নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সজিব ইসলাম

লিখার মতো কিছুই নেই

সজিব ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা হলে আমি সাক্ষ্য দেবো’- কাদের সিদ্দিকি

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১

স্টাফ রিপোর্টার: সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, এ বিচারের দাবিতে গণজাগরণ শুরু হয়েছে শাহবাগের প্রতিবাদের মাধ্যমে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রেখে রাজাকারদের ফাঁসি দেয়া যায় না। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজাকার উল্লেখ করে আগামীকালের (আজকের) মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বর্তমান স্বরাষ্টমন্ত্রী যুদ্ধের সময় পাকিস্তান প্রশাসনের পক্ষে কাজ করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিচার হলে আমি নিজে সাক্ষ্য দেবো।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিষয় উল্লেখ করে বীরউত্তম খেতাব পাওয়া এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, একজনের অপরাধ কম তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে আর আরেকজনের অপরাধ বেশি, তাকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন। এটা আপস হয়েছে।

গতকাল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে উদ্বোধনী ও সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চত্বরে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, বঙ্গবীরের স্ত্রী বেগম নাসরিন সিদ্দিকী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (জেপি)’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় পার্টি (জাপা)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগকে দাওয়াত দিলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে কোন প্রতিনিধি উপস্থিত হননি বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, জামায়াতে ইসলাম যদি মনে করে তারা পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলাম, তাহলে বাংলাদেশে তাদের ঠাঁই নাই। তারা ঘাতক। আর যদি দলটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হয় তাহলে তাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য মাঠে নামতে হবে। এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সব ইসলামী দলই জামায়াত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাহবাগের সমাবেশ যদি নিরপেক্ষ হয় আমি সঙ্গে আছি। আর যদি আওয়ামী লীগের হয়, আমি এ সমাবেশকে ঘৃণা করি। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজাকাদের ফাঁসি আমিও চাই। কিন্তু এক রাজাকারের ফাঁসি আরেক রাজাকার দিতে পারে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কেউ যোগদান করলে হয় মুক্তিযোদ্ধা আর অন্য দলে যোগ দিলে হয় রাজাকার। বড় দুটি দল দেশের রাজনীতি ধ্বংস করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের যুবকরা শাহবাগে প্রতিবাদ করতে নেমেছে। তাদেরকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকার প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এটাকে আওয়ামীকরণ করার চেষ্টা চলছে। দলীয়করণ করলে ভবিষ্যতে মুশকিলে পড়তে হবে। ভুল করবেন। তিনি বলেন, যে রায় হয়েছে তাতে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। দলীয় সরকারে অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেন না। জাতীয় নেতৃবৃন্দকে এক সঙ্গে বসে একটা সমাধান করতে হবে।

কাউন্সিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মহাজোট সরকারকে বিতাড়িত করতে এখন একটি জাতীয় ঐক্যের দরকার। বৃহৎ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বুলেটে নয়, ব্যালটে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আ স ম আবদুর রব বলেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হচ্ছে। বিশেষ একটা গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের শক্তি কুক্ষিগত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শাহবাগের আন্দোলনের ফসল কেউ নিজের ঘরে নেয়ার চেষ্টা করছেন। এজন্য সচেতন থাকতে হবে ব্যক্তি ও দলের প্রতি। চোরাবালিতে যেন এ আন্দোলন হারিয়ে না যায়। যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের বাংলাদেশের ঠাঁই নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে করতে হবে। তিনি বলেন, বৃটিশ আইন দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে না। নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও আইন পরিবর্তন করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আমাদের মুক্তি দিতে পারে না। দুটি দল বাদে বাকি সব দলের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও তাদের নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি খুব হিসাবি দল। হিসাব করে চলে। তারা সাপও মারে না লাঠিও ছাড়ে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও এদেশে কোন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল নয়। যদি পক্ষের দল হতো তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে হাস্যকর রায় আসতো না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

সািকল খান বলেছেন: Click This Link

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

সজিব ইসলাম বলেছেন: সাহস থাকেতো ম খার ফাঁসি চান।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

রাইসুল বাঙ্গালী বলেছেন: তোমার কথা শূনার সময় নাই। শাহবাগের কথা শোন। একটাই কথা একটাই দাবী। আর কোনো কথা নেই, কোনো কথা থাকতেও পারে না। একটাই পথ একটাই শপথ।

এখানে জ্ঞানগরিমা প্রদর্শন, বিদ্যাদান, বিশ্লেষণ, যুক্তিপ্রদর্শন, সমস্যাসংকট ব্যাখ্যা করা, তথ্যউপাত্ত উপস্থাপন, অতি আশা, আশংকা, ভবিষ্যতবাণী করা, সবকিছুই নিষেধ। এখন একটাই কথা একটাই দাবী। একটাই পথ একটাই শপথ। অন্য কিছু দেখার পড়ার বুঝার টাইমও নাই দরকারও নাই। ফুটেন।

ক্ষমতাসীন, ক্ষমতাবান, পদবীধারী, নেতানেত্রী, আলেম-ওলামা, জ্ঞানীগুণি, ওস্তাদ গুরু কাউকেই আপাতত যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যাচ্ছে না, সরি, এখন টাইম নাই; এখন একটাই কথা একটাই দাবী। একটাই পথ একটাই শপথ। কারো যদি বেশি সমস্যা হয় মনে করেন, সিনেমা দেখতাছি, চুপচাপ দেখতে থাকেন।

যারা ভিতু, দুর্বল, হতাশ,সংশয়বাদি তারা দূরে বসে ধ্যান কর, অনুভব করার চেষ্টা কর। ভাল লাগবে। চাপ সহ্য করতে না পারলে আরো দূরে যাও। ভালমন্দ খাওয়া দাওয়া কর, হেভ্ভি করে ঘুম দেও।
যারা ছাগু তারা খা হাগু। এখান থেকে যা। বাংলা থেকে যা। যদি পারিস তওবা কর, অনুশোচনায় পুড়ে মর। আর কিছু করার তোর কোনো সুযোগ নাই। তোদের কথা এখন আর কেউ শূনছে না। লাথ্থি।

আর যারা জনতার সেবক, সরকার, প্রশাসন, করপোরেশন, সেবা প্রতিষ্ঠান তারা এখানে সার্ভিস দেন; কেননা আপামর জনতা এখন এখানেই।

আমরা জানি শুধু লড়তে্ই হবে, জিততেই হবে। আমরা জানি লক্ষে মোদের যেতেই হবে। সারা বাংলা এখন শাহবাগ। যেখানেই বাঙালি সেখানেই শাহবাগ। আমি বাঙালি, তুমি বাঙালি । জয় বাংলা। জয় বাংলা। জয় বাংলা।
রাজাকারের ফাঁসি চাই, আর কোনো দাবী নাই। জামাতশিবিরের বিনাশ চাই, আর কোনো কথা নাই। রাজাকারের ফাঁসি চাই, আর কোনো দাবী নাই। জামাতশিবিরের বিনাশ চাই, আর কোনো কথা নাই। রাজাকারের ফাঁসি চাই, আর কোনো দাবী নাই। জামাতশিবিরের বিনাশ চাই, আর কোনো কথা নাই।
জামাত শিবির রাজাকার. এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়। জামাত শিবির রাজাকার. এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়।জামাত শিবির রাজাকার. এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়।জামাত শিবির রাজাকার. এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

সজিব ইসলাম বলেছেন: আপনাদের ভাষায় যদি ঐ ৫-৬ জনই রাজাকার হয়, তবে তো নিশ্চিত আপনারা কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করচেন?

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

বাদল দিনের গান বলেছেন: একজন রাজাকার চিরকালই রাজাকার। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরকালই মুক্তিযোদ্ধা নয়।তার জলজন্ত প্রমাণ এই কাদের সিদ্দিকি।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

সজিব ইসলাম বলেছেন: অন্য রাজাকারদের নাম নিতে আপনাদের এতো ভয় কিসের, এটাকেও আপনারা দলিয় করন করে ফেললেন?

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

নেক্সাস বলেছেন: বাদল দিনের গান @ আপনারা শাহবাগের গনজাগরণ কে ক্রমশ আওয়ামীকরণের চেষ্টা করছেন। শাহবাগের গনজাগরণ কাদের সিদ্দীকির মত জাতিয় বীর কে রাজাকার বলার জন্য হয়নি। এই জাগরণ রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে। সে রাজাকার নিজামী- মুজাহীদি- সাকা- মখা- আশিক সবাই।

কাদের সিদ্দীকি সে লোক যে ১৮০০০ যোদ্ধা আর ১ লাখ সমরাস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পায়ের নীচে এসে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি টেনেছিল। কাদের সিদ্দিকী সে লোক যে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যখন আপনাদের মত আওয়ামীলিগারেরা লুকিয়ে ছিল তখন তিনি বিদ্রোহ ঘোষনা করেছিলেন। টাঙ্গাইলের থাকা আক্রমণ করে আবার যুদ্ধে নেমেছিলেন।

আপনাদের মত লোক দেখানো দেশপ্রেমিক তারা ছিলেন না। তিনি ছিলেন সন্মুখ সমরে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া দেশপ্রেমিক।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

সজিব ইসলাম বলেছেন: আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত। অলরেডি দলিয়করন হয়ে গেছে দেখেন না কাদের সিদ্দিকির মত লোকের নাম নিলে ওদের গা পুড়ে যায়।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

চারু_চারবাক বলেছেন: কাদের সিদ্দীকির হ্যাডম তো কম নয়। উনি নিজেই মখা'র বিরুদ্ধে আদালতে যুদ্ধাপরাধের মামলা করুক।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

সজিব ইসলাম বলেছেন: কাদের সিদ্দিকির হ্যাডম নিয়ে যারা কথা বলে তারা আসলে কি? রাজাকার নাকি আওয়ামিলীগ?

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: joy kader siddique

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

সজিব ইসলাম বলেছেন: ভাই আপনি সাবধানে থাইকেন, সাহবাগ থেকে আপনার ফঁসির হবে।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

নিক্সন বলেছেন: হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: joy kader siddique

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

সজিব ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

সািকল খান বলেছেন: যারা স্বার্থের জন্য কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বলেছে তারাই রাজাকার।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

সজিব ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। গুটিকয়েক স্বার্থবাজ ছাড়া সবাই তাই বলে।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

জাতির বিবেক বলেছেন: হায় হায়, কাদের সিদ্দিকী কি করলেন?? নিশ্চত উনি রাজাকার ডিকলেয়ার হবেন। আমি ভয় পাইছি। :((

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

সজিব ইসলাম বলেছেন: হায় হায় আপনি জানেন না উনাকেত অনেক আগেই তা ডিক্লিয়ার করা হইছে। নতুন করে শাহবাগিরা উনাকে রাজাকার বলে উনার হ্যাডম নিয়া প্রশ্ন উঠায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.