নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মীরসরাই[email protected]

সাইমুম

শখ : অতি সাধারণ। বই পড়া আর বিদেশ ভ্রমণ।

সাইমুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

লবণ-বন্দনা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১১

লবণ এখন অতি মামুলি চিজ হলেও এক সময় তা ছিল না। এটা ছিল সোনার চেয়েও দামি! রোমান সৈন্যরা বেতন না নিয়ে বেতন হিসেবে 'লবণ' নিতেন।



ভারতীয়রা কবে থেকে প্রথম লবণের ব্যবহার শিখেছিল, সে ব্যাপারে ইতিহাস নীরব। তবে ঋগ্বেদে শব্দটি না থাকার কারণে ধরে নেয়া যেতে পারে, ভারতীয়রা লবণের স্বাদ পেয়েছে সম্ভবত তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর আগে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা হলে একটা গ্রহণযোগ্য উপাত্ত পাওয়া যেতে পারে।



কিন্তু এ জিনিসটির অপরিহার্যতা প্রমাণিত হবার পর যে তা আর সাধারণের সম্পত্তি থাকেনি, তা বুঝতে কষ্ট হয় না। কারণ ততদিনে এটা রাজকীয় সম্পদে পরিণত হয়ে যায়। রাজশক্তির সমর্থনে এগিয়ে এসে একদিন শাস্ত্রকাররাও ফতোয়া দিলেন : জাতভেদের কারণে সব বাড়িতে লবণ খাওয়া হবে মহাপাপ!! এক সময় হিন্দুরা সব বাড়িতে লবণ খেতে পারতো না। একান্ত খেতে হলে নিজেকেই লবণ নিতে হতো। সোজা কথায়, সামাজিক শোষণ পাকাপোক্ত করতে শাস্ত্রকাররা সব সময় রাজার সমর্থনে এগিয়ে আসতেন ফতোয়ার ঢাউস তোরঙ্গ নিয়ে।



সংস্কৃত 'লবণ' থেকে বাংলায় নুন বা লুন শব্দটি এসেছে। ফারসিতে এটা 'নমক'। পরে উর্দু ও বাংলায় তা হয়েছে নিমক বা নেমক।



ভারতীয় উপমহাদেশে এককালে লকবণ খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে শাস্ত্রও রচিত হয়েছিল। বিশেষত ছাত্র, পুত্রবধূ ও বিধবারা লবণ খেতে পারতেন না। আবার শাস্ত্রের বিধান মেনে যার বাড়িতে লবণ খাওয়া যেতো, তাকে বলা হতো 'কৌদ্রাবিক'।



আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে চিহ্নিত হবার কারণে সেই আদি কাল থেকে রাজা-মহারাজাদের নজর ছিল ছিল লবণের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দিকে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রেও বিধান দেয়া হয়েছে : 'লবণের উপর একমাত্র অধিকার রাজার।'



এক সময় ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দু রাজারা লবণের উপর ৬ প্রকার কর ধার্য করতেন বলে জানা যায়। পরে মুসলিম শাসকরাও একই পথ ধরেন।



সমুদ্রের তীরে লবণের গর্তগুলোকে তখন বলা হতো 'লবণাকর'। পরে মুসলিম শাসনামলে এগুলোর নাম হয়ে যায় 'নিমকমহল'।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১৮

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: ১৯৭৪ সালেও লবনের দুষ্প্রাপ্যতা ছিলো। প্রলয়ন্করী জলোচ্ছাষে লবন ক্ষে্ত ভেসে গিয়েছিলো।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২২

সাইমুম বলেছেন: ১৯৭৪ সালে প্রয়ংঙ্করী জলোচ্ছ্বাসের ব্যাপারে নিশ্চিত নই।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২১

আলঝেইমার ক্রিস্টোসান বলেছেন: ভালো লাগল।

+

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৩

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৭২-৭৪ এ লবন চোরা খ্যাত কারও কারও দালাল উকি মারছে দেখছি ;) :):)

নেমক হারাম, নুন খাইয়া গুন গাওনা.. ....

না না কাউকে বলছি না...:) বহুল প্রচলিত নুন নিয়ে প্রচলিত ডায়ালগ গুলো লিখলাম আরকি :)

আবার আমাদের রবি ঠাকুরের পূর্বপুরুষও লবনজাত! (লবন ব্যাবসা প্রভূত উন্নতি প্রাপ্ত) ছিলেন, বলে জানা যায়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৫

সাইমুম বলেছেন: এগুলো অরাজনৈতিক পোস্ট। কে উঁকি দিলো বা দিলো না, এটা নিয়ে ভাবি না। ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৬

হুতুমপেঁচা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৭২-৭৪ এ লবন চোরা খ্যাত কারও কারও দালাল উকি মারছে দেখছি

নেমক হারাম, নুন খাইয়া গুন গাওনা.. ....

না না কাউকে বলছি না... বহুল প্রচলিত নুন নিয়ে প্রচলিত ডায়ালগ গুলো লিখলাম আরকি

আবার আমাদের রবি ঠাকুরের পূর্বপুরুষও লবনজাত! (লবন ব্যাবসা প্রভূত উন্নতি প্রাপ্ত) ছিলেন, বলে জানা যায়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৬

সাইমুম বলেছেন: এগুলো অরাজনৈতিক পোস্ট। কে উঁকি দিলো বা দিলো না, এটা নিয়ে ভাবি না। ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জুন বলেছেন: আমার মনে হয় লবনের খুব দুর্মুল্য হওয়ায় সাধারন হিন্দু পরিবার বিশেষ করে বাড়ীতে থাকা আরো অবহেলিত গোস্ঠী; বিধবা, পুত্রবধু এবং ছাত্রদের লবন খেতে নিরুৎসাহিত করা হতো যেন খাবার কম স্বাদের হয় এবং তারা পরিমানে কম খায়। এটা সম্পুর্ন আমার ধারনা।
বর্তমান যুগের মত ছাত্রদের অবস্থানও বাড়ীতে অত উচুতে ছিলনা বলেই আমার ধারনা।
আর পুত্রবধুদের কথা নাই বা বল্লাম।
বিধবাদের না খাওয়ানো তথা কম খাওয়ানোর কত কলা কৌশলই তো ছিল তখন সমাজে।
আমার মন্তব্যটা অনেক বড় হয়ে গেল বিরক্ত হবেন না আশা করি।
এ ক্ষেত্রেআপনার বক্তব্যটাও জানতে ইচ্ছে করছে।
আরেকটা কথা আপনার পোস্টগুলো ভীষন ভালো লাগছে সাইমুম অনেক কিছু জানার আছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাইমুম বলেছেন: নিজস্ব কমেন্ট নেই। বিভিন্ন বই পড়ে ও বিশ্লেষণ করে যা পাই, তা যত্নের সঙ্গে তুলে ধরি।
সামাজিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে আপনার বিশ্লেষণ যথার্থ মনে করছি এবং ধন্যবাদ।

আমি শুধু এতটুকু বোঝাতে চেয়েছি : রাষ্ট্র বা রাজার স্বার্থের সমর্থনে শাস্ত্রের সমর্থন পাওয়া গেছে,যার সহজ শিকার হয়েছেন একটি শ্রেণীর জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারীসমাজ।

দীর্ঘ মন্তব্যে মোটেও বিরক্ত হই না। কারণ তার চেয়ে অনেক পৃষ্ঠার তথ্য আমাকে পড়তে হয়। আপনি সঙ্কোচ ছাড়াই মতামত দেবেন। কারণ আমার উপলদ্ধিতে সত্য সব সময় সত্যভাবে ধরা নাও দিতে পারে। আমি নিজেকে একজন রক্ত-মাংশের মানুষ মনে করি। আমার ভুল হয়। আর এতে প্রমাণিত হয়, 'আমি একজন মানুষ'।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাইমুম বলেছেন: জুন : শুধু লবণ কেন, আমার 'পান-বন্দনা' পড়ে দেখতে পারেন। ওখানে দেখানো হয়েছে, পান চাষের ওপর রাজা-বাদশাদের নিয়ন্ত্রণ কেমন ছিল। তবে কেন ছিল, তার ব্যাখ্যায় আমি যাইনি।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৪

দেশী পোলা বলেছেন: ইদানীং সামুতে ঢুকি আপনার সিরিজগুলো পড়তে, প্লাস দিয়ে গেলাম

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৭

সাইমুম বলেছেন: বলেন কি? এখানে অনেকই দারুণ লিখেন। খোঁজ নিন, খোঁজ নিন তাড়াতাড়ি। নইলৈ তাদের প্রতি অবিচার যে হবে!!!

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩১

সাইমুম বলেছেন: মাত্র একশো বছর আগেও ইথিওপিয়ায় (সাবেক আবিসিনিয়া) লবণের চাকতি বার বার মুদ্রা বিবেচিত হতো।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৪

সাইমুম বলেছেন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক লবণ খনির নাম 'সালার ডি ইউইনি'। মালিক বলিভিয়া। খনির আয়তন প্রায় চার হাজার বর্গ মাইল। এটার উপরে রয়েছে পানির হালকা স্তর। বিশ্বের অর্ধেক লিথিয়াম সরবরাহের উৎস এটাই।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৯

সাইমুম বলেছেন: মধ্যযুগে ইউরোপে লবণ 'সাদা সোনা বা হোয়াইট গোল্ড' বিবেচিত হতো।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪২

সাইমুম বলেছেন: বিমানের জ্বালানি বিশুদ্ধ করতে লবণ লাগে! কারণ লবণ ওই জ্বালানি থেকে জলীয় অংশ (পানি) শুষে নেয়।

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৯

সাইমুম বলেছেন: শীতপ্রধান দেশগুলোতে রান্না নয়, রাস্তার বরফ সরাতেই সবচেয়ে বেশি লবণ ব্যবহৃত হয়। আমেরিকায় এটার অনুপাত ১৭ ঃ ৬

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:২৫

ভুডুল বলেছেন: +

২১ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:৩২

ফাইরুজ বলেছেন: সমুদ্রের তীরে লবনের গর্ত গুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।একবার মহেশখালিতে গিয়েছিলাম তখন লবনের গর্ত দেখার সুযোগ হয়েছিল।লবন নিয়ে এত কথা জানতাম না।ভালো লাগলো ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.