নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সজীব তালহা, কিছু জানি না পারি ও না !ছবি আঁকি অন্যেরটা দেখে লিখি ও অন্যেরটা দেখে ।

সজীব তালহা

আমি ফেসবুকে https://www.facebook.com/sajeebtalha

সজীব তালহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিজিয়া কর- সামনে দুটো রাস্তা, হয় ইসলাম, নয় মৃত্যু ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

জিজিয়া কর (আরবি: جزية ǧizyah Ottoman Turkish: cizye;) ইসলামি রাষ্ট্রে ধার্য একপ্রকার কর যা অমুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য। ইসলামি রাষ্ট্র যদি জিহাদের মুঝোমুখি হয় তবে জিহাদে অংশগ্রহণ করা সকল সক্ষম মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয্‌। কিন্তু বিধর্মীদের জন্য জিহাদ ফরয্‌ নয়, পরিবর্তে তারা রাষ্ট্রকে একটি কর দেবে যার নাম “জিজিয়া”।,আদিতে আরবের কতিপয় খ্রিষ্টান ও ইহুদি গোত্র মহানবিকে এই কর প্রদান করত। জিজিয়া’র শব্দগত অর্থ সামরিক কর্তব্য থেকে অব্যাহতিজনিত কর।
এ প্রসঙ্গে কোরানের সুরা তওবা’র ২৯ আয়াতে বলা হয়েছে, “যাদের ওপর কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর বিশ্বাস করে না ও পরকালেও না, এবং আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না ও সত্যধর্ম অনুসরণ করে না, তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা স্বীকার করত: আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বেচ্ছায় জিজিয়া দেয়”।
উসমানীয় তুরস্কে ১৯শ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত জিজিয়া বলবৎ ছিল। মুসলমানদের বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বিভাগে যোগদান করতে হতো বলে তার পরিবর্তে অমুসলমানদের ওপর একটি কর ধার্য করা হয়। কিন্তু সকল ধর্মের নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক পেশা প্রবর্তিত হওয়ার পর এই করেরও বিলোপ হয়। মধ্য যুগে পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম শাসিত দেশেও অমুলমানদের ওপর জিজিয়া কর ধার্য করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে আকবর
এটা রহিত করেন, কিন্তু সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে এটা পুনঃপ্রবর্তিত হয়।
ইসলামের প্রচার হয়েছে তরবারির ডগায়, তখন মুসলিমরা গলা ফাটিয়ে বলে (চোরের মায়ের বড় গলা আর কি !) মুসলমানরা যদি তরবারির ডগাতেই ইসলাম প্রচার করত তবে প্রায় ৮০০ বছর ধরে মুসলিম শাসনামলে কোন হিন্দু থাকতো না সবাইকে মুসলিম করা হতো ।
মুসলিমদের এই তৈলাক্ত মন্তব্যে অনেক সেকুলার হিন্দু তো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত লাফাতে থাকে আহাঃ মুসলিমরা কতটা ভালো রে... !
কিন্তু এর পেছনে রয়েছে ইসলামের অপমানজনক জিজিয়া কর । অর্থাত্‍ মুসলিমদের শাসনে থাকতে হলে অমুসলিমদের বাধ্যতামূলক এই জিজিযা কর দিতে হবে নয়ত মুসলিম হতে হবে অথবা শিরচ্ছেদ করে মৃত্যুদন্ড মেনে নিতে হবে । আহারেঃ কি ভালো রে... !
উপমহাদেশের সবাই কনভার্টেড মুসলিম। যারা জিজিয়া কর দিতে ব্যার্থ হয়েছে তাদের ইসলাম গ্রহন করতে হয়েছে । আর যারা ইসলাম গ্রহন করেনি তাদের মাথা আলাদা করে অথবা জবাই করে হত্যা করা হয়েছে । যেভাবে এখন বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠী মাথা কেটে অনলাইনে ছবি দেয় । আর বাবরের বর্বরতা হিন্দু পেজের আদলে অনেকেই হয়ত জানেন । যেকিনা ফতেপুর সিক্রি আক্রমণ সম্পর্কে তার আত্ম জীবনীতে লিখেছে হিন্দু নিধনের কথা । সেই কাটা মুন্ডু দিয়ে পাহাড় সমান স্তুপ তৈরী করা হয়েছিল ।
যাই হোক ভারতবর্ষে জিজিয়া কর সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যাক...
একদিন মুঘিসুদ্দীন নামে এক কাজী আলাউদ্দীন খিলজির রাজ সভায় আসে। আলাউদ্দিন তখন সেই কাজীকে জিজ্ঞাসা করল, 'খরজ গৌজার' (বা জিজিয়া প্রদানকারী) এবং 'খরজ দিহ্‌' (বশ্যতার নিদর্শন স্বরূপ কর প্রদানকারী) হিন্দুদের সঙ্গে ইসলামী শাস্ত্র মুসলমানদের কি রকম ব্যবহার করতে নির্দেশ করে ?"
জবাবে মুঘিসুদ্দিন বলে, 'তারা হল জিজিয়া প্রদানকারী জিম্মী ।
জিজিয়া আদায়কারী মুসলমান কর্মচারী তাদের কাছে রৌপ্যমুদ্রা দাবি করলে তাদের উচিত হবে সসম্মানে ও বিনয়ের সাথে স্বর্ণমূদ্রা প্রদান করা ।
সেই কর আদায়কারী যদি রেগে গিয়ে তাদের দিকে নোংরা বা ধুলো ছুঁড়ে, মারে তবে তাদের উচিত হবে হাঁ করে তা গিলে ফেলা । এভাবেই তারা সেই কর আদায়কারীকে সম্মান দেখাবে । এইভাবে বিনয়ের সাথে কর দিয়ে এবং বিনা প্রতিবাদে নোংরা গিলে তারা বশ্যতার প্রমাণ দেবে এবং এর মধ্য দিয়েই ইসলামের গৌরব ও মেকি ধর্মের (অর্থাৎ হিন্দুধর্মের) হীনতা প্রতিষ্ঠিত
হবে । স্বয়ং আল্লা তাদের ঘৃণা করেন এবং বলেন, 'তাদের সবর্দা পরাধীন করে রাখ"। হিন্দুদের এইভাবে সদা সর্বদা হীন করে রাখাই আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য, কারণ তারা আল্লার রসুলের অর্থাৎ নবী মোহম্মদের চিরস্থায়ী শক্র ।
তা ছাডা আল্লার রসুল আমাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, "তাদের হত্যা কর, লুন্ঠন কর এবং তাদের ক্রীতদাসে পরিণত কর । তিনি বলে গিয়েছেন "তাদের হত্যা কর অথবা ধর্মান্তরিত কর, তাদের যথাসর্বস্ব লুঠ কর এবং দাসত্ব করতে বাধ্য কর ।“
ইসলামের মহান ঢীকাকার হানিফার মত হল, "হিন্দুদের উপর জিজিয়া চাপিয়ে দাও"(অর্থাৎ তাদের জিম্মি করে রাখো।)। আমরা সেই মহান হানিফাকেই অনুসরণ করি । অন্যান্য টীকাকারদের মতে সামনে দুটো রাস্তা,
হয় ইসলাম, নয় মৃত্যু ।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: রাষ্ট্রকে আপনি ভ্যাট দিতে অস্বীকার করে দেখুন, রাষ্ট্রীয় আইন তথা সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করে দেখুন- দেখুন এই মানবাধিকারের যুগেও আপনাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে মামলা দিয়ে চৌদ্দ শিক থেকে আপনাকে কে বাঁচায়? এমন কী রাষ্ট্রীয় আনুগত্য অস্বীকার করলেও আপনার মুখে কালো কাপড় প্যাঁচিয়ে ফাঁসির রশিও ঝুলানো হতে পারে। আর অস্ত্রধারণ করলে তো সাথে সাথেই ক্রসফায়ার হয়ে যাবেন। আপনি যদি যুক্তি মানেন তবে আপনিও বলতে বাধ্য হবেন হয় রাষ্ট্রীয় আনুগত্য মেনে ভ্যাট অথবা মৃত্যু।

মূলত, জিজিয়া একটি রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের নমুনা। আপনি একটি সার্বভৌমত্বের অধীনে থাকবেন, সেই সার্বভৌমত্ব আক্রান্ত হলে তার পক্ষ হয়ে লড়বেন না, কিন্তু সব ধরনের সুবিধা ভোগ করবেন এটা কেমন করে হয়?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

সজীব তালহা বলেছেন: বলেছেন: জাজিয়া কর নামে যুদ্ধে টাকা দেয়াটা সার্বভৌমত্ব ভোগের শর্ত হতে পারে না । তার পর চাপিয়ে দেওয়াটা কতটুকু মানবিক ভুমিকা পালন করে বিধর্মীদের ক্ষেত্রে?আর যুদ্ধটা যদি হয় ধর্ম নিয়ে ।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

দরবেশমুসাফির বলেছেন: সকল মুসলিম তার দেশের প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধে যেতে বাধ্য। কিন্তু একজন বিধর্মী চাইলে নাও যেতে পারে। এই স্বাধীনতার জন্যই বিধর্মীদের উপর জিজিয়া কর জারি করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য হজরত ওমার রাঃ এর আমলে যে সকল বিধর্মী সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিল তারা এই কর হতে মুক্ত ছিল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

সজীব তালহা বলেছেন: {সকল মুসলিম তার দেশের প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধে যেতে বাধ্য} দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুদ্ধে যাওয়াটা উচিৎ । কিন্তু কাউকে জোর করা তার উপর অন্য ধর্মের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়াটা কি আদো ঠিক । হয়ত যুদ্ধে যাও নয়"ত কর দাও !না হয় মর । হজরত ওমার রাঃ এর আমলে যে সকল বিধর্মী সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিল তারা এই কর হতে মুক্ত ছিল,কারন তারা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল । না করলে ঠিক"ই কর অথবা গর্দান দিতে হত ।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

কর্পোরেট পাপী বলেছেন: ভাল লিখেছো ভাই। আর আশা ক্ক্রি আমাকেও চিনেছো

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

সজীব তালহা বলেছেন: ধন্যবাদ । চিনতে পারলাম না ।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

দরবেশমুসাফির বলেছেন: সকল মুসলিম তার দেশের প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধে যেতে বাধ্য। অর্থাৎ তাকে জেতেই হবে। সে টাকা দিয়ে বাঁচতে চাইলেও হবে না। কিন্তু একজন বিধর্মী চাইলে নাও যেতে পারে কিন্তু বিনিময়ে টাকা দিতে হবে। এখানে বৈষম্য কোথায়???

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

সজীব তালহা বলেছেন: আইন হলে সবার জন্য হবে । ধর্মের বিচার করে কর কেন? ধর্মের বিচার"ই-ত বৈষম্য ।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: যুদ্ধটা মোটেও ধর্ম নিয়ে নয়। সেটা সার্বভৌমত্ব নিয়ে।

জাজিয়া কর নামে যুদ্ধে টাকা দেয়াটা সার্বভৌমত্ব ভোগের শর্ত হতে পারে না -রাষ্ট্র যখন জরুরী অবস্থায় পতিত হবে তখন এই বাক্যটা প্রকাশ করে দেখিয়েন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

সজীব তালহা বলেছেন: যুদ্ধটা মোটেও ধর্ম নিয়ে নয়। সেটা সার্বভৌমত্ব নিয়ে।
মানলাম তবে এখানে বিধর্মী কারা? যুদ্ধ যদি সার্বভৌমত্ব নিয়ে হয় তবে ধর্মী বিধর্মীর কথা আসবে কেনো? সবাই যোদ্ধা । জাজিয়া কর তখন"ই দিতে বাধ্য করা হয় যখন ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ হয় ।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ভয় লাগে!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

সজীব তালহা বলেছেন: ভয় করে আর কত কাল ভাই?

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: সার্বভৌমত্বকে যারা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ তারাই স্বধর্মী। কিন্তু যারা সুযোগ পেলেই ভাগবে তারাই বিধর্মী।

তখনকার সময়ে ধর্ম ছাড়া রাষ্ট্র কল্পনা করা যেত না। সে জন্য ধর্মের ভিত্তিতেই নাগরিককে বিচার্যে আনা হোত।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

সজীব তালহা বলেছেন: (তখনকার সময়ে ধর্ম ছাড়া রাষ্ট্র কল্পনা করা যেত না। সে জন্য ধর্মের ভিত্তিতেই নাগরিককে বিচার্যে আনা হোত।) এখন ধর্ম ছাড়া রাষ্ট্র কল্পনা করা হয় যেহেতু অনেক দেশ"ই ধর্মের আইনে চলে না ।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: সেটাতো বাস্তবতা। এ জন্য এখনতো কেউ জিজিয়া দাবিও করছে না। আবার যদি ধর্মের মূল্যবোধ দিয়ে রাষ্ট্র শাসিত হয় তখন দাবি করা হবে।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১০

সজীব তালহা বলেছেন: (এ জন্য এখনতো কেউ জিজিয়া দাবিও করছে না)
যারা এমন আইন বানাইছে যে মাঝে মাঝে হবে আবার হবে না এমন"ত না । আইন করা হলে সব সময় চলবে । তাহলে মুসলিম বিশ্ব এই আইনটিকে ব্যান করে দিক ।

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

উড়োজাহাজ বলেছেন: পরিবর্তনের কিছু নেই। প্রয়োগের বিষয় আছে। সুতরাং আবার যখন প্রয়োগের পরিবেশ আসবে তখন আবার জিজিয়া নেওয়া শুরু হবে।
মুসলিম বিশ্ব বলতে বর্তমান দুনিয়াতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সুতরাং সেটাকে ব্যান করা বা চালু করার প্রশ্নও আসে না। কখনো যদি মুসলিম বিশ্ব বলে কোন কিছুর জন্ম হয় তখন ব্যান করা বা প্রয়োগ করার ব্যাপারে আপনার কোন পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করা হবে না। যা করণীয় তা করে ফেলা হবে।

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

উড়োজাহাজ বলেছেন: যে বিষয়টা চালু নেই সেটা নিয়ে পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটার মাজেজাটা কি- সেটা কিন্তু পরিষ্কার হলো না। সেটা কি ইসলাম বিদ্বেষ?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

সজীব তালহা বলেছেন: কোরানে এমন আইন করে রাখছে,বললে ইসলাম বিদ্বেষ?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

সজীব তালহা বলেছেন: সুতরাং আবার যখন প্রয়োগের পরিবেশ আসবে তখন আবার জিজিয়া নেওয়া শুরু হবে।তার মানে আবার অন্যায়টা ও শুরু হবে ।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনি বর্তমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সবই হুকুমই মানবেন, ভ্যাট দেবেন। অস্বীকার করবেন না। অস্বীকার করার পরিণতি কি সেটাও মেনে নেবেন। কিন্তু ইসলামের হুকুমের ব্যাপারে আপত্তি করবেন- এটাকে ইসলাম বিদ্বেষ না বলে কি বলা যায়? তারপও বলা যায় বিষয়টা যদি এখন জীবিত থাকত তাও না হয় কথা ছিল। মৃত বিষয় নিয়ে নাড়াচড়া করার মানে এলার্জি ছাড়া আর কী হতে পারে!

হুম, এখন সেটা করতে পারেন। কিন্তু যখন সময় হবে তখন কিন্তু কিছু বলতে পারবেন না। করলে পরিণতি ভোগ করতে হবে। আর সেটা মোটেও অন্যায় নয়, সেটাই তখনকার জন্য ন্যায়। তখন পরিণতি ভোগ না করাটাই হবে অন্যায়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

সজীব তালহা বলেছেন: যে এলার্জি কোরান পড়লে হয় তার বহিঃ প্রকাশ করাটা কি অন্যায়?

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

মহসিন আলাম বলেছেন: এক হাতে দেড় হাতের দৈর্ঘ্য খুঁজলে যা হয় তাই হয়েছে আপনার লেখায়! এখন দেখছেন না যোদ্ধপরাধিদের বিচার হচ্ছে, কেন হচ্ছে? কারণ তারা রাষ্ট্রের সাথে একাত্মতা করেনি। আপনি কর দিলেন না মানেই রাষ্ট্রের নীতির সাথে একাত্মতা করলেন না, মানে আপনি রাষ্ট্রদ্রুহি। এটা গণতন্ত্রের আইনে যেমন ইসলামের আইনের রাষ্ট্রেও তেমনি। গনতন্ত্রেরটা মানবেন এমনকি এর রক্ষ্যায় জেহাদ [সর্বাত্তক চেষ্টা] করবেন আর ইসলামের রাষ্ট্রেরটা মানবেন না তা কেন? এটাকি আপনার ইসলামের প্রতি বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ নয়?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সজীব তালহা বলেছেন: দেশ সবার এখানে ধার্মিক কে আর অধার্মিকে প্রশ্ন কেনো আসবে ?

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

মিতক্ষরা বলেছেন: আপনি কয়েকটি বিষয় বলেন নি। যেসব অমুসলিম যুদ্ধে যেতে রাজী থাকে, তাদের উপর জিজিয়া প্রযোজ্য হয় না। অমুসলিমদের জন্য যাকাত দিতে হয় না কিন্তু মুসলিমদের যাকাত দিতে হয়। যাকাত দিতে অস্বীকার কারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন আবু বকর (রা)। এছাড়া জিজিয়ার পরিমান যাকাতের তুলনায় খুবই কম।

দিল্লীর সম্রাট আওরাংজেব অমুসলিমদের থেকে জিজিয়া নিতেন বটে কিন্তু তিনি ৮০ টি ভিন্ন ধরনের কর মওকুফ করে দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে দিল্লীর রাজা পৃথ্বিরাজ চৌহান তার রাজ্যে কিন্তু মুসলিমদের ঠাই দেন নি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

সজীব তালহা বলেছেন: তথ্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

১৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

ভারসাম্য বলেছেন: ইসলাম মজলুম এর স্বার্থে অস্ত্র ধারন করতে বললেও, তার প্রচারটা তলোয়ার দিয়ে হয় নি অবশ্যই। তাহলে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের দেশ ইন্দোনেশিয়া কীভাবে হল? সেখানেতো কোন মুসলিম সেনাপতি যায় নি, গিয়েছিল আরব বণিকেরা, যারা বাণিজ্যের পাশাপাশি নিজ ধর্মের প্রচারও করেছে। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেও তাই। এখানে বিন কাসিম বা খলজী আসার অনেক আগেই ইসলাম এসেছি। অনেক পরে মুঘল রাজা-বাদশাদের আমলকে ইসলামের সাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না, তবে তাঁরাও কাউকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেন নি, বরং আকবরতো দ্বীন-এ-ইলাহীর নামে, ইসলামের বিলুপ্তি ঘটানোর পাঁয়তারাই করেছিলেন এখানে।

পরিশেষে, জিজিয়া প্রসঙ্গে যে বৈষম্যের কথা বললেন, সেই বৈষম্যতো আসলে মুসলিমদের বিপক্ষেই ঘটে কিছুটা। মুসলিমদের যাকাত ( সম্পদের শতকরা আড়াইভাগ), ওশর (ফসলের এক দশমাংশ) সহ আরও বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় কর দেবার পরও, রাষ্ট্রের সংহতি রক্ষায়, কোন যুদ্ধ উপস্থিত হলে, ধর্মীয় কারনেই সেখানে যোগদান অপরিহার্য। যেহেতু ইসলাম ভিন্নধর্মের ধর্মীয় বিধানে কোন হস্তক্ষেপ করে না, তাই ভিন্নধর্মের কারো জন্য, এরকম কোন যুদ্ধে যোগদান অপরিহার্য করে নি, তবে কেউ যদি নিজে থেকে চায়, তাকে বাধাও দেয় নি। এরকম ক্ষেত্রে, ভিন্নধর্মের তাদের উপর জিজিয়া প্রযোজ্য নয়, আবার ধর্মীয় কারনে যাকাত,ওশর ইত্যাদিও প্রযোজ্য নয়। কিন্তু ভিন্ন ধর্মের যারা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যুদ্ধেও যাবে না, আবার ভিন্নধর্ম হওয়ার কারনে, যাকাত-ফিতরাও দেবে না, তাদের উপর যদি কোন করই না থাকে, তাহলে তাদেরকে কি অতি বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়ে যায় না? এই বৈষম্য কিছুটা ঘোঁচাতেই অল্প কিছু জিজিয়া করের বিধান আছে অমুসলিমদের ক্ষেত্রে। তবে মূল বিধানের অপ-ব্যাবহারের দায় বিধানদাতার নয়, সেটার অপ-ব্যাবহারকারীদের। ভারতবর্ষে জাত-পাত, আর জমিদার-জোতদারদের অবর্ণনীয় নিষ্পেষনে নিষ্পেষিত জনগোষ্ঠির মাঝে, শান্তির সু-বারতা নিয়ে নিরস্ত্র সুফী-সালাফীরাই এসেছিলেন প্রথমে। পরে বিন কাসিম বা খলজী অস্ত্র নিয়ে এলেও সেটা নিরীহ জনগনের উপর চালান নি, চালিয়েছিলেন মজলুম জনগনের নিষ্পেষক, রাজা-রাজড়াদের বিরুদ্ধে। অবশ্য ভূলতথ্যের কারনে, কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষু তাদের নিজেদের বোকামীতেই নিহত হয়েছিলেন, এটা সত্য। এর বাইরে, কাউকে জোর করে ইসলাম গ্রহণ করানো হয়েছে, এরকম তথ্য ইতিহাসে কমই আছে, আর ইসলাম ধর্মমতে সেটা বৈধও নয়। আশাকরি বিভ্রান্তি নিরসন হবে। ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

সজীব তালহা বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ ।

১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০

অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন: ব্লগে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখতে হয়, আপনার লেখা অনেক আগেই একজন লেখে গেছেন "রাত পোহাবার কত দেরী পান্জ্ঞেরী" শিরনামে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

সজীব তালহা বলেছেন: জানি,এই লেখাটা আমার এক জন বন্ধুর অনুরোধে লিখা । একজন না প্রায় ১৪টি লিখা আছে জিজিয়া নিয়ে । ধন্যবাদ

১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে এলার্জি কোরান পড়লে হয় তার বহিঃ প্রকাশ করাটা কি অন্যায়?

এলার্জি একটা রোগ বিশেষের মধ্যে পড়ে। কোরআন পড়ে কারো এলার্জির জন্ম নিলে বা প্রশ্ন জাগলে সে পরিষ্কার হওয়ার জন্য প্রশ্ন অবশ্যই করতে পারে। ধর্মান্ধদের মত আমি বলবো না যে প্রশ্ন করাই অন্যায়। কিন্তু অন্যায় হচ্ছে সেটা যখন আপনি নিজের এলার্জি থেকে কোন একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে বসবেন। এলার্জি থেকে উত্তর দিলে অবশ্যই সেটা আপনার দুর্বলতা হিসেবে বিবেচিত হবে। কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে দুই পক্ষের দিকটাকেই নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিবেচনা করতে জানতে হবে। আর আগে থেকেই যদি কোন পক্ষের ব্যাপারে আপনার মনে বিরূপ মনোভাব থাকে তাহলে কোন সিদ্ধান্ত প্রকাশ না করে মনের মধ্যেই রেখে দিন। যদি কোন দিন নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিচার করতে পারেন তখনই সেটা প্রকাশ করবেন। নতুবা এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ হাস্যকর হয়ে যাবে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

সজীব তালহা বলেছেন: কোরানে শত এলার্জি ! কাকে প্রশ্ন করব? এমন কাউকে জানেন?

১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: আচ্ছা ভাই! আপনি আপনার চুলকানী রোগ নিয়া থাকেন। চুলকান, খাউজান। তাতে মজা পাইবেন। কিন্তু অন্যদের কাছে সেটা রোগবিশেষ বলেই বিবেচিত হয়।
ইসলামিক ব্যবস্থায় প্রত্যেক মুসলিমকে রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে রাষ্ট্রের হয়ে অস্ত্র ধারণ করা বাধ্যতামূলক। অপরদিকে যারা অমুসলিম তারা বাধ্য নয় যদি জিজিয়া কর দিতে রাজী থাকে। বিষয়টা আপনার কাছে অন্যায্য মনে হচ্ছে। প্রথমেই বলেছি যে কোন সিস্টেমে নাগরিককে অবশ্যই কর দিতে হয়। ইসলামেও মুসলমানদের যাকাত দিতে হয়। অপরদিকে অমুসলিমদেরকে যাকাত দিতে হয় না। তাদেরকে হয় রাষ্ট্রের পক্ষ হয়ে লড়তে সম্মতি দিতে হয় অথবা সেটা না করতে চাইলে জিজিয়া করতে দিতে হয়। এখানে কোন বৈষম্য নেই। বৈষম্য হতো যদি মুসলমানদের কাছ থেকে যাকাত নিয়ে অমুসলিমদের কাছ থেকে জিজিয়া চাওয়া হতো। এরপরেও আপনার কাছে বিষয়টা অন্যায্য মনে হলে মানসিক চিকিৎসকের দ্বারস্ত হতে পারেন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৬

সজীব তালহা বলেছেন: চুলকামু তয় যে আইন বানাইছে তার ৯ বছররে বউরে আর খাওজামু যে আদেশ করছে তারে । হেতির"ত আমার চেয়ে বেশি ডাঃ কাছে যাইতে হইবো। হেতি আবুলের মত আইন বানাইছে ।দেশের আবার ধর্ম কি ?বেধর্মী কারা? হেতি এগুলি না বুইজা আইন বানাইলো !

১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

আল আমিন হোসাইন মোল্লা বলেছেন: কোন ধর্মীয় বিষয়কে সঠিকভাবে জানতে হলে ধর্মগ্রন্হগুলো পড়ুন। ইতিহাসের বই পড়ে অহেতুক কথা বলবেন না। রাসূল (সাঃ) তখনই আক্রমণ করতে বলেছেন যখন তারা জিজিয়া কর দিতে অসম্ভতি জানাবে। উল্লেখ্য দেশের জন্য যে অমুসলিমরা যুদ্ধ করবে না শুধু তাদের উপরই জিজিয়া কর ধার্য করা হয়। আজকের দিনে আমাদের এই গণতান্ত্রিক দেশে কি আপনি কর অস্বীকার করতে পারেন?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

সজীব তালহা বলেছেন: ধর্মগ্রন্হগুলো তে ,কল্প কাহীনি লেখা ! দেশ সবার এখানে অমুসলিম কারা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.