![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের মধ্যে একধরনের হতাশা লক্ষ্য করলাম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হন, তাদের মধ্যে স্বভাবতই একধরণের উচ্ছ্বাস থাকে। কিন্তু দিন যত যায়, সেই উচ্ছ্বাসের পরিমাণ কমতে থাকে বীজগাণিতিক হারে। প্রথম বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষাই যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা-বিভাগের নিজস্ব সমস্যা-বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে লাগাতার দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি-হরতাল-অবরোধ প্রভৃতি সমস্যার কারণে সময়মতো শেষ হয় না, তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের মনে পড়াশোনা-ক্যারিয়ার সবকিছুর প্রতি বিদ্বেষ জন্মানো শুরু হয়। শিক্ষাজীবনের প্রতি সেই যে বীতশ্রদ্ধভাব শুরু হয়, চলে একেবারে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত। একজন শিক্ষার্থী যখন নির্দিষ্ট সময়ে নির্বিঘ্নে তার শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন না, তখন তার ক্যারিয়ার প্রায় অনিশ্চিতই হয়ে পড়ে।
তার উপর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনাই হয় বিসিএস নির্ভর। স্ব স্ব বিভাগ উপযোগী কাজ খুঁজে নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও অধিকাংশের কাছেই বিসিএসই যেন ভাগ্য পরিবর্তনের একমাত্র মাপকাঠি। কাজেই কখনো কখনো প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই শুরু হয়ে যায় বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতি থাকুক না থাকুক, অনেকেই অন্তত একবার হলেও পরীক্ষা দিয়ে নিজের ভাগ্য যাচাইয়ের চেষ্টা করেন। আর এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর বিসিএস নির্ভরতা ঐ পরীক্ষার উপর স্বাভাবিকভাবেই একটা চাপ সৃষ্টি করে।
এদিকে বিসিএসের নানান ধাপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ার একধরনের সুযোগ পান। তবে সেই উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম। অধিকাংশই বারবার চেষ্টা চালিয়ে যান, কিন্তু ব্যর্থ হন। সেই সংখ্যাই অনেক বেশি। ফলে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের প্রতি স্বভাবতই নতুন করে বীতশ্রদ্ধভাব তৈরি হয়।
এদিকে বিসিএসকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেকেই স্ব বিভাগের প্রতি গুরুত্ব কমিয়ে দেন। স্বীয় পড়াশোনার যে ক্ষেত্রটি, তার প্রতি অনীহা চলে আসে শিক্ষাজীবনের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে। তারওপর বিসিএস নামক সোনার হরিণটি গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত মস্তিষ্কে চেপে তো আছেই। ফলে রক্ষা পায় না একূল-একূল কোনকূল।
না হয় বিভাগ নিয়ে নিজস্ব কোন গবেষণা, না হয় বিসিএস।
এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার, জীবন যে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, তার দায়ভার কার? তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে কেন এত ছিনিমিনি খেলা? কেন তাদের মস্তিষ্কের উপর অযাচিতভাবে এসব যন্ত্রণা চাপিয়ে দেওয়া?
এখনকার বাবা-মা-অভিভাবকরা অনেক বেশি সচেতন। শিশুদের শিক্ষাজীবন নিয়ে তারা এখন থেকেই বেশ চিন্তিত। কিভাবে শিশুকে প্রতি পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ানো যায়, তাদের জীবনের লক্ষ্য হয়ে গেছে সেটাই। কিন্তু এই শিশুরা যখন বড় হবে, তাদের ভাগ্যে কী ঘটবে?
তাদের জন্য কি আমরা একটি সুন্দর শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে পেরেছি? না কি পরবর্তিতে তাদেরও সেই পূর্বপুরুষদের অনুসারী হতে হবে? ভুগতে হবে ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে?
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২২
বেকার যুবক বলেছেন: প্রথমত, এর জন্য আমিই দায়ী। দুঃখ করো না বন্ধু, বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কেউ ভাবছে, কেউ কেউ দৃঢ়পদে অগ্রসর হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছে।
এ আঁধার কেটে যাবে।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
জাফরুল মবীন বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৬
সায়মা নাসরিন রুম্পা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
তবে বিষয়টি এতই গভীর, এর নিষ্পত্তি কবে হবে বলা মুশকিল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৭
বিলোয় বলেছেন: হুম