নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সচেতন নাগরিক, ছাত্র, লেখক, এবং নাট্যকর্মী
জীবনে অনেক কিছুই পাবার ছিল কিন্তু পাওয়া হল না। অনেক সুখের স্বপ্ন ছিল কিন্তু পূর্ণ হল না । অনেক ভালোবাসা ছিল তার জন্য কিন্তু তাকে পেলাম না এমন অনেক হতাশাতে আমরা ডুবে থাকি সকলে সকালের ঊষা থেকে গৌধুলি হয়ে রাতের ভাজে । শুধু চেষ্টা করেছি আমি আপনি আমরা সকলে একবার মাথা উচু করে দাড়াতে ।
আপনি হতে চেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু আজ আপনাকে হতে হয়েছে স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষক, কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল আপনার জীবনে এমন কোন একটা পেশা , আর সব সময় কুরে কুরে খাচ্ছে আমার আপনার ভিতরের মানুষটাকে । কেন এই হতাসা ?
আজ পর্যন্ত নিজেকে একটি বারের জন্য হলেও প্রশ্ন কি করেছেন? আপনাদের কাছে একটা উত্তর প্রস্তুত আছে তা হল “কই না তো !” আগে তো ভাবেনি । আসলে আমাদের মস্তিষ্ক তো আমাদের নিয়ে ভাবার সময় পায় না , সে সারা বেলা হতাশা আর চাওয়া-পাওয়া নিয়ে হিসাব করে সময় কাটাই ।
আমি যখন স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে বিভিন্ন কাজ করতাম তখন ঐ সংগঠনের মাসিক মিটিং এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা প্রোগ্রাম শেষে মিটিং এ বসতাম অনুষ্ঠানের সফলতা,ব্যর্থতা,আর সমস্যা নিয়ে কথা বলতাম । কিন্তু তখন আমরা প্রতিবার মিটিং এ বেশি বেশি সমস্যা হয়েছে এমন কথা উপস্থাপন করতাম, আসলে নিজেদের কাছেও একঘেয়েমি লাগতো ব্যাপারটা ,কেননা একই সমস্যা বার বার বলতাম , শুনে সংগঠনের এ দেশীয় প্রধান বললেন, সমস্যা+সমস্যা+সমস্যা= সমস্যা । সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতে হবে । যায় হোক ফিরে আসি মূল লেখাতে।
প্রথমে এক ব্যাকারণ বিহীন বিশ্লেষণ করা যাক হতাশা’কে , হতাশা থেকে হতা বলতে সাধারণ ভাবে হতা বা হতাহত বা খারাপ বা মৃত্য প্রায় কে বুঝায় আর আশা বলতে কোন কিছু পাওয়া বা কোন কিছু পাবার আকাঙ্ক্ষা কে বুঝায় । সুতরাং হতাশা বলতে বোঝায় পাওয়া হয়নি বা পূর্ণ হয়নি এমন আশা বা আকাঙ্ক্ষা ।
আপনি এখন একটু ভাবতে থাকুন যে কি এমন ছিল যা পাওয়া হয়নি যা পাবার ছিল বা পেলে মনের বাসনা পূর্ণ হত । সেটা খুজে পেলে আপনি আপনার জীবনের বড় একটি সমস্যা বা মৃত্য আশাকে খুজে পেলেন যা আপনাকে ডুকরে ডুকরে মেরেছে অনেকটা দিন ধরে ।
হতাশাকে খুঁজে বের করবার প্রথম পথ হয়তো আপনি খুঁজে পেয়েছেন । এখন বেরুবার উপায় বলতে পারবো কি জানি না তবে চেষ্টা করে দেখা যাক ।
ইচ্ছা শক্তি মানুষের সকল শক্তির উর্ধে অবস্থান করে থাকে, তাই ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে হতাশা থেকে আশার ফুল ফুটতে হয়তো বেশি দিন দেরি আপনাকে করতে হবে না । হতাশা ততোক্ষণে আপনাকে জেঁকে ধরবে না যতক্ষণ আপনার জীবনে দুঃখ না আসবে ।
আপনার দ্বিতীয় কাজ হল দুঃখকে ছুটি দেওয়া। আপনি যদি দুঃখকে ছুটি দিতে চান তবে এমন কাউকে ভালবাসতে থাকুন যে দুঃখে থাকবে না। সে ক্ষেত্রে আপনি বেঁচে নিতে পারেন নদী কিংবা সবুজ মাঠ অথবা ঝর্ণা , আর তা যদি আপনার হাতের কাছে না থাকে তবে আপনার প্রিয় আয়না । তাকে আপনি যদি হাসতে বলেন তো সে শুধু হাসতে থাকবে আর যদি বলেন গোমড়া মুখে থাকতে তবে সে তেমনটা থাকবে।
আপনাকে তৃতীয় উপায়টা বলা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে আমার কাছে, আপনি নিজেকে নিজের বিকল্প করে গড়ে তুলতে থাকুন , যখন দেখবেন আর পারছেন না তখন সেই ভেতরের বিকল্প মানুষটা কাজ করবে । সে জন্য নিজের সাথে সব সময় কথা বলতে হবে, নিজেকে জানাতে হবে এবং জাগাতে হবে ।
আমার পক্ষ থেকে আপাততো শেষ উপায়াটা আপনার হাতের কাছে কি কাগজ কিংবা কলম আছে ? নাকি বই আছে মহা মানবীদের ! আছে কি এমন প্রবন্ধ কিংবা উপন্যাস যা আপনাকে সামান্য আনন্দের খোরাক যোগায় ? থাকলে আর লেখা পড়ে কাজ নেই শুরু করে লেখালেখি কিংবা বই পড়া হতাশা আপনার কাছে হয়তো আর কোন দিন এসে বলবে না দরজাটা একটু ফাঁকা করুন আমি আসবো ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০
মোহাম্মদ সজল রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মিজভী বাপ্পা
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ভালো লিখেছেন