নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
ছেলেবেলার গল্প শোনার দিনগুলো এখন কত দূরে,
আর আসে না রাজার কুমার পক্ষীরাজে উড়ে~~এই গানের লাইনগুলো শুনে কি মনে পড়ে ছেলেবেলা! আর সেই গল্প শোনার দিন? এমন কোনো মানুষ নেই যে কিনা ছেলেবেলার গল্প শোনার সেই মধুর স্মৃতি রোমন্থন করতে ভালোবাসেন না! কত রকম গল্প শুনেই না বড় হই আমরা। রুপকথার গল্প, দত্যি-দানো, ভূতের গল্প, হাসির গল্প। একটু বড় হবার পর ভ্রমন কাহিনী কিংবা গোয়েন্দা গল্প। মা বাবা, দাদী, নানী বা স্কুলের শিক্ষক কতজনের কাছেই না গল্প শুনি আমরা আর গল্প শুনতে শুনতেই সেই ছেলেবেলাতেই বেড়ে ওঠে গল্পের বই পড়ার অভ্যেসটিও। পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা প্রতিটা মানুষের জীবনে অতীব জরুরী একটি অভ্যাস আর এই অভ্যাসটি গড়ে ওঠার পিছনে ছেলেবেলায় আমাদের গল্প শোনার বিষয়টি পরোক্ষভাবে কাজ করে।
ছোট শিশুরা পড়তে না শিখতেই যখন গল্প শোনে সেই শোনার মধ্য দিয়েই সে পৌছে যায় কল্পলোকে। এমনকি নানা রকম নৈতিক শিক্ষা, উচিৎ অনুচিৎ বিষয়গুলিও গল্পের মধ্য দিয়ে শিশু মনে গড়ে তোলে এক সুশিক্ষনীয় জগৎ। তাই গল্প বলা বা গল্প শোনা শিশুর শিক্ষনে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যদিও আমাদের দাদী নানী, মা বাবারা তাদের মত করেই গল্প বলে গেছেন আমাদেরকে তবে আধুনিক শিশুশিক্ষায় এই গল্প বলার নানা রকম কলা-কৌশল ও বিষয় নিয়ে গবেষনা চলছে। গল্প দিয়ে শিশু মনে কি কি পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব বা গল্পটাকে কতটা মজাদার বা আকর্ষনীয় করে শিশুদের কাছে পরিবেশন করা যায় তাই নিয়ে কিছুদিন আগে প্রখ্যাত কবি সাহিত্যিক ও গল্প বলিয়ে শামীম আজাদের এক ওয়ার্কশপে গিয়েছিলাম আমি। যদিও গল্প শোনা আর বলাটা আমার আজকের প্রিয় বিষয় না, এ প্রিয় এ বিষয়টির সূচনা আমার মাঝে বেশ আগে থেকেই তবুও ওয়ার্কশপটা করতে গিয়ে নিজেই যেন ছোট বাচ্চা হয়ে গেলাম আবারও আমি। সারাটা দিন যে কেটে গেলো কোন ফাঁকে তা যেন বুঝতেও পারলাম না।
আমার "স্টোরী টেলিং বা গল্প বলা" নিজের ক্লাসের একটি দেওয়াল চিত্র বা জানালা চিত্র
সেদিন ছিলো সারাদিন মজার মজার গল্পের নানা রকম উপস্থাপনা। একেক রকম অঙ্গ ভঙ্গি ও কথপোকথন স্টাইল বা কন্ঠস্বরের তারতম্যের খেলা, কখনও বা ছবি দিয়ে কখনও বা পাপেট বা নানা রকম রিসোর্স দিয়ে গল্পগুলোর মাঝে যেন এক একটি চরিত্র স্পষ্ট হয়েই দেখা দিচ্ছিলো আমাদের সামনে। কখনও কখনও ভুলেই যাচ্ছিলাম আমরাও যে সেসব গল্পের রিয়েল চরিত্র না।
শিশুদের জন্য গল্প বলা বা গল্প শোনাটা কেনো এত জরুরী -
১.গল্প দিয়ে শিশুর মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। যেমন আমি যখন গল্প বলি পিনোকিও বা লিটিল মিস চ্যাটারবক্স। তখন আমার উদ্দেশ্য থাকে শুধু গল্পছলে গল্পটা বলে চলাই না। এ গল্পের মাঝে মিথ্যে বলা স্বভাবের বাচ্চাটি যেন মিথ্যে বলা বাজে অভ্যাসটাকে ত্যাগ করার অনুপ্রেরণা পায় বা জায়নামনির মত লিটল মিস চ্যাটারবক্স মেয়েটি তার বক বক করার কুফলতা একটু হলেও বুঝতে পেরে নিজেকে সামলায়।
২. একই গল্প বার বার শুনতে শুনতে শিশুমনে স্থায়ী কোনো বিষয়ে প্রভাব ফেলা সম্ভব। তবে অবশ্যই তা হবে না ভুত প্রেত বা দৈত্যি দানোর গল্প। গল্প যদিও শিশুদের জন্য কল্প কাহিনী নিয়েই বেশি লেখা হয়ে থাকে তবুও এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে কল্পলোকের গল্পের সাথে সাথে বাস্তবতা সম্পৃক্ত গল্পগুলিও বিশেষ জরুরী তাই শুধু স্লিপিং বিউটি বা তুষারকন্যার গল্পই নয় বাস্তব সন্মত বাস্তব জীবনের গল্পগুলিও যেমন যেখানে সেখানে কলার খোসা ফেলার বিপদ বা হেলপিং ইচ আদার এমন সব নন ফিকশনাল বিষয়গুলি নিয়ে লেখা গল্পগুলিও থাকতে হবে শিক্ষক বা অভিভাবকের গল্প বলার ঝুলিতে।
৩. শুধু গল্পের বইই থেকেই গল্প নয় । শিশুদের সাথে নিজেদের ছেলেবেলা, নিজেদের ফেলে আসা দিনের গল্পও বলতে হবে। এসব গল্প শিশুদেরকে অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করে। আমি যখন গল্প বলি তখন তো মনে পড়ে যায় আমার ছেলেবেলা। মায়ের বকুনী উপেক্ষা করে সেই চকখড়ি বা ইটের টুকরো দিয়েও এঁকে চলার দিন বা প্রথম সেই চার বছর বয়সে হারমোনিয়ামে ইষ্টিকুটুম, মিষ্টিকুটুম গান তুলে ফেলার কথা। আর সেসব যখন আমি বাচ্চাদেরকে বলি তখন তারা যেমনই মজা পায় তেমনই বুঝতেও পারে ইচ্ছা থাকলে কোনো কিছু থেকেই কাউকে দমানো সম্ভব না। পেতেই হবে কাগজ, পেন্সিল, ক্রেয়ন বা প্যাসটেল এমন কোনো কথা নেই। শিক্ষনের যুদ্ধে অস্ত্র বা হাতিয়ার নিজেকেই আবিষ্কার করতে হবে। যেমন ছিলো আমার ইটের টুকরো বা কয়লার কালি দিয়ে দেওয়াল, বাড়ি, দরজা, জানালার ক্যানভাসগুলোও।
৪. একটি দিনের আবহাওয়া, পরিস্থিতি, বিশেষ স্মৃতি নিয়েও গল্প বলা যেতে পারে - যখনই বর্ষাকাল আসে। জানালা দিয়ে মেঘ কালো আকাশের গায়ে ঝমঝম বৃষ্টির সুর আমার মনে পড়ে ছেলেবেলা।আমি তখন গল্প বলি আমার ছেলেবেলার গল্প। বৃষ্টি পড়লে আমি কেমন কাগজের নৌকা, আজ যা তাদেরকে অরিগ্যামী বলে শিখাই আমি সেটাই ভাসিয়ে দিতাম জানালার পাশের নর্দমায় ভেসে যাওয়া আমার ছোট্ট কল্পনার নদীতে। তারা কখনও সেটার অনুমতী পাবে কিনা জানিনা আমি কিন্তু আমি জানি আমার মনের তরনী দিয়ে আমি ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারি আমি তাদেরকে কিছুখনের জন্য হলেও।
৫. শিশুদের সাথে দেশের গল্প, ইতিহাস বা সংস্কৃতি নিয়ে গল্প বলাটাও বিশেষ জরুরী - আমাদের দেশের গল্প, স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের গল্প এত ছোট বাচ্চাদেরকে বললে বুঝবে না হয়তো এমনটা মনে করেন অনেকেই। কিন্তু কি যাদু আছে সে গল্পে কে জানে আমি যতবারই তাদেরকে বলেছি আমাদের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা সহজ করে, সুন্দর করে, কত লাখো মা তার সন্তান হারিয়েছে যার বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা, আমি অবাক হয়ে দেখেছি, পিন পতন নীরবতা ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্লাসেও। তাদের ব্যাথাতুর মুখ। কষ্ট পাওয়ার বেদনার অনুভুতি সে বুঝি অনেক বড় মানুষেরও অনুভব করা সম্ভব না।
এছাড়াও -
৬. শিশুদেরকে সারা বিশ্বের গল্প, ইতিহাস জানানোর দায়িত্বও কিন্তু আমাদেরই।
৭. বিজ্ঞান, ধর্ম, মূল্যবোধ, সামাজিক সচেতনতা এসব নিয়েও গল্প বলা যেতে পারে।
৮. ইশপের গল্প যেমনই মজার হতে পারে তেমনি দেয় নানা রকম নৈতিক জ্ঞানও।
৯. বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলা যেতে পারে। শিশুর আশ পাশ বা শিশুকে নিয়েই। তার নাম দিয়ে বা কর্মকান্ড বা ভুল কিংবা সঠিক কাজগুলো নিয়ে গল্প বললে তাদের মনোযোগ বেশি পাওয়া যায়।
১০. বাবা মা দাদা নানা বা পূর্ব পুরুষদের জীবনের বিভিন্ন অর্জন, প্রচেষ্টা, ব্যার্থতার গল্পও শিশুদের যেমনই জানা প্রয়োজন, ঠিক তেমনই তা তাদেরকে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠাতেও সাহায্যও করে।
আমার নিজের ক্লাসের আরও একটি ডিসপ্লে বোর্ডের ছবি আর ছবিতে চেরাগ হাতে আলাদীন, জেসমিন আর জিনি।
যাইহোক-
গল্প শোনা বা গল্প পড়া নিয়ে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ-
১. বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, যেসব শিশুর বাসায় বেশি বই আছে এবং শিশুকে বেশি বই পড়ে শোনানো হয়, তাদের মস্তিষ্কের বাঁ অংশ উল্লেখযোগ্য হারে সক্রিয় হয়ে ওঠে। পেরিয়েটাল-টেম্পোরাল-অক্সিপেটাল অ্যাসোসিয়েশন করটেক্স নামে অভিহিত মস্তিষ্কের এই অংশে শব্দ ও চোখে দেখার অনুভূতির সংমিশ্রণ ঘটে।
২. একটু বড় শিশুরা জোরে শব্দ করে পড়লে মস্তিষ্কের এই অংশ উদ্দীপিত হয়। কিন্তু শিশু চিকিৎসাবিদেরা লক্ষ করেছেন, খুব ছোট বাচ্চাদের বইয়ের গল্প পড়ে শোনালেও একইভাবে মস্তিষ্কের এই অংশ উদ্দীপিত হয়।
৩. মায়ের মুখে গল্প শোনার সময় বাচ্চারা মনে মনে কল্পনার জাল বোনে। যেমন, মা বললেন, ‘একটা কাক গাছের ডালে বসে কা কা করছে।’ সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চা মনে মনে তার একটা চিত্র এঁকে ফেলল। এভাবে কথার সঙ্গে কল্পনার একটা যোগসূত্র স্থাপনের দক্ষতা সে অর্জন করে।
৪. আমরা যখন শিশুকে গল্প পড়ে না শুনিয়ে শুধু ভিডিও দেখালে শিশুর চিন্তাশক্তির বিকাশ ততটা হবেনা গল্প শুনালে যা হবে।
৫. বইয়ের গল্পে অনেক বেশি ও নতুন নতুন শব্দ থাকে। তাই বই থেকে গল্প পড়ে শোনালে বাচ্চাদের শব্দভান্ডার বাড়ে ও কল্পনাশক্তি অনেক বেশি হয়। এরা স্কুলে বেশি মেধার পরিচয় দেয়। বইয়ের সংস্পর্শে ও বই পড়ে শোনানোর মধ্য দিয়ে বড় করে তোলা শিশুদের সঙ্গে পরে তাদের সহজে ভাষা শেখা ও স্কুলে সাফল্যের সংযোগ রয়েছে।
শিশুদেরকে মজাদার পদ্ধতিতে আরও আরও মনোমুগ্ধকরভাবে গল্প উপস্থাপন বা পরিবেশনের উপায়গুলো কি কি এই নিয়েই ছিলো আমাদের সেই গল্প বলা ওয়ার্কশপ। আর সেটার পরিপ্রেক্ষিতেই আমার এ লেখনী। এবং সেটা নিয়েই আমার যে চিন্তাটা মাথায় এলো মানে এই বিষয়গুলো নিয়ে লেখালিখি করে একটু হলেও মা বাবা তথা অভিভাবকদেরকে একটু ভাবানো। এছাড়াও যারা ছোট বাচ্চাদের টিচার তাদেরও যদি একটু উপকার হয় সেটাও ভাবনায় ছিলো।
সে যাইহোক দেখি গল্প বলার আগে কিছু প্রয়োজনীয় শর্তাবলী -
১।কোন স্টোরীটা বলবো সেই গল্প বা বইটা প্রথমেই নির্বাচন করতে হবে।
২। গল্পটাকে নিজের মত করে বলতে নিজেই নিজের ভাষায় লিখতে হবে বা ভেবে নিতে হবে।
৩। এরপর নিজে নিজে জোরে জোরে বলাটা অভ্যাস করতে হবে। তবে স্টোরীতে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বাদ দেওয়া যেতে পারে।
৪। নিজে নিজে বলাটাটা অভ্যাস করতে হবে। এক্ষেত্রে আমি মিরর মেথড ইউজ করি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গল্পটা বলা এবং নিজের অঙ্গ ভঙ্গি বা ভাবের প্রকাশ দেখে নিজেকেই শেখানো।
৫। কোনো বন্ধুকে শোনানো যেতে পারে।
৬। গল্প বলার সময় নানাস্থানে নানা রকম কন্ঠস্বরের পরিবর্তন গল্প বলাকে আকর্ষনীয় করে।
৭। পরিস্থিতি বর্ণনায় ইমোশন এড করতে হবে।
৮। আত্নবিশ্বাস বা কন্ফিডেন্স নিয়ে কথা বলতে হবে।
৯। গল্পে যে বিষয়টিকে ফোকাস করতে চাই বলার সময় তাতে বিশেষ প্রাধন্য দিতে হবে।
১০।সবশেষে আমার টিপস, গল্প বলে বলে রেকর্ড করে নিজের রেকর্ডিং শুনে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ বা কোথায় ইমপ্রুভ করা যায় এটা বুঝা যেতে পারে।
গল্প বলার, গল্প শোনার বা তা থেকে শেখার কিছু মজার বৈশিষ্টাবলী-
১। টাং টুইস্টার - মনে আছে পাখি, পাকা পেপে খায় বা কাঁচা গাব পাঁকা গাব কাঁচা গাব পাঁকা গাব কাঁচা গাব পাঁকা গাব । নির্ভুল ভাবে কে কত দ্রুত বলতে পারে সেসব খেলার দিন। সেসব খেলা আবার খেলি আমাদের শিশুদের সাথে বা ক্লাসরুমেই। এতে যেমনই শিশু মুখের জড়তা কাঁটে তেমনি শিশু আত্মবিশ্বাসী হতে শিখে তেমনি বৃদ্ধি পায় কনসেন্ট্রেশন বা মনোযোগ। শিশুদের মুখের জড়তার কাটাবার এই শিক্ষনটা কিন্তু আমরা যারা ভালো গল্প বলিয়ে হতে চাই তাদের জন্য মানে আমাদের মত বড়দের জন্যও যথেষ্ঠ জরুরী।
২। রিপিটেশন - একই কথা, একই বাক্য বা একই গল্প। বার বার পুনরাবৃত্তির ফলে আমরা শিশুর মনে এর শিক্ষনীয় দিক বা কল্পনার জগতে ভেসে বেড়ানোর ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে পারি। যতই মানুষ আকাশ কুসুম কল্পনাকে হেসে উড়িয়ে দিক না কেনো কল্পনা ছাড়া এ জগতে আজও কোনো আবিষ্কার হয়নি কাজেই শিশুর মনোজগতে কল্পনার বিকাশও যথেষ্ঠ প্রয়োজনীয় বিষয়।
৩। হ্যোয়াটস কামস নেক্সট বা এরপর কি হবে বলোতো?- এক লাইন গল্প বলে পরের লাইন কি হতে পারে বলতে বলা বা ভাবতে বলা। এতে চিন্তাশক্তি, মনোযোগ ও গল্প বলার বা গল্প বানাবার দক্ষতা বাড়ে। শিশু নিজেই চিন্তা করে, কল্পনা দিয়ে নিজের মস্তিস্কে তৈরী করে দৃশ্য কল্প।
৪। ভয়েস প্রজেকশন- গল্প বলিয়েদের গলার য্ত্ন বিশেষ প্রয়োজন। গল্প বলার সময় নানা পরিস্থিতি বর্ণনায় নানা রকম কন্ঠের শব্দ প্রকাশের তারতম্য গল্পের শ্রোতাদের মাঝে এক বিশেষ আকর্ষন আনে। ভয়ের পরিবেশ, আনন্দোচ্ছাস, রাগ ক্ষোভ, দুঃখ সকল ইমোশন এবং পরিস্থিতি বর্ণনায় কন্ঠস্বর এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫। রোল প্লে - গল্পের বই পড়ে শোনানো সাথে শিশুদের দিয়ে সেটার অভিনয় করানোটা শিশুদের জন্য গল্প বলা বা শোনা বা গল্পের যে উদ্দেশ্য তা শিশুদের মাঝে পৌছে দেবার ব্যাপারটাকে আরও সহজ করে।
৬। অনুমান বা জানার পরিধি যাচাই করে নেওয়া- গল্প বলার সময় গল্পের ফাঁকে ফাঁকেই শিশুদেরকে পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে অনুমান করতে বলা যায়। নানা রকম প্রশ্নোত্তর সহযোগে গল্প বলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেমনই শিশুর মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে তেমনি সক্রিয় শিক্ষাদান বা স্টুডেন্ড সেন্টারড একটিভিটির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
রেড রাইডিং হুড গল্প পড়ার পরে আমার এক বেবির করা ক্রাফট ওয়ার্ক
৭। পিকচার রিডিং- খুব ছোট বাচ্চারা আক্ষরিক পড়াশোনা পড়তে শেখার আগেই ছবিগুলো পড়তে শিখে যায়। তারা ছবি দেখে গল্পের অনেক কিছুই বুঝতে পারে বা নিজের মত করে ভেবে নিতে পারে। তাই গল্পের বই এর ছবিগুলি বিশেষ জরুরী। এই ছবিগুলি নিয়ে প্রশ্ন করে করে শিশুদের গল্প বলার ও বুঝার দক্ষতাও বাড়ানো সম্ভব।
৮। প্রেজেনটেশন - প্রেজেনটেশন বা উপস্থাপন। গল্প শোনা বা পড়ার পর সেটা শিশুদের জন্য নিজের মত করে উপস্থাপন করবার সুযোগ করে দিতে হবে। খুব ছোট শিশুরা ছবি এঁকে এবং পরবর্তীতে সেটা গল্প বলায় বুঝিয়ে তা যেমনি বর্ণনা করতে পারে তেমনি একটু বড় বাচ্চারা সেটাই ছোট ছোট প্যারা লিখে বা নিজের ভাষায় লিখে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে পারে। তবে ছবি আঁকা হোক বা ছোট প্যারায় লিখিত গল্পই হোক মা বাবা এবং শিক্ষক সকলেরই উচিৎ সেসব সকলের জন্য ডিসপ্লে বোর্ড বা অন্য যে কোনো উপায়ে আকর্ষনীয় ভাবে সকলের মাঝে উপস্থাপন করা। এতে শিশুরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে।
আমার গল্প বলা ক্লাসে ৩ বছর বয়সী শিশুদের গল্পের চরিত্র অঙ্কন চিত্র-
৯। গল্পের বই এর ছবি - আগেই বলেছি গল্পের বই এর ছবিগুলি শিশুদের শিক্ষনে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে । গল্প পড়া, শোনানো বা বলার পর গল্পের বই এর ক্যারেকটার বা চরিত্রগুলির ছবি আঁকতে উৎসাহিত করলে গল্প বলা, শোনা বা বুঝার ব্যাপারটি আরও বেশি কার্য্যকরী হবে।
১০।ফ্লাশ কার্ড - ফ্লাশ কার্ড বা বিভিন্ন ছবির ছোট ছোট টুকরোর পর্যায়ক্রমিক বর্ণন অর্থাৎ ছবি সম্বলিত বিভিন্ন ফ্লাশ কার্ড সহযোগে গল্পের উপস্থাপন গল্প বলাকে দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।
১১। পাজেল- গল্পের চরিত্র বা দৃশ্যাবলীকে নানা রকম টুকরো ছবি দিয়ে মিলিয়েও গল্পের উপস্থাপনাকে নান্দনিক করে তোলা যায়।
আমার করা পাপেট শো বা পুতুল নাচের ছবি
১২।পাপেট গল্প - পাপেট বা পুতুল নাচের পুতুলগুলো যখন গল্পের বই থেকে উঠে এসে নিজেরাই হেঁটে চলে বেড়ায়। কথা বলে, গান গায় তখন কতই না মজার হয়। তাই সারা বিশ্বে পাপেট গল্প বা পাপেট শো সর্বজন নন্দিত। পাপেট দ্বারা সৃষ্ট চরিত্রগুলির সকল কর্মকান্ডই তাই শিশু মনে প্রায় চিরস্থায়ী আসন গড়ে তোলে।
আমার করা একটি বাংলা পাপেট শো এর চিত্র
১৩। ড্রেস এজ ইউ লাইক বা যেমন খুশি তেমন সাজো- গল্পের প্রিয় চরিত্রে শিশুদেরকে সাজিয়ে তোলার জন্য ইদানিং পোষাক দোকানগুলোতে দেখা যায় নানা রকম কস্টিউম। পুলিশের ইউনিফর্ম, মিলিটারীদের ইউনিফর্ম, স্পাইডারম্যান বা স্নোহ্যোয়াইটের কস্টিউম। এসব পোষাক শিশুদেরকে নিয়ে যায় সেসব শিশুতোষ গল্পের মাঝেই যেখানে কল্পনার রাজ্যে ভেসে গিয়ে শিশুদের মনোজগতে তৈরী হয় এক আলাদা আবহ। তবে শুধু পোষাক কিনে দিয়েই দায়িত্ব শেষ না করে যদি অভিভাবক ও শিক্ষকমন্ডলী সেই চরিত্রের ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে গল্প করে বা তাদেরকে সেসব চরিত্রের অনুকরণীয় দিকগুলি নিয়ে ভাবতে সাহায্য করে তবেই তা বিশেষ কার্য্যকরী হয়ে ওঠে। তবে আবারও বলছি ফিকশনাল চরিত্রের গল্পগুলির পাশাপাশি ননফিকশনাল বা বাস্তব চরিত্রের গল্পগুলিও শিশুর জন্য বিশেষ জরুরী।
আমার গল্প বলা ক্লাসের বাচ্চাদের নিজেদের তৈরী স্মল স্টোরি বুকস
১৪। বুক মেকিং একটিভিটি- গল্পের বই লেখালিখির অভ্যাস বা নিজের জন্য ছোট্ট একটি গল্পের বই বানাবার সাধ ছোট বয়স থেকেই পূরণে সাহায্য করা সম্ভব। ছোট শিশুরা যারা লিখতে জানেনা তারা ছবি এঁকে বানাতে পারে পিকচার বুক। যারা কেবলি লেখা শিখছে তারা এক এক লাইনে বানাতে পারে কয়েক পাতার বই। বুক কাভার বা কনটেন্ট এসব পরিকল্পনায় অভিভাবক ও শিক্ষকগণের সহায়তা প্রয়োজন।
১৫। কোয়েশ্চেন এনসার - গল্পের ফাঁকে ফাঁকে বা গল্প শোনানোর পর অবশ্যই শিশুদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকা প্রয়োজন। এই প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষক বা অভিভাবক মন্ডলী ক্লোজ এন্ডেড কোয়েশ্চেনের পাশাপাশি কিছু ওপেন এন্ডেন প্রশ্নও রাখতে পারেন। একই ভাবে শিশুদের জন্যও বড়দেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ রাখতে হবে।
হাতে বানানো স্পুন পাপেট।
আকর্ষনীয়ভাবে গল্প বলার উপকরণ বা রিসোর্সেস বা সাজ সরঞ্জাম-
১। ছবি
২। ফ্লাশ কার্ড
৩। পাজেল
৪। খেলনা
৫। ক্যারেক্টার কসটিউম
৬। অডিও ভিডিও ক্লিপস
৭। প্রজেক্টর
৮। ট্যাব, ল্যাপটপ, কম্পিউটার
৯। গ্লপের বই
১০। বোর্ড
১১। ডিসপ্লে বোর্ড
১২। মিউজিক
১৩। সাউন্ড এফেক্ট
১৪।পাপেট( ফিংগার পাপেট, স্পুন পাপেট, মাপেট ইত্যাদি ইত্যাদি ও ইত্যাদি)
১৫।প্রাকটিক্যাল অবজেক্টস বা বাস্তব থেকে পাওয়া নানবিধ সরঞ্জামাদি।
মোট কথা গল্প বলার সময় আমরা শিশুর সকল মালটিপল ইনটেলিজেন্সীকেই কাজে লাগাতে চেষ্টা করবো। এতে অডিও ভিজ্যুয়াল স্ট্রাটেজী থেকে শুরু করে Kinesthetic বা বডি স্মার্ট ইনটেলিজেন্সীকেও কাজে লাগাতে চেষ্টা করবো। মোট কথা গল্পের মাধ্যমে দেখা যায় শিশুর Linguistic /word smart অর্থাৎ ভাষা দক্ষতা, Logical-mathematical / Number smart (গণিত/ যুক্তিবিদ্যা) Spatial / picture smart শিল্পজ্ঞানের বিকাশ, Kinesthetic/body smart ( খেলোয়াড়/ নৃত্যশিল্পী বা শাররীক দক্ষতা) Musical/music অর্থাৎ সঙ্গীত বিলাসী মনোভাবের বিকাশ Interpersonal/people smart ,Naturalist/nature smart প্রায় সকল বৈশিষ্ঠেরই বিকাশ সম্ভব।
কিভাবে গল্পের বই সংগ্রহ করা যায়-
(১) লাইব্রেরী: সদস্য হয়ে যাওয়া, ছোটদের গল্পের বই বাসায় এনে পড়ে শোনানো যেতে পারে।
(২) মজার মজার গল্প বা ইউটিউব লিঙ্কও পাওয়া যায় সেসব গল্প ডাউনলোড করা যেতে পারে।
(৩) নতুন বই কিনে দেওয়া।
গল্প বলার সময় মানে সারাদিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও কখন একটু সময় করে নেওয়া যায় শিশুদেরকে গল্প বলার জন্য এ বিষয়টি ভাবতে হবে। শিশুদের জন্য রোজ একটি গল্প ক্লাসরুমে থাকা অতি অতি জরুরী বলেই আমি মনে করি আর তাই
(১) ঘুমের আগে গল্প বলার যেমন উপকারীতা মানে সারাদিন পরে ঘুমুতে যাবার সময় শিশুদেরকে গল্প বলার অভ্যাস গড়ে সেটি নাকি বেশ কার্য্যকরী হয় তাই তো প্বথিবীতে রয়েছে শত শত বেড টাইম বা স্লিপ টাইম স্টোরী বুকস! ঠিক তেমনি হোম টাইম বা বাড়ি যাবার ঠিক আগ দিয়েই শিশুদেরকে গল্প শুনাতে আমি দারুন ভালোবাসি। তারা বাড়ি গিয়েই নিজেরাই গল্প শুনায় তাদের বাবা মা ভাইবোনদেরকে।
(২) আজকাল যা জ্যাম। রাস্তায় গাড়িতে বসে থাকার কষ্ট বা বিরক্তি দূর করতে আমি সব সময় আমার গাড়ির ড্যাসবোর্ডে কবিতার বই রাখি। ঠিক একইভাবে আমরা যদি শিশু থাকলে তাদেরকেও গল্প শুনাই তো এই বিরক্তিকর বোর হবার সম্ভাবনা তার জন্য যেমন কমে যাবে নিজেরও তেমনি সময়টুকু উপভোগ্য হবে।
(৩) খাওয়াবার সময় গল্প বলা।
(৪) বিভিন্ন উৎসবে, বিশেষ দিনগুলোতে সে সব দিবসের তাৎপর্য্যতা নিয়ে সেদিন গুলোতে গল্প শোনানো বিশেষ প্রয়োজন।
বাচ্চাদের জন্য বই লেখা-
কত কবিতাই তো লিখি আমরা। নিজের ভালো লাগা মন্দ লাগা ভালোবাসা বা বিরহ নিয়ে। দেশ সংস্কৃতি বা পারিপার্শ্বিক পরিস্তিতি নিয়েও তো কম লিখি না তবে শিশুদের জন্য সেই আদ্দিকালের গল্পগুলিই আজও চলছে। তূলনামুলকভাবে কম কম লেখা হচ্ছে শিশুদের জন্য কিন্তু চাইলেই লিখে ফেলা যায় শিশুদের জন্য মজাদার ও শিক্ষামূলক গল্প কবিতা। বাস্তবতার সাথে কল্পনার ইচ্ছে মতন মিশেলে লেখা যায় একটা শিশুতোষ বই।
শিশুতোষ গল্পের বই লিখবার সময় কয়েকটি বিষয়ে মন দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন-
চরিত্র
গল্পের চরিত্র বা ক্যারেকটার এক বা একাধিক হতে পারে। হতে পারে মানুষ, পশু, পাখি, কাল্পনিক জীব-জন্তু অথবা যে কোনো কিছুই।
বয়স
গল্প লেখার আগে কোন বয়সী পাঠকের জন্য লেখা হচ্ছে তা মাথায় রাখতে হবে। বাচ্চাদের এইজ লেভেল অনুযায়ী শব্দচয়ন, বাক্য গঠন সহজ থেকে জটিল হবে।
রাফলি গল্পটা লেখা বা খসড়া তৈরি
খসড়া তৈরী বিশেষ প্রয়োজন। সূচনা, মধ্যবর্তী অংশ এবং উপসংহার কি হবে তা আগেই ভেবে নিতে হবে।
এন্ডিংটা হ্যাপী হোক বা স্যাড হোক সেখানে যেন মোরালটা থাকে। শিশুর জন্য শিক্ষনীয় কোনো দিক থাকে সেদিকে অবশ্য লক্ষ্য রাখতে হবে।
বাচ্চাদের বই এর বিশেষ বৈশিষ্ঠ গল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ছবিগুলি। তারা যেহেতু পড়তে পারেনা। ছবিগুলি তাদেরকে গল্প বুঝাতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
আমার জীবনের প্রথম পাপেট শো- রাখার ছেলে ও বাঘ
গল্প বলার কিছু অনলাইন লিঙ্ক আছে যা থেকে সহজেই গল্প বলার মজাদার কৌশলগুলো শেখা যায়-
How To Tell A Story: Quick-Learn Storytelling Techniques!
Sisimpur
Bhootu - Episode 119 - July 29, 2016 - Webisode
Bedtime English Story Telling Contest 2013 (Upper Kindergarten) - Kwok Wing Yan 郭穎欣
Dionne - Champion-Storytelling Contest.AVI
The Hungry Caterpillar Play
Bengali Kids Stories
আমার নির্মিত পাপেট গল্প
মাই ফিংগার পাপেট শো ইন ক্লাসরুম
রাখাল ছেলে ও বাঘ (খন্ডাংশ)
শিশুদের জন্য আমার এই গল্প বলার কলা ও কৌশলের লেখনীটি আমি যেই এইজ লেবেলটার জন্য লিখেছি সেটা হলো ২.৫ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য কার্য্যকরী। এ লেখাটি শামীম আজাদের গল্প বলা ওয়ার্কশপের কিছু নোট থেকে এবং বেশি ভাগটাই আমার বাস্তব জীবনের গল্পে গল্পে মজার শিক্ষা অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি।
তবে শেষ হইয়াও হইলো না শেষ-
আমার এত কথকথার পরেও এই প্রায় পৌনে এক ঘন্টার স্টোরী টেলিং ট্রেইনিং ভিডিওটা দেখলে যে কেউই হয়ে উঠতে পারেন এক একজন সেরা গল্প বলিয়ে
কাজেই আর দেরী নয়। শিশুদের জন্য মজাদার গল্প বলার কলা কৌশল আয়ত্ব করুণ এবং আনন্দময় শিক্ষা পেতে সহায়তা করুন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
শায়মা বলেছেন:
কি বলো!!!!!!!!!!!!!!!
হাউ মাউ খাউ মাহমুদুর রাক্ষসের গন্ধ পাও....
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কত্তদিন পর। তোমার টুনটুনির গল্প আমি এখনো শুনি।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫১
শায়মা বলেছেন: আজ যে সব দিয়েছি সেসবও শুনো
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০
শায়মা বলেছেন: কুঁজো আর ভুত
স্টার্টিং মিউজিক শুরু হয়ে কমে যাবে---
https://www.youtube.com/watch?v=zXhb596PlgI
https://www.youtube.com/watch?v=vCYk9CRx0g8
ন্যারেটর-( শায়মা) সে অনেক দিন আগের কথা। কানাই নামে এক গ্রামে একটি লোক ছিল, তার পিঠে ছিল এক ভয়ঙ্কর কুঁজ। এত বড় কুঁজ নিয়ে মাথা গুঁজে চলতে কানাইয়ের বড়ই কষ্ট হত।
কানাই- (নুপুর) উফ কি যে কষ্ট! কুঁজের জ্বালায় ভালো মত চলতে ফিরতে পারিনা। একটু সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না পর্যন্ত। উফ আহ আহ!
ন্যারেটর- ( শায়মা) বেচারা বড্ড ভালমানুষ ছিল এবং সে বড় ভালো ঝুঁড়িও বুনতে পারতো একদিন সে বেশ দূরের এক শহরে ঝুড়ি বেচতে যাবে বলে ঠিক করলো।
https://www.youtube.com/watch?v=io49QUZkve4
কানাই- (নুপুর) ওগো শুনছো! গ্রামে এসব ঝুঁড়ি বিক্রি করে বেশি পয়সা পাওয়া যায় না। আমি শহরে ঝুঁড়ি বেঁচতে চললাম।
কানাই এর বউ- -( শায়মা) এই শরীর নিয়ে এত দূরের পথ যাবে? ঠিক আছে যাও। তবে দিন থাকতে থাকতেই ফিরে এসো।
কানাই- (নুপুর) না না সে তুমি চিন্তা করো না। সে আমি ঠিক সূর্য্য ডোবার আগে আগেই ফিরে আসবো।
ন্যারেটর-( শায়মা) কিন্তু সারাদিন ঝুঁড়ি বেঁচড়ে বেঁচতে সন্ধ্যা হয়ে এলো। কানাই বাড়ির পথ ধরলো-
https://www.youtube.com/watch?v=5eSLfgR2vZg
কানাই- (নুপুর) উফ সারাদিন বড্ড পরিশ্রম হয়েছে। ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছে। এদিকে অন্ধকারও গাঢ় হয়ে এলো। এখন বাড়ি ফিরবো কিভাবে? পথ ঘাট কিছুই তো ঠিক মত দেখা যাচ্ছে না। কি যে করি এখন? কোথায় রাতটুকু কাটাই? কোথায় একটু খাবার পাই? কি যে বিপদে পড়লাম!
ও ও ও ঐতো ঝোঁপের মাঝে একটি পোড়োবাড়ি দেখা যাচ্ছে কিন্তু কোথাও কোনো আলো নেই কেনো? কোনো জনমনিষ্যির সাড়া শব্দও নেই। দেখি এগিয়ে যাই। অন্ধকারে সাপ খোপও থাকতে পারে, কি আর করা রাত টুকু তো পার করতেই হবে।
ঠক ঠক ঠক---- নকিং সাউন্ড এফেক্ট
https://www.youtube.com/watch?v=muZXm-Q4BBk
কানাই- (নুপুর) বাড়িতে কেউ আছেন? আছেন কেউ বাড়িতে? দয়া করে সাড়া দিন। নাহ কেউ কোথাও নেই। যাইহোক আর তো রাত পেরুতে কয়েক ঘন্টাই বাকী। এইখানে বসেই বাকী রাতটা কাঁটিয়ে দেই।
ন্যারেটর-( শায়মা) ক্লান্তিতে কানাই সে বাড়িতেই বাকী রাতটা কাটাবার মনোস্থ করলো। আসলে ওটা ছিলো ভুতেদের বাড়ি। কিন্তু কানাই সেটা জানতো না। কতক্ষণ সে এভাবে বসে ছিল তার ঠিক নেই। বসে থাকতে থাকতে তার মনে হল, যেন সেই পুরনো বাড়িটার ভিতর থেকে আওয়াজ আসছে অনেকগুলো গলা মিলে।
ভুতের সাউন্ড এফেক্ট----- (বেশি থেকে কম ফেড আউট)
https://www.youtube.com/watch?v=wwNAwkulMF0
(ব্যাকগ্রাউন্ডে সমস্বরে নাকি গলায়) ( নাবিলা আর শাহীন )
‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
কানাই-(নুপুর) আরে আরে কারা গান গাইছে! কোথা থেকেই বা গাইছে? আশে পাশে কোনো জনমনিষ্যির দেখা নেই তাহলে গানের শব্দ আসছে কোথা থেকে!
ভুতের সাউন্ড এফেক্ট----- (বেশি থেকে কম ফেড আউট)
https://www.youtube.com/watch?v=Tg544I1Q9BA
‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
কানাই- (নুপুর) বাহ বাহ ! গানটা বেশ মজার তো! আমারও গাইতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমিও গাই-----
‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
সাথে ভুতেরাও নাকি সুরে+ হি হি হি হি
‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
কানাই- (নুপুর) নাহ একই কথা, একই সুর আর ভালো লাগছে না। গানটাতে কি আর কোনো কথা নেই? একই লাইন গেয়ে গেয়ে তো বিরক্তি ধরে গেলো। হুম!!!!! মাথায় এক বুদ্ধি এসেছে, যদি এই নতুন কথাগুলো গানটাতে জুড়ে দেই কেমন হবে? বেশ হবে, গাই তো---
কানাই- (নুপুর) ‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
‘লসুন হ্যায়, মরীচ হ্যায়, চ্যাং ব্যাং শুঁটকি হ্যায়।’
ভুতের রাজা- বাহ বাহ ! বেশ গলাটি তো! গানের কথাগুলোও খাসা মিলিয়েছে। চল চল দেখি তো কে এমন সুন্দর গান শুনাচ্ছে!
https://www.youtube.com/watch?v=VUDTFiR0TzQ
ন্যারেটর- ( শায়মা) তারপর তারা ছুটে কানাইয়ের কাছে এসে কানাইয়ের চারিপাশ ঘিরে নাচতে লাগলো। তাকে বিরিয়ানী, পোলাও, মন্ডা মেঠাই কত কিছু যে খাওয়ালো।সকলে মিলে নেচে নেচে ঘুরে ঘুরে গাইতে লাগলঃ
(নাকিসুর ভুতেরা) ‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায়, ইম্লী হ্যায়, হিং হ্যায়!’
‘লসুন হ্যায়, মরীচ হ্যায়, চ্যাং ব্যাং শুঁটকি হ্যায়।’ 2 times
কানাই- (নুপুর) ‘কি আশ্চর্য, আমি কুঁজ নিয়ে চলতে পারি না, আমি আবার নাচলুম কি করে?’ দেখি তো পিঠে হাত দিয়ে??? আরে আরে আমার কুঁজটা গেলো কই!!!! আমার কুঁজ আমার কুঁজ!!!!!
একজন ভূত- (নাবিলা) ‘কি, দেখছিস বাপ? ওটা আর ওখানে নেই। ঐ দেখ, তোর পাশে পড়ে আছে।’
কানাই- (নুপুর) সত্যি সত্যিই তো ....আমার পিঠে আর কুঁজ নেই সেটা পড়ে গেছে হা হা হা হা হা হা কি আনন্দ কি আনন্দ! আহা কতদিন মেঝেতে পিঠ পেতে ঘুমাইনি। আজ আমি আনন্দের ঘুম ঘুমাবো।
ন্যারেটর- ( শায়মা) শ্রান্তি ক্লান্তিতে আর ভরপেট খাবার আনন্দে কানাই ঘুমিয়ে পড়লো গভীর ঘুমে।
https://www.youtube.com/watch?v=uAzJQ-NhaTc
( ভুতেরা নাচবে আর পেছন থেকে কানাইকে নামিয়ে সুন্দর পোষাক জড়িয়ে দেওয়া হবে।)
ন্যারেটর-( শায়মা) তারপর যখন পরদিন সকালে যখন তার ঘুম ভাঙলো-
পাখির ডাক মর্নিং মিউজিক https://www.youtube.com/watch?v=io49QUZkve4
কানাই- (নুপুর) আঊউ উ উ উ ( হাই তোলা) আরে আরে আমার গায়ে এত সুন্দর পোষাক আসলো কোথা থেকে! আর একি একি গাড়ি ভরা হীরা জহরৎ মনিমানিক্য!!!!!!!! কি আশ্চর্য্য এসব কি করে সম্ভব! আমি আর গরীব দুঃখী কুঁজের কষ্টে কষ্ট পাওয়া কানাই নই। যাই যাই বাড়ি গিয়ে সবাইকে বলি আমার এই আশ্চর্য্য আনন্দের গল্প! …………………
গায়ের লোক ১ এবং ২(নাবিলা- শাহীন) - দেখো দেখো কানাই এসেছে কানাই এসেছে
কানাইএর বউ- -( শায়মা) এতো সুন্দর পোষাক কোথা থেকে পেলে গো?
বুড়ি- (নুপুর) সাথে গাড়ি ভ রা এত হিরা জহরৎ মনি মানিক্য! কোথায় পেলো সে এসব!!!!
কানাই- (নুপুর) হা হা হা আমি আর কুঁজো কানাই নই। ভুতেদের বরে আমার কুঁজ পড়ে গেছে আমি এখন সোজা হয়ে চলতে পারি আর ভুতেরা আমাকে নানা ধন সম্পদ উপহার দিয়েছে। আমি আমি আজ মহা সুখী! আমি আজ বড় আনন্দিত!
বুড়ো- (শাহীন) আমরাও তোমাকে দেখে বড় খুশী হয়েছি কানাই। তুমি বড় ভালো ছেলে। আমরাও আজ আনন্দিত। চলো চলো আমাদেরকে সব ঘটনা খুলে বল...
( সবাই স্টেজ থেকে নেমে যাবে)
https://www.youtube.com/watch?v=7pQaWkBrnsc
ন্যারেটর-( শায়মা) তারপর দেখতে দেখতে কানাইয়ের কুঁজের গল্প দেশময় ছড়িয়ে পড়ল। যে শুনল, সেই ভাবল যে, এমন আশ্চর্য কথা আগে কখনো শোনে নি তো।
2nd part
https://www.youtube.com/watch?v=vCYk9CRx0g8
ন্যারেটর- ( শায়মা) এদিকে কানাইদের গ্রামেই থাকতো আরেক কুঁজো তার নাম মানিক। ( মানিক তিড়িং করে স্টেজে উঠবে) সে যেমনি হিংসুটে তেমনি খারাপ মনের। (তিড়িং বিড়িং করবে) সাত কুলে তার বুড়ি মা ছাড়া কেউ ছিলো না।( বুড়ি মা কাঁপতে কাঁপতে উঠবে) লোকটা এমনি দুষ্ট আর হিংসুটে ছিল যে পাড়ার লোকে তার জ্বালায় অস্থির থাকত। একদিন মানিকের মা বললো,
মানিকের মা (নুপুর) - কিরে সারাদিন শুয়ে বসে না থেকে তুইও তো কানাই এর মত ভুতের বাড়ি গিয়ে কুঁজ সারিয়ে আনতে পারিস। (কাঁদতে কাঁদতে) আমার এমন সোনার টুকরা ছেলে রেখে ভুতেরা কিনা কুঁজ সারায় ঐ বোকা গাঁধা হাঁদারাম কানাই এর! ( ঝগড়ার সুরে) না না এ সহ্য করা যায় না তুই কালই ভুতের বাড়ি যাবি।
(কথার সাথে সাথে বুড়িটাকে স্টেজের এদিক ওদিক করতে হবে আর মানিকও একটু এদিক ওদিক নড়বে)
মানিক (নুপুর) - ভুতের বাড়ি! না না ওসব আমি পারবোনা।
মানিকের মা-(নুপুর) ( রাগ করে) পারবিনা মানে? ( হাসি হাসি) কানাই আর কি এমন গানের কথা জুড়েছে তুই জুড়বি আরও ভালো ভালো কথা যা শুনে ভুতের বাবাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে। কালকেই তোকে রেখে আসবো ঐ ভুতের বাড়িতে।
মানিক-(নুপুর) কি যন্ত্রনা! বেশ তো ভালোই আছি । এখন আবার ভুতের বাড়ি যেতে হবে! উফ ভালো লাগে না এই সব।( মন খারাপ করে নেমে যাবে স্টেজ থেকে, অন্যদিকে বুড়ি মা ও নেমে যাবে)
ন্যারেটর- ( শায়মা) পরদিন সকালে মানিককে ভুতের বাড়ি রেখে আসা হলো।
( মানিক, মানিকের মা, গায়ের দুজন লোক একসাথে স্টেজের একদিক থেকে উঠে কানাইকে রেখে অন্যেরা নেমে যাবে)
https://www.youtube.com/watch?v=Tg544I1Q9BA ………..
ন্যারেটর- ( শায়মা) রাতের বেলা ভূতেরা যেই না গান ধরেছে ‘লুন হ্যায়, তেল হ্যায় , ইম্লী হ্যায়,’ অমনি মানিক আর তাদের শেষ করতে না দিয়ে চেঁচিয়ে বলল,
মানিক- -(নুপুর) ‘গুরুচরণ ময়রার দোকানের কাঁচা গোল্লা হ্যায়।’
ন্যারেটর- ( শায়মা) এই কথা শুনে ভুতেরা ভীষন রেগে গেলো কারণ ভুতেরা চ্যাং ব্যাং শুটকি এসবই পছন্দ করে। তারা রসগোল্লা মোটেও পছন্ষ করে না। ভুতের রাজা তো বিকট শব্দে বমি করতে শুরু করলো।
ভুতের রাজা- নাবিলা ( নাকি সুরে) ওয়াক ইয়াক থু থু থু বমি বমি কে রে ময়রার কাঁচাগোল্লার কথা বলে! বমি এসে গেলো রে থু থু ইয়াক ইয়াক ধরে আন বেটাকে আর তার একদিন কি আমার একদিন।
ভুতেরা-নাবিলা আর শাহীন ( নাকি নাকি ধমকের সুরে)ধর ধর বেটাকে ধর ‘কে রে তুই অসভ্য বেতালা, আমাদের গান মাটি করে দিলি? দাঁড়া তোকে দিখাচ্ছি!’ মার মার মার এইটাকে। গান গাইবার সাধ মিটিয়ে দে। (মারের শব্দ) + সাথে কানাই এর কান্না- এ্যা এ্যা এ্যা
https://www.youtube.com/watch?v=lSz9qr_0nUM …………
মানিক- -(নুপুর) মেরোনা মেরোনা আমাকে। (কান্না থামিয়ে) আমি তো তোমাদের আজে বাজে গানের সাথে ভালো ভালো কথা জুড়েছি, আমি কি কানাই এর মত নাকি যে ভালো ভালো খানা খাদ্যের নাম জানিনে? হয়েছে হয়েছে এখন আমার কুঁজ ফেলে দাও বলছি।
ভুতেরা- (নাবিলা আর শাহীন) কি!!!!!!!!!!!! কুঁজ সারাবি! কুঁজ সারাবি না!!!!! এমনিতেই ভালো ভালো গানের কথা জানিস না আবার অন্যকে হিংসা করিস!!!!!
এই নে এই নে কুঁজের উপর আরেক কুঁজ নিয়ে এইবার বাকী জীবন কাটা এভাবে।
মানিক- -(নুপুর) - এ্যা এ্যা একি একি আরও এক কুঁজ!ওমা ওমা এক কুঁকের জ্বালায় বাঁচিয়া আর এরা কিনা আরও এক কুঁজ বসিয়ে দিলো! এ্যা এ্যা এ্যা
ভুতেরা - (নাবিলা আর শাহীন) শুধু তাই নয় কুঁজ ছাড়াও মেরে তোর ভুত ছুটাবো আজকে! মার মার মার আরও বেশি করে মার!
(মারের শব্দ) Click This Link
মানিক- -(নুপুর) ওরে বাবারে মরে গেলামরে!!!!!! কে আছো বাঁচাও আমাকে!!!!ভুতেরা আমাকে মেরে ফেললোরে! খেয়ে ফেললো রে!!
ভুতেরা- - (নাবিলা আর শাহীন) (নাকি সুরে) চুপ চুপ একদম চিল্লাবিনা পাজী হিংসুটে, অন্যকে হিংসা করিস!
(মারের শব্দ) Click This Link
মানিক- -(নুপুর) ওরে বাবারে। ওরে মারে! ভুত ভুত আমাকে শেষ করে ফেললোরে! বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও!!!!!!!!!!
(ভুতেরা চলে যাবে মানিক পড়ে থাকবে)
sad sound https://www.youtube.com/watch?v=hYgJAN1Ol5g
ন্যারেটর- ( শায়মা) পরদিন মানিকের গ্রামের লোকেরা এসে তাকে দেখে অবশ্য খুবই আশ্চর্য আর দুঃখিত হল। কিন্তু তারা বলল,
গাঁয়ের লোক ১ - অন্যকে হিংসা করলে এমনই সাঁজা পেতে হয়।
বুড়ো- হুম একেই বলে যেমন কর্ম তেমন ফল .....
মানিকের মা কাঁদতে কাঁদতে আসবে- ওরে আমার মানিকের এ কি হলো রে! মানিক আমার মানিক! এ্যা এ্যা এ্যা ( কান্না)
ন্যারেটর - দেখলে তো এ কারনেই হিংসা করা ভালো নয়। হিংসা করলে তার ফল কখনও ভালো হয় না।
ভাইয়া তোমার জন্য আমার আর একটা পাপেট শো এর স্ক্রিপ্ট! এটা পড়ে শোনাও।
রেকর্ডিং টা খুঁজে পাচ্ছিনা। ভিডিওটা দিতে চাচ্ছি না।
রেকর্ডিং টা পেলেই দিয়ে যাবো।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আই এগ্রি উইথ মাহমুদ ভাই।
বেতিয়ে সব ঠিক করা যায়।
এসব হাট্টিমাটিম না হয় তোমার বাচ্চাকাচ্চা ছাত্রদের ভুলিয়ে ভালিয়ে পড়াতে কাজে লাগবে, আমার বড় বড় ছাত্রদের কি হইবে? তাহারা নিজেরাই নিজেদেরকে টিচারের থেকে বেশি স্মার্ট ও শিক্ষিত ভাবে!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
শায়মা বলেছেন: তাদেরকেও ভুলিয়ে ভালিয়ে চোক্ষে ধান্দা লাগিয়ে গল্প শুনিয়ে পড়াতে হবে!
বেত দিলে কবে যে উলটা বেত খাও আল্লাহ জানে!
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
পুরো লেখাটাই চমৎকার । ইতিবাচক লেখা । পরে আসছি বিস্তারিত মন্তব্যে ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৮
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ
আমি তো ইতিবাচক মানুষই!!!!!!!!!!
৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৮
জেন রসি বলেছেন: গল্পের লাইনে লাইনে হরমোন থাকতে হবে। এটাই একমাত্র সূত্র।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১১
শায়মা বলেছেন: ঐ চাঁদগাজী ভাইয়া ধরেই গেলো!!!!!!!!!
৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১১
সুমন কর বলেছেন: গ্রেট পোস্ট। ঠিক আছে, আমার মেয়েকে তোমার কাছে পাঠিয়ে দেবো, গল্প শুনিয়ে কিছু-মিছু শিক্ষিয়ে দিও।
+।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৬
শায়মা বলেছেন: হা হা সত্যিই ভাইয়া।
গল্প আমার অস্ত্র।
কোনো মতেই বাগ মানাতে না পাার বেবিদেরকেও আমি এই অস্ত্রে কুপোকাৎ করি!!!!!!!
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
আমি তো ইতিবাচক মানুষই!!!!!!!!!!
জেন রসি বলেছেন: গল্পের লাইনে লাইনে হরমোন থাকতে হবে।
উভয় মন্তব্যেই হরমোন কানায় কানায় ভরপুর
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৮
শায়মা বলেছেন: ইয়া আল্লাহ হরমন হরমন বললে আমার কিন্তু চর্মন জ্বলে যাচ্ছে!!!!!!!
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শায়মার পোষ্ট মানে অনেক কিছু!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২০
শায়মা বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৫
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: দারুন ছিল। সাথে ভাবাবার মত বিষয় খেয়াল করেছ?
আমাদের মা দাদীদের দ্যা আর্ট অব স্টোরি টেলিং বলে বুঝিয়ে দিতে হয়নি। তারা জেনেটিক্যালি এই বিষয়গুলো জানতেন। কিন্তু এখন পোষ্ট দিয়ে জানাতে হচ্ছে। এরকম অসংখ্য পোষ্ট আছে বিভিন্ন ফোরামে। হাউ টু গ্রো আপ ব্লা ব্লা____
ঘটনা হল আমরা যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। কতদিন কোন মাকে তার বাচ্চাদের স্লিপিং টাইম স্টোরি শোনাতে দেখিনা।
প্রত্যেক মায়ের জন্য আদর্শ লেখা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ দাদী নানীদের স্টোরীগুলিই গ্রান্ড মা স্টোরি বলে আজ পরিচিত! তবে আমার মনে পড়ে আমার দাঁদীর বলা লাল কমল আর নীল কমলের গল্প।
হ্যাঁ এখন মায়েদের সময় কম! সারাদিন ৮ টা ৫ টা অফিসের পরেও সংসারের কাজ,সামাজিকতা। আর তাছাড়া মডার্ণ এডুকেশনে গল্প বলাটাকে যেভাবে শিশু শিক্ষার হাতিয়ার হিসাবে নেওয়া হয়েছে তখন তো অনেক কিছুই মানুষ অটো শিখে যেত।
শুধু মা নয় শিক্ষকেরাও এই গল্প বলাটাকে শিশু শিক্ষায় দারুন এক হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগাড়ে পারেন। আমি সত্যই বলছি শিশুদের সাথে সাথে তাতে তাদের আনন্দে কাটানো মূহুর্তটা বিফলে যাবেনা।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, টুপি খোলা (হ্যাটস অফ) অভিনন্দন জানাচ্ছি একটা চমৎকার বিষয় নিয়ে প্রাঞ্জল উপস্থাপনার জন্য। ক্ল্যাপস, ক্ল্যাপস!!
এতক্ষণ ধরে যা শিখলাম, তার সারাংশঃ
১। পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা প্রতিটা মানুষের জীবনে অতীব জরুরী একটি অভ্যাস আর এই অভ্যাসটি গড়ে ওঠার পিছনে ছেলেবেলায় আমাদের গল্প শোনার বিষয়টি পরোক্ষভাবে কাজ করে।
২। শুধু ভিডিও দেখালে শিশুর চিন্তাশক্তির বিকাশ ততটা হবেনা গল্প শুনালে যা হবে।
৩। যতই মানুষ আকাশ কুসুম কল্পনাকে হেসে উড়িয়ে দিক না কেনো কল্পনা ছাড়া এ জগতে আজও কোনো আবিষ্কার হয়নি কাজেই শিশুর মনোজগতে কল্পনার বিকাশও যথেষ্ঠ প্রয়োজনীয় বিষয়।
৪। সারাদিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও কখন একটু সময় করে নেওয়া যায় শিশুদেরকে গল্প বলার জন্য এ বিষয়টি ভাবতে হবে।
এতদিন আমাদের একমাত্র নাতনিটা আমাদেরই সাথে ছিল। ওকে ঘুম পাড়ানোর সময় গান শোনাতাম। গান শুনতে শুনতে সহজেই ঘুমিয়ে পড়তো। তবে মাঝে মাঝে গল্প শোনার আব্দার করতো। মাঝে মাঝে বানিয়ে বানিয়ে কিছু একটা গল্প শোনাবার চেষ্টা করতাম, কিন্তু নিজেই বুঝতে পারতাম, ফ্লপ করছি। ওরা এখন প্রবাসে। আল্লাহ যখন আবার দেখা হবার সুযোগ করে দেবে, তখন ওকে আমি কিছু ইন্টারেস্টিং গল্প শোনাবার আশা রাখি। আর এরই মাঝে আপনার এই এক্সিলেন্ট টিউটোরিয়ালটা পেয়ে গেলাম। অনেক কাজে লাগবে বলে আশা রাখি। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এটাকে "প্রিয়"তে তুলে রাখলাম।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫
শায়মা বলেছেন: হা হা থ্যাংকস আ লট ভাইয়া!
ফ্লপ খাওয়া চলবেনা! আজকেই শিখে ফেলো মজাদার গল্প বলার নানা রকম কলা ও কৌশল!!!!!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
শায়মা বলেছেন: এটা তোমার পুচ্চি নাতনীটার জন্য। ওকে ইমেইল করে পাঠিয়ে দাও।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট , প্রিয়তে গেল ।
খুব সুন্দর করে বলেছেন শিশুদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগে শিশুর অন্তর্নিহিত অপার বিস্ময়বোধ, অসীম কৌতুহল, আনন্দবোধ ও অফুরন্ত উদ্যমের মতো সর্বজনীন মানবিক বৃত্তির সুষ্ঠু বিকাশ এবং প্রয়োজনীয় মানসিক ও দৈহিক প্রস্তুতিগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। এর জন্য ছোটকাল হতেই শিশুদেরকে গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া যায় ।
আমার মনে পড়ে বেশ কিছুদিন আগে আপনার কোন এক পোষ্টে শিশশুদের জন্য গল্পচ্ছলে শিক্ষাদানের বিষয়ে ইউকেতে প্রাক স্কুল কালীন সময়ে কি ভাবে শিক্ষা দেয়া হয় তার একটি পিডিএফ পরম্যাটের বিষয়বস্তুসহ লিংক দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম এ বিষয়ে কিছু লেখার জন্য । আমার চাওয়াটা পুরণ হয়েছে দেখে খুব খুশী হলাম ।
লেখাটি আমাদের দেশের শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্ব পুর্ণ ।
পোষ্ট টিকে স্টিকি করার বিষয় সামু কতৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৭
শায়মা বলেছেন:
আমার মনে পড়ে বেশ কিছুদিন আগে আপনার কোন এক পোষ্টে শিশশুদের জন্য গল্পচ্ছলে শিক্ষাদানের বিষয়ে ইউকেতে প্রাক স্কুল কালীন সময়ে কি ভাবে শিক্ষা দেয়া হয় তার একটি পিডিএফ পরম্যাটের বিষয়বস্তুসহ লিংক দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম এ বিষয়ে কিছু লেখার জন্য । আমার চাওয়াটা পুরণ হয়েছে দেখে খুব খুশী হলাম ।
থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!!!
তবে গল্প ছাড়াও মজাদার লেসন প্লান রাইটিং এবং তার এপলিমেন্ট নিয়েও এর পরের পোস্টটা লিখবো ভাবছি।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৪
জেন রসি বলেছেন: এই পোস্টে আলোচনা করার মত অনেক বিষয় আছে। তবে এখন কিছুটা চাঁদগাজী ভাই মুডে আছি।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮
শায়মা বলেছেন: এটাকে বলে চাঁদগাজীভাইয়া সিনড্রোম!
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক পরশ্রমী পোস্ট।
ভালো...
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৬
শায়মা বলেছেন: নট অনলি পরিশ্রমী!
কি পরিমান উপকারী তা তোমার বেবি থাকলেই বুঝতে!
১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: বাহ! আরো একটি চমৎকার লেখা উপহার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি। ♥♥
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৭
শায়মা বলেছেন: তোমাকেও ধন্যবাদ তামান্নামনি!
১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৪
জেন রসি বলেছেন: আমার ক্ষেত্রে সিনড্রোম আমাকে নিয়ন্ত্রন করেনা। আমি সিনড্রোমকে নিয়ন্ত্রন করি। যেমন কখন কোন সিন্ড্রমে আক্রান্ত হব এটার নিয়ন্ত্রন আমার হাতে থাকে!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১০
শায়মা বলেছেন: আহা উদাহরণসহ প্রমান দাও!
১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৬
কালীদাস বলেছেন: রিলেটেড একটা মজার স্মৃতি আছে আমার। ঐটাই বলি পোস্টের কনটেন্টের পারস্পেক্টিভে
বাসার ছোট মেটালহেডটা যখন স্কুলে পড়ত তখনকার কথা। বাংলার রাজাদের ইতিহাস পিচ্চিটার খুবই বোরিং লাগত। তো একদিন গল্প বানালাম, "লক্ষণ সেন দুপুরবেলা খাইতে বৈসা শুনল যে খিলজি মিয়ায় বটি নিয়ে কুপাইতে আইস্যা পর্সে বাসার গেটে। সেন মামায় এমুন ডরান ডরাইসে যে হালার সুস্বাদু কই মাছ অর্ধেক খাইছিল বাকি অর্ধেক হাতে নিয়াই দিসে দৌড়। এরপর রাইতের আন্ধারে জংগলে ঘুইরা ঘুইরা রিফিউজি হয়া পূর্ব বাংলায় বাকি জীবন পার কর্সে। হের পুলা আছিল আর বড় ডরপুক। সামন্ত বিদ্রোহ সামলাইতে না পাইরা দালাল ধৈড়া চায়না হৈয়া অস্ট্রেলিয়ায় গেসিল গা। অস্ট্রেলিয়ায় তখন স্নো-কসমেটিকস আছিল সস্তা, ব্রিটিশরা যাওনে আগ পর্যন্ত। সেন বংশের লোকজন পয়লা দুই জেনারেশন সারাদিন পাহাড়ী গুহায় জীবন কাটাইত অন্ধকার ঠান্ডায় আর সারা দিন মুখে স্নো-পাউডার ঘসত। সাইড এফেক্টটা দেখস? সেই সেন বংশের পুলা শেন ওয়ার্ণ এখন দেখ কত নামকরা লেগ স্পিনার। আর কত্ত ফর্সা !!!"
ছোট মেটালহেডটা জীবনে অনেক কিছু পড়েছে, পড়ার পরে ভুলে গেছে। কিন্তু শেন ওয়ার্ণ বাংলার সেন বংশের বর্তমান উত্তরাধিকারী হওয়ার কারণে বাংলার ইতিহাস আর কোনদিন ভুলেনি অবশ্য মনে পড়লে এখনও আমাকে চটকনা দেয়ার চেষ্টা করে
দুনিয়ায় ভাল মানুষের দাম নাই উপকারীরে বাঘে খায়
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৩
শায়মা বলেছেন: হা হা হা এটাই হলো গল্পের উপকারীতা।
সহজ কথা যায় না বলা সহজে!
অথচ কঠিন কথাও সহজ করে বলে দেওয়া সম্ভব। মাথায় ঢুকানো সম্ভব একমাত্র ঘটনা প্রবাহ সৃষ্টির মাধ্যমে!
১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
অসাধারণ পোস্ট, অসাধারণ লেখনশৈলী! এতো সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী লেখা খুবই ভাল লেগেছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৬
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া!
১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
জেন রসি বলেছেন: গল্পের লাইনে লাইনে হরমোন থাকতে হবে। এটাই একমাত্র সূত্র।
সামুতে মনে হয় আমার কবিতায় তার অভাব নেই। এই যা তোমার লেখায় আমার কবিতার গল্প দিচ্ছি। আসলে মাথাটা গ্যাছে গো.... আমার কোন দোষনাই! তোমার চাঁদ ভাইয়ার দোষ। এই টোনাকে গল্প শোনাও ভাল করে! সারাক্ষণ জ্বালিয়ে মারছে!
কি যে করি! তোমার টোনাটুনিদের দলে বসে যেতে ইচ্ছে করছে। গল্প শোনা যাবে ভালই! কত্ত আয়োজন! বাবারে বাবা...
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১০
শায়মা বলেছেন: হা হা কোন টোনা? চাঁদ টোনা মানে আমাদের চাঁদগাজী টোনা ভাইয়াকে!
হা হা
গল্প শোনার আসরে বসতে হবেনা।
নিজেই গল্প বলা শিখে ফেলো .....
সব নিয়ম কানুন রিতীনীতি তো বলেই দিলাম সাথে দিলাম কিছু গল্প ও !!!!!!
১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৮
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: আপনার বাদশা ভাই হাজির। আর পোষ্টে একটা লাইক।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৩
শায়মা বলেছেন: এখন গল্প বলা শেখো.....
বলো টাং টুইস্টার কাকে বলে !!!!!!
২০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আজকের বিশ্বে, অর্ধেকের বেশী শিশু সৌভাগ্যবান, ওরা গল্প শুনে, পড়ে লেখে; আমাদের সময়, গল্প ছিলো না, বই ছিলো না, সমস্যা ছিলো অনেক।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৪
শায়মা বলেছেন: কেনো ভাইয়া তোমার নানু নানী, দাদা দাদীরাও ছিলো না নাকি!!!!!!!!!
ছোট বেলায় গল্প না শিখলে তুমি এই রসকষহীন সরিকতা কোথায় শিখলে বলোতো!!!!!!!
যাই হোক একটা প্রেমের কবিতা লেখো ভাইয়ামনি!
ভাবীর সাথে তোমার প্রথম দেখা..... এই বিষয়ক কবিতা!!!!!!!
২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:২২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার বলার কিছু ছিল না, সেটা নয় |সমস্যা হলো ট্রেন ফেল করে লেটে আসার পর দেখি যা বলার ছিল তার সবই বলা হয়ে গেছে | তাই আমার কথাগুলো আগের মন্তব্যের থেকে খুঁজলেই হবে | অতিরিক্ত কয়েকটা কথা : এই লেখার কার্যকারিতা বাস্তবে প্রয়োগ করে সাফল্য পাবার জন্য আমার দীর্ঘ মেয়াদি -মানে পাঁচশালা মেয়াদি পরিকল্পনা লাগবে | কিন্তু ট্রাম্প সাহেব আর কিম জন উন সাহেব যে ঝগড়াটা লাগাতে চাইছেন তাতে আর ততো বছর পৃথিবীটা টিকবে কি না সেই নিয়েই ঘোর সন্দেহ | মনোবিদ নই তবুও দুর্ধর্ষ লেখা পড়েই বুঝলাম | তাই ধন্যবাদটা দিতেই হবে, নিতেও হবে কিন্তু |
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৯
শায়মা বলেছেন: হয়েছে বলো টেস্ট দাও-
পিকচার রিডিং কাকে বলে!!!!!
এই টেস্ট না দিলে বাবুদেরকে কি শিখাবে ভাইয়া!!!!!!!!
২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই বাচ্চাদের গল্প বললে ওরা উদ্দীপ্ত হয় যদি অভিনয় করে বলা যায় তাহলে আরো বেশি উদ্দীপ্ত হয়।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৩
শায়মা বলেছেন: ঠিক ভাইয়া!
ভয়েস দিয়েও এই অভিনয় সম্ভব!
আর এটাই গল্প বলার সবচেয়ে দরকারী দিক!
২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্প দিয়ে শিশুর মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
অনেক সুন্দর, অনেক ভাল, অনেক উপকারী একটি পোস্ট।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৯
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই।
পজিটিভ মোটিভেশন গল্পে গল্পেই সব চেয়ে সহজ একজন শিশুর কাছে।
২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার লেখা। খুব দরকারিও- কারণ আজকাল বাবা মায়েদের গল্প বলতে তেমন দেখি না। Little red riding hood দেখে মনে পড়ল আমার মেয়ের প্রথম জন্মদিনে বইটা কিনেছিলাম। কি ভালবাসত ছবি দেখে গল্প শুনতে। আজকাল দেখি এইসব গল্প বাচ্চারা নিজে নিজে ট্যাব চালিয়ে শোনে!!!
চমৎকার পোস্টে ++++
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
শায়মা বলেছেন: আমি আমার ছোট্ট বেলায় এই গল্প কোথাও শুনিনি কিন্তু ৭ পর্বের একটি ফেইরী টেলসের সেট কিনে দিয়েছিলো আমার বাবা আমার যখন ৪ কি ৫ তখন।
সেইখানে এই রেড রাইডিং হুডের নাম ছিলো বাংলায় লাল দোলাই।
সেই বই এ যেমনই ছিলো মজার সব ছবি তেমন মজার গল্পগুলো।
আমার খহুব ইচ্ছে হত লাল দোলাই এর মত একটা জামা পরতে!
কিন্তু মা পাত্তাই দিত না!
এখন তো সব কিডস শপে পাওয়া যায় নানা রকম কস্টিউম!
আমার ছোটবেলায় আমি তাই ফিরে যেতে চাই!!!!
২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সায়মাপু প্রথমেই ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য।
আজকাল বাচ্চাদের গল্প শোনানোর চল মনে হয় উঠেই গেছে।গল্প বলতে গেলে তো আমাদেকে আগে গল্প জানতে হবে।
আমরা কজন গল্প বলতে পারি।
বর্তমানে শিশুরা উঠে দাড়াবার আগেই মোবাইলে গান দিয়ে বলা হচ্ছে, আব্বু নাচো তো!
সবাই লেখাপড়ার দিক নিয়ে যত সচেতন।শিশুর মানসিক বিকাশ নিয়ে ঠিক ততটাই উদাসীন।
সব শিশু ভাল সব গল্পে গল্পে বেড়ে উঠুক।সবার সুন্দর মানসিক বিকাশ হোক এই প্রত্যাশায় করি।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
শায়মা বলেছেন: আমার পোস্টের যথার্থ মন্তব্য!
থ্যাংকস আ লট ভাইয়া!
অনেক অনেক ভালোবাসা!
২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দাদী নানীদের যৌথ ফ্যামিলি এই জন্যেইতো ভাল ছিল।
মানুষ বুঝলো না। একক পরিবারে এখন কেবলই শূণ্যতা আর অপূর্নতা!
দারুন পোষ্ট!
++++++
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
শায়মা বলেছেন: হুম!
যৌথ ফ্যামিলী আমার মতে শিশুবিকাশে অনেক অনেক বেশি গুরুত্ব রাখে।
বর্তমান ব্যাস্ততাপূর্ন ও প্রতিযোগীতামূলক সমাজে বাবা মায়ের একার পক্ষে যথার্থ শিশু পালন যেমনই সম্ভব নয় তেমনি মমতা ও সৌহার্দ্যতায়, শেয়ারিং ও কেয়ারিং যৌথ ফ্যামিলী ছাড়া কোথায় শেখা হবে?
পরিবারই তো শিশুর প্রথম বিদ্যালয়.....
২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমাদের শিশুদের উপর থেকে ভারী ব্যাগের বোঝাটা সরিয়ে দিতে হবে। তাহলে তারা বই পড়ায় মনোযোগী হবে।
পাঠ্য বইয়ের অতিরিক্ত চাপে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে পারে না।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
শায়মা বলেছেন: সে কথা সত্যি তবে ইচ্ছা থাকিলে ঠেকায় কে!
আর এই ইচ্ছাটা গড়ে তুলতে হয় পরিবারের মানুষকেই !
একবার সঠিক পথের দিশাটা পেয়ে গেলেই
হারে রে রে রে আমায় রাখবে ধরে কেরে !!!!!
২৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
বেয়াদপ কাক বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখা টা পড়ে আপু। ছেলেবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে এখন গল্প শোনার জন্য।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
শায়মা বলেছেন: আমি তো রোজই একবার করে ফিরে ফিরে যাই আমার বেবিদের সাথেই .......
২৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যৌথ পরিবার এ কারণে সেরা। দাদা-দাদীর কাছ থেকে গল্প শোনা বাচ্চারা অনেক বেশি ভদ্র হয়, আদব কায়দা অনেক বেশি রপ্ত করতে শেখে। তারা অনেক বেশি কল্পনাপ্রবণ হয়। তারা অনেক বেশি সামাজিক হয়। কিন্তু আধুনিক পরিবারে দাদা-দাদীর স্থানই নাই।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৬
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই।
যৌথ পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা অবশ্যই অবশ্যই একক ফ্যামিলী থেকে বেশি সুন্দর হবে, যৌথ পরিবারে অনেক বেশি মানুষ থেকে শিশু অনেক বেশি কিছু শিখতে পারবে , সে সামাজিক হবে , আবার সমস্যার মোকাবেলাও করতে শিখবে তার পারিপার্শ্বিকতা দেখেই। মানসিক বা শাররিক শক্তি কৌশল অর্জন করতে পারবে, এছাড়াও শিশুকে দেখাশোনা ও যত্ন নেবার জন্য যৌথ পরিবার হতে আর কি বা বেশি হতে পারে?
একটি যৌথ পরিবারে মায়া মমতা, ভালবাসা, দেখা শোনা, নির্ভরশীলতা, শ্রদ্ধা সম্মান সর্বোপরি বহুমুখি সম্পর্কের যে বন্ধন তৈরি হয় তা সন্তানের বেড়ে ওঠাকে পরিপূর্ণ করে। মানষিক বিকাশকে যদি প্রাধান্য দিলে যৌথ পরিবারের কোন বিকল্প নেই।এখানে শিশুরা আদর ভালোবাসা স্নেহ বেশি পায়, আবার বড় ছোট সকলের সাথে কেমন আচরন করতে হবে তার শিক্ষা বেশি পায়।
৩০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার জন্য এ পোস্ট কাজে লাগবে। বর্তমানে অবশ্য তেমন লাগবে না, যাক আরো কিছুদিন!!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
শায়মা বলেছেন: কেনো লাগবেনা !!!!!
এখন থেকেই প্রাকটিস করো!!!!!!
১। টাং টুইস্টার - মনে আছে পাখি, পাকা পেপে খায় বা কাঁচা গাব পাঁকা গাব কাঁচা গাব পাঁকা গাব কাঁচা গাব পাঁকা গাব । নির্ভুল ভাবে কে কত দ্রুত বলতে পারে সেসব খেলার দিন। সেসব খেলা আবার খেলি আমাদের শিশুদের সাথে বা ক্লাসরুমেই। এতে যেমনই শিশু মুখের জড়তা কাঁটে তেমনি শিশু আত্মবিশ্বাসী হতে শিখে তেমনি বৃদ্ধি পায় কনসেন্ট্রেশন বা মনোযোগ। শিশুদের মুখের জড়তার কাটাবার এই শিক্ষনটা কিন্তু আমরা যারা ভালো গল্প বলিয়ে হতে চাই তাদের জন্য মানে আমাদের মত বড়দের জন্যও যথেষ্ঠ জরুরী।
২। রিপিটেশন - একই কথা, একই বাক্য বা একই গল্প। বার বার পুনরাবৃত্তির ফলে আমরা শিশুর মনে এর শিক্ষনীয় দিক বা কল্পনার জগতে ভেসে বেড়ানোর ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে পারি। যতই মানুষ আকাশ কুসুম কল্পনাকে হেসে উড়িয়ে দিক না কেনো কল্পনা ছাড়া এ জগতে আজও কোনো আবিষ্কার হয়নি কাজেই শিশুর মনোজগতে কল্পনার বিকাশও যথেষ্ঠ প্রয়োজনীয় বিষয়।
৩। হ্যোয়াটস কামস নেক্সট বা এরপর কি হবে বলোতো?- এক লাইন গল্প বলে পরের লাইন কি হতে পারে বলতে বলা বা ভাবতে বলা। এতে চিন্তাশক্তি, মনোযোগ ও গল্প বলার বা গল্প বানাবার দক্ষতা বাড়ে। শিশু নিজেই চিন্তা করে, কল্পনা দিয়ে নিজের মস্তিস্কে তৈরী করে দৃশ্য কল্প।
৪। ভয়েস প্রজেকশন- গল্প বলিয়েদের গলার য্ত্ন বিশেষ প্রয়োজন। গল্প বলার সময় নানা পরিস্থিতি বর্ণনায় নানা রকম কন্ঠের শব্দ প্রকাশের তারতম্য গল্পের শ্রোতাদের মাঝে এক বিশেষ আকর্ষন আনে। ভয়ের পরিবেশ, আনন্দোচ্ছাস, রাগ ক্ষোভ, দুঃখ সকল ইমোশন এবং পরিস্থিতি বর্ণনায় কন্ঠস্বর এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫। রোল প্লে - গল্পের বই পড়ে শোনানো সাথে শিশুদের দিয়ে সেটার অভিনয় করানোটা শিশুদের জন্য গল্প বলা বা শোনা বা গল্পের যে উদ্দেশ্য তা শিশুদের মাঝে পৌছে দেবার ব্যাপারটাকে আরও সহজ করে।
৬। অনুমান বা জানার পরিধি যাচাই করে নেওয়া- গল্প বলার সময় গল্পের ফাঁকে ফাঁকেই শিশুদেরকে পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে অনুমান করতে বলা যায়। নানা রকম প্রশ্নোত্তর সহযোগে গল্প বলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেমনই শিশুর মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে তেমনি সক্রিয় শিক্ষাদান বা স্টুডেন্ড সেন্টারড একটিভিটির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
রেড রাইডিং হুড গল্প পড়ার পরে আমার এক বেবির করা ক্রাফট ওয়ার্ক
৭। পিকচার রিডিং- খুব ছোট বাচ্চারা আক্ষরিক পড়াশোনা পড়তে শেখার আগেই ছবিগুলো পড়তে শিখে যায়। তারা ছবি দেখে গল্পের অনেক কিছুই বুঝতে পারে বা নিজের মত করে ভেবে নিতে পারে। তাই গল্পের বই এর ছবিগুলি বিশেষ জরুরী। এই ছবিগুলি নিয়ে প্রশ্ন করে করে শিশুদের গল্প বলার ও বুঝার দক্ষতাও বাড়ানো সম্ভব।
৮। প্রেজেনটেশন - প্রেজেনটেশন বা উপস্থাপন। গল্প শোনা বা পড়ার পর সেটা শিশুদের জন্য নিজের মত করে উপস্থাপন করবার সুযোগ করে দিতে হবে। খুব ছোট শিশুরা ছবি এঁকে এবং পরবর্তীতে সেটা গল্প বলায় বুঝিয়ে তা যেমনি বর্ণনা করতে পারে তেমনি একটু বড় বাচ্চারা সেটাই ছোট ছোট প্যারা লিখে বা নিজের ভাষায় লিখে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে পারে। তবে ছবি আঁকা হোক বা ছোট প্যারায় লিখিত গল্পই হোক মা বাবা এবং শিক্ষক সকলেরই উচিৎ সেসব সকলের জন্য ডিসপ্লে বোর্ড বা অন্য যে কোনো উপায়ে আকর্ষনীয় ভাবে সকলের মাঝে উপস্থাপন করা। এতে শিশুরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে।
আমার গল্প বলা ক্লাসে ৩ বছর বয়সী শিশুদের গল্পের চরিত্র অঙ্কন চিত্র-
৯। গল্পের বই এর ছবি - আগেই বলেছি গল্পের বই এর ছবিগুলি শিশুদের শিক্ষনে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে । গল্প পড়া, শোনানো বা বলার পর গল্পের বই এর ক্যারেকটার বা চরিত্রগুলির ছবি আঁকতে উৎসাহিত করলে গল্প বলা, শোনা বা বুঝার ব্যাপারটি আরও বেশি কার্য্যকরী হবে।
১০।ফ্লাশ কার্ড - ফ্লাশ কার্ড বা বিভিন্ন ছবির ছোট ছোট টুকরোর পর্যায়ক্রমিক বর্ণন অর্থাৎ ছবি সম্বলিত বিভিন্ন ফ্লাশ কার্ড সহযোগে গল্পের উপস্থাপন গল্প বলাকে দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।
১১। পাজেল- গল্পের চরিত্র বা দৃশ্যাবলীকে নানা রকম টুকরো ছবি দিয়ে মিলিয়েও গল্পের উপস্থাপনাকে নান্দনিক করে তোলা যায়।
আমার করা পাপেট শো বা পুতুল নাচের ছবি
১২।পাপেট গল্প - পাপেট বা পুতুল নাচের পুতুলগুলো যখন গল্পের বই থেকে উঠে এসে নিজেরাই হেঁটে চলে বেড়ায়। কথা বলে, গান গায় তখন কতই না মজার হয়। তাই সারা বিশ্বে পাপেট গল্প বা পাপেট শো সর্বজন নন্দিত। পাপেট দ্বারা সৃষ্ট চরিত্রগুলির সকল কর্মকান্ডই তাই শিশু মনে প্রায় চিরস্থায়ী আসন গড়ে তোলে।
আমার করা একটি বাংলা পাপেট শো এর চিত্র
১৩। ড্রেস এজ ইউ লাইক বা যেমন খুশি তেমন সাজো- গল্পের প্রিয় চরিত্রে শিশুদেরকে সাজিয়ে তোলার জন্য ইদানিং পোষাক দোকানগুলোতে দেখা যায় নানা রকম কস্টিউম। পুলিশের ইউনিফর্ম, মিলিটারীদের ইউনিফর্ম, স্পাইডারম্যান বা স্নোহ্যোয়াইটের কস্টিউম। এসব পোষাক শিশুদেরকে নিয়ে যায় সেসব শিশুতোষ গল্পের মাঝেই যেখানে কল্পনার রাজ্যে ভেসে গিয়ে শিশুদের মনোজগতে তৈরী হয় এক আলাদা আবহ। তবে শুধু পোষাক কিনে দিয়েই দায়িত্ব শেষ না করে যদি অভিভাবক ও শিক্ষকমন্ডলী সেই চরিত্রের ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে গল্প করে বা তাদেরকে সেসব চরিত্রের অনুকরণীয় দিকগুলি নিয়ে ভাবতে সাহায্য করে তবেই তা বিশেষ কার্য্যকরী হয়ে ওঠে। তবে আবারও বলছি ফিকশনাল চরিত্রের গল্পগুলির পাশাপাশি ননফিকশনাল বা বাস্তব চরিত্রের গল্পগুলিও শিশুর জন্য বিশেষ জরুরী।
আমার গল্প বলা ক্লাসের বাচ্চাদের নিজেদের তৈরী স্মল স্টোরি বুকস
১৪। বুক মেকিং একটিভিটি- গল্পের বই লেখালিখির অভ্যাস বা নিজের জন্য ছোট্ট একটি গল্পের বই বানাবার সাধ ছোট বয়স থেকেই পূরণে সাহায্য করা সম্ভব। ছোট শিশুরা যারা লিখতে জানেনা তারা ছবি এঁকে বানাতে পারে পিকচার বুক। যারা কেবলি লেখা শিখছে তারা এক এক লাইনে বানাতে পারে কয়েক পাতার বই। বুক কাভার বা কনটেন্ট এসব পরিকল্পনায় অভিভাবক ও শিক্ষকগণের সহায়তা প্রয়োজন।
১৫। কোয়েশ্চেন এনসার - গল্পের ফাঁকে ফাঁকে বা গল্প শোনানোর পর অবশ্যই শিশুদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকা প্রয়োজন। এই প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষক বা অভিভাবক মন্ডলী ক্লোজ এন্ডেড কোয়েশ্চেনের পাশাপাশি কিছু ওপেন এন্ডেন প্রশ্নও রাখতে পারেন। একই ভাবে শিশুদের জন্যও বড়দেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ রাখতে হবে।
৩১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার মন্তব্য কই গেলো
গল্প বইল্লা ভুলাইতে পারবা না ।
অসাধারন লেখা শায়মা !!!
প্রিয় !!!প্রিয়!!!! প্রিয়!!!!! প্রিয়!!!!!!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৩
শায়মা বলেছেন: হা হা
আমি জানিনা গেলো কই আমি কিন্তু ঘুমাচ্ছিলাম কারো মন্তব্য মুছিনি।
অনেক অনেক থ্যাংকস আপুনি!
এই গল্প বলা কাজে আমি অনেকদিন ধরেই নিয়োজিত
তবে লেখাটা লিখে মজা পেয়েছি।
৩২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: আমি আর ঝিলমিল আলোচনা করেছি কাল রাতে, ভাবছি আমাদের অপুকে তোমার কাছে পড়তে পাঠাব।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
শায়মা বলেছেন: হা হা
দূর্গাকেও পাঠিও ভাইয়া !
৩৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বেশ চমৎকার পোস্টটি শিশুদের মানুষিকতার উন্নতির জন্য কাজে আসবে। সবাই যেন তাদের শিুশুদের একটি সুন্দর ও মানবিক চরিত্রের মানুষ গঠনে তাদের শিশুদের সহায়তা করেন।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
শায়মা বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বেশ চমৎকার পোস্টটি শিশুদের মানুষিকতার উন্নতির জন্য কাজে আসবে। সবাই যেন তাদের শিুশুদের একটি সুন্দর ও মানবিক চরিত্রের মানুষ গঠনে তাদের শিশুদের সহায়তা করেন।
বর্তমান সমাজে শিশুর ঘাড়ে শুধু পড়ালেখার বোঁঝা চাপানো ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলির দিকে তেমন খেয়াল করা হয়না।
অথচ তাদের জন্য সময় প্রয়োজন।
সুন্দর ও মানবিক গুণাবলীর শিক্ষাতে স্কুল বা পারিপাশ্বিক পরিবেশের চাইতেও বাড়ির মানুষজনের অবদান অনেক বেশি।
৩৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: যেমন আমি যখন গল্প বলি পিনোকিও বা লিটিল মিস চ্যাটারবক্স। তখন আমার উদ্দেশ্য থাকে শুধু গল্পছলে গল্পটা বলে চলাই না। এ গল্পের মাঝে মিথ্যে বলা স্বভাবের বাচ্চাটি যেন মিথ্যে বলা বাজে অভ্যাসটাকে ত্যাগ করার অনুপ্রেরণা পায় বা জায়নামনির মত লিটল মিস চ্যাটারবক্স মেয়েটি তার বক বক করার কুফলতা একটু হলেও বুঝতে পেরে নিজেকে সামলায়।
- সো ইমপোর্টেন্ট টপিক
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩
শায়মা বলেছেন: আসলেই তাই
মিথ্যে বলা বাচ্চাদের জন্য রাখাল ও বাঘের গল্পটা কতখানি ইম্পোর্ট্যান্ট ভেবে দেখো ভাইয়া!
৩৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: মান্নাদের বাংলা গান যখন শুনি তখন দ্বীপ ছিল শিখা ছিল এবং মনে মনে যদি এত দুর গান দুটিই শুনি বার বার এবং কফি হাউস গানটি ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
শায়মা বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ!
গান দুটির কথা কেনো বলেছো বুঝতে পারছি!
৩৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
তারেক ফাহিম বলেছেন: শায়মাপুর পোষ্ট মানে দীর্ঘ।
দীর্ঘটাই বিশ্লেষণ।
বিশ্লেষণ ভালো লাগলো, বেবি নাই তাই, কাজে লাগে নাই আপাতত।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৪
শায়মা বলেছেন: না আসলে ঠিক বিশ্লেষনের জন্যও পোস্টটা লেখা না।
আমি আসলেই জানাতে চাই অভিভাবক ও শিক্ষকদেরকে গল্পে গল্পে শিশুর মানষিক বিকাশ আসলেও কতটা কার্যকরী।
৩৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! সংগ্রহে রেখে দিলাম, কখনো আর গল্প শোনার কালে ফেরা হবে না, শোনার কাল আসলে কাজে লাগবে!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া সেই দিনগুলোতে নিজেদের ফেরা না হলেও আমাদের ভবিষ্য বংশধরদের জন্য শিখে রাখতে পারো!
৩৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনি ছোট করে পোস্ট দিতে পারেন না।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৯
শায়মা বলেছেন: পারি
কিন্তু এই নিক থেকে না !!!!!!
হা হা হা
হাজার হোক এটা আমার গুরুত্বপূর্ণ নিক!!!!!!
কত মানুষের হিংসা বিদ্বেষ রাগ দুঃখ, ক্ষোভ আর ভালোবাসার নিক!!!!!!!!
৩৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
নায়না নাসরিন বলেছেন: কাজের পোস্ট আপু যাকে বলে ফ্টাফাটি । সোজা প্রিয়তে +++++++
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১১
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!!!
৪০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আমার বড় মামী ছিলেন সেই লেভেলের গল্প বলিয়ে । কোন প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা ছিলো না । প্রচুর বই পড়তেন, এখনো সময় পেলে পড়েন । কন্ঠও খুব সুইট । আমরা নানুবাড়ি গেলে আসতে চাইতাম না, কখন রাত হবে, আর মামীর রুম থেকে মামারে কিক মেরে কখন আমরা জায়গা দখল করে নেবো সেই ধান্ধায় থাকতাম । মামা কালও মুখ করে বের হয়ে যেতেন, হা হা ! মামীর খাটটাও অনেক বড় ছিলো, আমরা পিচ্চি পুছকো অনেকগুলো একসাথে এঁটে যেতাম ! কত গল্প... কত রূপকথা.... কত জিজ্ঞাসা... কত কৌতুহল...! আর এখন মনে হয় জীবনের কোন কৌতুহল নেই, বেঁচে থাকাটাই একটা কৌতুহল !
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৪
শায়মা বলেছেন: কৌতুহল নেই!
কে বলেছে!
তবে তুমি কিন্তু সকলেরই একটা কৌতুহল!!!!!
আমার চাইতেও বেশি! হা হা হা
৪১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
উম্মে সায়মা বলেছেন: প্লাস এবং প্রিয়তে শায়মা আপু। পুরোটা পড়িনি। পরে সময় করে পড়ব.....
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংকস আ লট আপুনি!
৪২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি ৪২ নম্বরে ই থাকবো (দূরেই থাকবো ) দূরে থেকেও প্রিয় তে নিয়ে যাব। ভাল লাগা দিয়ে যাবো ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: এই মন্তব্যের কি হাতা মাথা আছে?
তাল, গোল ছেড়ে এবার হাতা মাথা ছাতাও ছেড়েছো!
৪৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমাকে গল্প বলা প্র্যাকসটিস করতে হবে । বাচ্চারা প্রায়-ই আবদার করে গল্প শোনানোর জন্যে। প্রস্তুতি না থাকায় হুট হাট বলতে পারিনা
কেমন আছো আপুনি?
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৬
শায়মা বলেছেন: আমার পোস্ট পড়ো আর একা একা সামনে কাউকে বসিয়ে গল্প শুনাও নীলমনি!!!!!
তবে ছোটদের মত এত মন কারো পাবেনা!
সেদিন আমি অতিকায় শালগমের গল্প বলছিলা. বাচ্চারা শালগম চিনে না আমি ছবি দেখালাম তবুও বুঝেনা। অনেকভাবে বুঝাতে চাইলাম আলুর মত কপির মত কিছুতেই বুঝেনা। যাইহোক আমি তবুও কোনোমতে বুঝিয়ে যখনই শালগমটা দিয়ে স্যুপ বানানো হলো বলছিলাম!
স্যুপটা বানানো হলো, একটু চিকেন, একটু চিলি, একটু চিনি একটু গোলমরিচ, একটু সিরকা এসব দিয়ে স্যুপটা যা হলো না!!!!! ইয়াম্মী!!!!!!!!! আহ! খেয়ে তো প্রাণ জুড়াই যায়!!!!!
সেই স্যুপ এত্ত মজা!
এসব শুনে বাচ্চাদের এমন অবস্থা যে সেই স্যুপ না খেলে জীবনই বৃথা!!!!! হা হা হা হা
৪৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বিশাল পোস্ট অর্ধেক পড়েই হাপিয়ে উঠেছি।
পানি খা্ইয়া আসি।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮
শায়মা বলেছেন: কত পানি খাচ্ছো ভাইয়া!!!!
এক পুকুর নাকি এক সমুদ্র!!!!!!!
একটা গল্প আছে
টুনটুনি আর নাপিতের কথা
টুনটুনি গিয়েছিল বেগুন পাতায় বসে নাচতে। নাচতে-নাচতে খেল বেগুন কাঁটার খোঁচা। তাই থেকে তার হল মস্ত বড় ফোড়া।
ও মা, কি হবে? এত বড় ফোড়া কি করে সারবে?
টুনটুনি একে জিগগেস করে, তাকে জিগগেস করে। সবাই বললে, ‘ওটা নাপিত দিয়ে কাটিয়ে ফেল।’
তাই টুনটুনি নাপিতের কাছে গিয়ে বললে, ‘নাপিতদাদা, নাপিতদাদা, আমার ফোড়াটা কেটে দাও না!’
নাপিত তার কথা শুনে ঘাড় বেঁকিয়ে নাক সিঁটিকিয়ে বললে, ‘ঈস্! আমি রাজাকে কামাই, আমি তোর ফোড়া কাটতে গেলুম আর কি!’
‘ঈস্! আমি রাজাকে কামাই, আমি তোর ফোড় কাটতে গেলুম আর কি?’
টুনটুনি বললে, ‘আচ্ছা, দেখতে পাবে এখন, ফোড়া কাটতে যাও কিনা।’
বলে সে রাজার কাছে গিয়ে নালিশ করলে. ‘রাজামশাই, আপনার নাপিত কেন আমার ফোড়া কেটে দিচ্ছে না? ওকে সাজা দিতে হবে।’
শুনে রাজামশাই হো-হো করে হাসলেন, বিছানায় গড়াগড়ি দিলেন, নাপিতকে কিছু বললেন না। তাতে, টুনটুনির ভারী রাগ হল। সে ইঁদুরের কাছে গিয়ে বললে, ‘ইঁদুরভাই, ইদুরভাই, বাড়ি আছ?’
ইঁদুর বললে, ‘কে ভাই? টুনিভাই! এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?’
রাজ হো-হো করে হাসলেন। [ পৃষ্ঠা ৬
টুনটুনি বললে, ‘তবে ভাত খাই, যদি এক কাজ কর।’
ইঁদুর বললে, ‘কি কাজ?’
টুনটুনি বললে, ‘রাজামশাই যখন ঘুমিয়ে থাকবেন, তখন গিয়ে তাঁর ভুঁড়িটা কেটে ফুটো করে দিতে হবে।’
তা শুনে ইঁদুর জিভ কেটে কানে হাত দিয়ে বললে, ‘ওরে বাপরে! আমি তা পারব না।’ তাতে টুনটুনি রাগ করে বিড়ালের কাছে গিয়ে বললে, ‘বিড়াল ভাই, বিড়ালভাই, বাড়ি আছ?’
বিড়াল বললে, ‘কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?’
‘ওরে বাপরে! আমি তা পারব না।’
টুনটুনি বললে, ‘তবে ভাত খাই, যদি ইঁদুর মার।’
বিড়াল বললে, ‘এখন আমি ইঁদুর-টিদুর মারতে যেতে পারব না, আমার বড্ড ঘুম পেয়েছে।’ শুনে টুনটুনি রাগের ভরে লাঠির কাছে গিয়ে বললে, ‘লাঠিভাই, লাঠিভাই, বাড়ি আছ?’
লাঠি বললে, ‘কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?’
টুনটুনি বললে, ‘তবে ভাত খাই, যদি বিড়ালকে ঠেঙাও।’
লাঠি বললে, ‘বিড়াল আমার কি করেছে যে আমি তাকে ঠেঙাতে যাব? আমি তা পারব না।’ তখন টুনটুনি আগুনের আছে গিয়ে বললে, ‘আগুনভাই, আগুনভাই, বাড়ি আছ?’
‘অত জল খেতে পারব-না, আমার পেট ফেটে যাবে।’ [পৃষ্ঠা ১০
আগুন বললে, ‘কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?’
টুনটুনি বললে, ‘তবে ভাত খাই, যদি তুমি লাঠি পোড়াও।’
আগুন বললে, ‘আজ ঢের জিনিস পুড়িয়েছি, আজ আর কিছু পোড়াতে পারব না।’ তাতে টুনটুনি তাকে খুব করে বকে, সাগরের কাছে গিয়ে বললে, ‘সাগরভাই, সাগরভাই, বাড়ি আছ?’
সাগর বললে, ‘কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?’
টুনটুনি বললে, ‘তবে ভাত খাই, যদি তুমি আগুন নিবাও।’
সাগর বললে, ‘আমি তা পারব না।’ তখন টুনটুনি হাতির কাছে গিয়ে বললে, ‘হাতিভাই, হাতিভাই, বাড়ি আছ?’
মশায় আকাশ ছেয়ে গেল। [ পৃষ্ঠা ১১
হাতি বললে, ‘কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?’
টুনটুনি বললে, ‘তবে ভাত খাই, যদি সাগরের জল সব খেয়ে ফেল।’
হাতি বললে, ‘অত জল খেতে পারব না, আমার পেট ফেটে যাবে।’
কেউ তার কথা শুনল না দেখে টুনটুনি শেষে মশার কাছে গেল। মশা দূর থেকে তাকে দেখেই বললে, ‘কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?’
টুনটুনি বললে, ‘তবে ভাত খাই, যদি হাতিকে কামড়াও!’
মশা বললে, ‘সে আবার একটা কথা! এখুনি যাচ্ছি! দেখব হাতি বেটার কত শক্ত চামড়া!’ বলে, সে সকল দেশের সকল মশাকে ডেকে বলল, ‘তোরা আয় তো রে ভাই, দেখি হাতি বেটার কত শক্ত চামড়া।’ অমনি পীন্-পীন্-পীন্-পীন্ করে যত রাজ্যের মশা, বাপ বেটা ভাই বন্ধু মিলে হাতিকে কামড়াতে চলল। মশায় আকাশ ছেয়ে গেল, সূর্য ঢেকে গেল। তাদের পাখার হাওয়ায় ঝড় বইতে লাগল। পীন্-পীন্-পীন্-পীন্ ভয়ানক শব্দ শুনে সকলের প্রাণ কেঁপে উঠল। তখন—
হাতি বলে, সাগর শুষি!
সাগর বলে, আগুন নেবাই!
আগুন বলে, লাঠি পোড়াই!
লাঠি বলে, বিড়াল ঠেঙাই!
বিড়াল বলে, ইঁদুর মারি!
ইঁদুর বলে, রাজার ভুঁড়ি কাটি!
রাজা বলে, নাপতে বেটার মাথা কাটি!
নাপিত হাত জোড় করে কাঁপতে-কাঁপতে বললে, ‘রক্ষে কর, টুনিদাদা! এস তোমার ফোড় কাটি।’
তারপর টুনটুনির ফোড়া সেরে গেল, আর সে ভারী খুশী হয়ে আবার গিয়ে নাচতে আর গাইতে লাগল—টুনটুনা টুন্ টুন্ টুন্! ধেই ধেই!
৪৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৫
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: বলো টাং টুইস্টার কাকে বলে !!!!!!
আমি কথা তো বলিতে পারিনা।আমার জিহ্বা নেই, জিহ্বা জড়িয়ে যাবে কিভাবে,আর ভুল উচ্চারণ হবে বা কিভাবে। আপনি কি পোলাপান গো মাষ্টার!!!!!!!!!!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫১
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি পোলাপাইনগো মাস্টার বাট লাইক টু টিচ বুড়াপাইন টু!!!!!!!!
৪৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
‘পাখি পাকা পেঁপে খায়,‘পাখি পাকা পেঁপে খায়, ৫০ বার একটানা বলুন তো !!!! দেখি পারেন কিনা
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৪
শায়মা বলেছেন: পারি!
আমি এসবই প্রাকটিস করেছি বাবু!
গল্প বলা বা অনর্গল কথা বলার জন্য বা কথার মাঝে না থেমে যাওয়া রোধে এই প্রাকটিস বিশেষ জরুরী!
আমি যতদিন আবৃতি বা এই প্রাকটিসগুলা শুরু করিনি ততদিন জানতামনা আমি কত কথাই স্পষ্ট বলি নিজের অজানতে!
গল্প বলা বা আবৃতিতে অতি দ্রুত বলা কথাও সকলের বোধগম্য যেন হয় সেটা খেয়াল রাখতে হয়।
৪৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গত রাতে শুয়ে শুয়ে পড়েছি।
অসাধারণ পোস্ট।
আমি বোধ হয় মোটামুটি মানের গল্প বলতে পারি, ছোটরা যেভাবে গল্প বলার জন্য ঝাঁকিয়ে ধরে তাই দেখেই এমত ধারনা!!!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৭
শায়মা বলেছেন: আমার ধারণা তুমি এক্সসেলেন্ট পারো!
তোমার রম্য বলার স্টাইল বলে দেয় তুমি সুবক্তা এবং বিশেষ করে স্টোরী বলার ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শী।
৪৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: দূর ভবিষ্যতের সুদূর চিন্তা কিছুদিন পরের জন্য না হয় তোলা থাক ? হবে তো নাকি ?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৯
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে তবে তাই হোক!
৪৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
সোহানী বলেছেন: তোমার লিখাটা অসাধারন বললে ও ভুল হবে........ এর চেয়ে প্রশংসাসূচক কোন ভাষা নেই। কারন দেশে থাকতে এর গুড়ুত্ব না বুঝলে ও এখানে এসে গল্প বলা বা পড়ার গুড়ুত্ব হাড়ে হাড়ে বুঝি।
কি যে গুড়ুত্ব দেয়া হয় গল্পকে এখানকার পড়াশুনায় তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আমার ছেলে কেজি লেভেল পর্যন্ত দেশের নাম করা স্কুলে পড়েছিল আর এখন আমার মেয়ে এখানে কেজি লেভেলে পড়ে। তাই পার্থক্যটা ধরতে পারি।
শিশুরা কতটা গুড়ুত্বপূর্ণ বা তাদের মনোযোগত: কতটা গুড়ুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য তা আমরা কোন কালেই বুঝিনি। মুখস্থ বিদ্যায় বেড়ে উঠা শিশুদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী কি আশা করতে পারি।
তোমার লিখার প্রতিটি পয়েন্ট গুড়ুত্বপূর্ণ ও সঠিক পদ্ধতি। কারন এখানে এ পদ্ধতিতেই শেখানো হয়। দেশের কেজি স্কুলে তোমার এ লিখা বাধ্যতামূলকভাবে সকল শিক্ষকদের পড়া উচিত।
ভালো থাকো।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৪
শায়মা বলেছেন: সোহানীমনি তোমার এমন মন্তব্যের পরে আমার পোস্ট লেখার সার্থকতা কি তা আর বলে দেবার অপেক্ষা রাখে না। এই মন্তব্যের উত্তর আমি কাল দেবো।
অনেককিছু বলার আছে।
আজ ঘুমঘুম চোখে সেসব বলতে চাইনা।
অনেক অনেক ভালো থেকো আপুনিমনি!
নীচে রোকসানা আপুনির মন্তব্য পড়েই মনটা ভরে গেলো!
অনেক অনেক ভালো থেকো আপুনি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১
শায়মা বলেছেন: আপুনিমনি
তোমার মন্তব্য এত ভালো লেগেছে যে এর উত্তর আলাদা করে দেবো বলে আমি সেদিন কিছু বলিনি। আমার অনেক অনেক ভাগ্য যে আমি এমন একটি স্কুলে পড়াতে পারছি যেখানে আমি ঠিক এমন এমন সুবিধাগুলো পেয়েছি তাতে নিজে যেমন আনন্দের সাথে শিখেছি এবং শিখছি ঠিক তেমনি আমাদের বাচ্চারাও আনন্দ নিয়ে শিখছে। তারা বুঝতেই পারেনা পড়ালেখা যে আসলে কষ্টের কিছু। কখন পড়া শিখে আর কখন লেখা শিখে তা দেখে তাদের বাবা মায়েরাও অবাক হয়ে যায়। আমাকেও এই স্কুল এই সব ট্রেইনিং বা ওয়ার্কশপে সুবিধা করে দেবার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ! আমার প্রি স্কুল সেকশনে আমার চাইতে বেশি ট্রেইনিং ওয়ার্কশপে তারা আর কাউকেই পাঠায়নি মনে হয়। হা হা হা এর কারন আমার স্ব ইচ্ছা প্রনোদিতার সাথেও আমি যেই টাইমটা দিতে পারি বা হার্ড ওয়ার্কের পিছে সময় ব্যায় করতে পারি তা অনেকের জন্য কঠিন। এই জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছেও আমার কৃতজ্ঞতা অসীম!
আনন্দময় শিক্ষা গ্রহন এবং শিক্ষাদান দুটোই আসলে সমান এনজয়েবল। ছোট বাচ্চাদের ধরে বেঁধে পড়া শেখাতে গেলে তারা অনেকেই সেটা অত্যাচার মনে করে বেঁকে বসে। কেউ কেউ ভয়ে ভয়ে হাজার চেষ্টা করেও পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু গল্প, খেলা, নানা রকম একটিভিটি যা হ্যান্ডস অন একটিভিটিও বলা হয়ে থাকে সেসবের সুষ্ঠ প্রয়োগে স্টুডেন্ট সেন্টারড শিক্ষা পদ্ধতি যে কতখানি কার্য্যকরী ও উপভোগ্য তা আমাদের দেশের হাতে গোনা কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ছাড়া কোনো বাংলা মিডিয়ামেই যে ফলো করা হয় না তা আমি চোখ বুজে বলে দিতে পারি।
(শিশুরা কতটা গুড়ুত্বপূর্ণ বা তাদের মনোযোগত: কতটা গুড়ুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য তা আমরা কোন কালেই বুঝিনি। মুখস্থ বিদ্যায় বেড়ে উঠা শিশুদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী কি আশা করতে পারি।)
ঠিক তাই শিশুদেকে আমরা হেলফেলায় বড় করি বা বকাঝকা মারধোর তাদের আসল শিক্ষা এটাও অনেকে আজও মনে করে থাকেন। কিন্তু শিশু শিক্ষা বা শিশুপালনের প্রথম শর্ত-
১। তাদেরকে বড়দের মত ট্রিট করতে হবে। ছোট বলে ওর করা কাজগুলো বোকামী বা তুচ্ছ ভেবে অন্যের সামনে হাাসাহাসি বা সে পারেনা এসব মোটেও চলবে না । মোটকথা একজন বড় মানুষের যে অনুভুতি বা আচার আচরণ তার সাথেই তাকে তুলনা করতে হবে।
২। আনন্দময় শিক্ষাদান, জোর করে ধরে বেঁধে না বসিয়ে খেলা ছলে শিখানো এটার যে কত রকম পদ্ধতি আছে তা জানতে হবে। লেসন প্ল্যান এজন্য এক জরুরী ব্যাপার যা দেশের কয়টা স্কুলে আছে আমার সন্দেহ আছে।
(তোমার লিখার প্রতিটি পয়েন্ট গুড়ুত্বপূর্ণ ও সঠিক পদ্ধতি। কারন এখানে এ পদ্ধতিতেই শেখানো হয়। দেশের কেজি স্কুলে তোমার এ লিখা বাধ্যতামূলকভাবে সকল শিক্ষকদের পড়া উচিত।)
এই কথাটার জন্য অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা আপুনি!!!!!!!!! লাভ ইউ সো মাচ!!!!!
এই পোস্ট লেখার পরে আরও কিছু বিষয় নিয়ে লেখার কথা মাথায় এসেছে যা শিশুদের জন্য অবশ্য জরুরী। জানিনা এতে কার কতখানি লাভ হবে তবে আমার জুনিয়র টিচারেরা যারা আছে আমার আশেপাাশে এবং আমার অভিভাবক মন্ডলী তাদের জন্য কাজে দেবে বলেই আমি মনে করি।
এসব লেখা আমি আমার স্কুলের লাইব্রেরীতে শেয়ার করি!
তবে খুব কষ্ট হয় ও ইচ্ছে করে গ্রামে গঞ্জে বা সুবিধা বঞ্চিত সকল শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আনন্দময় শিক্ষা পদ্ধতি। অন্তত ৩ থেকে ৫/৬ পর্যন্ত হলেও!
অনেক ভালো থেকো সোহানীমনি!!!!!
৫০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরিবারই তো শিশুর প্রথম বিদ্যালয়....(২৬ নং প্রতিমন্তব্য) - চমৎকার বলেছেন কথাটা। ভাল লাগলো।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
অনেক অনেক ভালোবাসা!
৫১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: গল্প বলার প্রয়োজনীয়তা জেনে গেলাম, পরে একসময় লিঙ্কগুলো দেখে কিছু শিখে যাবো।
খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে এনেছেন আলোচনায়। ভালো লাগলো।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
৫২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখার বিষয় খুব ভালো। প্রথমে শামীম আজাদের কথা বলা হয়েছে উনি লণ্ডনের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সেই প্রোগরামটি করিয়ে ছিলেন। এই পদ্ধতিতে সব উন্নত বিশ্বের বাচ্চাদের শিক্ষা প্রদান করা হয়। তাদের ভিতরের সুপ্ত অনুভূতি জাগিয়ে ভাবনার বিকাশ করা হয়। যা বড়রাও আনন্দ পায়।
কিন্তু আমাদের দেশে এখনও ভাবনা বিকাশের কোন সুযোগ নাই। উপরন্ত কেউ নতুন কিছু বলতে চাইলে তাদের পেতে হয় শাস্তি।
তারপরও পড়ালেখা চালিয়ে যায় অসীম ধৈর্য্য নিয়ে বাচ্চারা।
আজই দুজন কলেজে পড়ুয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থির ক্লাস পড়ালেখা, শিক্ষকের পড়ানার ঢং ভালোলাগে না বলে কলেজে যাওয়া ভালোলাগে না শুনে, ভীষণ মন খারাপ হয়ে আছে অথচ ওরা খুব মেধাবী।
শিক্ষা পদ্ধতিতে গল্প বলে মেধা মনন বিকাশের দিন কবে আসবে তার অপেক্ষায় থাকলাম।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
শায়মা বলেছেন: আপু এই কমেন্টগুলো আমার প্রান ভরিয়ে দিলো!
যাইহোক তোমার সাথে আমার আরও কথা আছে এই কমেন্ট আর লেখা নিয়ে!
অনেক অনেক ভালোবাসা আপুনি
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
শায়মা বলেছেন: শামীম আজাদকে দেখে অবাক হই বারে বারে। যদিও এই ওয়ার্কশপ উনি দেশে ও বিদেশে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য অনেকবারই করিয়ে থাকেন। প্রায় প্রতিবছরই উনার স্টোরী টেলিং ওয়ার্কশপ ব্রিটিশ কাউন্সিলে হয়ে থাকে। আমি ৭ বছর আগেও উনার এই ওয়ার্কশপ করেছিলাম সেদিনও করলাম। এত আনন্দ উচ্ছলতায় পূর্ণ একজন মানুষ বুঝি তখনই হওয়া যায় যখন শিশুদের মাঝের আনন্দ নিজের মাঝে গ্রহন করা যায় হয়ত!
সে যাই হোক-
(কিন্তু আমাদের দেশে এখনও ভাবনা বিকাশের কোন সুযোগ নাই। উপরন্ত কেউ নতুন কিছু বলতে চাইলে তাদের পেতে হয় শাস্তি।
তারপরও পড়ালেখা চালিয়ে যায় অসীম ধৈর্য্য নিয়ে বাচ্চারা।)
ঠিক তাই এমনটাই চলে আসছে আজও তবে সোহানী আপুর মন্তব্যে বলেছি আবারও বলছি আমি সেই গুটিকয় ভাগ্যবানদের একজন যে কিনা এমন একটি স্কুলে কাজ করছি যেখানে নতুন করে শেখার আছে অনেক কিছুই! আমি এবং আমরা যে শাস্তির ভয় মাথায় নিয়ে শিখেছি এখন তা কিছু সুবিধাবান শিশুরা শিখছে আনন্দ নিয়ে।
(আজই দুজন কলেজে পড়ুয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থির ক্লাস পড়ালেখা, শিক্ষকের পড়ানার ঢং ভালোলাগে না বলে কলেজে যাওয়া ভালোলাগে না শুনে, ভীষণ মন খারাপ হয়ে আছে অথচ ওরা খুব মেধাবী। )
এর কারণই সেই সনাতনী মাথায় চাপিয়ে দেওয়া নিরানন্দময় শিক্ষার বোঝা!
(শিক্ষা পদ্ধতিতে গল্প বলে মেধা মনন বিকাশের দিন কবে আসবে তার অপেক্ষায় থাকলাম।)
আমিও অপেক্ষায় থাকি প্রতিটি শিশু আনন্দ নিয়ে স্কুলে যাক। দেশের আনাচে কানাচে শিক্ষক যেন তাদের ভয়ের মানুষ না হয়ে বন্ধ হয়ে ওঠে এমনই একটি দিনের।
৫৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হাট্টিমা টিম টিম ,তারা মাঠে পাড়ে ডিম ,তাদের খাড়া দুটো শিং .....স্টোরি টেলিং করেন দেখি !
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হা
বাবুরাম সাপুড়ে কোথা যাস বাপুরে
আয় বাবা দেখে যা দুটো সাপ রেখে যা
এটাই তো বেশি ভালো হত তার চেয়ে ভাইয়া!!!!!
জানো এক দেশে না একটা সাপুড়ে ছিলো! সাপুড়ে মানে যারা সাপ ধরে!!!! বাপরে !!!!!! সাপ !!!!!!!!!! চিন্তা করো সাপ কি ধরা যায় নাকি!!!!!!!!! আমরা কি সাপ ধরতে পারি!!!!!! ও মা! সাপ তো তাইলে আমাদেরকে ছোবল দেবে! আর সাপের বিষে আমরা তো মরেই যাবো!!!!!!!! কিন্তু সাপুড়েরা না আশ্চর্য্য ব্যাপার!!!!! তারা সেই ডেঞ্জারাস সাপগুলোকেই খপ খপ করে ধরে ফেলে! আমি কি শুনেছি জানো! তারা নাকি সাপ ধরা মন্ত্র জানে!
জানিনা বাবা আমি তো আর মন্ত্র জানিনা! যাইহোক একদিন একটা সাপুড়ে তার ঝোলায় করে সাপ নিয়ে যাচ্ছিলো। কোথায় যাচ্ছিলো বলোতো! কি মনে হয় তোমার? জঙ্গল দিয়ে!!!!!!! বাবা ঘন বন!!!!!!!!! অনেক বড় বড় গাছ!!!!!!!!!! সেই বনে বাঘ আছে ভালুক আছে আর অনেক অনেক সাপও আছে। ছোট সাপ, বড় সাপ মেঝ সাপ....
হা হা হা কোথায় যাচ্ছিলো বলোতো! জঙ্গলে বনে নাকি রাস্তা দিয়ে ভেবে দেখো তো!!!!!!
চোখ বন্ধ করে ভাবো!!!!!!
কি দেখতে পাও !!!!!!!
কোথায় চলেছিলো সে!!!!!!!
কেমন দেখতে সাপুড়েটা!!!!
ওর হাতে কি!!!!!!!!
ওমা কি যেন একটা বাজাচ্ছে সে!!!!!!
এটাকেই তো বীন বলে তাইনা!!!!!!!!!
হা হা হা হা হা সাপুড়ে ভাইয়া আরও শুনবে!!!!!!!!
৫৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভাল লাগলো+++
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
৫৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শুকনা ধন্যবাদ !! ৪২. তোমার পাগলাটার খবর কি !!!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
শায়মা বলেছেন: শুনেছি সে আমাদের বৌমার হস্তের ঘুস্তি খাইয়া নিহত হইয়াছে!
৫৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নষ্ট হয়ে যায় নাই । এই বার ঠিক আছে। আমিতো উপরেই থাকবো । মঙ্গলগ্রহে থেকে চলে আসলা কবে? ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
শায়মা বলেছেন: কি নষ্ট হয় নাই!
মাথা!!!!!!!!
বললেই কি আর লোকে বিশ্বাস করে!
সব পাগলই বলে সে পাগল না!!!!!
৫৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
কারা বলেছে !! এই সুখবর তো জানতাম না !! হা হা
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শায়মা বলেছেন: কোন সুখবর ভাইয়ামনি!!!!!!
সেলিমভাইয়ার পাগলামী দেখে যে মঙ্গলগ্রহ থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে!!!!!!!!
৫৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আরে নাহ, আমাকে নিয়ে এতো কৌতুহলের ব্যাপারটা সম্পর্কে ।
একজন প্রেমভিখারী মানুষকে এভাবে ফেলে দেয়া কী ঠিক। সুন্দর পৃথিবী গড়তে প্রেমের দরকার আছে ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
শায়মা বলেছেন: তাইলে তুমি যাও সেলিমুলভাইয়ার সাথে মঙ্গলগ্রহে!!!!!!!
৫৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আমি কেন যাব ! আমি পৃথিবীতে ভাল আছি । তাছাড়া পৃথিবীকে আমার দরকার। আপনি ওখানে চলে যায়, সাজুগুজো, রান্নাবান্না , নাচা গানা সব নিজের ইচ্ছেমত করবেন ! কেউ আপনার সাথে হিংসে করবে না । মাঝে মাঝে শুধু কিছু সেলফি তুলে পাঠাবেন । আপনি কেমন আছেন তা যেন জানতে পারি !
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৩
শায়মা বলেছেন: আমি যেতে পারি তুমি শুধু সেলিমভাইয়াকে আটকে রেখো!!!!!!
নইলে আবার সেখানেও তার কবিতার খাতা নিয়ে হাজির হবে!!!!!
৬০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৮
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম। ফেবুতে শেয়ার দিলাম।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৩
শায়মা বলেছেন: থ্যাংকস আ লট ভাইয়া!!!!
৬১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪১
নীলপরি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনেক কথা মনে পরে গেলো । পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছে জাগছে ।
++++++++
শুভকামনা ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
শায়মা বলেছেন: পোস্ট দাও আপুনি!
ছেলেবেলার গল্প শোনার দিনগুলো এখন কত দূরে
লালপরী আর নীলপরীরা আছে ব্লগের পাতা জুড়ে!!!
৬২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মঙ্গল গ্রহের কেচ্চা-কাহিনী চলছেই ...... ওনাকে একটু জ্ঞান দাও প্রভু !!!!!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
শায়মা বলেছেন: অজ্ঞান কে জ্ঞান দিয়া আমার মূল্যবান সময় নত্ত করিতে রাজী নহি আমি!
বরং অজ্ঞান ভেন ভেন করে মরিয়া যাক!
আমার সময় নাই তাহার তরে !!!!!!!!
৬৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মনে হচ্ছে,তোমার গলার কাঁটা’টা,তোমার গলায় ভাল করেই বিঁধেছে। সে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ছিল, এখন সে সরকারি জব করা একজন ব্যক্তি হয়ে, যদি সামাজিকতা না,বোঝে। আর কি করা। পারলে তাকে এখন ভাল কোন সাইকিয়াট্রিস দেখাও। প্রয়োজনে তার চিকিৎসার ভার তুমি নিজে বহন করো। এ ছাড়া আর তোমার মুক্তি পথ দেখি না
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
শায়মা বলেছেন: এহ রে !!!!! কাজ নাই আমি যাই তাকে নিয়ে!!!!!!
যাবার পথে তো তাইলে এক হাজার এক কবিতা উদ্ভাবিত হইবেক!!!!!
সে সব নিয়ে তো তখন আরেক উৎপাৎ!
না না ইহা মোটেও সুবুদ্ধি নহে!
তুমি বরং উপকারটা করো কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাও! সাথে কথাকেথিভাইয়াকেও নিতে পারো সাহায্যের জন্য!
৬৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
জুন বলেছেন: শায়মা তোমার লেখাট খুবই মনযোগ দিয়ে পড়লাম, তোমার অন্যান্য লেখার মতই অনন্য অসাধারন এই লেখাটিও ।
গল্প বলার কথায় মনে পড়লো এত কিছু ধরা বাধা নিয়ম কানুন না জেনেও বা কি জানতো কি না জানি না কলকাতা থেকে পাশ করা আমার স্কুল শিক্ষয়িত্রী মা অসাধারন সুন্দর গল্প বলা আর কবিতা আবৃত্তি করতে পারতো । কিছুটা গানও গাইতে জানতো । মায়ের এত গুনের কিছুটা না পেলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি ও নিজ বলয়ে গল্প বলাটি জন্মগত ভাবেই পেয়েছিলাম ।
মায়ের মুখে ঠাকুর মার ঝুলি দিয়ে শুরু করে অজস্র গল্পের মাঝে বিপদে বন্ধুর পরিচয় গল্পটি মনে দাগ কেটে গিয়েছিল । কিভাবে গাছে চড়তে না পারা বন্ধুকে ভালুকের মুখে ফেলে গিয়েছিল স্বার্থপর বন্ধুটি তা ভাবলে তখনো গা শিউড়ে উঠেছিল এখনো উঠে ।
তোমার পোষ্টটা প্রিয়তে রাখলাম যদি বা কখনো কাজে লাগে । ভালো থেকো । অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
শায়মা বলেছেন: হা হা হা আপুনি থ্যাংকস আ লট!
বিপদে বন্ধুর পরিচয় এ গল্পটা দাঁগ কেটেছে মনে এটা দেখে হাসছি।
নিজের জীবনেও নিশ্চয় এ পরিচয় বেশ অনেকবারই পেয়েছো।
কিছুদিন আগে তো তোমার বন্ধুদের পরিচয় আর তোমাকে ডুবানোর অহর্নিশ প্রচেষ্টা দেখে আমারও এ গল্প মনে পড়েছিলো!
তবে হ্যাঁ এই সবে লাভ নেই তোমার শক্তি তোমার লেখনী।
তোমার মত করে ভ্রমন কাহিনী বিশারদ হয়ে কেউ যদি লিখতে পারে তখন দেখা যাবে......
অনেক অনেক ভালো থেকো আপুনিমনি!!!!!!!
৬৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
জুন বলেছেন: তোমার মত করে ভ্রমন কাহিনী বিশারদ হয়ে কেউ যদি লিখতে পারে তখন দেখা যাবে.....
শায়মা তোমার এই লাইনটি আমার মনেও দাগ কেটে গেলো, নাইবা সত্যি হোক
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
শায়মা বলেছেন: সত্যিই ব্লগ ফেসবুক না
এখানে টিকতে গেলে পেটে কিছু বিদ্যা লাগে!
সে বিদ্যা তোমার ভালোই আছে!
কাজেই ফেসবুকীয় ঝগড়াঝাটি মারামারি যতই টানাটানি করো কোনো লাভ নাই!!!!!!!!!!
হা হা হা
তোমার আছে অস্ত্র
মানে মহাস্ত্র
তাহা তোমার বানী যাহা হাতের যাদুতে ফুল হয়ে ফোটে ভরে এই ব্লগখানি !
৬৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
জেন রসি বলেছেন: বড়দের গল্প বলে কেমনে হিপনোটাইজ করা যায় সেটা নিয়ে যদি কিছু বলতেন।
পিচ্চিরা উল্টা আমাকে গল্প বলে মুগ্ধ করে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০০
শায়মা বলেছেন: তোমাকে করে দেখাবো???
৬৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
জেন রসি বলেছেন: আপনিত পিচ্চি।
আমি বড়দের কথা বলেছি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
শায়মা বলেছেন: আহা !! আমি পিত্তি না!!!!!!!!!!!
তাইলে তুমি কি !!!!!
৬৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: আমার দুই বছরের পুত্রর চোখ আমার মোবাইল ফোনের দিকে.. সুযোগ পেলেই দখলে নিতে চায়... বড়ই সমস্যায় আছি... বাসায় আসার পর থেকে ফোন লুকিয়ে রাখতে হয়, ওর চোখের সামনে পড়লেই ধরা! গল্প বলার সুযোগ দেয় না
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
শায়মা বলেছেন: হা হা এই অভ্যাসের জন্য তুমিই দায়ী ভাইয়া!
এখন এক কাজ করো। মজাদার ছবিওয়ালা বই কিনে আনো। সেসব দেখাও। মন দিয়ে পড়ে শোনাও!
দেখো একই বই সে বারবারই দেখতে চাইবে। চাইবেই।
৬৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,
শুরুটাই দারুন , শিরোনামের সাথে মিল রেখে -
ছেলেবেলার গল্প শোনার দিনগুলো এখন কত দূরে,
আর আসে না রাজার কুমার পক্ষীরাজে উড়ে
সভ্যতার ইতিহাসের শুরুতেই ছিলো গল্প । সেদিন অক্ষর ছিলোনা, ছিলোনা লেখা বলতে কিছু । সেদিন মানুষের মুখে মুখে ফিরতো মানুষের জীবন সংগ্রামের ইতিহাস । প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুখে মুখে এমন গল্প শুনে নিজেদের বেঁচে থাকার কাহিনী, নিজেদের সংস্কৃতি , নিজেদের বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে । এই গল্পই ছিলো মানুষের সামনে এগোনোর অনুপ্রেরণা ।
এর পরে অক্ষর এলো । এলো লেখা । প্রস্থরের গায়ে , মাটির পাতে , তামার পাতে , গাছের পাতায় লেখা হলো গল্প । আগ্রাসী দখলদার আর উপনিবেশ স্থাপনকারীদের আগ্রাসনে সেসবের অনেক নষ্ট হয়ে গেলেও সভ্যতার গল্প মুছে যায়নি । ফিরেছে মুখে মুখে । সেই গল্প শুনে শুনে মানুষ সেদিনও কল্পনায় ভাসাতো নিজেদের । গল্পে শোনা মানুষের সংগ্রাম- বাধা - বিপত্তি , উত্থান-পতনের ছবির সাথে নিজেদের কল্পনা মিলিয়ে উত্তরণের পথ খুঁজতো ।
সেই আদিকাল থেকেই মানুষ এমনি করে গল্প শুনে এসেছে । এ তার প্রকৃতজাত অভ্যেস ।
আর আজও তেমনি, পড়তে না পারলেও শিশুরা যখন গল্প শোনে সেই শোনার মধ্য দিয়েই সে পৌছে যায় কল্পলোকে। এমনকি নানা রকম নৈতিক শিক্ষা, উচিৎ অনুচিৎ বিষয়গুলিও গল্পের মধ্য দিয়ে শিশু মনে গড়ে তোলে এক সুশিক্ষনীয় জগৎ, যেমনটা আপনি বলেছেন ।
গল্প বলার ঢং কেমন হবে , এমন গল্প বলা শিশুদের কোমল মনে কি সব ছায়া ফেলবে সবই আপনার লেখায় ঊঠে এসেছে গল্পেরই ঢংয়ে । ছোট্ট শিশু আছে এমন বাবা-মা'র জন্যে শিক্ষনীয় তো বটেই হবু বাবা-মায়েদের জন্যেও প্রেরণাদায়ক নিঃসন্দেহে ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
গল্প বলা মা বাবার জন্য যেমনই জরুরী, টিচারদের জন্যও বটে । তেমনি উপলদ্ধি আর জানা থেকেই এই লেখা।
তবে উপরের ইতিহাসটুকু তো আমার এখন আমার পোস্টে জুড়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে ভাইয়া!
অনেক অনেক থ্যাংকস মন্তব্যের জন্য আর ইতিহাসটুকুর জন্যও!
৭০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: মজাদার ছবিওয়ালা বই এর আইডিয়টা ভাল... দেখি কাজে লাগানো যায় কি না।
থ্যাংকু আপু।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩২
শায়মা বলেছেন: শুধু ছবিওয়ালা বই ই না।
যে কোনো খেলনা টেবিল চেয়ার থালা বাটিকেও তুমি গল্প বলার অস্ত্র হিসাবে ইউজ করতে পারো!
আমি তো বাতাস থেকেও রিসোর্সেস আনতে পারি!
তোমার বেবির খেলনাগুলো বা নিদেনপক্ষে তার বালিশ আর কোলবালিশকেই বানিয়ে দাও গল্পের উপকরণ দেখো বাচ্চা তোমার কাছেই থাকবে মোবাইলের ভেতরে আর যাবে না!!!!!
৭১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১১
আখেনাটেন বলেছেন: বাচ্চাদের গল্প বলা ও বলানোর গল্পটি বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আমি যখন প্রাইমারী স্কুলে পড়তাম, তখন রচনা জাতীয় প্রশ্নের উ্ত্তর বানিয়ে বানিয়ে গল্পের ঢং এ লিখতাম। যথারীতি পরীক্ষায় নম্বর অাশানুরূপ হত না। ফলে বাসায় গুরুজনেরা খাতা চেক করে বলত, 'বানার দোকান হয়েছিস নাকি'। এখানে 'বানার দোকান' মানে এক ধরণের পেশাজীবি মানুষ যারা নিজেরাই জিনিস তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে।
অাপনার লেখা পড়ে 'বানার দোকানে'র কথা মনে পড়ে গেল।
সৃজনশীল ব্যাপারগুলোতে ছোটকালে বাচ্চাদের উৎসাহ দেওয়া পরিবারের জন্য অতীব জরূরী।
ভালো থাকুন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
শায়মা বলেছেন: এই কথা আর বলো না ভাইয়া। সৃজনশীল কাজে আমি আমার ছোটবেলায় যে বাঁধা পেয়েছি তা আর বলার না! যাই করতাম অঘটনঘটন পটিয়সী খেতাব পেতাম। আমি অবশ্য দমিনি তাতে! তাই আজও আমি অঘটনঘটন পটিয়সীই রয়ে গেছি!
৭২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৬
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: শ্রমসাধ্য কাজ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
শায়মা বলেছেন: কোনটা লেখাটা না বাচ্চাদেরকে গল্প বলাটা আপুনি!!!!!
বাচ্চাদেরকে গল্প বলা এটা আমার রেগুলার কাজ বলতে পারো।
আর লেখালিখি!!!!!!!
হা হা হা আই এ্যাম আ হার্ড ওয়ার্কিং পারসন!!!!!
৭৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: শুভ সকাল !!!
আপনার বাদশা ভাই হাজির।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
শায়মা বলেছেন: স্বাগতম বাদশাভাই!!!!!!!!
আজকে আমার খুশীর সকাল......
৭৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০০
অনিক_আহমেদ বলেছেন: কম্পিউটার গেমসের এই সময়ে গল্পের প্রভাব খুবই কমে যাচ্ছে। এখন ছেলে মেয়েরা মামদো ভূত আর হাট্টিমাটিমটিম এর চেয়ে প্রযুক্তির দিকেই ঝুকছে বেশি।
.
আপু বোধ হয় ইংরেজি শব্দের ব্যবহার একটু বেশি করেন। যদিও এটা যার যার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার, তবে আমার কাছে একটু দৃষ্টিকটু লেগেছে। কিছু মনে করবেন না আবার!
.
খুব সুন্দর গোছানো লেখা। মনে হয় লেখার আগে বেশ কিছু খসড়া করেছেন। ধন্যবাদ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১২
শায়মা বলেছেন: না করিনা! আমি খাঁটি বাঙ্গালী!!!!!!!!!
আমি ছোট থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীত শিখেছি। নাচ শিখেছি ! আবৃতিও!!!!!! আর অবশ্যই বাংলা!
ইংলিশটা প্রফেশনে কাজে না লাগলে মানে বাধ্যবাধকতা না হলে মরে গেলেও বলতামই না!!!!
৭৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
অনিক_আহমেদ বলেছেন: হুমম। ১০০% বাঙালি কন্যা!
আপু বোধ হয় একটু রাগ করেছেন...দুঃখিত।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
শায়মা বলেছেন: হা হা না রাগ করিনি!!!!!!!!!!
সত্যিই করিনি আর আমি জানি আমি কিছু কিছু ইংলিশ ওয়ার্ড ইউজ করেছি! এটা ইচ্ছা করেই করেছি!
কথা বলার ঢঙ্গে লেখা চালিয়ে যাবার প্রয়াসে!!!!
কিন্তু আসলেই আমি খাঁটি বাঙ্গালী ভাইয়া!
শাড়ি আর সালোয়ার কামিজও আমার প্রিয় পোষাক!
আর খানাতে অবশ্য বিশ্বপ্রিয় খানা পিনা!!!!!
৭৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। ধন্যবাদ
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
৭৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩
জেন রসি বলেছেন: পোস্টে আড্ডাবাজি মুডে ছিলাম। এবার হালকা কিন্তু সিরিয়াস কিছু কথা বলা যেতে পারে।
চমৎকার পোস্ট। বরাবরের মতই বেশ গুছিয়ে লিখেছেন। পড়ে আরাম পাওয়া যাচ্ছিল। গল্প বলা, কথা বলা এসব আসলেও একটা আর্ট। আমি মাঝে মাঝে চায়ের দোকানে বসে কিছু মানুষের গল্প বলার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হতাম। আবার ছোট বেলায় দাদী নানীদের গল্পে মগ্ন হয়ে থাকতাম। তাদের বলার স্টাইলটা ছিল ন্যাচারাল। তাই তারা যখন গল্প বলত মনে হতনা যে তার মাঝে আর্টিফিসিয়াল কোন ব্যাপার আছে।
যেমন ধরেন আমরা যখন মুভি দেখি তখন মাঝেমাঝে কারো কারো অভিনয় দেখে মুগ্ধ হই। যখন ঠিক অভিনয়টাকে আর অভিনয় মনে না হয়ে রিয়্যাল মনে হয়।
আপনি শিশুদের পড়ান এবং তাদের গল্প বলেন। এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা, স্কিল এবং ট্রেনিং সবই আছে। আমি একটা জিনিস জানতে আগ্রহী। সেটা হচ্ছে শিশুরা যখন গল্প শুনে তখন তারা কি ন্যাচারালি গল্প বলা এবং কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে বলা এসবের পার্থক্য ধরতে পারে? অথবা তারা কোনটাতে কেমন রেসপন্স করে?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
শায়মা বলেছেন: নাটকীয়তা আর ন্যাচারাল ওয়ে বা সহজাত ভঙ্গিতে কথা বলা এ দুই এর মাঝে যদি আমার স্টাইলটা জানতে চাও তাহলে আমি বলবো, আমি তো আমার সহজাত স্টাইলেই বলি কিন্তু মানুষ ভাবে নাটকীয়তা।
সে যাই হোক-
গল্প বলার ক্ষেত্রে, নাটকীয়তার প্রয়োজন যেমন আছে ঠিক তেমনই আছে সেই নাটকীয়তাকে খুব কৌশল এবং দক্ষতার সাথে গ্রহনযোগ্য করে তোলা। নইলে শিশু বলো বা বড় মানুষই বলো গল্প বলা বা নাটক কোনোটাতেই কাজ হবে না।
শিশু যদি জেনেও থাকে মিথ্যে বললে পিনোকীওর মত নাক আসলে বড় হয়ে যায় না এটা গল্প তবুও সে বিশ্বাস করতে বা পছন্দ করতে বাধ্য হবে যে মিথ্যে বলাটা আসলেও ভালো কাজ না!
যেমন নাটক বা সিনেমা মিথ্যে কিছু ছবি এটা জেনে বুঝেও আমরা কাঁদি এবং হাসি।
ব্যাপারটা তেমনই....
৭৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওরে বাপরে!!!!!!!!
১। টাং টুইস্টার - মনে আছে পাখি, পাকা পেপে খায় বা কাঁচা গাব পাঁকা গাব কাঁচা গাব পাঁকা গাব কাঁচা গাব পাঁকা গাব । নির্ভুল ভাবে কে কত দ্রুত বলতে পারে সেসব খেলার দিন। সেসব খেলা আবার খেলি আমাদের শিশুদের সাথে বা ক্লাসরুমেই। এতে যেমনই শিশু মুখের জড়তা কাঁটে তেমনি শিশু আত্মবিশ্বাসী হতে শিখে তেমনি বৃদ্ধি পায় কনসেন্ট্রেশন বা মনোযোগ। শিশুদের মুখের জড়তার কাটাবার এই শিক্ষনটা কিন্তু আমরা যারা ভালো গল্প বলিয়ে হতে চাই তাদের জন্য মানে আমাদের মত বড়দের জন্যও যথেষ্ঠ জরুরী।
২। রিপিটেশন - একই কথা, একই বাক্য বা একই গল্প। বার বার পুনরাবৃত্তির ফলে আমরা শিশুর মনে এর শিক্ষনীয় দিক বা কল্পনার জগতে ভেসে বেড়ানোর ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে পারি। যতই মানুষ আকাশ কুসুম কল্পনাকে হেসে উড়িয়ে দিক না কেনো কল্পনা ছাড়া এ জগতে আজও কোনো আবিষ্কার হয়নি কাজেই শিশুর মনোজগতে কল্পনার বিকাশও যথেষ্ঠ প্রয়োজনীয় বিষয়।
৩। হ্যোয়াটস কামস নেক্সট বা এরপর কি হবে বলোতো?- এক লাইন গল্প বলে পরের লাইন কি হতে পারে বলতে বলা বা ভাবতে বলা। এতে চিন্তাশক্তি, মনোযোগ ও গল্প বলার বা গল্প বানাবার দক্ষতা বাড়ে। শিশু নিজেই চিন্তা করে, কল্পনা দিয়ে নিজের মস্তিস্কে তৈরী করে দৃশ্য কল্প।
৪। ভয়েস প্রজেকশন- গল্প বলিয়েদের গলার য্ত্ন বিশেষ প্রয়োজন। গল্প বলার সময় নানা পরিস্থিতি বর্ণনায় নানা রকম কন্ঠের শব্দ প্রকাশের তারতম্য গল্পের শ্রোতাদের মাঝে এক বিশেষ আকর্ষন আনে। ভয়ের পরিবেশ, আনন্দোচ্ছাস, রাগ ক্ষোভ, দুঃখ সকল ইমোশন এবং পরিস্থিতি বর্ণনায় কন্ঠস্বর এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫। রোল প্লে - গল্পের বই পড়ে শোনানো সাথে শিশুদের দিয়ে সেটার অভিনয় করানোটা শিশুদের জন্য গল্প বলা বা শোনা বা গল্পের যে উদ্দেশ্য তা শিশুদের মাঝে পৌছে দেবার ব্যাপারটাকে আরও সহজ করে।
৬। অনুমান বা জানার পরিধি যাচাই করে নেওয়া- গল্প বলার সময় গল্পের ফাঁকে ফাঁকেই শিশুদেরকে পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে অনুমান করতে বলা যায়। নানা রকম প্রশ্নোত্তর সহযোগে গল্প বলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেমনই শিশুর মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে তেমনি সক্রিয় শিক্ষাদান বা স্টুডেন্ড সেন্টারড একটিভিটির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
রেড রাইডিং হুড গল্প পড়ার পরে আমার এক বেবির করা ক্রাফট ওয়ার্ক
৭। পিকচার রিডিং- খুব ছোট বাচ্চারা আক্ষরিক পড়াশোনা পড়তে শেখার আগেই ছবিগুলো পড়তে শিখে যায়। তারা ছবি দেখে গল্পের অনেক কিছুই বুঝতে পারে বা নিজের মত করে ভেবে নিতে পারে। তাই গল্পের বই এর ছবিগুলি বিশেষ জরুরী। এই ছবিগুলি নিয়ে প্রশ্ন করে করে শিশুদের গল্প বলার ও বুঝার দক্ষতাও বাড়ানো সম্ভব।
৮। প্রেজেনটেশন - প্রেজেনটেশন বা উপস্থাপন। গল্প শোনা বা পড়ার পর সেটা শিশুদের জন্য নিজের মত করে উপস্থাপন করবার সুযোগ করে দিতে হবে। খুব ছোট শিশুরা ছবি এঁকে এবং পরবর্তীতে সেটা গল্প বলায় বুঝিয়ে তা যেমনি বর্ণনা করতে পারে তেমনি একটু বড় বাচ্চারা সেটাই ছোট ছোট প্যারা লিখে বা নিজের ভাষায় লিখে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে পারে। তবে ছবি আঁকা হোক বা ছোট প্যারায় লিখিত গল্পই হোক মা বাবা এবং শিক্ষক সকলেরই উচিৎ সেসব সকলের জন্য ডিসপ্লে বোর্ড বা অন্য যে কোনো উপায়ে আকর্ষনীয় ভাবে সকলের মাঝে উপস্থাপন করা। এতে শিশুরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে।
আমার গল্প বলা ক্লাসে ৩ বছর বয়সী শিশুদের গল্পের চরিত্র অঙ্কন চিত্র-
৯। গল্পের বই এর ছবি - আগেই বলেছি গল্পের বই এর ছবিগুলি শিশুদের শিক্ষনে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে । গল্প পড়া, শোনানো বা বলার পর গল্পের বই এর ক্যারেকটার বা চরিত্রগুলির ছবি আঁকতে উৎসাহিত করলে গল্প বলা, শোনা বা বুঝার ব্যাপারটি আরও বেশি কার্য্যকরী হবে।
১০।ফ্লাশ কার্ড - ফ্লাশ কার্ড বা বিভিন্ন ছবির ছোট ছোট টুকরোর পর্যায়ক্রমিক বর্ণন অর্থাৎ ছবি সম্বলিত বিভিন্ন ফ্লাশ কার্ড সহযোগে গল্পের উপস্থাপন গল্প বলাকে দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।
১১। পাজেল- গল্পের চরিত্র বা দৃশ্যাবলীকে নানা রকম টুকরো ছবি দিয়ে মিলিয়েও গল্পের উপস্থাপনাকে নান্দনিক করে তোলা যায়।
আমার করা পাপেট শো বা পুতুল নাচের ছবি
১২।পাপেট গল্প - পাপেট বা পুতুল নাচের পুতুলগুলো যখন গল্পের বই থেকে উঠে এসে নিজেরাই হেঁটে চলে বেড়ায়। কথা বলে, গান গায় তখন কতই না মজার হয়। তাই সারা বিশ্বে পাপেট গল্প বা পাপেট শো সর্বজন নন্দিত। পাপেট দ্বারা সৃষ্ট চরিত্রগুলির সকল কর্মকান্ডই তাই শিশু মনে প্রায় চিরস্থায়ী আসন গড়ে তোলে।
আমার করা একটি বাংলা পাপেট শো এর চিত্র
১৩। ড্রেস এজ ইউ লাইক বা যেমন খুশি তেমন সাজো- গল্পের প্রিয় চরিত্রে শিশুদেরকে সাজিয়ে তোলার জন্য ইদানিং পোষাক দোকানগুলোতে দেখা যায় নানা রকম কস্টিউম। পুলিশের ইউনিফর্ম, মিলিটারীদের ইউনিফর্ম, স্পাইডারম্যান বা স্নোহ্যোয়াইটের কস্টিউম। এসব পোষাক শিশুদেরকে নিয়ে যায় সেসব শিশুতোষ গল্পের মাঝেই যেখানে কল্পনার রাজ্যে ভেসে গিয়ে শিশুদের মনোজগতে তৈরী হয় এক আলাদা আবহ। তবে শুধু পোষাক কিনে দিয়েই দায়িত্ব শেষ না করে যদি অভিভাবক ও শিক্ষকমন্ডলী সেই চরিত্রের ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে গল্প করে বা তাদেরকে সেসব চরিত্রের অনুকরণীয় দিকগুলি নিয়ে ভাবতে সাহায্য করে তবেই তা বিশেষ কার্য্যকরী হয়ে ওঠে। তবে আবারও বলছি ফিকশনাল চরিত্রের গল্পগুলির পাশাপাশি ননফিকশনাল বা বাস্তব চরিত্রের গল্পগুলিও শিশুর জন্য বিশেষ জরুরী।
আমার গল্প বলা ক্লাসের বাচ্চাদের নিজেদের তৈরী স্মল স্টোরি বুকস
১৪। বুক মেকিং একটিভিটি- গল্পের বই লেখালিখির অভ্যাস বা নিজের জন্য ছোট্ট একটি গল্পের বই বানাবার সাধ ছোট বয়স থেকেই পূরণে সাহায্য করা সম্ভব। ছোট শিশুরা যারা লিখতে জানেনা তারা ছবি এঁকে বানাতে পারে পিকচার বুক। যারা কেবলি লেখা শিখছে তারা এক এক লাইনে বানাতে পারে কয়েক পাতার বই। বুক কাভার বা কনটেন্ট এসব পরিকল্পনায় অভিভাবক ও শিক্ষকগণের সহায়তা প্রয়োজন।
১৫। কোয়েশ্চেন এনসার - গল্পের ফাঁকে ফাঁকে বা গল্প শোনানোর পর অবশ্যই শিশুদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকা প্রয়োজন। এই প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষক বা অভিভাবক মন্ডলী ক্লোজ এন্ডেড কোয়েশ্চেনের পাশাপাশি কিছু ওপেন এন্ডেন প্রশ্নও রাখতে পারেন। একই ভাবে শিশুদের জন্যও বড়দেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ রাখতে হবে।
সবগুলো পয়েন্টের সাথে জোড় একমত তো পোষণ করছি-ই, সাথে যোগ করার জন্য অনেকক্ষণ চিন্তাভাবনা করলাম। নাহঃ আপাতত নতুন কিছুই মাথায় আসছে না।
তবে একটা কথা মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে। গল্প বলতে বলতে আর দৃশ্য-মাধ্যমীয় শিক্ষায় যদি বাচ্চারা এতকিছু শিখে ফেলে তাহলে এ বিষয়টাকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমি বলছি আমাদের শিক্ষাবোর্ডের কথা।
আমাদের শিশুরা আলোকিত হোক, এই কামনা করছি। আর আশা করি সামনে শিক্ষার কার্যকর উপায়গুলো নিয়ে আরো গবেষণা হবে। প্রয়োগ হবে, আমরা জাতি হিসেবে আরো এগিয়ে যেতে পারব।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
শায়মা বলেছেন: জাতীয় শিক্ষাবোর্ডে এই বিষয়টা গুরুত্বহীন থাকলেও বাইরের উন্নত দেশগুলোতে কতটা কার্য্যকরী তা সোহানী আপু আর রোকসানা আপুর কমেন্টগুলো পড়লেই বুঝবে!
এক্স্ট্রা কারিকুলাম একটিভিটিজেরও যে কি পরিমান দরকার তা আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় কবে বোধগম্য হবে জানা নেই....
৭৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৬
অন্তরন্তর বলেছেন: আমার ছোটবেলায় বা এখনও গল্প শোনার খুব শখ। ছোটবেলায় এ আবদার রাখার মত কত কত লোক ছিল। এই বুড়োবেলায় কে গল্প শোনাবে বল? আসলেই আমার এখনো সেই ছোটবেলার রাক্ষস খোক্কসের গল্প, পরীর গল্প, রাজকুমার/রাজকন্যার গল্প শুনতে ইচ্ছে করে শায়মা মেডাম। কিন্তু তা সম্ভব না। অনেকেই গল্প ইচ্ছে থাকলেও গল্প বলতে পারে না। আমি সেই দলের একজন। তোমার পোস্ট পড়ে অনেকে উপকৃত হবে। ভাল পোস্ট। শুভ কামনা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
শায়মা বলেছেন: কেনো কেনো এখনও গল্প শুনবে ভাইয়া!
ইউটিউবে তো গল্পের ছড়াছড়ি! আর আমার পোস্ট দেখে দেখে গল্প বলাটাও শিখে ফেলো!
৮০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এক্স্ট্রা কারিকুলাম একটিভিটিজেরও যে কি পরিমান দরকার তা আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় কবে বোধগম্য হবে জানা নেই....
জেসইন্নারে এই ব্যাপারে জ্বালাময়ী ভাষণ দেবার ব্যাপারে ফুসলানো যায়।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শায়মা বলেছেন: জেসন ভাইয়া তো পালিয়েছে!!!!!!!!!
৮১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৮
নিশাত১২৩ বলেছেন: আমার বাচ্চাটির জন্য দরকারী একটি লেখা । যদিও ল্যাপিতে গেম নিয়েই মহা ব্যস্ত উনি
প্রিয়তে আর ভালোলাগায় ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
শায়মা বলেছেন: ল্যাপিতে গেম খেলাও মজার শৈশবের অংশ নিশ্চয় তবুও মা আর বাচ্চার গল্প কথোপোকথন আরও আরও জরুরী আপুনি!
অনেক অনেক ভালোবাসা! আমার পোস্ট পড়ার জন্য আর প্রিয়তে রাখার জন্য !
৮২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: বাদশা ভাই হাজির !!!!
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
শায়মা বলেছেন: ইয়া খোদা বাদশা দেখি
স্কুলেতে যায়
সরিষাখেতের মাঝার দিয়া
গ্রামের পথে ধায়।
দুই দিকে কি সৈন্য সেনা
ধরেই রাখহে তারে
বাদশা যান স্কুল ফাকি
দিতেও না পারে!
৮৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
আপনার স্কুলে ভতি হতে চাই? অলসতা বাদ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
শায়মা বলেছেন: ও মাই গড বললে একি
এমন আজব কথা
জন্মেও না শুনিনি শুনে
ভাঙ্গলো আমার মাথা।
স্কুলে আমার আসে যারা
বয়স চার কি পাঁচ
তোমার বাপু রকম দেখে
হচ্ছে আমার আঁচ!
আদু ভাইয়ার নাম শুনেছি
দেখিনি তা আমি
বাদশাভায়া তুমিই সেই
আদুভাইয়া নাকি!!!!!!!!
৮৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: গল্প বলাটা সত্যিই একটি আর্ট। আর শিশুদের গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়াটা একটি মহান কাজ।
আমাদের দেশে শিশুদের জন্যে গল্প-কবিতা-অনুষ্ঠান তৈরী করাটা এখনও মান্ধাতা আমলে পড়ে রয়েছে।
আমি শিশুদের জন্যে একটি গল্প লেখার চেষ্টা করছি। গল্পটি 'থান্ডারক্যাটস'-এর ছায়ায় লেখা। কয়েকটি পর্ব লেখার পর থেমে গেছে সব কিছু। শেষ করতে পারছি না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৩
শায়মা বলেছেন: শিঘ্রি শেষ করো!!!!!
তারপর আমাকে পড়তে দাও!!!!!!
আমি পড়ে পড়ে রেকর্ড করে শুনিয়েও দেবো!!!!!!!!!!
৮৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: চুরাশিটি মন্তব্ব্য, সাতাশিটি উত্তর !! তার মানে আমি অনেক দেরি হলো আবার ফিরে আসতে | এতো পরে এসে কুশল জানতে চাইলে কেমন হয় বুঝতে পারছি না | তারপরেও প্রশ্ন, ভালো আছেনতো ? সারাদিন ব্লগে নেই ! তার মধ্যে যে ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে সবকিছু একাকার | ভাবলাম জ্বর-সর্দি, ঠান্ডা আবার তাদের ক্রূজ মিসাইল নিয়ে আপনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো কিনা ?
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩২
শায়মা বলেছেন: আরে না!!!!! কিসের ঝড়ঝঞ্জা, বৃষ্টি বাদল তাও আবার পড়ে পার পাবে আমার ঘাড়ে!!!!!! আমিই ওদের ঘাড়ে পড়বো তো উল্টা!!!!
কিন্তু আমি ভেবেছিলাম তুমিই বুঝি হাওয়ার তোড়ে উড়েই গেলে আর দেখা পাবোনা কোনোদিন!
যাক উড়ে যাওনি দেখে ভালো লাগছে!!!!!! মহা মহা খুশিও হলাম ভাইয়ু!!!!!!!!
হাওয়াকে হাওয়াই ঘরে ভরে দাও!!!!!! উজ্জ্বল থাকো আপন মহিমায়!!!!
উফ ইদানিং আবার আমার চর্যাপদীও স্বাভাব ধরে যাচ্ছে!
৮৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি এখনো মঙ্গল কাব্যের প্রচ্ছদের ধূলি ঝাড়ছি ভয়ে ভয়ে পড়বার প্রস্তুতি হিসেবে | কখন, কবে, কোন বেলায়, কোন দিনে যে পাতা খুলবো তাই জানি না আর আপনি আবার চর্যাপদ নিয়ে পড়লেন ! কাকস্য পরিবেদনা আর কাকে বলে !!
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
শায়মা বলেছেন: আমার নিয়ে আসা আসির কি শেষ আছে ভাইয়া!!!!!! আই ডোন্ট লাইক বোরিং লাইফ ইন দিস বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড!!!!!!!!
যাই হোক আসো আজকের ডিনার খেয়ে যাও উইথ ইয়াম্মী ইয়াম্মী সস এান্ড বস!!!!!!!!!!!!!
৮৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: থ্যাংকস এ লট | মনে হচ্ছে আমার ফিজিশিয়ানের সাথে কনসাল্ট করতে হবে দাওয়াতটা নিতে | ফোনটা করে নেই তারপর জানাবো | হ্যাভ এ নাইস নাইট !
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
শায়মা বলেছেন: এইটুকু খেতে আবার ডক্টর ডাকা লাগে!!!!!!!!
তোমার ওজনটা শুনি কত!!!!!!!!!
৮৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: বডি ম্যাস ইন্ডেক্স (BMI ) অনুযায়ী ওজন এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থাদি কুশল -মানে আন্ডার কন্ট্রোল | শুধু কন্ট্রোলে নেই আপনার লোভনীয় খাবার দাবার | তার মধ্যে আপনার যে রান্না (ইন্টারনেটে অন্য কন্টিনেন্টে বসেই যা শুনলাম !) ! কিন্তু আপনার ইনভাইটেশন কোনো ম্যাপ নেই বাসার আসে পাশের ,ফার্মেসি টার্মেসি বা হসপিটালের খবর নেই | তাই আজ ব্যাক অফ করাই মনে হয় ভালো হবে !
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হা
শোনা কথায় কান দিতে নেই ভাইয়ুমনি!!!!!!
উড়ে উড়ে চলে আসো পরীর দেশে আর তার পর খানা পিনা করে যাও!!!!!
পরীর দেশের খাবার দাবার সব দুষন মুক্ত!!!!!!!
ইউ ডোন্টো নিড এনি ফার্মাসি অর টার্মাসি!!!!!!!
৮৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সাহা্য্যের আবেদনে সাড়া দেওয়ার জন্যে থ্যাংক ইউ।
এখানে পুরোটূকু পেস্ট করে দিবো?
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
শায়মা বলেছেন: দাও দাও!
কিয়া প্রবলেম আর!!!!!
৯০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আজ সূর্যের আকাশ আর নেই | আজ এই শর্তে বর্ষার আকাশ | বৃষ্টি হোচেহেই না থেমে | আরো তিন দিন হবে সারা দিন ঝম ঝমিয়ে | মেঘের ভেলায় চড়ে আপনার দাওয়াত খেতে আজকে যাওয়া যাবে না | আপনাকেই তখন মেহমানের সর্দি ঠান্ডা কমাতে ডাক্তারের কাছে দৌড়ুতে হবে | মেজবানকে এই হাঙ্গামা রাতে আর করতে ইচ্চে হচ্ছে না | আমি এতো সুন্দর একটা কথোপকথনের শুরু করলাম আর এতোক্ষণেও আর কেউ এলো না পার্টিসিপেট করতে এতো খাবার দাবির দেখেও ? ব্লগারস কি আপনার না আমার শত্রূজ ?
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১
শায়মা বলেছেন: তোমার তো শুরুতেই বেশ শত্রুর দেখা পাচ্ছি আমি!
কাজেই প্রশ্ন করে করে নিজেকে অকারণ কষ্ট দিওনা!
জাস্ট গাঁদা বন্দুক নিয়ে গুল্লী মারো অল শত্রুজ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
৯১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ওয়ান্ডারক্যাটস (পর্বঃ ১, অংশঃ ১)
ওয়ান্ডারক্যাটসদের গ্রহ ওয়ান্ডেরা নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্নীতি-দুঃশাসনে ভরে গেছে চারদিক। মিউটেন্ট শাসকগোষ্ঠি’র ক্রমাগত অত্যাচার মুখ বুঝে সইতে সইতে মন বলতে আর কিছু বাকি নেই জনগণের। এখন সবই গা-সওয়া তাদের কাছে। শাসকগোষ্ঠীর এহেন অত্যাচারে একটি মাত্র গোত্র মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিলো, রুখে দিতে চেয়েছিলো সকল অন্যায়। তারা হচ্ছে ওয়ান্ডারক্যাটস, একদল আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ।
কিন্তু, শাসকদের সমর্থকেরা সংখ্যায় ছিলো বহু গুণ বেশি। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত সৈন্যদলের সাথে পেরে উঠেনি ওয়ান্ডারক্যাটসরা। মুষ্ঠিমেয় কয়েকজন ছাড়া মারা যায় গোত্রের সবাই। ফলে, বাকি যারা বেঁচে ছিলো তাদের নিয়ে গ্রহ ছেড়ে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন গোত্রপতি জাগা।
স্পেসশিপ ছেড়েছে একদিন হয়েছে। প্রিয় জন্মভূমি ছেড়ে পালাচ্ছে তারা। গন্তব্য কয়েক আলোকবর্ষ দূরের পৃথিবী নামক এক গ্রহ। সেখানেই ওরা নতুন আবাসভূমি গড়ে তুলবে। তারা মাত্র সাতজন বেঁচে আছে, সাথে বিশ্বস্ত বিড়াল স্নার্ফ।
ছোট্ট লায়োনো ছাড়া বাকি সবাই শিপের ফ্লাইট ডেকে জড়ো হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। মাদার ভ্যাসেলের বড় মনিটরের মাঝ দিয়ে ওয়ান্ডেরার দিকে তাকিয়ে আছে তাঁরা। সবার চোখে বিষন্ন দৃষ্টি। এতো দূর থেকেও গ্রীল সমুদ্রের তটরেখা আবছা দেখা যাচ্ছে। এরপাশেই ছিলো তাদের আবাসভূমি।
‘’প্রিয় জন্মভূমিকে শেষবারের মতো দেখে নাও সবাই। আর কিছুক্ষ্ণের মাঝেই হাইপার ডাইভ দিবো আমরা।‘’ ক্যাপ্টেনের আসনে বসা জাগা বললেন সবাইকে।
জাগার বয়স হয়েছে। দুই’শো বছর ধরে গোত্রপতি তিনি। বাবা যখন মারা যান, তখন তার বয়স ছিলো তিরিশ। বাবাও ছিলেন গোত্রপতি, ওয়ান্ডারক্যাটসদের চতুর্দশ আধ্যাত্মিক নেতা। বাবার মৃত্যুর পরে সেই ছোট বয়সেই গোত্রের হাল ধরতে হয় তাঁকে।
জাগার কথার উত্তরে কেউ কিছু বললো না। মন্ত্রমুগ্ধের মতো স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে বাকি সবাই।
‘’আমি কি লায়োনোকে জাগিয়ে নিয়ে আসবো, জাগা?’’ নিরবতা ভাঙ্গে টাগিরা, গোত্রের সবচেয়ে চৌকশ যোদ্ধা। বয়সে নবীন। বাঘের মতই ক্ষিপ্র ও তেজস্বী বলে এই নাম তার।
টাগিরার কথায় প্রতিবাদ করে উঠে ছিপছিপে গড়নের একটি মেয়ে, নাম তার চিত্রা।
‘’আরে না, এতো ছোট বয়সে এই ধাক্কা সইতে পারবে না, লায়োনো। তাকে এখন না আনাই ভালো।‘’
আরো কি যেন বলতে যাচ্ছিলো সে, তাঁকে থামিয়ে জলদগম্ভীর স্বরে কথা বলে উঠলেন জাগা।
‘’বাধা দিও না, চিত্রা। তাকে আনতে দাও। লায়োনোকে সকল রকম পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া শিখতে হবে, ভালোমন্দ সব কিছুর সাথেই পরিচিত হতে হবে তাকে। তুমিই বরং যাও, নিয়ে আসো ছেলেটিকে।‘’
চিত্রা লায়োনোর কামরার দিকে হাঁটা দেয়।
নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে আছে লায়োনো। ঘরের আলো নিভানো। একটি নিয়ন বাতি শুধু জ্বলছে মাথার কাছে। এই সময়ে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে চিত্রা। লায়োনো গায়ে স্নেহের আলতো একটি ছোঁয়া লাগিয়ে ডাক দেয়– ‘’উঠো, লায়োনো।‘’
‘’উমম......ওহ, চিত্রা! কি ব্যাপার?’’ ঘুম ভেঙ্গে পাশ ফেরে লায়োনো।
‘’জাগা তোমাকে ডেকে আনতে পাঠিয়েছেন। কিছু দেখাতে চান তোমাকে।‘’ বললো চিত্রা।
‘’তাই! চলো যাই।‘’ এক লাফে বিছানা থেকে নেমে চিত্রার সাথে রওনা দেয় সে ফ্লাইট ডেকের দিকে। সঙ্গে লায়োনোর সর্বক্ষণের সঙ্গী স্নার্ফ। লায়োনোর বিছানার পাশেই শুয়ে ছিলো সে। মনে মনে গজগজ করছে- “ছোট্ট ছেলেটাকে ঘুমাতেও দেবে না।‘’
পিছু ফিরে উত্তর দেয় চিত্রা, ‘’দেখো, স্নার্ফ, ঘুমানোর অনেক সময় পাবে সে। কিন্তু, এখন তার জন্যে ওখানে যাওয়াটা খুব জরুরী।‘’
কি বলবে খুঁজে না পেয়ে অগত্যা বিরক্ত মুখে তাদের পিছু পিছু হাঁটা ধরে স্নার্ফ।
‘’কি ব্যাপার, জাগা? হঠাৎ জরুরী তলব? কিছু হয়েছে নাকি? এমন করে সবাই স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কি দেখছো?’’ একগাদা প্রশ্ন করতে করতে বুড়ো গোত্রপতির পাশে এসে দাঁড়ায় জাগার মৃত ভাইয়ের ছেলে লায়োনো।
স্নেহের একটি হাঁসি দিয়ে জাগা জিজ্ঞেস করলেন, ‘’ভালো ঘুম হয়েছে, পুত্র?’’
‘’তা হয়েছে।‘’ আনমনে লায়োনোর উত্তর। তারও দৃষ্টি পড়েছে ওয়ান্ডেরার দিকে। মুহূর্তে বিষন্ন হয়ে যায় সে।
তার কাধে একটা হাত তুলে আলতো ভাবে নিজের কাছে টেনে নেন জাগা। মাথায় স্নেহের পরশ বুলাতে বুলাতে বলেন, ‘’শেষবারের মত ওয়ান্ডেরাকে দেখে নেওয়ার জন্যেই তোমাকে ডেকেছি।
তোমাকে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, লায়োনো। আমরা হয়তো ওয়ান্ডেরাকে ফেলে যাচ্ছি, কিন্তু তোমাকে মনে রাখতে হবে ‘ওয়ান্ডেরার কোড’ তোমার বুকেই লুকিয়ে আছে। এই কোডই তোমাকে বড় হতে হতে আয়ত্ব করতে হবে। এরপর ফিরে আসতে হবে ওয়ান্ডেরাতে, জনগণকে মুক্ত করতে হবে দুঃশাসন থেকে। এটাই তোমার নিয়তি।
সুবিচার, সত্যবাদিতা আর জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান.........এসবই ওয়ান্ডেরার কোড। তোমাকে শিখতে হবে এসবের সমন্বয়ে কিভাবে একজন ভালো শাসক হওয়া যায়।“
এ কারণেই গোত্রের সবার জীবনের চেয়েও তার জীবনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এসব কথা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছে লায়োনো। যুদ্ধের সময় তাকে বাঁচাতে পুরো একটি বাহিনী নিয়োজিত ছিলো। শত্রুবাহিনী যখন লায়োনোর অবস্থান কোথায় তা জেনে ফেলে, তখন বিশেষ এক বাহিনী পাঠায় তাকে ধরতে। সেই বাহিনীর আক্রমণে লায়োনোর সেই রক্ষিবাহিনীর সবাই একে একে মারা পড়ে। তাকে একটি গুহায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো বলেই বেঁচে যায় লায়োনো। জাগার নেতৃত্বে এই ছোট্টদলটি তাকে খুঁজে বের করে সেইখান থেকে। এরপর রাতের আঁধারে সেইদিনই রওনা দেয় স্পেসশিপে চড়ে।
“আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, জাগা। আমি তা-ই করবো। অন্ততঃ চেষ্টা করবো।‘’ লায়োনো বললো।
জাগা বলে চলে, ‘’তোমার এই যাত্রাপথে সঙ্গী হবে গোত্রের সবচেয়ে চৌকশ কিছু ব্যক্তি। টাগিরা, পান্থো, চিত্রা, ওয়াইলি ক্যাট এবং ওয়াইলি কিট। তারাই তোমাকে সবকিছু শিখতে সাহায্য করবে, হবে বিপদ-আপদে সঙ্গী।‘’
ওয়াইলি ক্যাট এবং ওয়াইলি কিট দুই জমজ ভাই-বোন। ওয়ান্ডেরাতে থাকতে তারা থান্ডারক্যাটদের কিশোর-কিশোরীদের নেতা ছিলো। দুজনই লায়োনোর চেয়ে কিছুটা বড় হবে। জাগার মুখে নিজেদের নাম শুনে খুশি হলো তারা।
একটু মনক্ষুন্ন হয়েছে স্নার্ফ। ‘’আর আমি? আমি কি তার সঙ্গী হবো না? ছোটকালে তার ডাইপার কে বদলে দিতো শুনি? এখন বুড়ো স্নার্ফের নাম সবাই ভুলে গেলো!’’ মনে মনে এসব কথা বললেও গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে সে কিছুই বললো না।
সবাই চুপ করে আছে জাগা আর কি বলেন শোনার জন্যে।
‘’তোমার সাথে জরুরী কিছু আলাপ ছিলো।‘’ হঠাৎ বলে উঠেন জাগা।
এবারে বিস্মিত হয় লায়োনো। তার সাথে আলাদা করে জরুরী আলাপ!
‘’এসো আমার সাথে।‘’ বলে লায়োনোকে নিয়ে একটি বিশেষ শিপের এক বিশেষ কামরার দিকে হাঁটা ধরেন বুড়ো মানুষটি।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
শায়মা বলেছেন: এই রে !!!!!!!! গেছি!!!!!!!!!
৯২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পুরোটুকু পোস্ট হচ্ছে না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪১
শায়মা বলেছেন: পুরোটা মনে হয় আসবেনা। ভাগ ভাগ করে দিতে হবে!
৯৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ইন্টারেষ্টিং, রিয়েলি ইন্টারেস্টিং !! আমিতো যে এতো কামেল মানুষ তাইতো জানতাম না ? কি আর হাবিজাবি লিখি, লিখতেওতো পারিনা | তাতেই একমাস দুই সপ্তাহেই !! যতক্ষণ ভালো লাগবে আমি ব্লগে দ্রুতগামী অশ্বারোহী | যখন লাগবে না তখন বিদায় বলে নেমে পড়তে হবে লেখার ঘোড়ার পিঠ থেকে | এটা ভেবেই ব্লগে আসা | কারো সাত পাঁচে থাকার কথাই কখনো ভাবিনি ! এখনও ওটাই ভাবনায় আছে | থ্যাংককিউ নতুন কিছু জানাবার জন্য | আর কিছু জানতে চাচ্ছি না | আসলে এগুলো নিয়ে আমার আগ্রহ কখনোই বেশি না | ভালো থাকুন |
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: জাস্ট বললাম না ভাইয়া????
গাঁদা বন্দুক সাথে রাখো!
মানে টেবিলের উপর একপাশে!
আর লিখতেই থাকো!!!!!!
আমি ভালো থাকবোই !!!!!!
সবাই ভালো থাকুক এটাই চাই! মানে সবাইকে নিয়ে আনন্দে!
৯৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৪
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
আপনার বাদশা ভাই হাজির!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
শায়মা বলেছেন: বাদশা ভাই!!!!!!!
আদুভাই এর প্রোপিকখানা কই রেখে আসলেন!!!!!!!!!
৯৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পুরো লেখা পাঠিয়ে দিয়েছি। সবুজ ভায়োলিনওয়ালা একাউন্টে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
শায়মা বলেছেন: ওকে!!!!!!!!!!!!!!!!
৯৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পড়তে সুবিধা হবে ধীরে ধীরে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে ওকে ভাইয়ুমনি!!!!!!
৯৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৫
এফ.কে আশিক বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্ট
আর একবার পড়তে চাই সময় নিয়ে তারপর আবার মন্তব্য লিখব
ধন্যবাদ...
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৬
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া~!!!!!!!
৯৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
শাহেদ খান বলেছেন: শায়মা’পু।
সত্যি অসাধারণ একটা পোস্ট! দারুণ উপস্থাপনে ‘গল্প বলা’র গল্প পড়লাম!
শুরুতে খানিক নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। ছেলেবেলায় গল্প-শোনা, দাদুবাড়ি, কাঠের পিস্তল বানিয়ে (মুখে ঠা-ঠা শব্দ করে) যুদ্ধ করা, উঠানের জমাট পানিতে কাগজের নৌকা... অবাক সব দিনের কথা মনে পড়ছিল।
পুরো পোস্ট’টাই আসলে এই ব্লগের সম্পদ হয়ে থাকবে।
শায়মা’পু, তুমি চমৎকার একজন টিচার – এ নিয়ে সন্দেহের কোনও জায়গা দেখছি না। আমি নিজেই কত কিছু শিখছি তোমার ব্লগে এসে। সবসময়ের শুভকামনা জানাচ্ছি!
আর, পোস্ট অবশ্যই প্রিয়তে!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ব্লগের কতটুকু সম্পদ এ লেখা জানিনা তবে আমার স্কুলের জন্য বিশেষ করে প্রি স্কুলিং টিচারদের জন্য এই লেখা সম্পদ। হা হা আমার নিজের কথা না কিন্তু আমাদের টিচারেরা তথা প্রিন্সিপ্যাল ম্যামও বলেছেন।
আসলেই শিশু শিক্ষনে গল্প বলা এক জরুরী অধ্যায়...
অনেক অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!!!!!!!!!
লাভ ইউ সো মাচ!
৯৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: সময় করে পড়ে নেব। আপাতত প্রিয়তেই থাকুক।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪২
শায়মা বলেছেন: পড়ো ভাইয়া!!!!
আর যদি বাবু থাকে তোমার তো তার জন্যও গল্প পড়ে শুনাও।
১০০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৮
অর্ক বলেছেন: বিরাট পোস্ট! আগামীতে কখনও পড়ার ইচ্ছা রইলো; হয়তো গ্রীষ্মে। শুভকামনা অন্তহীন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১
শায়মা বলেছেন: ও মাই গড!!!!!
পড়তে পড়তে শীত থেকে গ্রীস্ম হবে নাকি!!!!!!!
যাইহোক যখনই পড়ো ভাইয়া এই লেখা আসলেও আমার ধারনা কাজে আসবে। গল্প বাচ্চাদের জন্য অতি জরুরী একটি উপকরণ যা তাকে জীবনে চলার পথে সুন্দর পথ দেখায়।
১০১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
সিফটিপিন বলেছেন: ছেলেবেলায় আমি কোন গল্প শুনিনি, তাই আমার কোন মধুর স্মৃতিও নাই
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮
শায়মা বলেছেন: কেনো শোনোনি!!!!!!!!!
মা, বাবা, দাদু, নানু, খালা, মামা, চাচা কেউ শুনালো না!!!!!!!!!!!
১০২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: কি যেন একটা বলবো আপনাকে, ভুলেই গেলাম |চর্যাপদ থেকে অল্প কিছু বলুন | তার থেকে দাঁত মাথা যে কোনো জায়গায় ভাইব্রেশন হলেই ভুলে যাওয়া কথাটা হয়তো মনে পড়বে |
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
শায়মা বলেছেন: আমি চর্যাপদ প্রাকটিস করি নাকি!!!!!!!!!!!!
১০৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: মঙ্গল কাব্য হলেও হবে !
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
শায়মা বলেছেন: মঙ্গল কাব্য? মঙ্গল সঙ্গীত হলে চলবে???
১০৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আচ্ছা আমার সাথে এমন শত্রুর মতো করছেন কেন ? এতো প্রশ্ন ? বাবা, আমি তো আপনার মতো অনিদ্রিতা চন্দ্রিমানূঢ়া[/sbএমন কবিতা লিখতে পারি না |গল্পোও | তাই আপনার "দ্যা আর্ট অব স্টোরি টেলিং - শিশুর শিক্ষনে গল্প বলা বা শোনার প্রয়োজনীয়তা" তে আবার এলাম যাতে আপনি স্টোরি টেলিং না হলেও আমাকে অলিখিত বা প্রকাশিত সুলিখিত কঠিন কবিতার চারটে লাইন শোনান | ওকে, নো মোর আবদার এখন থেকে | জিপ টাইট করলাম !!
শত্রুর
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
শায়মা বলেছেন: আমার অপ্রকাশিত কাব্য!!!!!!!!
লিখিনি তো !!!!!!!!!
ওকে একটু সময় দাও লিখিয়া আনিতেছি....
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
শায়মা বলেছেন: আসন্ন শীতের প্রসন্ন প্রহরে
বিষন্ন বিলাস গৌণ হয়ে রয়
জ্বরতপ্ত হৃদয়িকা ক্ষুন্ন বাসনায়
ন হন্যতে হন্য মানে শরীরে ..........
য এনং বেত্তি হন্তারং যশ্চৈনং হতম্।
উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হন্তি ন হন্যতে
১০৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: বিশাল রোলস রয়েস থেকে রাল্ফ লরেনের স্যুট টাই পরে কেউ নামলে -সে যেই হোক ব্যাংক ডাকাত, ঋণ খেলাপি তাকেই মহান লাগে শুধু দেখেই | বুঝি, না বুঝি আপনার কবিতাও সেরকম দেখেই দুর্ধর্ষ লাগছে | দাঁতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটু পরে পড়লে কি কিছু মনে করবেন (নো অফেন্স | আমি কিন্তু কবিতা দেখেই আবার লগ ইন করলাম !) ?
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
শায়মা বলেছেন: হা হা হা এই কবিতা দেখে আবার লগ ইন!!!!!!!
থ্যাংক ইউ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১০৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জ্বী, লগ ইন আর আসে পাশেই ছিলাম এতক্ষন | ও হ্যা, মনে পড়েছে | পরে বলবো |
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
শায়মা বলেছেন: কি মনে পড়েছে!!!!!
বলো বলো !!!!!!!!!!
১০৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৩
অর্ক বলেছেন: শায়মা আপু আমাকে কালো তালিকাভুক্ত করেননি তো আবার?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৫
শায়মা বলেছেন: হা হা কেনো ভাইয়ু?
সেটা আগে বলো তারপর বলছি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
শায়মা বলেছেন: আরেকটা কথাও বলো-
ঠিক সময়ে মুখে কুলুপ এটেছেন বা এমন আর কি কি যেন কথা ----
এইভাবে বললে মানুষ তোমাকে কি ভাববে? এটাও বলো
১০৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৩
অর্ক বলেছেন: এই শীতে আপনার কি রান্নাবান্না নিয়ে কোনও পোস্ট দেবার পরিকল্পনা আছে? শীতে কিন্তু হরেক রকম সবজী পাওয়া যায়; যেমন দুই রকম কপি, মুলা, গাজর, শালগম, ওল, কাঁকরোল, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি সবজী খেতে দারুণ ভালবাসি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬
শায়মা বলেছেন: হা হা না নেই। শীতকালীন শাকসব্জী নিয়ে পোস্ট দেবার কোনো পরিকল্পনা ছিলোনা। তবে তুমি চাইলে ভেবে দেখতে পারি। যদিও আমি তেমন সব্জী বিলাসী নহি। আমি মাংসাশী প্রাণী।
তবে সব্জীপ্রিয় ভাইয়ুমনি!!!!!!! সব্জী পোস্ট দিলে কি হবে পোস্টটাই খেয়ে ফেলবা নাকি রেসিপি দিলে দেখে দেখে রাঁধবে কোনটা চাও বুঝলাম না !
১০৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
অর্ক বলেছেন: আপনার আগামী পোস্টের কাজ কি চলছে? হলে বিষয় কি?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
শায়মা বলেছেন: চলছে। কিন্তু কবে যে শেষ হবে একমাত্র আল্লাহ জানেন।
বিষয় গোপনীয়!!!!!! এখুনি বলা চলিবেক না!!!!!!
১১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
বিজন রয় বলেছেন: হুম! @ .......!!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৭
শায়মা বলেছেন: আরে বিজু ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!
কুম???????????
১১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩
অর্ক বলেছেন: শায়মা আপু লেখাচোরদের নিয়ে আগামীতে কিছু লিখলে খুব ভালো হয়। একজন সম্মানিত সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আপনার উচিৎ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা। লেখাচোরদের কারণে আমি অনুবাদ করা ছেড়ে দিয়েছি। আমার অনুবাদ ব্লগেই পড়ে থাকবে, কিন্তু লেখা চোর সেটাকে নিজের নামে চালিয়ে অনেকদূর নিয়ে যাবে।
অনুবাদ কবিতা স্বনামে চালানো খুব সহজ। ফেসবুকে এক অমানুষকে দেখলাম, 'এক নতুন অভিজ্ঞতা' কবিতাটি একেবারে নিজের করে নিয়েছে। ৪৮০+ লাইক, ২৮০+ মন্তব্য। আমি হলফ করে বলতে এই লেখা সে নিজের নামে চালিয়ে দিবে যদি ভবিষ্যতে কোনও বই বের করে।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
শায়মা বলেছেন: লেখা চোর!! লেখা চোর নিয়ে বেশ গবেষনা চলছে। সামুর লেখা চুরি হচ্ছে সেটা নিয়ে অবশ্য ব্লগে অনেক অনেক গবেষনা চলিয়াছে এবং চলিতেছে বটে কিন্তু এত দিনেও গবেষনালদ্ধ তেমন ফলাফল পাওয়া যায়নি।
তবে ছবি আঁকাআঁকি চোর, তাও আবার পৃত্থিমীর সনামধন্যা গায়ে মানেনা আপনি মোড়লী চোরের ছবি নকলিকরণ লইয়া গবেষনা শুধু তাও না আবার উহা কার্বন দিয়া অঙ্কন গবেষনা আমি ঠিকই চালাইয়া উহার গভেষনালদ্ধ ফলাফল পাইয়াছি।
এখন আবার ঐ রকম মারনাস্ত্র টাইপ গবেষনা লেখাচোর লইয়াও চালাইতে হইবেক নাকি!!!!!!!!!!!
সময় কোথা মম!!!!!!!
১১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
জেন রসি বলেছেন: শীত চলে এলো প্রায়। শীতকালীন পোস্ট কই?
০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
শায়মা বলেছেন: আছে। আছে।
কিন্তু বলবো না!!!!!!
১১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
নিভৃতচারীর ডায়েরী বলেছেন: শ্রমসাধ্য পোস্ট ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ডায়েরীভাইয়া!
১১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
নিভৃতচারীর ডায়েরী বলেছেন:
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
শায়মা বলেছেন: হা হা লাগ কলো কেনো!!!! তুমি তো নিজে নিভৃতচারী না,তুমি তো ডায়েরী!!!!!! কিন্তু আমি ঠিকই বুঝেছি তুমি কাহার ডায়েরী ভাইয়ামনি!!!!!!!!! : )
১১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
নিভৃতচারীর ডায়েরী বলেছেন: আর ইউ শিওর??
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২
শায়মা বলেছেন: আই থিংক সো!!!!!!
তুমি না বললে শিওর হই কেমনে বলো !!!
১১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
আপনার বাদশা ভাই হাজির !
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯
শায়মা বলেছেন: এখন রোবটভাবীকেও আনো কুঁড়ে ভাইয়া!!!!!
১১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নিশাত১২৩ বলেছেন: ছেলের কাছে গল্প বলা শেষ হয়েছে । এখন আন্টির কাছে নতুন লেখার বায়না জানিয়ে গেলাম
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে নতুন লেখা শুরু করে দিচ্ছি আজকেই!
১১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আরেকটা চরিত্র ভালো লাগলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
শায়মা বলেছেন: কোনটা ভাইয়ু!!!!!!!!!
১১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: জীবনটা যখন হাজার প্লটের একটা মহা গল্প সেখানে শিক্ষণের স্বার্থে গল্পের প্রয়োজনীয়তা
অপরিসীম বৈ আর কি হতে পারে!!!
গল্প বেশ সহজ ভাবেই আমাদের মনে দাগ কেটে যায়! একারনেই হয়তো কুড়ি বছর আগের কাল্পনিক আর অবাস্তব চরিত্র আমরা মনে রাখি। বাস্তব জীবনে অজান্তেই মাঝে মাঝে ঈশপের বেড়াল বা শিয়ালের উদ্ধৃতি দেই!!
ন্যাচারালি প্রত্যেক শিশুই গল্প ভালোবাসে। আর সেই গল্পের মাধ্যমে যদি শিশুকে শেখানো যায় তখন তা রথ দেখাও হলো আর কলা বেচাও হওয়ার মতো হবে।শিশুদের শিক্ষনে গল্পের প্রয়োজনীয়তা অস্বিকার করার কোন উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না!!
বেশ সুন্দর ও গোছানো পোস্ট! লেখার প্রতি লেখকের আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ!!
++
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক
ঠিক ঠিক ঠিক
ঠিক ঠিক ঠিক আর ঠিক আর তাই তো এত কষ্ট করে গল্প নিয়ে লিখলাম ভাইয়া!!!!!
আর মুগ্ধতার জন্য অনেক অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
১২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বনবিবি!!!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
শায়মা বলেছেন: সে কি বনে থাকে? একখানা চিত্র দেখাও দেখি।
১২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: জ্বী, উনি বনে থাকেন। বাঘেরা প্রচন্ড ভয় পায় উনাকে।
উনার সকল সময়ের সঙ্গী ছোট ভাই শাহ জঙ্গলি।
ঠিক আছে। তাঁকে ঘিরে গল্পটা কালকে পোস্ট করবো। সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখেছি।
আজকেই করতাম। কিন্তু, আমার এখনো ২২ ঘণ্টা কাভার হয়নি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি!
আমিও এই বনবিবিকে চিনি।
জিম করবেটও চিনতো!
১২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
চেনো!!!!
তাহলে গল্প লিখে কোন কাজ হবে না!!!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
শায়মা বলেছেন: কেনো লিখবে না ??? চিনলেও লেখো!!!!!!!! লেখো !!!!!!!! লেখো!!!!!!!!!!
১২৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্টিকি পোস্টের ৯৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া! থ্যাংক ইউ!!!!
১২৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনি শুনলে হয়তো খুশি হবেন -আমার দাঁতের কোনো ব্যাথা নেই | মানে প্রস্তুত পুনর্বার যে কোনো দন্ত যুদ্ধে | নিশ্চই ব্যস্ত খুব তবুও আমাদের জন্য একটু লিখুন | এটা বলতেই এলাম আপনার সাম্রাজ্যে |
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!
আমার তো এখন মরণেরও সময় নাই!!!!!!!
আই এ্যাম টু বিজি উইথ সামথিং ইন্টারেস্টিং!!!!!!!!
তবে যুদ্ধ প্রয়োজন হলেই উপস্থিত হইয়া যাইবোক!!
১২৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: আপনার বাদশা ভাই হাজির।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
শায়মা বলেছেন: আপনি জেইলে ঢুকছেন কেনো বাদশাভাইয়াজান!!!!!!!!!!!!
১২৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: না না ইন্টারেস্টিংও কোনো মরণ দরকার নেই | ব্লগে পরে লিখলেও চলবে |
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ওকে ওকে ভাইয়া পরে পরে লিখিবোক!!!! তবে লেখা কিন্তু থামিয়া নাই! চলিতেসে!!!!!!!
১২৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
আমি অলস জন্য কেউ আমায় দেখতে পারে না। কিভাবে বলি সে দুঃখের কথা।এখন নিজেকে ভিন্ন গ্রহের মানুষ মনে হয়।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭
শায়মা বলেছেন: তাই তুমি জেইলে!!!!!!!!!
১২৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২
অর্ক বলেছেন: আজকে আমার মন খুব ভালো। একটু আড্ডা হলে বেশ হয়।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১
শায়মা বলেছেন: আড্ডা! কোথায় ! কি নিয়ে! বিষয় কি! বলো দেখি!
১২৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২
অর্ক বলেছেন: ব্যস্ত নাকি শায়মা আপু?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: ব্যাস্ত মানে একখানা কাজ নিয়ে কাজ করতে হবে আজ, কাল, পরশুর মাঝে। তাই তো ফাঁকে ফাঁকে এইখানে উঁকি ঝুঁকি দেই!
আমি তো দশভূজাা! জানোই!
১৩০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: খুব ভালো লাগল লেখা টা ।অনেক কিছু তুলে ধরেছেন ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!!!!!!!! লাভ ইউ!!!!!!!!
১৩১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
অর্ক বলেছেন:
আপনার কি ম্যাজিক মানে জাদুতে শখ আছে?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১
শায়মা বলেছেন: আছে আছে!
এই দুনিয়ার তাবৎ মজার জিনিসেই আমার শখ। ছোট বেলায় আমার প্রথম যাদু শেখা মাথায় পিছে ইটের টুকরো ঢুকিয়ে মুখ দিয়ে বের করা হা হা হা !
আরও দেখো
যাদুকরী হওয়া হইলো না আমার
১৩২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬
অর্ক বলেছেন: ছবিটা গেল বছর তোলা। ফার্মগেটে। কী জানি একটা বিরাট ওয়াজ মাহফিল হয়। ওর গেট।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এই গেট আমি মনে হয় দেখেছি। তুমি বুঝি ওয়াজ খুব লাইক করো!
১৩৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২
অর্ক বলেছেন:
রঙিন। না না। পথ চলতে চলতে তোলা। আপনার আগামী পোস্টের কাজ বোধহয় শেষ পর্যায়ে?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২১
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি এই রঙ্গিন সজ্জাটাই দেখেছিলাম।
না আগামী পোস্টের কাজ শেষ না। অন্য কাজে আছি আপাতত। সেসব নিয়েই হিমসিম খাচ্ছি!
তোমার কি খবর ভাইয়া??
মনে হচ্ছে আগামী বইমেলায় তোমার বই পাবো আমরা!
মানে গেইস করছি!
১৩৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আজ ১০ ই নভেম্বর, শুক্রবার
সাহিত্য আড্ডার আড্ডা বার!
চলে আসুন 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র'র ক্যাফেটেরিয়ায়।
লিফটের সর্বোচ্চ ৮ চেপে জাস্ট উপরে খোলা আকাশের নিচে সবুজ সমারোহে চা পর্বে দেখা হয়ে যাক আড্ডাবাজদের।
বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে চারটায় দেখা হচ্ছে তবে!
যোগাযোগঃ
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামঃ ০১৮১৯-৫১৮৯৩৪
এটিএম মোস্তফা কামালঃ ০১৫৫৮৩০৮৮৪৮
আশরাফুল ইসলাম দুর্জয়ঃ ০১৭২৪-৬১৪২৫৬
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আজ সন্ধ্যায় তো বিয়ের অনুষ্ঠান আছে !
অনেক অনেক শুভকামনা তোমাদের সাহিত্য আড্ডার জন্য!
সাইফুলভাইয়া আর দূর্জয় ভাইয়াদেরকে তো আর ব্লগের পাতায় দেখাই যায়না!
অনেক অনেক ভালো থেকো সবাই!
১৩৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: শুভ সকাল!!
আপনার বাদশা ভাই।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
শায়মা বলেছেন: বাদশাভাইয়া!!!!!!!!!!!!!
এখনও জেইল থেকে ছুটতে পারোনি!!!!!!!!
জেইল থেকে ছুটতে কোনো হেল্প লাগলে বলো!!!!!!
১৩৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
না, না আমি একা একশত !!!
আমি কারো হেল্প নেই না !!! আমি অলস হলে তাতে কি হয়েছে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
শায়মা বলেছেন: ওহ !!!!!!!!!! বুঝলাম একজান রিয়েল আলসা বুড়ার মত কথা!!!!!!
জেইলেই বসে থাকবা আলসু ভাইয়ু!!!!!!!! ওকে তবুও ভালো একখানা ল্যাপটপ আছে!
১৩৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১১
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
ল্যাপটপ দুইখানা ছিল ,একখানা নষ্ট হয়ে গেছে। একটু ঠিক করলেম ভাল হয়ে যাবে কিন্তু ঠিক করার অলসতা পরে আছে ।
শুক্রবার ছটির দিন।। এখন না আপনার ছবি আঁকার সময়। এখন আপনাকে ব্লগে দেখছি।।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
শায়মা বলেছেন: ওহ আজকে সব গড়রবড়র হয়ে গেলো!
ঘুম থেকে উঠলাম ১০ টায়! আমি আরলী রাইজার। ভোর বেলা উঠে একটু বাঁগানের শিশির ভেঁজা ঘাসে হাঁটাহাঁটি না করলে, দোলনায় বসে দোয়েকের গান না শুনলে আমার মনটাই ভালো হয় না ! সেইআমি ১০ টায় উঠবো!!!!!! নিজেকে ক্ষমা করা যায় বলো!!!
সেই দুঃখে সব গড়র বড়র কার্য্যে নেমে গেলাম!
তাই টুডে ইজ দ্যা পাগলামী ডে!!!!!!! নিয়ম ভাঙ্গার দিন!!!!
১৩৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
নিজেকে ক্ষমা করা যায় বলো!!!
নিজেকে ক্ষমা করতে পারে না যারা,তারা সুইসাইড করে।।
একবার আপনিও একটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।।
কালের সাক্ষী হয়ে থাকবেন, এই পাগলামী ডে তে !!!
আইলসা মাথার বুদ্ধি,দারুণ বুদ্ধি ।।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
শায়মা বলেছেন: ঠিক হইসে!!!!!!! তোরে জেইলে আটকায় রাখছে!!!!!
এতক্ষনে বুঝলাম তুই ব্লু হ্যোয়েল মডারেটর!!!!!!!!!!!!
হি হি হি হি জেইল দিবস দুঃখের হৌক!!!!!!!!!!!
১৩৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এলাম শায়মা, মনে আসা কিছু ভাবনা ভাগ করতে।
আমি বয়সে বৃটিশ কাউন্সিলের চেয়ে কিছু বড়। তাই আমার ছোটবেলার ছয় সাত বছর পর্যন্ত, যতদিন ঢাকায় ছিলাম ততদিন কেটেছে
বৃটিশ কাউন্সিলের নতুন, চমৎকার ছবিওয়ালা গল্পের বইয়ের গল্প শুনে। কারণ আমাদের টিভি ছিল না, খারাপ স্বাস্থ্যর জন্য স্কুল যাওয়া ছিল না, ছিল শুধু জানালার পাশে বিছানায় শুয়ে আকাশ দেখা অথবা বইয়ের পাতা উলটে ছবি দেখতে দেখতে গল্পটা মনে করার কাজ। আমি নিজে পড়তে পারতাম না। নার্সারি রাইমসের ছন্দমিল মনের মধ্যে বাজনা বাজিয়ে যেত, তাই বাজনা বাজানো বিড়াল কিংবা জ্যাক আর জিল সবই আমার বন্ধু ছিল। তাদের নিয়ে ভাবতাম। বইগুলো ছিল বড় বড় আর মোটা পৃষ্ঠাওয়ালা, ছবি দিয়ে ভরা। আমার খুব প্রিয় ছিল হ্যান্সেল গ্রেটেলের গল্প শুধু কেকের বাড়ির কারণে। কত যে স্বপ্ন দেখতাম কেকের বাড়ি খাবার!! এই বইগুলোর স্মৃতি মনে রয়েই গেছে। বাবার মৃত্যুতে জীবনের রঙিন দিনগুলো যখন রংহীন হয়ে গেল, মানুষের হৃদয়হীনতার সাথে পরিচিত হলাম তখনো সেই কঠিন দিন পার করতে পেরেছি আমার বইয়ের হাসিখুশি বন্ধুদের মনে করে করে। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আবার ঢাকায় এলাম, তখন এক দুপুরে একা একা বৃটিশ কাউন্সিলে গেলাম। ভেবেছিলাম ছোটবেলার বইগুলো আরেকবার দেখব। শুনলাম সেই বইগুলো নেই, একাত্তর সালে পুড়ে গেছে। তার আরো অনেক দিন পর মেয়ের জন্মদিনে কেকের বাড়ি বানালাম, বইয়ে দেখা এই বাড়িরর ছবি এত বছরেও মাথা থেকে যায় নাই। অবশেষে এত বছর পর আমি কেকের বাড়ি খেলাম!!
তোমার এই চমৎকার পোস্ট পড়ে এত কথা মনে পড়ল শায়মা। মূলকথা হল, ছোটবেলায় যদি বাচ্চাদের গল্প শোনান যায় তবে তার শব্দ ছবি মাথায় এমনভাবে গেঁথে যায় যে জীবনের পরবর্তী দিনগুলোর কঠিন শব্দ আর ছবিও অনায়াসে ভুলে যাওয়া যায়।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়ামনি! তোমার মন্তব্য এত সুন্দর যে আমার পোস্টেই জুড়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে!
হ্যানসেল এ্যান্ড গ্রিটেলের কেকের বাড়ি যে সত্যিই কোনোদিন কোনো বাচ্চারা শুধু চোখেই দেখতে পাওয়া না খেতেও পাবে এ কথা আসলে আমার ছোটবেলাতেও আমি জানতাম না। বড় হয়ে আমি আজ স্কুলে পড়াই। বাচ্চাদের বাবা মায়েরা জন্মদিনে কেকের বাড়ি গাড়ি জামা কাপড় রুপকথার রাজ্য সবই বানিয়ে পাঠায়।
আজকারকাল বাচ্চারা আমাদের মত করে কি স্বপ্নের সেই কেকের বাড়ি দেখে কিনা বুঝিনা আমি। আজ তো সব পাওয়ার দেশেই বাস করে তারা!
অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া!!!!!
অনেক ভালো থেকো!!! তোমার মেয়ের জন্য ভালোবাসা আর অনেক অনেক শুভকামনা!
১৪০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: বাবারে আমি কারো ভাইয়া নই, এত বুদ্ধিমতী শায়মারও কিনা এই ভুল হল!! ব্লগে কেন বেশিরভাগ মানুষই আমাকে ভাইয়া বলে এটা আজো বুঝলাম না। বরং আপা, খালা, চাচী, ফুপু যা খুশি বলতে পার। কোন ব্যাটা আর যাই করুক, সারাজীবন ধরে কেকের বাড়ি খাবার স্বপ্ন দেখবে না।
প্রতিমন্তব্য খুব ভাল লাগল। অনেক শুভকামনা।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
শায়মা বলেছেন: হা হা হা আপুনিমনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
লাভ ইউ সো মাচ!!!!!!!!!
আহা বেটারাও বুঝি বাচ্চা ছিলোনা কোনোদিন!!!!!!!
তাদের বুঝি কেক চকলেট ভালো লাগেনা আপু!!!! কি বলো এটা সোনামনি আপুটা!!!!!!!!!!!!
দাঁড়াও তোমার জন্য খুব শিঘ্রি একখানা কেক পোস্ট আনিতে হইবেক!
আমাকে কিছুদিন আগে ধরেছিলো রংধনু কেক!!!!!!!!!!!
দিন রাত বাসায় ফিরেই নাওয়া নেই খাওয়া নেই শুধু রং দিয়ে বানাই রবং বেরং কেক আর কেক!!!!!!!!!
১৪১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০
অর্ক বলেছেন: না বই বের করার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে দেখি একজন পরিচিত প্রকাশককে বলে হরিবন্শ রায় বাচ্চন'র কবিতার একটি বই বের করা যেতেই পারে অবশ্য।
এই যে ওঁর একটি কবিতা:
[বর্ষ নতুন,
হর্ষ নতুন,
জীবনের উৎকর্ষ নতুন
নতুন স্বপন,
নতুন স্পন্দন,
জীবনের নতুন আয়োজন।
নতুন আশা,
নতুন রাস্তা,
জীবনের নতুন চলা।
গান নতুন,
প্রেম নতুন,
জীবনের রীতি নতুন
জীবনের নীতি নতুন
জীবনের বিজয় নতুন!]
নব বর্ষ/হরিবন্শ রায় বাচ্চন
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
শায়মা বলেছেন: বাপরে!
নতুন বছরে সবই নতুন!!!!!!
এভাবে বছরে বছরে নতুন পাল্টালে তো বিপদ!
১৪২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
অর্ক বলেছেন: তিনি আসলে অনেক অনেক বিরাট একজন কবি। তাঁর সাহিত্যকর্ম মহাসমুদ্র। তাঁর ভুল না ধরাই ভালো। সত্যি তাঁর কবিতা পড়ে আমি দারুণ ঋদ্ধ হয়েছি।
বেশ কিছুদিন একটা পোস্টই দেই না কেন!
হা হা হা।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
শায়মা বলেছেন: দাও দাও। তাকে সবাইকে চিনাও! তাকে নিয়ে শিঘ্রিই একটা পোস্ট দাও। তাকে চিনি এবং জানি।
১৪৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
অর্ক বলেছেন: আসলে উপরের কবিতাটি হিন্দিতে ছন্দ মিলিয়ে লেখা। হিন্দিতে ছন্দে ছন্দে যেভাবে উপভোগ করা, অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয়। সত্যি তার কাব্য সাম্রাজ্য অনেক বিশাল। মানবতা, প্রেম, প্রকৃতি, মেহনতি মানুষের জীবন সংগ্রাম সবকিছু নিয়ে আমৃত্যু প্রচুর লিখে গেছেন তিনি। কবিতা লেখার জন্যেই যেন জন্তু তাঁর।
তা আপনার কি বই বেরোবে কোনও মেলায়?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি। তবে কি তাকে জানা হবে না আমাদের?
যাইহোক না বইমেলায় বই মনে হয় আসবে না মানে এখনও কোনো পরিকল্পনা নেই।
যদি না শেষ মুহুর্তে মাথায় ভুত না চাপে।
১৪৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭
অর্ক বলেছেন: আসলে উপরের কবিতাটি হিন্দিতে ছন্দ মিলিয়ে লেখা। হিন্দিতে ছন্দে ছন্দে যেভাবে উপভোগ করা যায়, অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয়। সত্যি তার কাব্য সাম্রাজ্য অনেক বিশাল। মানবতা, প্রেম, প্রকৃতি, মেহনতি মানুষের জীবন সংগ্রাম সবকিছু নিয়ে আমৃত্যু প্রচুর লিখে গেছেন তিনি। কবিতা লেখার জন্যেই যেন জন্ম তাঁর।
তা আপনার কি বই বেরোবে কোনও মেলায়?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২
শায়মা বলেছেন: দুইবার এসেছে।
এটা কি মুছে দেবো?
১৪৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২
অর্ক বলেছেন: না, ওপরেরটা।
আচ্ছা আপনার আগামী পোস্টের বিষয় কি শীতের পিঠা?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০
শায়মা বলেছেন: এই জীবনে যে শীতের পিঠার পোস্ট দিয়েছিলাম। আগামী ১০০ বছরেও তা চির অম্লান থাকিবেক!!!
!!টোনাটুনি পিঠাঘর - বাংলাদেশের ১০১ পিঠাপুলির নাম ও গড়ন বা রচনা সমগ্র!!
কাজেই......
১৪৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
অর্ক বলেছেন: হা হা হা বাহ যাদু পিঠা সব নিয়ে তো আগেই লিখেছেন!
আচ্ছা প্রথম পাতায় মন্তব্যের কবিতাটি আছে। যা হোক কিছু একটা মন্তব্য করা যায় কিনা দেখেন! অতো বড় একজন কবির কবিতা একেবারে মন্তব্য শূন্য যাওয়া ভালো দেখায় না, আমার নিজের লেখা হলেও নাহয় একটা কথা ছিল! ওঁর সম্পর্কে একটা তথ্য, উনি বিখ্যাত ভারতীয় চলচিত্র অভিনেতা অমিতাভ বাচ্চন'র বাবা।
অমিতাভ বাচ্চন'র বিরাট সৌভাগ্য, অমন একজন মহান পিতার সন্তান।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫
শায়মা বলেছেন: ওকে এখুনি দেখছি।
আর আমি জানতাম উনি রয় বচ্চনদেরই জ্ঞাতি গুষ্ঠি হবেন!
মানে নাম দেখেই সন্দেহ করেছিলাম আর কি!
১৪৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১
চানাচুর বলেছেন: তোমার এই পোস্টটা থেকে শেখার অনেককিছু আছে। ছোটবেলায় কালারফুল বই কিনে কিনে ভাগ্নেকে পড়িয়ে শোনাতাম। এখন সে সারাদিন ফোন নিয়েই থাকে আর সময় পেলেই কার্টুন দেখে
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই শিশুদের জীবনে এই ফোন, কার্টুন বা ডিজিটাল গেইমের দরকার আছে হয়তো কিন্তু তার থেকেও দরকার মনুষ্য সাহচর্য্য!
অনেক অনেক থ্যাংকস চানাচুরমনি!
১৪৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: শায়মা মেয়েটা অনেক ভালো লিখে। পরিশ্রমী মেয়ে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪
শায়মা বলেছেন: আমি পরিশ্রমী আমি জানি!
তুমি এত দিনে জানলে!!!!!!
১৪৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: বিরাট ভারী ভারী আলোচনা চলছে মন্তব্যে |আমার কথা খুবই সাধারণ -সালাম | যাবার আগে এটা বলতেই আসা |
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
শায়মা বলেছেন: ভারী ভারী!!!!!!!!!!!!
কই কই কই!!!!!!!!!
তুমি কই ছিলে মোগলাই পোরোটাভাইয়া!!!!!!!!!!
১৫০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: করুণাধারা এর ১৩৯ নম্বর মন্তব্যটা খুব ভাল লাগলো। আর তার পরের মন্তব্যটা (১৪০) পড়ে খুব এক চোট হাসলামঃ কোন ব্যাটা আর যাই করুক, সারাজীবন ধরে কেকের বাড়ি খাবার স্বপ্ন দেখবে না - তাই তো!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
শায়মা বলেছেন: হা হা করুনাধারা আপুকে সবাই ভুল করে ভাইয়া ভাবে !
১৫১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
উদ্বাস্তু মানুষ আমি বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তু চমৎকার। আপনি কি শিশুদের নিয়ে কাজ করেন?
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া!
শিশুদের সাথেই করি।
আরও একটি লেখা আসছে শিঘ্রী শিশুদের নিয়ে।
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
১৫২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
জাহিদ অনিক বলেছেন:
নতুন পোষ্ট কি রাঙামাটি বেড়াতে গেছে ?
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
শায়মা বলেছেন: দেখছি দেখছি সবার কমেন্টই দেখছি আর কাজ করিতেছি।
আই মিন আই এ্যাম ওয়ার্কিং বেইপি।
আর রাঙ্গামাটি তুই যা!!!!!!!!!!!
একদম গলা টিপে দেবো জাহিদ হাসান ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১৫৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
পাগলা ঘোড়া খেপেছে !
আমি কিন্তু গোপন কথা জানি !
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
শায়মা বলেছেন: চুঊঊঊঊঊঊঊউপ!!!!!!!!!
আমি গান গাই!!!!!!!!!!!
আমার ভাঙ্গা পথের রাঙ্গা ধুলায়
পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন.....
তারই গলার মালা হতে পাঁপড়ি হোথায়
লুটায় ছিন্ন.......
১৫৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আচ্ছা ঠিক আছে, চুপ গেলাম !
আমি চঞ্চল হে,
আমি সুদূরের পিয়াসি।
দিন চলে যায়, আমি আনমনে
তারি আশা চেয়ে থাকি বাতায়নে--
ওগো, প্রাণে মনে আমি যে তাহার
পরশ পাবার প্রয়াসী॥
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
শায়মা বলেছেন: আহা আহা
পাবিনা ....
সে যে জ্বালবে না তোমার বাতায়নে প্রদীপ আনি
তিনি শুনবেন শুধুই ঝিলমিল রাণীর প্রেম কাহানী!
১৫৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
জাহিদ অনিক বলেছেন:
শুনাব না, যাও !!!!!!!!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
শায়মা বলেছেন: হা হা যাক একটা কাজ শেষ করছি!!!!!!!
এখন কি শুনবে বলো বলো !!!!!!!
১৫৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ব্যাঙের মাথা শুনাব !
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮
শায়মা বলেছেন: তুমি ব্যাঙ!!!!!!!
ওকে ওকে এক দেশে ছিলো এক ব্যাঙ
১৫৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
এই কার্টুন ফার্টুন তোমার বাচ্চা কাচ্চা স্টুডেন্ডদের শুনিও।
মাই কিডস আর ভেরি ভেরি বিগ !
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
শায়মা বলেছেন: জানি জানি, ইউ আর আ রিয়েল কিড টু দেম!!!!!!!
১৫৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
হা হা হা বেশ ভালো বলেছেন, একদম তাই
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শায়মা বলেছেন: তাই তাই তাই গো!!!!!!!!
১৫৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
উধাও ভাবুক বলেছেন: শায়মা........?
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
শায়মা বলেছেন: আরে!!!!!!
তার মানে তুমি আছো....
বার লুকিয়ে থাকো আর কি...
১৬০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
উধাও ভাবুক বলেছেন: আছি গো আছি...
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
শায়মা বলেছেন: কোথায় আছো? কোথায় থাকো!
লুকায় থাকো কেনো????
১৬১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন:
অমর একুশে কবিতাটি পাবলিশ করবো ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা।
১৬২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
নতুন ছবির জন্য লাইক দিতে পারলাম না। বেশ কয়েকবার টিপলাম কিন্তু বৃথাই গেল !
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২
শায়মা বলেছেন: বার বার দেওয়া যায় না জানোনা কথাকথিমনি!!!!!!!
১৬৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ছবিগুলো দারুণ, আপুনি। গ্রেট টিচারের গ্রেট স্টুডেন্টস!!!
সামুতে নিজ আঁকা ছবির যুগের সূচনা শুরু হলো।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
শায়মা বলেছেন: কি করবো তোমার জ্বালায় ভয়ে ভয়ে আবার ছবি তুলে এনে সেসব সরালাম! এখনও কিছু কিছু আছে। এত এত কি করে সরাই বলো !
১৬৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি এজন্যে লজ্জিত, সত্যি।
কিন্তু, তুমি যে এটা করেছো, এতে সামু অনেক উপকৃত হবে।
আর, তোমাকে ইয়া বড় ধন্যবাদ। যত বড় চিন্তা করতে পারো।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা তোমাকেও ভাইয়ু!!!!!
১৬৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
থ্যাংকস ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন । না জানলে তো আমি চাপতে চাপতেই মারা যেতাম !
আপনার বাচ্চাগুলার চুল সুন্দর । সুন্দর হেয়ার কাট !
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমার বাচ্চারা তো পরীবাচ্চা একেকটা জানো না!!!!!!
তাহারা সকলে দেবদূত!
১৬৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: খুব সুন্দর বর্ণনা আপু।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
১৬৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০২
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
১৬৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৭
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ট। ওয়েল ইনফর্মড এন্ড ওয়েল রিটেন।
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩১
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ!
১৬৯| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
গরল বলেছেন: খুবই চমৎকার, এক কথায় অসাধারণ একটি লেখা। গল্প বলার মধ্যেও আর্ট থাকে সেটা যেমন আমাদের দাদি নানির কাছ থেকে শুনে অনেক মজা পেতাম সেরকম হতে হবে। আমি যদি আমার মেয়েকে গল্প শুনাতে যাই সে বলে তুমিতো কিছু পার না এভাবে বল, ওভাবে বল ইত্যাদি। তাতেই বুঝি যে গল্প শুধু বললেই হবে না সাথে সাথে কিছু জেসচার বা অঙ্গভঙ্গিও প্রয়োজন। অনেক তথ্য দিয়েছেন যা খুবই প্রয়োজনীয়। সবার জন্যই একটা অত্যাবশ্যকিয় বিশেষ করে যাদের ছোট বাচ্চা আছে বা নাই তাদের জন্যও। অনেক ধন্যবাদ তথ্যবহুল ও ভিন্নধর্মী পোষ্টের জন্য।
২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমার কিছু ইউটিউব আছে .... আমি যখন গল্প বলি .....এই নামে .....
আমি এ বছরে এই গল্প বলা নিয়ে আরও কাজ করবো ভেবেছিলাম.... হঠাৎ চিরদিনের নীরোগ আমি একটু অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় সেটা করা হয়নি। তবে নেক্সট ইয়ারে এ বাসনা পুরো করে ফেলবো ইনশাল্লাহ.....
গল্প বলা এবং সাথে বাচ্চাদের মনোযোগ আটকে রাখা এক মজার খেলা...
১৭০| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৫
রাকু হাসান বলেছেন: সম্পূর্ণ একটি পোস্ট ..যেখানে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পেলাম । আমার জন্য বেশি উপকারি ..। ভাবছি এই লেখাটির জন্য কত ভাবতে হচ্ছে.! তথ্য খুঁজতে হচ্ছে ! সময়ের ব্যাপার বলে মনে হয় । আর ধৈর্য !! সিনিয়র ব্লগাদের ধৈর্যের তুলনা হয় না ।
২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
শায়মা বলেছেন: শামীম আজাদের একটা স্টোরি টেলিং এর কোর্স করেছিলাম মানে ট্রেনিং এ অংশ নিতে হয়েছিলো। আর তাই থেকেই এই পোস্টের উৎপত্তি। থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: বেত দিয়ে পিঠালে সব শিশু ঠিক হয়ে যাবে ।