নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসো বসো গল্প শুনি

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১২


ছোট থেকেই আমি বকবক করতে পারি। তখনও আমি গল্পের বই পড়তে শিখিনি, তখনও আমি বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতে পারতাম। আর আমার সে সব গল্প শুনে বাড়ির সকলে হাসতে হাসতে মরে যেত কিংবা বলতো আরও একটা গল্প বল না??? আমি গল্প শুনেছি মায়ের কাছে, দাদীর কাছে, নানীর কাছে, এমনকি বাসার কাজের লোকজন যারা থাকতো তাদের কাছেও। এই গল্প বলাও যে একটা আর্ট সেটা জেনেছিলাম ছোট্ট বেলায় নতুন কুঁড়ি থেকে। সে সব দিনে এই নতুন কুড়ি আমার খুব পছন্দের এক অনুষ্ঠান ছিলো। নাচ, গান কবিতার পাশাপাশি সেখানে কোরান তেলওয়াৎ এবং গল্প বলার মত বিষয়গুলিও প্রাধন্য পেত। সেখান থেকেই আমি জেনেছিলাম গল্প বলাও যে কত রকম আর কত ধরন হতে পারে।

যাইহোক, এমনিতেই আমি এই গল্প করা বা বকবকের ওস্তাদ ছিলাম, সেই আমি স্কুলে জব করতে গিয়ে, বাচ্চাদেরকে গল্প শুনাতে শুনাতে এক সময় হয়ে গেলাম প্রফেশনাল গল্প কথক। স্টোরি রিডিং বা গল্প পড়া, স্টোরি টেলিং বা গল্প বলা এই আর্ট বাচ্চাদের স্কুলে যে কি বিশেষ প্রয়োজন তা আমি বুঝতে পারি যখন দেখি আমি যখন গল্প বলি তখন চরম অশান্ত বাচ্চাটিও শান্ত হয়ে বসে আর মগ্ন হয়ে যায় গল্পের ভেতরে। আমার তখন খুব মজাই লাগে। যেন আমি তাদেরকে হিপনোটাইজড করে ফেলেছি। হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মত বাঁশী না বাঁজিয়ে হলেও, আমার গল্পের যাদু দিয়ে বটে। হা হা এমনটাই মনে হয় আমার।

তবে যাই বলি না কেনো? ছোটবেলার বকবক আর সত্যিকারের গল্প বলা আর্টের মাঝে একটু পার্থক্য আছে। মানে গল্প তো সবাই বলে কিন্তু একটু প্রফেশনালী কিংবা আর্ট বানাতে গেলে গল্প বলার সময় কিছু বৈশিষ্ঠ বা ক্রাইটেরিয়া মনে রাখতে হয়। সেটাকেই বলে স্টোরি টেলিং টেকনিকস। যেমন-
১। উচ্চারণ - উচ্চারন সঠিক ও স্পষ্ট হতে হবে। এটি একটি বাচিক শিল্প আর তাই গল্প পড়ার সময় বড় বাক্যের জন্য দম ধরে রাখতে হবে। আর বলার সময়ও একই ভাবে একটি পুরো বাক্য শেষ করতে হবে।

২। টেইল ড্রপ বা আধা আধা কথা - পুরো বাক্যের সবগুলি শব্দ যেন শোনা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বাক্যের শেষ শব্দটা স্পষ্ট হতে হবে। শক্তি কমে যাওয়া বা হালকা হয়ে যাওয়া চলবে না।

৩। গল্পের ছন্দ- কবিতা পাঠের মত গল্পেরও একটা ছন্দ আছে। এই ছন্দের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতি দ্রুত হড়বড় করে বলাও যাবেনা। আবার ধীরে ধীরে মিঃ স্লো হয়েও পড়া বা বলা যাবে না।

৪। শ্রোতার অনুধাবনের জন্য সময় দিতে হবে - গড়গড় করে পড়ে গেলাম বা বলে গেলাম শ্রোতার মাথায় কিছুই ঢুকলো না এমনটা কোনোভাবেই হবে না। একটি বাক্য থেকে বা একটি সংলাপ থেকে আরেকটিতে যাবার সময় পজ বা বিরতি খেয়াল রাখতে হবে। শ্রোতা যেন বুঝতে পারে কোথায় পরিবর্তনটা হচ্ছে।

৫। কন্ঠে অভিব্যাক্তি- কন্ঠে বৈচিত্র, অভিনয়, ঢং থাকতে হবে। কিন্তু ঢংটা যেন অতি অভিনয় হয়ে গিয়ে বিরক্তির সৃষ্টি না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গল্পপাঠে গাম্ভীর্য্য বজায় রাখাটাও কিছুটা জরুরী। ভয়েজ প্রজেকশন বা নারী পুরুষ বাচ্চার গলায় কথা বলার সময় কন্ঠে বিভিন্নতা আনার চেষ্টা করতে হবে। এটা খুব সহজ বিষয় না। একজন চিনচিনে গলার মেয়ে একজন মোটাসোটা ভোম্বল লোকের গলায় কিন্তু কথা বলতে কষ্ট হবে। তাই এত ভাবনা না ভেবে এমনভাবে বলতে হবে যেন চরিত্রগুলোকে অন্তত আলাদা করা যায়।

৬। মুখ ও শরীরের অভিব্যাক্তি- কন্ঠ ছাড়াও চেহারায় অবাক হওয়া, হাসি, দুঃখ কান্না এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়েও ভয়, লাফ দিয়ে ওঠার অভিনয় এসব গল্পকে আরও প্রানবন্ত করে। তাই বলে হাত, পা মাথা অতিরিক্ত নাড়িয়ে বিরক্তির সৃষ্টি করা যাবে না।
৭। পরিবর্ধন বা পরিমার্জন- গল্প বলার সময় অতিরিক্ত বিরক্তিকর অংশ বাদ দিয়ে বা কিছু দর্শক শ্রোতার আগ্রহের জন্য কিছু যোগ করেও বলা যেতে পারে। এতে গল্প আরও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে।

এই গেলো গল্প বলার কিছু সাধারণ টেকনিক। তবে গল্প বলাটাকে আরও রিয়েলস্টিক আকর্ষনীয় করে তুলতে কিন্তু উপকরণ বা প্রপসের জুড়ি নেই। একটা স্কেল বা রুলারকেই বানানো যেতে পারে তলোয়ার আবার সেটাও কখনও কখনও বৈঠা হয়ে যেতে পারে। আরও আকর্ষনী্য করতে ছোট ছোট প্রপস বানিয়ে রাখা যেতে পারে। বড় জায়গায় বা মঞ্চে গল্প বলার সময় পরিবেশের আবহ তৈরী করা যেতে পারে।


একজন ভালো গল্প কথককে হতে হবে-
উদ্যমী ও আত্মবিশ্বাসী - তাহলেই সঠিক ভাবে ভয়েস ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে গল্প দিয়ে কথক ও শ্রোতার মাঝে সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠিত হবে।

অডিয়েন্স বা দর্শক ও শ্রোতাদের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। ছোট ছোট প্রশ্ন, হাসি তামাশা বা আগ্রহ উদ্দীপনা দিয়ে দর্শক শ্রোতাদেরকে যুক্ত করতে হবে।

একজন গল্পকথক তার গল্প বলার সাচ্ছন্দ্য, দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে অন্যকেও উৎসাহ ও উদ্দিপনা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
দর্শক ও শ্রোতার সাথে মানসিক যোগাযোগ ও সাচ্ছন্দ তৈরী করা অতীব জরুরী। গল্প কথক নিজের কোনো অভিজ্ঞতা খোলাখুলি বলে নিজেকে আরও গ্রহনযোগ্য ও সহজ করে তুলতে পারে।

পরিবেশ পরিস্তিতি ও মেজাজ বুঝতে পারা- দর্শকদের প্রতিক্রিয়া এবং দর্শকদের ব্যস্ততার উপর ভিত্তি করে গল্পের সুর, গতি বা এমনকি উপাদানগুলিকে পরিবর্তন করতে হবে। ইনস্টান্ট ডিসিশন নিতে হবে।

সৃজনশীলতা- গল্পকথক যত সৃজনশীল হবে ততটাই সুন্দরভাবে গল্প পরিবেশন করতে পারবেন কারণ গল্পের মাঝে রং রস সুধা ঢেলে দেবার কাজে তাকে পটু হতে হবে।

সহানুভূতিশীলতা- একজন মহান গল্পকারের গভীর সহানুভূতির প্রকাশ তাদের গল্পের চরিত্রগুলির আবেগ বুঝতে এবং প্রকাশ করতে সাহায্য করে এবং সেইসাথে দর্শকদের অনুভূতির সাথে সংযোগ স্থাপন করে।

গল্প আমরা যতই করি না কেনো গল্প বলা বা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য অনুশীলন বা প্রাকটিস অবশ্য করণীয়। সহজ কথা যায় না বলা সহজে। কবিগুরুর এই কথাটিকে মাথায় রেখে জীবনে সব শিক্ষার জন্যই অনুশীলন প্রয়োজন আসলে।

যাইহোক বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে গল্প গুজবও যেমন মন ভালো করে ঠিক তেমনই গল্প শোনাটাও বিশেষ করে ছেলেবেলার গল্পগুলো শুনলে মন হারিয়ে যায় ছেলেবেলার মোহময় সুন্দর স্মৃতিময় অতীতে। কিছু সময়ের জন্যও ভালো থাকি আমরা। প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে যায় মনে।

চলে গেলো আমাদের স্কুলের রোড টু ওয়েলনেস দিনটি। আমার গল্পের ঝুলি নিয়ে বসেছিলাম আমি ও আমার দল। এই গল্পের ঝুলি ভরতে আমাদের সময়, শ্রম ও ভালোবাসার কোনো কমতি ছিলোনা। যতভাবে সম্ভব ততভাবের চাইতেও বেশি চেষ্টা ছিলো আমাদের। সেই চেষ্টার সুন্দর প্রতিফল যখন দেখেছিলাম আমাদের বাচ্চাদের চোখেমুখে, প্রশান্তির পরশ ছিলো অভিভাবকদের মুখচ্ছবিতে। তখন আর এর চাইতে বেশি কিছু চাওয়া বা পাওয়ার ছিলো না।

আমাদের গল্প ছিলো কাক ও কলসের গল্প এবং আরেকটি ছিলো কাঠুরে ও জলপরী। গল্প শেষে অভিভাবকেরা স্মৃতি রোমন্থন করেছিলেন তাদের ছেলেবেলার মধুময় কিছু গল্প শোনার সময় বা বিভিন্ন ঘটনার যা আমার মনে গেঁথে থাকবে হয়ত চিরকাল।

অনেক বকবক হলো। এবারে চিরায়ত শ্বাশত গল্পগুলিকে কি পরিবর্ধন, পরিমার্জন করেছিলাম সেই স্ক্রিপ্ট দুইটাও দিয়ে দিলাম।


কাক ও কলসের গল্প
সে অনেকদিন আগের কথা। এক গ্রামে অনেক বড় এক গাছের ডালে বাস করতো একটা কাক। তখন ছিলো গ্রীস্ম কাল। তাই সূর্য্যমামাও ছিলো ভীষন গনগনে। এক দুপুরে এত রৌদ্র ছিলো চারদিকে। কাকটার ভীষন তেষ্টা পেয়েছিলো। ।সে চারিদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে পানি খুঁজছিলো। কিন্তু তখন তো গ্রীস্মকাল ছিলো তাই খাল বিল নালা সব শুকিয়ে গিয়েছিলো। কোথাও এক ফোটা পানিও দেখা যাচ্ছিলো না। সে কি বলছিলো জানো?
- কা কা কা উফফ কি প্রখর সূর্য্যরে বাবা। চারিদিকে চোখ মেলে চাওয়াই যায় না। গলা শুকিয়ে কাঁঠ হয়ে গিয়েছে। বড্ড তেষ্টা পেয়েছে। কোথায় যে একটু পানি পাই?
ঊড়তে উড়তে ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় সে ভীষন ক্লান্ত হয়ে পড়লো। ।
সে গিয়ে বসলো এক গৃহস্ত বাড়ির চালে। সেখানে গৃহস্ত বউ কিছু মরিচ শুকাতে দিয়েছিলো। সেই মরিচ দেখে কাক ভীষন খুশি হলো। ক্ষুধা তৃষ্ণা ভুলে আনন্দে গান ধরলো-
মরিচ মরিচ লাল টকটক
ঝেড়ে মুছে ঝা চকচক
রোদে শুকিয়ে মুড়মুড়ে
খাবো আমি কুড়মুড়ে।
মচমচে লাল মরিচ।
খেতে যেন চিপস।
কা কা কা কা বাহ! কি লাল টকটকে ঝকঝকে মরিচ। রোদে শুকিয়ে মচমচে মুড়মুড়ে হয়ে গেছে। একদম ঐ যে মানুষের বাচ্চারা খায় না চিপস। ঠিক তেমন ঠিক তেমন। না জানি এই মরিচ খেতে কি না মজা!!! তাড়াতাড়ি খাই তাড়াতাড়ি খাই।
বলেই সে খপ খপ খপ করে টকটকে লাল ঝকঝকে, রোদে শুকিয়ে মুড়মুড়ে ও মচমচে মরিচ খেতে লাগলো। খেতে খেতে খেতে খেতে সব মরিচ শেষ করে ফেললো। তারপর বললো।
-উফ কি ঝালরে বাবা। যাই যাই পানি খাই। পানি খাই। এবারে তার পানির তেষ্টা আরও বেশি বেড়ে গেলো।
কিন্তু হায়! কোথায় পানি? গ্রীস্মের সেই কাঁঠফাটা দুপুরে পানি তো দূরের কথা কোথাও কোনো জনমনিষ্যর দেখাও ছিলো না। চারিদিকে ধু ধু খা খা করছিলো। কাকের তো তখন এমনিতেই ঝাল খেয়ে অবস্থা কাহিল তার উপরে গরম আর পানির তৃষ্ণা পেয়েছিল। । সে দূরে হঠাৎ দেখতে পেলো একটা পানির কল। কাকটা বললো-
- ঐ তো ঐ তো একটা পানির কল দেখা যাচ্ছে। সেখানে গেলে নিশ্চয়ই দু এক ফোটা পানি জুটবে কপালে। তাড়াতাড়ি যাই তাড়াতাড়ি যাই।
সে অনেক আশা নিয়ে পানির কলটার কাছে উড়ে গেলো। আর তারপর কলটার উপরে গিয়ে বসলো । তারপর এদিক ঘোরে ওদিক ঘোরে উপরে নীচে সবখানে পানি খুঁজতে শুরু করলো। কিন্তু কলটা ছিলো একদম পানিশূন্য শুকনো খটখটে। সে কিছুতে ই এক ফোটা পানিও সেখানে পেলো না। কাকটার খুব দুঃখ হলো। সে বললো-
- হায়রে কপাল! এই কলের গায়ে তো এক ফোটা পানিও দুলছে না। এখন আমি কি খাবো!!! এমনিতেই ঝালে জীভ জ্বলে যাচ্ছে তার উপরে আবার এই গরমের কাঁঠফাটা দুপুর। এখন আমি কোথায় পানি পাই? তারপরেই সে দেখতে পেলো একটা বালতি। কাকটা বললো-
-ঐ যে একটা বালতি দেখা যাচ্ছে। যাই তো যাই তো ।
সে আবারও অনেক আশা নিয়ে উড়ে গিয়ে বসলো বালতির কানায়। কিন্তু এক ফোটাও পানিও ছিলো না তাতে। কাকটা বালতির কানায় বসে ভেতরে দেখে। উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে চারিদিক দেখে তবুও কোনো পানির সন্ধান পায় না। শেষে রাগে দুঃখে পানির বালতিটার উপর হুটোপুটি করতে করতে বালতিটাই ফেলে দিলো তারপর উড়ে গেলো আকাশে। উড়তে উড়তে এবার সে দেখতে পেলো একটা পানির পাত্র।
- ঐ যে ঐযে একটা পানি ভর্তি পাত্র দেখা যাচ্ছে। এবার আমি নিশ্চয়ই পানি পাবো।
সে অনেক আশা নিয়ে উড়ে গিয়ে বসলো পাত্রটার কানায়। কিন্তু এবারেও বিধি বাম। পাত্রে পানি ছিলো বটে তবে পানিটা ছিলো এখটু নীচে যেখানে কাকটার ঠোট পৌছাচ্ছিলো না।
- নাহ। পানি তো অনেকটা নীচে। আমি তো ঠোঁট ডুবিয়ে পানি অবধি যেতেই পারছি না। তেষ্টায় বুক ফেটে যাচ্ছে। ওহ আমি এইভাবে আর থাকতে পারছি না। আমাকে পানি খেতেই হবে। তাই সে বারবার চে্ষটা করতে লাগলো। কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও কোনোই লাভ হলোনা। কাকের ঠোট কোনোভাবেই সেই পানি পরযন্ত পৌছালো না। তখন হঠাৎ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো।
কাক মনে মনে ভাবতে লাগলো। কি করা যায় কি করা যায়! হঠাৎ সে আনন্দে নেচে উঠলো। সে দেখলো চারিদিকে নুড়ি পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাই দেখেই তার মাথায় বুদ্ধি এলো। সে উড়ে গিয়ে একটা নুড়ি পাথর ঠোঁটে করে এনে ফেলে দিলো পানির পাত্রে। তারপর একের পর এক নুড়ি এনে এনে ফেলতে লাগলো। কেনো বলোতো? নুড়ি ফেলার সাথে সাথে দেখো পানি কিন্তু উপরে উঠে আসছে। দেখতে পাচ্ছো?? তার মানে পানির পাত্রে নুড়ি ফেললেই পানি একটু একটু করে উপরে উঠে আসে। কাকটা সেটা ভেবে বের করেছিলো। কাকটার কি বুদ্ধি দেখেছো?
এইভাবে একের পর এক নুড়ি ফেলে ফেলে পানিটা একদম উপরে উঠে এলো। আর কাকটা প্রান ভরে পানি খেয়ে তৃষ্ণা মিটিয়ে উড়ে চলে গেল। আর কি বললো জানো? -
সব সমস্যাই সমাধান আছে। শুধু ইচ্ছে ও উদ্যোম নিয়ে কাজ করে যেতে হবে …


কাঠুরে ও জলপরী
সে অনেকদিন আগের কথা। বিশাল বড় এক বনের ধারে বাস করতো এক কাঠুরিয়া। সে সেই গহীন বনে রোজ কাঠ কাটতে যেত। কাঠুরিয়াটা ভারি গরিব ছিলো। রোজ কাঠ বিক্রি করে যেই টাকা পেত তাই দিয়ে কোনোরকমে খেয়ে-পরে দিন চলত তার।
একদিন এক নদীর ধারে সে গেল কাঠ কাটতে। সেখানে গিয়ে একটা গাছে যেই কুড়াল দিয়ে ঘা মেরেছে, অমনি তার হাত ফসকে কুড়ালটা গভীর পানির মধ্যে পড়ে গেল। কাঠুরিয়া তো ভীষন ভয় পেয়ে গেলো আর কাঁদতে লাগলো-
- হায় হায় এখন কি হবে? আমার তো আর কোনো কুড়াল নেই এমনকি আমার কাছে কোনো টাকা পয়সাও নেই যে আরেকটা কুড়াল কিনে নেবো। এখন আমি কি করবো? এই কাঠ কেটে বিক্রি না করতে পারলে তো আমার ছেলে মেয়েরা সবাই না খেয়ে থাকবে।
সে এতই গরিব ছিলো যে তার আবার একটা কুড়াল কেনার মতো সংগতি ছিল না। তাই কী উপায় করবে, গাছের গোড়ায় বসে বসে সে কাঁদতেই থাকলো।
এমনি করে কিছুক্ষণ কেটে যাবার পর হঠাৎ এক জলপরী নদীর মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাকে প্রশ্ন করল, তোমার কি হয়েছে? তুমি কাঁদছ কেন?
কাঠুরিয়া বলল, - সে আর তোমাকে বলে কি হবে? জলপরী বললো
- বলো আমাকে। দেখি আমি তোমাকে কোনো সাহায্য করতে পারি কিনা? কাঠুরিয়া বললো-
- না না তুমি কিছুই করতে পারবে না । জলপরী বললো,
- বলেই দেখো না কিছু করতে পারি কিনা? কাঠুরিয়া বললো-
-আমি বড় গরিব, আমার কুড়ালটা পানিতে পড়ে গেছে, তাই কাঁদছি। এই কুড়াল ছাড়া আমার কি করে চলবে? আমার ছেলেমেয়েরা কি খাবে?
জলপরী বলল, আচ্ছা তোমার কুড়াল আমি এনে দিচ্ছি, তুমি কেঁদো না। কাঠুরিয়া বললো-
-ধ্যাৎ তুমি কিছুই করতে পারবেনা।আমি অনেকক্ষন যাবৎ নিজেই চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমার কুড়ালটাকে কোথাও খুঁজেই পেলাম না। এটা একেবারেই তলিয়ে গেছে। জলপরী বললো
- দেখি আমি একটু চেষ্টা করে তোমার কুড়ালটা আনতে পারি কিনা?
এই বলে সে নদীতে ডুব দিয়ে একখানা সোনার কুড়াল তুলে আনলো। জলপরী জিজ্ঞাসা করল, এটা কি তোমার ?
কাঠুরিয়া ভালো করে দেখে বলল, না। এটা তো সোনার কুড়াল। অনেক দামী। আমারটা তো লোহার কুড়াল ছিলো।
জলপরী আবার পানির মধ্যে ডুব দিয়ে একটা রুপার কুড়াল নিয়ে আসলো। তারপর আবারও জিজ্ঞাসা করল, তবে এটা কি তোমার ? 
এবারও কাঠুরিয়া বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করে বলল, না, এটাও নয়। এটা তো রুপার। অনেক দামী। আমারটা তো লোহার কুড়াল।
তখন জলপরী আবার ডুব দিয়ে একটা লোহার কুড়াল এনে তাকে দেখাল। কাঠুরিয়া এতক্ষণ পরে নিজের কুড়ালখানি চিনতে পেরে সানন্দে বলে উঠল, হ্যাঁ, হ্যাঁ এটাই আমার এটাই আমার।
জলপরী কাঠুরিয়ার এই সততা দেখে মুগ্ধ হল। সে তাকে তার নিজের কুড়ালটি তো ফিরিয়ে দিলই, উপরন্তু সোনার ও রুপার কুড়াল দুটিও উপহার দিলো- বললো
- কাঠুরিয়া তুমি গরীব বটে তবে লোভী নও। তুমি সোনার আর রুপার কুড়াল দুটি দেখেও লোভ করোনি। নিজের কুড়ালটাকেই পেতে চেয়েছো। মিথ্যা বলেও সেই দুটি নেবার চেষ্টা করোনি। তাই এই লোহার কুড়ালটির সাথে সাথে এই সোনার আর রুপার কুড়াল দুটিও তোমাকে উপহার দিলাম। কাঠুরিয়া বললো-
- ধন্যবাদ জলপরী। তোমার এই উপকারের কথা সর্বদা মনে রাখবো।জলপরী বললো,
- বেশবেশ! সারাজীবন এমন সৎ ও পরিশ্রমী থেকো। বলেই পানির মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল।
এতখানি সোনা ও রুপা পেয়ে কাঠুরিয়ার অবস্থা বেশ ভালো হয়ে গেল। কেননা সেই কুড়াল দুটি বাজারে বিক্রি করে সে অনেক টাকা পেল, তারপর সুখে ও স্বচ্ছন্দে তার পুরো পরিবার নিয়ে বাস করতে লাগলো।


সবাই সবার বেবিদেরকে পড়ে শুনিও কিন্তু! :)

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩১

মেহবুবা বলেছেন: তুমি গল্প বলা এবং শোনা নিয়ে যা কিছু বলেছো সেটা কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বেলাতেও অনেকটা প্রয়োজন অন্য বিষয়ে পড়াতে গেলেও।
কণ্ঠের অভিব্যাক্তি গুরুত্বপূর্ণ।
যারা সামনে আছে তাদের অভিব্যাক্তি পড়ে নিয়ে মূহুর্তের মধ্যে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
তোমার জ্ঞান গর্ভ লেখায় আবার চন্দ্রবিন্দু বসাতে এলাম।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

শায়মা বলেছেন: স্টোরি টেলিং শিশুশিক্ষায় এক অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। যদিও আমাদের সময় এত সুন্দর করে কেউ স্কুলে গল্প শোনায়নি। তবুও আমাদের দাদী নানীদের কেউ কেউ গল্প কথকের ভূমিকায় অনন্য ছিলেন। :)

আমি একই ঠাকুরমার ঝুলি মনে হয় সাত আটশোবার পড়েছি আমার জীবনে। আর তিনকন্যা মৎস্যকুমারীর দুঃখে আমি কাঁদতে কাঁদতে কাঁদতে কাঁদতে শেষ হয়েছিলাম। মৎস্যকুমারীর বোকামী দেখে সেই বয়সেই বুঝে গিয়েছিলাম। বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে....

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩২

মেহবুবা বলেছেন: তুমি গল্প বলা এবং শোনা নিয়ে যা কিছু বলেছো সেটা কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বেলাতেও অনেকটা প্রয়োজন অন্য বিষয়ে পড়াতে গেলেও।
কণ্ঠের অভিব্যাক্তি গুরুত্বপূর্ণ।
যারা সামনে আছে তাদের অভিব্যাক্তি পড়ে নিয়ে মূহুর্তের মধ্যে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ।
তোমার জ্ঞান গর্ভ লেখায় আবার চন্দ্রবিন্দু বসাতে এলাম।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

শায়মা বলেছেন: দুইবার দিলে কিন্তু!! হা হা যাইহোক ভয়েস প্রজেকশন বা কন্ঠের অভিব্যাক্তি। আমি সেটা পাপেট শো করতে গিয়ে শিখেছিলাম। তবে ইদানীং ভয়েস চেঞ্জার অনলাইন দিয়ে রেকর্ড করে নিলেও অনেক অনেক সহজ হয়ে যায় পাপেট শো। তবে লাইভ করতে গেলে সেসবের কোনো কাজই নেই। :)

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: লাইক দিয়া গেলাম , ছবিটা দেইখা । চারিদিকের অশান্তিময় পরিবেশে বাচ্চাদের সাথে আপনার ছবিটা ব্লগে শান্তির পরশ ছড়িয়ে দিল। আগামীকাল পোস্ট পড়ে, পোস্ট সম্পর্কিত কমেন্ট করব |-)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

শায়মা বলেছেন: এত অশান্তি কবে শেষ হবে??

একদম গৌতম বুদ্ধের মত সকল অশান্তির মাঝে চোখ বুজে শান্তি খুঁজিতে হইবেক! যাইহোক কালকে যেন আবার পড়তে ভুলে যেওনা ফাকিবাজী পড়ালেখা ভাইয়ু!

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

নীল-দর্পণ বলেছেন: গল্প বলা হলুদিয়া পরীকে মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। আমি ইদানিং খেয়াল করেছি কোন গল্প বললে আমার কন্যারা আমার মুখে মুখে বলতে থাকে খুব সিরিয়াস ভংগী নিয়ে =p~
ছোট্টবেলায় আমাদের একজন শিক্ষক ছিলেন পুরোক্লাসে নেচে নেচে ছড়া কবিতা পড়াতেন। কী যে ভালো লাগতো। এখনো চোখের সামনে ভাসে ক্লাস ওয়ানের সেই পড়া। এমন শিক্ষককেইতো বাচ্চারা পছন্দ করে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫১

শায়মা বলেছেন: তোমার বাচ্চাদের জন্য গল্পবলা ভিডিওটা পাঠিয়ে দেবো নাকি নীলুমনি!!!!!!!!!!! :)

আমি রোজ বাচ্চাদেরকে গল্প শুনাই বাসায় যাবার আগে আগে। সেই গল্প শুনে তারা হিপনোটাইজড হয়ে যায় সারাদিন যতগুলো বকা খেলো ভুলে যায়। !! :)

কি মজা আর বাবামায়েরা ভাবে কি ভালোরে আমাদের বাচ্চাদের টিচারটা!!!!!!!!!!!! হা হা হা :P

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহাহা কী দুত্তু টিচার। =p~
প্লিজ তোমার গল্পবলা ভিডিও পাঠিয়ে দাও আমাকে। তারা যদি একটু সময় শান্ত থাকে… :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩১

শায়মা বলেছেন: হা হা আরও শোনো এত গেলো গল্প বলা। নাচ শেখার সময় যে বকা খায়!। পুরাই অবস্থা খারাপ করে দেই তবে তারাও আমার অবস্থা খারাপ করে এইদিকে দাঁড়াতে বললে ঐ দিকে দাঁড়ায় ঐদিকে দাঁড়াতে বললে এই দিকে। এমন বকা খায়, তবুও তারা নাচ এতই ভালোবাসে যে কিছুই মনরে করে না। শিখতে পারলে মানে নাচ শেষে খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরে।

এই স্টোরী শেশনের আগ দিয়ে এমন গলা ব্যথা আর গলা বসা আমি তো ভেবেছিলাম গেছি। গার্গেল, মেন্থল, সাজিদভাইয়ার ট্রিটমেন্ট, ইউনাইটেডেও গেছি ইএনটিতে তবুও ভালো হয় না। :( কিন্তু সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার। ঠিক আগের রাতে গলা একদম ঠিকঠাক হয়ে গেলো।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে 'গল্পেরও যে গল্প থাকে' বা 'গল্পের পেছনের গল্প' চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছো!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
গল্পটা ছোট্ট ছিলো কিন্তু আমি গল্পবাজী বুদ্ধি দিয়ে সেটাকে বড় করেছি। পানির কল গৃহস্থ বাড়ির শুকনা মরিচের ঝুড়ি। আর সেটাও লিখতে গিয়ে আমি কাকের বাসার সেই গ্রামেই চলে গেছিলাম মনে মনে ভাইয়া।

ছোটদের সাথে এই সব কাজ করতে গিয়ে আমার নিজেকেই ছোটবেলায় ফিরে গেছি মনে হয় বার বার। কাজ শেষে অনেক ভালো লাগে।

আর বাচ্চারা এই সব স্মৃতি ইঃজীবনেও ভুলবেনা মনে হয়। আর এটাও জানবে চেষ্টা উদ্যম আর কঠোর পরিশ্রমে হাল না ছেড়ে দিলে অবশ্যই সফল হওয়া যায়।


আরও ছিলো দ্যা অনেস্ট উডকাটারের গল্পটা! :)

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোস্টের লেখাটি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী এবং শিক্ষামূলক। তোমার অভিজ্ঞতা, ছোটবেলা থেকে শুরু করে পেশাদার
গল্পকথকের যাত্রাপথ, পাঠকের সামনে অত্যন্ত জীবন্তভাবে তুলে ধরেছ । লেখাটি যেমন বিনোদনমূলক, তেমনই
শিক্ষণীয়। গল্প বলার কৌশল এবং তার প্রয়োজনীয় দিকগুলো সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছ। এটি শুধু গল্প
শোনানোর মাধ্যম নয়, বরং শিশুদের মানসিক বিকাশ, সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি জাগ্রত করার একটি
শক্তিশালী পদ্ধতিও বটে।

গল্প বলার বিভিন্ন দিক যেমন উচ্চারণ, ছন্দ, অভিব্যক্তি, এবং শ্রোতার সাথে সংযোগ স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরেছ,
যা নতুন গল্পকথকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা।

লেখাটি শিশুদের গল্প শোনানোর কৌশলগুলো যেমন কণ্ঠস্বর,অভিব্যক্তি এবং শরীরের ভাষা ব্যবহারের দিকগুলোকে
সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছে তেমনি এটি শিক্ষকদের, অভিভাবকদের এবং গল্পপ্রেমীদের জন্য দারুণ সহায়ক হবে,
এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি ।

একটি চিরায়ত গল্পের পরিবর্ধন কিভাবে করা যায় তার উদাহরণ হিসাবে কাক ও কলসের গল্প এবং কাঠুরে ও জলপরী গল্পগুলোকে নতুন ছাঁচে সাজিয়ে শিশুদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের কৌশলটি ও প্রশংসনীয়। এতে
বোঝা যায়, গল্প বলার ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

তোমার এই লেখাটি শুধু একটি গল্প বলার বিবরণ নয়, এটি একটি শিল্পকর্ম। তোমার নীজের অভিজ্ঞতা, আবেগ,
এবং কৌশলের সমন্বয়ে গল্প বলার আর্টকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি প্রতিটি গল্পপ্রেমী এবং
শিক্ষক-অভিভাবকের জন্য এক অনন্য সম্পদ তাতে কোন সন্দেহ নেই , তোমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে ।

এবার তোমার লেখাটির শেষে বলা কথা সবাই সবার বেবিদেরকে পড়ে শুনিও কিন্তু! এ প্রক্ষিতে
গল্প শোনানোর কৌশল নিয়ে আমার পক্ষ হতে সামান্য কিছু পরামর্শ যুক্ত করে গেলাম ।

প্রথমেই বলা যাক গল্পে উপকরণ ব্যবহার করা নিয়ে । গল্প বলার সময় প্রপস বা ছোট মডেল ব্যবহার করে গল্পকে
আরও জীবন্ত করা যেতে পারে। যেমন, কাক ও কলসের গল্পে একটি ছোট কলস বা পাথর ব্যবহার করলে বাচ্চাদের
কল্পনায় গল্পটি আরও গভীরভাবে ধরা দেবে।

দ্বিতীয়টি হল ইন্টারঅ্যাক্টিভ গল্প বলা অর্থাৎ বাচ্চাদেরকেও গল্পের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যেমন, গল্প
বলার সময় কাকের জায়গায় বাচ্চাদেরকে সুযোগমত কা কা শব্দ করার জন্য বলা যেতে পারে । এতে তাদের
মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে।

তৃতীয়ত গল্পটি বলার পর তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।গল্প শেষে বাচ্চাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে
চাওয়া বা গল্প থেকে তারা কী শিখলো তা নিয়ে কথা বলার সুযোগ দিলে তাদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।

সর্বোপরি গল্পটির মাধ্যমে শিশুদের মানসিক দিকটিকে প্রভাবিত করার জন্য প্রতিটি গল্পের শেষে একটি ইতিবাচক
বার্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে,যা শিশুদের মূল্যবোধ ও চরিত্র গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে বলে মনে করি।

লেখাটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম

শুভেচ্ছা রইল ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!!!
তুমি তো মনে হচ্ছে আসল গল্প কথক। যা যা বলেছো শুনে মুগ্ধ হলাম!!! আরেকটা কথা তুমি যা যা বলেছো তাই তাই করেছি আমি। তবে পোস্টে ইনক্লুড করিনি। ভাইয়া। আমি তোমাকে ভিডিওটা ইমেল করে পাঠাবো ওকে????

প্রথমেই বলা যাক গল্পে উপকরণ ব্যবহার করা নিয়ে । গল্প বলার সময় প্রপস বা ছোট মডেল ব্যবহার করে গল্পকে
আরও জীবন্ত করা যেতে পারে। যেমন, কাক ও কলসের গল্পে একটি ছোট কলস বা পাথর ব্যবহার করলে বাচ্চাদের
কল্পনায় গল্পটি আরও গভীরভাবে ধরা দেবে।


গ্রামীন পরিবেশ উপস্থাপনের সাথে সাথে আমি ছোট ঝুড়িতে মরিচ বাড়ির চালে একটা পানির ট্যাপ ও ছোট একটা বালতি, নুড়িপাথর ছড়িয়ে সাথে একটা কাঁচের পিচার রেখেছি জেনো কাক যখন ঠোঁটে করে নুড়ি পাথর ফেলবে পানিটা একটু একটু করে ওঠা বুঝা যায়। একটু পরে ছবি দেবো আর তোমাকে তো অবশ্যই ভিডিওটা পাঠাবো. :)

দ্বিতীয়টি হল ইন্টারঅ্যাক্টিভ গল্প বলা অর্থাৎ বাচ্চাদেরকেও গল্পের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যেমন, গল্প
বলার সময় কাকের জায়গায় বাচ্চাদেরকে সুযোগমত কা কা শব্দ করার জন্য বলা যেতে পারে । এতে তাদের
মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে।


আমি সত্যি অবাক হলাম! তুমি যেন আমার গল্প বলাটাই দেখেছো মনে হচ্ছে। আমি তাদেরকে বলেছিলাম তোমরা কি কাকের মত ডাকতে পারো? আর সাথে সাথে তারা কা কা কা কা থামানোই যাচ্ছিলো না। আমার ভিডিও দেখে তুমি অবাক হবে তোমার মনের মতই করেছি কিন্তু!!

তৃতীয়ত গল্পটি বলার পর তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।গল্প শেষে বাচ্চাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে
চাওয়া বা গল্প থেকে তারা কী শিখলো তা নিয়ে কথা বলার সুযোগ দিলে তাদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।

এটা কিন্তু পোস্টে লিখেছি।
আসলে আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো কি করে ভালো থাকতে পারি আমরা। টপিক ওয়েলনেস। গল্প শোনা এক মানসিক প্রশান্তির সৃষ্টি করে। কিছুটা মেডিটেশনের মত। একই ভাবে বড়রাও ছোটবেলার নানা স্মৃতি স্মরণ করে মানসিক প্রশান্তি পেতে পারে। আর আমি ঠিক এ প্রশ্নটাই করেছি বড়দেরকে মানে বাবামায়েদেরকে। তারা বলে চলেছিলো ছোটবেলায় ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে সবাই মিলে গল্প শুনতো বাবা মা ভাই বোন দাদু দীদার কাছে। জ্যোস্নারাতে মাদুর বিছিয়েও কারো কারো গল্প শোনার স্মৃতি আছে।
তারা এটাও বলেছেন আজকাল সবাই মোবাইলে ডুবে থাকে। জেনেরেটর জ্বলে উঠে ইলেক্ট্রিসিটি যাবার সাথে সাথেই। আগের মত বাবা মা দাদু দীদার সময় নেই আর।

তবে শৈশবে ফিরে গিয়ে গল্পের সাথে কিছু সময়ের মেডিটেশন তাদের সবারই অনেক ভালো লেগেছিলো!



সর্বোপরি গল্পটির মাধ্যমে শিশুদের মানসিক দিকটিকে প্রভাবিত করার জন্য প্রতিটি গল্পের শেষে একটি ইতিবাচক
বার্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে,যা শিশুদের মূল্যবোধ ও চরিত্র গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে বলে মনে করি।


এটাও ছিলো ভাইয়া। গল্পের মোরাল তো বলেছিই এবং এটাও নিশ্চিৎ করেছি তাদের প্রশ্নোত্তরের সাথে সাথে অপেন এন্ডেড কোয়েশ্চেন দিয়ে যে কেনো মনে হলো। যেমন-

তোমার কাকে বেশি ভালো লেগেছে? কাঠুরে না জলপরী। বেশি বাচ্চাদের কাছে ভালো লাগার ছিলো জলপরী। কারণ সে অনেক সুন্দর আর ঝলমলে ছিলো। কিন্তু কিছু বাচ্চা বলছিলো কাঠুরে। আমি বললাম কেনো তাকে ভালো লাগলো?

তারা বললো- কারন সে অনেস্ট ছিলো সৎ ছিলো! :)


থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া!!!!!!!! লটস অব লাভ ফর ইউ!!!!!!!!!! :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪

শায়মা বলেছেন: প্রথমেই বলা যাক গল্পে উপকরণ ব্যবহার করা নিয়ে । গল্প বলার সময় প্রপস বা ছোট মডেল ব্যবহার করে গল্পকে
আরও জীবন্ত করা যেতে পারে। যেমন, কাক ও কলসের গল্পে একটি ছোট কলস বা পাথর ব্যবহার করলে বাচ্চাদের
কল্পনায় গল্পটি আরও গভীরভাবে ধরা দেবে।


এই যে তোমার মন্তব্যের মত একদম প্রপসের ব্যবহার করেছি দেখো।
গ্রামীন পরিবেশ উপস্থাপনের সাথে সাথে আমি ছোট ঝুড়িতে মরিচ বাড়ির চালে একটা পানির ট্যাপ ও ছোট একটা বালতি, নুড়িপাথর ছড়িয়ে সাথে একটা কাঁচের পিচার রেখেছি জেনো কাক যখন ঠোঁটে করে নুড়ি পাথর ফেলবে পানিটা একটু একটু করে ওঠা বুঝা যায়।




আর এই যে বিকটা বানিয়েছি। কত সুন্দর করে কাকটা ঠোঁট দিয়ে বুড়ি পাথর তুলছে :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭

শায়মা বলেছেন: আবার এই দেখো সত্যিকারের শুকনা মরিচসহ ঝুড়ি আর পানির ট্যাপ! :)



৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার চিলেকোঠার গল্পও ছিলো আসাধারণ।যদিয় সেটা ছোটদের জন্য না।বড়দের জন্য গল্পও অনেক সুন্দর।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
তোমার ইমেইল আইডি দাও কিংবা আমারটা নাও।

আর এড্রেস পাঠিয়ে দাও। পৃথিবীর যেখানেই হোক ডিএইচএল করে হলেও তোমাকে পাঠিয়ে দেবো চিলেকোঠার প্রেম। কাজ শেষ। নেক্সট বইমেলায় আসছে। :)

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

আরইউ বলেছেন:




@নান্দাইলের ইউনুছঃ
ব্লগে, অনলাইনে, ব্যক্তি জীবনে আপনার-আমার-আমাদের সবার কোথায় কী বলা উচিত, কতটুকু বলা উচিত তার লিমিট জানা থাকা জরুরি। নিজের সীমানা জানা থাকা উচিত এবং কখনোই সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

শায়মা বলেছেন: পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে।


আর নাইন্দাইলের ইউনুছের পাখা উঠেছে পড়িবার তরে।


মানে ব্লগের বাইরে পড়ে যাবার পথ সুপ্রসস্থ করার ব্যবস্থা নিয়েছেন নিজেই ...... :)


নিক দেখলেই বুঝা যায় মুর্খের ডিম আর ছোটলোকি করবার জন্য কারা আসে। :)


ভাইয়ু আমি আবার যাচ্ছি নেক্সট উইকেই...... :) :) :)

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আপনি আমাদের ঠাকুরমার ঝুলি...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

শায়মা বলেছেন: হা হা এগুলো অবশ্য ঈশপস ফেবলস দিলো!!! :P

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

বাকপ্রবাস বলেছেন: গল্প বলা শেষে
শিশুরা ভালবেসে
জড়িয়ে ধরে গায়
আরো শুনতে চাই

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

শায়মা বলেছেন: আরও শুনতে চাও???


তাইলে তো আমার ক্লাসরুম একটিভিটির ফিঙ্গার পাপেট শো আনতে হবে।

আচ্ছা একটু পরে আনছি সেই গল্প!!! :)

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
আমি সুন্দর করে কথা বলতে পারি না। গুছিয়ে রাখাও কথা সুন্দর করে বলতে পারি না। আপনার পোষ্ট মন দিয়ে পড়লাম।
ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

তোমার বেবিটাকে কি স্কুলে দিয়েছো???

অনেক সুন্দর তোমার দুইকন্যাই।

ফেসবুকে মাঝে মাঝে তাদের ছবি দেখি। :)

অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা তাদের জন্য! :)

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি মেয়েকে শোনাব- থ্যাঙ্কু

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০০

শায়মা বলেছেন: শুনাবে???

গুড গুড ভেরী গুড!!!

কারণ আজকাল বাচ্চাদেরকে বাবা মায়েরা গল্প খুব কম ক ম শোনাচ্ছে। গল্প শোনানো দরকার মনে হলে ইউটিউবে গল্প ছেড়ে দিচ্ছে। এসব একদমই ঠিক হচ্ছে না। বাবা মায়েদের সাথে ইন্টারএকশন হচ্ছে না! :(

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

আজব লিংকন বলেছেন: আমি তোমার পাংখা হয়ে গেলাম আপুনি।।
এই লেখা নিয়ে যত বলিব তত কম হইবে।।
তোমার জন্য দোয়া ও শুভকামনা সর্বদা।।

পোষ্ট করার সাথে সাথেই কালকেই দেখেছিলাম। মজা ও তৃপ্তি নিয়ে পড়লাম। তাই দ্রুত কমেন্ট করিনি।।
কত্ত কিছু শেখার রয়েছে। শাড়িটাতে তোমাকে বেশ মানিয়েছে। তোমাকে অনেক কিউট লাগছে। এমন কিউট ম্যামের কথা বাচ্চারা না শুনে যাবে কই। বাচ্চাগুলো অনেক সুইট। ওরা কি বেশির ভাগ বাঙ্গালি?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা মন্তব্য পড়ে হাসছি।
আমি অবশ্য তাদেরকে মা দূর্গার সব রুপ দেখাই দেই। যেমনই আদল তেমনই কথা না শুনলেই এ্যঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈ করে উঠলেই তারা এককেলে সিধা। তবে পড়ানোর সময়, গল্প বলার সময় সব ঠিক আছে। নাচ শেখানোর সময় সবচাইতে বেশি সিধা পথ দেখাতে হয়।

আমি অবশ্য এই লেখাটায় এই গল্পের পিছের গল্প বা অনেক কিছুই লিখিনি যা আলীভাইয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে মনে হলো। সে সবও একটা সময় জুড়ে দেবো লেখাতে। :)

ওরা বেশিভাগই বাঙ্গালী তবে তাহাদের গাঁয়ের রং আর বাংলা প্রনানসিয়েশন দেখে আমিও ভাবতাম বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্ঠির কেউ না কেউ নিশ্চয় বৈদেশীই হবে!

আচ্ছা তুমি কি লালনগীতি গাও নাকি??

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সুন্দর বলা আর উপস্হাপনা
শিক্ষণীয় যা কিছু আছে তা
নুতন প্রজন্মর জন্য অত্যন্ত আবশ্যকীয়

.................................................................................
ব্রাভো ব্রাভো ব্রাভো
মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া মন্তব্যের সাথে সাথে কি ছবিটা অটো এসে গেলো নাকি সত্যিই দিলে??

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

আজব লিংকন বলেছেন: আমিও তোমার কমেন্ট পড়ে অনেক আনন্দ পেলাম।
মা দূর্গার সকল রূপ— হা হা। উফ... আপু তুমি পারো বটে।
হ্যাঁ বাকি লেখাগুলো ইচ্ছে হলে জুড়ে দিও।।

বাঙ্গালীদের জন্য আমেরিকান এক্সসেন্ট রপ্ত করা বেশ কঠিন।। তবে শৈশব থেকে ওখানে যারা বেড়ে ওঠে তারা অনেক সুন্দর করে বলে।। কিন্তু ওদের বাংলা শুনে আবার অনেক মজা পাওয়া যায়।।

আমি শৈশবে গান শিখেছিলাম, হারমোনিয়াম বাজাতাম, গিটার বাজাতাম। কৈশোরে সব বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি। এখন আর কিচ্ছু মনে নেই। আমি এখন শুধু মাত্র একজন সংগীত প্রেমী এবং লালন ভক্ত।।
এখন গান গাই— শুধু মাত্র নিজেকে শোনানোর জন্য।
নিজের আত্ম তৃপ্তির জন্য।
সুরের সাথে আমার আড়ি হয়েছে।
অনেক সুর আর গলায় আসে না।
গলায় বসে না।
গলায় ধুলো জমে গেছে।।

ও হ্যাঁ গলা বলতে মনে পড়লো, তোমার গলার অবস্থা এখন কেমন...?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৭

শায়মা বলেছেন: একদম পারফেক্ট!!!

মানে ৩ সপ্তাহ ধরে আশা ভরষা শেষ করে ঠিক অনুষ্ঠানের আগের রাতে এসে গলা ভালো হলো! :)
তবে আমিও চেষ্টার ত্রুটি করিনি, গার্গেল, মেন্থল, ডক্টর সব সব দেখিয়েছি।


তুমি কি শুধু লালনেরই ভক্ত!!!

তবে হ্যাঁ আজ সকালেই একটা লালনের গানের পরম বাস্তবতার কথা ভাবছিলাম------------

এই যে আজকাল ছেলেমেয়েরা ফোনে আর নেটে এত সময় নষ্ট করে। তারা তো গেইম খেলে না, খেলে সময়ের সাথে। যার চরম মূল্য একদিন দিতে হবে, যেদিন আর কাঁদবারও পথ থাকবে না।

সেই গান অনেক আগেই লিখে গেছেন লালন সাঁই।

https://www.youtube.com/watch?v=FqQh5-opwxY

১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করেছেন সেগুলি আমাদের নানী বা দাদীরা কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই অর্জন করতেন সেই যুগে। তাদের গল্প বলায় পেশাদারিত্ব না থাকলেও তারা কিন্তু নাতি নাতনীদের মন জয় করতে পারতেন। আমার ধারণা একদম ছোট্ট বাচ্চা শুধু না, আরেকটু বড় বাচ্চা, মানে যারা ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে তারাও গল্প শুনতে ভালোবাসে। আমরা যখন ঐ বয়সে ছিলাম অনেক সময় শিক্ষক শ্রেণী কক্ষে না আসলে অন্য কোন শিক্ষক এসে বলতেন যে তোমাদের একজন সামনে এসে গল্প বল আর বাকিরা শোন। দেখতাম যে গল্প বলা শুরু হলে সবচেয়ে দুষ্ট ছেলেটাও মনোযোগ দিয়ে গল্প শোনে। আমি দুই একবার এই সুযোগে গল্প বলেছি। এগুলি ছিল ঠাকুর মার ঝুলির গল্প বা ঐ জাতীয় রূপকথার গল্প। তবে আপনার মত নিশ্চয়ই বলতে পারিনি। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
আমার বড় ছেলের বয়স যখন চার বা সাড়ে চার বছর তখন সে আমার সাথে এক রুমে ঘুমাতো আর তার মা আরেক ছেলেকে নিয়ে আরেক রুমে ঘুমাত। এক রাতে আমার বড় ছেলের ঘুম ভেঙ্গে যায় আর সে কাঁদতে শুরু করে। সে কান্না শুরু করলে মহা বিপদ, তার কান্না থামানো কঠিন। অনেক রাত তখন। আমি তাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছিলাম। শেষে বুদ্ধি করে তাকে গল্প বলা শুরু করলাম। যা মনে আসে তাই বলতে লাগলাম। কী বলেছিলাম তা আমার এখন মনে নাই। ১০ মিনিট গল্প শোনার পড়ে সে ঘুমিয়া যায়। আমিও তখন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কারণ সে তখন না ঘুমালে সারা রাত জেগে থেকে আমার ঘুম হারাম করে দিত। তাই আমার কাছেও মনে হয় গল্পের চলে বাচ্চাদের সম্মোহিত করা যায়। আমার ছেলে বড় হয়েও সেই রাতের কথা মনে করতে পেড়েছিল।

আপনার বলা গল্প দুটির দ্বারা বাচ্চারা শিখতে পারলো কিভাবে ইচ্ছে আর উদ্যমের সাহায্য নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হয় আর জানলো সততার সুফল সম্পর্কে ।

আপনার এই আইডিয়াগুলি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে চালু করতে পারলে ভালো হত। বাচ্চাদের শিক্ষাক্রমে এই ধরণের গল্প বলার ব্যবস্থা থাকলে বাচ্চারা মজা পেত। শিক্ষকদের শিক্ষক হিসাবে আপনি প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন এই বিশ্বাস আমার আছে। কম খরচে দেশের স্কুলগুলিতে এগুলি চালু করা যেতে পারে। আপনার এই গল্প বলার সেট তৈরি করতে কত খরচ হয়েছিল?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই। দাদী নানীরা গল্প বলতো মা বাবারাও আবার কাজের লোকজন আত্মীয় স্বজন সবাই কিন্তু গল্প শুনিয়েছে আমাকে। তবে আমি বড় হয়ে স্কুলের কল্যানেই শামীম আজাদের গল্প বলা ট্রেইনিং এ হতে পেরেছি প্রফেশনাল স্টোরি টেলার। :) আমার জীবনে আমার সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে স্কুলের অবদানও কম নহে! :) :)

আসলে যতই গপ্পবাজ হইনা কেনো যখন সবার সামনে বিশেষ করে বুড়াবুড়ি বাবা মায়েদেরও সামনে উপস্থাপনের সময় আসে তখন মহা সাহসীনী হয়ে অকুতভয় যোদ্ধা হয়ে ভয়কে জয় করে গপ্পো শোনাতে হয়। আসলে স্কুলে স্টোরি টেলিং যা হয় সেটা শিক্ষামূলক বটে তবে আমাদের এই আয়োজন ছিলো ওয়েলনেসের সাথে সম্পর্কিত।


এসব আসলে আমার আইডিয়া না স্কুলেরই আইডিয়া। কিন্তু জানো আমাকে এতটুকু বললে আমি ফুলিয়ে ফাপিয়ে তাকে এত্ত বড় বানাই। তারা শুধু বই নিয়ে বসে গল্প শোনাতে বলেছিলো আর আমি লেগে গেলাম প্রপস স্টেজ সাজুগুজু ঢং ঢাং সব নিয়ে। আমি নিজে অনেক কিছুতেই যেমন প্রশিক্ষন নিয়েছি তেমনই আমাদের ইনডোর প্রশিক্ষনও আবার শিখে এসে দিতে হয়। তবে আসল কথা আমাদের দেশের বাচ্চাদের স্কুলগুলোতে গ্রামে গঞ্জে প্রশিক্ষন দিতে পারলে শান্তি হত।

এই স্টেজ বানাতে একটা কর্কশিট লেগেছে। আমরা ৫জন ছিলাম এই টিমে। একটা মেয়ে আছে মনিষা তার কাছে আমি ছবি আঁকায় হার মেনে নিয়েছি নয়ত আর্ট টিচারদেরকেও পাত্তা দিতাম না আগে। সে এসব এঁকেছে। আর পুতুলগুলো বানিয়েছে আমি এবং আমরা। মোজা দিয়ে কাকটা একদম আমিই বানিয়েছি ছুটির দিনে বাড়িতে বসে। পরীগুলোকে আমরা সবাই মিলে বানিয়েছি আর সবার উপরে মাতবর তো আমি জানোই । কাজেই সে সব কেমনে কোথায় বসবে কি করবো সেসব সবই আমার পন্ডিতিতে।

:P


কাজেই কর্কশিট, পেইন্ট, একটা পানির কল, বালতি, পিচার আমার বাসার, আর কয়েকটা নুড়ি পাথর আমার একুরিয়াম থেকে। আর ঝুড়ি খেলনা থেকে আর পরী আর কাঠুরে আমার পাপেট শো এর বক্স থেকে।


ভাইয়া আমি কিন্তু অনেক স্কুলেই গল্প শোনাতে যাই। তোমার বেবিদের স্কুলেও আসতে পারি একদিন। :)

১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: স্টোরি টেলিং চমৎকার হয়েছে। সেই সাথে সবগুলো ছবি। আসলে এইভাবে গল্প বলার সাথে হ্যন্ডস অন এক্সপেরিমেন্ট করে দেখালে বাচ্চারা বেশি মজা পায়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

শায়মা বলেছেন: ঐ ভাইয়া আবার না পড়ে ফাকিবাজী!!!!!!!!!!!!!!! :P

১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বেবিরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং হাইস্কুলে পড়ে।

আপনার গল্পশুনে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখবে এটা নিশ্চিত। শুধু ভয় হল বড় হলে এরা আবার বাচাল বা বকবকানি না হয়ে যায়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪

শায়মা বলেছেন: হা হা তাহারা ভালো শ্রোতা। আমার জ্বালায় কি আর কথা বলার জো আছে?? কাজেই তাহার ছোট থেকেই ভালো শ্রোতা হিসাবে গড়ে উঠছেন!!! :P


ভাইয়া কিছুদিন আগে ক্লাসরুমেও ফিঙ্গার পাপেট শো করেছিলাম আমরা। সেটার কারণ ছিলো লেটার এফ।
এফ ফর ফিঙ্গার আর গল্পটার নাম ছিলো ফার্মারস গুড ফ্রেন্ড। এফ ফর ফার্মার, এফ ফর ফ্রেন্ড। সেখানে কিছু ফার্ম এনিমেলসের গল্প ছিলো। মানে সব কিছুই এফ দিয়ে দিয়ে যেন বাচ্চারা জীবনেও না ভুলে।


কিছুদিন আগে ছিলো পি লেটার দিয়ে পিকনিক। বাচ্চারা সব প্লে গ্রাউন্ডে পি লেটার দিয়ে খানা পিনা এনেছিলো পিজ্জা, পুডিং, পাস্তা পিয়ার, পাইন এপেল এসব আবার গেম হিসাবে ছিলো পিলোপাসিং, পেইন্টিং একটিভিটি। মানে সব পি দিয়ে। আমি এসব নিয়ে থাকি তাই রোজ রোজ ছোটবেলায় ফিরে যাই। :)

২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৯

করুণাধারা বলেছেন: দুইটা গল্পই ভালো। তোমার ছাত্ররা ভাগ্যবান! এমন চমৎকার গল্প বলতে কজন টিচার পারে!!

যাদের বেবি আছে, তারা নিশ্চয়ই তোমার এই পোস্ট পড়ে বেবিদের গল্প শোনাতে উৎসাহিত হবে। এর ফলে বাচ্চার সাথে তাদের ইন্টারেকশন বাড়বে। আজকাল তো মা-বাপ বাচ্চা তিনজনই মোবাইল হাতে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায়, কারো সাথে কথা বলার সময় নেই কারো!

আমি অবশ্য আমার বাচ্চাদের সব সময় গল্প শোনাতাম। ‌ আমার গল্পের ভান্ডার অফুরন্ত। তাই খাবার সময়, ঘুমাবার সময়, হাঁটতে হাঁটতে, বসে থাকতে থাকতে, ক্রমাগত গল্প বলে যেতাম...

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!

দুইটা গল্প বলে যাও!!!!!!

এমন কোনো গল্প যেটা আমি আগে শুনিনি।

আপুনি এবারের এনুয়াল শো তে করছি ছোট্ট গোল রুটি নাটক......


ছোট্ট গোল রুটি
চলছি গুটি গুটি
আটার ধামা চেঁছে
ময়দার টিন মুছে
লবন দিয়ে মেখে
ঘি দিয়ে ভেজে
জুড়োতে দিলো যেই
পালিয়ে এলাম সেই!!!!!!!!


জানো এই গল্প??

২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু তোমার কাছে বসে একদিন গল্প শুনতে চাই মনোযোগে। শুনাবা?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শায়মা বলেছেন: শুনাবো!!!!!!!!!!

কবে শুনবে বলো বলো!!! :)

২২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: দারুণ, আপনি সত্যিই প্রতিভাবান এবং বিভিন্ন গুণের অধিকারী।
আমার এত প্রতিভা থাকলে অহংকারে আর মাটিতে পা ফেলতাম না!
বাচ্চাদের ধৈর্য ধরে পড়ানো সহজ কর্ম নয়!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা আমিও তো আকাশে উড়ি!!!!!!!!! :P


থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়ু!!!!!!!!!! :)

২৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৩

রবিন_২০২০ বলেছেন: ছোটো মেয়েকে পড়ে শোনালাম। ভাষার দূরত্বের কারণে কতটুকু বুঝলো জানি না। তবে বাপ্ বেটি মিলে কিছু গপ সপ তো হলো। :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

শায়মা বলেছেন: গুড গুড ভেরি গুড ভাইয়া।

তবে ভাষার দূরত্ব কেনো বলোতো??

বুঝলাম না।

বাপ আর বেটি কোন দেশে থাকে???

২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮

করুণাধারা বলেছেন: আগে তাড়াহুড়ো করে মন্তব্য করেছিলাম, তাই বলা হয়নি যে ছবিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ! এতো ছোট বাচ্চাদের গল্পে আকৃষ্ট করা খুবই কঠিন কাজ। ছবি দেখে মনে হচ্ছে কঠিন কাজটা তুমি খুব সহজেই করতে পারো!

তুমি শোনোনি, এমন দুইটা কেন, একটা গল্পও আমার জানা নেই! তাই তোমাকে গল্প শোনানোর চেষ্টা না করে বরং আমার খুব ছোটবেলার প্রিয় দুটো গল্পের নাম বলি, বারো রাজকন্যা আর হ্যান্সেল গ্রেটেলের গল্প। একটু বড় হবার পরের প্রিয় গল্প তোমারও প্রিয়, ওজের যাদুকর! এই গল্পের সুবাদে আমার সাম্প্রতিক উপলব্ধির কথা বরং বলি। উপলব্ধি হচ্ছে বাইরে থেকে বয়স বাড়লেও আমাদের মনের ভিতর ছোট আমি লুকানো থাকে, হঠাৎ কখনো বেরিয়ে আসে...

আমেরিকায় আমার এক বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলাম। বেইজমেন্ট নিয়ে কি কথায় আমার বান্ধবী বলল, টর্নেডোতে বাড়ি উড়ে যেতে পারে এই জন্য বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য বেইজমেন্ট রাখা হয়। আমি অবাক হয়ে বললাম, এমন টর্নেডো হয়! এত বড় দোতলা বাড়ি টর্নেডোতে উড়ে যেতে পারে? বান্ধবী বলল, হ্যাঁ। ও খুব ভালো স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, না বুঝে কথা বলার মানুষ না। তখন মনে পড়লো ডরোথির কথা, সত্যি হয়তো লেখক এমনভাবে বাড়ি উড়ে যেতে দেখেছিলেম আর তারপর কল্পনায় ভেসে ভেসে যাদুঘরের দেশে চলে গিয়েছিলেন... আমিও কল্পনায় ডরোথি হয়ে গেলাম অনেকদিন পর!

ছোট্ট গোল রুটির গল্প জানি, কিন্তু গল্পের শেষটা আমার ভালো লাগেনি। ‌ রাশিয়ান ছোটদের গল্পগুলোতে সাধারণত পজিটিভ মেসেজ দিয়ে শেষ হয়, এটা তেমন হয়নি। যেমন ধরো 'দিতে হবে অকর্মার হাতে' গল্পটা! তুমি নিশ্চয়ই জানো, তবু যদি না জেনে থাকো সেজন্য পুরো গল্পটা আবার বলি। বইয়ের প্রতি পাতায় একটা করে ছবি, আর নিচে এক লাইন কথা। প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে ডাক পিয়ন পিঠে ঝোলা নিয়ে হাতে বড় একটা খাম ধরে রেখেছে, খামে লেখা, 'দিতে হবে অকর্মার হাতে'! তারপর এক এক বাড়িতে যাচ্ছে অকর্মার খোঁজে, যেসব বাড়িতে বাচ্চারা আলসেমি করে বিছানা ছাড়ছিল না, খাবার খাচ্ছিল না, মুরগিকে দানা দিচ্ছিল না, ডাক পিয়নকে দেখে তারা চটপট আলসেমি ঝেড়ে ফেলে বলে ওঠে, এখানে কোন অকর্মা নেই তো! এভাবে দেখা গেল ডাক পিয়ন অকর্মাকে খুঁজেই পাচ্ছে না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শায়মা বলেছেন: জানি জানি জানি সবগুলো গল্পই জানি!!!!!!!!

হ্যান্সেল এন্ড গ্রিটেলের চকলেটের বাসা !!! আহা ইয়াম্মী ইয়াম্মী!!!!!!!!!!! ছোটবেলায় ভাবতাম অমন একটা বাসা যদি পেতাম!!! কি মজা করে চকলেট খেয়েই যেতাম খেয়েই যেতাম!!!!!!! বারো রাজকুমারী মনে হয় জানিনা.....

আর ওজের যাদুকর!!!!!!! তাকে নিয়ে তো আমার জীবনের বই পড়ার প্রথম স্মৃতি। কারণটা খুবই মজার তবে একটু ধাঁধা দিয়ে বলি, কিছুদিন আগে আমরা ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে একটা ট্রেনিং চলছিলো মেন্টাল হেল্থের উপরে। তো সেখানে সবাই বললো, যে যার ছোটবেলার নামের স্মৃতি নিয়ে একটা করে গল্প বলো, আমার মনে পড়ে গেলো ওজের গল্পটাই........ কেনো বলোতো!!!!!!!!!! হা হা এটা একটা ধাঁধা ........ তুমি নিশ্চয়ই পারবে...... :)


তুমি কি কানসাসে গেছিলে?? ডরোথীর বাড়ি তো সেখানেই ছিলো। :)

যাইহোক ছোট্ট গোল রুটির গল্পটার ঐ ছড়াটাই সবচেয়ে মজার ছিলো-

ছোট্ট গোল রুটি
চলছি গুটি গুটি,
আটার ধামা চেঁছে
ময়দার টিন মুছে,
লবন দিয়ে মেখে
ঘি দিয়ে ভেঁজে
জুড়োতে দিলো যেই,
পালিয়ে এলাম সেই........


দিতে হবে অকর্মার হাতে বইটার ছবিগুলোও মনে পড়ে গেলো আপুনি!!!!!!!!!
আরেকটা বই ছিলো আমার সর্বকর্মা আর পেন্সিল......... তাতে যা আঁকা যায় তাই সত্যি হয়ে যেত!!!!!!!!!!:)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন:

এই যে সেই বইটা.......

আহা কি মায়া এই বই এর ছবিতেও......

শৈশবের মায়া....... :(

কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী শৈশব সেই....... :( :(

২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৪

রাকু হাসান বলেছেন:

আসলেই সুন্দর হয়েছে। :) এরকম টিচার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার । এই কচিকাচারা তোমাকে অনেক গল্প করবে একদিন :) । যদিও মনে হচ্ছে প্রতিদিন প্রশংসায় ভাসতে হয়... । ব্লগে রাজনৈতিক পোস্ট গুলোর বাইরে এসব লেখা প্রশান্তি এনে দেয় ।
সাড়ে চুয়াত্তর,এম এ আলী,করুণাধারা আপুসহ অনেকে মন্তব্যে লেখাকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন।

আরেকটি কথা ,কারও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ঠিক নাহ ;) বুঝলে :P ।কি দরকার ছিলো। =p~

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৩

শায়মা বলেছেন: ঐ আমি কার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললাম রে!!!!!!!!! 8-|


পুচকা কি বলো!!!!!!!!!! মাথা ঘুরালছে....... |-)

২৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৫

রবিন_২০২০ বলেছেন: @ শায়মা, আসলে ভাষার দূরত্ব না বলে কালচারাল দূরত্ব বলা উচিত ছিল। ওদের তো আর ঠাকুরমার ঝুলি পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। আপনার গল্প বলার ভঙ্গী চমৎকার। বোঝাই যায় আপনি জনপ্রিয় শিক্ষক।
বাপ্ বেটির আবাস সানফ্রান্সিস্কো , ক্যালিফর্নিয়া।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৬

শায়মা বলেছেন: ওহ তাই বলো ভাইয়া!!!

এই গল্প তাহলে ইংলিশে ট্রান্সলেট করে বলো। :)

২৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিভিন্ন লেটার নিয়ে গল্প আর খেলার ধারণাটা চমৎকার। এই গল্প আর খেলাগুলির মাধ্যমে বাচ্চাদের সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটে। পড়াশুনায় একঘেয়েমি থাকে না।

যেমন তালব্য শ শেখানোর জন্য নীচের গল্পটা বলা যেতে পারে।
শায়মা শিশুদের শিক্ষিকা। শায়মার গায়ের রঙ শ্যামলা। শায়মা শসা খেতে ভালোবাসে। শায়মা শ্মশানে শাঁকচুন্নি সেজে শাড়ি পড়ে শিশুদের ভয় দেখায়। শায়মা শীতকালে শীর্ণ কুটিরে শীতার্ত শৃগালের ন্যায় কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকে। শায়মা শিশুদের ভালোবাসে। শিশুরাও শায়মাকে শিশু মনে করে। শিশুদের সাথে থাকার কারণে শায়মা শিশির দুধ খাওয়া শিখে ফেলেছে। শায়মা শান্ত শিষ্ট কিন্তু লেজ বিশিষ্ট। কিন্তু শিশু শিক্ষায় শায়মাই শীর্ষে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬

শায়মা বলেছেন: B:-)


গল্প পড়ে আমি তো B:-) তুমিও কম লেজবিশিষ্ঠ নহে বটে। তবে ভালোই তালব্যশ এর গল্প গড়েছো!!!

সাড়ে চুয়াত্তর সাইয়া একজন সাড়ে সজ্জাত সটে। সত সুড়া সচ্ছেন সসই সজ্জাত সচ্ছেন। সজ্জাত সতে সতে সাড়ে শয়তান সয়ে সেছেন ........ সাড়ে সাইয়ার সামড়া সুলে সেবো সামরা! :)


হি হি আমিও গপ্প গলেছি :)

২৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৫

জটিল ভাই বলেছেন:
সত্যি তোমার তুলনা শুধুই তুমি ♥♥♥
পড়তে দেরি করার জন্য দুঃখিত :(

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫১

শায়মা বলেছেন: এত যুদ্ধ বিগ্রহ নিয়ে বিজি থাকলে তো দেরী হবেই! :)

২৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৬

করুণাধারা বলেছেন:
ধাঁধা জিজ্ঞেস করলেই আমার মাথায় কিছুই আসেনা! এই ক'দিন ধরে তোমার ধাঁধার উত্তর খুঁজলাম, কিন্তু পেলাম না। তুমি কি ছোটবেলায় মনে মনে ডরোথি হতে চাইতে তাই এই গল্পটাই মনে পড়ল? ধাঁধার উত্তর তুমিই দিয়ে দাও!

না, আমি ক্যানসাসে যাইনি। ক্যানসাসের কাছাকাছি মধ্য পশ্চিমের ইলিনয় গিয়েছিলাম যার প্রেইরি ভূমি দেখে গল্পটা মনে পড়ছিল!

পেন্সিল আর সর্বকর্মার গল্প ভুলে গিয়েছিলাম, বইয়ের ছবি দেখে মনে পড়ল!

বারো রাজকন্যার বইয়ে চমৎকার সব ছবি ছিল। গল্পটার একটা কার্টুন পেলাম, কিন্তু ছবিগুলো বইয়ের মত ভালো না। এটাই দিলাম তোমার দেখার জন্য।view this link

তোমার ঐ ঘর গাছ সূর্য... সুন্দর হয়েছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা এটা বেশ সহজ ধাঁধা ছিলো। ভেবেছিলাম ধরে ফেলবে তুমি!!!!!!!!! বললাম না ঐ মেন্টাল ওয়েলনেসের ট্রেইনার আমাদেরকে একটা কাজ দিয়েছলেন-

কিছুদিন আগে আমরা ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে একটা ট্রেনিং চলছিলো মেন্টাল হেল্থের উপরে। তো সেখানে সবাই বললো, যে যার ছোটবেলার নামের স্মৃতি নিয়ে একটা করে গল্প বলো, আমার মনে পড়ে গেলো ওজের গল্পটাই........ হা হা হা এবার কি সহজ হলো???


যাইহোক এইখানে বলা যাইবেক লাই যাইবেল লাই........ পুরান আইডিটা কি আছে??? তবে ইমেইল করতে পারি!!! হা হা


বারো রাজকন্যার গল্প পড়বো। আজ সারাদিন সব কাজ ছেড়ে কি এঁকেছি দেখো ....... একজনের বই এর কাভারের জন্য!!! কোনটা ভালো বলোতো???

তুমি বলার পরেই মুছে দেবো!! :)

৩০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: আমার তো সবগুলো ছবি ভালো লাগছে! এর মধ্যে কোনটা সবচেয়ে ভালো বলা তো মহা মুশকিল! দুটো ছবি একটু কম ভালো লেগেছে, সবচেয়ে শেষেরটা আর ২ নাম্বার টা।

আমার আইডি একটাই, কিন্তু আমি কখনো চেক করিনা!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে থ্যাংক ইউ ...... সব শেষেরটা বেশি কালি কালি ছিলো আর ২ নং টা বেশি সাদামাটা।


যাইহোক থ্যাংকস আ লট.......


তোমার আইডি চেক করো না!!!!!!!!!!! তাইলে আর কানে কানে কেমনে বলি!!!!!!!!!! হা হা হা


যাইহোক আজ তোমার এই সব ব্লগারেরা পোস্ট খানা আবার পড়লাম। বেচারা ভাইয়া....... আমি তো ভুলেই গেছিলাম এই সব!!! সব কিছু ভুলে ভাইয়ার সাথে শেষকালে অনেক গল্প হয়েছিলো তার ব্লগে। আবার দেখলাম নিউ নিকে আমার নাম না নিয়ে আমার আচরণ সম্পর্কে আবোল তাবোল বকছেন...... যাইহোক এমন করেই থাকুক ভাইয়া অকারণে গায়ে পড়ে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া ঝাটি করে। আমিও সময় পেলে কোমর বেন্ধে ঝগড়া করে যাবো না হয়!!!

আজকাল এত বিজি হয়ে পড়েছি, ঝগড়া করারও সময় নেই! :(

৩১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২

সামিয়া বলেছেন: তোমার পোষ্ট মানেই স্পেশাল কিছু; ভেরি গুড জব আপু। আর তুমি দেখতে অনেক কিউট।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪১

শায়মা বলেছেন: হা হা তোমার বেবিকে গল্প শোনাও তো???

নিশ্চয় শোনাও সেটা বুঝতেই পারি। আর আমার গল্পটাও শুনিও। :)

অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার রাজকন্যার জন্য!

৩২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



আপনি যে বকবক করতে পারেন তা জানি। তবে যে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশটা ( যে কারনে ব্লগে আসাটাও কমে গেছে), তাতে এখন আর বসে বসে গল্পের বকবকানি শুনে কিসসসসসসু বলতে ইচ্ছে কচ্ছেনা! :((
তবে গল্প বলার "টেকনিল্প" নিয়ে বকবক করে যে "খুৎবা" দিলেন তা প্রশংসনীয়।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়ু এই পোস্ট তোমার নাতনীর জন্য!!!

সবাই বড়ো হচ্ছে আমি দিন দিন ছোট! :P

মানে গল্প বলতে বলতে আর পিত্তিদেল সাথে থাকতে থাকতে ছোটই থেকে যাচ্ছি!! কি হবে আমার!!! B:-/

৩৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপুনি ! গল্প বলার যে বৈশিষ্টগুলোর কথা বলেছো তা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ছিলাম। কত যত্ন নিয়ে লিখেছো আপুনি। আর সাথে বোনাস হিসেবে গল্পও পেয়ে গেলাম। একের মাঝে যেন দুই---।
যে শিক্ষক কিছু রুলস এবং টেকনিক অবলম্বন করে শিশুদের সাথে সুন্দর ও সাবলীলতা সহকারে পাঠ্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে-সেই শিশুরা উক্ত শিক্ষককে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে এবং তার লারনিং মনের ভেতর নিয়ে নেয়।
একজন ভালো শিক্ষক শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য বড়ই সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তুমি একজন শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর।
তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

শায়মা বলেছেন: যাক অবশেষে এলে!!!

জটিল ভাইয়ুর পোস্ট দেখছি কাজে লেগেছে।

এখন থেকে সব সময় তোমাকে দেখতে চাই আপুনি!!!!!!!!!!

৩৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দেখেছো কয়েকদিন থেকে ব্লগে আসি কিন্তু তোমার এই পোষ্ট দেখাই হল না। এত্ত পরে দেখলাম।
অনেক সুন্দর গুছিয়ে লিখেছ, আমার তো মনে হয় অনুধাবনের সময় না দেয়ায় বেশির ভাগ গল্প বলা মাঠে মারা যায় অনেক সময়।
যদিও প্রচলিত গল্প কিন্তু উপস্থাপনের গুনে বিশিষ্ট মণ্ডিত হয়েছে।

হলদে পরীর গল্প আশা করছি সবাই আনন্দ নিয়ে উপভোগ করেছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৪

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি কে কি করেছে সে কথা পরে তবে আমি নিজেই গল্প বলে নিজেই শুনে মহা আনন্দিত হয়েছি!!! :P


আজকাল তো পোস্টই নেই মনের মত শুধু কচকচানি..... :(

চলো আমরা কচকচানিকে কচ কচ করে কেটে ফেলি! :P

৩৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: @আমরা কচকচানিকে কচ কচ করে কেটে মচ মচ করে ভেজে ফেলবো , ঠিকাছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

শায়মা বলেছেন: তারপর খচখচ করে খোঁচা দেবো..... :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.