নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হ্রদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল

মানুষকে ভালোবাসি।

সৈনিক (কুয়েট)

ভালোবাসি মা , মাটি, দেশ এবং মানুষকে।

সৈনিক (কুয়েট) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার পথের নারী চালকেরা

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

ঢাকার রাস্তায় সুন্দর কিছু আছে দেখার মতো?



জ্যামে পরে আছি। পাশে কোন কোম্পানির গাড়ি এসে দাড়িয়েছে হঠাৎ। চালকের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। একটা দুঃখী দুঃখী চেহারার শুকনা করে মেয়ে। বেশীদিন হলো চাকরীতে ঢোকেনি হয়তো। কি ভীষন দৃঢ়তা নিয়ে সামনে তাকিয়ে আছে। একবারো অন্যদিকে মুখ ঘুড়াচ্ছে না। খুব শক্ত করে স্টিয়ারিং ধরে আছে, যেন পৃথিবীর সমস্ত নিয়ন্ত্রন এই মেয়েটার হাতে। হঠাৎ চোখে পরে একটা প্রাইভেট কার । একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা। পাশের সীটেই বসে আছে একটা স্কুল ড্রেস পরা মেয়ে । মায়ের সাথে নানা ভাবে কথা বলার চেষ্টা করছে। মায়ের সেই দিকে ভ্রুক্ষেপ নেয়। একটা পুর্ন পৃথিবীকে নিয়ে সে যাত্রা শুরু করেছে, যে পৃথিবীকে সে নিজেই একদিন গর্ভে বড় করেছিলো, তাকে সুনির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে না দেওয়ার আগে তার রক্ষা নেয়।আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখার চেষ্টা করি। এই সব চালকরা কোন আইন লঙ্ঘন করে কিনা? হয়তো কোথাও কোথাও করে...আনন্দের ব্যাপার আমার চোখে পরেনি।



এই শহরের পথ ঘাট খুব কুৎসিত কিছু দৃশ্যে ভরে থাকে। গাড়ি জ্যামে আটকে আছে। একটা বাচ্চা ছেলে দ্রুত একটা ন্যাকরা নিয়ে গাড়ির কাচ মুছে যাচ্ছে। গাড়ির কাচ মোছার বিনিময়ে যদি কিছু পয়সা মেলে। গাড়ির ড্রাইভার জানালা নামিয়ে ভয়ঙ্কর স্বরে বলছে “হারামির বাচ্চা...কে কয়ছে তোরে...” আমি হয়তো গাড়ির পিছনের সীটে বসে ভাবছি –“আমি তো হ্রদয় বাসায় রেখেই এসেছি...এইসব দৃশ্য কেনো আমাকে স্পর্শ করবে?”। বাসের হেল্পার হয়তো দুই টাকা বেশী ভাড়া চেয়ে বসেছে। একজন যাত্রী প্রায় মারতে বসেছে তাকে। আমি নিশ্চিত ঐ যাত্রীই পকেট ভর্তি করে টাকা নিয়ে ছুটবে কোন অফিসে, ঘুষ দেবার জন্য। রং সাইড দিয়ে কোন বাস হয়তো একটা রিক্সাকে উলটে পরে যেতে বাধ্য করেছে। বাবা মেয়ে দুইজন ছিলো রিক্সায়। বাবার কপাল কেটে গেছে। সেই অবস্থাতেই সে চেচাচ্ছে “মারে ব্যাথা পাস নাই তো...ও মা ...মা”

এই সব দৃশ্যর পাশেই হঠাৎ করে দেখি একটা মোটর সাইকেল এসে দাড়িয়েছে। একটা মেয়ে চালাচ্ছে। কাধে একটা ব্যাগ। ব্যাগের গায়ে সাদা কালিতে লেখা ...অমুক প্রকল্প...অমুক এন জি ও...। দুই পা দিয়ে মেয়েটা রাস্তার সাথে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করছে।



পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা মেয়েদের এখনো করে যেতেই হচ্ছে। পৃথিবীর জন্য এটা একটা লজ্জার ব্যাপার। একদিন হয়তো সামঞ্জস্য তৈরী হবে...পথে ঘাটে নিয়ন্ত্রনের সমতা আসবে...একদিন হয়তো ঢাকার রাস্তায় আইন মানার প্রচলন পুর্নভাবে স্থাপন হবে।

(এই লেখার জন্য গালিগালাজ খেতে হতে পারে। আমি আমার বিশ্বাসের কথা বলেছি। এই বিশ্বাসের পিছনে খুব বেশী যুক্তি বা উদাহরন দেবার মতো কিছু আমার নেই। তবে নিজের বিশ্বাসের জন্য কিছু গালিগালাজ হজম করার প্রস্তুতি আমার আছে।)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

কথক পলাশ বলেছেন: শুভদিন আসবেই।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৮

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: কবে যে আসবে। বেঁচে থাকা অবস্হায় মনে হয় দেখতে পারব না। :(

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

আছিফুর রহমান বলেছেন: ভাল হইছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.