নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেডাগোজিকাল ট্রানজিশন- শিশু শিক্ষনে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কি ধরনের উদ্যোগ নেয়া যায়

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪


করোনাকালীন চার দেওয়ালে বন্দী জীবন ও অনলাইনের ক্লাসরুমের মাঝে গত বছর নভেম্বরে BEN Virtual Discussion "শিশুদের নিয়ে সব কথা" একটি টক শো প্রোগ্রাম থেকে ইনভিটেশন এলো। আমি এমনিতে আসলেই একটু লজ্জাবতী আছি কিন্তু হাজার হোক শিশুদের সাথে কাজ করছি বেশ কিছু বছর হলো আর শিশুদের নিয়ে একটু কথা না বললে কি চলে? তাই ভাবলাম একটু ভাবি এবং জানি।

সে যাই হোক তাদের জানবার বিষয়গুলো নিয়ে আমাকে একটু ভাবতে হলো। তাদের প্রথম প্রশ্নটি ছিলো -
প্রাইভেট সেক্টরের অভিজ্ঞতায় প্রি-প্রাইমারি থেকে প্রাইমারিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে Pedagogical transition এর বিষয়ে আমরা বা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি উদ্যোগ নিয়ে থাকি?

পেডাগোজিকাল ট্রানজিশন। এই কথাটা শুনলে সবাই একটু ধাক্কা খায়। আমিও খেয়েছিলাম। কিন্তু শুনতে একটু খটোমটো শোনালেও আসলে ব্যপারটা কিন্তু সহজ সরল পথ পরিক্রমার সাথেই আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। এখানে পেডাগোজিকাল ট্রানজিশন বলতে বুঝানো হয়েছে প্রি প্রাইমারী থেকে প্রাইমারীতে মানে এই একটি ধাঁপ থেকে আরেকটি উচু ধাঁপে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে যেন একটি শিক্ষার্থী পার হয়ে যেতে পারে তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় কি কি ক্রাইটেরিয়া বা মেথড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীর এই পথ চলাকে মসৃন বাঁধাহীন করা যায় সেই ব্যপারটিকেই। সোজা কথায় সিড়ির একটি ধাপ থেকে পরের ধাপটিতে খুব সহজে উঠে পড়ার শিক্ষণের উপায়টাকেই বুঝানো হয়েছে আর কি।

আমি খুবই ভাগ্যবতীদের একজন যে কিনা এমন একটি স্কুলে কাজ করছি যেখানে এই পেডাগোজিকাল ট্রানজিশনের জন্য আমরা আমাদের লেসন প্লানে ও ক্লাসরুমে যেসব ক্রাইটেরিয়াগুলি রাখি সেসব আসলেই বড়ই কার্য্যকরী ও বলতে গেলে প্রায় অব্যর্থ। তাই বাচ্চারা মনের আনন্দে এগিয়ে যায় এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে অবলীলায় এবং এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে আনন্দে। কিছু উনিশ বিশ তো থাকবেই। কিছু করার নেই? এটা বললেও চলবে না। তাদেরকে নিয়েও বিশেষ কিছু ক্রাইটেরিয়া বা নির্নায়ক অনুসরন করতে হয়। সোজা কথায় একটি স্কুলে বাচ্চারা না শিখতে পারার বিষয়টা মূলত বাচ্চার উপরে না শিক্ষকের উপরেই বর্তায়। যদিও সবাই সমান মেধা নিয়ে জন্মায় না কিন্তু প্রতিটা শিশুর মাঝে যা আছে সেটা একটিভেট করতে বা কাজে লাাগাতে পারে না বা করে না। তাই এই একটিভেট করবার ব্যপারগুলোতে অভিভাবক এবং শিক্ষকের কিছু করণীয় আছে।

যাইহোক শিশুর এক ধাপ হতে আরেক উঁচু ধাপে অতি সহজে এগিয়ে যাবার ব্যাপরটা বা পেডাগোজির যে ৫ টি বিশেষ নীতি বা রুলস আছে তা আমরা বিশেষভাবে ফলো করা উচিৎ। পেডাগোজির ৫ টি বিশেষ নীতি বা রুলসগুলি হলো- ১। diversity বা বৈচিত্র্যতা ২। design বা নকশা ৩। engagement বা স্টুডেন্ট ইনভল্ভমেন্ট বা স্টুডেন্ট সেন্টারড একটিভিটি পরিচালনা করা। ৪। assessment বা মূল্যায়ন ৫। evaluation and monitoring অর্থাৎ মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণ।

এখন একটু খুলে বলি একটি ক্লাসরুমে বা লেসনপ্ল্যানে এসব অনুসরন করে চললে একজন শি্ক্ষার্থীর চলার পথ অবশ্যই মসৃণ হয় বলেই আমার বিশ্বাস। যেমন-
Diversity বা বৈচিত্র্যতা -একজন শিক্ষার্থী যেন তার পড়ালেখায় একঘয়ে বোধ না করে এবং সহজেই তার ইন্টারেস্ট নিয়ে শিখতে পারে তার জন্য শিক্ষায় বৈচিত্র আনতে হবে এবং তারা যেন বিভিন্ন উপায়ে শিখতে পারে এটিই খেয়াল রাখতে হবে। এটি পেডাগোজির প্রথম শর্ত। এই কারণে আমরা আমাদের পাঠ্যক্রমে শিক্ষার বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে থাকি। যেমন এই ক্ষেত্রে একটি ৪০ মিনিট ক্লাসের শুরুতেই লেসনে সার্কেল টাইম আইস ব্রেকিং একটিভিটি রাখা যেতে পারে যা শিক্ষার্থীর খুব দ্রুত মনোযোগ এনে দিতে পারে। যেমন সেটা হতে পারে কিছু ইনফরমাল একটিভিটি, বা আনইউজুয়াল সাউন্ড বা মিউজিক। এছাড়াও আমরা হ্যান্ডস অন একটিভিটি ব্যবহার করি। যেমন একটি লেটার বা নাম্বার শেখার আগে স্যান্ড বা রঙ্গিন বালুর ট্রেতে আঙ্গুল ডুবিয়ে লিখে লিখে চর্চা করা বা নানা রকম খেলাধুলার মাধ্যমে শেখা বা গল্পের মাধ্যমে বা ছবি আঁকার মাধ্যমে...
লেখা প্রাকটিস বালু/ সুজি/ ময়দা লবনের ট্রেতে খেলা খেলা পদ্ধতিতে
আইসব্রেক/ সার্কেল টাইম/ দ্রুত মনোযোগ আকর্ষনের কিছু কৌশল
একটি শিশুর সব ধরনের মালটিপল ইনটেলিজেন্সগুলি চিন্তা করে শিক্ষক তার লেসন প্লানে নানা রকম বৈচিত্রতা আনে। ডিফারেন্ট স্ট্রাটেজী, গ্রুপ ওয়ার্ক, ইনডিভিজুয়াল ওয়ার্ক, প্রাকটিকাল লার্নি, ফিল্ড ট্রিপ, বিভিন্ন রকম শিক্ষামূলক ভিডিও, অ্যানিমেশন। বৈচিত্রতা আনার জন্য এবং ইন্টারেস্টিং লার্নিং এর জন্য নানা রকম শিক্ষার সরঞ্জাম বা রিসোর্সেস ব্যবহার করা হয়।

Design বা নকশা -Teaching রিসোর্সেস যেমন যে কোনো ছবি, ব্লক, খেলনা ম্যাপ যেন ভাল ডিজাইনের বা বুঝতে পারা যায় এমন সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করা উচিৎ। এ ব্যাপারে আমরা নানা রকম টিচিং ওয়ার্কশপ করি আইডিয়া শেয়ারিং এর জন্য । অন্যান্য স্কুল ও তাদের শিক্ষা পদ্ধতির সাথে সংযুক্ত থাকি, তাদের পরামর্শ গ্রহন করি। একটি বছরের কতটুকু পাঠদান হলো সেটার সাথে আগের বছরের সামঞ্জস্য রাখি।

Student engagement -ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদেরকে এনগেইজ করতে হবে। শুধু টিচারেরাই কথা বলে গেলো বা নিজেই সব করে দেখালো এতে শেখাটা আসলে কোনোভাবেই ঠিকঠাক হয় না। আগেই বলেছি আইসব্রেকিং টাইপ একটিভিটি দ্রুত মনোযোগ যেমন আনে তেমনই শিক্ষামূলক ভিডিও, পিয়ার ওয়ার্ক বা গ্রুপ ওয়ার্ক এই সব পদ্ধতি ইউজ করে student-centred একটিভিটি গড়ে তোলা হয়।

Assessment বা মূল্যায়ন - সারা বছর জুড়েই ক্লাস এসেসমেন্ট করা হয়। formative and cumulative assessments হয়ে থাকে। ( During a learning activity, To improve learning ) summative assessments কমানোর যে ব্যপারটা পেডাগোজি ট্রানজিশনে আছে তা আমাদের প্রি প্রাইমারীতে নেই।আমরা সামেটিভ এসেস করি না।

Evaluation and monitoring অথবা মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণ- ক্লাসে এবং পারিবারিক কিছু ক্ষে্ত্রে নজর রাখা হয়। তাদের ব্যাক্তিগত সম্পর্ক ও যোগাযোগের সাথে সংযুক্ত থাকার যে ব্যাপারটি আছে তা খুব বেশি ভাবে হয় না। প্যারেন্টস মিটিং রয়েছে প্রতিটা টার্মেই। এছাড়াও শিক্ষার্থী সম্পর্কে কোনো ইমপ্রুভমেন্ট জানাতে হলে ফ্যামিলীর সাথে যোগাযোগ করা হয়। এখন বর্তমানে অনলাইন ক্লাসে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব না। কাজেই online notifications for missed assignments, অপেক্ষাকৃত দূর্বল স্টুডেন্টদের জন্য এক্সট্রা ক্লাস বা রেমিডিয়াল ক্লাস নিয়ে থাকি। মোট কথা প্রি প্রাইমারী থেকে প্রাইমারীতে ওঠার এই উঁচু ধাপটাতে শিশুরা যেন খুব সাচ্ছন্দ্যে যেতে পারে সেই ব্যাপারটিকে নিশ্চিৎ করতে এই ক্রাইটেরিয়াগুলি ফুলফিল করা বড়ই জরুরী।

এরপর আসি পরের প্রশ্নে।
শিশুদের শেখার পরিবেশকে আনন্দময় ও আকর্ষণীয় করার জন্য শিক্ষকদের শিশুর বিকাশ সম্পর্কিত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ?

এই প্রশ্নটি কিন্তু বড়ই জরুরী। আমি মনে করি এক্ষেত্রে স্কুলের যেমন ভূমিকা আছে তেমনই শিক্ষকদের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। শিক্ষকদের ভূমিকা এবং উদ্যোগটাই মূলত জরুরী এই জন্য যে, কোনো বিষয়ে শিক্ষাদানের আগে প্রয়োজন একটি সুষ্ঠ পরিকল্পনা। যা আমরা লেসন প্লান বলে থাকি। একটি বিষয়ের উপর একটি টিচারের সুন্দর একটি এফেকটিভ লেসন প্লান দাঁড়া করানো অতীব জরুরী। যা আমাদের স্কুলে রয়েছে।

এই লেসন প্লানে রয়েছে যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিশুর মনস্তাত্তবিক ও শাররিক দিকগুলির বিষয়ে খেয়াল রাখা এবং আমাদের স্কুলে এই বয়সের বাচ্চাদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ক্লাসরুমে পাঠদানে কিছু স্ট্রাজেডি ফলো করা হয়। তার মধ্যে আইস ব্রেকিং যা কোনো বিষয় বা টপিকে বাচ্চাদের আকর্ষন খুব দ্রুত আনার জন্য আনন্দময় কোনো আচরন, খেলা, শব্দ সঙ্গীত এমন কিছু। এটি আমি এই লেখার প্রথম প্রশ্নেও উল্লেখ করেছি।

এছাড়াও যে কোনো বিষয়ে পুঁথিগত বিদ্যা বা রিটেন ওয়ার্কে যাবার আগে হ্যান্ডস অন একটিভিটি বা হাতে কলমে চর্চা করানো হয়। সেটা একটু বিস্তারিত বিশ্লেষন করি।
যেমন শেইপস বা কালার শিখানোর সময় বুক ওয়ার্কের আগে শিশুরা ক্লাসরুমে ইনডোর গেম বা খেলনা দিয়ে বা গল্প দিয়ে বা কোনো রোল প্লে দিয়ে খুব সহজেই আনন্দের সাথে শিখে ফেলতে পারে। এখানে এসব একটিভিটিতে শিশুরা যেমনই আনন্দ নিয়ে শিখতে তেমনই শেখাটা সহজও হয়। এখন এই হ্যান্ডস অন একটিভিটিকে আনন্দময় করে তোলার কাজটা শিক্ষকের । তাকেই সবটা সময় এই একটিভিটিগুলি পরিচালনা করতে হয় এবং শিশুদেরকে সেই একটিভিটিতে ইনভল্ভ করা হয়। প্রতিটা শিশু যেন সুযোগ পায় সেই অবস্থা নিশ্চিৎ করা হয়। এছাড়াও আমরা পড়ালেখার বই খাতা পেন্সিল ছাড়াও নানা রকম রিসোর্সেস ইউজ করি।

এরপরই আমি বলবো শিশুর সাথে শিক্ষকের ইতিবাচক সম্পর্ক- আনন্দময় শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষকের ব্যবহার বা ইতিবাচক সম্পর্ক অতি গুরুত্বপূর্ণ। হাসিমুখ এবং সুন্দর ব্যবহার এবং গ্রহনযোগ্য মানসিকতা তথা ইতিবাচক সম্পর্ক বাচ্চাদেরকে মানসিক নিরাপত্তা দেবে ও শিশুর বিকাশ এখানে আনন্দময় ও সুষ্ঠ হবে। শিশু যে কোনো বিষয়েই দক্ষতা অর্জন করতে আগ্রহী হবে। আমাদের স্কুল এ ব্যাপারে অনেক বেশি যত্নশীল।

শিশুর মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিতিকরণ- শিশু যেন বিশেষ করে মানসিক ও শাররিক দুই ক্ষেত্রেই নিরাপদ অনুভব করে। স্কুলের পরিবেশ, ক্লাসরুম এনভায়রনমেন্ট, ক্লাসরুমের আসবাবপত্র যেন নিরাপদ হয় ও সহপাঠিরা যেন একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহযোগীতাপূর্ণ মনোভাবের হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের স্কুল এ ব্যাপারগুলিতে অনেক বেশি খেয়াল নিয়ে থাকে।

বুলিং - যদিও বুলিং ব্যাপারটা এ বয়সে তেমন প্রকট হয় না তবুও শিশু বিকাশে অনেক সময় বুলিং সে সহপাঠি হোক বা টিচার হোক বা প্যারেন্টস হোক যে কারো দ্বারাই হতে পারে। তাই এই ব্যাপারে সুষ্ঠ মনিটরিং প্রয়োজন।এবং শিশুদের মধ্যে খুব ছোট থেকেই এন্টি বুলিং পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

প্রথম দুটি ছবি নেট থেকে আর ৩ নং ছবিটা আমার অনলাইন ক্লাসের বাচ্চাদের বানানো এন্টি বুলিং পোস্টার মেকিং ছবি থেকে নেওয়া।
ইনডোর ও আউটডোর গেইম - শিশুদের বিকাশে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে খেলাধুলার জুড়ি নেই, ইনডোর গেইম যেমন বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটায়, নিয়ম কানুন মানতে শোখায় আউটডোর গেইমও একই ভাবে শিশুর শাররিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। সঙ্গীত, নৃত্য, ছড়া কবিতা ও আঁকাআকীর মত সৃজনশীল চর্চা - এই বিষয়গুলি যেমনই শিশুদের সুকুমার বৃত্তিকে বিকশিত করে তেমনই মানসিক প্রফুল্ল দেয়। এই বিষয়গুলির মাধ্যমে শিশুদের সৃষ্টিশীল প্রতিভার পাশাপাশি চিন্তা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

গল্প শোনা ও গল্প বলা - গল্প শোনার মধ্যে দিয়ে শিশু যেমনই নানা বিষয়ে শিখতে পারে তেমনই কল্পনা করার দক্ষতা অর্জন করে ও স্পিকিং পাওয়ার ভয় ভীতি ও জড়তা কাটোয়ে উঠতে শিখে। আমাদের স্কুলে লাইব্রেরী চর্চার ব্যাবস্থা আছে এবং নিয়মিত শিশুদেরকে লাইব্রেরী ব্যবহার শেখানো হয় ও সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।
আর্ট অব স্টোরী টেলিং
বই পড়ার চর্চা ও নিজে কিছু লিখতে চেষ্টা করা বা ক্রিয়েটিভ রাইটিং - লাইব্রেরীতে বুক রিডিং চর্চা ছাড়াও ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর ব্যাবস্থা করা হয়। শিশু শ্রেনীর বাচ্চারা লিখতে জানেনা পুরো বাক্য তাই তারা গল্পের চরিত্রগুলি আঁকে এবং তা পর পর সাজিয়ে গল্পও তৈরী করে।
মেধা বিকাশে শিশুর খেলনা ও খেলা- কোনটা দেবো, কিভাবে খেলবো (প্যারেন্টস এ্যন্ড টিচারস গাইড)
বয়সভিত্তিক খেলনার ব্যবহার- ইনডোর গেইমের খেলনা শিশুর বিকাশ ও শিক্ষায় যথার্থ ব্যবহার করা গেলে শিশু নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে ও নানা রকম শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন করতে শেখে। প্রি স্কুল শিশুদের জন্য ক্লাসরুমে প্লে টাইম বা খেলার সময় দেওয়া হয়। সেসব সময়ে শিশুরা একে অন্যের সাথে খেলাধুলার মাধ্যমে যেমনি শিখে থাকে তেমনই টিচারেরাও নানা রকম একটিভির মাধ্যমে শিশুদেরকে নানা বিষয়ে শিখিয়ে থাকে। এছাড়াও শেয়ারিং এন্ড কেয়ারিং, অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া বা একই খেলনা বা স্টোরী বুক শেয়ার করে খেলা এবং পড়া এসব দিকগুলির বিষয়েও নানা রকম একটিভিটি করা হয়ে থাকে। ইদানিংকালে কম্পিউটার নলেজ অনেকটাই জরুরী। তাই এই বয়সে শিশুর কিছুটা হলেও কম্পি্উটার মাউস হ্যান্ডেলিং এ সবে হাতে খড়ি হওয়া উচিৎ এ সময়েই। তাই আমরা কম্পিউটারে আনন্দময় শিক্ষামূলক গেইমস ম্যাচিং কালারিং ড্রাগিং করিয়ে থাকি। কাজেই আমাদের আছে মিউজিক, লাইব্রেরী, আর্ট এবং কম্পিউটার ক্লাস যা সাধারণ ক্লাসগুলির পাশাপাশি করা হয়ে থাকে।

টুইংকল টুইংকল লিটিল স্টার হাও আই ওয়ান্ডার হ্যোয়াট ইউ আর!
নানা রকম ইভেন্ট যেমন আর্ট কম্পিটিশন, স্পোর্টস, কালচারাল প্রোগাম, বুক উইক, পয়েট্রী রেসিটেশন কম্পিটিশন, এসব তো রয়েছেই। আর এসব ক্লাসগুলোতেও নানা রকম ইন্টারেস্টিং এবং এট্রাক্টিভ ওয়েতে শেখানো হয় যে শিশুরা আনন্দ নিয়ে শেখে।
এছাড়াও Confidence built up এর জন্য আমরা presentation করিয়ে থাকি। ক্লাসরুম এবং এসেম্বলীতে বা নানা রকম ইভেনে্টে বাচ্চারা স্পীচ দেয় বা তাদের সৃজনশীল কাজগুলো উপস্থাপন করে।আমরা group activities করিয়ে থাকি যা বাচ্চাদের নিয়ম কানুন সহ ডিসিশন নিতে শেখায় এবং মিলেমিশে সকলের সকল রকম যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে একটি ফলপ্রসু কাজ করায়। যদিও প্রিপ্রাইমারী বা প্রাইমারী স্কুলের বাচ্চারা ছোট। এবং তাই এইজ লেভেল অনুযায়ী লেসনগুলোকে প্ল্যান করা হয়।

আমাদের স্কুলে প্লে গ্রাউন্ডে বানানো খেলা খেলা মার্কেটে খেলা খেলা বিকিকিনি।
Field trips - শিক্ষার সাথে জড়িত ফ্লিল্ড ট্রিপ বিশেষ জরুরী। তাই কোনো টপিকের উপরে ফিল্ড ট্রিপ যেমন প্লানটেশন শিখতে পারে শপিং মলে গিয়ে মানি কাউন্টিং। এসব হাতে কলমে শিখে আসার পরেও রিভিউ ও ফিব্যাকের ব্যবস্থা থাকে। মাঝে মাঝে আমাদের স্কুলে আনা হয় visiting speakers। যেমন doctor, army, player, author তারা তাদের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করে।

আলোচনার আরেকটি প্রশ্ন ছিলো-
• আমাদের দেশে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। সকল শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কি ধরনের উদ্যোগ নেয়া যায় ?

আমার মনে হয় যত ক্রাইটেরিয়া নিয়ম নীতি প্রনয়ন হোক না কেনো যদি শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষন না দেওয়া হয় তাহলে কোনো উদ্যোগই কখনও কার্য্যকরী হবে না। কাজেই প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষন। কাজেই আমি মনে করি শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধির র প্রথম হাতিয়ার সঠিক প্রশিক্ষন এবং এই প্রশিক্ষনের প্রথম ব্যপারটিই এফেকটিভ লেসন প্লান রাইটিং স্কিল শেখা বা বৃদ্ধি করা। আমার জানা মতে নাম করা যে সব স্কুল রয়েছে তারা সকলেই এই লেসন প্লানিং বিষয়টির উপর জোর দিয়েছে এবং অনেকেই এই লেসন প্লানিং রাইটিং এর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনিং করছে। এবং এটা খুবই জরুরী।

একটি অনলাইন লেসন প্লানিং এর কিয়নদংশ।
এরপর শিক্ষকের ইতিবাচক আচরণ- শিশুদের সাথে কাজ করতে গেলে শিশুদের মত করেই ভাববার বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে একটি শিশুর ভয় ভীতি দুঃখ বেদনা ভালোলাগা ভালোবাসার ব্যাপারটিকে মাথায় রাখতে গেলে কোন কোন বিষয়ে কাজ করতে হবে এ ব্যাপারে ট্রেইনিং বা প্রশিক্ষন প্রয়োজন। শিশুদের এইজ লেভেলের দিকটা মাথায় রেখে পড়া লেখা ও অন্যান্য সকল একটিভিটি পরিচালনা করতে হবে।

সৃজনশীলতা- আমরা জানি সকল শিশু এক ভাবে শেখে না। কেউ শিখে পড়ে পড়ে, কেউ শুনে শুনে কেউ বা খেলাধুলার মাধ্যমে কেউ বা নাচ গান কবিতা আর্টের মাধ্যমে। কাজেই একজন সৃজনশীল শিক্ষক এই সব বিষয়কে কাজে লাগিয়ে লেখা পড়াকে আরও ইন্টারেস্টিং ও সহজবোধ্য করে তুলতে পারে। এ জন্য শিক্ষকদেরকে সহজে কিছু ছবি আঁকার ট্রেনিং দেওয়া যেতে পারে, ছড়া বা কবিতা আবৃতি এবং গল্প বলা এসবের উপরে ট্রেনিং দেওয়া যেতে পারে।

খেলাধুলার মাধ্যমে পড়ালেখা- একটি খেলার উপকরণ থালাবাটিও যে টেবিল ম্যানার থেকে শুরু করে নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে পারে এমন সব প্রশিক্ষন দেওয়া যেতে পারে।

রিসোর্স ডেভলপমেন্ট- কোনো অবস্থাই আসলে প্রতিবন্ধক নয়। যে কোনো শিক্ষাদানে উদাহরণ ও নিজে নিজে হ্যান্ডস অন একটিভিটির জন্য রিসোর্স প্রয়োজন। এই রিসোর্সের ব্যবহার বা নিজেই বানিয়ে ফেলা এই ব্যাপারে ট্রেনিং দেওয়া যেতে পারে।


ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট - ক্লাসের টাইমিং থেকে শুরু করে আসবাবপত্র, ক্লাসের পরিবেশ ও ইতিবাচক ক্লাস কন্ট্রোল শিখতে হবে।

নানা প্রকার শিশু হ্যান্ডেলিং- সবাই শান্ত বাচ্চা না এ কথাটি মাথায় রেখে একেক বাচ্চাকে একেকভাবে কি করে শেখানো যায় সেদিকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অমনোযোগী ও ডিজরাপটিভ স্টুডেন্ট ক্লাসে কিভাবে শিক্ষা পাবে ও ইতিবাচক হবে এ ব্যাপারে টিচারের ট্রেনিং থাকতে হবে। প্যারেন্টস এবং শিক্ষক দুজনের কোঅপারেশনেই আসলে শিশুর সঠিক শিক্ষা হয়। তাই প্যারেন্টস গাইডলাইন বা তাদের সাথে কি বিষয়ে ইতিবাচক সম্পর্ক রাখতে হবে । তাদের সাথে যোগাযোগ কোন কোন বিষয়ে হতে পারে এসবের উপরেও ট্রেইনিং প্রয়োজন।

শিশুর মেন্টাল ও ফিজিক্যাল বিষয়ে সেফটি বিষয়ক ট্রেনিং- একটি শিশুর মানসিক নিরাপত্তা বা তার ল্যাক অফ কনফিডেন্স কাটিয়ে কিভাবে পড়ালেখায় সহ যোগীতা করা যায় এসব ব্যাপারেও ট্রেইনিং এর প্রয়োজন আছে। ফার্স্ট এইড ও শরীর চর্চার উপরে ট্রেইনিং হতে পারে। লাইব্রেরী বা কিভাবে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারে ট্রেইনিং হতে পারে। Book making বা - বাচ্চারা কিভাবে বই লিখবে বাধাবে কভার করবে এটার উপরেও ট্রেনিং হতে পারে। Flield trip training - এই ট্রেইনিং এ চেক লিস্ট কি কি নিতে হবে, কি কি শিখাতে হবে, কিভাবে গাইড করবে এসবের উপরেও ট্রেইনিং প্রয়োজন।

অনলাইন ক্লাসের স্ক্রিন থেকে।
শিক্ষানীতি প্রনয়ন, যঠিক পাঠ্যপুস্তক প্রবর্তন এসব ব্যাপারে মাথা ঘামানোর সাথে সাথে টিচার্স ট্রেইনিং বড় জরুরী বলেই আমার মনে হয়। ট্রেইনিং এবং সেই শিক্ষালদ্ধ বিষয়গুলিকে ক্লাসে ইম্প্লিমেন্ট করা এই দুই বিষয়ে মনিটরিং থাকতে হবে। কিন্তু সবচাইতে জরুরী টিচারের নিজের ইন্টারেস্ট। নিজের প্রফেশনের প্রতি দায়িত্বশীলতা ও নিজের কাজটাকে মূল্যায়ন করা নিজের কাছেই। নিজে শেখা বা কাউকে শিখাতে পারা আর তার সাফল্য দেখার আনন্দ কি সে জানে একজন সফল শিক্ষকই। আর শিশুদেরকে শিখানো তাদের হাতেখড়ি দেওয়া ও মুখে বুলি তুলে দেবার কাজটা যে কত আনন্দময় তা হয়ত নিজে শিশুদের শিক্ষক না হলে জানা হবে না কখনই কারো।


পৃথিবীর সকল শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা ও আমাদের দেশে সকল শিক্ষক যেন পেশাগত সঠিক প্রশিক্ষন পান সেই আমার চাওয়া।


এই লেখা একলব্যভাইয়ারকে উৎসর্গ করা হলো।

মন্তব্য ১৯২ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (১৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: র‍্যমি যাহা যাহা বল্লা ইহা কি গ্রামের কোন প্রাইমারী স্কুলে চর্চা করা হয় বা আগামীতে হবে কি না এটাও জানার ভাবার বিষয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

শায়মা বলেছেন: আমি চাই গ্রামের স্কুলে চর্চা করা হোক।
তাই যে কোনো ভাবে হোক তাই যেন হয়।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: তুমি যাহা যাহা বল্লা ইহা কি গ্রামের কোন প্রাইমারী স্কুলে চর্চা করা হয় বা আগামীতে হবে কি না এটাও জানার ভাবার বিষয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

শায়মা বলেছেন: আমি ঠিক এটাই চেয়েছি-
আমি যতদিন ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করছি শুধু লেখাপড়াই না আরও কিছু সাংস্কৃতিক বিষয়েও তাতে আমি নিজেই যতটুকু দক্ষতা দেখাতে পারতাম তার থেকেও বেশি আমার প্রশিক্ষনগুলো কাজে লেগেছে।
বাংলাদেশে গ্রামে গঞ্জেও যে সব স্কুল আছে সেসব স্কুলে শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষন দিলে আমার মনে হয় শিশুদের এই উপরে উঠে চলার সিড়িটার পথ সুগম হবে।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই যে ছবি দেখা যাচ্ছে না :(

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

শায়মা বলেছেন: ছবি দেখা লাগবেনা। লেখাটা পড়ো আপুনি।

পারলে প্রিন্ট করে গ্রামে যখন যাবে স্কুলের টিচারদেরকে দিয়ে দেখতে পারো আমার এই অং বং বুঝিয়ে বলতে চাওয়াটা তাদের কাজে লাগে কিনা।

আর কাজে লাগলেই শিশুদের আনন্দময় শিক্ষাপরিভ্রমন হবে। পড়ালেখার ভীতি তো দূরের কথা পড়ালেখা হবে আনন্দময় এক স্মৃতি।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলেই এগুলো(পেডাগোজিকাল ট্রানজিশন)এখন সময়ের দাবী। সুন্দর উপস্থাপন।+++++++

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

শায়মা বলেছেন: আমাদের দেশের বাচ্চারা এমনকি আমরাও ছোটবেলায় পড়ালেখাকে মোটেও সুখের বিষয় ভাবিনি। ভয় পেয়ে না বুঝে বুঝে যে কোনো উপায়েই এই সিড়ি ভাঙ্গতেই হবে, উপরে উঠতে হবে ভেবে জীবন মরণ পণ করে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে হাড় ভাঙ্গা খাঁটুনি খেটে উঠেছি।

আরও শুনেছি কষ্ট না করলে নাকি কেষ্ট পাওয়া যায় না। পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঁঠি, যতই পড়িবে ততই শিখিবে। বাপরে কত শত কথা।

কিন্তু এই শিশু বয়সে শিশু শুধুই পড়িয়াই শিখে না সে নানা রকম বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়গুলোতেও শিখে।
সেটাই সহজ আনন্দময় করে তুললে জীবনটাও যেমন সহজ হয় তেমনি শিক্ষাটাও ইউইজফুল হয়।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

Abida-আবিদা বলেছেন: পৃথিবীর সকল শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা। শিক্ষার কোন শেষ নাই।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ আপুনি।

বাংলাদেশের সকল শিশুর শিক্ষাজীবন আনন্দময় হোক।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার! ( পুরোটা পড়ার সময় হয়ে ওঠেনি)

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ! :)

আচ্ছা পরে পড়ো ভাইয়া।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " ছবি আর ছড়া,মজার মজার পড়া " -- আহা স্কুল মানে এমনি স্কুল হওয়া উচিত বা হওয়া চাই । তবে দূর্ভাগজনক ভাবে আমাদের দেশে খুব কম ছেলে-মেয়েরই এ ধরনের মজার স্কুল - আনন্দের স্কুল তথা পাঠদান প্রক্রিয়ার সাথে পরিচয় ঘটে।

প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের ছেলে-মেয়েরা এমনিতেই থাকে একটু বেশী নাজুক ও কৌতুহলী।আবার কেউ কেউ থাকে খুব অন্তর্মুখী বা লাজুক। আর এসবের ভিতর যার যার চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সঠিক শিখণ পদ্ধতি অনুসরন করে তাদের মেধার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একজন প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের শিক্ষকের মূল চ্যালেঞ্জ । অবশ্য এটাও ঠিক কতজন শিক্ষকই বা তাদের নিয়ে এভাবে। তারা শ্রেণীকক্ষে এসে তাদের মত করে তাদের জন্য নির্ধারিত সময় ব্যায় করে চলে যায়। বাচচারা শিখতে পারল কি পারল না ,তা নিয়ে খুব কম শিক্ষকই মাথা ঘামায়।

প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের বাচচারা গতানুগতিক পড়া-শোনা থেকে হাঁসতে-হাঁসতে, খেলতে-খেলতে শিখতে ভালবাসে এবং এই ভাবে তারা দ্রুত শিখতে পারে। আবার তাদের মাঝে কেউ কেউ বই পড়ে না শিখে ছবি-উপকরন-নাচ-ছড়া-গান ইত্যাদির মাধ্যমে শিখতে চায় এবং দ্রুত শিখতে পারে। সেই জন্য শিখন পদ্ধতিতে শুধু বইয়ের ব্যবহার না করে এসব বাচচাদের জন্য শিখন উপকরন ব্যবহার অধিক ফলপ্রসু।

আর তার জন্যই প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ জরুরী এবং এই শ্রেণীর শিক্ষকদের বিশেষ কিছু গুণ (ধৈর্য্য-কোমল মন ও সৃজনশীলতা ) দেখেই নিয়োগ দেয়া জরুরী যাতে করে তারা প্রতিটা কোমলমতি শিশুকেই তাদের কোমলতা-ভালবাসা দিয়ে ভালভাবে জীবনের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।


সবশেষে বনি , আপনার মত শিক্ষক পেলে এবং আপনাকে দেখে আরেকবার প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হতে মন ;) চাচছে যদিও তা আর সম্ভব নয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শায়মা বলেছেন:
হ্যাঁ মজার স্কুল নামে অনেক স্কুলই আছে কিন্তু স্কুলে ঢুকলে টিচারদের চেহারা আর পড়ালেখার চাপে মজার স্কুলের মজা বের হয়ে যায়।

(প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের ছেলে-মেয়েরা এমনিতেই থাকে একটু বেশী নাজুক ও কৌতুহলী।আবার কেউ কেউ থাকে খুব অন্তর্মুখী বা লাজুক। )


ঠিক তাই শুধু লাজুক আর অন্তর্মূখীই না। তারা না পারলে হীনমন্যতায় ভুগে বা ভয় পেয়ে যায়। যে জিনিসটা শিখার ক্ষেত্রে এক বড় বাঁধা।

(আর এসবের ভিতর যার যার চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সঠিক শিখণ পদ্ধতি অনুসরন করে তাদের মেধার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একজন প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের শিক্ষকের মূল চ্যালেঞ্জ । অবশ্য এটাও ঠিক কতজন শিক্ষকই বা তাদের নিয়ে এভাবে। তারা শ্রেণীকক্ষে এসে তাদের মত করে তাদের জন্য নির্ধারিত সময় ব্যায় করে চলে যায়। বাচচারা শিখতে পারল কি পারল না ,তা নিয়ে খুব কম শিক্ষকই মাথা ঘামায়।)

না আসলে সঠিক প্রশিক্ষন আর আর শিখে থাকা বিষয়গুলি ক্লাসে এপ্লাই করা এবং একই সাথে মনিটরনিং ও এপ্রিসিয়েশন বা রিওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষকদের মোটিভেশন আর কর্ম উদ্দিপনা বাড়ে। সব চেয়ে বড় কথা শিক্ষকের রুটি রুজির ব্যপারটা নিশ্চিত হলে কিন্তু মন দিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জই নেওয়া যায়।

যেমন আমার স্কুলের এত ঝামেলার মাঝেও রান্না খাওয়ার চিন্তা নেই তাই যেমনই এক্সপেরিমেন্ট করে শিশুদের নয়ে ভাবতে পারছি আবার এই লেকচারও লিখতে পারছি একজন দরিদ্র শিক্ষকের সেই ভাবনাটার জায়গায় কিন্তু অন্য ভাবনা এসে যাবে।

আমাদের দেশের প্রি প্রাইমারী বা প্রাইমারী শিক্ষকদের এই অর্থনৈতিক ব্যপারটার দিকেও মনে হয় নজর দেওয়া উচিৎ।

একজন সুখী শিক্ষক শিশুদের মনেও আনন্দ আনতে পারবে যা বিরক্ত হয়ে থাকা দুঃখে থাকা নানা রকম সংসার ও সামাজিক চাপে থাকা শিক্ষক পারবেন না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩২

শায়মা বলেছেন: প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের বাচচারা গতানুগতিক পড়া-শোনা থেকে হাঁসতে-হাঁসতে, খেলতে-খেলতে শিখতে ভালবাসে এবং এই ভাবে তারা দ্রুত শিখতে পারে। আবার তাদের মাঝে কেউ কেউ বই পড়ে না শিখে ছবি-উপকরন-নাচ-ছড়া-গান ইত্যাদির মাধ্যমে শিখতে চায় এবং দ্রুত শিখতে পারে। সেই জন্য শিখন পদ্ধতিতে শুধু বইয়ের ব্যবহার না করে এসব বাচচাদের জন্য শিখন উপকরন ব্যবহার অধিক ফলপ্রসু।

হ্যাঁ শুধু বই খাতা পেন্সিলই না শেখানোর নানা উপকরণ আছে। যা আসলে বুঝতে শিখে গেলে বা জেনে গেলে খুব কম খরচে এমনকি রিসাইকেল করেও বানানো যায়। বা আমাদের আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিস পাতি দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায়।

আর তার জন্যই প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ জরুরী এবং এই শ্রেণীর শিক্ষকদের বিশেষ কিছু গুণ (ধৈর্য্য-কোমল মন ও সৃজনশীলতা ) দেখেই নিয়োগ দেয়া জরুরী যাতে করে তারা প্রতিটা কোমলমতি শিশুকেই তাদের কোমলতা-ভালবাসা দিয়ে ভালভাবে জীবনের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।

হ্যাঁ আমিও মনে করি ধৈর্য্যবান হাসিখুশি এবং আন্তরিক এবং অবশ্যই কাজ করতে ভালোবাসে এমন উদ্যমী মানুষদেরকেই এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে।


সবশেষে বনি , আপনার মত শিক্ষক পেলে এবং আপনাকে দেখে আরেকবার প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হতে মন ;) চাচছে যদিও তা আর সম্ভব নয়।

হা হা এটাকেই অনলাইন ক্লাস মনে করো ভাইয়ু!

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: ভালো লাগে এই সব পোষ্ট । ভালো ধারনা ও আইডিয়া পাওয়া যায়

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। আশে পাশে কোনো টিচার থাকলে তাকে পড়তে বলো আর তার থেকেও ধারনা নিয়ে আমাকে বলে যেও।
এই পোস্ট একেবারেই নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

একলব্য২১ বলেছেন: তুমি আমাকে বিব্রত আর অসহায় অবস্থায় ফেলে খুব মজা পাও তাই না। এর আগে আরও একবার মিরোরডলের সাথে যৌথভাবে একটা লেখা ডেডিকেট করেছিলে সেবার এতটা লজ্জা পাইনি। এইবার তো আমি শেষ। ভাগাভাগি করার মত কেহ নেই। হা হা হা.....এটা বিব্রতকর ক্যাবলা হাসি। আমারে মাফ করা যায় না অদূর ভবিষ্যততে। হা হা হা...... Anyway, I am extremely honored. আজকের লেখা অনেক অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ও তথ্যপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের দেশে এটা কতটা প্রয়োগযোগ্য বা কতজনই-বা এগুলো বুঝে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

আচ্ছা বাচ্চাদের মোবাইলে গেইমস খেলার ব্যাপারে তোমার ধারনাটা একটু বলবা। ক্ষুদের স্কুলের ব্রাদারের strong recommendation হলো বাচ্চাদের মোবাইলে একদম গেইম খেলতে দিবেন না। ওদের ক্লাস টু-তে সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হতো। আগামী সপ্তাহ থেকে বোধহয় সপ্তাহে তিন দিন করে ক্লাস নিবে বলে মনে হয় জোড় বিজোড় রোল নম্বরে ভাগ করে। তোমার স্কুলের কি অবস্থা এখন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৩

শায়মা বলেছেন: হা হা না ভাইয়ু তুমি পড়ালেখা বিশেষ করে তোমার ঐ ক্ষুদের পড়ালেখা নিয়ে জানতে অনেক আগ্রহী দেখেছি তাই মনে হলো তোমাকেই উৎসর্গ করা উচিৎ।

হ্যাঁ আমাদের দেশেই এটা প্রয়োগ হচ্ছে ক্ষুদ্র পরিসরে। মানে কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। বাংলা মিডিয়াম বা আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জেও যেম শিশুদের শিক্ষকেরা এই উপায়গুলি নিয়ে ভাবে বা জানে বা প্রশিক্ষণ পায় যেন তারা শিশুদেরকে আনন্দময় নির্ভয় পড়ালেখা শৈশব দিতে পারে এটাই আমার চাওয়া।

মোবাইল গেইম তো আমারও মনে হয় না খেলায় ভালো। কিন্তু একটা ব্যপার আছে মোবাইল গেইম খেলা বা না খেলfা নির্ভর করে এডিকশনের উপরে। কিছু সময়ের জন্য মনিটরিং এর মাধ্যমে খেলতে দিলে সমস্যা কি? ছোট থেকেই যদি বুঝিয়ে বলা শেখানো হয় তাহলে শিশি নিজেই আত্ম নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হবে মানে যাই করুক আর তাই করুক জাঁতে মাতাল তালে ঠিক হবে।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পেডাগোজিকাল" - উচ্চারণটা পেডাগোগিকাল হবে। মূল শব্দ "পেডাগগ" (pedagogue)।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া।
সবার কমেন্ট বাদ রেখে তোমারটার উত্তর আগে দিতে আসতেই হলো।

এই ভিডিও দেখো ভাইয়ামনি :P

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই উচ্চারন নিয়ে আমাকে একটু রিসার্চ করতে হয়েছিলো। কারণ বাংলায় আমি শান্তি নিকেতনী বটে কিন্তু ইংলিশ নিয়ে মাঝে মাঝেই আমার উচ্চারণও শান্তি নিকেতনী হয়ে যায় আর তাই আমাকে গবেষক হতে হয়। ঐ আলোচনার আগেও সেটাই হয়েছিলো। তারপর এইটা দেখে বুকে বল নিয়ে এগিয়ে গেলাম!

https://www.youtube.com/watch?v=f6_3qr5HAn0

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাচ্চাদের জন্য এত ধরনের ব্যবস্থা রাখার মত সামর্থ্য বাংলাদেশের ৯৯% স্কুলের নেই। কবে হবে কেউ বলতে পারে না। এগুলি বিত্তশালীদের জন্য। গুলশানের বাচ্চা এবং গ্রামের একটি বাচ্চার একই ধরনের শিক্ষা উপকরণ থাকার কথা।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আই ওয়াজ মিসিং ইউ। ভাবছিলাম কই হারায় গেলে? সত্যিই কাল রাতে ভাবছিলাম এটা।

যাইহোক বাংলাদেশের জন্য এত ধরনের ব্যবস্থা আসলে আছে। শুধু জানা নেই কেমনে সেটা ক্লাসে ইমপ্লিমেন্ট হবে। এটাই জানতে হবে। আমিও আগে ভাবতাম আই এস ডি এর যত কিছু আছে ঢাকা শহরের অনেক বড় স্কুলেরও তা নেই। কিন্তু চাইলেই আই এস ডি এর মত অনেক দামী রিসোর্সেস না হোক কম দামী দিয়েও একই জিনিস শেখানো যায় আর অতি আনন্দের সাথেই।

না এইগুলি বিত্তশালী ছাড়াও যে কোনো স্কুলেই করা সম্ভব সদিচ্ছা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল্গুলোতেই কেবল বিদেশি আদলে এই ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম আশা করা যায়। বিনিময়ে গার্জিয়ানদের মাসে মাসে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। কিন্ত বিদেশে প্রি প্রাইমারী থেকে , প্রাইমারী , সেকেন্ডারী , হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত এই ধরনের উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা নাগরিকদের জন্য ফ্রি ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১২

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু হোক আমাদের দেশের স্কুলগুলোতেও। গ্রামে গঞ্জে সবখানেই।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও আপনার মত আশাবাদী যে বাংলাদেশের সর্বত্র এই ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি ও উপকরণ এক সময় সল্প ব্যয়ে সহজলভ্য হবে।

আপনি অনেক পরিশ্রম করে এই সুন্দর লেখাটা লিখেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই ধরনের লেখার জন্য।

আমার আগে ব্লগ হারিয়ে যায় কি না তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। :)

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩১

শায়মা বলেছেন: নো দুশ্চিন্তা।

যা কিছু হারায়ে গেলো যাক না নীল আকাশে মেলো পাখনা।

আমি আশাবাদী বটে তবে হারিয়ে গেলে নতুন করে কিছু না কিছু আশার আলো আসবেই বলেও আশা করি।

আমি খুবই অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী। কিছু কাজ অনেক পরিশ্রম নিয়ে ভেবে চিন্তে করি বলতে গেলে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকে না আর কিছু কাজ অবলীলায়। যা মনে এলো গেলো তাই। দ্বৈতস্বত্তা হতে পারে। অবশ্য প্রতিটা মানুষেই দ্বৈতসত্তা আছে।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৩

একলব্য২১ বলেছেন: তুমি পড়ালেখা বিশেষ করে তোমার ঐ ক্ষুদের পড়ালেখা নিয়ে জানতে অনেক আগ্রহী দেখেছি তাই মনে হলো তোমাকেই উৎসর্গ করা উচিৎ।

Justified এবং আমি সম্মানিত।

শায়মা আপু, এটা অনেক মূল্যবান পোস্ট। আমি সময় নিয়ে এই পোস্টটি পড়বো। 'Transition pedagogy' এই টার্মটির সাথে আমি একদমই পরিচিত ছিলাম না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫৬

শায়মা বলেছেন: ক্ষুদে তো একদম গাল্লুগুল্লু গুডু বয় দেখা যাচ্ছে। অনেক অনেক ভালোবাসা।

পেডাগোগি নাকি পেডাগোজি এই টার্মের সাথে আমারই পরিচয় ছিলো নাকি?

আমিও তো শিখতে শিখতে শিখেছি।

আমি চাই আমাদের দেশের সব স্কুলের পড়ালেখায় আনন্দময় হোক।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার মতামত। আরও কয়েকবার পড়তে হবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫৮

শায়মা বলেছেন: পড়ো ভাইয়া। কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে আমাকে জানাবে।বা তুমি কিছু জানলেও আমাকে জানাবে।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৩

একলব্য২১ বলেছেন: আচ্ছা শায়মা আপু,

ট্র্যাডিশনাল স্কুলগুলো যেমনটা ক্ষুদে পড়ে। ওরা কি এই Pedagogical transition follow করে। ওদের কারিকুলামে কি তুমি যা আলোচনা করেছো তা থাকে। ওদের স্কুল অথরিটি কি এই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৮

শায়মা বলেছেন: আমি সেটা জানিনা।
ঐ স্কুল খুবই নাম করা। কিন্তু ট্রেডিশনাল স্কুলগুলো এখনও মান্ধাতার আমলের মত এক গাদা পড়া দিয়ে ভীতিকর করে তুলে বলেই আমার মনে হয়।

পড়ালেখা যে আনন্দময় করে তোলা যায় বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এইগুলো নিয়ে প্রাকটিস ও কাজ করছে খুব গুটিকয় স্কুলগুলি।

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কন্যা ফারাজাকে আপনি পড়াবেন?

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৯

শায়মা বলেছেন: পড়াবো। কিন্তু কেমনে বলো? আর কি পড়াতে চাও ভাইয়ুমনি?

ফারাজা মানে ছোট্ট পুচ্চিটাতো?

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩০

শ।মসীর বলেছেন: আমাদের দেশে যারা শিশু শিক্ষার সাথে জড়িত তাদেরকে বাস্তবিকই কোন ট্রেনিং দেয়া হয় বলে আমার মনে হয়না, অন্তত প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের তো না ই । অথচ ওনাদের দরকার সবচেয়ে বেশি ট্রেইনিং । এক একটা শিশুর সাইকোলজি এক এক রকমের। সবাইকে বশে এনে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষনের কোন বিকল্প নেই ।

আর এই পোস্টের মত এত সুন্দর ভাবে যদি শিশু শিক্ষা চালু করা যেত :(
আমাদের শিশুদের শিশব টা কি সুন্দর রংগীন হয়ে উঠত সে কথা ভাবতেই ভাল লাগছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০১

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি এটাই জেনেছিলাম যখন গত বছরের শেষদিকে বাংলাদেশের নতুন করে প্রি প্রাইমারী সেকশনে পাঠ্যপুস্তক প্রনয়ন বিষয়ক একটা ওয়ার্কশপ হয়েছিলো। সেখান থেকেই জেনেছিলাম শুধু মাত্র ১৫ দিন বা ১১ দিন এমন কিছু খুব স্বল্প সময়ের জন্য প্রশিক্ষন দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই ট্রেনিং অন্তত ৬ মাস হওয়া উচিৎ। আমার এই চাকুরী জীবনে আমি কত শত ট্রেইনিং করেছি গুনেও বলতে পারবোনা মনে হয় ৬ মাস থেকে ১ দিনের ট্রেনিং সবই জরুরী। কিন্তু শুধু ১৫ দিন ট্রেনিং বা ওয়ার্কশপে কখনই শিশুদের চেনা জানা বা তাদের সাথে কিভাবে রিলেশন ক্রিয়েট করতে হবে বা শিখাতে হবে তা জানা সম্ভব না।
হ্যাঁ এক্সপেরিয়েন্স একটা ব্যপার বটে তবে সঠিক প্রশিক্ষনে মাথায় অনেক কিছুই ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব।

হ্যাঁ আমারও মাঝে মাঝে কষ্ট লাগে কি আনন্দময় শৈশব আর সন্মান নিয়ে বাচ্চারা বড় হচ্ছে এখানে আর আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জে বাচ্চাদের সঠিক শিক্ষন নেই, সন্মান নেই। আনন্দময় শৈশব তাই মাঝে মাঝেই ভীতিকর হয়ে ওঠে।

থ্যাংক ইউ ভাইয়া পোস্টে আসার জন্য ! :)

১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এই লেখাটিতে বাচ্চাদের শিক্ষাপদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উঠে এসেছে। এসকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর সঠিক ও বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে সারাদেশে এই ব্যবস্থা ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকারি প্রথমিক শিক্ষা একটা বিভীষিকার নাম বাংলাদেশে। বেত আর মানসিক শাসনের মাধ্যমে বেশির ভাগ সময় ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেখানে। আর আনন্দ ও মজা নিয়ে পড়ার কথা বাদ দিলাম। শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং এরকম নীতিমালা থাকলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাবে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৪

শায়মা বলেছেন: আমারও চাওয়া এটাই ভাইয়া। তোমার কথাগুলি বড় মূল্যবান। তুমি যে কটা লাইন বলেছো সে কটা লাইন শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে চাওয়া।

এসকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর সঠিক ও বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে সারাদেশে এই ব্যবস্থা ছড়িয়ে দিতে হবে। - অবশ্য কাম্য।
সরকারি প্রথমিক শিক্ষা একটা বিভীষিকার নাম বাংলাদেশে।- এই বিভীষিকা দূর হোক।
বেত আর মানসিক শাসনের মাধ্যমে বেশির ভাগ সময় ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেখানে। আর আনন্দ ও মজা নিয়ে পড়ার কথা বাদ দিলাম। - নো ফিজিক্যাল পানিশমেন্ট। নো ভারবাল এবিউস।

শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং এরকম নীতিমালা থাকলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাবে। - হ্যাঁ অবশ্যই হ্যাঁ।

ভাইয়া অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ মাথায় ভেতরে আরও সুন্দরভাবে কথাগুলি ঢুকিয়ে দেবার জন্য।

আসলেই প্রাইমারীতে এখন কি হয় কেমন হয় যারা জানে তারা যদি এই পোস্ট পড়ে বলতো তাহলে আমার নিজেরও জানা হত আরও।

২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জেলা এবং উপজেলায় বাচ্চাদের স্কুল কিছুটা মান সম্মত হলে গ্রামের হাজারো স্কুলের মান বলতে কোনো উন্নতিই হয়নি। মেডামেরা উকুন খুজে একে অন্যের মাথায় । :D

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৬

শায়মা বলেছেন: এটাই ভীষন কষ্টের ভাইয়া। আমাদের দেশের প্রতিটা স্কুলে বাচ্চাদের আনন্দময় শিক্ষাজীবন কবে হবে?

২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

একলব্য২১ বলেছেন: গুরু বিনা কেইসে গীত ও গাও।

তোমার লেখাটা পড়লাম ধীরে সুস্থে সাথে কয়েকটা কমেন্টও। বাকীগুলো একটু বাদে পড়বো। এই article এর সাথে কিছু important linkও আছে ক্লিক করে সবিস্তারে পড়বো। আর এগুলো দেখে আর পড়ার পর উপরে বাক্যটি মনে পড়লো।

তুমি এত passionate বাচ্চাদের সুশিক্ষার জন্য। মাই গুডনেস!

এই লেখা স্টিকি হওয়া উচিত।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৭

শায়মা বলেছেন: সঙ্গীত,নৃত্যকলা সবই গুরুমুখী বিদ্যা।
যদিও তখনকার দিনে ইউটিউব গুগল থাকলে এই টার্ম থাকতো কিনা জানিনা।
আমি একটা সময় মোগলাই আর মাইক্রোওয়েভ শিখেছিলাম দীপা আমিনের কোর্স থেকে। আজ ভাবি হায়রে ইউটিউব গুগল তো তাদের বাবা বা মা।

যাইহোক আমি আনন্দে বাঁচতে ভালোবাসি। এর মাঝে যখন কোনো দুঃখ, বেদনা বা রাগ ক্ষোভ এসে যায় সেটাও আমার আনন্দ আমি এমনই ফিল করি। জীবনে আসলে সবই মূল্যবান। অনেক আনন্দে কাউকে জড়িয়ে ধরা বা দুঃখ ও বিরহে কারো জন্য সারাজীবন কাঁটিয়ে দেওয়া। দুই এর মাঝেই একটা আনন্দ আছে যার মূলে থাকে ভালোবাসা।

যদিও আমি যত দুষ্টামীই করিনা কিনা আমি ছোটবেলায় বেশ সিরিয়াস টাইপ পড়ুয়া ছিলাম এবং আমার ফলাফলও ভালো ছিলো তবুও মাঝে মাঝেই শিক্ষকদের ভুলগুলো আমার হৃদয়ে বেদনার সৃষ্টি করতো। আরেকটা কথা বলতে চাই শিক্ষকদের সাথে সাথে বাবামায়েদেরও অনেক ভুল আছে। শিশুদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া।

বিদেশে শিশুপালন বা প্যারেন্টাল গাইড থাকে। আজকাল বাবারাও জানে বাচ্চা রাতে কাঁদলে মাকেই শুধু জেগে থাকতে হয় কোলে নিতে হয় তাই না এতে বাবাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। কিনতু আমাদের দেশে সব কষ্টই শুধু মায়াদেরই। যত ভুল শুধু বাচ্চাদেরই। শুধরাবার উপায় শাসন বারন আর শাস্তি।

চাই আমাদের জীবনে ছোটবেলায় যত কষ্ট হলো আর যেন তেমনটা কারো না হয়। মানুষ এখন সভ্য হয়েছে অনেক জানছে আরও জানুক আরও বুঝুক আরও শিখুক।

শৈশব হোক আনন্দময়।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩০

শায়মা বলেছেন: তোমার জন্য আমার স্টোরি টেলিং সেশন থেকে দুইটা ছবি।



২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪২

শায়মা বলেছেন:
গল্প- রাখাল ছেলে ও বাঘ

গল্প- সোনার ডিম পাড়া রাঁজহাস

সোনার কুঠার

২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০১

জাহিদ অনিক বলেছেন: ওরে বাপ রে ! বিশাল বড় পোষ্ট!
শুধু হাজিরা দিয়া গেলাম। B-)

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২০

শায়মা বলেছেন: এক প্যারা করে পড়ো ভাইয়ু! তারপর গ্রামে গঞ্জে যেখানেই দেখিবে বাবুদের টিচার তাদেরকেই ধরে ধরে বুঝাও!

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দীর্ঘ দিন যাবত বাচ্চাদের ক্লাশ হচ্ছে অন লাইনে, কেমন হচ্ছে, কি হচ্ছে, কতটুকু বুঝছে, তাই বুঝতে পারছি না।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২২

শায়মা বলেছেন: আমি নিজে অনলাইন ক্লাস নিয়ে মোটামুটি হ্যাপী। কারণ যা ভেবেছিলাম করানো যাবেনা সেই অসাধ্য আমরা সাধ্য করে ছেড়েছি।
তবুও শেয়ারিং, কেয়ারিং, একে অন্যের থেকে শেখা, খেলাধুলা, নানা রকম সামাজিকতা এসব থেকে বাচ্চারা বিছিন্ন থেকে কিছুটা মানসিক ও শাররিক সমস্যায় পড়ছে।

২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১১

একলব্য২১ বলেছেন: শহরে গ্রাম গঞ্জে অনেক দিনমজুর মানুষ ক্ষুধা পেলে মাটির একটা পাত্রে কিছু ভাত লংকা আর পিঁয়াজ দিয়ে খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করেন। এতে ক্ষুধা মিটে ঠিকই জীবন ধারণ করাও যায় কিন্তু ইহাকে নিশ্চয় ব্যালেন্সড ডায়েট বলা যাবে না। আমাদের নানা ধরনে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা ধরনের অসঙ্গতি আছে। সবাই সব জানে তাই আমি এ নিয়ে কথা বাড়াতে চাচ্ছি না।

এই লেখাটা অনেক পরিশ্রমী এবং অত্যন্ত উপযোগী লেখা। এই লেখা পড়ে আমি সহ অনেকেই উপকৃত হবেন। যথাযথ জায়গায় এই লেখা পৌঁছে গেলে এই লেখা থেকে আরও অনেক ছাত্রছাত্রীর কল্যাণ হবে।

প্রথম শুরুটা সামু করতে পারে এই লেখাকে স্টিকি করে। সামু কর্তৃপক্ষের ইমেইল আইডি আমার জানা নেই। ঘুর পথে জানাবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৯

শায়মা বলেছেন: স্টিকি করে কি হবে জানিনা তবে আমি নিজেই পৌছে দেবো বা দিতে পারবো কিছু কিছু যথার্থ স্থানে।

অবশ্যই শিক্ষা অধিদপ্তরের আমার চাইতেও বেশি চিন্তা ভাবনা আছে এই ব্যাপারে তবুও আমার মনে হয় শিশুদের জন্য আনন্দময় শিক্ষাদানের ব্যাপারে আসলেই মনোযোগী হওয়া উচিৎ অতি সত্ত্বর।

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু।

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩২

শায়মা বলেছেন: নুরুল ভাইয়া।

কেমন আছো?

জানার আর জানানোরও আছে আসলে। :)

২৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাংলাদেশের কয়টা স্কুলে এমন মনোবিকাশের শিক্ষা দেওয়া হয় প্রিয় শায়মা টিচার জানার সাধ জাগে।
আবার এমন আধুনিক শিক্ষা পেয়ে এই শিশুরা যখন অন্য স্কুলে বা অন্য টিচারের কাছে ভিন্ন ব্যবহার পাবে ভীষণ এটা ধাক্কা খাবে তারা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩৫

শায়মা বলেছেন: দেওয়া হয় না আপুনি।
খুব গুটিকয় স্কুল আছে। আমি সে সবের মাঝে একজন ভাগ্যবান টিচার।
তাই তো আমি চাই এমন সব স্কুলগুলোতেই হোক।
না সব স্কুল এমন হোক আপুনি এটাই চাওয়া।

কম বেশি হলেও আনন্দময় শৈশব পাক সব বাচ্চারাই।

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: এই আনন্দময় শৈশব মন বিকাশের সুযোগ এমন শিক্ষাই দেওয়া হয় বিদেশে বাচ্চাদের। পথ চলার মূল ভীত তৈরি করে দেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা।
একজন টিচার হিসাবে তুমি চেষ্টা করছো সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমার কষ্ট লাগে এই আনন্দময় শিক্ষা দীক্ষা আমরাও পাইনি আমাদের শৈশবে। আমাদের দেশের বাচ্চরাও পাচ্ছে না।

তবে আপু আমি আমার আনন্দময় মুহুর্ত বানাতে শিখেছি।

তোমার আনন্দও আমার অনেক ভালো লাগে।


লাভ ইউ আপুনি!!!!!!!

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৮

মোঃ মুনাব্বির হোসেন বলেছেন: অনেক দামী একটি লেখা। তত্ত্বীয় আলোচনার সাথে আপনার অভিজ্ঞতা মিশিয়ে চমৎকারভাবে পেডাগজিক্যাল ট্রানজিশন বিষয়টা উপস্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বর্তমানে যে শিক্ষাক্রম প্রচলিত আছে সেটা বাস্তবায়নে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। শিক্ষকদের ন্যূনতম একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলি ঘুরে দেখলে অবাক হতে হবে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকগণ আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। কারও কারও মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা গেছে বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই। সীমিত পর্যায়ের রিসোর্স নিয়ে কীভাবে এসকল বিদ্যালয় চলছে তা সত্যিই আশ্চর্যজনক।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৭

শায়মা বলেছেন: মুনাব্বির ভাইয়া অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে আমারও গ্রামে গঞ্জের বিদ্যালয়গুলি সম্পর্কে খুব সুস্পষ্ট ধারণা নেই।
তবে বুঝতে পারি একটা দুইটা স্কুলে যা পারছি তা গ্রামবাংলার হাজার স্কুলে সম্ভব হচ্ছে না।

তবে
(বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বর্তমানে যে শিক্ষাক্রম প্রচলিত আছে সেটা বাস্তবায়নে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। শিক্ষকদের ন্যূনতম একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলি ঘুরে দেখলে অবাক হতে হবে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকগণ আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।)

এটা জেনে ভালো লাগলো এবং নুন্যতম প্রশিক্ষন থেকে এই প্রশিক্ষনের ব্যাপারটি আরও জোরদার হোক। দরকারে আমি ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষক হবো ভাইয়া। আবারও অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু এটা কি আগে কখনো দিয়েছিলেন ? মনে হচ্ছে আগে যেন পড়েছি।
তবে এই পোস্টটির আদর্শ জায়গা শিক্ষন প্রশিক্ষণ নীতির কোন গাইডলাইনে। সাধারণ বাচ্চাদের সঙ্গে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাচ্চাদেরকেও হৃদয়গ্রাহী করতে এমনি পেডাগগির দরকার। এককথায় সুপার্ব++

পোস্টে পঞ্চদশ লাইক।

শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০২

শায়মা বলেছেন: না আগে কোথাও দেইনি। তবে অনলাইন ক্লাসের কলাকৌশল লিখেছিলাম আর এই পোস্টের ছবিগুলো ফেসবুকে দেখেছো মনে হয়।
হ্যাঁ আমিও চাই টিচারেরা একটু ভাবুক, বুঝুক।


হ্যাঁ আমি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাচ্চাদের একটা কোর্স করেছিলাম। তবে তাদের শিক্ষন পদ্ধতি চাহিদা ভেদে বিভিন্ন হয়।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১০ নং মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য প্রসঙ্গেঃ
অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, সুন্দর দুটো প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে আমার ভুলটি ভাঙিয়ে দেয়ার জন্য। অনেকদিন ধরেই আমি এ ভুল ধারণাটি মনের মধ্যে ধারণ করে আসছিলাম।




২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া অনলাইন ক্লাস শুরু হবার পর থেকে উচ্চারণ নিয়ে আমাকে বিশেষ সাবধানে থাকতে হয়। একটু থেকে আরেকটু হলেই আমাদের হাভার্ড , অক্সফোর্ডে পড়া প্যারেন্টসরা তেড়ে ফুড়ে আসবে। তাই কোনো কিছু আটকালেই সাথে সাথে গুগল উচ্চারণ।

আর তাছাড়া এই আলোচনায় অংশ নেবার আগে আমি উচ্চারনটা নিয়ে রিসার্চ করেছিলাম। অনেকেই পেডাগগিও বলে। কোনোই সমস্যা নেই।

৩১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার, সুলিখিত এবং সুবিবেচিত একটি পোস্ট!

শুধু লেখাই নয়, উপযুক্ত illustrative ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ সংযোজন করে পোস্টটিকে ছোট বড় সকল পাঠকের জন্য সহজবোধ্য এবং সুখপাঠ্য করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এটি একটি অসামান্য কাজ হয়েছে। বুলীইং এর ব্যাপারে কান্নারত শিশুর ছবিটা আমাকে স্পর্শ করেছে।

আপনার এ আলোচনাটি থেকে অনেক শিক্ষক এবং অভিভাবক উপকৃ্ত হবেন বলে আশা করি। বিশেষ করে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিতদের মাঝে আমি এ আলোচনাটির বহুল প্রচার কামনা করি। জাতীয় দৈনিকগুলোর কোন একটাতেও আপনি এ পোস্টটা ছাপানোর জন্য পাঠাতে পারেন।

পোস্টে প্লাস। + +

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৯

শায়মা বলেছেন: লেখার সময় আমি চেষ্টা করছিলাম সবাই যেন বুঝতে পারে। আমার চেষ্টার ত্রুটি ছিলো না। কিন্তু তবুও মনে হয় শিক্ষকতার সাথে জড়ি্ত মানুষজন ছাড়া কেউই বুঝবে না।

বুলিং এর বাচ্চাটার জন্য কলিজা ফেটে যায়। :(


জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করে কি হবে?

টিচারদেরকে হাতে কলমে বুঝিয়ে দিতে যেতে হলেও যেতে চাই।

৩২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:৩৭

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে!!! পোলাপান পড়ানো এত্তো কঠিন কাজ!!! আমি নাই।...

আমি বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসি। তাই সেদিন কথায় কথায় আমার পোলাপানদেরকে বল্লাম যে, ধরো আমি যদি আমার ক্যারিয়ার চেইন্জ করে কেজি স্কুলের টিচার হয়ে যাই তাহলে কেমন হবে?? বলা যা দেরী, দুই পোলাপান আমার উপর ঝাঁপায়ে পড়লো। বললো, তুমি যদি পাগল হবার জন্য কোন রাস্তা না পাও তাহলে আমাদেরকে বলো। তোমারে সঠিক পথ দেখাবো। তোমার যা মেজাজ তুমি দু'দিনেই পোলাপানগুলারে পিটায়ে ভর্তা বানাবা। যে ভয়ংকর দুস্টামি এরা করে তা না দেখলে বুঝবে না। এরপর তোমার নামে প্যারেন্টসরা কেইস করবে........ হাহাহাহা

ওওও বলে রাখি, আমার ছেলে আবার গ্রেড ৭ থেকেই টিচার এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতো ওর স্কুলেই। ও খুবই জনপ্রিয় ছিল বাচ্চাদের মাঝে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫১

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি এতদিনে বুঝলে তো আমার কেনো এত ধৈর্য্য!!!! :P

অনেকেই প্রশ্ন করেছে এত এত পাগলামী করার, সহ্য করার, উত্তর দেবার এবং এত সব পোস্ট লেখার ধৈর্য্য পাই কেমনে!!!!


এইবার বুঝলে নিশ্চয় কেমনে!!

৩৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২১

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

তুমি আমার দেখা একজন perfectionist মানুষ। যে অনেক পরিশ্রমী এবং সব কাজ নিখুঁতভাবে করতে চায়। তবে তোমার ধৈর্য্য দেখে আমি বিস্মিত। বাংলাদেশে শিশুদের বর্তমান শিক্ষার হাল হাকিকাত সম্পর্কে আমি খুব একটা জ্ঞাত নই। ক্ষুদের কারণেই বর্তমানে শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার এত কৌতূহল।

তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। তাই তোমার লেখা পড়ার জন্য আমার এত আগ্রহ। ক্ষুদেকে তো আমি সামলে নেব। কিন্তু এই লেখাটা সর্ব সাধারণের কাছে পৌঁছালে বেশ হতো। কারণ কম বেশী প্রায় প্রত্যেকের বাড়ীতে শিশু শিক্ষার্থী আছে এবং ওরে খুব কষ্টে আছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২২

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ! আসলেই আমি পারফেকসনিস্ট আমি জানি । কিন্তু পারফেকশনিস্ট হওয়া নিজের জন্য ও আশেপাশের মানুষের জন্য কষ্টকর।

আমিও জানিনা সম্পূর্ণভাবে শুধু জানি খুব একটা উন্নতি হয়নি। এর কারণ অজ্ঞতা ও নানা প্রতিকূলতা।

মুনাব্বির ভাইয়ার কমেন্ট দেখো। ভাইয়া শি্ক্ষা অধিদপ্তরের সাথে জড়িত। ভাইয়া নতুন করে ঢেলে সাজানো পাঠ্যপুস্তক প্রনয়নের এক ওয়ার্কশপ/ সেমিনারে আমাকে নিয়ে গেছিলো। ভাইয়া অনেক অনেক বেশি জানেন এই ব্যাপারে।

এই লেখা না হোক এমন লেখা আজ না হোক কাল পৌছুবে হয়ত কিন্তু যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো।

৩৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:

আপুটা, দরজায় দাড়িয়ে ভাবছি ভেতরে আসবো কি আসবো না । নাকি এখান থেকেই বিদায় নেবো । #:-S

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

শায়মা বলেছেন: হা হা হা এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে। :) :)

কেমন আছো মিররমনি???

সব সুখবর ভালো তো?

শুনো আমি তোমার জন্য আর ৫ মিনিটের মধ্যে একটা কমেন্ট দেবো। সেটা শুধু দেখবে তারপর আমি মুছে ফেলবো। ওকে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

শায়মা বলেছেন: মিররমনি দয়িতা সরকারের পোস্ট পড়ো। সাবধানে কমেন্ট দিও হয় বকা খাবে নয় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে কমেন্ট দেবে।
কিন্তু আমি সত্যিই চাই তার জন্য কিছু একটা হোক।

কি হচ্ছে তার সমস্যা আমরা হয়ত সত্যিই সেটা বুঝতে পারছি না। :(

আমার অনেকটাই খারাপ লাগছে আসলে।

৩৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:



হোয়াট হ্যাপেন্ড ?
লেট্ মি চেক ফার্স্ট ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমার মনে হয় তার সত্যিই হেল্প দরকার।

৩৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:



দেখলাম আপু লাস্ট দুটো পোষ্ট ।
এখানে কি বলবো !
সেকেন্ড লাস্ট পোষ্টে নতুন খুব সুন্দর এডভাইস করেছে কিন্তু প্রতিমন্তব্য দেখে আমি অবাক ।
আর কিছু বলার নেই ।




২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৪

শায়মা বলেছেন: আমিও চিন্তায় পড়েছি।

নতুন গবেষনায় রত হবে দেখছি।

কিন্তু ব্যপার বুঝছিনা পরিবার সমাজ রাষ্ট্র।

এত কিছু ভাবতে গেলেই তো আমার মাথা গুলায় যায়। পরিবার আর সমাজ পর্যন্ত ঠিক আছে কিন্তু রাষ্ট্র কেনো রে বাবা?

৩৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২০

পাকাচুল বলেছেন: অনেকগুলো অতীব জরুরী বিষয়ের অবতারণা করেছেন। সন্দেহ নাই, এর প্রত্যেকটাই দরকারী একজন শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য।

তবে একটা ব্যাপার হয়ত নজরে রাখা দরকার। বাংলাদেশে কারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে? উপযুক্ত বেতন দেওয়া না হলে মান সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে না। কারো পেশার প্রতি অসন্মান করছি না। কিন্তু এটা ঠিক যারা গত ১০ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের হয়ত ৮০ ভাগ মানুষের ই শিক্ষক হওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না। অন্য কোন চাকুরী না পেয়ে শিক্ষকতা করছেন।

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের বেতন অনেক সময় একজন সরকারী গাড়ীর ড্রাইভার থেকেও কম। তাহলে ভালো পড়ানোর মোটিভেশনটা কোথায় থেকে আসবে? এই ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের আরো মনযোগী হওয়া উচিত। প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করা উচিত, শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন প্রদান করা উচিত, যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা একজন ছাত্র/ছাত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে নিজেকে দেখতে চায় ভবিষ্যতে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া অনেকদিন পর তোমাকে দেখলাম। হ্যাঁ এই আলোচনায় জ্যোতির্ময় চাকমা এসেছিলেন। পাহাড়ী প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলি সম্পর্কে আমার ধারনাই ছিলো না। ভাইয়ার থেকেই জেনেছিলাম। আরও জেনেছিলাম তাদের শিক্ষকদের এই দীন বেতন সম্পর্কে।

আসলেই পেটে খাবারই না থাকলে এত উদ্যোম উদ্যোগও আসার কথা না । আরও আছে সরকারী চাকুরীর নানা রকম দূর্নীতি দূর্গতীও নাকি। এমনটাও জেনেছি পরে।

তবে কি আশার আলো কখনই দেখা হবে না?

৩৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:



আপু উৎসর্গ পারফেক্ট হয়েছে ।
শুভ নিজেই পিচ্চি, ক্ষুদে ও চাচ্চু দুজনের জন্যই যায় এটা :)

আপু আর শুভ তোমাদের দুজনের জন্য ....








২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩১

শায়মা বলেছেন: মিররমমনি গানটা দেখা যায় না। শোনাও যায় না।

এমন আরও পোস্ট আমার মাথায় ঘুরে। আশার আলো নেই হয়ত তবুও যদি কেউ পড়ে একটু বুঝতেও পারে বা একটুও ইচ্ছে হয় শিশুদের আনন্দময় শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে।

৩৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

একলব্য২১ বলেছেন: মিরোরডল,

শুভ ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি এবং ৮৯ কেজি। সে পিচ্চি না।

তবে আসলেই শুভ মনের দিক দিয়ে ক্ষুদের মত পিচ্চি।

ক্ষুদে প্রিয় গান।

view this link

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩২

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ শুভভাইয়ু এত্তা লক্ষী পিচ্চু।

৪০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:



৫ ফিট ১১ ইঞ্চি ???

সেদিন নাহ শুনেছিলাম ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি B:-)

১ ইঞ্চি বাড়লো কবে ? :)


আমিতো বয়সে পিচ্চি বলেছি ।
বোকা বোকা বোকা ।

তবে আসলেই শুভ মনের দিক দিয়ে ক্ষুদের মত পিচ্চি।

জানিতো সেটা ।
যেটা জানি না সেটা হচ্ছে শুভও কি ক্ষুদের মতো গুল্লু গুল্লু ?
:)




২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৩

শায়মা বলেছেন: মিররমনি আমি শুভ আর ক্ষুদে দুজনেরই ছবি দেখেছি।

তুমি মিস করলে।

আসো না কেনো রোজ রোজ?? :(

৪১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

একলব্য২১ বলেছেন: সেদিন নাহ শুনেছিলাম ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি

হা হা হা ...... ওকে precisely 5 feet 10.5 inches. তবে একটা বিষয় অচিরেই কমবে আর সেটা হল ওজন। যদিও কয়েক বছর থেকেই বলছি। হা হা হা...

শুভও কি ক্ষুদের মতো গুল্লু গুল্লু ?

ক্ষুদে তার দাদির মত। আর আমি মার মত। :D

view this link

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৯

শায়মা বলেছেন: তোমরা ওজনের কথা বলছো কেনো? :(

আমি লকডাউনে ১০ কেজি; :(


শুনো টিচারেরা মোটা হতে হয়। একটা মজার ঘটনা শুনো-
ক্লাসে প্লে ডো ইউজ করি আমরা তো এখন যেহেতু লকডাউন টিচারেরা নিেজরাই রং দিয়ে ময়দা দিয়ে প্লে ডো বানায়। তো সুফিয়া চিল্লায় আফা রুজ রুজ কি পাইছুইন। আটা ময়দা নষ্ট করুইন। এইসব কি লেহাপড়ায় লাগে? খাইতে পায়না মানুষ...... :(

জানোই আমি একজন ক্রিয়েটিভ লেডি তাই ক্লাসের পর আটা ময়দায় বানানো লাল নীল প্লে ডো দিয়ে নিমকি বানায় ফেললাম। :)

আর সেটা খেয়েও ফেললাম...... কদিন পরে খাতা কলমও খাবো। :)


৪২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫০

শায়মা বলেছেন: এই যে সেই লাল নীল নিমকীর ছবি


৪৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩০

একলব্য২১ বলেছেন: বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাসে যে আটা ময়দা দিয়ে প্লে ডো'র ডেমো দেখাইছো। তাও তুমি ছাড়নি। হা হা ...নিমকি বানিয়ে খেয়েছ। লাল সবুজ কালারের জন্য ফুড কালার ব্যবহার করছো। তাই তো।

view this link

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:২৮

শায়মা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ ফুড কালার ফস্টার।

নাইলে তুমি কি ভেবেছো পোস্টার কালার দিয়ে বানাবো? তাই খাবো!!!!!!

হা হা হা হা

কি করবো সুফিয়া রাগ করে রোজ রোজ ফেলে দেই আটা ময়দা নষ্ট হয়।


যাই গান শুনি।

৪৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০৩

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

সত্য মিথ্যা যাই হোক নতুন করে একটা প্রেমের গল্প ফাঁদ। খুব বেশি lengthy করার দরকার নাই। জাস্ট ১০/১৫ পর্বের মধ্যে খেল খতম। লেখায় এমন টান টান ভাব রাখবা যেন সামুকে হেলাকে রাখ দো। সামুর সব ব্লগার-রা ঝাঁপিয়ে পড়বে এই গল্প পড়ার জন্য। নরু গরু অল আর মোস্ট ওয়েলকাম। নানান ক্যাচাল ভেজাল লাইগা যাইবো। হা হা হা... আমি আর মিরোরডল গ্যালারীতে বসে তামসা দেখুম আর মজা লমু। হা হা...

তবে একটাই সমস্যা এতে তোমার মানসিক শান্তি নষ্ট হবে। তাই এত অনুমোদন দেওয়া ঠিক হবে না। যাই নিরামিষ দিয়াই ভাত খাইগা। :(

view this link

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৩৬

শায়মা বলেছেন: হা হা না মানসিক শান্তি নষ্ট হবে না।

আই লাইক টু ফাইট। আই মিন আই লাভ ফাইটিং টু.......


নরু গরু সব এসে তো আমাকে হাইলাইট করে দেয় সেটাই বুঝে না এত বোকা।


যাইহোক প্রেমের গল্প লিখবো কিন্তু সম্পূর্ন মিথ্যার উপর আমি আসলে কিছু লিখতে পারি না। ভাবছি নিলমনির সেকেন্ড পার্টটাই শুরু করবো কিছুদিনের মাঝে তোমাদের জন্য।

৪৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:



মিররমমনি গানটা দেখা যায় না। শোনাও যায় না।

এটা ট্রাই করো আপু ।


২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৯

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে এবার শোনা যায় দেখাও যায়। :)

থ্যাংক ইউ!!!!!!!!!!

৪৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:



এমন আরও পোস্ট আমার মাথায় ঘুরে। আশার আলো নেই হয়ত তবুও যদি কেউ পড়ে একটু বুঝতেও পারে বা একটুও ইচ্ছে হয় শিশুদের আনন্দময় শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে।

বাচ্চাদের স্কুলিং অবশ্যই আনন্দময় হওয়া উচিৎ । খেলতে খেলতে শিখবে ।
বুকিশ নলেজের পাশাপাশি প্র্যাক্টিক্যালও শেখানো হবে ।
কে বলেছে আশার আলো নেই ?
সময়ের সাথে পরিবর্তন হচ্ছে, সামনে আরও হবে ।
কিপ ইউর হোপ এন্ড কিপ ট্রায়িং ।




২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২১

শায়মা বলেছেন: আশাার আলো দেখা হবে কিনা আমার জানিনা।
মনে তো হয় না এত সহজে মানে আমার জীবদ্দশায় দেখতে পাবো।

আমি চাই বাংলাদেশের সকল শিশুর আনন্দময় শিক্ষা পরিভ্রমন জীবন হোক।

৪৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:


মিররমনি আমি শুভ আর ক্ষুদে দুজনেরই ছবি দেখেছি।

তুমি মিস করলে।


আমিও দেখেছি :)

ক্ষুদে তার দাদির মত। আর আমি মার মত। :D

I got my answer :)



২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২২

শায়মা বলেছেন: হা হা না ক্ষুদের সাথে শুভর মিল নেই।

কিন্তু দুইটাি ভোলে ভালে লক্ষী বাচ্চা! :)

৪৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:



সুফিয়া চিল্লায় আফা রুজ রুজ কি পাইছুইন। আটা ময়দা নষ্ট করুইন। এইসব কি লেহাপড়ায় লাগে? খাইতে পায়না মানুষ......

সুফিয়াও বোঝে, তুমি বুঝলে না আপুটা ।

আর সেটা খেয়েও ফেললাম...... কদিন পরে খাতা কলমও খাবো।

রাক্ষুসি শায়মাপু :)
প্লেডো দিয়ে খেলতে আমারই ভালো লাগে ।

নিমকি মজার খাবার কিন্তু ছবির নিমকিগুলো এমন ক্যাটক্যাটা দেখে মনে হচ্ছে খুবই অখাদ্য :)
আপু এগুলো খেয়ে তুমি অক্কা পেলে আমরা আবার তোমায় মিস করবো :((



২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৪

শায়মা বলেছেন: আপু এগুলো খেয়ে তুমি অক্কা পেলে আমরা আবার তোমায় মিস করবো


হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাাহাহা লাস্ট লাইন পড়েই হাসতে হাসতে অক্কা পেয়েছি।

শুনো নিমকি তো মজা কিন্তু ময়দা দিয়ে প্লে ডো বানিয়েছিলাম তো। তাই সেই ময়দা নষ্ট হয় রোজ রোজ ফেলে দেই বলেই তো সুফিয়ার রাগ। আর তাই লাল নীল সেই প্লে ডো মানে ময়দার ডো দিয়ে বানালাম নিমকি। তাই তো কেটকেটা।

কিন্তু আমার মজাই লেগেছে। জীবনে কেউ রঙ্গিন নিমকি দেখেছে কোথাও!!!!!!!!

মিররমনি আমি সেই নিমকি খেয়েও ফেলেছি আজকে। আর অক্কা পেয়ে লিখছি তারপর।

৪৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:



আপু কোথায় তুমি ?
সকালে অফিস আছে তাই শুয়েই পড়েছিলাম, হঠাৎ এই লিংকের কমেন্ট ৬ চোখ পড়লো ।
ঘুম চলে গেছে, হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি =p~
ভাবলাম তোমাকে শেয়ার দিয়ে যাই
প্রতিমন্তব্য কি হবে গড নোজ :)


২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৬

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা আপুনি শুণও প্রথমে আমি তার পোস্ট পড়ে আসলেই বুঝার ট্রাই করছিলাম আসলেই সমস্যাটা কি ? সিজোফ্রেনিয়া রোগী কখনও কাউকে বিশ্বাস করে না। বাসার লোকজনদেরকেই শত্রু মনে করে, পৃথিবীর সবাইকে অবিশ্বাস করে। তাই আমার কষ্ট হচ্ছিলো।

আমি আসলেই তার সব পোস্ট পড়ে বুঝার ট্রাই করছিলাম আসলে কি বলতে চাইছে। পরে বুঝলাম এই অসংলগ্ন কথা থেকে কিছু বুঝা যাবে না। শুধু বুঝলাম মা কেনো ওষুধ খাওয়ায় জোর করে এই সব। যাইহোক পোস্ট পড়ে কিছু বুঝতে না পেরে বিরক্ত হয়ে চলে এসেছিলাম।কমেন্টগুলো পড়িনি।

তোমার কথা শুনে পড়তে গিয়ে হাসতে হাসতে আবারও অক্কা পেলাম।

বংগল কক কে এত দুষ্টু ভাইয়া। হা হা

যেই হোক তাকে তো এইবার মনে হয় রোস্ট বানাায় মেডিসিন আর পানি দিয়ে খেয়ে ফেলবে দয়িতা আপুনি!

৫০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৮

একলব্য২১ বলেছেন:

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২১

শায়মা বলেছেন: হা হা আসলেও এই অবস্থা।

এতদিন ধরে যা হয় তার সাথে মানিয়েই যাই আমরা আসলে।

৫১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪০

একলব্য২১ বলেছেন: আপু কেমন আছ।

ক্লাস ওয়ান টু এই বাচ্চাদের কতক্ষণ ঘুমানো উচিত তারজন্য গুগল করে একবার জানার চেষ্টা করেছিলাম। মূলত ক্ষুদের জন্যই। গুগল বলছে ৯/১০ ঘণ্টা। একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে জিগ্যেস করেছিল, উনি বলেছিলেন এডাল্টের মত ঘুমই যথেষ্ট। তাহলে একজন শিক্ষকের কতটা সময় ঘুমানের প্রয়োজন। আমি বরাবরই পর্যাপ্ত ঘুমকে প্রাধান্য দেই। তারপর কেহ ১৩/১৪ ঘণ্টা কাজ করুক তাতে আমার আপত্তি নেই।

আমার এক কাজিন খুব বড় ডাক্তার টিভিতে নানান চ্যানেলেও মাঝে মাঝে আসেন। উনি যতটা সম্ভব নিয়মতান্ত্রিক মানুষ। তারপরও মাঝে মাঝে বলেন ফলো মাই এডভাইস বাট ডোন্ট ফলো মি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭

শায়মা বলেছেন: আমি ৬ ঘন্টা ঘুমাই। নিশ্ছিদ্র নিরুপদ্রপ ঘুম।
জীবনে হাতে গোনা ২/৩ ছাড়া আমি বিনিদ্র রজনী কাটাইনি।

৬ ঘন্টা ঘুমের পর আমি ফুল চার্জড হয়ে যাই।

আমারও মনে হয় বাচ্চাদের জন্য ৮ - ১০ ঘন্টা যথেষ্ঠ।

আমিও মোটামুটি বা ভালোই রকম নিয়মতান্ত্রিক!

৫২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৩

একলব্য২১ বলেছেন: কেমন আছ আপু। তোমাদের স্কুলে কি ক্লাস ওয়ান টু থ্রী শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক পরীক্ষা হবে। সরকার না ক্লাস থ্রী পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে মানা করেছেন। ক্ষুদের স্কুলের পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩

শায়মা বলেছেন: ভালোই আছি।
অনেক ঝামেলাতেও আছি।

একটার পর একটা দাওয়াৎও আছে। সাজুগুজু খানাপিনা।

যাইহোক আমাদের স্কুলে ক্লাস ফোর পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই।


শুধু ক্লাস টেস্ট আছে ক্লাস ওয়ান থেকে।

তার আগের পর্যন্ত তাও নেই শুধুই ক্লাস এসেসমেন্ট! :)

৫৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৮

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

ক্ষুদের আজ অনেক খুশী ও জানতে পেরেছি ওর থার্ড টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্কুলে হবে না। ইন হাউস এক্সাম কিছু একটা হবে। হে হে হে। ক্ষুদের খুশীতে আমিও আনন্দিত। ইন ফ্যাক্ট এত ছোট বাচ্চাদের পরীক্ষার বিপক্ষে আমি। হায় খোদা! এই স্কুলের লেখাপড়ার যে কি চাপ। রক্ষা কর প্রভু!!

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫

শায়মা বলেছেন: যাক বাঁচা গেলো।

তবে এই স্কুলের সুনাম আছে কিন্তু।

যদিও নিয়ম পুরানো হয়ত কিন্তু স্কুল ভালো নাম করা। :)

৫৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:



কেমন আছো তোমরা ?
কি নিয়ে গল্প হচ্ছে ?


১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৪

শায়মা বলেছেন: ভালো আছি আপুনি!

গল্প হচ্ছে পড়ালেখা নিয়ে।

আমরা ভালো বাচ্চা!

পলালেখা ছাড়া কিচ্চু বুদি না।

৫৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:



তাই ?
বিচ্ছুদের নিয়ে কথা হচ্ছে ।
আমি তাহলে দূরে এ এ এ এ এ এ এ এ
........................................................
...............................................................
.....................................................................
........................................................................... চলে যাই :)




১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: না না না যেও না!!!!!!!

তোমার সাথে কাকে নিয়ে কথা বলবো বলো?

একটা কথাই বলো তার আগে বাড়ি কিনেছো গাড়ি কিনেছো এখন কি কিনতে হবে বলো তো!!! :P

৫৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৭

একলব্য২১ বলেছেন: মিরোরডল,

আমি ক্ষুদে কে নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। তাই শায়মা আপুর সাথে এই ব্যাপারে আলাপ করতাম। ক্ষুদের স্কুল খুব ডেঞ্জারাস। ক্লাস 2 এর বাচ্চার ৮টা সাবজেক্ট। আবার একটা সাবজেক্টে ২/৩টা করে বই। তাই ওকে নিয়ে খুব চিন্তা হতো। কেমন আছ। শুধু আজ নয় বরাবরই এই স্কুল ছাত্রদের প্রচণ্ড চাপে রাখে। যা আমার ভাল লাগে না। আজ থেকে ৬০/৭০ বছর আগেও এমন ছিল। মজার ব্যাপার কি জানো বাংলাদেশে প্রথিতযশারা এই স্কুলে পড়াশুনা করেছে। কারা কারা এই স্কুলে পড়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। ডঃ কামাল হোসেন, এক্স প্রেসিডেন্ট ডঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, পদ্মা সেতু ইঞ্জিনিয়ার প্রয়াত ডঃ জামিলুর রেজা চৌধুরী, অভিনেতা আলী যাকের, আহসান আলী সিডনি, বিটিভি'র ইংরেজি সংবাদ পাঠক শামীম আহমেদ।

আমাদের ইচ্ছা ছিল ক্ষুদেও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মত গ্রেগরীয়ান হোক। তারপর অন্য চিন্তা পরে করবো।

view this link

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪২

শায়মা বলেছেন: যদিও শিশুদের জীবন শিশুদের মতন হোক এই নতুন বিজ্ঞানীদের কথা।

পুরান আমলে শিশুরা অনেক অত্যাচারিত হত সে সকলেরই জানা। পিঠের উপর তাল নারকেল ডাব পড়েছে কত শত!


কই আটাকতে পেরেছে কেউ আমাদেরকে?
নাকি সেই দুঃখ নিয়ে বসে আছি।

বরং বলা যায় সেই তাল নারকেল উপেক্ষা করে ঐ নিয়ম কানুনের মাঝ দিয়ে কঠিন করে সব কিছু শিখেও আমরা তো ভালোই ছিলাম। ভালোই আছি।
আমাদের শৈশব তো সবচেয়ে আনন্দময় সময়।


কঠিন করে হলেও গ্রেগরীয়ানরা ভালোই তো আছে । শুধু ভালো না অনেক ভালো।

৫৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:

আপুটার যেটা মন বলে সেটা নিয়েই বলবে :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪

শায়মা বলেছেন: আমার মন বলে তুমি আসবে .....রুনা লায়লার গান......
কিন্তু সে তো এলো না এলো না কেনো এলো না জানিনা..... কিশোর কুমারের গান.... :)

৫৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



শুভ, বাচ্চারা স্কুলে যায় শেখার জন্য । সেটা ঠিক আছে কিন্তু ছোট ছোট বাচ্চাদের এতো বেশী পড়ার প্রেশার দেখলে আমারও ভালো লাগে না । এই বয়সে খেলতে খেলতে শিখবে । লেখাপড়াটা যেন এঞ্জয় করে । স্কুল যেনো বিভীষিকাময় না হয়ে উঠে ।
আই নো গ্রেগরী, ভালো স্কুল ।


১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৯

শায়মা বলেছেন: হুম এটা ভালো স্কুল।

তাই একটু কষ্ট সহ্য করতে হবে।

সহজে কি কিছু শেখা যায়।

শিক্ষন মানেই নিয়ম মানা। আর নিয়ম মানা বড় কষ্টের।



যাইহোক মিররমনি এটা পড়ো।

https://www.somewhereinblog.net/blog/shamimthepoet/30328498#nogo


কলিজা ভেঙ্গে যায়।


হৃদয়ের এ কুল ও কুল দু কূল ভেসে যায় ..... :(

৫৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:



একটা কথাই বলো তার আগে বাড়ি কিনেছো গাড়ি কিনেছো এখন কি কিনতে হবে বলো তো!!!

শাড়ি :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২

শায়মা বলেছেন: ওকে তোমার জন্য বাংলার শাড়ি নিয়ে একটা পোস্ট লিখি ওকে?

মানে শাড়ি নিয়ে অনেক লিখেছিলাম একটা সময় ম্যাগাজিনে।

৬০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:



গাড়িতো কিনেছি বহু বছর আগে ।
আর বাড়ীও করেছি সে অনেক আগে কিন্তু নিজের জন্য না, মায়ের জন্য করে দিয়েছি ।

ভেবেছিলাম আমি পাখি হয়েই কাটিয়ে দিবো বাকিটা জীবন ।
কিন্তু বন্ধুরা বললো পাখিও দিনশেষে নীড়ে ফিরে আসে ।
আমার নাকি নিজেকে নিয়ে ভাবা উচিৎ । তাই ফাইন্যালি এখন নিজের জন্য করলাম ।

কিন্তু আমার যে ঘরে মন থাকেনা আপু । :|
ঘর সেটা মনে হয় সবার জন্য না ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৮

শায়মা বলেছেন: কথা সত্যি
সব পাখি ঘর বাঁধে না। যদিও তুমি বেঁধেছো মায়ের জন্য কিন্তু কোকিল হয়ে থাকবে নাকি?


শুভ ভাইয়ু গান গাইছে সা রে গা মা ..... হা হা হা হা হা

মরে যাবো নাকি আজকে হাসতে হাসতে!!!!!!!!!!

৬১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৯

একলব্য২১ বলেছেন: এই শায়মা আপু ফাজলামি করলাম। এনি ওয়ে এটা ওপেন পাবলিক ব্লগ ৬০, ৬১ কমেন্ট মুছে দিও। ইনক্লুডিং দিস ওয়ান টু।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: আজকে তাড়াতাড়ি মুছেছি কিন্তু।

যদিও না মুছলেও কি বা যেত আসতো।

তুমি পুচ্চি মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার! হা হা হা হা হা হা হা মরে গেছি হাসতে হাসতে

৬২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১০

মিরোরডডল বলেছেন:



শায়মাপু, লুক শুভ কি বলে ????
সারোগেসি #:-S

হা হা হা শুভ এটা কি করে সম্ভব :)
এটা তো যখন কোন উইম্যান আরেকজনের হয়ে প্রেগন্যান্ট হয়, বেবি ক্যারি করে ।

তবে শুভ বাচ্চা এডপ্ট করে বাবা হতেই পারে অথবা স্পার্ম ডোনেট করে যদি আদার পার্টি এগ্রি করে বাবার পরিচয় দিতে :P



১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৯

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা শুভ বাবু ভাইয়া তো এইবার টেবিলের নীচে গেছে মনে হয়!!!!!!! হা হা হা হা হা হা

মিররমনি তোমরা কি আমাকে হাসাতে হাসাতে মেরে ফেলবে!!!!!!

৬৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৩

একলব্য২১ বলেছেন: ভাই আমি কোন controversy মধ্যে ধুকতে চাই না। আমার কথা হচ্ছে এই বিয়া সাদি বহু ভ্যাজাইলার বিষয়। একটা দুইটা বাচ্চা থাকলে ভাল হয়। এই আর কি । যাই হোক আমি নাক কান ধরলাম এই ধরনের বেফাঁস কথা আর কোন দিন বলবো না। শায়মা আপু এগুলো মুছো তো প্লীজ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩১

শায়মা বলেছেন: হা হা হা মুছেছি তো!!!!!!!!!

শুনো মিররমনি যেমনই প্রাকটিকাল তেমনই বুদ্ধিমতী।

ভালা বুদ্ধি দিসে।

হা হা হা হা হা হা


ভাইয়া এইবার কান ধরে নাকে খত দাও.......

বুদ্ধিমতী নারীগনের সামনে বেফাস কিছু কহিলেই নাকে খত দিয়েও লাভ হয় না ।


হা হা হা হা

৬৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



নাহ শায়মাপু মুছবে না আমার কমেন্ট ।
শুভ, এখন কি হবে ???
আর বলবে কখনও ? :)

বিয়ে করতে কেউতো বলছে না ।
শায়মাপু আমার মনে হয় আসলে শুভ বিয়ে করতে চাচ্ছে তাই বার বার বলছে বাচ্চা চায় কিন্তু বিয়ে চায়না =p~

তাও আবার দুটো বাচ্চা আই মিন সুখী পরিবার :)


১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪২

শায়মা বলেছেন: শুভর জন্য পাত্রী চাই

এই শিরোনামে নোটিস দিতেছি ভাই.....

শুভভাইয়ুর আর রক্ষা নাই!!!!!!!!

৬৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪০

একলব্য২১ বলেছেন: তোমরা তো জানো আমি ক্ষুদেকে কত ভালবাসি। তাই মাঝে মাঝে আমার মনে হয়। আমি বাবা হলে খারাপ বাবা হবো না। আমি ক্ষুদে কে জিজ্ঞাসা করি 'তুমি কাকে বেশী ভালবাসো। বাবা না মা।' ক্ষুদে বলে চাচ্চু তোমাকে আমি সব থেকে বেশী ভালবাসি।

বিদেশে বিশেষ করে ইন্ডিয়া আর ইউক্রেনে এই ধরনের অনেক হাসপাতাল আছে। যেখানে তুমি কিছু অর্থের বিনিময়ে বাবা বা মা হতে পারো। আই ডোন্ট ফাইন্ড এনি হার্ম অফ ইট।

আর এডোপ্ট করে নিজের বাচ্চা মনে করা মত বড় হার্ট কি সবার হয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৫

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে তুমি ইউক্রেক যাও আর ইন্ডিয়ায় যাও আকাশ বা পাতাল যেখানেই যাও ক্ষুদে একটা না না দুইটা ভাইবোন পাক আর আমার স্কুলে ভর্তি হোক। :)

কালই এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গেলাম। সেই বাবা মা অনেক বছর সাধনা করেও বাচ্চা পাননি। এখন যাকে পেয়েছে তাকে মানুষের মত মানুষ করে তোলার লক্ষে যতটুকু সাধ্য আছে তাই দিয়ে করছে।

আমি মুগ্ধ। এই বাচ্চার জীবনে যেন কোনো অপূর্নতা না থাকে তাই তাদের চাওয়া।

যদিও এই পালক মা বলছিলো যাই দিয়েই পূর্ন করতে চাই না কেনো ওর জীবনে ওর সত্যিকারের মায়ের অভাব তো কখনও পূর্ণ করতে পারবোনা আমি।

আহারে জীবন ...

জলে ভাসা পদ্ম জীবন......

৬৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৮

একলব্য২১ বলেছেন: খুব বেশি টাকা লাগে তাও না। ১০/২০ লাখের মধ্যে মামলা শেষ। হা হা হা...... :D :P

আই ডোন্ট ফাইন্ড এনি হার্ম অফ ইট।

সরি আই ডোন্ট ফাইন্ড এনি হার্ম ইন ইট।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১

শায়মা বলেছেন: না না কোনো হার্ম নাই।

বরং কিন্তু বাচ্চা মানুষ করার জন্য বাবাই যথাষ্ঠ নহে।

একা মাও যথেষ্ঠ না।

বরং মা বাবা দাদা দাদী ফুপু খালাদের মাঝে বেড়ে ওঠা বাচ্চারা অনেক বেশি শিখে বলেই দেখেছি আমি।

৬৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:




তোমরা তো জানো আমি ক্ষুদেকে কত ভালবাসি।

আমরাও আমাদের নিস নেফিওকে ভালোবাসি ।
ওগুলোই আমাদের বাচ্চা ।

তাই মাঝে মাঝে আমার মনে হয়। আমি বাবা হলে খারাপ বাবা হবো না।

নট অলওয়েজ । আমার বন্ধুরাও বলে মা হলে নাকি আমি অসাধারণ হবো বাট আই ডোন্ট থিংক সো । আমি গাছে পানি দিতে ভুলে যাই । গাছ মরে যায় । বাবু হলে আমি যদি ভুলেই যাই বাবু আছে খাবার দিতে হয়, তখন কি হবে ভেবে দেখেছো :|

আমি ক্ষুদে কে জিজ্ঞাসা করি 'তুমি কাকে বেশী ভালবাসো। বাবা না মা।' ক্ষুদে বলে চাচ্চু তোমাকে আমি সব থেকে বেশী ভালবাসি।

এগুলো স্মার্ট বাচ্চা, কিন্তু কথা যা বলে সত্যি না ।
আমি ঢাকা বেড়াতে গেলে, বোন অফিস চলে গেলে বাবু সারাদিন আমার কাছেই ।
এটা আমার খেলনা যাকে নিয়ে সারাদিন খেলি । অনেক আদর করি । যদি বলি, বাবা তুমি কাকে বেশী ভালোবাসো ।
বলবে খালামনি তোমাকে, বলে গলায় ঝুলে পরবে ।

সে কি !!! সন্ধ্যায় যেই আমার বোন অফিস থেকে আসলো ঝাঁপ দিয়ে গিয়ে তার কোলে ।
আমিতো খুশী হয়ে বোনকে বলছি জানিস আজ বাবু বলেছে আমাকে সবচেয়ে পছন্দ ।
বাবু সাথে সাথে বলে উঠে, না......, মামকে আমি সবচেয়ে ভালোবাসি ।
বললাম না বেইমান :)

বিদেশে বিশেষ করে ইন্ডিয়া আর ইউক্রেনে এই ধরনের অনেক হাসপাতাল আছে। যেখানে তুমি কিছু অর্থের বিনিময়ে বাবা বা মা হতে পারো। আই ডোন্ট ফাইন্ড এনি হার্ম অফ ইট।

প্রসেসটা শুনি, কিভাবে হয় ?

আর এডোপ্ট করে নিজের বাচ্চা মনে করা মত বড় হার্ট কি সবার হয়।

এটাইতো ভালো, যাদের বাবা মা নেই, তারা একটা ফ্যামিলি পাবে ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩

শায়মা বলেছেন:
নট অলওয়েজ । আমার বন্ধুরাও বলে মা হলে নাকি আমি অসাধারণ হবো বাট আই ডোন্ট থিংক সো । আমি গাছে পানি দিতে ভুলে যাই । গাছ মরে যায় । বাবু হলে আমি যদি ভুলেই যাই বাবু আছে খাবার দিতে হয়, তখন কি হবে ভেবে দেখে ......


হা হা হা হা হা হা হা হা তখন বাবুর বাবা তোমাকে মনে করাই দেবে বা নিজেই খেতে দেবে।

আজকাল কি আর সেই আদ্দিকালের দিন আছে?

বাবা মা দুজনকেই দেখতে হবে বাচ্চাকে। হা হা

৬৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪

একলব্য২১ বলেছেন: প্রসেসটা শুনি, কিভাবে হয় ?

আমি বেশ কিছু ম্যাগাজিনে পড়েছি ওখানে থাকা অভিজ্ঞতা থেকে। ইন্ডিয়া আর ইউক্রেনে অনেক সেন্টার আছে infertility। ওখানে অনেক গরিব বা নিম্নমধ্যে বিত্ত ঘরের মেয়েরা আছে যারা তাদের overy ভাড়া দেয়। তার বিনিময়ে টাকা নেয়। আর এইগুলো এই হাসপাতালগুলোই ব্যবস্থা করে দেয়। ইন্ডিয়া এখন এগুলো restrict করে দিয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে দেদার সে হচ্ছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৯

শায়মা বলেছেন: ভেরি গুড।

আমরাও তো পড়েছি।

নিসন্তান মানুষদের জন্যই এই ব্যবস্থা করে হয়েছিলো পরে মনে হয় শখ করেও মানুষ এইভাবে সন্তান নিচ্ছে।

এত জানিনা।
আমাকেও পড়তে হবে ।

৬৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৫

একলব্য২১ বলেছেন: ক্ষুদে একটা না না দুইটা ভাইবোন পাক আর আমার স্কুলে ভর্তি হোক। :)

না না না তোমার স্কুলে না। এজ ইউজুয়াল সেন্ট গ্রেগরী আর না হলে তার ঠিক পাশে সেন্ট ফ্রান্সিস যেভিয়ার হা হা হা...।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪২

শায়মা বলেছেন: তার মানে সেই দুইটাকেও তুমি ট্রাডিশন্যাল ওয়েতে কষ্ট দিয়েই পড়াবা।


কোনো পথ নাই আমার স্কুলের দিকে যেন দেখি। X((

৭০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:



শুভ এটাকেই সম্ভবত সারোগেসি বলে । যে মেয়েদের বাবু হয়না বা মিসক্যারেজ হয়ে যায় বার বার , তাদের পার্টনারের স্পার্ম দিয়ে ওখানে মেয়েরা প্রেগন্যান্ট হয়ে বাবু ডেলিভারি করে রিয়েল প্যারেন্টসকে দেয় । এই কাজটা চার্জ নিয়েই করে । আমি বেশী কিছু জানিনা । ভুল হতে পারে। শায়মাপু ভালো বলতে পারবে হয়তো ।

কিন্তু শুভ এগুলো চিন্তা করে কেনো ???
শিশুমানব, পড়ালেখা শেষ হোক, তখন বিয়ে করে নিজেই বাবা হবে, ইউক্রেইন অথবা ভারতে যেতে হবেনা বাচ্চার জন্য ।
পাগল একটা =p~


১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৬

শায়মা বলেছেন: হা হা এই সব শুভভাইয়ুর ইউক্রেন যাবার বুদ্ধি।
ইউক্রেনের মেয়েরা অনেক সুন্দর হয়।

এই যে দেখো



শুভভাইয়ুর পাত্রী হাজির।

৭১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:




বাহ !!! মেয়েটা খুবই কিউট ....
শুভ, পাত্রী অনেক পছন্দ হয়েছে আমাদের :)

আপু সকাল হয়ে গেছে ।
ঘুমাতে যাই ।
লাস্ট 2 নাইটস ঘুমাইনা ।
পরশু সারারাত ঘুম হয়নি ।
নির্ঘুম থেকেই গতকাল অফিস করেছি ।
কাল রাতেও ৫টায় শুয়েছি ।
আজও তাই ।
এভাবে চলতে থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো ! :((
ভালো থেকো তোমরা ।
গুড নাইট !


১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৬

শায়মা বলেছেন: হায় হায় তোমার আবার কি হয়েছে???
পাগল হচ্ছো কেনো?

আজকাল আমার অনেক রাগ লাগে।
- কেনো?
- জানিনা
- রাগ লাগলে পানিতে ডুব দিয়ে আসবে। তাহলেই রাগ চলে যাবে।
- এখন তো ঠান্ডা পানি। ডুব দিলে কাঁপবো।
- তাই তো ডুব দিবে। রাগ উবে যাবে।
- চুপ থাকো
-ওকে
- শুনো তোমাদের মগবাজার যাবো। ওয়ারলেস গেইট।
- কেনো সেখানে গিয়ে কি?
- ট্রাফিক হবো। মহিলা ট্রাফিক
- ট্রাফিক কেনো ?
- ট্রাফিক হয়ে গাড়ি ঘোড়া সামলাবো।
- আর তোমাকে সামলাবে কে?
- কেউ না। আমি তো তখন ট্রাফিক
- ওহ তাই নাকি? আচ্ছা
- ঐ কিসের আচ্ছা? জানোনা ?
- কি জানিনা
- কত মানুষ পাগল হয়ে রাস্তায় ট্রাফিক হয়ে যায়।
- হুম
- আমিও পাগল হয়েছি
- কেনো?
- তুমি জানোনা?


তোমার জন্য....

৭২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৮

একলব্য২১ বলেছেন: হা হা হা.........শায়মা আপু সাবেক ইউ এস এস আর এর মেয়েদের বিয়ে করা খুব একটা কঠিন কাজ না।
তবে কোথায় যেন পড়েছিলাম। পাঞ্জাবী মেয়ে আর বাঙ্গালী ছেলে মধ্যে বা উল্টোটা হলেও পরবর্তী যে জেনারেশন হবে তা দুর্দান্ত হবে। পাঞ্জাবীরা অনেক সাহসী আর বাঙ্গালীরা খুব ইন্টিলিজেন্ট। তাই তাদের কম্বিনেশন ভালই হবে বলে মনে হয়।

মজার ব্যাপার আমি পাঞ্জাবী ভাষাটা মোটামুটি জানি। :D


আর এখন পাঞ্জাবী গানও শুনছি।

মজার পাঞ্জাবী গান। এখানে একই কাহিনী। নায়িকা advanced stage এ আছে।

view this link

এই!! আজকে জন্য আসি। এই নির্বোধ যদি তোমাদের সামান্য হাসাতে পারে তাতেই ধন্য মনে করবো। খুব ভাল থেকো।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৬

শায়মা বলেছেন: শুভভাইয়ু তোমার মাথায় দেখি তালগোল লেগে যাচ্ছে।

পাঞ্জাবী বিয়ে করতে দেবো না কইলাম!

আমার স্কুলে বাচ্চা পাঠাও এমনিতেই একটাই একশো বানায় দেবো।

এখন আমিও যাই গা..... ঘুমাই গা ...... বাই গা ....

৭৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অনেক অজানা কিছু জানা হল ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

শায়মা বলেছেন: প্রত্যাবর্তন নিকটা অনেক চেনা চেনা লাগছে কিন্তু কি যেন মনে পড়ছে না। :(


যাইহোক কেমন আছো?

লেখা দিচ্ছো নাকি শুধুই দেখতে এলে ?

আর আমার লেখাটা পড়ার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস।

৭৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভাল আছি। খোঁজ নেবার জন্য ধন্যবাদ অগুনতি। ২০১৩ সালে ব্লগিং করেছিলাম। তখন আমার কিছু পোস্টে আপনার কিছু মন্তব্য পেয়েছিলাম। সেজন্যই আপনার কাছে নিকটা চেনা চেনা লাগছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৩

শায়মা বলেছেন: হুম নিকটা শুধু চেনা চেনাই না প্রিয় প্রিয় লাগছে তাইতো চিন্তায় পড়েছিলাম। :)

৭৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৪

একলব্য২১ বলেছেন: কেমন আছ শায়মা আপু। ২০২০ আর ২০২১ ক্ষুদেদের শিক্ষা বছর কেমন যাবে তার একটা prediction করেছিলে যা প্রায় অনেকাংশেই মিলে গেছে। এবার বল ২০২২ ক্ষুদেদের শিক্ষা বছর কেমন যাবে।

আমার মন খারাপ ছিল। যখনই এই ফিল্মের গান শুনি তখনই আমার মনটা ভালো হয়ে যায়। view this link

সাথ ছোঁড়ুঙ্গা না তেরে পিছে আউঙ্গা
I’ll not leave Your side, I’ll always follow You
ছিন লুঙ্গা য়া খুদা সে মাঙ্গ লায়ুঙ্গা
I’ll steal You from this world or I’ll go and ask God for You

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৮

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এমনই ধারনা ছিলো আমার।

আমার ছোটদের ক্লাস জানুয়ারীর আগে খুলবে না।

তবে করোনা পরিস্থিতি এমন থাকলে জানুয়ারী থেকে পুরোদমেই শুরু হতে পারে সব ক্লাসগুলিই।


তোমার মন খারাপ কেনো?

কাহার তরে? কাহার তরে?

আমার মন কেমন করে কে জানে কে জানে কে জানে কাহার তরে?

এই গান আমারও প্রিয় একা একা গাই মাঝে মাঝে।

তোমার এই ম্যুভির গানগুলো এত প্রিয় হবার কারণ কি বলোতো???

বুঝেছি তোমার জীবন নাট্য আমাকে জানতে হবে তাই নিয়ে মহাকাব্য লিখতে হবে তাইনা ???

৭৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৪

একলব্য২১ বলেছেন: 2/3 পাঁজি পিচ্চি ক্ষুদেকে ডিস্টার্ব করছে ক্লাসে। সামান্যই। বেশী করলে কি করতে হয় আমি জানি। তোমার স্কুলে বাচ্চাদের মধ্যে কি এরকম হয়। আর হলে তোমরা কি করে তা ট্যাকেল কর।

আরও একটা বিষয় বাচ্চারা হিন্দি কাটুন দেখে হিন্দি শিখে ফেলেছে। এর মধ্যে আমি দোষের কিছু দেখি না। বিশেষজ্ঞরা বলে bilingual or trilingual বাচ্চারা আরও বেশী মেধাবী হয়। তবে মাতৃভাষাটা যেন ভাল করে শিখে সেটা লক্ষ্য রাখা উচিত। তোমাদের স্কুলে কি অবস্থা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৬

শায়মা বলেছেন: বুলিং বা এমন কিছু বাচ্চাদের মাঝে চিরায়ত সত্য। এমন হলে আমরা অনেক কিছুই করি তার থেকেও যেটা করি সেটা হলো এমন যেন না হয়। মানে আগে থাকতেই বাচ্চাদের মাঝে এই জিনিসগুলো বুঝিয়ে তোলা।

হেল্থ এন্ড মোরাল বলে আমাদের একটা ক্লাস আছে যা প্লে গ্রুপ থেকেই হয়।
এখানে নানা রকম কার্টুন দেখানো হয়। বুঝানো হয়। বাচ্চারা অন্যকে জ্বালানো বা বুলি করার আগে থেকেই তৈরী হয়ে যায় বুলিং এর বিরুদ্ধে। বুলি করা খারাপ এবং সেটা করলে কি কি হতে পারে খুব ছোট থেকেই মাথায় ঢুকানোর চেষ্টা করা হয়। ছোটদের যাও না বুঝানো যায় বড় হতে হতে বড় ক্লাসে তবুও কিছু বেয়াড়া রয়েই যায়।

তবে আমাদের স্কুলের মেইন ব্যপারটাই বাচ্চাদের দোষ দোষ না ভুল ভুল না সবই ঠিক শুধু সঠিক ওয়েটা যা সমাজে চলতে সহজ হয় সেটাই বলে দেওয়া সেটাই শিখিয়ে দেওয়া।

যারা এমন করেই ফেলে তারা নানা করনেই করে তাদের সাথে কথা বলে গল্প করে বা তাদেরকে নিজেদের কথা লিখতে দিয়ে তাদের কারণটা বের করি। তাকে মেন্টাল সাপোর্ট দেই। সেই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসবার পথ দেখাতে চেষ্টা করি।

আমাদের স্কুলে অনলি ইংলিশ এন্ড বাংলা। হিন্দী শিক্ষা নিরুৎসাহিত করা হয়। আর দুনিয়ার যেই ভাষাই শেখোনা কেনো নো প্রবলেম।

কিন্তু স্কুলে হিন্দি কথা নাচ গান এসব চলবেই না।


যাইহোক এটা পড়ো
https://www.somewhereinblog.net/blog/saimahq/30278900

৭৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২১

একলব্য২১ বলেছেন: না না ক্ষুদের স্কুলে ইংরেজি আর বাংলা ছাড়া অন্য কোন ভাষা ব্যবহার করা হয় না।

তবে কিছু বাচ্চারা নিজেদের মধ্যে মজা করে হিন্দিতে কথা বলে। টিভি দেখে শিখে ফেলেছে। যেমন বেলুনকে গুব্বারা, প্রজাপতিকে তিতলি বলে। এইগুলা পিচ্চি হলেও ওভার স্মার্ট। এরা খুব সহজে অন্য ল্যাংগুয়েজ গ্র্যাব করে ফেলে। টিচার বা ব্রাদাররা জানে না বা তাদের সামনে বলে না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:২৬

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ বাচ্চারা এমন করে। তবে আমরা শুনিনা। কারণ আমাদেরকে লুকিয়েই বলে হয়ত।

৭৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৯

একলব্য২১ বলেছেন: যারা এমন করেই ফেলে তারা নানা করনেই করে তাদের সাথে কথা বলে গল্প করে বা তাদেরকে নিজেদের কথা লিখতে দিয়ে তাদের কারণটা বের করি। তাকে মেন্টাল সাপোর্ট দেই। সেই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসবার পথ দেখাতে চেষ্টা করি।

আমি এত মারফতি কথা মধ্যে যাবো না। হা হা হা ......আমি জানি মাইরের উপর ঔষধ নাই। মানুষ শক্তের ভক্ত নরমের যম। হা হা হা...। না না অন্যে বাচ্চাকে মারবো না। খালি আমার রক্ত চক্ষু দেখাবো। ব্যস! কেল্লা ফতেহ! :D :P

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:২৮

শায়মা বলেছেন: ছি ছি এমন চাচা মামাদের স্কুলে আসা বন করতে হবে!!!!!!!! :P

৭৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




এই বিশদ লেখাটি আমি আগেই দেখেছি দেশের বাইরে বসে। মনে মনে মন্তব্যের খসড়াও করে রেখেছিলুম কিন্তু কেন যে তা করা হয়নি মনে করতে পারছিনে! :(( বাচ্চা হ্যান্ডলিংয়ের মতো মনটাকেও হ্যান্ডল করতে পারিনি বোধ হয়। ;)

শ।মসীর আর রোকসানা লেইস এদের দু'জনের মন্তব্যের সাথে আর একটু যোগ করতে চাই -- শিক্ষকদের সৃজনশীল হতেই হবে আর থাকতে হবে ইতিবাচক মানসিকতা কারন সব শিশুর সাইকোলজি এক রকমের নয়,ধারণ করার ক্ষমতাও এক নয়।
তবে, যে দেশের প্রায় সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস জেনারেশানের শিক্ষকরা শিক্ষকতা করেন সে দেশে তাদের যতোই ট্রেনিং দেয়া হোকনা কেন সবই - যেই লাউ সেই কদু.............. :P

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৬

শায়মা বলেছেন: দেশের বাইরে কোথায় বসেছিলে ভাইয়া?

আমি অবশ্য দেশের মাঝে বসেই অনলাইনে পাগল হয়ে যাচ্ছি নিজেকে হ্যান্ডেল করতে করতে।

হ্যাঁ অনেকেই অনেক সুন্দর মন্তব্য দিয়েছে রোকসানা আপু আর শামসীর ভাইয়ার মত।

তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস জেনারেশনের উদাহরণ দিয়ে তো তুমি আমাকে আমার রাগের কথা মনে করাই দিলে সাথে সুকুমার রায়ের সেই কবিতা। যেই কবিতাপোস্ট খানা মডু ভাইয়ার কারণে সরায় নিতে হলো। X((

৮০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫৯

একলব্য২১ বলেছেন: সেদিন জ্বরের কারণে ক্ষুদে স্কুলে যেতে পারেনি। স্কুলের নিয়মানুযী অনুপস্থিত থাকলে দরখাস্ত দিতে হয়। ক্ষুদে কোন কারণে স্কুলে অনুপস্থিত ক্ষুদের বাবা দরখাস্ত লিখে প্রিন্ট আউট করে স্কুলে জমা দিয়ে দেয়। এই সেদিন ক্ষুদে সামান্য জ্বরের জন্য একদিন স্কুলে যাইনি। ক্ষুদে তার বাবাকে চিঠি লিখে দিতে বললে, ওর বাবা বললো "আমি তো তোমাকে চিঠি লেখা শিখিয়ে দিয়েছি। তুমি নিজে লিখে দাও না কেন।"

যেই না বলা সত্যি সত্যি ক্ষুদে নিজে লিখে দিল আর নিজেই ক্লাস টিচারের কাছে জমাও দিয়ে দিয়েছে।



২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫২

শায়মা বলেছেন: আমি অনেক অনেক অনেক ঝামেলায় আছি। তবুও একটু ঢু মারতে এসে দেখি এই কমেন্ট। আর তার হাতের লেখা দেখে আমি মুগ্ধ! B:-)

৮১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: পড়লাম, আর অভিভূত হলাম।
আপনার এই লেখাটি আমাদের দেশের সকল শিক্ষকের পাঠ করা উচিৎ। এখানে থেকে কিছুটা লেসনও যদি কাজে লাগায়, জাতি উপকৃত হবে, উপকৃত হবে এ দেশ।
শুভেচ্ছা রইল আপু।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৪

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। আসলেই আমারও মনে হয় এটা গ্রামে গঞ্জে টিচারদের পড়া উচিৎ।

অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি।

৮২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

একলব্য২১ বলেছেন:

শায়মা আপু,

ক্ষুদের স্কুলে assessment টেস্ট চলছে। ক্লাস 2 এর বাচ্চার ইংরেজি ১ম ও ২য় প্রশ্ন দেখ। ৭ বছরের বাচ্চা জন্য এই ধরনের প্রশ্ন কি ঠিক আছে না কঠিন মনে কর। তোমাদের স্কুলেও কি এই ধরনের প্রশ্ন হয়।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬

শায়মা বলেছেন: এই ছবি দেখে আমি ভাবছিলাম চশমা পরার বয়স আগেই এসেছিলো জেনেছিলাম আজ আর রক্ষা নাই পরতেই হবেই হবে।

৮৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

একলব্য২১ বলেছেন:

২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: আমাদের স্কুলের বাচ্চারা নার্সারী থেকেই জানে কোন কালারের সাথে কোন কালার মিলালে কি হয়। কেনো এবং কতবার ব্রাশ করবে এটাও জেনে যায় কিন্তু সবই ওরালী এবং নানা রকম ভিডিও ছবি ও একটিভিটি ও খেলার মাধ্যমে। কাজেই ৭ বছর বয়সে যতদিনে তারা এসব উত্তর লেখে ততদিনে মাথায় নলেজটা ঠিকই থেকে যায় শুধু লেখা শেখাটাই তখন নতুন।
৩ থেকে সাড়ে ৩ এ প্লেগ্রুপে আসে।
সাড়ে ৪ এ নার্সারী
সাড়ে ৫ এ কেজি ওয়ান
সাড়ে ৬ এ কেজি টু তারপর
সাড়ে ৭ এ ক্লাস ওয়ান।

যদিও তখন এপলিকেশন লিখে কিনা এ ব্যপারে একটু ক্লাস ওয়ান টিচার থেকে জেনে নিতে হবে।

৮৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪২

একলব্য২১ বলেছেন:

শায়মা আপু,

ক্ষুদের স্কুলের পড়ার চাপ খুব বেশী। সব বাচ্চারাই প্রায় সারাদিন লেখাপড়া করে। এখানে আকছার ছেলেরা ফেল করে যায়। প্লাস টিসিও খায় প্রচুর। অনেক অভিভাবক বাধ্য হয়ে অন্য স্কুলে নিয়ে যায় কারণ তাদের বাচ্চারা এই চাপ নিতে পারেনা। আমি এই বছর ১১ মাসের মধ্যে সাড়ে আট মাস দেশের বাহিরে। ক্ষুদের বাবা সেইভাবে সময় দিতে পারে না। আমি থাকলে ক্ষুদেকে অন্যভাবে ট্রেইন করতাম। যাই হোক ওদের বাংলা ১ম ও ২য় পত্রও ভয়ংকর। বাংলা ব্যাকারণের ক্লাস 3র বই ক্লাস 2তে পড়ায়। কি পড়ায় না সন্ধি,বচন, লিঙ্গ, পুরুষ, কারক, বিভক্তি, সমাস বলে শেষ করা যাবে না। ফ্ররচুনেটলি ক্ষুদে লড়াকু ছেলে। সে বাংলা ভাষাতেও ভাল। বেশ ভাল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫

শায়মা বলেছেন: ভেরী গুড।

আসলে লড়াকুরাও জীবনে কিছু না কিছু হয়েই থাকে।
তবে হ্যাঁ এই বাংলা ব্যকারণ দেখে মনে হচ্ছে একটু বেশিই হয়ে গেলো।

অন্তত ক্লাস ফোর/ফাইভ থেকে এর কিছু মিছু হওয়া উচিৎ।



কঠিন কিছুও সহজে শেখানো উচিৎ। মুখস্থ করতে মাথায় চাপ দিয়ে লাভ কি?

৮৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫২

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

ঝামেলা কবে মিটবে। আর কবে নতুন লেখা দিবে।

তুমি কি হিন্দি গান শুনো। জানো এই গানটা একবার আড্ডাঘরে গুরুজী (হেনা ভাই) শুনতে দিয়েছিলাম ওনার খুব ভাল লেগেছিল। গুরুজী নেই। বুকটা খালি হয়ে গেছে। এক রাশ শূন্যতা। মজার ব্যাপার গানের নায়ক ঋষি কাপুরও আর নেই। হায় খোদা!! view this link

খুব ভাল থাকো আপু।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৮

শায়মা বলেছেন: একলব্য ভাইয়ু।

আমার ঝামেলা আসলে কখনই মেটে না। ২৪ ঘন্টায় ২৪ ঘন্টাই আমি ইজি কাজে বিজি।

নতুন লেখা তো সব সময় লিখি। তবে খুব শিঘ্রিই এই আইডিতেই দেবো।

হেনা ভাইয়া আমাদের একজন প্রিয় মানুষ হারিয়েছি আমরা। আমরাও একদিন হারিয়ে যাবো। পৃথিবীতে এই নশ্বর জীবনে আমরা দুদিনের অতিথি। কেটে যায় বেলা আনন্দ বেদনা গানে আর মান অভিমানে তারপর সবই একদিন শেষ হয়ে যায়।

৮৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৮

রাকু হাসান বলেছেন:

ভিজিটিং স্পিকার ও ফিল্ড ট্রিপ অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়। দারুণ কিছু প্রস্তবনা দিয়েছ যা অবশ্যই খুব কাজের । ভিজিটিং স্পিকার ম্যানেজমন্টে কিভাবে করা করো? পেইড গেস্ট নাকি ভলানটিয়ার হিসাবে আসে।বয়সভিত্তিক খেলনার বিষয়ে আমরা উদাসীন খুব। ছোট বাচ্চাদের হাতে আমাদের অভিভাবকরা আনন্দে পিস্তল তুলে দিচ্ছে। এরকম আরও ভয়াবহ খেলনা দিচ্ছে যার প্রভাব অনেক। দারুণ একটি লেখা । ধন্যবাদ ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৩

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই বলেছো। আমাদের সব ভিজিটিং স্পিকারই বলতে গেলে ভলানটিয়ার তবে তারা সব বড় বড় মানুষ। বাচ্চাদের সাথে দুটি কথা বলতে তারা কোনো পেমেন্ট নেননা। তারা উল্টা সময় দিয়ে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতায় বাঁধে। এত সব বড় মানুষদের বাচ্চারা এবং নাতিপুতিরা পড়ে যে আমরা কাউকে না কাউকে রিকোয়েস্ট করার জন্য পেয়েই যাই। তবে আমার বিশ্বাস যে কোনো স্কুলই বাচ্চাদের জন্য তাদেরকে ডাকলে তারা না করবেন না।

হ্যাঁ খেলনা শুধু না যে কোনো জিনিসই আমরা যখন বাচ্চাদেরকে দেই যে কোনো কিছু থেকেই বাচ্চারা উৎসাহিত হয়ে নেগেটিভ ও পজিটিভ আচরণ শিখতে পারে।

যেমন একটা পিস্তল দিয়ে যদি বাচ্চা দেশ রক্ষার কাজে ব্যভার করছে এমন খেলা খেলে তাহলে সেটা পজিটিভ কিন্তু কারণে অকারণে মানুষ মেরে বেড়াচ্ছে সেটা নেগেটিভ।

অনেক ভালোবাসা ভাইয়ু।

৮৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে। আমি জানতে চাচ্ছি ও লেভেল আর ইংরেজী ভার্সনের মধ্যে একটা তুলনামূলক আলোচনা। এই ২ পদ্ধতির মধ্যে সুবিধা অসুবিধা জানতে চাচ্ছি। এই পদ্ধতির মধ্যে খামতিই বা কি আছে। এই ২ পদ্ধতির ভবিষ্যততে সমস্যাই বা কি আছে।

[অফ টপিক: দেখ আমি জানি আজের দিনে ইন্টারনেটের কল্যাণে কেহ যদি কিছু শিখতে চায় তাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। কিন্তু আমি এই মারফতি কথার মধ্যে ঢুকতে চাচ্ছি না।]

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৮

শায়মা বলেছেন: আমার কাছে দুই এর মূল্যই সমান। শুধু কিছু পার্থক্য এই মূল্য কম বেশি করাতে পারে সেটা নিয়ে এত অল্প সময়ে বলা সম্ভব না।

বিস্তারিত পোস্ট দেবো না হয় এক সময়।

তবে এইটুকু জেনে রাখো-

ইংরেজী মাধ্যমে পড়া বাচ্চারা ও ইংরেজী ভার্শনে পড়া বাচ্চাদের মাঝে পারিবারিক সামাজিক অর্থনৈতিক এসব ব্যপারগুলোর অসামঞ্জস্যতা আসলে কিছুটা দায়ী। আরও কিছু সিস্টেম দায়ী। ওয়ে অব টিচিং এবং রিসোরসেসের এর পার্থক্য দায়ী। তবে চাইলে কি না হয়।

গোবরেও পদ্মফুল ফোটে। আর এইসব ভারশন মাধ্যম কি করতে পারে?

৮৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

৮৭ নং কমেন্টে আমার ভাষাটা দিক একটু লক্ষ্য কর। দেখ কেমন উগ্রভাব প্রকাশ করেছি। কেন এই উগ্রতা? আমি চাপের মধ্যে আছি তাই আমার কথায় এই উগ্রতা প্রকাশ ঘটেছে। রিয়েলি স্যরি ফর দ্যাট। তুমি তোমার সময় সুযোগমত তোমার মতামত দিও।

আচ্ছা তোমার গল্পের নায়করা কি হঠাৎ করে রেগে যেত। নায়িকার সাথে রাগারাগি করতো। যতটুকু তোমার লেখা পড়েছি তুমি সেরকম তেমন কিছু উল্লেখ করনি। বা উল্টোভাবে তোমার গল্পের নায়িকারা রাগ হলে কি করতো সে ব্যপারেও তুমি মনে হয় খুব একটা লেখ নি। যাই হোক আমার স্মরণ শক্তি এত প্রখর নয়। আমি আপাতত আমার কাজেই মসরুফ (ব্যস্ত) থাকতে চাই। :D

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমি খুবই স্বজনপ্রীতি মানুষ। তোমার ভাষা উগ্র করে বললেও আমার মনে হয় মধুর। যারা আমাকে ভালোবাসে আমি তাদের দোষ দেখতে পাইনা। যারা বাসেনা তাদের ভালো কথাও আমার কাছে দোষের। :)

আমার গল্পের নায়িকারা সব আমার মত। মানে না পাত্তা। রাগ করছিস? তাইলে মর গিয়ে তোর রাগ নিয়ে বেটা..... আমার থোড়াই কেয়ার তোর রাগের। :P

তবে শুধু কিশোরীবেলার নায়িকাটাই নায়ক রাগ করলে তারে কেমনে রাগ কমাবে ভেবে ভেবে অস্থির ছিলো। সত্য মিথ্যা দিয়ে এটা সেটা বলে তার রাগ ভাঙ্গিয়েই ছাড়তো। আর সেই নায়ক তো রাগ করুক আর যাই করুক নায়িকা খুন করে আসলেও তার কাছে খানিক পরে মাফ।

৮৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০১

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

ব্রাদার গার্ডিয়ানদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে বাচ্চাদের একদম মোবাইল দিয়ে গেইম খেলতে দিবেন না। চিঠির এই লাইনি বোল্ড করে দিয়েছিলেন। তারপরও ওর বাবার নিষেধ সত্ত্বেও আমার কারণে ক্ষুদে মোবাইলে গেইম খেলতে দেওয়া হতো। কারণ ক্ষুদে অনেক পড়াশুনা করে আর করোনার কারণে বাহিরে খেলতে যেতে পারে না। তাই ক্ষুদের মনোরঞ্জনের জন্য আমি অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ এই নিউজটা চোখে পড়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওকে আর মোবাইলে গেইম খেলতে দিব না। এই কথা বাড়ীতে জানিয়ে দিয়েছি।

আমার মনে হলো এই খবরটা তোমাকে শেয়ার করি।

Mobile Phone: শিশুচোখে বিপদ ঘনাচ্ছে মোবাইল! অন্তত দু’ঘণ্টা বাইরে খেলতে দিতে হবে, বলছেন চিকিৎসকেরা

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৪

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ মোবাইল গেইম খেলা বন্ধ হওয়া উচিৎ এটা বাচ্চাদের ক্রিয়েটিভিটি কমিয়ে দিয়ে শূন্য করে দেয়। আর যেহেতয় নেশাগ্রস্থ করে তোলে কাজে কম করে দিলেও ওদিকেই মন পড়ে থাকে।

আমার জীবনে ছোটকালে মোবাইল গেইম দিলে আমার আর আজকের আমি হয়ে ওঠাই হত না। তাতে আমার আর কোনো সন্দেহ নেই। :)

৯০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

একটা বিষয় জানতে ইচ্ছা করে ক্ষুদেকে যদি তুমি মানুষ করতে তাহলে কিভাবে ওকে বড় করতে কিভাবে মানুষ করতে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৫

শায়মা বলেছেন: এত কঠিন প্রশ্ন!!!!
এটা নিয়ে একটা গল্প হতে পারে। :)

৯১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২০

একলব্য২১ বলেছেন: এত কঠিন প্রশ্ন!!!

সিরিয়াসলি জানতে ইচ্ছে করে। সত্যিই তোমার ভাবনাটা জানতে ইচ্ছে করে। :)

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৩

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা জানাবো। পরে জানাবো মহা ঝামেলায় আছি ভাইয়ু......

৯২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৮

একলব্য২১ বলেছেন: আচ্ছা জানাবো।

ঠিক আছে।

ইউটিউবে কোন একজনের কয়েক মিনিটের একটা মোটিভেশনাল স্পীচ শুনছিলাম। সেখানে স্পীকার বলছে "ঝামেলায় আছেন মানে আপনি বেঁচে আছেন। যেদিন ঝামেলা থাকবে না তখন আপনি মৃত।" কাজেই ঝামেলা নিয়ে এত বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। ইট'স পার্ট অফ লাইফ।

ক্ষুদের ব্যাপারে আমার কিছু চিন্তাভাবনা আছে। তবে সেটা খুব প্রাথমিক পর্যায়ের। আমার সব কিছু ভালভাবে বুঝতে হবে। আজ রাজীব নূর ভাই তার মেয়ের ব্যাপারে একটা লেখায় এই ধরনের কিছু চিন্তাভাবনার কথা লিখেছেন। আমার কাছে ভাল লেগেছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪৫

শায়মা বলেছেন: ঠিক এমন করে শামসীরভাইয়াও তার অনাগত সন্তানের জন্য চিঠি লিখতেন। রাজীবভাইয়ার চিঠিগুলোও অনেক অনেক সুন্দর। আর তার বেবি দুইটাও পরীবাচ্চা একেকটা। তাদের জন্যও অনেক ভালোবাসা।

ক্ষুদেকে পেলে আমি শিখাতাম এক আনন্দময় জীবনচক্র পরিভ্রমন। কঠোর নিয়মানুবর্তিতা বা যে কোনো কঠিন পরিশ্রম বা অধ্যবসায়ও যে আনন্দের সাথে করা যায় সেই যাদুটাই শিখিয়ে দিতাম।

আরও শিখাতাম সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্কিল। :)

মানে ট্রাই করতাম আর কি :)

৯৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

একলব্য২১ বলেছেন: ক্ষুদেকে পেলে আমি শিখাতাম এক আনন্দময় জীবনচক্র পরিভ্রমন। কঠোর নিয়মানুবর্তিতা বা যে কোনো কঠিন পরিশ্রম বা অধ্যবসায়ও যে আনন্দের সাথে করা যায় সেই যাদুটাই শিখিয়ে দিতাম।

আমি সত্যি অবাক হয়েছি তোমার এই দুইটা পয়েন্ট দেখে। একদম bullseye। প্রথমে যেটা বলেছ নিয়মানুবর্তিতা, কঠোর পরিশ্রম বা অধ্যবসায় সাথে আনন্দ করা এটা আমি জানতাম। শিশুদের কিভাবে বড় করবে চাণক্যের লেখার আমি এটা পেয়েছি। এবং এই ব্যাপারটার প্রতি আমার লক্ষ্য আছে এবং থাকবে। ওকে আনন্দের মধ্যে রাখা হয় বা কাজের মধ্যে যেন আনন্দ পায় তারদিকে লক্ষ্য রাখা হয়।

আরও শিখাতাম সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্কিল।


কিন্তু এই ব্যাপারটা আমার মাথায় স্পষ্টভাবে ঠিক এইভাবে আসেনি। তবে এলোমেলোভাবে ঘটনার পরিক্ষিতে কিছু বিষয় শেখানো হয়। যেমন ক্ষুদেকে যা শিখাতে চেয়েছিলাম যে তোমাকে যদি কেহ বিরক্ত বা ক্ষতি করার চেষ্টা করে তার প্রতিবাদ করবে। কোন ছেলে যদি ক্লাসে তোমাকে বিরক্ত করে বা আঘাত করে তৎক্ষণাৎ মিসকে বলবে। প্রশ্ন করে পড়া মিসের থেকে বুঝে নিবে। ভয় পেয়ে চুপ করে থাকবে না।

তবে তুমি যেটা বলেছ এটা আরও অনেক গভীর অর্থ বহন করে। এই ব্যাপারে আরো একটু যদি ডিটেলসে লিখতে তবে আরও উপকৃত হতাম।

শায়মা আপু,

তুমি এই ব্যাপারে কোন আর্টিকেল, গল্প যা ইচ্ছা লিখতে পারো। আমার দিকে থেকে কোন আপত্তি নেই। বরং তুমি লিখলে আমরা তা পড়ে শিখে ক্ষুদেদের আরও ভালভাবে যুগোপযুগি মানুষ করে গড়তে পারবো।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ অবশ্যই লিখবো।

এ বছরে তোমরা কয়জনা ছিলে আমার লেখার অনুপ্রেরণা! :)

৯৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২৬

গরল বলেছেন: খুবি ভালো বিষয় তুলে ধরেছেন, শিক্ষকদের পেছনে বিনিয়োগ না করলে জাতির উন্নতি হবে না। আমাদের দেশে কিন্ডারগার্টেন যারা পড়ায় তারা নিজেরাই কতটুকু পড়াশুনা জানে বলা কঠিন। দুই একটা ভালো স্কুল বাদে ভালো শিক্ষক নেই কোন স্কুলে, কোচিং করাতে করাতে একদিন তারা স্কুল খুলে বসে। তারা নিজেদেরই সাইকোলজী বুঝে না, শিশুদের সাইকোলজী বুঝবে কিভাবে। অথচ শিশুদের শেখাতেি বেশি কষ্ট করতে হয় শিক্ষকদের। আর সাইকোলজী না বুঝে পেডাগগীতো আসলে বানরকে দিয়ে নাচ শেখানোর মত। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স জরুরী।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩৯

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া। আজকাল অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে।বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডও ট্রাই করছে কিন্তু বাস্তবায়ন এত তাড়াতাড়ি সম্ভব না।

আর এত অভাবী শিক্ষকেরা নিজেদের রুটি রুজি নিয়ে থাকে যে নতুন কোনো উদ্যম উদ্দিপনা আর তাদের মাঝে কাজ করে না।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.