![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'ফুল ফুটেছে থোকা থোকা
তাতির পুতে বড়ই বোকা
জোলার ছাওয়াল জোলারে
লুঙ্গি গামছা ঝোলারে
পান খাওয়ালি বিনা চুনে
তবু তাতি লুঙ্গি বোনে
তাতির পুত গো করি মানা
লুঙ্গি থুইয়া শাড়ি বানা
দেশ ভইরাছে মাইয়া লোকে
শাড়ি বানা থাকবি সুখে
সোনার দেশের মানুষরে কই
লুঙ্গি পরার পুরুষ কই?'
বিশ্ব জুড়ে লুঙ্গির জ্ঞাতিগোষ্ঠী আর ব্যবহারকারীর সংখ্যাটি জানা থাকলে কবি আসাদ চৌধুরীর আফসোস 'লুঙ্গি পরার পুরুষ কই' -- হয়তো থাকতো না। এতো রিলাক্সড পোশাক বিশ্বে দ্বিতীয়টি রয়েছে কি না তা বিশেষজ্ঞদেরও জানা নেই। এ সরল পোশাকটির রয়েছে নানা গুণ, রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার।
ভারতীয় এক লোকগীতিতে লুঙ্গির প্রশস্তি গাওয়া হয়েছে এভাবে- 'যখন তুমি সাদা রঙের হও/তখন তুমি সাধারণ পোশাক/রঙটা উজ্জ্বল হলেই তোমার উপযুক্ত জায়গা উৎসবে/মাথায় বাধলেই তুমি পাগড়ি বনে যাও/দাপুটে শীতে তুমিই তো আমার কম্বল/বাতাস থাকলেই তুমি আমার নৌকার পাল/গোসলের পর টাওয়েল/গাছ থেকে পড়ন্ত আম ধরতে তুমিই আমার ফাদ/কাছাড় মেরে ক্রিকেট খেলতেও আমার সমস্যা হয় না/তুমি তো বিছানারই বিকল্প অথবা প্রয়োজনে শাল/মাঝে মধ্যে হয়ে যাওয়া থলে/তোমার গুণে কার না মন গলে।'
দুই মিটার দৈর্ঘ্য নিয়েই সিলিন্ডার আকৃতির এ পরিধানটির নিজস্ব ভুবন। চেক হোক আর এক রঙা হোক - একটি জবরদস্ত ফ্যাশন হওয়ার যাবতীয় সম্ভাবনা যে লুঙ্গির মধ্যে লুকিয়ে আছে, তা এখন ফ্যাশন ডিজাইনারও মানছেন। ওয়েস্টার্ন একাধিক ফ্যাশন ডিজাইনার বলেছেন, প্রাচ্যের পোশাক লুঙ্গির উপযোগিতা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হলে বিশ্বে এ সরল পোশাকটির আবেদন অনেক গুণ বেড়ে যাবে এমনকি লুঙ্গি রেভলিউশন বা লুঙ্গি বিপ্লবও হয়ে যেতে পারে।
তামিল স্টার বিক্রম তার মুভি মাজা-তে লুঙ্গি পরে অভিনয় করেছেন। প্রসাদ বিধপা তো লুঙ্গিতেই সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পান। লুঙ্গির প্রশস্তি গেয়ে এ ফ্যাশনগুরু বলেছেন, এটি একটি দুর্দান্ত ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। লুঙ্গি হয়ে যেতে পারে দোপাট্টা অথবা পরিধানের একটি সক্রিয় অংশ। আমি শ্রী লংকা থেকে একটি লুঙ্গি আনিয়েছি। এটি সুতির নয়, শিফনের। ডেনিম জিন্সের ওপর এটি আমি স্বচ্ছন্দে পরি। অস্বাভাবিক মনে হলেও দেখতে চমৎকার। সাবকন্টিনেন্টের আবহাওয়ার দিক থেকে একমাত্র লুঙ্গিই সবচেয়ে উপযোগী পোশাক। এটি টাইট জিনস ও ট্রাউজারের চেয়ে অনেক উত্তম। অধিকাংশ লোকই তো রাতে লুঙ্গি পরে। আমি মনে করি, এটি যে কোনো সময় যে কোনো অনুষ্ঠানে পরা যায়।
বাংলাদেশের ভিলেন খলনায়ক ডিপজল বা এটিএম শামসুজ্জামান অনেক মুভিতে লুঙ্গি পরেই অভিনয় করেছেন, আর মিনি পর্দার স্টার আবুল হায়াত লুঙ্গির মডেলও হয়েছেন।
লুঙ্গি অতি সাধারণ ও সরল পোশাক। এক বা দুই গিট্টু দিয়েই তা পরা যায়। কোমরে জড়িয়ে পায়ের দিকে ঝুলিয়ে এটি পরতে হয়। বাংলাদেশ,ভারত, শ্রী লংকা ও মিয়ানমারে লুঙ্গি অতি সাধারণ দৃশ্য। মিয়ানমারে এটি জাতীয় পোশাক হিসেবেও স্বীকৃত।
লুঙ্গিকে দক্ষিণ ভারতের আদি পোশাক ধরা হলেও দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে লুঙ্গির প্রচলন রয়েছে। এটির রয়েছে নানা ডিজাইন ও রঙ। সাধারণত তুলা দিয়ে তৈরি হয়। তবে এক রঙা লুঙ্গির রয়েছে বাড়তি আবেদন। প্রবীণরা সাধারণত সাদা বা সাদা চেকের লুঙ্গি বেশি পছন্দ করেন। লুঙ্গির ওপর ও নিচে শাড়ির মতো সলিড স্ট্রাইপ থাকে। স্কার্টের মতো লুঙ্গিকেও বৃত্তাকারে সেলাই করতে হয়।
বিশ্বের নানা দেশের স্থানীয় ঐতিহ্য অনুসারে পুরুষ অথবা নারী-পুরুষ লুঙ্গি পরে। তবে বিশ্বের সব জায়গায় লুঙ্গি পরার আলাদা স্টাইল রয়েছে। যেসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে ট্রাউজার বা প্যান্ট পরিধান স্বস্তিদায়ক নয়, সেখানে নানা ফর্মে লুঙ্গির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।
লুঙ্গির ধরন ও ব্যবহারিক দিকটি বিবেচনায় আনলে যে কোনো ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তি এটা বলতে বাধ্য হবে, পশ্চিমি বিশ্ব অনেকটা লুঙ্গির আদলে কিল্ট নামের পোশাককে ফ্যাশান দুরস্ত বলে গর্ববোধ করে সাউথ এশিয়ানবাসী তার চেয়েও ডাহা আধুনিক পোশাক বহু আগে থেকে পরিধান করছে। কারণ লুঙ্গি কটন বা সিল্কের এমন একটি টিউব যাতে কোনো জিপার লাগে না। এটা গিট্টু মেরে কোমর থেকে নিমিষেই পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঢেকে দেয়া যায়। এটি যেমন হাইজেনিক তেমনি দেহের উপযোগী।
নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে তাকালে লুঙ্গিকে যে কোনো বিবেচনায় একটি স্বাস্থ্যসম্মত অ্যাঙ্কেল-লেনথ স্কার্ট বলা যায়। বড় সাধাসিদে পোশাক যার নেই কোনো ফাংশনাল চ্যালেঞ্জ।
ফ্যাশনের দৃষ্টিতে তাকানো হয়নি বলেই লুঙ্গিকে এতোদিন ফ্যাশন সচেতন পোশাক বলা হয়নি। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের মানুষ অনায়াসে এ সর্বজনীন পোশাক অতি স্বল্প সময়ে অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারে। এ কারণে লুঙ্গি একটি পর্যটন-বান্ধব পোশাক।
লুঙ্গি পরলে মানুষ কি মানুষের পর্যায় থেকে নিচে নেমে যায়? সামাজিক বলয়ে জিন্সের টাইট প্যান্ট না পরলে কি ব্যক্তির সেন্স অফ পাওয়ার কমে যায়? প্রিন্স চার্লস ও সিন কনারি কিল্ট পরিধান করে অথবা ডেভিড বেকহাম ও ডেভিড বোয়ি সারং পরিধানের পরও যদি ব্যক্তিত্ব না হারান, তাহলে বাংলাদেশিরা লুঙ্গি পরলে কেন আত্মমর্যাদা হারাবেন?
সম্প্রতি লন্ডনের মেট্রোপলিটন মিজউজিয়াম অফ আর্ট এক্সিবিশনে বৃটেনের পুরুষ সেলিব্রেটিরা নৈতিক, সামাজিক ও জেন্ডার কোডকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি পৌরুষত্বের ধারণাকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করার লক্ষ্যে অবলীলায় স্কার্ট পরে ক্যাটওয়াক করেছেন। কারণ সামাজিক বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নারীরা আজ পুরুষদের শার্ট, সুট-কোট এমনকি টাই পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। ড্রেস কোডে পরিবর্তন আনতে বৃটিশ পুরুষরা এতোটুকু সাহস দেখাতে পেরেছেন। আমাদের সমাজের পুরুষদের অতোটা সাহসী না হলেও চলবে। শুধু মানসিকতা পাল্টালেই ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গির জাত পুনরুদ্ধার হবে।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০২
রেজোওয়ানা বলেছেন: এই পোষাকটা খুব বিশ্রী লাগে আমার কাছে, তবে লেখাটা ভাল লেগেছে............
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১২
সাইমুম বলেছেন: বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব পোশাকটাকেই খুব বিশ্রী লাগে???
হায় হায়, কপাল খারাপ।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: অসাধারন লেখা।
আমাদের লুঙ্গির পাশাপাশি তালপাখা আর বাইসাইকেলের দিকেও দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৩
সাইমুম বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৭
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: লুঙ্গির মতো আরামদায়ক পোশাক বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। আমি প্রতিদিনই লুঙ্গি পরি। এই পোশাক আমার সবচেয়ে পছন্দের। লুঙ্গি পরায় আমাকে কে কি বলল এত আমার কিছু যায় আসে না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৪
সাইমুম বলেছেন: সাবাশ! হরিপদ কেরাণী। লুঙ্গির জয় হোক।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৪
রেজোওয়ানা বলেছেন:
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯
সাইমুম বলেছেন: লুঙ্গি পরা লোক দুটো কে? ভাইজান কি লুঙ্গি পরা ছেড়ে দিয়েছেন
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা অফিসের কাজে আমাকে কয়েকবার বিদেশে যেতে হয়েছে। সারাদিন কাজ শেষে হোটেলে ফিরেই আমি লুঙ্গি পরতাম। মাঝে মাঝে হোটেলের আশপাশে কোথাও গেলেও লুঙ্গি পরেই বের হতাম। এতে অনেকের খুব আগ্রহ হতো এই পোশাকটা নিয়ে। কেউ কেউ আগ্রহ নিয়ে এই পোশাকটা নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করত। আমি তাদেরকে বুঝিয়ে বলতাম এটা আমার দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এটা পড়তে আমি গর্ববোধ করি। তারা কেউই আমাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেনি। বরং নিজের এতিহ্য ধারণ করাতে আমার প্রশংসা করেছে।
আসলে আমরা চাইলে নিজেকে ছোট অথবা বড় করার সুযোগ অন্যকে দিতে পারি।
ব্যতিক্রমধর্মী বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪০
সাইমুম বলেছেন: বিদেশে যতবারই গিয়েছি ততবারই লুঙ্গি পরেছি।
ধন্যবাদ দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য।
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: লুঙ্গির উপরে কোন পোশাক নাই ..... বউ এর সাথে প্রথম ঝগড়া হয়েছে এই লুঙ্গি পড়া নিয়ে। আমিও কম যাই না, এখনো বিপুল বিক্রমে চালিয়ে যাচ্ছি। তবে উনি একটা শর্তে এই পোশাকের রাজা লুঙ্গি পড়তে অনুমতি দিয়েছেন, "শশুর বাড়িতে গেলে লুঙ্গি পড়া যাবে না"। আমি লুফে নিয়েছি
................কি জন্য যে অধুনিক মেয়েরা এই পোশাকটাকে খ্যাত মনে করে আজব!!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩০
সাইমুম বলেছেন: ড. সিরাজুল ইসলাম 'লুঙ্গির ১০১ উপকারিতা' নামে একখানা মজার রম্য লিখেছিলেন অনেক আগে। এশিয়াটিক সোসাইটিতে গিয়ে উনার সেই লেখাটার কপি চেয়েছিলাম। স্যার বললেন, কপি নাই। মানে খুঁজে পাওয়া ভীষণ কষ্টের হবে।
ওই লেখাতে ছিল : লুঙ্গির ফ্রন্ট সাইড তুললে এক কাজ, আর ব্যাক সাইড তুললে আরেক কাজ সারা যায়। হাঃ হাঃ
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫০
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: এক পাকিস্তানী বন্ধু আমার লুঙ্গি পড়া এবং এর প্রতি আমার ভালোবাসা দেখে সে আমার কাছে একবার লুঙ্গি উপহার চেয়েছিলো। আমি বলেছিলাম পাঠাবো কিন্তু পরে আর পাঠানো হয়নি। এই লেখাটা পড়ে মনে পড়লো। দেখি মনে করে পাঠিয়ে দিব কয়েকদিনের মধ্যে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৬
সাইমুম বলেছেন: আপনার প্রচেষ্টা সফল হোক।
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৫
কালপুরুষ বলেছেন: লুঙ্গি-
আমার নিত্যদিনের সঙ্গী।
ভাল পোস্ট।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৬
সাইমুম বলেছেন: শুকরিয়া।
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৮
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: আমাদের কালুদাও দেখি আমার দলে। জয় হোক লুঙ্গির, জয় হোক কালুদার!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭
সাইমুম বলেছেন: জয়তু কালুদা। জয়তু লুঙ্গি!
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭
রেজোওয়ানা বলেছেন:
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
সাইমুম বলেছেন: ভাইজান কি লুঙ্গি পরা ছেড়ে দিয়েছেন
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২১
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: লুংগী ইসলামী ড্রেস নয়। বাতাসে উল্টায়ে যায়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
সাইমুম বলেছেন: সো হোয়াট?
১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৯
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: ঠিক মতোন লুঙ্গি পড়লে উল্টাবে কেন? তাছাড়া আপনে উল্টা হইলেও কিন্তু লুঙ্গি উল্টাইতে পারে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪০
সাইমুম বলেছেন: খাসা জবাব।
১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪০
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: পাজামা পরলে আর উল্টায়না। লুংগী পরলে শর্টস পরতে হয়
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩
সাইমুম বলেছেন: পাকিরা পায়জামা বেশি পরে। শর্টস পড়লে সমস্যা নেই।
১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: লুঙ্গির উপরে আরামদায়ক পোষাক নাই।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০২
সাইমুম বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯
নস্টালজিক বলেছেন: লুঙ্গি বাতাস!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৩
সাইমুম বলেছেন: বন্দনা এখন বাতাস বটে!
১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩
শিব সত বলেছেন: অন্তত পক্ষে গরমের দিনে লুঙ্গিকে অফিসিয়াল ড্রেস হিসাবে অনুমতি দেওয়া হউক ,......
এইডার মত আরামের জিনিস আমিতো আর দেখি না ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৭
সাইমুম বলেছেন: দারুণ কমেন্ট।
'অন্তত পক্ষে গরমের দিনে লুঙ্গিকে অফিসিয়াল ড্রেস হিসাবে অনুমতি দেওয়া হউক ,......'
১৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জামিনদার বলেছেন: এখনো লু
ঙ্গী পরেই আছি
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৩
সাইমুম বলেছেন: ওইটা আর খুইলেন না
১৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৯
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: "শিব সত বলেছেন: অন্তত পক্ষে গরমের দিনে লুঙ্গিকে অফিসিয়াল ড্রেস হিসাবে অনুমতি দেওয়া হউক ,......
এইডার মত আরামের জিনিস আমিতো আর দেখি না । "
উপরের সব মন্তব্যের মধ্যে আমার কাছে এইটা মনে হইছে শ্রেষ্ঠ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৯
সাইমুম বলেছেন: আমিও একমত।
২০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৫
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
ব্যক্তিগত ক্রোশে হ্যাচকা টানে প্যাচস্খলন, অথবা শৈশবে নিরাপদ হাফপ্যান্ট থেকে লুঙ্গিতে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর, প্রাতকালে খাটের নিচে লুঙ্গীর আবিষ্কারের নিপাতনে সিদ্ধ ঘটনাবলী ছাড়া, লুঙ্গি সর্বাধিক আরাম দায়ক পোষাক।
পর্বতারোহন, বৈশাখী ঝড়ের শঙ্কায় দৌড়ে ঘরে প্রত্যাবর্তন ছাড়া শাস্তিকালীন সময়ে লুঙ্গি অতুলনীয়। মুহুর্তে প্রয়োজনে নমনীয় বস্ত্রখন্ডের রূপ পরিবর্তন এর বিশেষ গুণ।
লুঙ্গী হ্রস্বতর কাছা দেয়ার সুবিধায় নদীমাতৃক জলজ পরিবেশে এবং শহরে বন্যা, বা বৃষ্টির পানি জমে থাকা অঞ্চলে পথ চলা চলে লুঙ্গী অধিকতর উপযোগী।
পশ্চিমা প্যান্ট পোষাক হিসাবে সম্পুর্ণ অবৈজ্ঞানিক। শুক্রথলি অধিকতর আঁটসাটো পোষাকে শুক্র উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস করে পুরুষের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস করে এরকম বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে। উপরন্তু এই পোষাকটির নির্মাণ সহজতর, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম এবং নিরানে শ্রমের অপচয় কম।
অধিকতর গ্রহণযোগ্য পোষাক। এর প্রচারে লুঙ্গি সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। মালদ্বীপ সহ লুঙ্গীজেনিক রাষ্ট্রে তরফ থেকে একদিন বিশ্ব লুঙ্গী দিবস পালনের প্রস্তাব করাও মন্দ নয়। মেট্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বের একমত হওয়ার মতো লুঙ্গিকে স্ট্যান্ডার্ড পোষাক(স্ট্যান্ডার্ড ব্র্যান্ডের লুঙ্গি না) হিসাবে স্বীকৃত দেয়া হোক।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১২
সাইমুম বলেছেন: দারুণ বিশ্লেষণ স্বদেশ হাসনাইন।
নাম মনে নেই, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালে আমেরিকার একজন খ্যাতিমান ফ্যাশন ডিজাইনার (তিনি আবার নারী) দীর্ঘ গবেষণার পর উপলব্ধি করেন, বিশ্বে সবচেয়ে পরিবেশ বান্ধব পোশাক হচ্ছে এশিয়ার লুঙ্গি ও আরবীয় জোব্বা।
পশ্চিমা বিশ্বের 'কিল্ট'কে কেউ কেউ লুঙ্গির আধুনিক সংস্করণ ভাবেন।
সম্প্রতি লন্ডনের মেট্রোপলিটন মিজউজিয়াম অব আর্ট এক্সিবিশনে বৃটেনের পুরুষ সেলিব্রেটিরা নৈতিক, সামাজিক ও জেন্ডার কোডকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি পৌরুষত্বের ধারণাকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করার লক্ষ্যে অবলীলায় স্কার্ট পরে ক্যাটওয়াক করেছেন। কারণ সামাজিক বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নারীরা আজ পুরুষদের শার্ট, সুট-কোট এমনকি টাই পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। ড্রেস কোডে পরিবর্তন আনতে বৃটিশ পুরুষরা এতোটুকু সাহস দেখাতে পেরেছেন। আমাদের সমাজের পুরুষদের অতোটা সাহসী না হলেও চলবে। শুধু মানসিকতা পাল্টালেই ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গির জাত পুনরুদ্ধার হবে।
লুঙ্গি আর স্কার্ট পরে বৃটিশ সেলিব্রেটিরা কি ভুল করেছেন? মোটেও না। কারণ ঐতিহাসিক বাস্তবতা হচ্ছে, অধিকাংশ সভ্যতায় স্কার্ট ছিল পুরুষেরই পোশাক। বরং গ্রিক, রোমান ও ইজিপশিয়ান সভ্যতায় পুরুষরা স্কার্ট পরিধানের মাধ্যমে তাদের যৌবন ও পৌরুষত্বের প্রমাণ ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট থাকতো। এ তিনটা সভ্যতার পুরুষরা ছিল যুদ্ধবাজ। স্কার্ট পরিধান তাদের যুদ্ধংদেহি মনোভাবে মোটেও আঁচড় কাটতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে এ তিনটি সভ্যতায় পুরুষরা তাদের কোমর ঢেকেই পর্যাপ্ত স্বাধীনতা উপভোগ করেছে।
হালের পশ্চিমা ফ্যাশান ডিজাইনাররা এখন প্রাচীন কালচার থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে চান। তারা স্কটিশ কিল্টের পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকার প্রাচীন পোশাক কালচারকে আধুনিকতার পরশ দিয়ে আপন করে নিতে চাইছেন। তারা এটা মনে করছেন বিশ্বজনীন কালচারগুলো নতুন রূপে আয়ত্ত করে নেয়ার অর্থ হচ্ছে নিজের বর্তমান সমাজ-সভ্যতা যে গতিশীল ও প্রাণবন্ত, তা নতুন করে প্রমাণ করা। ঠিক এ কারণে এশিয়া, আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের সারং, ধোতি, লুঙ্গি, কাফটান, কামিজ, চাইনিজ জোব্বা আর জাপানিজ কিমোনো পশ্চিমি বিশ্বের ফ্যাশান ক্যাপিটালগুলোর জাকালো ক্যাটওয়াকে ক্রমবর্ধমান হারে জায়গা করে নিচ্ছে। অথচ প্রাচ্য সমাজের পুরুষরা প্রচণ্ড গরমের মাঝেও কোট-টাই পরে দর দর করে ঘামছেন। আর পশ্চিমি ডিজাইনাররা বিভিন্ন জাতিগত পোশাক ঐতিহ্যকে অধিকতর আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত পোশাক হিসেবে উপস্থাপনের জন্য সতর্ক অধ্যবসায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
ইস্ট ইনডিয়া কম্পানি ইনডিয়া সাবকন্টিনেন্ট শাসন কালে ইনডিয়ান ঐতিহ্যের গাউন, চুগা, বুক খোলা গাউন পর্যন্ত ধারণ করেছে। পরে এসব সাবকন্টিনেন্টাল পোশাক বৃটিশ রাজপরিবারেও জায়গা করে নেয়। আমরা শুধু পিছিয়ে আছি।
২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৭
সোমহেপি বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: লুঙ্গির উপরে আরামদায়ক পোষাক নাই।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৫
সাইমুম বলেছেন: শতভাগ সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭
সাইমুম বলেছেন: এটা আমারই লুঙ্গি বিষয়ক এক ঢাউস লেখার কনসাইজ ভার্সন।