নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে পড়তে-লিখতে আর ঘুরতে।
এমন কথা সবাই জানে––
এক দেশে এক রাজা ছিল
‘নতুন কিছু থাকলে না হয়
সবটা খুলে বলো’।
হাতিশালে হাতি ছিল
ঘোড়াশালে ঘোড়া,
‘সবটা ছিল পাগলা হাতি
ঘোড়ারা সব খোড়া।’
কথার ভেতর কথা বলা
স্বভাব ভালো নয়––
‘নতুন কিছু থাকলে বলো
নইলে কিন্তু নয়’।
গোড়ার কথা বলি কিছু
বা––হাত দিও না,
সবই ছিল, রাণী ছিল
শান্তি ছিল না।
ছিল-ছিল সবই ছিল
পুত্র ছিল না,
`"রাজা এবার যজ্ঞ করুন"
দিলেন মন্ত্রণা।
রাজ প্রসাদের নদীর ঘাটে
চেনা বাসুন পৈতে খুলে,
সত্যি কথা বলতে কি
মন্ত্র গেলেন ভুলে।
রাজ রোষে পড়েন এবার
মণ্ডু তারই যায়,
মনে পড়ে মায়ের ছবি-
ভাবতে থাকেন হায়!
ভাব-বেগতিক সবনা ঠেরে
রাজা বলেন ‘কি’?
পুরুত মশায় পানসে মুখে
বলেন ‘লাগবে ঘি।’
সেবার ছিল রোজা-পূজা
ঘিয়ের ভীষণ দর,
ঘি বেচতে সবাই নারাজ
আপন কিবা পর।
রাজা ছিলেন প্রজার হীতে
জোর-জুলুমে নাই,
মানুষেরে কষ্ট দেবেন
এমন কম্মে নাই।
তবুও রাজা বোঝেন সবই
রাজপুত্তর চাই,
সবার তবু একটি চাওয়া
কোথাও শান্তি নাই।
শান্তিবিলাপ কূটিল ভীষণ
রাজ প্রসাদে এলেন,
রাজা বলেন “কি চাই তোমার
একটু খুলে বলেন”।
‘আমার আছে সকল প্রসাদ
আপনার কি নাই?’
রাণী মাতা হেসেই ফেলেন
“রাজপুত্র চাই”।
হবে-হবে সবই হবে
পাত্রী আছে জেনো,
এই রাণীকে তাড়িয়ে দিয়ে
দুয়োরাণী আনো।
এ গল্প সবার জানা
নতুন কিছু বলো––
রাণীর জন্যে দুষ্টু ছেলের
মনটা এলোমেলো।
ভাবে ভাবে গভীর ভাবে
মনটা ভালো নাই,
সরোরানীর কি যে হলো
ভাবছিলো সে তাই।
তবুও খোকার কান্না আসে
আধার করে আলো,
সবাই কেন এমন করে
চোখটা ছলছল।
মা-যে ডাকেন খেতে আসো
ঘুমিয়ে পড়ো খোকা,
গল্প শুনে কাঁদে নাকি?
আচ্ছা রকম বোকা!
সুয়োরানী নিজের বশেই
গেলেন চলে দূরে,
পাহাড়-নদী পেরিয়ে গিয়ে
সমুদ্দুরের তীরে।
দেবতারা খুশি হলেন
হলো পুষ্প বৃষ্টি,
এদিকটাতে রাজ্যজুড়ে
ভীষণ অনাসৃষ্টি।
মহারাণী ফিরে এলেন
কোলে ভোরের আলো,
সবটা শেষে চাওয়া ছিল
শেষটা ছিল ভালো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: সুন্দর কাহিনী এবং ছন্দমিল।