নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মীরসরাই[email protected]

সাইমুম

শখ : অতি সাধারণ। বই পড়া আর বিদেশ ভ্রমণ।

সাইমুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাক-বন্দনা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৮

দুরন্ত নজরুল তার খ্যাদা দাদুর ন্যাদা নাকে কষে ল্যাঙ মারলেও রবীন্দ্রনাথ ও শেক্সপিয়ার ওই পথ মাড়াননি। বরং পার্থিব নাকের অপাথিব সৌন্দর্য বর্ণনায় তারা উপমাবিহীন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, 'তোমার বিজ্ঞাপন তোমার নাকের ওপর। বিশ্বকর্মার হাতে এ নাক দুবার তৈরি হতে পারে না; ছাঁচ তিনি মনের ক্ষোভে ভেঙে ফেলেছেন।' অন্যদিকে শেক্সপিয়ার বলেছেন, 'কিওপেট্রার নাকটা যদি আরেকটু ছোট হতো, রোমান সামান্য তাহলে আরো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারতো।'



নাকের এ উপমা পরিণত অনুভূতির হলেও মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য বাড়াতে সুগঠিত ও মানানসই নাকের ভূমিকা অতি বাস্তব। নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে নাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ; বিশেষ করে জাতিগত সূচি তৈরির বিভিন্নতা থেকে নাক একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।



গন্ধ, সৌন্দর্যপ্রিয়তা আর অনুভূতি প্রবণতার সঙ্গেই নাকের সম্পর্কটা আবর্তিত হচ্ছে। তারপরও যতোটুকু জানা গেছে, তাতেই প্রমাণিত হয়েছে, মেন্টাল হেলথের সঙ্গেও রয়েছে নাকের গভীর সম্পর্ক। আসলে গ্রিক থেকে রোমান, ফ্রয়েড থেকে হলিউড, মেডিসিন থেকে কসমেটিক্স, সব কিছুতেই নাকের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।



শিল্পকলা, বিজ্ঞান, পপুলার কালচারে নাককে অবহেলাও করা হয়নি। সেই প্রাচীন হায়ারোগ্লিফিক লিপি থেকে শুরু করে আধুনিক মেডিকাল জার্নালে নাক এখনো একটি পরম বিস্ময়। প্লিনি থেকে শুরু করে পিকাসোর কাছে নাক একটি কৌতুহল উদ্দীপক প্রসঙ্গ। অথবা বলা যায়, কিওপেট্রা থেকে বারবারা স্ট্রেইসেন্ড, জিমি ডুর‌্যান্ট থেকে মাইকেল জ্যাকসন -- সবাইকে নাক ভীষণ ভাবিয়েছে।



ভগবত গীতা মতে, নাক হচ্ছে মানব শরীরের নবম বা একাদশতম প্রবেশদ্বার। অথবা মষ্কিষ্কের একটি ছিদ্রপথ। ওল্ড টেস্টামেন্টে নাসারন্ধ্র হতে প্রত্যয়জনকভাবে নিঃশ্বাস ত্যাগের ওপর জোর প্রদান করা হয়েছে।



প্রাচীনকালে বিশ্বাস করা হতো, পৃথিবীতে দৈত্যাকৃতির দানব রয়েছে যাদের কোনো নাক নেই। শধু দুটো ছিদ্র রয়েছে। যে ছিদ্র দিয়ে তারা শ্বাসকার্য চালায়। অপরদিকে অস্বাভাবিক লম্বা নাককে অতিপ্রাকৃতিক ভাবা হতো। যেমন পশ্চিমা লোক সাহিত্যে নর্স হোলডারের নাককে এতো দীর্ঘ দেখানো হয়েছে যে, নর্স হোলডার ঘোড়ায় বসলে তার দীর্ঘ নাকটি স্যাডেলের বাকানো অংশে এসে ঠেকতো।



সৌন্দর্য বর্ধন, সংস্কৃতি, প্রথা অথবা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিশ্বের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর নারী এমনকি পুরুষরাও নাক ছিদ্র করার মাধ্যমে নাকে অলঙ্কার ধারণ করে।



জীবজন্তুর মধ্যে হাতির নাকটিই সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম। হাতির নাক যতগুলো কাজ সম্পাদন করতে পারে, মানুষের নাক ঠিক ততগুলো পারে না। কারণ হাতির নাক অতিরিক্ত হাত হিসেবে কাজ করতে পারে।

নাক মূলত একটি মাংসল কবিতা। গঠনপ্রকৃতি, হাঁচি, সাইনোসাইটিস, নানাবিধ অলংকার, শ্বসন ক্রিয়া, ঘ্রাণশক্তি এর আলাদা আলাদা বিশাল শাখা এবং এ শাখাগুলো মেঘের সাতরঙের মতোই রহস্যময়।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪২

জামিনদার বলেছেন: ভাইগো ! অনেক দিন থেকে পুরুষ বন্দনার অপেক্ষায় আছি।
নাক থেইকা শুরু করছেন আলহামদুলিল্লাহ। তয় এভাবে প্রত্যেকটা অঙ্গ নিয়া বন্দনা শুরু করলৈ কি কি সমস্যা হইতে পারে ;) ;) একটু খেয়াল রাইখেন।

সাথে সামনে চলুক।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৬

সাইমুম বলেছেন: পুরুষ-বন্দনা দেয়া হয়েছে। চোখ বুলালে পেয়ে যাবেন। চোখ নিয়ে লিখবো। পেট নিয়েও লিখতে পারি। এর নিচে নামা যাবে না :P :P

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৪

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: চমৎকার!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

সাইমুম বলেছেন: শুকরিয়া।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

অরুন্ধতি বলেছেন: একটা বর্ষা বন্দনা লিখার অনুরোধ থাকল।
সাথে +++++++++++++++

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

সাইমুম বলেছেন: বর্ষাকালে আশাকরি পাবেন। যদি বেঁচে থাকি। আপাতত 'শিশির-বন্দনা' লেখা যেতে পারে। ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞতো বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বব্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন। এটা নাকের একটা বড় বিজয়।
লালন কথিত আট কুঠুরি নয় দরজায় নাকের পজিশন কি এটা একটু ক্লিয়ার করতে পারেন।
কনে দেখার সময় নাকের গঠনও বিবেচ্য হয়। ছেলের জন্য হয় কি ? আমার বোঁচা না নিয়েও কিন্তু প্রেম করে ফেলেছিলাম। হা হা হা !

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০২

সাইমুম বলেছেন: সরি, 'আট কুঠুরি নয় দরজার' ব্যাখ্যা এখন ভুলে গেছি।
আমার মতে, নাক শুধু মেয়েদের জন্য জরুরি। কারণ তারা 'ন্যাকামি' ছাড়া বাঁচতে পারে না। আমারও বোঁচা নাক বলে মেয়েরা ওই নাকে 'দড়ি' লাগাতে পারেনি। হাঃ হাঃ হাঃ

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

আর.এইচ.সুমন বলেছেন: জয় সাইমুম ভাইয়ের নাকের জয় .. ;) ;)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

সাইমুম বলেছেন: এই শ্লোগান শুনলে পাশের বাড়ির ভাবীরাও সিঁড়ি দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে নেমে আমার কলিং বেল টেপা শুরু করবে ;) ;) ;) ;)

তারপর আপনার ভাবী আমাকে শাসিয়ে বলবে : 'এই খাটের তলা থেকে বের হও বলছি'। =p~ =p~ =p~ =p~

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

ইমরান মামা বলেছেন: নাক নিয়ে নাকাল হবার ঘটনা আগেও পড়েছি শুনেছি। কিন্তু আপনার মত এত সুন্দর করে ভাবি নি কখনও। এই যে রামায়নে রামের সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ তার মূলেও তো ছিল নাক। রাবণের বোনের নাক কাটার অপরাধেই তো তিনি সীতাকে হরণ করেছিলেন। নাক নিয়ে রম্য লেখক শিবরামের একটা গল্প পড়েও বেশ মজা পেয়েছিলাম। নাক উঁচু লোকের সঙ্গে কথা বলতে আমারও বেশ বাধো বাধো ঠেকে। আপনার মজার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯

সাইমুম বলেছেন: মামাকেও ধন্যবাদ। রাবণের বোন সূর্পনখা বা শূর্পনখার নাক কাটার কাহিনী আসলেই চমৎকার। ফের ধন্যবাদ মামা।

নাক নিয়ে ব্যবিলন সভ্যতার গল্প 'উটনাপিসটিম' এ মজার মজার কাহিনী আছে মামা।

জন হেস্টিংস তার সম্পাদিত 'ম্যান মিথ অ্যান্ড রিলিজিয়ন' বিশ্বকোষে নাক-সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক তথ্য যোগ করেছেন।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৭

মেঘ_বালিকা বলেছেন: শরৎ আর শিউলি নিয়েও এক টা বন্দনা লিখবেন আশা করি B-) B-) B-) B-)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩২

সাইমুম বলেছেন: শিউলি-ঝরা মোর সমাধি
পড়বে মনে উঠবে কাঁদি---

থুক্কু এখনই শরত-শিউলি বন্দনা শুরু করা যাবে না। বন্ধ করলাম। ইঁদুর (মাউস) থেকে হাত সরালাম।

চেষ্টা থাকবে। ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩

হাসান খা বলেছেন: মচৎকার...

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

সাইমুম বলেছেন: আমার ধারণা, 'মহা চমৎকার' অর্থে একদিন বাংলা ভাষায় 'মচৎকার' শব্দটি চালু হয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩১

সাইমুম বলেছেন: সর্দিতে আক্রান্ত হলে নাকের গন্ধ শনাক্ত ক্ষমতা কমে যায়। এ সময় চিমনির ধোঁয়া, গরম পুডিংসহ অন্যান্য সিজনাল সেন্টের অতি পরিচিত ঘ্রাণও নাকে ঠেকে না। সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এসব জিনিসের পরিচিত গন্ধও নাকে লাগে না। এর কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে বৃটিশ গবেষকরা প্রমাণ পেলেন মানব নাকের গঠন জাম্বু জেটের পাখার গঠনের চেয়েও অনেকগুণ জটিল। বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড বায়োলজিকাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিলের (বিবিএসআরসি) অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের গবেষকরা শুধু এটাই শনাক্ত করেননি যে, কিভাবে বায়ু বিচিত্র মুভমেন্টের মাধ্যমে নাকে গন্ধের অনুভূতি পৌঁছিয়ে দেয় বরং কিভাবে বায়ুর এ মুভমেন্টকে অধিকতর বাধাহীন করা যায়, তা আবিষ্কারের পথটা সম্পর্কেও ব্যাপক ধারণা পেয়েছেন। আর এ কাজটিকে যদি বাস্তবে রূপ দেয়া যায়, তাহলে মানুষ আরো অনেক সহজে শ্বাসকার্য চালিয়ে যেতে পারবে।

গবেষকরা বলেছেন, মানবদেহে নাকের তরল পদার্থের ডিনামিক্স অকল্পনীয় জটিল। এমনকি হৃদপিন্ড থেকে সারা দেহে রক্ত প্রবাহ থেকেও জটিল। বরং নাকের অ্যানাটমিকাল স্ট্রাকচার এতোটাই কমপ্লেক্স যে, নাকের ভেতর বায়ু প্রবাহ একই সঙ্গে মূল প্রবাহের উল্টো দিকে, ঘূর্ণিপথে এমনকি রিসার্কুলেশন পদ্ধতিতেও এগুতে পারে। দলের অন্যতম শীর্ষ গবেষক ডক্টর ডেনিস ডুরালি বলেন, আকাশে একটা বিমান যেভাবে উড়ে, তাও কিন্তু জটিল। কিন্তু মানব নাকের ভেতর বায়ু প্রবাহ যে বিচিত্র গতিতে প্রবাহিত হয় তার তুলনায় বিমানের গতিপথকে বেশ সরলই বলতে হবে। কারণ নাকের জ্যামিতি অনেক জটিল। নাকের ভেতর এয়ার ত্রাফটের পাখার মতো স্ট্রেইট লাইন বা সিম্পল কার্ভ নেই।

গবেষকরা নাকের জটিল অ্যানাটমিকাল স্ট্রাকচারে বায়ু প্রবাহের গতি প্রকৃতির ম্যাপিং করার মাধ্যমে এটা বুঝতে পেরেছেন, কোনো ফুলের ঘ্রাণ নেয়ার সময় আমাদেরকে কেন গভীরভাবে শ্বাস নিতে হয়।

১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩২

সাইমুম বলেছেন: এক ব্যাগ নাক তথ্য
মানুষ যখন হাঁচি দেয়, তখন হাঁচির বাতাসের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ১০০ মাইল।

অধিকাংশ মানুষের নাক ১০ হাজার প্রকার ভিন্ন ভিন্ন গন্ধের পার্থক্য ধরতে পারে।

মানুষের চেয়ে কুকুরের নাকের ঘ্রাণশক্তি ৪৪ গুণ প্রখর।

প্রজাপতির সামনের পা দুটো তার নাক হিসেবে কাজ করে।

হাতির নাক তিন মাইল দূরের গন্ধও অনুভব করতে পারে।

আমরা যখন বাতাস থেকে শ্বাস গ্রহণ করি, তখন নাক ধূলিকণা, পরাগরেণু ও ক্ষতিকর ভাসমান পদার্থ ফিল্টার করতে পারে। এসব পদার্থ নাকের শ্লেম্মায় আটকে যায়। আর শ্লেম্মা যখন শুকিয়ে যায়, তখন তা নাকে প্রাকৃতিকভাবে অস্বস্তি উৎপাদন করে এবং মানুষ নাকে আঙ্গুল দিয়ে শুকনো মিউকাস বের করে আনে।

মানুষ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে গন্ধের অনুভূতির ভূমিকা অনেক বেশি।

গন্ধের অনুভূতি প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বয় ঘটাতে সহায়তা দেয়। নাক মানুষকে বিপদের অনুভূতি টের পাইয়ে দেয়। পারিপাশ্বিকতা সম্পর্কে সচেতন হতে সহায়তা দেয়।

বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তির গন্ধের অনুভূতি আলাদা। মানব দেহের জিন, কোষের ধরন, খাদ্যাভ্যাস, মেডিসিন, মানসিক অবস্থা এমনকি আবহাওয়াগত কারণেও একেক জনের গন্ধের অনুভূতি একেক ধরনের।

মানুষের পক্ষেই একই জিনিসের গন্ধ হুবহু একইভাবে দুবার নেয়া সল্ফ¢ব নয়। শুধু তাই নয়, ব্যক্তির ঘ্রাণশক্তি দিন দিন পাল্টায়। এটা অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তির মানসিক অবস্থার উপরও নির্ভর করে।

মানুষের ঘ্রাণশক্তি এতোটাই প্রখর যে মানুষের ০.০০০০০০০০০০০০০৭১ আউন্স সেন্ট শুকেও ঘ্রাণ অনুভব করতে পারে।

মানুষের তুলনায় অধিকাংশ জীব ও মাছের মস্তিষ্কের গন্ধ অনুভব শক্তি বেশি সত্রিয় থাকে। মরুভূমিতে ঘোড়া বহু দূর থেকেও ঘ্রাণ পায়।

স্যামন মাছ মহাসাগরে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে গন্ধ অনুভব করতে পারে। ডিম দেয়ার সময় মাছের ঘ্রাণশক্তি প্রবলতর থাকে।

পুরুষের তুলনায় নারীর ঘ্রাণশক্তি প্রবল। অন্যদিকে ঋতুবতী কালে মেয়েদের ঘ্রাণশক্তিতে পরিবর্তন আসে। পিরিয়ডের প্রথমভাগে মেয়েদের ঘ্রাণশক্তি থাকে অতি প্রবল। গর্ভবতী কালে তা আরো বেড়ে যায় যেমন করে বাড়ে জৈবিক আকর্ষণ।

এক মানুষ প্রতিদিন নানা ধরনের গন্ধ অনুভব করে। অথচ অধিকাংশ গন্ধ সম্পর্কে সে মোটেও সচেতন হতে পারে না।

মানুষ তার পরিচিত গন্ধের মাত্র ৬৫ শতাংশ এক বছর পর শনাক্ত করতে পারে।

সকালবেলা মানুষের গন্ধের অনুভূতি প্রবল থাকে। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে।

মনোবিজ্ঞানী সিগমান্ড ফ্রয়েড বিশ্বাস করতেন মানবীয় প্রজনন অঙ্গ সরাসরি নাকের সঙ্গে যুক্ত।

নাক একটি একক অণুরও ঘ্রাণ নিতে পারে।

গন্ধ ও স্মরণশক্তি গভীর সম্পর্কযুক্ত। গন্ধ স্মৃতিকে চাঙ্গা করে। মস্তিষ্কের কর্টিকাল অঞ্চল (যেখানে মেমরি সেল থাকে) ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মানুষ ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে না। তবে গন্ধের পার্থক্যটুকু বুঝতে পারে না।

জন্মের ৫০ ঘণ্টার পর শিশুর গন্ধ-অনুভূতি সক্রিয় হয়।

নাকের ডান নাসারন্ধ্রের তুলনায় বাম নাসারন্ধ্র গন্ধ শনাক্ত করার ব্যাপারে অধিকতর সক্রিয় থাকে।

পাখির ঘ্রাণশক্তি এতোটা প্রখর নয়। তবে কিউই ও অ্যালব্যাট্রোস গোত্রীয় পাখির ঘ্রাণশক্তি প্রবল।

৮০ শতাংশ ব্যক্তির নাক মুখমণ্ডলের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত হয় না। বরং কিছুটা ডানপাশে থাকে।

১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

সাইমুম বলেছেন: মানব নাক হচ্ছে বিস্ময়কর সেন্সের কেন্দ্র। কিন্তু আধুনিক মানুষ এ নাকের পুরোপুরি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারছে না। অথচ বিশ্বের নানা প্রান্তের আদিবাসী নাকের ব্যবহার সভ্য মানুষের চেয়ে বেশি নিশ্চিত করতে পেরেছে। যেমন বিশ্বের অধিকাংশ আদিবাসী নাকে একটি বায়োলজিকাল কপ্পাস ব্যবহার করে। এ কপ্পাসটি হচ্ছে নাকের সাইনাসের ঠিক নিচে স্থাপিত ম্যাগনেটাইট ক্রিল্টাল (আয়ন অক্সাইড)এ ক্রিল্টালের কারণে তারা উত্তর দিক শনাক্ত করতে পারে।
অত্যাধুনিক কপ্পাসের কারণে আধুনিক অভিযাত্রীরা যেমন হারিয়ে যান না, তেমনি কোনো আদিবাসীও ঘন জঙ্গলে কখনো হারিয়ে যান না। মধ্যযুগে ইউরোপিয়ানরা এ জাতীয় আদিবাসীর সন্ধান পাবার পর ভেবেছিলেন এদের দিক নির্ণয় ক্ষমতা হয়তো অত্যন্ত প্রখর। কিন্তু আফ্রিকার মরু বেদুইনদের মাঝেও একই ধরনের দিক নির্ণয় ক্ষমতা দেখার পর তাদের ভুল ভাঙে। পরে জানা গেল, নাকে পাথর রাখার কারণে আদিবাসীদের দিক নির্ণয় ক্ষমতা থাকে।

১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪২

রেজোওয়ানা বলেছেন:
টুনটুনি টুনটনালো

সাত রাণীর নাক কাটিলো

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

সাইমুম বলেছেন: ভয় নাই, প্লাস্টিক সার্জারির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ;) ;) ;) =p~ =p~

১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

গানচিল বলেছেন: গোঁফ আর চেহারা দেখেতো মনে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

সাইমুম বলেছেন: নারে ভাই, এটা চশমার অ্যাড থেকে নিয়েছি। তবে দেখে মনে হতে পারে এটা সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ ;) ;)

আমার কুনু দুষ নাই :P :P :P

১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩

রেজাউল হক কৌশিক বলেছেন: পড়ে খুব ভাল লাগল। প্রায় মুখস্ত করে ফেলেছি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৫

সাইমুম বলেছেন: মুখস্থ হলো। এবার পেটস্থ ও ঠোঁটস্থ করা দরকার।

১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৩

পজিটিভ২৯ বলেছেন: ++++

আচ্ছা নাকের সাথে ন্যাকামির কি সম্পর্ক?এই বিষয়ে কিছু বলা যায়?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮

সাইমুম বলেছেন: উঁচু নাক না থাকলে ন্যাকামি জমে না ;) ;)

নাকের সাথে ন্যাকামির সম্পর্ক নাই। দুটো ভিন্ন চিজ। কথার কথা হিসেবে ওটা উপরে লিখেছি।

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪১

সুবিদ্ বলেছেন: আপনার লেখা আগে পড়িনি, অনেক কিছু মিস করে ফেলেছি বুঝতে পারছি...

ব্যতিক্রমধর্মী লেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা, সাথে থাকব আশা করি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৯

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ সুবিদ। আপনাদের পাশে থাকলে আমিও অনেক কিছু শিখতে পারবো আশা করি।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৭

জুন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম তো আপনার নাক বন্দনা থেকে..।
আমার নাকটা অনেক সুন্দর কিন্ত সাইমুম :#>

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪৪

সাইমুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাকের আমা নাকের তুমি নাক দিয়ে যায় চেনা ;) ;)

সুকুমার রায় যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে কি তার কবিতার লাইন পাল্টে দেয়ার কারণে আমার নামে মামলা ঠুকে দিতেন।

আত্মবিশ্বাস খুবই ভালো জিনিস। আমি admire করি।

আমার নাক দেখুন। কেমন বোঁচা! প্রোফাইলের ছবিটা কায়রোর ফেয়ারমন্ট হোটেল লবি থেকে তোলা।

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

জুন বলেছেন: আত্নবিশ্বাস না একদম খাটি কথা আমার ছবিতে দেখেন নাই :-*

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১০

সাইমুম বলেছেন: ক্লিওপেট্টার নাক নিয়ে শেকসপিয়ার কি লিখেছেন, জানেন তো :P :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.