নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
আমি যেই জবটা করি সেটা শিক্ষকের জব নাকি এক মজার খেলা সে আমি নিজেই বুঝতে পারিনা আসলেই। খুব ছোট্ট ছোট্ট মিষ্টি মিষ্টি দুষ্টু দুষ্টু পরীর মত এক একটা বাচ্চাকে যখন রোজ সকালে দেখি মনে হয় যেন স্বর্গ থেকে নেমেই এসেছে এক ঝাঁক পরী বাচ্চা। তারাও ঠিক আমার ছোটবেলার টিচারদের মত আমাকে দেখে না। তারাও ভাবে আমি একজন তাদেরই বন্ধু তাদেরই মতন কিন্তু শুধু একটু সাইজে বড় সড় এই যা। আর আমি ভুলেই যাই আমার বয়স যে বাড়ছে। আমি ওদের মতই খেলি, ওদের মতই ভাবি, ওদের মত করে নিজেকে ভাবাই এবং শেখাই আর আমি তাই ওদের মতই ওদের বয়সেই আটকে থাকি। হা হা .......
এইভাবেই ভালোই চলছিলো আমার হেসে খেলে আনন্দে। আমার ক্লাসের বাচ্চাদের এইজ লেভেল চার থেকে পাঁচ বছর আর তাই আমার কাজ শুধুই খেলা ছলে অক্ষর আর নাম্বার লেখা শেখানো আর নানান রকম মজার মজার গল্প কবিতা নাচে গানে দিন দুনিয়ার নানা বিদ্যা শেখানো। কাজেই সেই খেলা ছলে ভুলিয়ে ভালিয়ে ভালোই আনন্দে আর হাসি গানে কাটছিলো দিন।
হঠাৎ কোথা থেকে এক অদৃশ্য দানবের করাল গ্রাসে বন্ধ হয়ে গেলো আমার হেলা খেলা সারাবেলা খেলা খেলা মজার জবটার নানা রকম বিদ্যাবুদ্ধি। নতুন করে ভাবতে হলো। নতুন করে সব বুঝতে হলো। মনিটরের মাঝে দিয়ে একদম অজানা অচেনা নতুন এক ঝাঁক বাচ্চাদের সাথে পরিচিত হতে হলো। তাই আমার বশীকরণ যাদু কাঁঠিটাও নানা রকম রঙে ঢঙে সাজাতে হলো। সেই কাজ করতে গিয়ে আমার দিন রাতের ঘুম হারাম হলো -
লিটিল মিস মাফেট স্যাট অন আ টাফেট, ইটিং হার কার্ডস ......
কখনও আমি নিজেই হ্যাট মাথায় লাল টুকটুক জামা পরে হয়ে যাই রেড রাইডিং হুড বা কখনও দই আর বাটি চামচ নিয়ে নেচে গেয়ে ওদেরকে শুনাই আর সাথে সাথে শেখাই লিটল মিস মফেট স্যাট অন আ টাফেট.... আবার কখনও কখনও লাল নীল রং গুলিয়ে গ্লাসে গ্লাসে ঢেলে ঢেলে বানাই নানা রকম ফলের জ্যুস।
লাল নীল হলুদ সবুজ রঙে বানিয়ে ফেলা আমার সব রকম ফ্রুটস জ্যুস
চা বানিয়ে টিপট আর টি কাপ নিয়ে বসি। বাচ্চারা হা করে তাকিয়ে থাকে। দৌড়ে নিয়ে আসে তাদের হ্যাট। মাথায় পরে গান গায় আমার সাথে।
আই এ্যাম আ লিটল টি পট শর্ট এন্ড স্টাউট.......
টি - টাইগার
সেদিন শেখাচ্ছিলাম নানা রকম ভেজিটেবলসের নাম তো আমি যখন দেখাচ্ছিলাম আমার ফ্রিজ থেকে বের করে আনা লাল টুকটুক টমেটো বা সবুজ কচকচে শশা তখনই মায়েরা তাদের হাতে এনে দিলো বেগুন, গাজর, আলু। আমি তো মহা মুগ্ধ! অনলাইন ক্লাসে শুধু বাচ্চারাই না মায়েরাও এনজয় করছে তারাও কো অপারেট করছে। আমি মায়েদের কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম।
কত্ত রকম ভেজিটেবলস
এর মাঝে ছিলো আমার জন্মদিন। সেদিন মায়েরা বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দিলো বড় বড় পোস্টার কার্ড বেলুন। ঠিক টিভিতে দেখা ঐ এডটার মত আমিও মুগ্ধ হলাম।
সবচাইতে অবাক করা ব্যপারটাই ঘটলো কালকে।
হ্যাপী টিচার্স ডে........ গিফ্টস ফ্রম মাই বিলাভড সটুডেন্টস
কাল ছিলো টিচার্সডে। ঠিক সন্ধ্যার আগে ভাগে বাসায় একটা নয় দুটো নয় তিন তিনটা পার্সেল এলো। সেই পার্সেলের আকার এবং আকৃতি দেখহে নীচে তো গার্ড আর ড্রাইভাররা একটু চিন্তায় পড়ে গেলো। তো তখনই এক প্যারেন্টস ফোন করে জানালো। তারা সব্বাই মিলে তাদের প্রিয় টিচারের জন্য টিচার্সডে তে পাঠিয়েছে সেই অমূল্য গিফ্ট। আমি অনেকগুলো বছর জব করছি। প্যারেন্টস এবং বাচ্চাদের ভালোবাসাও পেয়েছি অনেক। কিন্তু অনলাইনের এই নড়বড়া সময়ে যে এত ভালোবাসা পাবো তা কখনও ভাবিনি। আমি আপ্লুত হলাম।
মনে পড়লো ছোট্টবেলার আকতার স্যারকে। যে আমাকে শিখি্যেছিলো ছবি আঁকার মজা। নিজের আর্ট বুকটাই দিয়ে দিয়েছিলো আমাকে।
মনে পড়লো বুলি আপাকে। যেই বুলি আপার জন্য আমি শিখেছিলাম বাংলা গ্রামারের নানান কৌশল। মনে পড়লো কামরুল স্যারকে আমার আজন্ম ভীতির বিষয় অংককে কি করে আমার মাথায় ঢুকিয়ে ক্লাস ফাইভ এবং এইটে বৃত্তি পাইয়ে ছেড়েছিলেন তিনি। কত শত জনের কত শত অবদান। আমার সঙ্গীত শিক্ষার ছোট্টবেলার টিচার রুহুল কুদ্দুস। যে পরম মমতায় আমার গলায় গান তুলে দিয়েছিলেন সে মমতা কি আর কোথাও পাবো? কোথাও পাওয়া যায়? সব কিছুর পরেও চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, যখন মনে পড়ে রুহুল কুদ্দুস স্যারের শীত গ্রীস্ম বর্ষায় পরে থাকা একই কালো কোটটার কথা। মনে পড়ে যায় কামরুল স্যারের সেলাই করা চটিটির কথা। একদিন আমরা বুলি আপার বাসায় গিয়েছিলাম। ছোট্ট সুন্দর ফুলের বাগান ঘেরা নিরিবিলি সেই মায়াময় বাসা। আবু জাফর স্যারের ন্যায় অন্যায় জানিনে করে আমাকে বিশেষ ভাবে স্নেহ বা প্রশ্রয় দেবার কথাও মনে পড়ে যায় আমার। কোথায় আছেন কেমন আছেন তারা? জানা হয় না আমার......
ছোট্টবেলার সেই মানুষ গড়ার কারিগরদেরকে হারিয়ে ফেলেছি আমি। কিন্তু আজকালকার মায়েরা তা হতে দেবে না।তারা চির স্মরনীয় করে রাখতে টিচার আর বাচ্চাদের ছবি বাঁধিয়ে রেখেছে। এবং সাথে সাথে দিয়েছে আমাকেও। যতদিন বেঁচে থাকবো চোখ পড়ে যাবে সেই স্মৃতিতে। মধুময় স্মৃতি। বাচ্চাগুলো বড় হয়ে যাবে। অনেক অনেক বড় বড় মানুষও হবে তারা কিন্তু ছোট্ট ছোট্ট মুখগুলো বাঁধা থাকবে আমার এই ফ্রেমটির মাঝে।
গতবছর আমি গিয়েছিলাম প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সন্মাননার একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে দূর দুরান্ত থেকে কি অসাধারণ সব শিক্ষকেরা এসেছিলেন। তাদেরকে দেখবার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। তাদের কৃতকর্মগুলিও জানবার সৌভাগ্য হয়েছিলো। সেখানে দেখানো ডকুমেন্টারী ইউটিউবে খুঁজে পেলাম।
আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০১৯
আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা
সকলেরই মনে হয় মনে পড়ে গেলো ছেলেবেলার প্রিয় শিক্ষকদের মুখগুলি......
সবাইকে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা। আর গ্রামে গঞ্জে দেশে ও বিদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল শিক্ষকেরা ভালো থাকুক। আর কিছু না হোক অন্তত একটু ভালোবাসায়.........
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২০
শায়মা বলেছেন: না সেটা তো হয়ইনি বরং টিচারদের নাওয়া খাওয়া হারাম হয়ে গেছে। আর জানোই ভাইয়া যে কোনো চ্যালেঞ্জ মানেই আমাকে নাওয়া খাওয়া হারাম করে হলেও জয় করতে হবেই হবে। কাজেই নতুন খেলা বাচ্চাদের সাথে সাথে তাদের বাবা মায়েদের মনও জয় করতে পারা।
সেটা একটু কঠিন বটে........ তবে গুড একটরদের সবই পারতেই হয়!
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
জুন বলেছেন: শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা শায়মা তোমাকেও । সত্যি তুমি অসাধারন একজন যে এত বাচ্চাদের সাথে সাথে মায়েদের ভালোবাসাও পেয়েছো । আমার টিচারদের বিশেষ করে প্রাইমারী ক্লাসের টিচারদের কথা মনে পরলো । অনেক আদর যত্ন নিয়ে পড়াতেন ওনারা । এখন কোথায় আর জানা নেই ।
+
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
শায়মা বলেছেন: সেই তো আপুনি। কত কত প্রিয় মুখ মনে পড়ে গেলো আমারও কিন্তু এখনকার এই মায়েদের মত করে আমরা তাদেরকে মনে রাখতে পারিনি। খুশিও করতে পারিনি হয়ত। তবে এটা আমার বিশ্বাস তাদের চাওয়া শুধু এতটুকুই ছিলো স্টুডেন্টদের সফলতা। সে সফল হয়ত অনেকেই হয়েছে।
আপু তোমার প্রিয় শিক্ষকের নাম বলো। অন্তত একজনের নাম হলেও।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৭
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: হ্যাপি টিচার্স ডে-র শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় মানুষ গড়ার কারিগর- আপুমনি, আকাশের ঠিকানায় কিছু চকলেট পাঠিয়ে দিয়েন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়ামনি। অনেক অনেক ভালোবাসা তোমাকে দেখলেই ইদানিং একটা মজার ঘটনা মনে পড়ে। বলোতো কি?
যাইহোক যত কিছু মনে পড়ুক না কেনো আমি জানি তুমি আমাের একটা প্রিয় ভাইয়ামনি। মানুষ গড়ার কারিগর কিনা জানিনা। সবাই কি মানুষ হয় বলো? ছোট্টবেলার মানুষগুলো বড় হয়ে অনেকেই অমানুষ হয়ে যায়।
আমি তো ছোট্টবেলার টিচার। মানে মানুষ যখন আনন্দ গান আর ফুলপাখি চিনতে শেখে। ভালোবাসাকেই ভাবতে শেখে। সেখানে কোনো কলুষতা থাকে না। কিন্তু বড় হতে হতে .......
যাইহোক এখুনি পাঠাচ্ছি তোমাকে চকলেট, মিত্তি, খেলনা আরও কি কি চাও বলো বলো বলো????
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধা সব শিক্ষককে । আমার স্ত্রীও শিক্ষকতা করে। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা কলেজ করেছি ফেনী ছাগলনাইয়া মুহুরীগঞ্জ ঢাকা চিটাং হাইওয়ের পাশে । ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশানাল কলেজ নাম আমার স্ত্রীই দায়িত্বে আছে। কিন্ত দুষ্ট লোকের কারণে শান্তি পাচ্ছি না তার উপর আছে রাজনৈতিক নেতাদের গুণ্ডামি । এই জন্য তাকে বলি জব ছেড়ে দিতে । লোকে বলে ভালো কাজের দাম নাই। এই কলেজ নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে ভয়ে লিখি না কারণ ......
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই কলেজটা নিয়ে লেখো। আমি যেই আনন্দ আর নিরাপত্তায় মজার এই পেশায় কাজ করতে পারি আমি জানি আমাদের দেশের অনেকখানেই সেটা সম্ভব হয় না।
দরকার হলে ক্রিয়েটিভ লার্নিং এ আমিও হেল্প করতে পারি। এটা আমার এক মজার খেলা। বলতে গেলে আমি এই ক্ষেত্রে প্রায় সর্বাংশেই সফলতা পেয়েছি।
ক্রিয়েটিভ লার্নিং আমি শুধু ছোট বাচ্চাদের সাথেই করছি না। পুরো স্কুলের সাথেই এই ব্যপারে আলাদা জড়িত আছি। কাজেই পিজি টু এ লেভেল ছোট্ট থেকে বেশ বড় সড় বাচ্চারাও আছে। তবে তাদের পদ্ধতিতে আলাদা বৈশিষ্ট্যগুলি জুড়ে দিতে হয়েছে।
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কলেজের কথা বলতে গেলে কান্না আসে বোন। নিজেরা না খেযে সেলারি না নিয়ে এই কলেজে কাজ করেছে আমার স্ত্রী। আমার অনেক লস হয়েছে। ছোট মেয়েটা দুধের ছিল আমার মার কাছে রেখে ফেনী কুমিল্লা কত দৌড়ানো দৌড়াছে সে। স্থানীয় নেতারা চাঁদা চায় দেয়ালের পাশে রোড়ের খাস জমি বলে গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে গিয়েছে যাতে ভেঙ্গে পড়ে যায়। এমপি জেলা উপজেলা চেয়ারম্যানকে বললাম কিছুই হয়নি । কারণ আমরা রাজনীতি করি না তাদের কথায় চলি না।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
শায়মা বলেছেন: বুঝতে পারছি ভাইয়া। আসলে অনেক কিছুই করা যায় না ইচ্ছা থাকলেও হয়ত অনেকেরই। তবে সদিচ্ছা সব সময় কাম্য। আর নিশ্চয়ই তা কখনও না কখনও জয় লাভ করবেই।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরি ব্যক্তিগত কিছু বক বক করলাম। এইসব বলতে ইচ্ছে করে না আমার।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি ভাইয়া। আসলে এই জগত নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা তেমন নেই। তাই কোন পথে এগুলে কার্য্য সিদ্ধি হবেই তা বলতে পারছি না।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনারটা "জব" নয়, উহা মজার খেলা!
ওরা আপনাকে বেতন দেয়, নাকি আপনি "মজার খেলার" জন্য ফি দিয়ে থাকেন?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
শায়মা বলেছেন: আসলেই । ভাইয়ামনি তোমার যেমন মজার খেলা ব্লগারদেরকে রাগিয়ে দিয়ে সাধু সেজে ব্যান খাওয়া তেমনই এ এক মজার খেলা আমারও!
ওরা আমাকে বেতন দেয় না আমি মজার খেলার জন্য ফিও নেই না!
আমি এসব বেতন মেতন ফি মি প্যাও ম্যাও নিয়ে না ভেবে এ কাজে আত্ম নিবেদন করেছি নিজের আত্মতুষ্টির কথা ভেবে।
তোমার মতন বেতন মেতন ম্যাও প্যাও ভাবলে আমি কাজটাকে এনজয়ই করতে পারতাম না।
হ্যাঁ অনেককেই দেখেছি দূর এত কষ্ট করে কি হবে? দূর এত কষ্টের মূল্য কি পাবো সব কিছুই নিজ স্বার্থ আর টাকার অংকে বিচার করে। আমি তেমনটা করি না আর সব চেয়ে বড় কথা আমার স্কুল আমার এই মজার এবং আত্মতুষ্টিমূলক কাজগুলোর মূল্য দিয়েছে আমার আশা বা চাওয়ার চাইতেও অনেক বেশি সেটাও আমার আরেক আনন্দ!
তুমি ঐ খানে বসে স্বপ্নেও তা ভাবতে পারবেনা ভাইয়ামনি!!
না বুঝলে চলো ঝগড়া করি......
দেখি কে জেতে কে হারে!!!
তুমি হারবে আমি আগেই বলে দিলাম!
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
বিলেটেড হ্যাপি টিচার্স ডে আপুটা ।
ইউ আর রাইট । এ লেখা পড়ে ছোটবেলার প্রিয় টিচারদের মুখগুলো মনে পড়ছে ।
আপু তুমি খুব সুন্দর করে সব ম্যানেজ করছো । গুড লাক আপুটা ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
শায়মা বলেছেন: শুধু ম্যানেজ না আসলেই আমি নিজের ছোট্টবেলাতেই ফিরে ফিরে যাই।
অনেক অনেক ভালোবাসা আয়নাপুতুল আপুনিমনি!!!!!!
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা আপনার ছাত্র ছাত্রীরা আপনাকে ভীষণ ভালবাসে। শিক্ষার্থীদের একটা ডেটাবেস রাখবেন। ভবিষ্যত জীবনে যেন এদের সাফল্য দেখতে পারেন। শিক্ষক দিবস কি জাতীয় না আন্তর্জাতিক?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
শায়মা বলেছেন: আমার বেবিরা এতই ছোট্ট ছোট্ট তাদেরকে কেউ না ভালোবেসে পারবেই না। আর সবগুলোই ননীর পুতুল তাই খুবই কেয়ারফুলি হ্যান্ডেল করতে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে দু একটা আসে মহান রাগী, নিজের কথা ছাড়া কারোটাই শুনে না।
কিছুদিন আগে ক্লাসে এমন একটা বেবি ছিলো। মহা রাগী বাচ্চা। আমি পার্পল পেন দিয়ে সাইন করছিলাম ও বললো পিন্কটা দিয়ে করো। তার পাশে আরেকটা বাচ্চা ছিলো সে বললো না পার্পেল দিয়েই করবে আর আমি সেটাই কান না দিয়ে পার্পেল দিয়েই করছিলাম।
এতেই সে খেপে গেলো তার হাতে থাকা পেনসিলটা ইয়াহু ু ু ু ু করে মটাৎ করে ভেঙ্গে ফেললো। আমি তার কান্ড দেখে অবাক। শক্ত কাঁঠের পেন্সিলটা কোনো ৪ বছরের বাচ্চা এমন করে ভেঙে ফেলতে পারে ! ভাঙ্গার পরেও সে ভয় পেয়ে আমার দিকে তাকালো মনে হয় বাড়িতে এমন কাজে উত্তম মধ্যম জোটে নাকি কে জানে? কিন্তু সে ভাবছিলো আমি রাগ করবো।
আমি কিছুই না বলে ওকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। সে ভ্যা করে কেঁদে ফেললো। তারপর সবাইকে নিয়ে বসিয়ে বুঝিয়ে বললাম এতটুকুতে রাগ করতে হয় না। হেন তেন পেন পেন তারপর ওকে স্যরি বলিয়ে সবার সাথে হাত মিলিয়ে দিলাম।
এভাবেই ভালোবাসায় আর আনন্দে থাকতে চাই আমি। কোনো কষ্ট না পাক একটাও বেবি।
এই টিচার্স ডে তো আন্তর্জাতিক ভাইয়া।
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২১
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ??? --সঠিক সময়ে কমেন্টের উত্তর না দেয়ার ঘটনায় আমি এখনো লজ্জিত। কিছু সময় আসলেই- প্রতিকূলে বহমান; তবুও দাঁড় বেয়ে যাই।
আমি তো ছোট্টবেলার টিচার। মানে মানুষ যখন আনন্দ গান আর ফুলপাখি চিনতে শেখে। ভালোবাসাকেই ভাবতে শেখে। সেখানে কোনো কলুষতা থাকে না। কিন্তু বড় হতে হতে ....... - বাংলায় একটা প্রবাদ আছে - কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাশ্-ঠাশ্----
ছোট্ট বেলার সময়ে গান আর ফুলপাখির চিনতে শেখার সাথে সাথে -বোধ জাগাতে হবে মমতা, আন্তরিকতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধার মনোভাব -তাহলেই বড় বেলায় এর প্রভাব /সুফল পাওয়া যাবে ।
---আর যেটা হয় না সেটা ডিএনএ ও পারিবারিক ও পারিপাশ্বিক আবহের কারণে -
একটা ভিডিও দেখেছিলাম তাই শেয়ার করলাম ! দেখে থাকলে ইগনোর করিয়েন।
জীবন বদলে ফেলুন।
অনেক চকলেট পেয়েছি আর চাই না! ধন্যবাদ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
শায়মা বলেছেন: বাপরে যেমনই তোমার বুদ্ধি তেমনই তোমার স্মরণশক্তিও!!!!!!!!!!!
লাভ ইউ লাভ ইউ ভাইয়ামনি!!!!
হা হা হা চকলেটগুলো মজার ছিলো না বলো!!!!!!!!!!!
১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
করুণাধারা বলেছেন: চাঁদগাজীর মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে শেষ।
নিঃসন্দেহে তোমার ক্লাস বাচ্চাদের খুবই পছন্দের, আর তুমি তাদের পছন্দের টিচার। অনলাইন ক্লাসে বাচ্চাদের মনোযোগ ধরে রাখা খুব কঠিন কাজ, তুমি সেটা ভালো ভাবে করে যাচ্ছ!! শিক্ষক দিবসে অভিনন্দন তোমাকে।
যারা আগে পিচ্চি কালে তোমার ছাত্র ছিল, এখন একটু বড় হয়ে গেছে, তারা কি তোমার সাথে এখনো যোগাযোগ রাখে?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ঠিক বলেছো আমিও হেসেছি। ভাইয়া বুড়ামানুষ সে কি আর ইদানিং কালের মজার শিক্ষা ব্যাবস্থা সম্পর্কে জানবে নাকি!!!!!!!!!!!!!
নিজে তো শুধু মার খেয়েছে ছোটবেলায় আর ভেবেছে বেটা টিচার বেতন নিস আবার আমাকে মারিস!!!!!!! ( মানে ভাইয়ার সাথে ঝগড়ায় আহ্বানের মন্ত্রনা দিচ্ছি)
যাইহোক আপুনি মনি তুমি বিশ্বাস করবে না আমার ফার্স্ট ব্যাচের একটা বাচ্চা গত বছরে ও লেভেল ওয়ার্ল্ড হায়েস্ট ম্যাথস নাম্বার পেয়েছিলো তার মা আমার বাসায় এসেছিলো গ্লেজড ডোনাট এর এক বাক্স নিয়ে। এমন অনেক আছে। তারা ভাবে তাদের বাচ্চাদের মেধার বীজটি বিকশিত হতে নার্সারী ক্লাসেই হাতে খড়ি হয়েছে।
কোনো কোনো ছেলে বাচ্চাকে দেখেও মা বাবা অবাক হয়েছে তাদের ডানপিটে ছেলে কালচারাল প্রোগ্রামে এমন করে নাচতে পারে! সেদিন এক বাবা বলছিলো তার মেয়েকে পাখি মাছ এসব কিনে দিতে হয়েছে পশু পাখির প্রতি তার মমত্ব দেখে আর সেটা সে শিখেছে আমার ক্লাসে বসেই।
লাভ ইউ আপুনি!!!!!!!!!
নাউ ওয়েটিং ফর চাঁদগাজী ভাইয়া !!!
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
ওমেরা বলেছেন: আমাদের এখানে চার/পাঁচ বছরের বাচ্চারা ডগহেম ( ডে-কেয়ারে ) যায় । এদের সাথে শুধু খেলাধুলাই করতে হয় কিছুটা অক্ষরজ্ঞানও দেয়া হয় সেটাও খেলার ছেলে। এদের কন্ট্রোল করতে ক্রিয়েটিভ ও ধৈর্যশীল হতে হয়। আর এগুলোর পরিপূর্ন ভাবেই আপনার আছে আমরা সবাই সেটা জানি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
শায়মা বলেছেন: হায় হায় আপুনি নামটা ডগহেম হলো কেনো?? আগের ডে কেয়ার নামটাই তো ভালো ছিলো। জানো কদিন আগে এক মা বলছিলো তার বাচ্চা নাকি বিদেশে ডগহেমে থাকতো।
যাইহোক অনেক অনেক ভালোবাসা আপুনিমনি!!!!
১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: আমাদের দেশে বেশিরভাগ শিক্ষকরাই আনন্দ নিয়ে পড়ান না। নানা কারণে তাদের মন মেজাজ খারাপ থাকে৷নিজের পেশা নিয়েও হতাশা থাকে৷আপনার শিক্ষর্থীরা খুব লাকি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০০
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ কথা সত্যি। আমি সারাক্ষনই আনন্দে থাকি। মানে আনন্দে না থাকলেও ভাবি আমি আনন্দে আছি এমন ভাবতে ভাবতে আমি আর দুঃখ কষ্ট কিচ্ছু ফিল করিনা তবে খেপে যাই মাঝে মাঝে যার পরিনাম কিছু কিছু মানুষ জানে। হা হা হা
এই মন্তব্য লিখতে গিয়ে নীচে চাঁদগাজী ভাইয়ার মন্তব্য পড়লাম।
এই কথা সত্যি ভাইয়া সাস্থ্যই যেমন সকল সুখের মূল তেমন মনে আনন্দই সকল সফল কাজের মূল।
১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি আপনার সাথে ঝগড়া লাগাবো না, পরিণাম আমি জানি!
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০১
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়ামনি!!!
আগে থেকেই সারেন্ডার!!!
এই কি তোমাকে মানায় বলো???
চলো চলো ঝগড়া করি!!!! তবে রাত ৮ টার পরে ওকে?
একটু পরেই আমার ক্লাস আছে। এখন রেডি হবো। সব কিছু সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে বসবো। যাদুর কাঁঠিটাকে মনিটরে ছোঁয়াবো!!!!!!!!!!!
১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তুমিসহ সকল শিক্ষককে অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে গুড গুড। থ্যাংক ইউ।
কিন্তু তোমার টিচারেরা তোমাকে কে কতবার মাইর দিয়েছিলো মনে পড়ে কি ভাইয়া?
১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার কাছে এসে কেন যেন মার দেয়া বন্ধ হয়ে যেত। অনেক কিউট আর মেধাবী ছিলাম তো। হাতে গুণা দু একবার পড়া পারিনি । দেখা গেল সবাই মার খেলো । আর আমার কাছে এসে বন্ধ হয়ে গেল। আমার শুধু মনে পড়ে পঞ্চম শ্রেণী ? পাশের পর বিদায় অনুষ্ঠানে আমার এক মেডাম আমাকে কোলে বসিয়ে নিয়ে অনেক আদর করেছিল ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
শায়মা বলেছেন: হায় হায় তুমি আবার সেই ম্যাডামের প্রেমে পড়ে যাওনিতো ভাইয়ামনি???
১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কেমন আছেন ম্যাডাম।
আমার সেই শিক্ষিকার কথা মনে পড়ছে যিনি আমাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন জীবনে কিছু করতে পারবো না।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২০
শায়মা বলেছেন: হায় হায় !! তার অভিশাপ নিশ্চয় বিফল হয়েছে!!
যাক নেগেটিভ কিচ্ছু মনে রাখবেনা ভাইয়া। শুধু সেই শিক্ষিকাকে মনে করো যে বলেছিলো তুমিই পারবে!!!
১৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
রামিসা রোজা বলেছেন:
শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকে। গতকাল শিক্ষক দিবস
ছিলো তা জানা ছিলোনা ,তাই আপনি সহ আমার সকল শিক্ষকের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!
তুমিও না বেবিদেরকে পড়াও। মানে বড় বেবিদেরকে পড়াও বলেছিলে মনে হয়!!!
যাই হোক আসলে কালকে না ৫ই অক্টোবর শিক্ষক দিবস ছিলো।
পোস্ট লেখা পরদিন শুরু করেছিলাম তো তাই কাল রয়ে গেছে!!!
১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
যতো রসকষ দিয়ে লিখতে চেষ্টা করেছেন , তারচে' বেশী টাচি হয়েছে আপনার নিজের ছেলেবেলার শিক্ষকদের কথা তেমন করে বলায়। নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলুম ঐ অংশটুকু পড়ে। কতো যে স্নেহ-শাসন-আদরে মাখা প্রিয় শিক্ষকের মুখ সিনেমার মতো চকিতে ভেসে উঠলো চোখের পর্দায়!
ভালো থাকুক সকল শিক্ষক এমন স্মৃতির মধ্যে , এমন ভালোবাসায় মেখে...................
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এখানে তো কিছুই বলা হলো না। কত টিচারের কত স্মৃতি যে জমা আছে মনের খাতায়। একদিন লিখবো। তবে একদিনে কি আর সেসব শেষ করা যাবে!!!
২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
প্রথমেই আপনাকে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা রইল। শিক্ষক-কে যখন সামনেই পেলাম তা হলে আমার মনের ২/১ টা প্রশ্ন করেই ফেলি। এই করোনার অতিমারির কারণে তো এই বছর স্কুলের ক্লাসের বদলে অন লাইনে ক্লাস নিতে হল। আপনার কি মনে হয় আগামী বছরের শুরুতেই কি স্কুল খুলবে, আর যদি তা না হয় তবে আগামী বছরের কত মাস পর্যন্ত অন লাইনে ক্লাস নিতে হতে পারে। ২য় প্রশ্ন। কোন একটি সংস্থার (নামটা এখন নিশ্চিত করে করে বলতে পারছি না। রাষ্ট্রপুঞ্জের কোন প্রতিষ্ঠান।) বলছে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাটা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত। তো যারা একদম ক্ষুদ্র বয়স থেকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে, তাদের কি মনো বিকাশে বা শিক্ষায় কোন ত্রুটি থাকে। আপনার মতামত...
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৪
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস শুভ ভাইয়ু।
আমার মনে হয় আগামী বছরের শুরুতেও ক্লাস খুলবে না। এই মনে হবার কারণগুলো-
শীতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। কাজেই শিশু মৃত্যুর হার কম থাকলেও কোনো মা বাবাই চাইবেন না করোনার করাল থাবা তাদের বাচ্চাদের গায়ে পড়ুক। তাই খুললেও পাঠাবেই না। আমি আমার প্যারেন্টসদের সাথে কথা বলে এমনটাই মনে করেছি।
আমার কেনো যেন মনে হয় আগামী দেড় দুই বছর পর্যন্ত অনালাইনে অন্তত বাচ্চাদের ক্লাসগুলো চলবে। উপরের ক্লাসগুলো খুলে দিলেও ছোটদেরটা খোলা হবে না।
হ্যাঁ আমারও মনে হয় মাতৃভাষায় হওয়া উচিৎ। কারণ দুইটা ভাষা অত টুকু বাচ্চাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া তাও আবার নিজের আবেগ অনুভূতির বাইরের কোনো ভাষা জোর করে ধরিয়ে দেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই শিশু মনে নেতিবাচক এবং প্রতিবন্ধক প্রভাব ফেলতে পারে। বাচ্চা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ছে। সেখানে ইংলিশ বলে অথচ বাড়িতে কাজ করা মানুষটি বা দারোয়ান বা কেয়ার টেকার তারা ইংলিশে বলছে না এখানেই বৈষম্যের বীজ রোপিত হয়ে যাচ্ছে। এক ভাষায় সবখানে শুনছে দেখছে ভাবছে এর মাঝে আরেক ভাষা শিখানো হচ্ছে এটাও আরেক প্রেশার। এমনটাই মনে হয় আমার।
মনোবিকাশে ত্রুটি থাকতে পারে এমনটাই মনে হয়েছে আমার। আর শিক্ষায় ত্রুটি!!! হা হা আমার জানা অধিকাংশ ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাচ্চারা নাম্বার বাংলাতে বলতেও পারবেনা লেখা তো দূরের কথা। রবিঠাকুরের কবিতা পড়ে অন্তরে তার ডাক পৌছোয় না। কাজী নজরুল পড়ে গায়ের রক্ত গরম হয়ে ওঠে না। কারণ সেসব তারা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারণে অন্তরে ধারণ করতেই শেখে না।
২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
রামিসা রোজা বলেছেন:
নাহ আপু আমি কোন বড় বেবীদের পড়াই না । কোথাও
মনে হয় ভুল হলো । আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর
বলতে ভুলে গিয়েছিলাম ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ তাই হবে আপুনি।
অন্য একটা নতুন আপুর কমেন্টে জেনেছিলাম। যাইহোক অনেক অনেক ভালোবাসা। অনেক অনেক ভালো থেকো আপুনিমনি!!!!
২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: পিচ্চিপাচ্চা পড়ানো খুব ঝামেলার কাজ । আমার একটা ছিল থ্রির আরেকটা ফোর থেকে ফাইড পড়ছে । এদের পড়াতে গেলে আমার মাথা গরম হয়ে যায় ! এর থেকে বড়দের পড়ানো সুবিধা !
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ তোমার স্টুডেন্ট তো দেখেছি। তোমার থেকেও বড়!!
এইটাকে পড়াও ভাবলেই অবাক হই। তবে আমার ধারণা তুমি অনেক অনেক যত্নশীল টিচার। নিজেও তুমি সিনসিয়ার। তোমাকে সেই বাসায় সবাই অনেক ভালোবাসে। ঠিক না বলো!!!
২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ আমার দুইটি প্রশ্নের বিস্তৃত উওর দেওয়ার জন্য। আপনাকে আবারও বিরক্ত করছি। আমার মনে আরও একটি প্রশ্ন আছে। তা উওর প্রত্যাশী। এই যে ক্ষুদে বাচ্চাদের নার্সারি ওয়ান টুতে পড়ে। তাদের কতটা সময় পড়ানো (ঘণ্টা) উচিত? এদের এত বই খাতা, ইংলিশ বুক, রাইম, একটিভ ইংলিশ, রেডিয়েন্ট ওয়ে, কারসিভ হ্যান্ডরাইটিং আর কত রকমের বই অঙ্কন ইত্যাদি ইত্যাদি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬
শায়মা বলেছেন: না আমাদের স্কুল বা এই ধরনের স্কুলগুলোতে যে কারিকুলাম আছে বা যে সময়টুকু নির্ধারণ করা হয় তা একটা নার্সারী, প্লে কেজি ওয়ান কেজি টু সব বাচ্চাদের জন্যই পারফেক্ট বলেই আমি মনে করি।
এত এত পড়া নেই এখানে। এখানে বাচ্চারা বুঝতেই পারে না তারা যে খেলা ছলা লেখা পড়া শিখে যাচ্ছে। হ্যান্ডস অন একটিভিটি এবং এনাফ প্রাকটিসের পরে বাড়িতে ওয়ান্স ইন আ উইক হোমওয়ার্ক যায় এক পাতা। যা তারা সারা সপ্তাহে আসলে স্কুলেই শিখে ফেলে। কোনো বই বাড়িতে যায় না। স্কুলেই থাকে।
ক্লাস বলতে দুইটা কিন্তু আরও দুইটা ক্লাস এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটি নাচ গান খেলাধুলা আঁকাআকির সাথে সার্কেল টাইম থাকে তখন বাচ্চাদের সাথে আলাদা করে কথা বলা হয় গল্প বলা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা প্লে গ্রুপের বাচ্চা ২ আওয়ার্স থাকে। নার্সারীতে ৩ আওয়ার্স।
এত প্রশ্ম কেনো ভাইয়া??
বেবিকে স্কুলে দেবার কথা ভাবছো নাকি?? নাকি নিজেই স্কুল দেবে। তবে হ্যাঁ প্রথমে অনলাইনে এত গুলো বাবা মায়েদের সামনে কথা বলতে হবে ভেবেই আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়েছিলো। কিন্তু ক্রমে দেখা গেলো গুড এক্টিিং এর কল্যানে শেষে নিজেই মেতে উঠলাম। সতস্ফূর্ততায় ক্লাসও নিতে পারলাম। হা হা
২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: এই কথা সত্য । ঢাকা শহরে আমার সব থেকে কাছের মানুষ আসলে তারাই । তাদের থেকে আপন আর কেউ নেই । যদি তারা থাকতো আমি কবেই ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতাম !
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৮
শায়মা বলেছেন: বুঝাই যায়। আর সেসব হয়েছে তোমার সততার গুনেই ভাইয়ু!!!
তোমাকে দেখলে আজও মনে পড়ে তোমার লেখা সেই প্রথম গল্প। মানে বিয়ের গল্পটার কথা। হা হা সবাই ভেবেছিলো সত্যি তোমার বিয়ে। সেই বিয়ের গল্প থেকে আজ তুমি হয়ে গেলে গল্পের রাজা। এত কুইক লাভস্টোরী রাইটার আমি কখনও আর দেখিনি।
অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি!!!
মনে পড়ে সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর কথা।
২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৮
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
কেন এই প্রশ্নগুলো করছি। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে এখন ঢাকাতে আছে। ওকে একটা স্কুলের কারিকুলামের সাথে সংপৃক্ত করা হয়েছে। ওরা অন লাইনে পড়ায়। আমি ওদের কারিকুলাম দেখে তো অবাক। তাই এই প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আসলে বেশিভাগ ইংলিশ মিডিয়ামগুলোই সেই আদিকালের ট্রেডিশ্যনাল ওয়েতে এক গাঁদা লেখাপড়ার বোঝা মাথায় চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া কিছুই বুঝে না। কিন্তু ঠিক কোন বয়সে কতটুকু বোঝা মাথায় নিতে হবে বা দিতে হবে সে ব্যাপারে জ্ঞান মনে হয় খুব কম কিছু স্কুলেরই আছে।
যদিও ইদানিং অনেক গবেষনা হচ্ছে। টিচার্স ট্রেইনিং হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো অনলাইন ক্লাস। অনেক অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও অনলাইন ক্লাসে টিচারদের যা যা আছে বিদ্যা বুদ্ধি অস্ত্র সস্ত্র তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়াটাও প্রশংসনীয়। নয়ত বাচ্চাগুলো বাড়িতে বসে বসে উছন্নে যেত।
২৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৭
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমার কেনো যেন মনে হয় আগামী দেড় দুই বছর পর্যন্ত অনালাইনে অন্তত বাচ্চাদের ক্লাসগুলো চলবে। উপরের ক্লাসগুলো খুলে দিলেও ছোটদেরটা খোলা হবে না।
তা হলে শায়মা আপু আপনি মনে করছেন ২০২১ পুরো বছরটাই বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস করতে হবে। আমি একটা বিদেশী পত্রিকায় পড়ছিলাম যে পৃথিবীতে ৭৫০ কোটি মানুষের জন্য, যদি ২টা করে ডোজও লাগে তাহলে ১৫০০ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে। এত ভ্যাকসিন কি এক বছরে প্রোডাকশন করা সম্ভব। আর যদি এত ভ্যাকসিন বানানো সম্ভব না হয়, আর সব বাচ্চাদের ভ্যাকসিনের আওতায় না আনা যায়, তবে অনলাইন স্কুলই শেষ ভরসা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৭
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি এমনই মনে করি। কারণ বাবা মায়েরা পাঠাবেন না যতদিন তারা সস্তি না পাবেন। আর আমাদের স্কুলগুলোতে প্যারেন্টসের চাপ থাকে। অর্ধেক দাবী দাওয়া মেনে চলার বা তাদের সুবিধা বুঝেও করা হয়। ইংলিশ মিডিয়াম এসোসিয়াসন আছে ডিসা আছে তারা সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নেবে। আমি জানিনা সরকার থেকে খুলতে বলা হলে কি করা হবে। তবে কেনো যেন মনে হয় সরকারও যতদিন শিশুদের উপযোগী আবহাওয়া না পাওয়া যাবে ততদিন খুলবেন না।
আর পিচ্চিাপাচ্চাদের জন্য অনলাইন খারাপ কি? আর প্যারেন্টসদের জন্যও । ঢাকায় যা জ্যাম। তার থেকে নো চিন্তা ডু ফূর্তি বাড়িতে বসে বসে টিচার্স টেলিভিশন দেখো আটর বাচ্চাও লেখা শিখে যাক। শুধু মায়েদেরকে একটু সাথে থাকতে হয় এই যা।
২৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাপি টিচার্স ডে শায়মা !!
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ আপুনি!!!!!!!!
টিচার্সডে তে বুঝা গেলো এবার এত কষ্ট সার্থক হয়েছে।
২৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! একটা বছর অকাতরে বিলিয়ে দেওয়ার পর অবশেষে এলো সেই সাফল্যের মুকুট। প্রিয় ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা। চমৎকারভাবে নানান অভিজ্ঞতা অনুভূতি তুলে ধরলেন। ছবিগুলোও খুবই চিত্তাকর্ষক হয়েছে। আপনার সেই শৈশবের আক্তার স্যার বুলাপা প্রমুখের উদ্দেশ্যে রইল শ্রদ্ধা। ++
ভালো থাকুন সবসময়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১২
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
আসলেই অনলাইন ক্লাস কিছু চ্যালেঞ্জের ছিলো।
২৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৯
রাকু হাসান বলেছেন:
কি ব্যাপার
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১২
শায়মা বলেছেন: কি আবার ব্যাপার রাকুবেবি?
স্কুলে ভর্তি হবে নাকি?
৩০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫০
রাকু হাসান বলেছেন:
কি ব্যাপার ওপেন চ্যালেঞ্জে উইন! তোমারে গুরু মানতে হবে!
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৩
শায়মা বলেছেন: এতদিনেও মানোনি!!!!!!!!!!!!!
জানতাম না !
৩১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনি যেমন আপনার শিক্ষকদের স্মরণ করছেন, ভবিষ্যতে আপনার পরীরাও তেমনি আপনাকে স্মরণ করবে।
এটা আপনার অর্জন।
শুভেচ্ছা রইল।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৪
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস আপুনি।
তবে আমি ভেবেছিলাম এ পোস্টের কমেন্টে সকলের শিক্ষকদের স্মৃতি পাবো। কিন্তু একজন শুধু করলো ডার্কভাইয়া তাও আবার সে নাকি তাকে বলেছিলো তাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না !!!ব
৩২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: বোন বেশ ক'দিন ধরে ব্লগার 'ঠাকুরমাহমুদ'কে দেখছি। উনি কোথায়? জানেন কিছু?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৫
শায়মা বলেছেন: আমি তো অনেককেই দেখছি না।
যাইহোক ঠাকুরভাইয়ার খবর তো তোমার কাছে বেশি থাকার কথা আমার থেকে ভাইয়ামনি!!!
৩৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৭
শুভ_ঢাকা বলেছেন: এইবারই বোধহয় হয় প্রথম আপনার ব্লগে কমেন্ট করলাম। কৃতজ্ঞতা আমার প্রশ্নের উওরের জন্য। শায়মা আপু ইট'স আ প্লেজার টু টক উইথ ইউ। থ্যাঙ্ক ইউ ইনডিড।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৩
শায়মা বলেছেন: হা হা আমার ব্লগে প্রথম কমেন্ট!!! নাকি আমার সাথে প্রথম কথা?? হা হা ভাইয়ামনি!!!!!!!!!!
চুপি চুপি বলি কেউ জেনে যাবে? না বাবা বলবো না এখন কিচ্ছুই.......
অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া। প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে অবশ্যই বলবো।
৩৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শিক্ষকতা এক মহান পেশা।আমার অনেক সপ্ন ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হবো।কোথাথেকে যে কি হয়ে গেল ৭০/৭৫ বছর পার করে দিলাম কিছুই হওয়া হল না।
এখন বিদেশে বসে বসে ভাবি,জীবন যদি আবার শুরু করতে পারতাম,তবে অন্য রকম করে যাপন করতাম।
আপনার সাফল্য কামনা করি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমিও আমার সাথে ঝগড়া করলে না!!!
আর কি বলো ৭০/৭৫ বছর পার করে দিলে!!! ভাইয়া অন্যরকম করে শুরু করার কি দরকার। অনেক ভালো আছো আসলে। জীবন এমনই হয় একেক জনের একেক রকম!
৩৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৫৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: দেশের সেরা শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার পরও আমার অভিজ্ঞতা ভালো না।
এই বাচ্চারা এতো ইংরেজী শিখে বাংলায় ব্লগ লিখতে পারবে না, এটাই দু:খ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
শায়মা বলেছেন: এই দুঃখ আমারও।
অথচ উচিৎ ছিলো আমাদের বাংলাদেশেরই শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলার সাথে সাথে ইংলিশের এমন কিছু প্রচলন যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাচ্চাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে। ইংলিশ ভার্শনও এখানে উপযোগী বলে মনে হয় আমার।
আহা বাংলা ভাষার মত এমন মধুর মনের ভাষা কি আর আছে? রবিঠাকুরের গান- দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি ভেবে ভেবে সেই অনুভূতি পাওয়া হবে না বাংলাদেশের এই ছেলেমেয়েগুলোর কখনও।
৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সেই প্রিয় মুখ কত দিন দেখিনা..........
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ তাই মনে পড়ে যায় ছেলেবেলা।
পরম ধৈর্য্য নিয়ে আমাকে অংক শেখানো কামরুল সারকে। মনে পড়ে সঙ্গীতের ছোট্টবেলার গুরু দূর্গাপদ সেন স্যারকে। মনে পড়ে নাচের প্রথম টিচার পপলি আপাকে। এত সুন্দর প্রতিমার মত ছিপছিপে শ্যামলা প্রতিচ্ছবিটি। মনে গেঁথে আছে। মানুষ এত সুন্দর হয় কি করে?
৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
আমি সাজিদ বলেছেন: ছোটবেলায় আমি যে সব শিক্ষককে ভয় পেতাম। শিক্ষক যে প্রিয়ও হতে পারে একটুও ধারনা ছিল না। ক্লাস থ্রি ফোরে এসে প্রথম প্রিয় শিক্ষিকার দেখা পেলাম৷ আমাদের আর্ট ক্লাস নিতেন মিস।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
শায়মা বলেছেন: আমিও পেতাম। কারণ মা বাবারা বলতেন টিচার একটা ভয়ের জিনিস। কিন্তু তাদের মাঝেও কিছু কিছু ভালোবাসাময় টিচার দেখে ভয় কেটেছিলো।
নিজের জীবনে টিচিং এ এসে শুনলাম। একটাও নেগেটিভ বলা তো যাবেই না বরং হেসে হেসে কথা বলতে হবে। ভুল করলেও বলা যাবে না কি লিখো এই সব ভুলভাল!! বলতে হবে ওকে এটা ভালোই হয়েছে কিন্তু এইভাবে লিখলে আরও ভালো হত। ও মাই গডড!! এই প্রাকটিস কি কেউ সহজে পারে!!!!!!!
কিন্তু ব্রত নিতেই হলো কি করে প্রতিটি নেগেটিভ কথাকে পজিটিভলি বলা যায় আর এটাই বেশি কার্য্যকরী আসলে।
এই জন্যই কবি বলিয়াছেন-
সহজ কথা যায়না বলা সহজে.......
মানুষের বুকের গভীরে কথা ঢুকিয়ে দেবার কাজটা আমাকে তাই ভালোই রপ্ত করতে হলো।
সেই চর্চায় কখনো মধুর কথা কখনও তীক্ষ্ণ কথার বাণ মারা ভালোই শিখে গেলাম। হা হা হা সাজিদমনি!!!
৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১২
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
কিছুদিন আগে এই কথাটা পড়েছিলাম teacher is the second parent of a child. ছোটবেলায় এই কথাটা পুরোটা হৃদয়াঙ্গম না করতে পারলেও আজ বুঝি কথাটা কত সত্য।
অনেক পরিবার তাদের বাচ্চাদের নানান অগ্র পশ্চাৎ চিন্তা ভাবনা করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ান। যদিও মাতৃভাষার প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা তাদের আছে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার জন্য ও লেভেল এ লেভেল আর ইংরেজি ভার্সনের মধ্যে কোনটা বেঁছে নিলে ভাল হয়। বা দুইটা মাধ্যমের মধ্যে সুবিধা অসুবিধাই বা কি আছে। আপনার মতামত...
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া একটা কথা বলি। আমি ছোট থেকে এমন এক বাংলা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বড় হয়েছি যে বাংলার উপর আমার মমত্ববোধ বা ভালোলাগা অন্য রকম। এর প্রধান কারণ হয়ত রবিঠাকুর চর্চা। তবে হ্যাঁ আমিও বাংলায় পন্ডিৎ না তবুও বাংলা গান, বাংলা সাহিত্য আমার পছন্দের শীর্ষে।
কিন্তু আমি ইংলিশ মিডিয়ামে জব করছি। যদি না করতাম হয়ত জীবনেও একটা কথাও আমি ইংলিশে বলতাম না একান্ত প্রয়োজন ছাড়া। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়ামের কারিকুলাম, পাঠ্য পুস্তকের মান বা পড়ালেখা নিয়ে ট্রেইনিং ও ইম্প্লিমেন্ট এটা আমার মনে হয় বাংলা মাধ্যমগুলোর চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী।
ইংলিশ মিডিয়ামে যে প্রাকটিকাল নলেজ বা একটা বাচ্চাকে নিজেকে প্রেজেন্ট করা ও যে কোনো বিষয় প্রেজেন্ট করা, কথা বলা এবং উপস্থাপনের জন্য যে ভাবে গড়ে তোলা হয় বাংলা মাধ্যমে সেটা তেমন হয় না। যদিও বাংলাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত নামকা ওয়াস্তে ইংলিশ মিডিয়াম অলিগলিতে আছে। যে সবের মান সেই ট্রেডিশন্যাল ওয়েতেই আটকে আছে।
তবে ইংলিশ ভার্শন কার্য্যকরী হতে পারে যদি বাংলা মিডিয়ামের পাঠ্য পুস্তকের মান ও সেই সাথে পাঠদান পদ্ধতিকে উন্নত করা যায়। টিচার্স ট্রেইনিং অত্যন্ত প্রয়োজন। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ টেক্সটবুকের পাঠ্যবুস্তক সংক্রান্ত একটি ওয়ার্কশপে ছিলাম। আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা গবেষকরা অনেক জানেন। কিন্তু পাঠ্যপুস্তক বানিয়ে দিলেই তো চলবে না। ক্রিয়েটিভ ব্রেইন এবং ইমপ্লিমেন্ট করবার মত শিক্ষক গড়ে তুলতে হবে বা উৎসাহিত করতে হবে।
বাংলা মিডিয়াম বা সরকারী স্কুলগুলো এতই নাকি দূর্নীতির শিকার বা মোটিভেশনের অভাব যে তারা পিছিয়ে থাকে। পিছিয়ে পড়ে।
যার ঠিক উল্টোটা আমি আমার ক্ষেত্রে পেয়েছি। মোটিভেশন, এনকারেজমেন্ট এপ্রিশিয়েশন আমাকে অনেক দূর এগিয়ে এনেছে। এই জন্য আমি আমার স্কুলের কাছে কৃতজ্ঞ।
৩৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
শুভ_ঢাকা বলেছেন: বাহ! কি সুন্দর করে গুছিয়ে বললেন শায়মা আপু। থ্যাংক ইউ ওয়ান্স এগেইন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০০
শায়মা বলেছেন: তোমাকেও থ্যাংকস ভাইয়া।
মানে বেশ কয়েক বছর স্কুলে জব করছি আর আমার স্কুল নিয়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত।
আর সে কারণেই মনে হয় একটু একটু ভাবতে পারি আসলে স্কুলে কি হওয়া উচিৎ বা বাচ্চাদের কিভাবে উন্নত করার চেষ্টা করা যায়।
৪০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
শুভ_ঢাকা বলেছেন: view this link
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০২
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া। গানটার জন্য । এত সুন্দর একটা মুখ দেখানোর জন্য। কিন্তু সিনেমার নামটাই আমাকে বেশি ভাবালো। কারণ জীবন মানেই এক অগ্নিপরীক্ষা। হেলা ফেলার নয়। সেই অগ্নি নিয়ে খেলাটাও আসলে বিজয়ের আনন্দ।
৪১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
সজল_ বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ পুচ্চু ভাইয়া।
মানে মনে হচ্ছে অনেক পুচ্চু। এখনও গেম খেলো তাই ......
৪২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৬
মা.হাসান বলেছেন: খালি খাই খাই। এত পেটুক হওয়া ভালো না ।
বোকা মানুষ বলতে চায়ের পোস্টে কে যেন বলেছিলো লক ডাউনে শুয়ে বসে থেকে মাসে ২ কেজি করে ওজন বাড়তেছে। সে হিসাবে ঐ লোকের ওজন তো কুড়ি কেজি বেড়ে গেলো। তাহলে দই , জুস, শসা, কলা-মূলা-পেয়াজ-আলু-টমেটো খেয়ে আপনার কি অবস্থ!
নজর দিয়ে দিসি। সাবধানে থাকবেন। বদ নজরের কারনে অরুচি হতে পারে। হলে পিয়াজের খোসা-শুকনা মরিচ দিয়ে কি করে বদ নজর ছাড়াতে হয় আশা করি জানেন। না জানলে কিছু দই-চিড়া-কলা-মূলা আমাদের দিয়েন, নজর কাটানোর পদ্ধতি শেয়ার করবো।
জগতের সকল ভালো টিচারের জন্য শ্রদ্ধ। দু নম্বর টিচারদের জন্য ভেংচি।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৭
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া কপালে কালো টিপ দিয়ে তারপর দই চিড়া মুড়ি খাই। চুল দিয়ে ঢাকা তাই দেখা যাচ্ছে না। নজর কাটানো পদ্ধতি তো কবেই জানি!!! আর কি জানো ভাইয়ামনি অনেকে বলে তারা নাকি খেতে পারেনা। কোনো কিছুতে স্বাদ পায় না। আমার তো দুনিয়ার সকল কিছুই অমৃত লাগে।
ইদানিং কিন্তু দই মই খেয়ে ওজন কমে যাচ্ছে। তখন হঠাৎ ছুটি পেয়ে পিজ্জা, চিজ স্যান্ডুইচ এই সব করেই ওজন বেড়েছিলো তো!!!!!
৪৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: হীনমন্যতার কারণে দেশে ইংরেজী মাধ্যম আবার পরে ইংরেজী ভার্ষন বানানো হয়েছে।
এর উদ্দেশ্য ইংরেজী শেখানো না শুদ্ধ বরং বাংলা ভাষা না জানা একটা বিকৃত বাংলা বলা প্রজন্ম সৃষ্টি করা।
ইংরেজী শেখানোর জন্য ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে হয়না, এজন্য ১ বছরই যথেষ্ট। বাংলাদেশে রুশ, জাপানী. জার্মান, চীনা , জাপানী মাধ্যম না থাকার পরও শিক্ষর্থীরা এসব দেশে গিয়ে পড়াশোনা করছে কিভাবে?
গ্রামের পাঠশালায় পড়া লোকজন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রীধারী শিক্ষক।
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হীনমন্যতার কারনে মনে হচ্ছে কেনো ভাইয়া?
যেহেতু ইংলিশ একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। এ ভাষাতে পড়তে বলতে শিখতে পারলে পুরো বিশ্বেই চলাচল বা যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। আমাদের এই বিশ্বায়নের যুগে বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রয়োজন বড় বেশি। ইন্টারনেট ব্রাউজিং ঘরে বসে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, অনলাইন ক্লাস এমনকি বিশ্বব্যাপী ইউনিভার্সিটির ডিগ্রীও পাওয়া সম্ভব হয়েছে কেবল মাত্র এই ইংলিশ চর্চার কারণেই। সময় বেঁচেছে, কাজটাও সহজ হয়েছে।
ইংরেজী শেখানোর জন্য ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে হয়না, এজন্য ১ বছরই যথেষ্ট। বাংলাদেশে রুশ, জাপানী. জার্মান, চীনা , জাপানী মাধ্যম না থাকার পরও শিক্ষর্থীরা এসব দেশে গিয়ে পড়াশোনা করছে কিভাবে?
হ্যাঁ আমিও মেনে নিচ্ছি। কিন্তু এই যে হঠাৎ যে দেশের ভাষা সে দেশে এক বছরের শিখতে গেলে এই করোনাকালে কি সেটা সম্ভব হত? ইংলিশ জানার কারনেই এই দূর্যোগের দিনেও সেটা সম্ভব হচ্ছে সময়ের অপচয় বন্ধ করে। কাজেই অবশ্যই ইংলিশ না শিখেই ১ বছরের যে দেশে পড়তে হবে সে দেশের ভাষা শেখাটা খুব একটা কঠিন নয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক একটা ভাষা শেখায় উচিৎ এ কারণেই যাতে সকল ভাষা ভাষীর সকল দিকেই সুবিধার একটা দিক খোলা থাকে।
বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে চাকরী করছে ব্যাবসা বানিজ্য করছে বাস করছে বছরের পর বছর ধরে। তা কিন্তু নানা দেশের ভাষা না শিখে এই একটা ভাষা শেখার কারণেই। জাপান বা ফ্রান্সের মতো প্রতিষ্ঠিত অর্থনীতির দেশের ক্ষেত্রে ইংলিশ না শিখলেও চলবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য না।
৪৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: হীনমন্যতার কারণে দেশে ইংরেজী মাধ্যম আবার পরে ইংরেজী ভার্ষন বানানো হয়েছে।
এর উদ্দেশ্য ইংরেজী শেখানো না বরং শুদ্ধ বাংলা ভাষা না জানা একটা বিকৃত বাংলা বলা প্রজন্ম সৃষ্টি করা।
ইংরেজী শেখানোর জন্য ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে হয়না, এজন্য ১ বছরই যথেষ্ট। বাংলাদেশে রুশ, জাপানী. জার্মান, চীনা , জাপানী মাধ্যম না থাকার পরও শিক্ষর্থীরা এসব দেশে গিয়ে পড়াশোনা করছে কিভাবে?
গ্রামের পাঠশালায় পড়া লোকজন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রীধারী শিক্ষক।
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
শায়মা বলেছেন: ইংরেজি শেখা মানেই বাংলার অপমান হলো, অবহেলা হল তা হয়। মাতৃভাষার চর্চাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাংলাভাষা পড়তে লিখতে মনের ভাব প্রকাশ করতে সুষ্ঠভাবে অবশ্যই শিখবো। কিন্তু ইংলিশ শিখতে হবে পুরো বিশ্বকে রিলেট করবার জন্য।
ইংরেজির জন্য দক্ষতার প্রয়োজন।তাই ভালোভাবেই শেখা উচিৎ আর যদি মনে হয়, শুধু বাংলা দিয়েই সামনে এগিয়ে যাব, তাও সম্ভব। কিন্তু বাংলাকে তখন সর্বোচ্চ মানে নিয়ে আসতে হবে ।
ইংরেজি শিখতে হবে বিশ্ব কমপিটিশনে টিকতে হলে।
নতুন জ্ঞানার্জনে যোগাযোগ সহজ করতে।
ইংরেজি শিখে ইংলিশ উচ্চারণে বাংলা বলব সেটাই হাস্যকর। সেটাই হীনম্মন্যতা।
আমি বাঙ্গালী এবং বাংলা আমার মায়ের ভাষা। এর চাইতে বড় কিছু নেই। তাই বলে ইংলিশ শেখা যেমনই পান্ডিত্য ফলাবার জায়গা নয়, হীনমন্যতা কাটাবারও নয়।
৪৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:২৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীর কোনো একভাষার দেশে শিশুরা ইংরেজীর মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শুরু করতে পারে না।
রাশিয়া,জার্মানী, ফ্রান্স বা চীন, জাপান, কোরিয়ায় এটা অচিন্তনীয়।
কিন্ত শুধু বাংলাদেশেই এটা সম্ভব।
১৯৯১ সাল থেকে দেশে এতো ইংরেজী মাধ্যমের বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে।
কিন্ত দেশের উন্নয়ন কোথায়?
উন্নতির একটাই হয়েছে, বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করা আর শুদ্ধ বাংলা না জানা বিকুত বাংলায় কথা বলা একটা প্রজন্ম সৃষ্টি হয়েছে, যাদের কারণে বইমেলাতেও ২০১৫ থেকে অকে প্রকাশক ইংরেজী বই বের করা শুরু করেছে।
আর এটাই স্বাভাবিক।যাাদের পাঠ্যক্রমে বাংলা প্রায় নাই, তারা বাংলা শিখবে কিভাবে?
আরএকবার ইংরেজীতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বাংলা বই পড়বেই বা কেনো?
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১২
শায়মা বলেছেন: তবে তোমার মতে ইংরেজী শিক্ষার কোনো দরকারও নেই গুরুত্বও নেই এই তো?
যদি উচ্চশিক্ষায় দরকার হয় তো যে যার মত শিখে নেবে। নাকি?
(রাশিয়া,জার্মানী, ফ্রান্স বা চীন, জাপান, কোরিয়ায় এটা অচিন্তনীয়।)
আমার মনে প্রশ্ন এসেছে যে ওদের মতই ভাবতে হবে কেনো? ইন্ডিয়াতে তো বলতে গেলে সবাই ইংলিশে ভালোই দক্ষ। কনভারসেশন চালাতে পারবেই। ওরা পারবে আর আমরা পারবোনা কেনো?
কেনো কষ্ট করে আবারও ভাষা শিক্ষার পিছে আমাদেরকে জার্মানে গিয়ে জার্মান শিখতে হবে? একটা বছর কিংবা ৬ মাসই নষ্ট করতে হবে?
ইংলিশ মিডিয়ামের উপর এত রাগের কি হলো? যাদের ইচ্ছা ও সামর্থ আছে পড়াবে। যাবের ইচ্ছা আছে সামর্থ নাই পড়াবেনা। এমন ইচ্ছা আছে কিন্তু সামর্থ নাই কিন্তু শুধু পড়ালেখার ক্ষে্ত্রেই না ভাইয়া। সকল ক্ষেত্রেই এমন হয়ে থাকে।
(১৯৯১ সাল থেকে দেশে এতো ইংরেজী মাধ্যমের বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে।
কিন্ত দেশের উন্নয়ন কোথায়?)
আমি তো মনে করি উন্নয়ন অনেক খানেই। আগে শুধু মাত্র বাংলা মিডিয়ামে পড়ার কারণে লেখাতে দক্ষ হলেও স্পোকেনে দক্ষতা কম ছিলো। কিন্তু এখন সেটা নেই বললেই চলে। এমনকি শুধু ইংলিশ মিডিয়াম না বাংলা মিডিয়ামেও এই প্রভাব পড়েছে। যারা প্রকৃত ভালো স্টুডেন্ড বাংলা মিডিয়ামের তারা ইংলিশে যেমন দক্ষ তমেনই দক্ষ বাংলাতেও।
হ্যাঁ ইংলিশ মিডিয়ামের স্টুডেন্টদের মধ্যে বাংলায় দক্ষতা কম দেখতে পাওয়া যায়। যদিও ব্যাতিক্রম আছে।
(আর এটাই স্বাভাবিক।যাাদের পাঠ্যক্রমে বাংলা প্রায় নাই, তারা বাংলা শিখবে কিভাবে?
আরএকবার ইংরেজীতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বাংলা বই পড়বেই বা কেনো?)
ঠিক একই ভাবে বাংলা মিডিয়ামেও একটা মাত্র ইংলিশ বই।
যাইহোক দুই দিকেই সামঞ্জস্য প্রয়োজন। আর নিজের মাতৃভাষা শেখার যেমন গুরুত্ব আছে ঠিক তেমনই আন্তর্জাতিক ভাষা শিক্ষারও গুরুত্ব কম নয়।
ভাইয়া ইউ আর ক্রিটিকাল থিংকার অ নেগাটিভ থিংকার? বুঝতে পারছি না।
৪৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি বাস্তব এবং যুক্তিসঙ্গত চিন্তাকারী।
৫ এর আগে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় কোনো ভাষা শেখানো উচিত না।
এটাই পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশের নীতি।Language education by region
ইংরেজী না জানলে জীবনই বৃথা-এখানে ইংরেজরা না আসলে দেশের মানুষের মধ্যে এই পরাধীন মানসিকতা থাকতো না। একটা বাঙ্গালী ইংরেজী জানলে নিজেকে জাতে উঠলো মনে করে, কিন্ত একজন রাশিয়ান, ফরাসী বা জার্মান, বা এশিয়ার চীনা জাপানী, কোরিয়ান ইংরেজী জানলেও অকারণে বলে না। এসব দেশের ভাষায় ইংরেজী ভাষার শব্দও প্রায় নাই। কিন্ত বাংলা ভাষায় চাচা -মামা -খালা ডাকলে জাত যায় আংকেল /আন্টি-বললে জাতে উঠা যায়।
হীনমণ্য জাতির বৈশিষ্টই নিজের ভাষা এবং সংস্কৃতিকে অশ্রদ্ধা করা।
আর ইংরেজী মাধ্যমগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ইংরেজীর সাথে বাংলার দ্বন্দ সৃষ্টি করা হয়। এদের ইংরেজী শেখানো যতোটা না উদ্দেশ্যে, তার চেয়ে বেশী উদ্দেশ্য বাংলা না শেখানো।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের তুলনা চলবে না কারণ সেখানে এক রাজ্যের লোক আরেক রাজ্যের ভাষা বোঝেনা। তাই তাদের জন্য ইংরেজী বাধ্যতামূলক। কিন্ত বাংলাদেশের জন্য না।
ভুল শেখানোর পদ্ধতির কারণে বাংলা মাধ্যমে ১৪ বছর পড়াশোনা করার পরও একজন ছাত্র ইংরেজী শিখতে পারে না।এসএসসির ও এইচএসসি’র পর ছুটির সময়টাতে তাদের উন্নত পদ্ধতিতে ইংরেজী শেখানো যায়।
ইংরেজী মাধ্যমে পড়লে ব্লগার শায়সা ব্লগ লিখতে পারতো না-এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৭
শায়মা বলেছেন: ঐ ভাইয়া শায়সা কি !!!
হায় হায় বাংলা পড়তেও পারলে না লিখতেও না!!!!!!!!!!!
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১০
শায়মা বলেছেন: ৪৬. ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
০
অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি বাস্তব এবং যুক্তিসঙ্গত চিন্তাকারী।
৫ এর আগে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় কোনো ভাষা শেখানো উচিত না।
এটাই পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশের নীতি।Language education by region
ভেরী গুড। এই কথাটা মেনে নিচ্ছি। কারণ আসলেও দুইটা ভাষা শিশু মনোবিকাশে ও মস্তিস্কে অকারণ চাপ সৃষ্টি করে যা তাকে সুষ্ঠভাবে ভাবতে ও বুঝতে বাঁধা দেয়।
ইংরেজী না জানলে জীবনই বৃথা-এখানে ইংরেজরা না আসলে দেশের মানুষের মধ্যে এই পরাধীন মানসিকতা থাকতো না। একটা বাঙ্গালী ইংরেজী জানলে নিজেকে জাতে উঠলো মনে করে, কিন্ত একজন রাশিয়ান, ফরাসী বা জার্মান, বা এশিয়ার চীনা জাপানী, কোরিয়ান ইংরেজী জানলেও অকারণে বলে না। এসব দেশের ভাষায় ইংরেজী ভাষার শব্দও প্রায় নাই। কিন্ত বাংলা ভাষায় চাচা -মামা -খালা ডাকলে জাত যায় আংকেল /আন্টি-বললে জাতে উঠা যায়।
হায় হায় কে বলেছে ইংরেজ না না আসলে এই মেন্টালিটি আসতো না???
তার মানে কি একটা ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষার কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই!!!!!!!!!!
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৫
শায়মা বলেছেন: হীনমণ্য জাতির বৈশিষ্টই নিজের ভাষা এবং সংস্কৃতিকে অশ্রদ্ধা করা।
কে বলেছে!!!!!! ভুল ভুল ভুল
আর ইংরেজী মাধ্যমগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ইংরেজীর সাথে বাংলার দ্বন্দ সৃষ্টি করা হয়। এদের ইংরেজী শেখানো যতোটা না উদ্দেশ্যে, তার চেয়ে বেশী উদ্দেশ্য বাংলা না শেখানো।
এটাও কি ঠিক বললে? বাংলা ভাষা বা কথা বলাটা অটো শিখে যাবেই যে কোনো বাংলাদেশীরাই। কিন্তু সুষ্ঠভাবে লিখতে বলতে ও পড়তে পারাটা শিখতে হলে আরও চর্চার দরকার। কিন্তু যেহেতু কারিকুলাম সিলেবাস পরীক্ষা পদ্ধতি সবই আলাদা কাজেই সেটা বিঘ্নিত হয়। কাজেই এই ক্ষেত্রে ইংলিশ ভার্শন উপকারী বলে মনে হয় আমার। যেখানে বাংলার চর্চাটাও সমনা ভাবেই থাকবে।
৪৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: দেশের সবাই যদি ইংরেজী মাধ্যমে পড়ে ,তাহলে দেশের সাহিত্য-সাংবাদিকতা-চলচ্চিত্র কি বাংলায় হবে না ইংরেজীতে শায়সা?(মা)
একক আন্তর্জাতিক ভাষা বলে পৃথিবীতে কিছু নাই।
আরবী,ফরাসী,জার্মান এমনকি বাংলাও আন্তর্জাতিক ভাষা।
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৩
শায়মা বলেছেন: না দেশের সবাই পড়বে কেনো? যার যা ইচ্ছা সে তাই পড়বে। আরবী ফার্সী জার্মান হলেও। এই নিয়ে এত যুদ্ধের কিছু নেই।
দেশীয় শিল্প সাহিত্য সংবাদ চলচ্চিত্র অবশ্যই বাংলায় হবে। তখন ইংলিশ মিডিয়ামের মানুষেরা জাহান্নাম গেলেও নো প্রবলেমো। কিন্তু ইংলিশ পড়া মানেই নিজের সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচারকে ভুলে যাওয়া না।
সেই নিজের স্বকীয়তা। কিন্তু প্রয়োজনে আরবী ফার্সী জার্মান হিন্দি যে কোনো ভাষাই শেখার অধিকার যার যার আছে এবং থাকবে ভাইয়ু নল নল...... বন্দুকের নল......
৪৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: আহা বাংলা ভাষার মত এমন মধুর মনের ভাষা কি আর আছে? রবিঠাকুরের গান- দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি ভেবে ভেবে সেই অনুভূতি পাওয়া হবে না বাংলাদেশের এই ছেলেমেয়েগুলোর কখনও। এসব কথার বিপরীত কথা হচ্ছে।
কেউ কি ইংরেজী মাধ্যমে পড়া মাত্র ১ জনকে দেখাতে পারবে, যে বাংলা সাহিত্য বা সাংবাদিকতা করতে পেরেছে?
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮
শায়মা বলেছেন: ইংরেজী মাধ্যমের ছেলেমেয়েরা করবে অবজার্ভারে আর বাংলা মাধ্যম প্রথম আলোতে
এত সোজা হিসাবকে বাঁকা করো কেনো?????????
আর আমি তো রবিঠাকুরের প্রেমিকা কাজেই আমার মত যারা যারা তাদের কথা আলাদা ভাইয়ু!!!!!!!!
৪৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: দাড়িওয়ালা বুড়া পছন্দ ?
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তাহার সাথে তাহার সাথে!!!
তাহার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে!!!!!!!!!!!!!!
৫০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫২
অনল চৌধুরী বলেছেন:
মনোবিকাশে ত্রুটি থাকতে পারে এমনটাই মনে হয়েছে আমার। আর শিক্ষায় ত্রুটি!!! হা হা আমার জানা অধিকাংশ ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাচ্চারা নাম্বার বাংলাতে বলতেও পারবেনা লেখা তো দূরের কথা। রবিঠাকুরের কবিতা পড়ে অন্তরে তার ডাক পৌছোয় না। কাজী নজরুল পড়ে গায়ের রক্ত গরম হয়ে ওঠে না। কারণ সেসব তারা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারণে অন্তরে ধারণ করতেই শেখে না- কথা দুইরকমের হয়ে গেলো।
একদিকে এসব না পারার জন্য দু:খবোধ. অবার অন্যদিকে ইংরেজী মাধ্যম সমর্থন !!!
পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশে বাংলাদেশের মতো এতোরকমের শিক্ষাব্যবস্থা নাই।
সেখানে ৫-১৬ বছর বয়সী সবাইকে একইধরণের পাঠক্রম অনুসরণ করতে হয়।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
শায়মা বলেছেন: আরে না!!!!!!!!!!!
এসব না পারার দুঃখবোধ আছে বটে!!
তবে সারা জীবন বা সব যুগেই পরিবর্তনকে আমি সাদরে গ্রহন করি আর তাই এই যুগে এটাই দরকার হয়ত।
আমাদের যুগে আমরা যখন পড়েছি রবিঠাকুর
তোামাদের যুগে তোমরা তখন ডগকে বলো কুকুর!!!
কি আর করার আছে বলো বলো বলো!!!!!!!!
৫১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যালো!!!
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৬
শায়মা বলেছেন: হ্যালো হ্যালো হ্যালো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তোমার নোটিফিকেশনের সাথে সাথেই ছুটে এলাম দেখলে!!!!!!!!!!
কোথায় ছিলে ???
কেমন ছিলে?????
ভালো ছিলে????
কালো ছিলে????
বলো বলো বলো!!!!!!!!!!!!
৫২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভালো-খারাপ মিলিয়ে ছিলাম
করোনা নিয়ে দিন কাটালাম
এখন আবার ফিরে এলাম
বলো কেমন হলো!!!!!
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
শায়মা বলেছেন: করোনা তো কেবল এলো এই সেদিনের কথা।
কিন্তু তুমি বহুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলে কেনো?????
কি হয়েছিলো বলো বলো বলো????????????/
৫৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কত ঝামেলা আর হ্যাপা পোহাতে হলো সব কি বলে শেষ করা যাবে? তারচেয়ে তোমার খবর বলো। নিশ্চয়ই আগের মতোই হাসিখুশি আর আনন্দে আছো!
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪০
শায়মা বলেছেন: তা বটে। ঝামেলা কি আর কাউকে ছাড়ে!!!
তবে ঝামেলাকেও এনজয় করতে হবে। বুঝেছো!!
এই দেখো কত শত ঝামেলা আমি সেটাও আনন্দে এনজয় করি।
মাঝে ঝামেলাকে জয় করে চলাই তো জীবনের মজা!!!! তাইনা বলো???
৫৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এগজাক্টলি। সবরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যে মুখের হাসি এতটুকু ম্লান হয় না, তার নাম ব্লগপরী শায়মা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫০
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হ্যাঁ তাইলেই বলো কেনো ঝামেলা হ্যাপায় হারাই গেছিলে ?????
ঐ যে আরেকটা আপুনি ছিলো সেও হারায় গেলো।
৫৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপুনি তো অনেকগুলো ছিল, সব কি হারিয়ে গেলো নাকি?
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
শায়মা বলেছেন: না সবাই হারায়নি। সে কেনো হারালো!!!
ঐ যে ঐ আপুটা......
৫৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপুটা যে কোথায় আছে জানি না তো। বরং তুমি তাকে খুঁজে দেখতে পারো
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
শায়মা বলেছেন: খুঁজি তো। কিন্তু খুঁজে পাইনা।
থাক যে ইচ্ছা করে লুকিয়ে থাকে তাকে তো খুঁজে পাওয়া যায় না।
৫৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার লেখা।রস-কস-সিংগারা-বুলবুলি সবই আছে। শায়মা ম্যাডাম ইজ দ্যা বেস্ট। টিচার হিসাবে চমৎকার হবেন এটা নিশ্চিত। আর সবার সাথে ঝগড়াঝাটি করার ঝুঁকি নেয়া দরকার নেই। কারন,সুজনে সুজস গায় কুজস ঢাকিয়া, কুজনে কুরব করে সুজশ নাশিয়া।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়ুমনি! কি খবর?
আমি ঝগড়া করলাম কই!!!!!!!!
কেউ করতে আসলে শুধু লক্ষা নাই আল কি !!!
৫৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: না আপনিতো ঝগড়াঝাটি করেন না,লক্ষি একজন মানুষ। কিন্তুক ব্লগে র বিবেক তথা অঘোষিত সম্রাট কে ঝগড়ার নিমন্ত্রণ করেছেন। এইডা আরকি? যদিও মজাই মজা। মানে মজা করেছেন, আমিও একটু মজা লইলাম আরকি!!!
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
শায়মা বলেছেন: হা হা ওহ তাই বলো!!!!!!
তো তুমি কি আজও সেইফ হতে পারোনি ভাইয়া?
নতুন লেখা দিয়েছো নাকি সেইফ না হবার দুঃখে নো লেখালিখি?
৫৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আসলে ফরেন কামলা ত। তাই সময়ের খুব অভাব।পড়াই নেশা।লেখার অভ্যাস কম।নকল করে পাশ করেছি কিনা।তারপরেও দিনে একবার আসতে ইচ্ছা হয় আপনাদের সবার লেখা পড়ার জন্য। আজকে একটা কিছু লিখেছি।পোস্ট দিয়েছি সন্ধ্যায়। কস্ট করে যদি পড়েন তাহলে বড় বালাবাই।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৮
শায়মা বলেছেন: বালাবাই ? ওকে ওকে বালাবোন করে পড়ে আসবো নে।
রোজ রোজ লিখবে। লিখতে লিখতে যখন একশো দুই শো লেখা হবে তখন নিশ্চয় সেইফ হবে তুমি ইনশাল্লাহ ভাইয়া।
সামুর তো সে দিন আর নাই। ৩০০/৪০০ ব্লগারের জায়গায় এখন ৩০/৪০ জন
৬০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: শিক্ষকেরা সমাজের সব চেয়ে সন্মানিত ব্যক্তি বলে আমি মনে করি, মানুষ গড়ার কারিগর। জাতির বিবেক।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৩
শায়মা বলেছেন: আমারও শ্রদ্ধা সকল শিক্ষকের প্রতি। আমাদের দেশের আনাচে কানাচে আজও ছড়িয়ে রয়েছে আদর্শ শিক্ষকেরা। সকলের অগোচরেই থেকে যায় অনেকে।
৬১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০১
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু্
আমি মাঝে মাঝে অবসর সময়ে আমার ভাইপোকে পড়াই। বাচ্চাদের পড়ানো অনেক হ্যাপা। প্রথমে বুঝিয়ে দিতে হয়। তারপর পাশে বসে থেকে পড়া C.W & H.W খাতায় লিখাতে হয়। তারপর পড়ার মাঝে আগডুম বাগডুম নানান প্রশ্ন তো আছেই। নেম অফ দ্যা টেন ফ্রুরুটস তো হল, তারপর সেগুলো ছবি গুগল ইমেজ থেকে বের করে দেখানো। ড্রাগন ফল বা এপ্রিকট ফল দেখতে কেমন। ঠিক আছে মাঝে মাঝে না হয় করলাম। কিন্তু নিত্য দিন আপনে কি অসীম ধৈর্য নিয়ে বাচ্চাদের পড়িয়ে যাচ্ছেন। ভাবলে অবাক লাগে। বড়দের পড়ানো অনেক সহজ বলে আমি অনুমান করি। আমার একটা প্রশ্ন, টিচার না হয় বুঝিয়ে গেল, কোন ক্লাসে উঠার পর এরা নিজেদের পড়া নিজে পড়তে পারে বা একটু স্বাবলম্বী হতে পারে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৫
শায়মা বলেছেন: নিত্যদিন ধৈর্য্য নিয়ে পড়াচ্ছি এখন আর মনেই হয়না ভাইয়া। কারণ এটা এক রকম নেশা ধরা এনজয়মেন্ট। বাচ্চাদের সাথে জাস্ট মজা করে নেচে গেয়ে এঁকে লেখাপড়া শিখিয়ে দেওয়া।
আমাদের স্কুলে প্লে গ্রুপে শুধু আসে যায়, সেটল করে ক্লাসে আর একটু রাইমস টাইমসের পাশাপাশি এ বি সি ডি ওয়ান টু থ্রি দেখে দেখে শেখে। ক্রেয়ন ছাড়া কিছুই ধরে না। তাও আঁকিবুকিই।
নার্সারী তে এসে লেখা শেখে তাও শুধু লেটারস। লোয়ার কেস আর আপার কেস আর নাম্বার ২০ পর্যন্ত।
এরপরের ক্লাসেই পড়তে শিখে যায়। কি এক মজার পদ্ধতিতে দেখলে অবাক হয়ে যাবে। বাবা মায়েরা হঠাৎ একদিন জানে বাচ্চারা গড় গড় করে বই পড়ছে।পুরাটাই স্কুলের অবাদান। নো হোমওয়ার্ক অর প্যারেন্টস হেল্প।
এরপর ক্লাস ওয়ান থেকেই তারা নিেজেরাই স্কুলে যা শেখােনো হয় শিখে যায় বাসায় পড়ার দরকারও হয় না আসলে।
শুধু যখন নিজেকে পন্ডিৎ ভাবতে শুরু করে টিন এইজে ৭/৮ এ এসে তখনই গড়বড় শুরু হয়।
৬২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপুমনিসহ সকল শিক্ষকদের প্রতি রইল প্রাণডালা শুভেচ্ছা ।
পোষ্টের মুল্যবান কথামালা , স্মৃতি কথন সাথে সুন্দর সুন্দর
ছবি দেখে মুগ্ধ ।
স্কুলের বাচ্চাদের জন্য শিক্ষাদানের জন্য যে পদ্ধতির কথামালা
তুলে ধরা হয়েছে তা খুবই ফলপ্রসু , এর বিস্তার প্রয়োজন ।
কমনওয়েলথ স্কলারশীপ নিয়ে পোষ্ট গ্রাজুয়েশন স্টাডির জন্য
বিদেশে অধ্যয়নে যাওয়ার সুবাদে স্ত্রী সন্তানাদিরাও বিদেশে গিয়ে
পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছে। প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে
মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত তাদের স্কুলে পাঠ নেয়ার কারণে প্যারেন্ট
হিসাবে নিয়মিতই বিশেষ করে প্যারেন্ট ডেতে আমাকে বিভিন্ন
সময়ে স্কুলে যেতে হয়েছে । সে সময় আমি প্রত্যক্ষ করেছি তাদের
পাঠ দানের অপুর্ব কলা কৌশল, তার বিবরন এখানে না
দিলেও চলবে কারণ দেখতে পাচ্ছি সে সকল কৌশল তোমার
বিলক্ষন জানা । শরিরটা একটু ভাল ফিল করলে আমার দেখা
কিছু অপুর্ব ও অসাধারন শিক্ষা কলা কৌশল শেয়ার করতে
আসব ফিরে এই পোষ্টে ।
আধুনিক পদ্ধতিতে যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম ও বাচ্চাদের
জন্য শিক্ষা পদ্ধতি প্রয়োগ ও বিস্তার লাভ করুক এটাই কামনা করি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি সব সময় মনে করি আমার স্কুলের মত যদি সারা দেশের বাচ্চারা শিক্ষার সুযোগ পেত।
৬৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১২
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
আপনার প্রতি উওরটি আমি ৩ বার পড়লাম ভাল করে বুঝার জন্য। খুব ভাল লাগলো আপনি আপনার কাজকে এতটা ভালবাসেন। এত ভালবাসা থাকলে সেটা তো উপভোগ্যই হবে। আমি তো অনেক সময় ধৈর্য্য ধরতে পারি না। রেগে গিয়ে আলতো করে দেই দুই চারটা। তাতেই ক্ষুদের চোখে জল চলে আসে। পরক্ষনেই বুকে জড়িয়ে ধরি। আপনার স্কুলের ক্ষুদেরা খুব ভাগ্যবান যে ওরা এত ভাল স্কুলে পড়ছে, এত কোয়াপারেটিভ শিক্ষকের কাছে পড়ছে।। হে আপু থ্যাংকস এগেইন
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৬
শায়মা বলেছেন: হায় হায় খবরদার নো দু চারটা ছয়টা পাঁচটা।
আমি আর তুমিও কি পারতাম বলো।
এখন অনলাইন ক্লাসে সবারই প্রায় বাবা মা থাকে। তো একটা বাচ্চার সাথে কেউ ছিলো না। আমি সবাইকেই ভারচুয়াল বোর্ডে খুবই সহজ পদ্ধতিতে দেখিয়ে দিলাম নাম্বার ফোর। শুধু সে বললো মিস আই কান্ট রাইট ফোর। আমি তো মহা বিপদে পড়লাম। কিন্তু সাহস হারালাম না। যে কোনো চ্যালেঞ্জ আমাকে জিততেই হবে আর কি।
আমি বললাম নো প্রবলেম তুমি পারবে। সবাইকে বাদ দিয়ে ওকে পিন করলাম বললাম আমি শুধু যা বলবো তুমি তাই করবে বিকজ আই উইল হোল্ড ইওর হ্যান্ড নাও। সে আস্থা পেলো। আমি বললাম গো ডাউন এন্ড আউট উই গো এই দেখো একটা ট্রায়াঙ্গেল হলো এবার ডাউন এগেইন বলতেই সে ঠিকই লিখে ফেললো ফোর। আমি বাঁচলাম চ্যালেঞ্জটা জিতে।
আসলে তো অনলাইনে হাত ধরা যায় না। আমি শুধু ওকে আস্থা দিয়েছিলাম যে আই এম উইথ হার।
তারপর সবাইকে বললাম, যে কোনো কিছু শেখার শুধু একটাই নিয়ম। ট্রাই এন্ড ট্রাই এগেইন। একবার না পারিলে দেখো শতবার।
কাজেই মারামারির দরকার নেই। শুধু ট্রাই করার ধৈর্য্য শিখিয়ে দাও।
৬৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৩
শুভ_ঢাকা বলেছেন: হায় হায় খবরদার নো দু চারটা ছয়টা পাঁচটা।
হা হা হা......ঠিক আছে। আপনার উপদেশ শিরোধার্য।
আচ্ছা শায়মা আপু এই ইংরেজি মাধ্যমে বা ইংরেজি ভার্সন স্কুলে কেজি ওয়ান বা ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদের মিসরা অনলাইনে প্রায় পুরো ক্লাসটাই ইংরেজিতে কেন কথা বলে। বাচ্চারা কি এত ইংরেজি বুঝতে পারে। বাংলা বললেই বা কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়। নাকি এটা শিক্ষার একটা পার্ট বা এর কোন কৌশলগত কারণ আছে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩১
শায়মা বলেছেন: ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে নিজেরাও স্কুলের গন্ডিতে ইংলিশ ছাড়া কথা বলা নিষেধ। সেটা কি আর আমরা মানতে পারি বলো?? কিন্তু বাচ্চাদের সাথে বাংলা বললে জবও চলে যেতে পারে। এটা রুলসেই আছে।
বাচ্চারা সবাই ইংলিশ বুঝে যায় একদিন দুদিন না বুঝলেও। আমিও ভাবতাম এরা কেমনে ইংলিশ বুঝবে রে বাবা? কিন্তু তখন দেখলাম বাবা মায়েরাই বাচ্চাদের সাথে ইংলিশেই বলছে তারা সব অক্সফোর্ড হাভার্ড থেকে নিজেরাই পড়ালেখা করা। ফ্যামিলি এনভায়রোনমেন্টের কারনে আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের দেখেছি বাংলার চাইতেও ইংলিশ বেশি বুঝতে।
আর যারা বাংলা পরিমন্ডল থেকেও আসে তারাও স্কুলের ঐ কয়েক ঘন্টা ইংলিশ চর্চায় বাধ্য হবার কারণে শিখে যায়।
ছোট থেকেই ইংলিশ ভীতি কাটাবার জন্য বা ফ্লুয়েন্সির জন্য এমনটা করা হয়। তবে আমার মনে হয় ইদানিংকালে কোনো মিডিয়াম লাগেনা বাচ্চারা এমনিতেই ইংলিশে দক্ষ ইন্টারনেটের কল্যানে হা হা
৬৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৮
শুভ_ঢাকা বলেছেন: ফিয়ার এনাফ। বুঝতে পারলাম। সম্পূর্ণ ইংরেজিতে ক্লাস নেওয়ার কারণ। থ্যাংকস শায়মা আপু ফ্রম বটম অফ মাই হার্ট।
Gheorghe Zamfir - Einsamer Hirte
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৮
শায়মা বলেছেন: ওয়েলকাম ভাইয়া।
তোমার মনে আরও অনেক প্রশ্ন তাই না???
সব জবাব দেওয়া হবে।
যাইহোক তুমি দেখছি পুরাই সূর পাগলা....
৬৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪৮
শুভ_ঢাকা বলেছেন: তোমার মনে আরও অনেক প্রশ্ন তাই না???
সব জবাব দেওয়া হবে।
জ্বি শায়মা আপু,
আমার আরও কিছু প্রশ্ন আছে। সেটা আপনার লেখালেখি সংক্রান্ত। তবে সেটা আজকে করবো না। আমি অপেক্ষা করবো। লেখিকা গল্পের শেষে নিজে থেকেই সেই সব প্রশ্নের উওর দেয় কিনা।
view this link
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৭
শায়মা বলেছেন: হা হা ইউ আর রিয়োলী ইন্টেলিজেন্ট কি বলতে চেয়েছি বুঝেই গেলে।
আজকের বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপর নদে এলো বান!!!!!
৬৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:০৩
শোভন শামস বলেছেন: পরিবেশনার গুনে সব কিছু চমৎকার আর হৃদয়গ্রাহী হয়, চমৎকার পরিবেশনা +++
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ !!!!!!
৬৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৭
জনৈক অপদার্থ বলেছেন: স্কুল টিচাররাই আসল কারিগর, ভালবাসা তাদের জন্য
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৫
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া........
৬৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫২
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
আমার ভাইপো ক্লাস ওয়ানে পড়ে। তার ৮টা সাবজেক্ট। বাংলা ১ ও ২, ইংরেজি ১ ও ২, ম্যাথ, বাংলাদেশ এন্ড গ্লোবাল স্টাডিজ, রিলিজিয়ন এন্ড মোড়ালিটি স্টাডিজ, আর্ট এন্ড ক্রাফট। ওদের পাশের স্কুল সেন্ট ফ্রান্সিস যেভিয়ারে ক্লাস ওয়ানের মেয়েদের সেপ্টেম্বর মাসে অনলাইন ক্লাসে প্রোনাউন কত প্রকার ও কি কি পড়িয়েছে। এই ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদের এত পড়া ধারণ করার ক্ষমতা কি আছে। সারাক্ষণ খালি পড়াশুনা। কোন খেলাধুলা নাই। বছর তিনটা মিড ট্রাম আর তিনটা ট্রাম। সপ্তাহে নানান কাজ scrapbook এর কাজ। আমার তো এদের জন্য খুব চিন্তা হয়। বিদেশে তো এই বয়সে স্কুলে গিয়ে আনন্দ করে। আপনার স্কুলে ওয়ানের বাচ্চাদের কি অবস্থা।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
শায়মা বলেছেন: আমাদের স্কুলেও বাচ্চাদের এমনই সব সাবজেক্ট আছে কিন্তু সকল পড়ালেখার দায়িত্ব মোটামুটি স্কুলেই নেওয়া হয় এবং তা এমনই ভাবে প্রাকটিক্যালী বা হ্যান্ডস অন একটিভিটি দিয়ে করানো হয় তা খুব একটা প্রেসার না,
হ্যাঁ বাংলাদেশে অধিকাংশ স্কুল এখনও ট্রেডিশ্যনাল .......
৭০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০২
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আরও আছে এক্সটা কারিকুলাম class work (C.W) and home work (H.W). এই খাতার উপর আবার মার্ক্স নির্ভর করে। এগুলো দেখলে আমার নিজেরই অস্থির অস্থির করে। বাচ্চাগুলো ঠিক ঠাক মত ঘুমাতে পারে না। ভাগ্যিস করো না ছিল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০২
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমাদেরও আছে। শুধু ক্লাস ৪ পর্যন্ত আমাদের কোনো এক্সাম নেই।
হা হা এসব কিছু নিয়েই বড় হচ্ছেন তারা। আমাদের মতন না।
তবে হ্যাঁ খেলাধুলা ও শাররীক মানসিক সাস্থ্য খেয়াল রাখতে হবে।
৭১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
আপনি কি আমাকে এমন কিছু বই বা ইউটিউব প্রোগ্রাম বা এমন কিছু একটিভিটি কথা বলবেন। যা আমার ভাইপো শিখালে বা দেখানে সে আরও সমৃদ্ধশালী হতে পারবে। বা ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৪
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ পারবো।
একটু সময় লাগবে।
৭২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৯
শুভ_ঢাকা বলেছেন: বোকার মত কি একটা প্রশ্ন করলাম। আমার এমনেতেই নাট বল্টু ঢিলা। রাতে বেলার মাথায় অতি আবেগ ভর করে। তখন নাট বল্টু খুলে পড়ে যায়। ক্ষুদে কে নিয়ে এত ভাবনা কারণ কি এখন হয়েছে। তাই না। হ্যাঁ একটা জিনিস নিশ্চয়ই চাইবো আর সেটা হলো আপনাদের দোয়া।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৬
শায়মা বলেছেন: হা হা নাহ ঠিকই আছে। এত কেয়ারিং একটা চাচু পেয়েছে বেবিটা এটাই তার ভাগ্য।
তবে মনে হচ্ছে এমনিতেই সে তোমার মত লক্ষী হবে ভাইয়া। এমন একজন চাচু যার!!!!!!!!
অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা তোমাদের দুজনের জন্যই।
৭৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৬
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু,
এত সিরিয়াসলি নিয়েন না। এখন ওর সামনে third term in house exam আছে। অনেক পড়া। আপনে আস্তে ধীরে অনেক সময় নিয়ে যদি কোন এডভাইস থাকে তাহলে দিয়েন। আপনে ভিজি মানুষ নিজের কাজে সময় দিয়েন। তারপর দেখা যাবে। আমাকে অনেক মানুষ exploit করছে use করছে। এখন আমি একটু অন্য রকম হয়ে চিন্তা করি। আমি কাউকে কোন সাজেশন দিবো না। তবে জীবন নিয়ে আপাতত interpretation একটু ভিন্ন। খুব ভাল থাকেন আপু।
অফট্রপিকঃ ক্ষুদে তার বাবার মত হয়েছে। আমি তার ১০০% এর এক ভাগও না।
view this link
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৯
শায়মা বলেছেন: আমার ইচ্ছা করে আমার নিজের ক্লাস ভিডিওগুলিই সবার জন্য দিয়ে দিতে। কারণ আমি নিজেই সেসব এনজয় করি....
হা হা
যাইহোক তুমিও অনেক ভালো ভাইয়া...... নিশ্চয় বাবুটার বাবাটাও অনেক ভালো।
তবে আমি ভাবছিলাম তোমার ভাই ভাবী এবং পিচ্চিটা কত লাকি তোমার মত একজন মানুষ আছে তাদের সাথে....
৭৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমার ইচ্ছা করে আমার নিজের ক্লাস ভিডিওগুলিই সবার জন্য দিয়ে দিতে।
আমার জন্য প্লীজ না। প্লিজ না। I insist you. Please noooooooooooo. তাহলে আপনার ব্লগেই আর আসবো না কোন দিন। এন্ড আই মিন ইট। আমি নিজে কম আঁতেল না।
খুব ভাল থাকেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি কিন্তু ......
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে..........
অপেক্ষার অবসান হোক তাহলে ......
৭৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
সামিয়া বলেছেন: মাশাআল্লাহ , দারুন অভিজ্ঞতা, ইউ আর লাকি অ্যান্ড কিউট টু---------
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
শায়মা বলেছেন: হা হা আমারও মনে হয় আমি লাকি.......
যত না ভালোবাসা পাবার কথা তার থেকেও অনেক বেশি পেয়েছি।
৭৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৮
শুভ_ঢাকা বলেছেন: শায়মা আপু
আপনি কি আমার কথায় মনে কষ্ট পেয়েছেন। যদি পেয়ে থাকেন। তাহলে সরি। ক্ষুদের ব্যাপারে যদি কোন পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানাবো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১১
শায়মা বলেছেন: না না না তোমার কথায় কষ্ট পেতে পারি ভাইয়ু????
অবশ্যই জানাবে.....
৭৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪
মেহবুবা বলেছেন: পারো বটে ! তুমি শিক্ষক হিসেবে প্রিয় হবে জানা কথা, বাচ্চারা ছাত্র হলে কথা নেই।
আমার কাছে শিক্ষকতা পেশার কোন তুলনা নেই ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০
শায়মা বলেছেন:
আপুনি তোমাকে দেখে লগ করলাম। এমন সময় ফোন এসে গেলো।
অনেক অনেক ভালোবাসা আপু।
৭৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৯
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনি কোন স্কুলে পড়ান আপু?
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪২
শায়মা বলেছেন: একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে .....
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাচ্চাদের এখন অনলাইন ক্লাশ নিচ্ছেন। এটা খুব ভালো। পরীও প্রতিদিন অনলাইনে ক্লাশ করছে।
আসলে ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্যও এখনও পৃথিবী টা পুরো নষ্ট হয়ে যায় নি।