নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হ্রদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল

মানুষকে ভালোবাসি।

সৈনিক (কুয়েট)

ভালোবাসি মা , মাটি, দেশ এবং মানুষকে।

সৈনিক (কুয়েট) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝগড়া এবং ফটোফ্রেমের গল্প

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫



রাগ থেকে অনুরাগ হয়।

ঝগড়া থেকে কি হয়?

ঝগড়া থেকে একটা করে ফটোফ্রেম ভাঙ্গে আর আমাকে কেউ একজন ফেসবুকে বল্ক করা দেয়।



একটা সময় ছিলো ঝগড়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হতো। ভেঙ্গে ফেলা হতো কত কি? গ্লাস,প্লেট, ফুলদানী, মোবাইল। এখন অনেক ইকনোমিকাল হয়ে গেছি আমরা। ঝগড়ার পরে শুধু ফটোফ্রেম ভেঙ্গে যায়। তারপর আমাকে ফেসবুকে বল্ক করে দেওয়া হয়। “যুদ্ধের মধ্যগগনে সময় শুন্য হয়ে থাকে পৃথিবী”। ফরাসী কবির লেখা। (কবির নাম মনে নেই তবে অনুবাদকের নাম মনে আছে। অনুবাদক-সুনীল গঙ্গোপধ্যায়, বই-ছবির দেশে কবিতার দেশে।) ঝগড়ার ঠিক মাঝখানে সময় শুন্য হয়ে থাকে আমার পৃথিবী। আমি মনে মনে অপেক্ষা করি ফটোফ্রেম ভাঙ্গার শব্দের জন্য। ফটো ফ্রেম ভেঙ্গে পরার মানে হচ্ছে ঝগড়া থামার প্রথম লক্ষন। এর পরেই শুনতে হবে “ফেসবুক থেকে তোমাকে বল্ক করে দিয়েছি”। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে টিভি রুমে চলে যাই। ঝগড়া থেমে গেছে।ভোর হয়ে গেছে।



পরদিন সকালে আমাকে ফটোফ্রেমের দোকান খুজতে হয় আর দুপুর নাগাদ একটা মেয়ের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করতে হয়। এই একটা মাত্র মেয়েই আমাকে ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট পাঠিয়েছে জীবনে , তাও বারেবার।



আমার জীবন কাটে ফটোফ্রেম কিনতে কিনতে আর আমার বৌয়ের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আক্সেপ্ট করতে করতে।



এক ঝড়ের পরের সকালে ফটোফ্রেম কিনতে যাচ্ছি। এক বন্ধুর সাথে দেখা। মনো বিশেষজ্ঞ। আমি কথায় কথায় জিজ্ঞেস করলাম দাম্পত্য জীবনের ঝগড়া ঝাটির কথা। সে বিশাল ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করলো।এই নিয়ে তার পড়ালেখা প্রায় পিএইচডি পর্যায়ের। এক সমুদ্রসম উপদেশমালা শুনতে হচ্ছে। কথা বলতে বলতেই সে আমার সাথে ফটো ফ্রেমের দোকানে ঢুকে পরলো। আমি ফ্রেম কিনলাম একটা, সে কিনলো তিনটা। ঘটনা কি?



-“আরে তোর ভাবীর হাত থেকে খালী ফ্রেম পইরা গিয়া ভেঙ্গে যায়।

-আচ্ছা বুঝলাম। তো এতোগুলো কেনার কি দরকার।

-আরে বলা যায়না আজ রাতেও ভেঙ্গে যেতে পারে। বারবার আসার কি দরকার? প্রায়ই যেহেতু ভাঙ্গে। এই মহিলাকে নিয়া আর পারিনা…একটু শক্ত করে ফ্রেম ধরবেনা , বল?



৬০/৬৫ বছরের এক বুড়োকে দেখলাম ফ্রেম কিনছে।কাচুমুচু চেহারার।

-বুঝছেন একটূ শক্ত পক্ত দেখে দিবেন। পরে গেলেই বা আছার দিলেই ভেঙ্গে যায় এমন যেনো না হয়। লোহার ফ্রেম আছে নাকি??



বুড়ো দাদুর যদি ফ্রেম কেনার দরকার হয় তো আমি কে?? আমি হাসি হাসি মুখে ফ্রেম কিনি।দোকানদারকে বলি-



“ নিশ্চিত থাকেন, যতদিন দাম্পত্য টিকে আছে জগতে, ততদিন ফটোফ্রেমের ব্যবসা”।





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার আবেগপূর্ণ একটা লেখা, সেই সাথে সুন্দর হিউমার। আপনি লিখেছেন ও বেশ সাবলীল ভাবে।

বেশি ভালো লেগেছে কারন জীবনের সাথে মিলে গেল কিনা :) হা হা হা । তবে ভাঙ্গা ভাঙ্গির সাথে বই, পেপার, টিসার্ট, গ্যাঞ্জি ছেড়াও চলে :(

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭

সৈনিক (কুয়েট) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

খাটাস বলেছেন: ব্লগে অভিনন্দন।
ব্লগার দের পছন্দের গানের তালিকার জন্য আপনার পছন্দের একটা গান সাজেস্ট করলে খুশি হতাম।
হ্যাপি ব্লগিং। !:#P !:#P

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৯

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: +
হ্যাপি বলোগিং :)

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

সৈনিক (কুয়েট) বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: বাহ। ব্লগে সুস্বাগতম! এতদিন যে কেন আসেননি, সেটাই প্রশ্ন। এটা তো আপনাদের মত মানুষেরই জায়গা।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬

সৈনিক (কুয়েট) বলেছেন: যাক একজন পরিচিত পাওয়া গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: +
ব্লগে স্বাগতম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.