![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খান আতাউর রহমান বিতর্কে আজ ১৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখের বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় চিত্রনায়ক ফারুক বলেন “তখন পাকিস্তানি সরকার বাঙালি মেধাবীদের বিপদে ফেলে রাজাকারের তালিকায় জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছিল। খান আতাও তাদের মধ্যে একজন। নিজের ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে তিনি বাধ্য হয়ে এই স্বাক্ষর করেছিলেন”। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের দাবি করি, আদর্শগতভাবে আমরা মুক্তিযুদ্ধ কয়জন করেছি? বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা ছিল জীবন বাঁচাতে গিয়ে যুদ্ধ করেছে। তাদের যুদ্ধ ছাড়া কোনো পথ ছিল না। এর মধ্যে ২০ ভাগ লোক ছিল যারা সত্যিকারভাবে মুক্তিযুদ্ধ বুঝে যুদ্ধে গিয়েছিল।
চিত্রনায়ক ফারুকের কথা মেনে নিলে তো আর এ দেশে কোন রাজাকারের বিচার হওয়া উচিৎ নয়। সকল রাজাকারই দাবী করতে পারে নিজের জীবন বাঁচাতে তারা পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়েছিল! আর সোহেল রানার জীবন বাঁচাতে মুক্তি যুদ্ধে যাওয়ার ফর্মুলা কি মোটা দাগে সকল মুক্তি যোদ্ধাদের অসম্মান কর মত নয়?
“ক্র্যাক প্লাটুন” এর গেরিলা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর খান আতাউর রহমানকে রাজাকার বলার পরে এ তথ্য গুলো সবার সামনে চলে এসেছে। তথ্য গুলো কতটা সঠিক তা হয়তো বুদ্ধিজীবীরা পরিষ্কার করে বলতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, তথ্য গুলো যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে যুগের পর যুগ কেন তা আড়ালে থেকে গেল? তথ্য গুলো---
লেখক, গবেষক মাহফুজুর রহমানের “বদি মিয়া রাজাকারের ডায়েরী” বইটির ২৪৫ পৃষ্ঠায় পাকিস্থানের পক্ষাবলম্বনকারী দালাল শিল্পীদের তালিকার ৫৩ নং এ খান আতাউর রহমানের নাম উল্লেখ আছে।
যে ৫৫ জন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী ১৯৭১ সালে মে মাসের ১৭ তারিখে মুক্তিযুদ্ধকে “আওয়ামী লীগের চরমপন্থিদের কাজ” বলে নিন্দাসূচক বিবৃতি দিয়েছিলেন, দুঃখজনক ভাবে খান আতাউর রহমান তার ৯ নম্বর স্বাক্ষরদাতা ছিলেন। (১৭ মে ১৯৭১ দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকা।)
২৭ মার্চ ১৯৭১ খান আতাউর রহমান একটি গান লিখেন “সাদায় সবুজ আমার পাকিস্তানি পতাকা” এবং সেই গান বাচ্চাদের দিয়ে টেলিভিশনে গাইয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালাতে যারা বাধা দিয়েছিল, যারা পাকিস্তানপন্থি প্রচারে সহযোগিতা করেছিল তাদের শনাক্ত করতে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক নীলিমা ইব্রাহীমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। ১৯৭২ এর ১৩ মে নীলিমা ইব্রাহিম কমিটি যে তালিকা সরকারকে পেশ করেন সে তালিকায় ৩৫ নম্বর নামটি খান আতাউর রহমানের।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬
রুহুল আমিন খান বলেছেন: নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এখন আচমকা খান আতাকে রাজাকার সাব্যস্ত করেছেন, মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন খান আতা ১৯৭১ সালের মে মাসে পাকিস্তান সরকারের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু সমস্যা হলো সে বিবৃতি খান আতা একা দেননাই। বরং বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মোট ৫৫ জন ব্যাক্তি। অন্য নামগুলো সম্পর্কে বাচ্চু দল এ মুহুর্তে নীরব। এর নাম মুক্তিযুদ্ধের নামে মুরগি ব্যবসা। যখন যে মুরগীর বাচ্চাকে ধরার দরকার হবে, থলেতে হাত ঢুকিয়ে সেই মুরগীকে তারা বের করে আনবে।
ঐ শাহবাগিদেরই বই একাত্তরের ঘাতক দালালরা কে কোথায়' এর ১৪৪ পৃষ্ঠা অনওয়ার্ডস এ সবগুলো নাম পাওয়া যায়। আসুন এ সুযোগে আমরা দেখে নেই বাচ্চুদের মুরগীর ঝুলিতে আর কোন কোন রাজাকার থাকতে পারেন।
- প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁঃ ষাড়ের ভাবী এবং হুমায়ুন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিনের দাদা।
- গায়িকা শাহনাজ বেগম (এখন শাহনাজ রহমতউল্লাহ নামে পরিচিত)।
- গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন (অন্য কোন পরিচয় দেয়ার দরকার আছে?)
- লোকসঙ্গীত ও পল্লীগীতির গায়ক আবদুল আলীম, ৭৭ সালে একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
- মুনীর চৌধুরী, বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডে নিহত, কবীর চৌধুরী এবং ফেরদৌসি মজুমদারের ভাই।
- ফতেন লোহানী, চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা।
- সরদার ফজলুল করিম, ঢাবির দর্শনের শিক্ষক ও শাহবাগিদের গুরু।
এ হলো ৫৫ জন বিবৃতিদাতার মাঝে বাছাইকৃত পরিচিত কিছু নাম। সবার নাম দেখতে হলে বইয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও বাচ্চুর স্ট্যাটাসে উল্লেখিত নীলিমা ইব্রাহিম কমিটি স্বাধীনতার পর যাদেরকে পাকিস্তানী পক্ষ নেয়া শিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলো, তাদের মাঝে আছে এটিএম শামসুজ্জামানের নাম। তাকে ছয় মাসের জন্য রেডিও থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছিলো কমিটি। সেই এটিএম এখন আওয়ামী লীগের বিশাল ধ্বজাধারী।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জাতীতো অনেক কিছু জেনে গেল ভাই!
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
আবদুল মমিন বলেছেন: আসল ঘটনা তা হলে এই থলের ভিতরে এখন ও রয়ে গেছে ।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
চিত্র জগতের বেশীরভাগ লোকই হালকা চরিত্রের, এরা সিরিয়াস মানুষজন নয়।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
সোহানী বলেছেন: রুহুল আমিন খান এর উত্তরের পর আর কোন বিতর্ক হতে পারে না।
জনাব রুহুল আমিন খান, আপনাকে অনুরোধ করবো আপনার এ মন্তব্য নয় পূর্ন ব্লগ লিখার জন্য।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সোহেল রানাও বলেছেন খান আতা'র পক্ষে। বলেন, বিজয়ের পর কিছু লোক খান আতাকে মারতে যায়। তখন সোহেল রানা সবগুলো ধমকিয়ে খান আতার কাছে মাফ চাইতে বাধ্য করে। আসলে আওয়ামী লীগার রা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত ঘাঁটাঘাঁটি করবে ততই দুর্গন্ধ বের হবে। নাসিরউদ্দিন বাচ্চুর একটা কথায় এখন ঐ লিস্ট সবাই দেখছে(আগেও অনেকে এই লিস্ট দেখেছে)। কবির চৌধুরী, এটিএম শামসুজ্জামান, সর্দার ফজলুল করিম এরা চিহ্নিত আওয়ামী লীগার। কিন্তু এদের এই অপবাদ নেই। কিন্তু খান আতা-তেক শুনতে হলো।
আর নাসিরউদ্দিন ইউসুফ সম্পর্কে কেউ একজন বলেছিল(সম্ভবত কাদের সিদ্দিকী নাকি ফিরোজ রশীদ), তিনি যে এত মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা করেন তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন? কার অধীনে কত নম্বর সেক্টরে ছিলেন? তেনাকে মিডিয়াই বেশী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাতি দিয়েছে...
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকার মানসিকতার লোকজনের ফিল্ড ডে...তারা নিজেদের কোন মতামত নাই...যেই ১৯৭১ এ কে প্রশ্নবিদ্ধ করে কোন মন্তব্য পাওয়া গেল...সাথে সাথে এটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেওয়ার আমন্ত্রন!!!!!! এরা ১৯৭১ এ বেচে থাকলে বড় মাপের রাজাকার হতে পারত।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪০
মোঃ মাহবুব পাঠান বলেছেন: হায়, হায়, বলে কি!
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @রুহুল আমিন খান, গায়িকা শাহনাজ বেগম (এখন শাহনাজ রহমতউল্লাহ নামে পরিচিত) যে পাকিস্তানের সপক্ষে সাক্ষর করেছিল এর কন দালিলিক প্রমাণ দিতে পারবেন? শাহনাজ রহমতুল্লাহ স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার ছেড়ে কবে পাকিস্তানের সপক্ষে বিবৃতি দিয়েছিল?
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৪
শিখণ্ডী বলেছেন: বিবৃতি দেয়া আর ছুরি নিয়ে মাঠে নামা কি এক কথা? অনেকেই পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তাদের সাধের পাক-দেশের জন্য দোয়া-দরূদ পড়ত,পক্ষে প্যাঁচাল পারত। কিন্তু ওই পর্যন্তই! এদের সঙ্গে মানবতাবিরোধীদের গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
বারিধারা বলেছেন: যাক, অবশেষে কেউ বিষয়টা নিয়ে সামুতে লিখল। খান আতা জামায়াত করত না, তাই ছাড়া পেয়ে গেছে। একই ধারণা পোষণকারী জামায়াতের আমীর মকবুল আহমেদ কোন যুদ্ধে না জড়িয়েও এখন কারাগারে বন্দি মানবতা বিরোধী অপরাধে। রাজনীতির এই খেলে যদি এখনো বুঝা না যায়, তা হলে বাঙালি চিরকালই অপরিপক্ক রয়ে যাবে।
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
এভো বলেছেন: এই ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি কবে বন্ধ হবে জানি না তবে এর পরিনতি খুব মঙ্গলদায়ক হবে না । এই ধরনের অনেক ঘটনা ১৯৭১ সালে ঘটেছিল । বরেন্য ব্যক্তিত্ব ড: আবুহেনা মোস্তফা কামাল সাহেবকে ও বাধ্য হয়ে কিছু করেছিলেন । তাদের কর্মে কোন দিনই পাকিপন্থার কোন নজির পাওয়া যায় নি । তারা অনেক বেশি বাংলা সংস্কৃতির সাথে নিবিড় ছিলেন যা জামাতী পাকিপন্থার সাথে কোন ভাবে ম্যাচ করে না ।
১৯৭১ সালে তদান্তিন পুর্ব পাকিস্থানে যারা থেকে গিয়েছিলেন এবং বড় বড় পদে ছিলেন তাদের কে এই ভাবে ঢালাও ভাবে কিছু বলা সম্পর্ন ভুল আচরন এবং সেটা মোটে ও গ্রহন যোগ্য নহে ।
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: অজানাকে জানাই ত জ্ঞান। কিছু জ্ঞান নিলাম।
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করা হয়েছে ।এটা নিয়ে বেশী কথা চাচালি বন্ধ হবার জন্য একটা ইস্যূর দরকার ছিল ।নাসিরুদ্দিন বাচ্চূ চমৎকারভাব এক ইস্যূ নিয়ে হাজির হয়েছে।।তার এলেম আছে স্বীকার করতে হবে। বর্ত্মান বাদ দিয়ে ৪৫ বছর আগের অতীত নিয়ে বিতর্ক প্রতিযগিতায় নামিয়ে দিয়েছে পুরো দেশকে!
একটা কথা আছে যে 'যেমন দেশের রাজা , তেমন দেশের প্রজা'। কথাটা অক্ষরে অক্ষরে সত্য আমাদের জন্য।
১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
তপোবণ বলেছেন: রাজাকার যেই অর্থে ব্যবহার করা হয় সেই অর্থে এখন কি আওয়ামী ঘরানায় কম রাজাকার আছে। ডরে ভয়ে তাদের নাম এখন আর নেয়া যায়না। এই রাজাকার ব্যবসায় আ.লীগ একদিন ধরা খাবে প্রচন্ডভাবে। নিজের খোঁড়া গর্তে সে একদিন নিমজ্জিত হবে এতে সন্দেহ নাই। থুতু উপরের দিকে ফেললে নিজের কাছেই ফেরত আসে এই সূত্রে ত ভুল থাকার কথা নয়।
কি কারণে কাদের সিদ্দিকী কে রাজাকার বলা হয়?
কি কারণে জিয়াউর রহমানকে রাজাকার বলা হয়?
কি কারণে বিচারপতি এস কে সিনহাকে রাজাকার বলা হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তো শেখ মুজিবের সাথে ভুট্টোর গলায় গলায় সম্পর্ক ছিল। তাকে এনে লাল গালিচা সংবর্ধণা দেয়া হয়েছে। তাহলে
কি কারণে শেখ মুজিবকে রাজাকার বলা যায়না?
কি কারণে শেখ হাসিনার বেয়াইকে রাজাকার বলা যায় না?
কি কারণে ম. খা. আলমগীকে রাজকার বলা যায় না?
কি কারণে এরশাদকে রাজাকার বলা যায় না?
কি কারণে শাহরিয়ার কবির কে রাজাকার বলা যায় না?
কি কারণে জামায়াত থেকে আ.লীগে যোগ দিলে তাকে রাজাকার বলা যায় না?
রাজাকার এখন একটা ফায়দা লুটার রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই ইস্যূতে জাতী এখন বিভক্ত। কেউ আছেন যারা সারা বছর ধরে স্বজাতীর মধ্যে এই বিবেধের কাজটি নিরলস ভাবে করে যান। শেখ মুজিব বুঝেছিলেন, তাই তিনি বিবেধ ভুলে জাতিকে এক কাতারে এসে দেশ গড়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছিলেন। সাধারণ ক্ষমাও করেছিলেন। আজকের এই নাসিরুদ্দিন বাচ্চূরা প্রমাণ করে ছেড়েছেন যে শেখ মুজিব মোটেও বুদ্ধিমান ছিলেন না। আজকের আ.লীগে যারা আছেন তারা সবাই বোধ করি প্রাতঃস্মরণীয় নেতা শেখ মুজিবের চেয়েও জ্ঞাণী এবং বুদ্ধিমান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
প্রামানিক বলেছেন: এটার পক্ষে বিপক্ষে অনেক কিছু আছে।