কার করলেন? ধর্ষণ আর সমকামীতা এক যে এক নয় তা ভুললেও চলবে না!

২৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

দেওয়ান তানভীর আহমেদ বলেছেন: অত্যন্ত অযৌক্তিক একটা কথা বললেন। @স্বতু সাঁই
আচ্ছা, বিষমকামী ছেলেরা কি তাদের মায়ের সাথে এসব করে? না, করে না। বিষমকামী মেয়েরা কি তাদের বাবার সাথে এসব করে? না, করে না। তাহলে আপনার কেন মনে হয় যে সমকামী ছেলেরা তাদের বাবাদের সাথে এসব করবে?? এই ধরনের কুরুচিকর কথা যারা বলে এবং তাদের এসব কথাকে যারা সমর্থন করে, তারা যে মানসিকভাবে কতটা অসুস্থ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর বিষমকামিতা মানে কি শুধু ছেলে আর মেয়ের মধ্যে সেক্স? আর কিছুই না?? না, বিষমকামিতা মানেই শুধু সেক্স না। তেমনি সমকামিতা মানেই শুধুমাত্র সেক্স না। কারো অধিকারের পক্ষে কথা বলার মানেই শুধুমাত্র তার সেক্সের অধিকারের কথা বলা না। আমরা তো কত শ্রেণীর মানুষের অধিকার নিয়েই কথা বলি, তারমানে কি সেসব ক্ষেত্রেও তাদের সেক্সটাই প্রধান??
এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা সমকামিতার প্রসঙ্গ উঠলেই কেবল সেক্সের প্রসঙ্গ টেনে আনে, যেন সমকামীরা সারাদিন শুধু সেক্স-ই করে। সমকামীরাও তো আমাদের বিষমকামীদের মতই মানুষ, আমাদের সাথে তাদের পার্থক্য শুধুমাত্র তাদের যৌনপ্রবৃত্তিতে, আর কিছুতেই না। কই, আমরা তো সারাদিন সেক্স করি না! তাহলে সমকামীরা সারাদিন শুধু সেক্স-ই করে, এমন ধারনা আপনাদের কোথা থেকে হলো?!
আর স্বতু সাঁইয়ের কমেন্টের এই গল্পে তার যেই বন্ধুটির কথা বলা হয়েছে, তার ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। একজন লিমিটলেস আহাম্মকের ব্যাপারে আর কী-ই বা বলব??!

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

সৈকত বিআইএইচআর বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.