![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৃশ্য-১ ঃ
ভাগ্নি চেচিয়ে উঠলো “অজিত ট্রাকের নীচে পরেছে”। কিছু না বুঝেই টিভি রুমে ছুটে গেলাম। হিন্দী সিরীয়াল হচ্ছে। নায়ক বেচারা রাস্তা পার হতে গিয়ে পিছলে পরে গেছে। তার ঠিক ১৫ হাত দূরে একটা ট্রাক আসছে। এই সময়েই আজকের পর্ব শেষ। ভাগ্নী হাঊমাঊ করে কেদে উঠলো, আমি বললাম-
-কাদিস না। সবার বাবা মাই সারা জীবন বেচে থাকেনা।
-মামা, আজ রাতে আমি টেনশনের ঘুমাতে পারবোনা।
-টেনশন করিসনা। আল্লাহকে ডাক…নফল নামাজ…
-মামা সব সময় ফাজলামী…
পরের দিনও জানা গেলোনা অজিত ট্রাকের তলে পরে মারা গেলো কিনা! কেননা সে ঐ অবস্থাতে থেকেই তার বউকে ফোন করে বললো তার দুর্দশার ব্যাপার। তার বউ ফোন দিলো তার প্রভাবশালী বাবাকে। তার বাবা ফোন দিলো “নিখিল ভারত ট্রাক মালিক সমিতি”র সভাপতির কাছে। সভাপতিকে বলে ট্রাকটা যদি থামানো যায়। সভাপতি সাহেবের আবার সেদিন পেটে গন্ডগোল চলছে। টয়লেট যাচ্ছে আর আসছে। ফোন বেজেই চলেছে, তিনি ফোন ধরছেননা। ১৭ বার ফোন করা হলো, ততক্ষনে আজকের পর্ব শেষ। আমি বললাম –এই সব কি?
-মামা এটাই তো ক্লাইমেক্স। কি দুর্দান্ত টানটান উত্তেজনা……
দৃশ্য -২ঃ
ভাগনের সাথে বসে ছবি দেখছি । নায়ক ‘রজনীকান্ত”। হেলিক্যাপ্টার দিয়ে রজনীকান্তকে ধাওয়া করা হয়েছে। রজনীকান্ত অনেকক্ষন দৌড়ালো।হেলিকাপ্টার পিছ ছাড়ছেনা। একসময় সে বিরক্ত হয়ে হেলিক্যাপ্টারের ল্যান্ডিং ধরে কয়েকবার ঘুর্নি দিয়ে ছুড়ে মারলো। হেলিক্যাপ্টার ঊড়তে উড়তে গিয়ে বারি খেলো চাদের গায়ে।চাদে তখন চড়কা কাটছিলো চাদের বুড়ী। বারি খেয়ে “কোন বদের ব্যাটারে “ বলতে বলতে সে নীচের দিকে পরে গেলো। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের মেসোস্ফিয়ার স্তরে ঢুকতে ঢুকতে তার বয়স আশি থেকে কমে ষাট হয়ে গেলো। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ঢোকার পর হলো চল্লিশ ।পৃথিবীতে নেমে সে হয়ে গেলো ঐশ্বরিয়া রায়। রায় ম্যাডাম “রজনীকান্ত”এর দিকে তাকিয়ে চড়কা কাটা হাসি দিলো। রজনীকান্ত মাফলার গলায় পেচাইয়া গান ধরলো “চাদ সে আয়া চাদকুমারী…হামতো আশিক হো তুমহারি…ইয়াহু …ইয়াহু…”। আমি অসহায়ের মতো ভাগ্নের দিকে তাকালাম-
-মামা দেখছো ইমাজাইন ক্ষমতা। আরে মেকিং টা কি?সায়েন্স?
দৃশ্যঃ ৩ঃ
ভাগ্নে ভাগ্নিকে দুই পাশে বসিয়ে অনন্ত জলিলের ছবি দেখছি। অনন্ত সাহেব হঠাৎ ঘ্যাট করে হ্রদয় বের করে আনলো। ভাগ্নে চেচিয়ে বললো-
-শালা কত বড় ছাগল…” ততক্ষনে অনন্তের হ্রদয়ে একটা তীর ছুটে আঘাত করলো। ভাগনি বললো-
--“শালা গার্মেন্টস কর্মী। ক্ষ্যাত কোথাকার”” অনন্তর হ্রদয়ে বন্দুকের গুলী ধুকে গেছে। এবার ভাগ্নে বললো-
- শালা বাঙ্গালীরা সব বুদ্ধি নাই । কি বানায়” এইবার অনন্তর হ্রদয়ে বোমা বিস্ফোরন হয়ে গেছে।আমি বললাম
-“দিলিতো বেচারার হ্রদয় উড়িয়ে। আচ্ছা তোদের ঐ ট্রাক মালিক সমিতি আর চাদের বুড়ির চেয়ে কি খারাপ করেছে সে” ভাগ্নে ভাগ্নি বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে চেচিয়ে উঠলো-
-মামা তোমার মাথা ঠিক আছে। তুমি একটা পাগল। কার সাথে কি তুলনা। তুমি …তুমি একদম চুপ থাকো।“
আমি একদম চুপ করে গেলাম।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
সৈনিক (কুয়েট) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮
আমিজমিদার বলেছেন: হিন্দি সিরিয়াল দেখলে মস্তিস্কে থার্ড ডিগ্রি বার্ন হয়া যায়!
মোছঅলা মাছের ব্যাপারি তামিল নায়কগো কথা আর কয়েন না। অগো মুভি দেহেই মানুষ নায়িকার লিগা। জোকার একেকটা। তারচেয়ে আমাগো অনন্ত জলিলের মান অনেক উপ্রে।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন:
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
জাগতিক ভালবাসা বলেছেন: আমরা এমনই।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ভাই
আসলে বিদেশী হলে আমাদের কাছে প্রাধান্য বেড়ে যায় কিন্তু দেশী হলে অনেক সমালচানা আলচনা ওঠে
যাই হোক সব কাজেরই কিছু ভাল আর কিছু খারাপ দিক থাকে ভেবে চিনতে সমালচনা আর দেশের জিনিস কে বড় নজরে দেখা উচিত অথবা সমালচনার সাথে সমাধান দেখানো উচিত বলে আমি মনে করি
শুভ কামনা
ভাল থাকুন