নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
ইদানিং খুব শোনা যায় বুলি বা বুলিং কথাটা। আমার ছেলেবেলায় বা স্কুল, কলেজ লাইফে এমন বলতে গেলে শুনিইনি। বেশ বড় হবার পরে আমার এক আত্মীয়ার মেয়ে এসেছিলো বিদেশ থেকে আর সে তার কাজিনের সাথে গন্ডগোল লাগবার পরে আরেকজন কাজিনকে সাথে নিয়ে তাকে বার বার বিগ বুল্লী বিগ বুল্লি বলে উত্যক্ত করছিলো। সোজা ভাষায় নিজেই বুলি করছিলো। হ্যাঁ যে কোনো মানুষই যদি আমরা আমাদের পিছনে ফিরে দেখি তো দেখবো আমাদের পিছে সেই আজন্মকাল ধরেই দাঁড়িয়ে আছে হাজারও বিগ বুল্লি বা স্মল বুল্লিরা।
আমি ছোটবেলায় বেশ দুষ্টু আর কিউরিয়াস বাচ্চা ছিলাম। তবে দুষ্টুমী বলতে এমন না যে আমি মারদাঙ্গা বা অকারণে বন্ধুদের সাথে গন্ডগোলে জড়িয়ে যাবার মত কিছু করতাম। বরং আমি এই অকারণ গন্ডগোল বা অযথা ঝামেলা থেকে বেশ ভালোই দূরে থাকতে জানতাম। ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হবার পরে হঠাৎ একদিন আমার প্রিয় বন্ধু রুনি আমাকে সবার সামনে ডেকে বললো, এই নাও এই চকলেটটা তোমার জন্য। আমি হাত বাড়িয়ে নেবার সাথে সাথেই সে ঠাস করে এক চড় কষিয়ে দিলো আমার গালে আর তারপর হা হা করে হাসতে লাগলো। সাথে অন্যরাও। আমি হতভম্ব হয়ে হা করে দাঁড়িয়ে রইলাম। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তারপর সে হা হা করে হাসতে হাসতে আমার গলা জড়িয়ে ধরে বললো এটা ফান! আমি মেনে নিলাম বটে তবে ক্ষমা করলাম না বোধ হয়। তারপর সে প্রায়ই এটা সেটা নিয়ে দল বেঁধে হাসাহাসি করতো। যেমন আমার ছবি আঁকার অভ্যাস ছিলো। আমি কোনো ছবি আঁকলেই সে সেটা নিয়ে সে আজে বাজে মন্তব্য করে দলবল নিয়ে হাসতো। আমি ইগনোর করতাম। কিন্তু ক্রমাগত এই মেন্টাল এ্যটাকগুলি আমাকে বিদ্রোহী করে তুললো মনে মনে। তারপর আমি একদিন নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম প্রতিশোধের। আরেকদিন যখন রুনি যথারীতি আমার হ্যান্ড রাইটিং নিয়ে হাসাহাসি শুরু করলো আমি সবার সামনে সপাটে এক চড় কষিয়ে দিলাম ওর গালে এবং ওর বই খাতা টেনে ছিঁড়ে ফেললাম।
আমি জানতাম না বুলি বা বুলিং কাকে বলে। আমাদের আমলে এসব আমাদেরকে কেউ বলে দেয়নি। বুলিং বা সোজা ভাষায় কেউ যখন উত্যক্ত করে আমাদেরকে মা বাবারা শেখান সে সব ইগনোর করতে। নিজের মত থাকতে। কান না দিতে। পাত্তা না দিতে। কিন্তু উত্যক্তকারী মানুষগুলো প্রতিপক্ষ যতই এসব ইগনোর করে ততই শক্তিশালী হতে থাকে। ক্রমাগত চর্চায় এসব উত্যক্তকারীদের মাঝে পৈচাশিক উল্লাসের সৃষ্টি হয়। এই সব পৈচাশিক উল্লাস সীমা ছাড়িয়ে যায় মাঝে মাঝে। তাই প্রয়োজন সাবধানতার। আমাদের দেশে গ্রামে গঞ্জে, এমনকি শহরেও রাস্তাঘাটে মেয়েদেরকে বা দূর্বল মানুষদেরকে প্রায়ই এসব হেনস্থার শিকার হতে হয়। এইসব হেনস্থাকারী মানুষগুলো বেশিভাগ সময়ই দলবদ্ধ ভাবে এই অসুস্থ্য চর্চা গড়ে তোলে।
বুলিং ইন স্কুল বা স্কুল বুলিং ইদানিংকালের আমাদের সমাজের একটি বিশেষ সমস্যার নাম। তবে এই সমস্যার সুত্রপাতের ইতিহাস অনেক পুরোনো। তবে কালের পরিক্রমায় অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে এসেছে সচেতনতা। মনোবিদ বা সমাজবিদেরা নানা অপরাধের সূচনা সৃষ্টির কারণ হিসাবেও এই বুলিং টেন্ডেসীকে দাবী করছেন, যার প্রতি প্রকৃতপক্ষেই নজর দেবার সময় এসেছে।
কি এই স্কুল বুলিং ?
ইচ্ছাকৃতভাবে এবং বিনাকারনেই শক্তি প্রদর্শন করে স্কুলে এক বা একদল ছেলেমেয়েরা যখন দুর্বল কারো উপর হিংসাত্মক আচরন করে, উত্যক্ত করে, হেনস্থা করে তাকেই স্কুল বুলিং বলা হয়।
কারনগুলো থাকে এমন-
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে নিজেদেরকে জাহির করবার ইচ্ছা
ভিক্টিমকে হাসির পাত্র হিসেবে উপস্থাপন করা
অন্যের দূর্বলতা বা অক্ষমতাকে গোপন না করে বরং সামনে এনে মজা করা।
যেমনঃ ব্যঙ্গাত্মক নামে ডাকা, সকলের সামনে অপদস্থ করা, ধাক্কা দেওয়া, লাথি মারা, সামাজিকভাবে বয়কট করা ইত্যাদি ।
বুলিং এর ধরনগুলি থাকে :
১)শারীরিক( Physical ) বুলিং : আচমকা বা অযথাই পা বাড়িয়ে বা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া, অকারণে মারা, খোঁচা দেওয়া, থুতু ছিটিয়ে দেওয়া, চশমা, ঘড়ি, টিফিনবক্স ইত্যাদি জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যাওয়া, লুকিয়ে রাখা, ভেঙে ফেলা, অসংলগ্ন অংগ ভংগী ইত্যাদি।
২) আবেগীয় (Emotional) বুলিং :
কাউকে একঘরে করে রাখা, তার সাথে না মেশা এবং অন্য সহপাঠীদেরকেও মিশতে মানা করা।
৩) মৌখিক (verbal) বুলিং : মিথ্যা অপমানজনক বিবৃতি, অভিযোগ বা গুজব ছড়ানো, ভেংচি কাটা, কটাক্ষ করা, খারাপ ভাষায় সম্বোধন করা।
৪) সাইবার(Cyber) বুলিং : ক্লাসের ফেসবুক গ্রুপ বা অন্য ভারচুয়াল সামজিক মাধ্যমে ভিক্টমের ছবি নিয়ে মজা করা, আপত্তিজনক মেসেজ বা ছবি পাঠানো, ক্লাসের মেসেঞ্জার/ হোয়াটস এপ গ্রুপ থেকে বের করে দেয়া, নিয়মিত বাজে কমেন্ট করা ইত্যাদি।
৫)সেক্সুয়াল(Sexual)বুলিং :অপ্রত্যাশিতভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করা বা করার চেষ্টা করা, ইংগিতবাহী চিহ্ন প্রদর্শন, কয়েকজন মিলে প্যান্ট খুলে দেয়া, বিভিন্ন আপত্তি জনক স্থানে পানি বা রং ঢেলে দেয়া।
৬)জাতিগত ( Racial) বুলিং : জাত, বর্ন, গোত্র, ধর্ম, পেশা, গায়ের রঙ নিয়েও বুলি করা হয়। এক্ষেত্রে বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা বেশি ভুক্তভোগী। মুসলিম অনেক বাচ্চাদের বাসা থেকে বলা হয় সংখ্যালঘু বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের শিশুদের সাথে মিশলে তারাও হিন্দু হয়ে যাবে। এই ভ্রান্ত ধারনা কোমলমতি শিশুরা স্কুলের অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় ফলে হিন্দু বাচ্চাটির সাথে কেউ মিশে না। আমাদের দেশে ছেলেদের ক্ষেত্র শারীরিক ( Physical) বুলিং এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে মৌখিক(Verbal),আবেগময়(Emotional)ও সাইবার(Cyber) বুলিং এর হার বেশি।
অপরদিকে বাংলা মিডিয়াম স্কুল গুলোতে বুলিং এর হার সামগ্রিক ভাবে ইংলিশ মিডিয়াম থেকেও বেশি। বাংলা মিডিয়াম স্কুলে শারীরিক ও আবেগী এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গুলোয় মৌখিক,সেক্সুয়াল ও সাইবার বুলিং তুলনামূলক বেশি। বিশেষ করে ৯ম-১০ম শ্রেনীতে সাইবার ও সেক্সুয়াল বুলিংই বেশি দেখা যায়।
বুলিং বা বুলিং এর শিকার হয় যারা তাদের ক্ষেত্রে কি ঘটে-
বুলিংয়ে ভিক্টিম শিক্ষার্থী আত্মবিশ্বাস হারায়। ম্রীয়মান হয়ে পড়ে।
স্কুলে যেতে চায়না।
অনেকে আত্মরক্ষার জন্য ছুরি জাতীয় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে।
অনেকক্ষেত্রে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে বুলিংকারীদের আক্রমণ করে।
প্রায়ই বাইরের দেশে দেখা যায় স্কুল গুলোতে গোলাগুলির মত ঘটনাও অনেকেই ঘটিয়ে থাকে।
আইদাহো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ক্লিনিকাল সাইকোলজির শিক্ষক ডক্টর.মার্ক ডমবেক এর মতে, বিষন্নতা, অবসাদ, আত্মহত্যা প্রবনতা, রাগ, প্রচুর দুশ্চিন্তা হল এর শর্ট টার্ম ইফেক্ট। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নিজেকে আলাদা, অপ্রয়োজনীয়, মুল্যহীন মনে করে হীনমন্যতায় ভুগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থার ভিতর দিয়ে গেলে ওই শিক্ষার্থী অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবন হয়, নিরাপত্তাহীনতা ভুগে, অনিদ্রা দেখা দেয় সেই সাথে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠে, যা অনেক সময় সাইকোপ্যাথে পরিনত করে ভুক্তভোগীকে। Post Traumatic Stress Syndrome এর মত মারাত্মক মানসিক রোগের দেখা মেলে এদের মাঝে। এমনকি প্রত্যক্ষদর্শীদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় একই রকম সমস্যা দেখা দেয়।
মানুষ কেনো বুলি করে? কি মানসিক সমস্যার কারণ থাকতে পারে এর পিছে?
ডিউক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের সাইকিয়াট্রি এন্ড বিহ্যাভিরিয়াল সাইন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উইলিয়াম কোপল্যান্ডের মতে বুলিংকারীদের ক্ষেত্রে Anti Social Personality Disorder এর হার অন্য যেকোনো গোষ্ঠীর থেকে বেশি। এরা অপরের প্রতি কম সহানুভূতিশীল হওয়ায় নিজেদের সামান্য স্বার্থে কারো ক্ষতি করতে দ্বিধা গ্রস্থ হয় না।ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা ভয়ংকর ক্রিমিনাল হয়ে ওঠে।
ঢাকার বিভিন্ন স্কুল শিক্ষকদের মতে,এই বয়সের শিশুদের মাঝে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বা হিরোইজম প্রমানের একটি প্রেরণা থাকে। ফলে স্কুলে বা অন্য কোথাও বুলিং এর শিকার ছাত্রটি অনেক ক্ষেত্রেই পরে স্কুলে অপর শিক্ষার্থীকে একইভাবে আক্রমণ করে বসে।
স্কুল বুলিং প্রতিরোধে কি করণীয়-
প্রথমেই স্কুল শিক্ষক, পিয়ন,আয়া, স্কুল বাস ড্রাইভার, দারোয়ান অর্থাৎ স্কুলের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এর কুফল সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে।
বুলিংয়ের অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত শিশুকে সহপাঠীদের সামনে মারধর বা শাস্তি প্রদান না করে তাকে বুঝাতে হবে নয়ত অভিযুক্ত নিজেকে প্রমান করতে আরো বড় ধরনের আক্রমণ করতে পারে।
প্রতি ছ'মাসে অন্তত একবার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এ বিষয় থেকে প্রতিকারের উপায় নিয়ে কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন।যেমন বুলিংকারীরা সাধারণত প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে ভিক্টিমকে তাদের থেকে দুর্বল দেখতে চায়।ভিক্টিমের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশনে ভিক্টিম কষ্ট পাচ্ছে বুঝতে পারলে তারা তা ব্যাপক উৎসাহে আবারো করে। তাই তাদের গুরুত্ব না দিলে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে,এমন ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে সেখানে শিশুদের সাথে আলোচনা করা হবে।
সেই সাথে টেলিভিশন, রেডিও ও অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে এ বিষয়ে আরো প্রচারণা প্রয়োজন। স্কুলে গ্রুপ এসাইনমেন্ট, সাইন্স ফেয়ার ইত্যাদি দলগত কাজ গুলোর ফলে বাচ্চাদের ভিতর বন্ধুত্ব তৈরী হয় যা বুলিং প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
উন্নত দেশগুলোতে স্কুল-কলেজ থেকেই ‘সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিং’ (এসইএল) শেখানো হয়। এতে থাকে আত্মসচেতন হওয়ার শিক্ষা; নিজেকে সামলানোর কৌশল; সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি; সম্পর্ক ও যোগাযোগ-দক্ষতা; দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা। এ বিষয়টি আমাদের জুনিয়র আর সিনিয়র ক্লাসগুলোতে শেখানো বিশেষ জরুরী।
এ ছাড়া তরুণদের শেখাতে হবে যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনা, দূর্ঘটনা, বিপর্যয়ের পর কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় ও দুরূহ স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে সহযোগিতাপূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক; সমস্যা সমাধানে ভালো দক্ষতা; কখন, কোথায়, কার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে হবে তা জানা।
স্কুলের বিরতির সময়গুলোতে, স্কুল শুরু হবার আগে ও পরে তদারকি জোরদার করতে হবে,
স্কুল প্রাঙ্গণ, করিডোর ও শ্রেণিকক্ষ সিসিটিভির নজরদারিতে রাখতে হবে,
সচেতনতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধির জন্য বুলিংয়ের খারাপ দিক তুলে ধরে স্কুলে নাটক বা অভিনয় মঞ্চস্থ করা যেতে পারে,
বুলিংয়ের ভুক্তভোগীকে শিক্ষক ও স্কুলের কর্মীদের মানসিক সমর্থন দেয়া উঠিৎ
স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষকদের চাপমুক্তভাবে দায়িত্ব পালনের পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া উচিৎ।
বুলিংকারী এবং বুলিংয়ের ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত বিবরণ নেওয়া জরুরী। যদি সাক্ষী থাকে তাহলে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা। তাদের আলাদা আলাদা বক্তব্য শুনবে প্রতিরোধ কমিটি। উভয়কে যত্নসহকারে কাউন্সেলিং করা উচিত, যাতে তাদের আচরণে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসে। কাউকেই দোষারোপ না করে এটি যে একটি ভুল বা সমস্যা এটা বুঝাতে সচেষ্ট হতে হবে।
কাউন্সেলিং বা মানসিক এসব প্রবনতাগুলো এর কুফল সম্পর্কে বা ভুক্তভোগীকে মানসিক সাহায্য প্রদানের জন্য প্রতিটা স্কুলে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট থাকা বিশেষ জরুরী।
শিক্ষক শিক্ষিকাদেরকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্কুলে এমন একটি বাক্স রাখা প্রয়োজন যেখানে ভুক্তভোগী যে কেউ লিখিতভাবে তার সমস্যার কথা জানাতে পারে। এতে ভীতু বা যারা সমস্যা ফেস করার দ্বিধা দ্বন্দ ভয় ভীতিতে ভোগে তারা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারে।
সব কিছুর পরে পরিবারকে হতে হবে অকপট, খোলামেলা, সৎ যোগাযোগের আশ্রয়স্থল। তাদের ‘ক্ষমতায়িত’ করতে হবে যেন নিজ দায়িত্বে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে এবং পরিবারে যেন একটি ‘প্রযুক্তিমুক্ত’ (টেক-ফ্রি) সময় থাকে, তেমন সময় পরিবারের সবাই একত্র হয়ে নিজেদের মতন করে সময় কাটাতে পারেন। সোজা ভাষায় বাসাও হতে হবে বুলিং মুক্ত ও সৌহার্দ্য ও সহযোগী মনোভাবাপন্ন।
শিশুদের কোন অবস্থাতেই ক্লাসে কিংবা বাসায় অন্যদের সামনে শাসন করা যাবেনা,কারন তাও একপ্রকার বুলিং।অনেক ক্ষেত্র বাসার বেড়াতে আসা আত্ত্বীয়,সাবলেট ভাড়াটিয়া বা কাজের লোকদের সামনে আমরা শিশুদের শাসন করি। অধিকাংশ সময় আমাদের অনুপস্থিতিতে তারা সেগুলো বলে বাচ্চাদের উত্তক্ত করে। বাবা মাকে বাসায় শিশুদের সাথে আরো বন্ধুসুলভ হতে হবে যাতে সে অকপটে সব কথা আপনার সাথে শেয়ার করতে পারে।
স্কুল বুলিংয়ের দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাবে আমাদের অনেকের মাঝে আজ আত্মবিশ্বাসের অভাব, হীনমন্যতা আর হাজারো মানসিক সীমাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে।অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে কিংবা খারাপ ফলাফল করে হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। অথচ হাসিখুশি মন ও সুস্থ্য সুন্দর শাররিক বিকাশ মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। দেশ জাতি ও সমাজের উন্নয়নে বড় প্রয়োজন একটি সুস্থ্য সুন্দর প্রজন্মের।
সবশেষে কিছু কথা মনে রাখতে হবে আমাদের আজকের শিশু কিশোরদেরকে-
একজন বুলিং এর শিকার হওয়া শিশু বা কিশোর কিভাবে বুলিং হ্যান্ডেল করবে এটাই প্রথমে শিখতে হবে বা শিখাতে হবে তাকে। গবেষকেরা প্রথমেই নজর দিয়েছেন যেই শিশুটি বুলিং এর শিকার হয় তার প্রতি। খুব ছোটবেলায় শিশুরা মারামারি করে ঝগড়া করে এসব খুব স্বাভাবিক প্রবৃত্তি কিন্তু শিশুর ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সটাতে একক বা দলবদ্ধ আক্রমন তা হতে পারে শাররিক বা মৌখিক তা তার মানসিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর পরবর্তিতেও শিশু কিশোর বা তরুনেরা বুলিং এর শিকার হতে পারে। কাজেই এসবে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে না ফেলে কিংবা ভেতরে ক্রোধ জমিয়ে না রেখে নিজের কাজে এগিয়ে যেতে হবে। তাই
গবেষক ও মনোবিজ্ঞানীদের এডভাইসে প্রথমেই বলা হয় ফরগিভ বা ক্ষমা ।
সেটা না পারলে এভোয়েড।
কিন্তু এ এভোয়েড বা এড়িয়ে যাওয়া বিষয়টা ভুক্তভুগী বা ভিকটিমকে মাঝে মাঝে আত্মবিশ্বাসহীন করে তোলে। অথবা তার মাঝে ক্ষোভ ক্রোধ বা প্রতিশোধের স্পৃহা জাগিয়ে তোলে।
কাজেই পরামর্শ -
১। কেউ যদি তোমাকে ব্যঙ্গ করে, উপহাস করে, তোমার অক্ষমতা নিয়ে হাসি তামাশা করে- মনে রেখো তোমার অক্ষমতা বা অদক্ষতা বা যে কোনো দূর্বলতা তোমার ফল্ট বা ভুল নয়।
২। আত্মবিশ্বাস বাড়াও।
৩। নিজেকেই রক্ষার ঢাল তৈরী করো। একটা কাগজে নিজের গুড কোয়ালিটিগুলোর তালিকা বানাও। তুমি কিসে ভালো? অংকে? ইংলিশে নাকি বাঁশি বাজনায়? নাকি তুমি খুব ভালো গাইতে পারো? সে বিষয়গুলি নিজেই বের করে আনো। এইবার তোমার যাদু। এটাই তোমার ঢাল। এটাই তোমার যাদুর দন্ড।
৪। অন্যের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। খুঁজে বের করো তোমার মনের মত বন্ধুদেরকে যাদের তোমার মত সেইম ইন্টারেস্ট আছে। যারা তোমাকে প্রশংসা করবে। তুমি যাদের সাথে সুন্ডর সময় কাটাতে পারবে। শিখতে পারবে।
৫। ইগনোর দ্যা বুলি। সবাই এটাই বলবে। ইগনোর করা কঠিন আর তাই তুমি তোমার ভালো বন্ধুদের সাথে থাকবে।
৬। খুঁজে বের করো তোমার ওয়েল উইশার। তোমার বন্ধু, তোমার টিচার কিংবা মা অথবা বাবা। তাদের সাথে শেয়ার কোরো তোমার সমস্যা। তোমার মত বয়স তারাও পেরিয়ে এসেছে তারা তোমাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে।
৭। মনে রেখো "A bully will not win in the end." বুলি কখনও জিততে পারে না। তাদেরকে পরাজিত হতেই হয়। বুলি করে যারা তাদের কোনোই ক্রেডিড নেই। এটা ডিসক্রেডিট বা বোকামী বা নিজের অক্ষমতা ঢাকার চেষ্টা। A negative mind will never give you a positive life.
৮। দূর্বলের অস্ত্র গালি দেওয়া, মারপিট করা, নানা ভাবে অন্যকে ছোট করা। বুলি করার মাঝে কোনো বিশেষত্ব নেই।
B.A.D (Bullies Are Dumb)।
৯। একটা শ্লোগান দেখেছিলাম Bullies are thugs that need hugs. এ কথাটা চরম সত্য। বুলি করে যারা ভেতরে ভেতরে তারা আনহ্যাপী। তাদের প্রয়োজন ভালোবাসা, সহমর্মিতা। তাদের সত্যিকারের বন্ধু থাকে না।
১০। সবচাইতে বড় কথা, বুলি করে যারা তারা তোমার ভেতরের শক্তিকে ভয় পায় তাই জোর করে দমাবার ট্রাই করে। তাদের মাঝে হিংসা কাজ করে। বুলি করে যারা তারা তোমার থেকে মানসিকভাবে আসলেই দূর্বল কাজেই জাগিয়ে তোলো তোমার ভেতরের শক্তিকে। পায়ে দলে এগিয়ে যাও সকল বাঁধা। ক্ষমা করে দাও ওদেরকে। পারলে ভালোবাসো। ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে দাও ওদের ভুলগুলো। ওদেরকে প্রশ্ন করো
Have you asked yourself why you make others cry?
যাইহোক মনে রেখো তুমি স্পেশাল, তুমি ইউনিক। নিজেকে দূর্বল ভাবার বা নিজের দূর্বলতা প্রকাশের কোনো প্রয়োজন নেই। Be strong and don’t let your mind subject to the negativity.
সকলের প্রতি একটাই চাওয়া - বি আ বাডি নট আ বুলি
References
Houbre, B., Tarquinio, C., & Lanfranchi, J. (2010). Expression of self-concept and adjustment against repeated aggressions: the case of a longitudinal study on school bullying European Journal of Psychology of Education, 25 (1), 105-123 DOI: 10.1007/s10212-009-0005-x
Hutzell, K., & Payne, A. (2012). The Impact of Bullying Victimization on School Avoidance Youth Violence and Juvenile Justice, 10 (4), 370-385 DOI: 10.1177/1541204012438926
Jerome L (2006). Teaching children to ignore teasing: A cognitive behavioural family strategy for dealing with teasing and reactive bullying. Journal of the Canadian Academy of Child and Adolescent Psychiatry = Journal de l’Academie canadienne de psychiatrie de l’enfant et de l’adolescent, 15 (2) PMID: 18392201
Watson H, Rapee R, & Todorov N (2015). Forgiveness Reduces Anger in a School Bullying Context. Journal of interpersonal violence PMID: 26101439
https://www.dhakatribune.com/bangladesh/nation/2018/09/06/unicef-35-of-students-face-bullying-in-bangladesh
স্কুল বুলিং - আর নয় অবহেলা !
সকলের জন্য একটা গান.....
https://www.youtube.com/watch?v=uTU4__ORzDY
উৎসর্গ - হাসান মাসুম ভাইয়া
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০২
শায়মা বলেছেন: ইদানিংকালে এই বুলিং একটা অন্য রকম রূপ নিয়েছে যা পরবর্তীতে নানা রকম অপরাধের সূচনাকারী।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লাজওয়াব....
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং আছে বলে শুনেছি।
তোমার এই পোস্টটা অনেকের চোখ খুলে দেবে।
লাইক...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৪
শায়মা বলেছেন: দেখো সারা বিশ্বে বুলিং এক মহা সমস্যার নাম!
এ সমস্যা, এই মানসিকতা কি মানুষের আগেও ছিলো না??
ছিলো, আছে কিন্তু এটাকে কিভাবে না থাকার ব্যবস্থা করা যায় এটাই ভাবনা!
সহানুভূতিশীল মন হারাচ্ছে মানুষেরা। ছোট বয়স থেকেই বিবেক বুদ্ধি কম থাকে যখন তখন কোমল মনগুলো বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে।
ইদানিং তো বড় হবার আগেই তারা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট আর পারিপার্শ্বিকতার কারণে।
সিঙ্গল ফ্যামিলী, মা বাবার জব করা অনেক কারনেই শিশু কিশোরদের মাঝে বয়সন্ধিক্ষনে যে হতাশা ক্ষোভ বা হিংসার জন্ম নেয় তা সঠিক গাইডেন্স বা বুঝিয়ে বলার লোকের অভাব বা টাইম নেই তাই সমাজে নয়ন বন্ড বা আকাশ মিতু বা ঐ যে নায়িকা সিমলার জন্য প্লেইনে চড়ে বসা মানুষগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের সাইকোলজি খুব জটিল। বুলিং থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তুমি যে সমাধান গুলো দেখিয়েছ, সেগুলো তাত্ত্বিকভাবে ঠিক আছে, কিন্তু বাস্তবে চর্চা করা সব সময় সম্ভব নাও হতে পারে। অথবা আংশিক সম্ভব হতে পারে।
ভালো একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ বোন শায়মা।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কোনো কিছুই সম্ভব না যদি তুমি না চেষ্টা করো। আবার অনেক কিছুই সম্ভব পৃথিবীতে বলতে গেলে সকল কিছুই যা তুমি ঐকন্তিকভাবে চেষ্টা করো। তবে হ্যাঁ সামাজিক সমস্যাগুলি সামাজিক ব্যাধির মত। বলতে গেলে দূরারোগ্য ব্যাধি আর তাই এর সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য সমাজের সন্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
ভাইয়া যদি একজন মা বাবা ভাই বোন শিক্ষক এমনকি প্রতিবেশীদেরও এইটুকু জ্ঞান থাকে যে এই ছেলে বামেয়েটা বুলি করছে বা হচ্ছে তার কারনগুলো কি হতে পারে বা কি করে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে তাহলে এই সমস্যাগুলি অনেকাংশেই কেটে যাবে ভাইয়া।
সহানুভূতির হাত বা কাঁধ একজন ভুক্তভুগির যেমন প্রয়োজন তেমনই প্রয়োজন বুলি করে যে তারও।
সে জানে না কেনো সে এটা করছে। হিরোইজন বা অন্যের কাছে শক্তিশালী সাজতে বা নিতান্তই হিংসার বশে।
আজকাল শুরু হয়েছে সাইবার বুলি।
ব্লগ বুলিও কম দেখিনি আমি।
ব্লগ বুলির শিকারও হয়েছি! তবে আমি কি আর ছেড়ে দেবার পাত্র!!!
আমি জানি সমস্যা কারণ ও কেমনে ঢিঢ করতে হয়! হা হা হা
মানে পোস্টে বলেছি দেখো একজন ভুক্তভুগীও মাঝে মাঝে বুলিকারী হয়ে ওঠে নিজেও।
কিন্তু সমাধান সেটা নয়। সমাধান নিজেকে ইমপ্রুভ করা। বুলির মুখে এর চাইতে বড় জুতা আর নেই তবে একই সাথে যে মানুষটি বুলি করতে তারও বিবেক এবং বুদ্ধি জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন! তারও কিছু সাহায্যের প্রয়োজন আছে।
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
পরিশ্রমী ও সমস্যার সাথে সমাধানের উপায়সহ তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টের জন্য অভিনন্দন ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩১
শায়মা বলেছেন: সমস্যার সমাধান এতে হবে কিনা জানিনা তবে মা বাবা ভাই বোন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানা প্রয়োজন।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব সমস্যা তো আগে তেমন ছিলো না, ফার্মের মুরগীর হরমোনের সাইড এপেক্ট নাকি?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
শায়মা বলেছেন: আগেও ছিলো তবে এখন বেড়েছে।
আর ফার্মের মুরগীর হরমোন সাইড এপেক্ট কথাটাও অনেকাংশেই সঠিক।
আগের দিনের পারিবারিক বন্ধন অনেকটাই ঢিলেঢালা ও দায়সারা এখন। কেউ কারো দায়িত্ব যেমন নিতে চায় না তেমনি দায়িত্ব এড়িয়েও চলে। ভেবে দেখো ভাইয়া আগের দিনে পাড়া মহল্লার বড়দের সামনে কেউ মুখ তুলে কথা বলতো না। পাড়ার সকল মুরুব্বী আত্মীয় স্বজন ছোটদের শিক্ষার জন্য অপকটে যা করা দরকার বলা দরকার বলে থাকতো!
আজকাল কারো জন্য কারো মাথা ব্যাথা নেই। কারো প্রতি কারো যেন দায়িত্বই নেই।
যাইহোক ভাইয়া তুমি ছোট থেকে এই বড়কালে কি কি বুলি করেছো অন্তত ১০টা বলো ! হা হা হা
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
একটি ঘটনা বলি এইট কি নাইন হবে। একদিন দেখি কিছু ক্লাসমেট বেশ হাসাহাসি করছে মেয়েদের বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে(কোএডুকেশন)(মেয়েরা সাধারণত ক্লাস শেষ করে কমনরূমে চলে যায়, আবার ক্লাস শুরু হলে আসে)। কোনো মেয়ের হয়ত অপ্রত্যাশিতভাবে ক্লাশ চলাকালীন সময়ে মেনস্ট্রুয়েশনের ফলে ব্লাড ওজিং করেছে। সেই ব্লাড দেখেই কিছু ছেলে হাসাহাসি করছে।
পরে দেখা যায় ছেলেরা কোন মেয়ের এটা ঘটেছে তার খোঁজ নিয়ে তাকে নিয়মিত বুলিং করতে শুরু করে। শেষে মেয়েটি স্কুলে আসায় বন্ধ করে দেয়। এবং শীঘ্রই বিয়েও হয়ে যায়। ক্লাসে সবসময় কিছু ষণ্ডা টাইপের ছেলেপেলে থাকে এদের কাজই বুলিং করা।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
শায়মা বলেছেন: এখনকার দিন হলে এই মেয়ে হয়তো এই বুলিং এ পাত্তাও দিত না। কিন্তু এখনকার বুলিংগুলো ভয়ংকর।
আমরাও কম বেশি সকলেই বুলিং এর শিকার হয়েছি তবে ইদানিংকালের বুলিং এর ঘটনাগুলো শুনলে তুমি হা হয়ে যাবে ভাইয়া। খুব সম্প্রতী আমাদের স্কুলে যা যা হয়েছে তাতে আমি সত্যিই চিন্তিত! বাচ্চাগুলো দিন দিন নৈতিকতা হারাচ্ছে!
এবং তাদেরকে ভালোবেসে বা সহানুভুতি নিয়ে শেখাবার জন্য আজকাল বাবা মায়েদেরও সময় নেই। সবাই স্টাটাস আর টাকার পিছে ছুটতে গিয়ে হারাচ্ছে অমূল্য সম্পদ!
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এইগুলারে কয় ব্লগিং। মাথা নষ্ট পোস্ট। পিসিতে বসা মাত্র প্রিয়তে নিমু। গুরু মানলাম আপনেরে। সালাম বস।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কমেন্ট পড়ে হাসছি!
গুরু মানলে আমাকে! হা হা হা হা
যাইহোক আসলেও আমি আমার স্কুলের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় ভীষন মর্মাহত!
বুলিং এর শিকার আমিও হয়েছি।
সাইবার বুলিং, ব্লগ বুলিং সবই দেখা আছে।
কিন্তু সবাই তো সমান না। সবার নার্ভও একই রকম শক্ত না। বুলিং এর শিকার হয়ে অনেকেই আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে পারে।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন অধ্যায় ১,২,৩,৪ ও ৬ নং বুলিং এর শিকার হয়নি এমন ছাত্রছাত্রী খুব কমই আছে।
ইদানীং আমাদের দেশের ভার্সিটি ও কলেজগুলোতে খুব বেশি বেড়েছে।
সময়োপযোগী পোস্ট।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৪
শায়মা বলেছেন: স্কুল বুলিং হয় সবচেয়ে বেশি। ভার্সিটি ও কলেজগুলোতেও হয়। কিন্তু ধরণ আলাদা।
ভার্সিটি ও কলেজগুলোতে মানুষ তবুও কিছুটা সামলে নিতে পারে কিন্তু একজন স্কুল গোয়িং টিন এইজ বালক বা বালিকার জন্য অনেক কিছুই বুঝতে পারা ও সামলাতে পারা প্রায় অসম্ভব!
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি আমাকে বলছেন, "যাইহোক ভাইয়া তুমি ছোট থেকে এই বড়কালে কি কি বুলি করেছো অন্তত ১০টা বলো ! হা হা হা "
-আমার ১টা শক্ত বুলিং নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম ব্লগে; যষ্ঠ শ্রেণীর শুরুতে, ২য় দিন এক শক্ত ছেলের নাকে ঘুষি দিয়ে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি করেছিলাম।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১০
শায়মা বলেছেন: সেই ব্লগটার লিংক দাও ভাইয়া!
আমার ধারণা তুমি বুলি করলে ছেড়ে দেবে সেই পাত্র নও! যদিও নেট লাইফ আর রিয়েল লাইফ মানুষের আলাদা তবুও পর্দার আড়ালে মানুষটাকে একটু হলেও তো বুঝা যায়! হা হা হা
আমার পোস্টে দেখো আমিও প্রথমদিন বুঝিনি যেই মেয়েটা চড় দিয়ে হে হে করে বলেছিলো ফান করলাম! কিছুদিন পরে চড় দিতে লাগেনি তার হে হে এর জবাব চড়েই দিয়েছিলাম!
আসলে বুলি করে যে তার সামনে ভয় পাবার কিছু নেই।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১২
রাকু হাসান বলেছেন:
শায়মা আপুর মত পোস্ট । ধন্যবাদ সচেতনতা মূলক পোস্টের জন্য । এটা আমাদের দেশ স্কুল,কলেজ,ভার্সিটি সহ প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়ে আসছে। পূর্ণাঙ্গ মৌলিক পোস্ট পেয়ে উপকৃত হলাম । দেশের প্রেক্ষাপটে খুব গুরুত্বপূর্ণ থাকলেও এসব ভাবার ম ত আমাদের সময় কোথায় ? বুলিং প্রতিরোধে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-শিক্ষিকা অবিভাবক -সরকার একসাথে কাজ করতে হবে।
বুলিংয়ের অপর নাম হতে পারে র্যাগিং । এবার কি ঈদ সংখ্যা হবে না ? আর এবারের সেলামী মিস করতে চাই না ।
যদি সেলামী না পাই তাহলে তোমার ব্লগে ডেঙ্গু মশা ছেড়ে দিব ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৮
শায়মা বলেছেন: ছি ছি ছি ছি এন্টিবুলিং পোস্টে একি বুলিং এর হুমকি!!!!!!! ডেঙ্গু মশা ছেড়ে দেবে!!!!!!!
চেনো আমাকে! ডেঙ্গু মশা ছেড়ে দিলে মশক বিরোধী গানা দিয়ে তোমার দিকে তার পথ ঘুরায় দেবো! জাস্ট লাইক বুমেরাং।
বুলিং এর শিকার হতে পারে আমাদেরই সন্তান, ভাই বোন বা পাশের বাড়ীর ছেলেটি বা মেয়েটি। আমরা সবাই পারি সেটার সমাধানে বা নির্মূলে অবদান রাখতে!
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৪
রাকু হাসান বলেছেন:
গানটা লিংক আকারে দাও । লেখা তো কপি হয় না ,তাই আবার লিখে সার্চকরা ঝামেলা ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: ওকে একটু পরে এসে দিচ্ছি!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৭
১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: প্রত্যকটি মানুষের মাঝে ভালো-খারাপ আছে।
'য়িন' এবং 'ইয়েন'-এর ভেজাল সংমিশ্রণে যারা তৈরী, তারাই বুলিং করে বেশি।
বুলিং খুব খারাপ জিনিস।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
শায়মা বলেছেন: ইন এবং ইয়েন!!!!
মাথা ঘুরছে!!
এক্সপ্লেইন ইট ভাইয়ু!
১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গুড পোস্ট
ইভটিজিং আর বুলিং এর মধ্যে পার্থক্য কি জেন্ডার?
বুলিং কিনা জানি না, স্কুলে অন্যদের চেয়ে ছোট হওয়ায় আমিও কিছু হয়রানির শিকার হয়েছিলাম-
ক্লাস থ্রিতে মিঠু নামের এক বদ সিট ব্রেঞ্চে কয়েকবার চেপে ধরেছিল। ক্লাস টেনে স্কুল হোস্টেলেও একবার এমনটা হয়েছিল(এই কালপ্রিট ফিরোজ)। জনি নামে ক্ষ্যাপাতো। কি যে বিরক্তি লাগতো...
[তারপর আমি বিদ্রোহী হলাম। কলেজ, ভার্সিটিতে এসে কাইজা শুরুকরে দিলাম]
এখন ব্লগে এসে আমি নিজেই বুলিংবাজ হয়ে গেলাম নাকি, ভাবছি...
আচ্ছা? আমি যদি তোমাকে জানু নামে ডাকি, এটা কি বুলিং হবে?? নাকি ইবটিজিং??
[আমাদের এক নারী ব্লগারের(ব্লগে সে এখন অনিয়মিত) নামে ব্লগস্পটে একটা আইডি পেয়েছি। অন্য কেউ খুলে পর্নজাতীয় ছবি আপলোড করেছে। আমার এখন করণীয় কী? ]
পুনশ্চঃ
আমাদের কুরবানির ছাগলটা অসুস্থ। ঠিকমত খাচ্ছে না।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৯
শায়মা বলেছেন: ইভ টিজিং একজন ছেলে যখন একজন মেয়েকে সেক্সুয়ালী হ্যারাস করে।
আর বুলি একজন ছেলে বা মেয়েকে আরেক দল ছেলে বা মেয়ে অথবা ছেলেমেয়ের দল মিলে হ্যারাস করে। হাসাহাসি, উপহাস বিরক্ত, মারধোর.......
আমার মনে হয় ইভ এ্যন্ড এডাম এর ইভ থেকে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা এসেছে। ছেলেদেরটা হবে এডামটিজিং
বুলি করতো তার সাথে কাইজা? কাইজা মানে কি ঝগড়া ? তাই যদি হয় তো কম হয়েছে। সোজা মাইজা মানে মাইর দেওয়াই উচিৎ ছিলো। হা হা যাইহোক এইসব ক্ষেত্রে মানে তোমার সাথে যা হয়েছে এমন ক্ষেত্রে বাচ্চাদের উচিৎ পরিবারের বড়দের বা শিক্ষক বা ভালো বন্ধুর সাহায্য নেওয়া।
তুমি বুলিং বাজ না তবে মাঝে মাঝে একটু ওভারস্মার্ট হও এই আর কি তবে খারাপ মানুষ না মনে হয়।
বুলিংবাজি কাকে বলে ব্লগে সেটা মনে হয় না তুমি দেখেছো কিন্তু অনেকেই দেখেছে। তবে মনে রেখো বুলিংবাজরা যতই হম্বি তম্বি করুক। তারা হয় অন্তঃসার শূন্য। কাজেই লাভ নেই। বুলিংবাজেরা একদিন না একদিন হেরেই যায়। তাদের হারতে হয়।
আমাকে জানু নামে তুমি ডাকতে পারোনা। যদিও ইংলিশের ডার্লিং এর বাংলা মনে হয় জানু! এইসব জানু প্রাণু প্রেমিকাকে মানুষ ডাকে আমি তোমার প্রেমিকা না আর এই রকম খেত্তু টাইপ ফানের দরকারও নেই!
কেউ যদি কারো নামে ব্লগস্পট খুলে বা পর্ণ ছবি দেয় তোমার করণীয় রিপোর্ট করা। নজর রাখা সেই আইডি বন্ধ হলো কিনা। এটাই প্রথম পদক্ষেপ। তারপর মাথা ঠান্ডা রেখে যা করার করতে হবে। এত উতলা হবার কিছু নেই। যে এটা করেছে সে মেন্টাল সিক এ সবাই জানে। যার নামে করা হলো সে যখন সেটা করেনি তাতে টার গাঁয়ে আচড়টাও লাগবে না।
তোমাদের ছাগলটাকে ডক্টরের কাছে পাঠাও। অসুস্থ্য ছাগলকে কোরবানি দেওয়া কি ঠিক হবে? জুলুম অত্যাচার হয়ে যাবে।
১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪২
আনমোনা বলেছেন: ভালো পোষ্ট আপু। বুলিং একটা বাচ্চার আত্মবিশ্বাস ধংস করে দিতে পারে। এ সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২০
শায়মা বলেছেন: সকলের সচেতনতা প্রয়োজন আপুনি!
অনেক অনেক থ্যাংকস!
১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৩৪
সোহানী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট শায়মা। আসলে আমাদের দেশে এতো বেশি সমস্যা বুলির মতো সমস্যা নিয়ে তেমন একটা কেউ মাথা ঘামায় না। বাচ্চারা নিজেরাই এর প্রতিরোধ করে। আর বাবা মা তো দূরে থাক স্বয়ং শিক্ষকরা ও এ সম্পর্কে জানে কিনা সন্দেহ। বরং সময় সময় তারা ও বুলি করে ছাত্র ছাত্রীদের। শহরে কম হলেও গ্রামে অনেক বেশিই মনে হয়।
তারপর ও উচিত সচেতনতা বাড়ানো।
অফ টপিক : তোমার মতো আমি ক'দিন অপেক্ষা করিনি। 2য় দিনেই কলার চেপে ধরেছি
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিক করেছো পরদিনই!!!!!!
এখন অবশ্য আমি পরদিনেরও অপেক্ষা করি না! হা হা হা আসলে বুলি করে যারা তারা প্রতিপক্ষকে দূর্বল দেখতে চায়! প্রথমেই যদি বুঝে যায় এর সাথে কাজ হবে না তাহলে সমঝে চলে। হা হা হা
১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৫৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এক্সকিউজ মি। আবার এলাম। সকলের মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে সোহানীতে এসে থমকে গেলাম। দ্যাট'স রাইট সিস্টার। খুব ভালো কাজ করেছেন। বিড়াল মারলে বাসর রাতেই মারতে হয়। পরে আর নিশ্চয় কেউ সাহস পায়নি, কী বলেন?
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৪
শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিক ভাইয়া। আসলেই বুলিকারি শক্তিশালী মানুষদেরজে বেছে নেয় না তারা দূর্বল মানুষকে গিনিপিগ বানায়!
১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২০
করুণাধারা বলেছেন: শায়মা, খুব দরকারি বিষয়ে লিখেছ, কিছুটা পড়লাম, ভালোও লাগলো কিন্তু মনঃসংযোগ করতে পারছি না। তাই আপাতত বুকমার্কড করে রাখলাম। পরে জানাবো পড়ে কি জানলাম।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৪
শায়মা বলেছেন: কি হয়েছে আপুনি! তুমি ভালো আছো তো!
১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩
জুন বলেছেন: এই অভিজ্ঞতা আমার নেই কিন্ত আরেকজনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না শায়মা ।
আমার ছেলের অনেক ক্লাসমেটের একজন থাই মেয়ে যার সাথে আমারও খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। একদিন আমার ছেলে ওর সামনেই জানালো সে নাকি তায়কান্দো আর জুডোতে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী । শুনে আমি তার প্রশংসা করছিলাম তখন মেয়েটি জানালো এর পেছনের ইতিহাস। ক্লাশ ফাইভ কি সিক্সে থাকা অবস্থায় এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে ভর্তি হলে সে প্রচন্ড বুলিং এর শিকার হয় । এ নিয়ে তার মা স্কুলের ক্লাস টিচারের কাছে জানালে সেই টিচার পরদিন সেই সব দুষ্ট বাচ্চাদের হাসতে হাসতে বলে জানায় যে ওর মা তাদের নামে নালিশ করে গেছে। ছেলে মেয়েগুলো এটা শুনে আরো মজা পায় আরো খেপায় । তারপর একদিন মেয়েটি পিটুনি খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাসায় ফিরে গেলে তার মা কোন কথা না বলে তার মুখ মুছিয়ে তৎক্ষনাৎ নিয়ে ভর্তি করে তায়কান্দো স্কুলে। স্কুলের বাচ্চারা এসব জানতো না । বেশ কয়েক মাস পরে তারা আবার মেয়েটিকে আক্রমন করলে সে একজনের গলা পেচিয়ে ধরে এমন আঘাত করে যে ছেলেটি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে ৭ দিন হসপিটালে থেকে। এ ঘটনা শুনিয়ে মেয়েটি বল্লো "জানো মামা আমি ছেলেটাকে মেরে ফেলতে পারতাম সেই ট্রেনিং ও আমার ছিল, এরপর থেকে আজ পর্যন্ত আর কখনো কেউ আমাকে বাজে কিছু বলা বা করার সাহস পায় নি" ।
আমি মেয়েটির সাহসিকতায় মুগ্ধ হোলাম । আমি চাই আমাদের বাচ্চারাও নিজেদের রক্ষা করতে এমন কিছু শিখুক ।
মায়ের কোলে আজকের সেই তায়কান্দো আর জুডোর ব্ল্যাকবেল্ট ধারী ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:১৫
শায়মা বলেছেন: এইরকম একটা ডলপুতুলের মত বাচ্চাকে সবাই ভাববে নরম শরম সোনামনি! কিছু বললেই বুঝি ভ্যা করে কেঁদে ফেলবে। তবে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে বুলি করা মানুষগুলো হটতে বাধ্য। আঘাত করলেও তারা বুঝে যায় যে রঙ নাম্বারে ডায়াল করেছেন! হা হা হা
মাঝে মাঝে অনেকে আমার রং নাম্বারেও ডায়াল করে
যাইহোক আপুনি আমরা সবসময় ভুক্তভূগীকে নিয়েই চিন্তা করি। তাদেরকে সাহায্য করার চিন্তা করি কিন্তু অন্যদিকে যেই মেন্টাল সিক মানুষগুলো এই কাজগুলো করছে তাদেরও সাহায্যের প্রয়োজন শাস্তিই একমাত্র পথ নয়। তাদেরও কাউন্সেলিং ভালোবাসা বা সহানুভুতি প্রয়োজন! এটাও ভাবতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
শায়মা বলেছেন: আরেকটা কথা অনেক সময় ভুক্তভুগীরাই এক সময় নিজেই বুলি করতে শুরু করে নিজের অজান্তেই সে ভাবে এটাই বেঁচে থাকার পন্থা। এই ভাবে ক্ষমা, সহানুভূতি বা সমস্যা নির্মূল বা সমাধানের পথগুলো হারিয়ে যায় আরেকটি অপরাধের মাঝে।
১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সম্প্রতী আমাদের স্কুলে যা যা হয়েছে তাতে আমি সত্যিই চিন্তিত!
আপনার স্কুলের ঘটনাটা একটু বলতেন ...
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
শায়মা বলেছেন: অনেক কিছুই হচ্ছে যা আগে এতটা প্রকট ছিলো না।
ঘটনা - ১
আমাদের স্কুল টাইমিং সকাল ৮ টা
টিচারস টাইমিং ৭:৪৫
এর আগে এক মা বাচ্চাকে স্কুলে ড্রপ করেছিলো। বাচ্চাটা তার ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলো। কোনো বাচ্চা যদি আগে এসে যায় তাদের জন্য স্কুলে ফ্লোর ইনচার্জ, প্লে গ্রাউন্ড ইনচার্জ এবং আয়ারা থাকেন। যদি টিচার্স টাইমের আগে বা স্কুল টাইমের আগে কোনো বাচ্চাকে ড্রপ করা হয় তাদেরকে আন এটেনডেন্ট রাখা হবে না কিন্তু বাচ্চাকে এসম যেই বাবা মায়েরা ছাড়বেন তাদের নিজ দায়িত্বে ছাড়তে হবে। কারণ বাবা মা ভাবেন টিচাররা পারলে সকাল ৫ টাই আসবেন এবং তাদের বাচ্চাদের দায়িত্ব নেবেন যা হয় না।
যাইহোক এসময় এমন এক কর্মব্যস্ত মা তার বাচ্চাকে নির্ধারইত সময়ের আগেই ছেড়ে গেলো। তখন বাচ্চাটা হেঁটে আসার মুহুর্তে একদল বড় বাচ্চা উল্টা দিক থেকে দৌড়ে এসে তার কান মলে দিয়ে গেলো। ঐ বাচ্চা জীবনে কান মলা খায়নি সে তো অবাক । আর তার ভেতরে ভীষন অপমানের সৃষ্টি হলো কারণ তারপর ঘটনা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করছিলো।
এইভাবে ধাক্কাধাক্কি বা টিফিন কেড়ে নেওয়া এসব তো আছেই। পরীক্ষার আগে বই লুকিয়ে ফেলা, দামি ক্যালকুলেটর লুকিয়ে ফেলা । আমার স্কুলে যেসব বাচ্চারা পড়ে তাদের কোনো অভাব নেই তারা যেটা করছে হিংসা, ফান বা মজা করার জন্য বা ভেতরের ডিসওরডারটার জন্য।
সবচেয়ে ভয়ংকর হলো যখন ৯/১০ এবং ১২ এ পড়া বাচ্চাগুলো একে অন্যকে পছন্দ করার কারণে একটা মেয়েকে দিয়ে প্ররোচিত হয়ে ১২ এর বাচ্চাগুলো বুলিগিরি দেখাতে ক্লাস ৯ এর একটা বাচ্চার উপরে চড়াও হলো। একদম গলা চেপে ধরলো। অকথ্য গালিগালাজ যা তারা এত ভালো ফ্যামিলী থেকে এসেছে বলে মনে হয় না। তবে আমি নিশ্চিৎ এসব তারা বাসায় শেখেনি। তারা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টারনেট গেম খেলছে। দেশ বিদেশ ইন্ডিয়া পাকিস্থান থেকে শুরু করে আমেরিকা আফরিকার মানুষেরাও সেখানে যোগ দেয়। এরা গেইম খেলার সময় যে অকথ্য গালিগালাজ করে এবং সেটাই মডার্ণ ফ্যাশন ভাবে এই সব কারনেই তারা শিখে যায়।
বাবা মায়েদের ইন্টারভিউ নিয়ে আমি দেখেছি। বাচ্চারা খেলার সময় এগ্রেসিভ থাকে বাকীটা সময় নাকি ভদ্র বাচ্চা। তারা যে সব গালিগালাজ করে অনলাইনে তা অপ্রতিরোধ্য। বিজি লাইফে বাবামায়েদের সময় যেমন নেই বসে পাহারা দেবার তেমনি এই ফোন জীবন, গেইম জীবন, গেমবয়, প্লে স্টেশন থেকে বাইরে রাখারও উপায় নেই তাদের।
যাইহোক এমন অনেক আছে। জুনায়েদকে মনে পড়ে আমার। একদম মানুষরূপী শুকরছানারা যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো একজনকে অসহায় পেয়ে। কোনো অবস্থাতেই অসহায় মানুষের উপরে লড়াই দেখানো চলবে না এতে কোনো বীরত্ব নেই এই বোধ জন্মাতে হবে। আমরা মানুষ। পশু নই। আমাদের বাচ্চাদের মাঝে জ্ঞান বুদ্ধি এবং বিবেক জাগ্রত করতে হবে।
২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: একসময় আমরাও স্কুলে পড়লাম।
এখনকার সময়ের সাথে কোনো মিল নেই।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তখনও বুলিং ছিলো।
তবে এখন মানুষ সচেতন হয়েছে।
তোমাকে কম বুলিং সহ্য করতে হয়েছে?
এই যে ভাবীর বা ফ্যামিলীর বা তোমার নায়োকোচিত ছবি দিয়ে যখন ব্লগে পোস্ট করতে কম বুলিং সহ্য করতে হয়নি তোমার। হা হা হা
তবে এই কথা সত্য তুমি ইগনোর করেছো, ক্ষমা করেছো এবং প্রমান করেছো তুমি এসবে কোনো দোষ করোনি।
এটাই শিখতে হবে মানুষকে।
২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ব্লগে ডেঙ্গু মশা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি.... হায় হায়
শেষমেশ ব্লগেও
আমি আর কি করবো ! শসা খাই
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শায়মা বলেছেন: ও কি আমার সাথে পারবে!!!
ডেঙ্গুকে ওর দিকেই পাঠিয়ে দেবো। ডোন্ট ওয়ারী বেবি!!!!!!!
২২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আলী প্রাণ বলেছেন: কারো দুই-তনিটা নাক মজুদ থাকলওে আমাকে তামাশা করার কথা না।
কাল থেকে বার কয়েক পড়ে মেঝোবোনের সাথে আজ শেয়ার করলাম। ওর স্কুলের একটা বাচ্চা চরম পর্যায়ের বুল। ক্লাশের সবাইকে শাসায়, টিচারদরেও মানেনা। বাবা-মা শাসনওে অকেজো।
ওনাকি একাবার এক নিরহ ছাত্রকে ধরে ইলকেট্রিক শক দিতে চেয়েছলি। ২ এর একটা বাচ্চা এমন শুনে পিলে চমকায়।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শায়মা বলেছেন: হা হা কেমন আছো ভাইয়া??
যাইহোক ঐ বাচ্চাটার দরকার ভালোবাসা, সহানুভূতি, ওর ভেতরের কিছু মেন্টাল আনসাটিসফেকশন এমনটা করাতে পারে। অথবা অযথাই ওর শক্তি দেখাতে ভালোবাসে। অন্যেরা ঘেন্না করছে বুঝতেই পারে না। যাইহোক ওর সাথে ওয়ান টু ওয়ান কাউন্সেলিং প্রয়োজন!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৮
শায়মা বলেছেন: Click This Link
ভাইয়া এটা পড়ো।
২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩১
আলী প্রাণ বলেছেন: অনেক অনকে শুভেচ্ছা সুন্দর লিংক শেয়ারে।
নিউজ পোর্টালগুলিতে একদম যাইনা। সব অর্থবের দল। অনেক সময় কোন লিংক থেকে মূল পাতায় গেলে যা নিউজ চোখে পড়ে, ফের ফিরতে ইচ্ছে হয়না।
অগোচরে থেকে প্রিয়দের পড়তে ভালো লাগে। ভালো থাকুন সব সময়।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৮
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া!
২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫০
মাহের ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে এই ভেবে যে, গত দুইদিন ধরে এই পোষ্ট চোখের সামনে আসা সত্বেও পড়িনি।
আজ পড়েই উপলব্ধি করলাম, না পড়লে কতবড় মিস করতাম।
ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইল।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া। আসলে বুলিং ব্যপারটা আর এড়িয়ে যাবার নয়!
আমাদের সকলেরই কাজে লাগবে বলেই মনে হয়েছে আমার।
আমাদের বাচ্চাদেরকে বুঝতে ও বুঝাতে!
২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক জানার এবং শেখার একটি পোস্ট। +++
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৩
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৩
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
আপুনি,
আপনাকে কিছু কথা বলে আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করি আজ। হয়তো ভালো হতে পারে। _____
আমি যখন মাধ্যমিকে পা রাখি। তখন রোল পাঁচের ভিতর ছিল। তাই নিজের একটু দাপিয়ে বেড়াতাম। সহশিক্ষার কারণে অনেক ছেলেমেয়ে পড়তো। যারা একটু হাবাগোবা টাইপের তাদের উপর তর্জন করে বেড়াতাম। আর ওরাও নাছোড়বান্দা, আমাকে আমাদের (আমরা কয়েকজন ছিলাম) ছাড়তোনা। কেঁদে কেঁদে হুজুরদের বলে দিত। তারপর হুজুর ক্লাসে সবার সামনে আমাদের পিটা দিত। আর জানেন তো। মাদ্রাসার মাইর কেমন শক্ত।
হ্যাঁ আপুনি। আমি কেন এগুলো বলতেছি জানেন। আমরা যত পিটা খেতাম তত ওই ছেলেমেয়েদের উপর চওড়া হতাম। আরো বেশি ওদের উপর তর্জন (বুলিং) করতাম। প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠতাম। কেন সে, তারা বিচার দিল। কেন আমরা পিটা খেয়েছি। আরো বেপরোয়া হয়ে উঠতাম। রাগ বেড়ে যেত ওদের উপর যারা বিচার দিয়েছে। জানেন, আমাদেরকে কোনদিন হুজুররা (সাধারণ শিক্ষক) শিক্ষা দেয়নি। শুধু পিটিয়ে হাত, ঘাড় লাল লাল করত।
এভাবে করতে করতে কোন সময় প্রিন্সিপালের কানে যায়। তখন প্রিন্সিপাল আমাদের অভিভাবক ডেকে এনে। অনেক জ্ঞান দিল আমাদেরকে। তখন থেকে আমরা অনেকটা কমে আনছিলাম। আর বলতে গেলে আস্তে আস্তে ভালো হয়েও উঠলাম।
আসলে শাসন নই। সবার দৃষ্টিগোচরে নিয়ে গিয়ে কথায় কিংবা নরম শাসনে কাজ হয়ে যায়। বুঝেনতো প্রিন্সিপালের ধরা কেমন! আপনার পোস্টটাতে তাই বললেন। খুব ভালো লাগলো।
ও আরো কথা বাকি আছে আপুনি। বর্তমান আমিও একজন মক্তবে অনেক বাচ্চাদের পড়াই। আর বুলিংয়ের একটা না একটা বিচার আসবে।
এইতো দুই দিন আগের কথা। একটা মেয়ে বিচার দিল। " হুজুর আমাকে রায়হেন্না হইয়েদে। আই নাকি জামাই লইয়ুমদে। " তারপর কি হলো জানেন ঐ ছোট্ট মেয়েটি কেঁদে কেঁদে চোখ লাল করে পেলেছে।
আপুনি অনেক বকবক করলাম। আসলে এই বুলিং পরিবারেরর গাইডহীন, কিংবা দুষ্টু সহপাঠীদের পাল্লায় পড়ে ছত্রাকের মতো ছড়িয়ে পড়ে। যা মারাত্মক হয়ে উঠে। এ থেকে বের হওয়া যায়।
যদি পরিবার চাই, একটা বাচ্ছাকে ছোট থেকে শিক্ষা দিয়ে হবে। অন্যেকে কাঁদিয়ে যেন নিজে মজা নানে।
ভালো থাকবেন আপুনি। এতো বকবক করার জন্য ক্ষমা চাই। _________
এখানে সবাই বড়, তাদেরকে বলবো প্লিজ আপনার সন্তান কিম্বা আপানার ছোট ভাইবোনদেরকে ফলো করুন। তারা কে কিভাবে চলতেছে। তাদের এই বুলিং নিয়ে শিক্ষা দিন। এই বুলিং কতটা মারাত্মক তা বুজিয়ে বলুন।
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ঐ মেয়েটা কি বলেছে আমি কিছুই বুঝলাম না।
যাইহোক তুমি বুলি করে যারা তাদের দিকে আগে নজর দাও সাথে ভিক্টিমকে মানসিক শক্তি দাও।
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
২৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩১
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
মেয়েটা বলছিল যে। " হুজুর রায়হান আমাকে বলছে, আমি নাকি জামাই নিব"। এখন বুঝছেন। আর ঐভাষাটা ছিল আমাদেত চট্রগ্রামের।
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
শায়মা বলেছেন: ওহ হা হা হা !
আমি ভেবেছিলাম নোয়াখালীর!
২৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৩
সোহানী বলেছেন: প্রিয় আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই, ইয়েস। তাইতো সে বিড়াল মারার কারনে স্কুল কলেজ জীবনে লেডি মান্তান হিসেবে ক্ষ্যাতি ছিল ........হাহাহাহাহা। অন্যায়ের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে পছন্দ করিনি কোনকালে। এটাই হলো সকল মেয়েদের সার্ভাবাইল এর মূল মন্ত্র। সবাই দূর্বলের উপর অত্যাচার করতে পছন্দ করে। যদি কেউ মাথা তুলে, তাকে চেস্টা করে দমাতে। আর না পারলে এভোয়েড করে বাধ্য হয়ে...
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮
শায়মা বলেছেন: হা হা আমাকে অবশ্য ঢং ঢাং এর কারণে অনেকেই লুতুপুতু ভাবে। পরে অবশ্য এই ধারণা কেটে যায়!
তাই না বলো !!!!!!!!
তবে মাঝে মাঝে আমি আমার ধৈর্য্যশক্তি এবং প্রতিশোধ নেবার প্রক্রিয়া ( যাতে সময় নষ্ট না হয়ে নিজের কাজে লাগে) দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাই!
২৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
এই মূহর্তে দেশের বাইরে।তবুও 'স্বভাব যায়না ম'লে' বলে সামুকে একটু গুঁতো না দিয়ে পারা গেলনা। কোনও ১৪৪ ধারা ছাড়াই তেলের মতো সামুতে ঢুকতে পারলুম। আর তখনই মনে হলো আমাদের সামুর প্রবাসী ব্লগারগন কতো ভাগ্যবান। আমরা বঙ্গভাইজানেরা এর () বুলিং, ওর ( ) বুলিংয়ের চোটে এখন সাইকোলজিক্যাল ডিপ্রেশানে আছি। আছি বোবা হয়ে কিন্তু বর্ডার কেউ খুলছেনা। কবে যে বদ্ধ কন্ঠ থেকে স্বর বেরুবে !!!!!!!!!!!!!!
সবদিকের এমন "বুলিং" এর জন্যে আপনার পরামর্শ দেখলুম কিন্তু ব্লগীয় বুলিংয়ের কি হবে ? ব্লগাররা কি স্কুলের বাচ্চা ?
সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ।
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৮
শায়মা বলেছেন: ব্লগাররা কি নিজেরাও কম বুলি!!!!!!!
তবে এই ব্লগ বন্ধের বুলিংওয়ালারা তো দুনিয়ার সবচাইতে বড় বুলিং!!!
তবে পোস্টেই বলেছি বুলিং করে যারা তারা অন্যের শক্তিকে ভয় পায় বলেই জোর জবরদস্তি খাঁটিয়ে নেগাটিভ শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করে!
৩০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাইয়ের মন্তব্যটা জোশ
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৮
শায়মা বলেছেন: হা হা একদম ঠিক ঠিক !
৩১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসম্ভব পরিশ্রমী একটি অসাধারন ও মুল্যবন পোষ্ট । সরাসরি প্রিয়তে ।
বুলিয়িং এর কার্যকারন , শারিরিক, মানষিক ও অন্যন্য প্রাসংগিক সকল দিকই সুন্দরভাবে উঠে এসেছে লেখাটিতে।
বুলিয়িং শুধু আমাদের দেশেই নয় পৃথিবীর সকল দেশেই এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে । বুলিয়িং এর শিকার শুধু শিশু কিশোরদেরকেই যে এর পরিনাম ভোগ করতে হচ্ছে তাতো নয় এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব পুরা জাতিকেই ভোগ করতে হচ্ছে দেশে দেশে ।
শিশুদের বুলিয়িং সম্পর্কিত ২০০6 সালের ইউএনএর একটি ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট হতে দেখা যায় যে
স্কুল এবং বাড়ি উভয় জায়গাতেই বুলিয়িং এর শিকার শিশু কিশোরগন ঠিকমত বিকশিত হতে পারছেনা। স্কুলে বুলিয়িং এর কারণে লাঞ্ছিতগন সহ এর পিছনের কুশিলব উভয়েই ভবিষ্যতের অসামাজিক ও অপরাধমূলক আচরণের পূর্বাভাসক হতে পারে। বুলিং লাঞ্ছিতগন, ইটিং ডিসঅর্ডার ও মানষিক বৈকল্য সহ বিবিধ ধরনের সামাজিক সম্পর্কের অসুবিধা ঝুঁকির সাথেও যুক্ত হয়ে যেতে পারে ।
বিভিন্ন গবেষনা স্কুলে বুলিয়িংএর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছে। এক সপ্তাহ সময়কালের মধ্যে ১৯৫৮ সালে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭ থেকে ১১ বছর বয়স কালে স্কুলে বুলিয়িং এর শীকাড় হয়েছিল এমনতর ৭৭৭১ জন ৫০বছর বয়সি মানুষের উপরে পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায় যে যারা বুলিয়িং এর শিকাড় হয়েছিল তাদের স্কুলের শিক্ষা জীবন সমাপনের হার কম ছিল এবং স্বামী / স্ত্রী বা সঙ্গীর সাথে বসবাস করার হারও তাদের কম পাওয়া যায় । তাদের শৈশব বুদ্ধি স্তরগুলি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল এবং গবেষনায় জানা যায় যে জ্ঞানীয় আইকিউ এবং শব্দ মেমরি পরীক্ষায়ও তাদের স্কোর কম ছিল। স্কুলে বুলিয়িং এর প্রভাবগুলি প্রায় চার দশক পরেও দৃশ্যমান ছিল এবং এগুলির শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিণতিগুলি তাদের যৌবনেও স্থায়ী হয়েছিল ।
(সুত্র : Bullying at school affects health 40 years later. Telegraph. Retrieved on 2019-08-11.)
শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রতি বুলিয়িং এর অর্থনৈতিক প্রভাব ও যথেষ্ট। একমাত্র ব্রাজিলে বুলিয়িং জনিত সমস্যার কারণে প্রতি বছর প্রায় ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয় ।বিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্কিত বুলিয়িং জনিত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুমানিক ব্যয় এক বছরে ৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, স্কুল-বয়সের শিশুদের ৪০% থেকে ৮০% তাদের স্কুলজীবনের কোন না কোন সময় বুলিয়িং জনিত বর্বরতা অনুভব করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে নিম্ন-আর্থ-সামাজিক পটভূমির শিক্ষার্থীরা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা প্রায়শই বুলিয়িং এর শিকাড় হয়। আমাদের দেশে এ সম্পর্কিত কোন জরীপ বা সমীক্ষা হয়েছে কিনা জানা নেই , তবে এ বিষয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষনা হওয়া একান্ত প্রয়োজন মনে করি ।
বুলিয়িং প্রতিরোধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই সুষ্পষ্ট লেজিলেটিভ বিধান রয়েছে , রয়েছে বহুবিধ চ্যরিটি অর্গানাইজেশন ।
১৯৮৫ সালে শিশু মনোবিজ্ঞানী মিশেল এলিয়ট Kidscape নামে তেমনি একটি চেরিটি অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন লন্ডনে।
শিশুদেরকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে এমনসব কৌশল এবং মাইন্ডসেট দিয়ে শিশুদের উজ্জিবিত করে বুলিয়িং জনিত ক্ষতি প্রতিরোধের উপর কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি ।
আমাদের সকলের প্রিয় এ পোষ্ট লেখক আপুমনিটিও এমন কোন সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন কিনা জানিনা , তবে এবিষয়ে এ পোষ্টের লেখার গভীরতা প্রমান করে যে তিনি এমনতর কোন মহতি কাজের সাথে অবশ্যই জড়িয়ে আছেন । আর যদি জড়িত না থেকে থাকেন তবে আর সময় ব্যয় না করে আজই এমন একটি সংগঠন গড়ে তোলার জন্য দাবী থাকল , আর কেও পাশে না থাকলেও আমি আছি এধরনের মহতি কোন উদ্যোগের সাথে।
ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইল
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শায়মা বলেছেন: থ্যাংকস আ লট ভাইয়া!
বুলিং শুধু স্কুলেই না মাঝে মাঝে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনেও দেখা যায়।
সবখানেই সচেতনতা প্রয়োজন!
অনেক অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৯
রাকু হাসান বলেছেন:
বুলিং প্রতিরোধে সরকার র্উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিয়ে সারা বছর ধরে বিভিন্ন স্কুলে সেমিনার করতে পারে । ঘুমাও না ক্যান
নাউ ক্লিকাও
১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই ।
মনিটরিং এর সাথে সাথে সেমিনার যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন সেটা শিশু কিশোরদের মনে পজিটিভলী বাঁচার অনুপ্রেরনা যোগাবে!
থ্যাংকস ফর দ্যা সং.....
আমি ভেবেছিলাম জন্মদিনের গান দেবে ...... হা হা হা
৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোস্টটা পড়েছিলাম অনেক আগেই। চিহ্ন হিসাবে একটা 'লাইক' রেখে গিয়েছিলাম। কম্পু সমস্যার জন্য মন্তব্য করা হয়নি। যুগোপযুগি দারুন একটা পোস্ট.....কোন সন্দেহ নাই।
এটা আসলে একটা ওয়াইড-স্প্রেড বিষয়, সব জায়গাতেই আছে। তবে, স্কুল যেহেতু প্রাথমিক মানসিক বিকাশের জায়গা, তাই এটাতে সর্বোচ্চ নজর দেয়া উচিত। এখানে এটাকে খুবই সিরিয়াস ক্রাইম হিসাবে দেখা হয়, তারপরও থেমে নেই। প্রচুর বুলিং হয়, যত্রতত্র।
এটা সব যুগে, সব কালেই ছিল। আগে মানুষ এতোটা বুঝতো না, এখন বুঝদার হচ্ছে.....এই যা তফাত। অনেকটা, ১০০ বছর আগেও ডায়রিয়া হতো, এখনও হয় এর মতো। আগে এটাকে মানুষ 'খারাপ বাতাস লাগা' বা এ'জাতীয় কিছু দিয়ে বর্ণনা করতো, এখন এটাকে আমরা 'ডায়রিয়া' হিসাবে জানি।
বাস্তবতা হলো, এটাকে একেবারে বন্ধ করা সম্ভব না। তবে, কমানো সম্ভব। আর এটার জন্য সরকার, সমাজ, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, পরিবার......সবার একসাথে কাজ করতে হবে।
জ্ঞানী মানুষের জ্ঞানী পোস্ট!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১১
শায়মা বলেছেন: ইশ জ্ঞানী মানুষ না!!
ভাইয়ামনি কেমন আছো???
৩৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৭
চাঙ্কু বলেছেন: আইজ্জা তুমার বাড্ডে!! কেক-কুকতো কিছুই খাওয়াইলা না। আফসুস
তাও হেপি বাড্ডে!! আরও লেখ, আরও কয়েকটা নয়া নিক খুল!!
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে একটু পরে সব কেক কুক আনিতেছি!!!!!
আর হেপি বাড্ডের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা!!!!!!
আরও নয়া নিক খুলে কি হবে!!!!!
ঢুকতেই তো পারিনা ভি পি এন ছাড়া!
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
শায়মা বলেছেন:
এই নাও কেক.....
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
শায়মা বলেছেন: জাপানিজ স্টিকি রাইসও খাও ভাইয়া .....
৩৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:০৬
এমজেডএফ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।
বুলিং নিয়ে বিদেশে অনেক আগে থেকেই সচেতনতা সৃষ্টি হলেও আমাদের দেশে এগুলোকে এখনো মানুষ স্বাভাবিক হিসাবে মনে করে। বাংলাদেশে পরিবার, স্কুল, কলেজ, কর্মস্থল সব জায়গায় বুলিং হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হচ্ছে স্কুলের কোমলমতি শিশুদের সাথে।
আমার এক প্রবাসী বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম - সুইডেনে 'Friends' নামে একটা সংঘটন আছে। এরা প্রত্যেক স্কুলে গিয়ে বুলিং-এর নেতিবাচক দিক সম্পর্কে আলোচনা করে এবং কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে 'Friends'-এর প্রতিনিধি নির্বাচন করে। তাছাড়া সব ছাত্রছাত্রীকে এই সংঘটনের ডাইরেক্ট কলের নম্বর দিয়ে আসে। কেউ যদি বুলিং-এর শিকার হয় যাতে সরাসরি ফোন করে জানাতে পারে। আমার মনে হয় বাংলাদেশেও এ ধরনের একটা উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই ভাইয়া। আমাদের স্কুলেও মনের বন্ধু নামে একটা সংগঠন আসে। সেদিন বাচ্চাদেরকে স্পেশাল বার্গার পিৎজা খাওয়ানো হয়। আর জোর করে শুনানো হয়।
কিন্তু জানোই টিন এইজে বাচ্চারা মনে করে তাদের থেকে বড় পন্ডিৎ আর কেউ নেই দুনিয়ায় ......
৩৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
শায়মা বলেছেন:
আর এটা কুকের ভায়েরা মুক, লুক, চুক
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
শায়মা বলেছেন: চাঙ্কু পাঙ্কু বার বার ভুল হয়ে যাচ্ছে! এটা তোমার রিপ্লাই......
ওকে আরও জাপানিজ খাও ...... চ্যাঙ্কুম্যান ......
৩৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১০
চাঙ্কু বলেছেন: এতো দেখি মেলা খাবার!! তবে সুশি আমার অনেক প্রিয়। বাড়ির পাশে জাপানীজ এক মহিলার একটা সুশি রেস্টুরেন্ট আছে। যতবারই যাই, সব সময় দেখি উনি প্রত্যেক কাস্টমারকে নিজের বাড়িতে বেড়াতে আসা মেহমানের মত আপ্যায়ন করে!! শেষের ছবিতো মনে হচ্ছে সুশির বেন্টো বক্স! এত্তগুলো খাবারের জন্য অনেক অনেক বন্যবাদ।
ইদানিং এই পোষ্টের মত তুমি কিছু সিরিয়াস বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিচ্ছ যা খুব ভালো লাগে। সমাজের এই সব ডার্ক সাইডগুলো নিয়ে আমাদের আরো বেশী বেশী লেখা উচিত। কিপ ইট আপ!
আবারও হ্যাপি বার্থডে!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩২
শায়মা বলেছেন: ইদানিং পন্ডিৎ হয়ে যাচ্ছি... হাহাহা
৩৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা মেইল করেছিলাম, উত্তর পাই নাই, ঘটনা কি? এনি প্রবলেম?
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
শায়মা বলেছেন: হায় হায় !!! আমি মেইল চেক করিনি ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!
আজকেই আনসার পাবে ভাইয়ামনি!!!!!!!
স্যরি!!!!!!!!!!!!!
৩৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, শুনে শান্তি পেলাম। আমি ভাবলাম.......আবার কি না কি হলো!!!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১২
শায়মা বলেছেন: না না ভাইয়া কিছু হয়নি! মেইল চেক করতে ভুলে যাই আমি!!!!!!!!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়ামনি!!!!!!!!!!!!!!
তোমার কান্ড দেখে আর তোমার মেইল পড়ে আমি অনেক অনেক অনেক মজা পেয়েছি!
এই নিয়ে একখানা গল্প লিখবে রাজকন্যা........
আর মেইলের উত্তর দিয়ে দিয়েছি কিন্তু!!!!!!!!!!!!
কবে আসবে জানাও। সাথে সাথে পঙ্খীরাজে উড়ে যাবো!!!!!!!!
হা হা হা হা
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
শায়মা বলেছেন: রবিনকে বলে দিয়েছি ভাইয়া!!!!!!!
সো নো চিন্তা!!!!!!!!
৪০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা মেইল করেছি। তুমি তো আবার চেক করো না, তাই জানালাম!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!
দাঁড়াও সব ডিটেইলস জানাচ্ছি!
না না এইবার চেক করেছি।
হা হা হা
শুনো এই নিয়ে গল্প লিখিবোক!!!!!
মজার গল্প ! এমন গল্প অনেকগুলি জমা আছে কখনও কাউকে বলা হয়নি।
এইবার সব ফাঁস করে দেবো!!!!! হা হা হা
৪১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম। দেখি কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ওকে ওকে ভাইয়া!
সেই গল্পের নাম হবে একটি সাগর কিংবা নদীর ইতিহাস!
৪২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সিনিয়র জুনিয়র সহপাঠী সবা ই বন্ধুসুলভ হবে বুলি সহ নেতিবাচক সব কিছু অনাকাঙ্খিত। সবা ইকে নৈতিক শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে দশের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত হওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে জীবনটা অনেক ছোট। যে কোন সময় মৃত্যু হতে পারে একজন মানুষের। সময় অযথা কাজে ব্যয় করা অনুচিৎ।
সুন্দর পোস্ট। শিক্ষার্থীদের কাজে আসবে ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
শায়মা বলেছেন: আমরা সবাই এই পৃথিবীতে আমৃত্যু শিক্ষার্থী।
৪৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মন্দ বলোনি।
আবার শিক্ষকও বটে।
তোমার উৎসর্গকে চিনিতে পারিলাম না। ভেবেছিলাম হাসান মাহবুব মানে হামা কিনা? হাসান মাসুম আবার কে? হামার ছোট ভাই নাকি??
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫২
শায়মা বলেছেন: হা হা না সে অনেকদিন আগে বুলিং নিয়ে লিখেছিলো। তখন তাকে কথা দিয়েছিলাম আমিও এই বিষয়ে লিখবো! লিখতে অনেক দেরী হয়ে গেলো!~
৪৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শায়মা,
কথা রাখতে পেরেছো এটাই আসল কথা। পথে হলো দেরী তাতে কি? উনার অনুরোধে দারুন একটা বিষয়ের উপর পোস্ট করেছো । কৃতজ্ঞতার তিনি দাবীদার। অনুরোধ রক্ষার বিষয়টি ভালো লাগলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২১
শায়মা বলেছেন: সে অনেক দিন আগের কথা।
ভাইয়াকে কথা দিলেও যেহেতু মাথায় ঘোরে নানান ভূত তাই ভূতের উপদ্রবে অনেক অনেক দেরী হয়ে গেলো!
৪৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় শায়মা,
শরতের আকাশটা কতো সুন্দর! কত বৈচিত্রময়!! ভাবলে অবাক হতে হয়। স্রষ্টা কত সুন্দর করে সাজিয়েনে শরতের আকাশ। রাতেও সাদা মেঘের ভেলা ভাসে আকাশের বুকে।পেঁজা তুলা ভাসিছে নীল আকাশের বুকে ।এমন সুন্দর আকাশ মাথা্র উপর থাকলে ভুত আসে কীভাবে? ভুত তো মরে ভুত হয়ে যাবার কথা । ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১
শায়মা বলেছেন: কি বলো এত সুন্দর আকাশে সাদা সাদা মেঘগুলো মাঝে মাঝে হাতী ঘোড়া বাঘ ভালুক ভূত প্রেত হয়ে যায় না!!!!!!!!!
তোমার মাথায় অবশ্য একখানা ভূতই থাকে দেখেছি .........
তাই বলে সবার মাথায় এক খানাই থাকবে নাকি!!!!!!!
৪৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আপু, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এত সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য। বুলিং কেবল ছোটবেলায় হয়না। বড় হয়েও স্বীকার হতে হয়। কেউ একজন একটু নরম অথবা বিনয়ী স্বভাবের হলে তাকে নিয়ে তার আশেপাশের লোকজন হাসাহাসি করবে, কটাক্ষ করে মানসিকভাবে হেয় করবে। এটা যেন খুব কমন কালচার। এর বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কেননা এসব বুলিং একজন মানুষকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে যা পরবর্তীতে তার চিন্তা -ভাবনা, আচরণে বাজে প্রভাব ফেলার প্রকট সম্ভাবনা তৈরী করে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫১
শায়মা বলেছেন: একদম ঠিক। বড়দেরও বুলি করা হয়! তবে এই পোস্ট বড় ছোট সবার জন্যই হতে পারে। তবে বড়দের বুলি করলে কেমনে সেটা হ্যান্ডেল করতে হয় তা নিয়ে আমার নিজের কিছু মতামত আছে যা থেকে বুলি করতে আসবে যারা তারা উলটা বুলি টাইপ গুলি খেয়ে কুপোকাৎ হয়ে যাবে।
থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!
এই পোস্ট আমার স্কুলের কিছু বাচ্চাদের কিছু ইনসিডেন্টের কারণে লিখেছিলাম! পরে মনে হলো এখানেও শেয়ার করি!
৪৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩১
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: শেয়ার করে অনেক ভালো করেছো আপুনি। এবার তাইলে বড়োদের জন্য কৌশলটা লিখে ফেলো যাতে কুৎসিত মানুষদের সাজা দেয়া যায়। বেশ ভালো হবে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ওকে তাই হবে। তবে তুমি আমার কিছু পুরোনো ফাইটিং পোস্ট মানে হাও টু ডান্ডা মেরে ঠান্ডা বুলি কমেন্টগুলি দেখলেও উপকৃত হবে।
এই ব্লগেও কম বুলি দেখিনি তবে মনে রেখো দিনশেষে বুলিরা লুজার ! হা হা হা
আর ভীতুও বটে! কাজেই নো ভয় টু বুলি। বুলি হ্যান্ডেলিং এর প্রথম শর্ত নো পাত্তা টু লুজারস !
৪৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪১
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ধন্যবাদ। অমন কোনো পরিস্থিতির স্বীকার হলে তোমার উপদেশ স্মরণে রাখবো।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
শায়মা বলেছেন: একদম!!!!!!!! শুধু স্মরনে না আমাকে ডেকে নিয়ে যেও!
৪৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৩
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আচ্ছা !! ঠিক আছে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:১৬
শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!!!!!!!
তোমার নাম অনেক সুন্দর!!!!!!!
একদম শরতের আকাশকে মনে করিয়ে দেয়!!!!!!!!!!!!!
৫০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:০১
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ওয়াও, তুমি অনেক সুন্দর উপমা জানো! আপুনি, বাচ্চাদের পড়াও জন্যই হয়তো এতো কমনীয়ভাবে ভাবতে পারো।শরতের আকাশে তুলোর মতো মেঘের ভেসে বেড়ানো দেখতে খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝেই দেখি আমি।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮
শায়মা বলেছেন: হুম!
ঠিক তাই............
শরতের গাঢ় নীলাকাশেও এক রকম শুভ্রতা থাকে। আর সাদা মেঘগুলো তো একেবারে আকাশের কাঁশফুল!
লাভ ইউ আপুনি!!!!!
৫১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: লাভ ইউ ২,৩,৪ ...... নতুন ব্লগারকে আপন করে নেবার জন্য এত্তগুলা ভালোবাসা !!! ( লাভ ইমোটিকন )
আমি কবিতা লিখতে পারিনা। সবে ব্লগে পা রেখেছি। ব্লগিং অভিজ্ঞতাটা একটু পোক্ত হলে লিখালিখি করব। এখন তোমাদের থেকে শিখি আগে।
আর হ্যাঁ, এমন মিষ্টি টিচারকে টিচার্স ডে’র অনেক শুভেচ্ছা !!! ( লাভ ইমোটিকন )
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৬
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ!
কাল গিয়েছিলাম প্রথম আলো আয়োজিত প্রিয় শিক্ষক সন্মাননা অনুষ্ঠানে।
আমাদের দেশে গ্রামে গঞ্জেও যে এত এত প্রকৃত টিচারস আজও রয়েছে সেখানে না গেলে আমার জানাই হত না।
আমার চোখে কলসুন্দরীর সেই আশ্চর্য্য যাদুকর টিচারকেই সবচেয়ে মোহময় হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা মনে হয়েছে।
তারপর আরেকজন ছিলেন শ্রবনশক্তিহীন কিন্তু সর্বকার্য্য বিশারদ।
সবচেয়ে মুগ্ধ হয়েছি গাইবান্ধার একজন টিচারকে দেখে যে কিনা সায়েন্স ল্যাবের মত ভূগোল শিক্ষার এক আশ্চর্য্য রুপকথার মত ক্লাসরুম বানিয়েছেন.......
৫২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ইট'স মাই প্লিজার, আপুনি।
হাজারটা খারাপ সংবাদের মাঝে এসব সংবাদ সত্যিই অভিভূত করে!! অন্যরকম সুখ দেয়, প্রশান্তি অনুভূত হয়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৯
শায়মা বলেছেন: একদম তাই!
লেখা শুরু করো আপুনি!!!!!!
৫৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: বড়রা বেশিরভাগ সময় বিষয়টাকে পাত্তাই দিতে চায় না।আমি নিজেও এর ভিক্টিম ছিলাম!উনাদের বুঝা উচিত,ছোটদের মনোজগতের পরিধি যেমন ছোট্ট,তেমনি আপাত ছোট ছোট বিষয়গুলোর আনুপাতিক ইমপ্যাক্ট ওদের মনের উপর মোটেও সামান্য নয়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
শায়মা বলেছেন: আমি কি কম ভিক্টিম ছিলাম!!!!!!! মানে বাসায় আর কি! হা হা হা তবে আমার সাথে কি তারা পারবে!!!!!!!
আমি ভয় করবো না ভয় করবো না ,
দুবেলা মরার আগে মরবো না ভাই মরবো না!!!!!
পিচকু আজ কি লিখেছো???
৫৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: না,ম্যা'ম। মাথা এখনো ফাঁকা!
আর ছ' দিন পরই টেস্টের রেজাল্ট দিবে!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭
শায়মা বলেছেন: তুমি তো গুড বয়!
গুড স্টুডেন্ট!!!!!!!
রেজাল্ট নিয়ে কেউ মাথা ফাঁকা করে!!!!!!
এখনই সময় মাথায় ভরে নাও ক্রিয়েটিভ আনন্দময় আইডিয়াস!!!!!!!
৫৫| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
কল্পদ্রুম বলেছেন: স্কুল কলেজে কখনো বুলিং করি নাই।সচেতনভাবেই করি নাই।ফ্রেন্ড সার্কেলে অন্য কেউও যেন না করে সেটাও খেয়াল করতাম।দুই একজন করতে এসেছিলো।হাতে মারি নি।কিন্তু উলটো জবাবের ব্যবস্থা করেছিলাম।পরে তারা কিভাবে কিভাবে যেন বন্ধু হয়ে গেল।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৫
শায়মা বলেছেন: গুড!! এই সব বুলিং মনে হয় আগের দিনের চাইতে ইদানিংকালে বেশি বেড়েছে!!! আগের দিনে মা বাবার কথা শুনতো ছেলেমেয়েরা, কিছু মোরালিটি ছিলো ইদানিং সেসবের বালাই নেই। যে যার মত চলছে...... যা খুশি বলছে ....... তুমি বুদ্ধিমত্তার সাথে হ্যান্ডেল করতে পেরেছো ভাইয়া । তারপর আবার বন্ধুও বানাতে পেরেছো!! তোমাকে স্যালুট।
৫৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০০
অনল চৌধুরী বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বিদেশী ডিগ্রী নেয়া শিক্ষকদেরও দেখেছি, তাদের পছন্দের অপরাধী দল বা নেতার বিরোধী ছাত্রদের এভাবে কটুক্তি ও সবার সামনে হেয় করতে।
ছাত্র-ছাত্রীরা এসব দেখে কি শিখবে?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৬
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ শিক্ষক বা অভিভাবক দিয়েও বুলিং হয়।
এ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
৫৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৯
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
নাস্তা খাওয়ার পর হতে ১০/১৫ মিনিটে ফ্রি আছি। সামুতে ঢুকলাম। দেখি আপনি অন লাইনে। আমার ইচ্ছা আছে আপনার কিছু লেখা পড়া। নায়িকাকে জানার কৌতূহল। এই লেখাটা পড়বো ভেবেছি। দেখলাম বেশ বড়। পরে সময় নিয়ে পড়বো। বুলিং নিয়ে একটা কথা বলার জন্য এই কমেন্ট। এই বছরের প্রথম দিকে খুদের পাশে বসা একটা ছেলে খুদেকে খুব ডিস্টার্ব করতো। ওর খাতা কলাম দিয়ে দাগ কেটে দিত। ওর পেন্সিল ভেঙ্গে দিত। আমার ভাইপো বলে বলছি না। ও কখন কাউকে কোন ক্ষতি করা, আঘাত করা, মিথ্যা বলে এইগুলো এখনো ওর মধ্যে নেই। তো আমি ক্লাস টিচারকে বললাম আর আরও রিকোয়েস্ট করলাম যেন খুদের সিট চেঞ্জ করে দেয়। মিস পাশের দুষ্টু ছেলেকে শাসন করে বকে দিয়েছিল। কিন্তু ঐ দুষ্টু ছেলে আবার কয়দিন পর শুরু করলো একই কাজ। আমার ভাবী একদিন সেই বাচ্চাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে এসেছে। কয়েকদিন পর খুদেকে আমি স্কুল থেকে নিয়ে আসতে গেছি। স্কুল ছুটি হলেই আমি খুদেকে নিয়ে বাড়ী ফিরি না। কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করি মাঠে বা বাস্কেট বল খেলি। তো সেদিন হঠাৎই খুদে বললও চাচ্চু ঐ যে ও (দুষ্টু ছেলেটা)। ঐ ছেলেটা বেশ নাদুস নুদুস আর টকটকে ফর্সা। চোখ দুটো যে খুব দুষ্টু আর stubborn দেখলেই বুঝা যায়। আমি ওর কাছে গেলাম দেখলাম ওর প্যারেন্ট সাথে নেই। কোথাও হয়তো ক্লাস ওয়ার্ক কপি করছে। আমি দুষ্টু ছেলেকে গিয়ে বললাম "তুই খুদেকে ডিস্টার্ব করিস??? যদি আর কোনদিন শুনি তুই ওকে ডিস্টার্ব করেছিস তাহলে এক থাপ্পড় দিয়ে তো গাল ফাটিয়ে দিব। মনে রাখিস আবার বলছি যদি কোনদিন শুনি!!!!" ঐদিন থেকে all quiet on the western front। হা হা হা...
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
শায়মা বলেছেন: আজ ছুটির দিনে মাত্র ১৫ মিনিট ফ্রি কেনো!!!!!!!!
তোমাকেও কি তোমার অফিস বুলি করছে ভাইয়ু!!!!!!!!!
আমার লেখা পড়ে আমাকে জানার ইচ্ছা নাকি এই নাট্যমঞ্চের অভিনেত্রীকে জানার ইচ্ছা হয়েছে ভাইয়ুমনি???
এই মরীচিকা ইচ্ছা জাগাইওনা ......
বলেছি না শেষে গান গাহিবা
আমায় ভাসাইলি রে আমায় ডুবাইলে রে
অকূল দরিয়ায় বুঝি কূল নাইরে .......
হাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহহাহা
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
শায়মা বলেছেন: আমি দুষ্টু ছেলেকে গিয়ে বললাম "তুই খুদেকে ডিস্টার্ব করিস??? যদি আর কোনদিন শুনি তুই ওকে ডিস্টার্ব করেছিস তাহলে এক থাপ্পড় দিয়ে তো গাল ফাটিয়ে দিব। মনে রাখিস আবার বলছি যদি কোনদিন শুনি!!!!" ঐদিন থেকে all quiet on the western front। হা হা হা...
হা হা হা হা হা হা হা হা হা
একজন অতি স্নেহভাজল প্যারেন্ট বা চাচ্চু এ কাজটাই করবে। আমিও একই টাইপ পাঁজীর পাঝাড়া বাচ্চা ছিলাম ছেলেবেলায়। কিন্তু আমাকে কোনো থ্রেটেই কাজ হত না। পরে বড় বড় হতে হতে একদম ভালা মানুষ হয়ে গেছি তবুও কেউ বিশ্বাশই করে না......
বলে কু ....... লেজ সোজা হয় নাকি!!!!!!!!!
যাইহোক তুমি যা করেছো উল্টা বুলি ঐ বাচ্চাটার উপর...... হা হা
যদিও তাতে কাজ হয়েছে ......
৫৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
আপনি রবীন্দ্র সঙ্গীতের ভক্ত। আর আমি ইংরেজি গানের। আমার ভালোলাগা খুদের মধ্যেও সম্প্রসারিত হয়েছে। আমার আর খুদের একটা প্রিয় গান দিলাম।
view this link
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!
গানের চাইতেও নাচ দেখেই মুগ্ধ আমি!!!!!!
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪
শায়মা বলেছেন: তুমি এবার আমার গান শোনো ভাইয়া
৫৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি আগেই এই গানটা ও এই ভিডিওটি দেখেছি শাইমা আপু। গল্পটা ভাল করে বুঝার জন্য নায়িকাকে ভাল করে জানাটা দরকার বলে আমার মনে হয়েছিল। এটা কোন এলাকায় গাড়ী চালাচ্ছিলেন। দারুণ গান।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
শায়মা বলেছেন: হা হা গল্প তো বুঝিয়ে দেবো আগেই বলেছি।
তখন আবার নায়িকাকে বুঝে ফেলে ইট পাটকেল ছুড়ে মেরো না কিন্তুক!!!!!!!!!!!
এটা ইউনাইটেড হসপিটালের পেছনের রোড.......
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু তোমার জন্য মনে পড়ে গেলো বহু বছর আগের এই কবিতাটা
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।+++++