নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হতে চাই মানবিক গুণ আর আমার মাঝে সেই গুণ কতটা আছে তা আপনি ভাল বলতে পারবেন। তবে ভাল হবার চেষ্টায়

মোহাম্মদ সজল রহমান

একজন সচেতন নাগরিক, ছাত্র, লেখক, এবং নাট্যকর্মী

মোহাম্মদ সজল রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার তোরা মানুষ হ

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৫

আমরা মানুষেরা যখন মানবিকাতা, ভালোবাসা,শ্রদ্ধা নিয়ে কথা বলে মুখে ফেনা উঠায়। সেই আমরাই আবার পাবলিক বাসে উঠে অকথ্য অশ্রব্য ভাষায় বুলি আওড়ায়। এমন সকল মানুষদের জন্য আমার লেখা "আবার তোরা মানুষ হ "

ঘটনাঃ রাত ১১টা ৩০মিনিট
মিরপুর-১০ নম্বার বাসস্ট্যান্ড।

আয়াত পরিবহনের একটি গাড়িতে বাসার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছিলাম শাহবাগ থেকে রাত আনুমানিক ১০ টা ৪৫ মি এর দিকে। পরিবহণ সিটিং হলেও তাদের চিটিং ব্যবসাও চলছিলো। যাত্রিতে ঠাঁসা গাড়ি। গড়িটি মিরপুর-১০ নম্বার আসার পর গাড়ির হেল্পপার(বয়স-১৪/১৫) জানালো সবাইকে নামতে হবে গাড়ি মিরপুর-১৪ নাম্বার যাবে, যদিও গাড়ি ছিল মিরপুর-১২ নাম্বারের। যাত্রি প্রায় নেমে গেলে রয়ে গেলাম আমরা কয়েকজন। এর মধ্যে একজন মাঝ বয়সী মহিলা সাথে তার ১০ বছরের কন্যা, দুজন ২৫/৩০ বছরের ছেলে, একজন ৫০/৫৫ প্রায় দাঁড়ি পাকা বসস্ক ভদ্র লোক, আর আমি।

ঘটনার শুরু বসস্ক লোকটির ৫ টাকা ভাড়া ফেরত কে কেন্দ্র করে। ছোট হেল্পপার টাকা ফেরত দিতে নারাজ, তবে নাছোড় বান্দা ভদ্র লোকটি অনেক কথা কাটাকাটির পর টাকা ফেরত পেলে, তবে সাথে সাথে ছোট চালকের সহকারিকে একটা লাথি উপহার দিল। পাশে দাঁড়িয়ে অনেকটা নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। ছেলেটি প্রায় চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে যাবার উপক্রম। এমন সময় ছেলেটি নিজেকে সামলে ভদ্র লোকটিকে সজরে ধাক্কা দিতে উদ্যত হওয়ায়, ভদ্র লোকটি কিন্তু থেমে যায় নি, বড় বড় আংটি যুক্ত হাতের ঘুষিতে ততক্ষণে ছেলেটির মুখে রক্তের ফোটা এনে দিয়েছে। শুরু হল কুস্তি তবে বরাবরের মত ছেলেটি মার খেল, তখন এই মিথ্যা কথার শহরের অন্য দশ জনের মত নিরব দর্শক আমি।
এখানেই শেষ হতে পারত। তবে তা হয়নি, ডেকে আনে আরো করুণ এবং ভয়ংকার ঘটনার।
রাতের রাস্তার কিছু সুবিধাভোগী মানুষের আবির্ভাব হল সাথে সাথে। তাদের একটাই কথা, ছোট হয়ে কেন বসস্ক ভদ্র লোকটির গায়ে হাত তোলা হল? তবে বিস্তারিত জানবার প্রয়োজন তাদের ছিল না। শুরু হল নির্যাতন, ছেলেটিকে এমন ভাবে কয়েকজনে প্রহর করতে শুরু করেছে যে, সে হয় কোন খুন কিংবা ধর্ষণ করেছে। মারতে মারতে নামানো হল নিচে, তখনো বাস ফুটওভার ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে। দুজন পুলিশের হয়তো মায়া হল তাই এসে থামাতে গেল সুবিধাভোগীদের তবে উলটো পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হল।
আমি দেখে চলেছি.।.।.।।

এবার একজন উৎসুক জনতা এসে ছেলেটিকে মাফ চাইতে বলায়, ছেলেটি বসস্ক ভদ্র লোকটির পায়ে হাত দেবার সাথে সাথে ঘটে গেল নির্মম আরেকটি দৃশ্য। সেই ভদ্র বসস্ক লোক ছেলেটির মাথা-ঘাড় ধরে পিঠের উপরে চালালো নির্মম নির্যাতন। দেখে মনে হল কোন পশুকে মারছে, তবে পশুকে হয়তো এমন কেউ মারে না। এখন আর তারে ভদ্র বসস্ক লোক বলা যাবে না, বরং মুখোশ ধারি শয়তান বললে ভুল হয় না। (এতমধ্যে চালকে নামানো হয়েছে এবং নির্যাতন অব্যহত)

এর পরও দফায় দফায় গাড়ির সাথে ছেলেটির মাথা সজোরে আঘাত করতে থাকে মানুষ রুপি পশুর দল।
সহ্য না করতে পেরে যখন বাসার পথে পা বাড়িয়ে ততক্ষণে ১১টা ৫০ বেজেছে। তবু নির্যাতরের মাত্রার কমতি হয়নি, বরং বেড়েছে, দূর থেকে আত্মচিৎকার কানে ভেসে আসছিল তখনো।

সত্যি ধিক্কার দিয়ে বলতে চাই তাদের জন্য আবার তোরা মানুষ হ

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এখানে আয়াত পরিবহনের বাসটির স্টাফদের অন্যায়ের পরিমাণ অনেক বেশি। যে কারণেই শেষে মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে। তাদের অন্যায়গুলো হলোঃ
১। সিটিং সার্ভিস, ভাড়া নিচ্ছে বেশি অথচ লোকাল বাসের মতো করে চালাচ্ছিল।
২। মিরপুর-১২ এর গাড়ি অথচ নামিয়ে দিচ্ছে মিরপুর-১৪। তাও রাত আনুমানিক ১১ টা ৪০ বা ৪৫ এর সময়। এতো রাতে এভাবে নামিয়ে দেওয়াটা খুবই অন্যায়।
৩। বয়স্ক লোকটি ভাড়া ফেরত চাইলো, অথচ কন্ডাকটর ভাড়া ফেরত দেবে না। এটা কেমন কথা? গন্তব্যস্থলের আগেই নামিয়ে দিবে অথচ ভাড়া ফেরত দিবে না।
এর পর বয়স্ক লোকটি ভাড়া ফেরত পেলো এবং লাথি দিলো। তারপরের ঘটনা তো আপনি লিখলেনই। সবশেষে আপনি উপদেশ দিলেন, আবার তোরা মানুষ হ।

আচ্ছা ধরুন, আয়াত সিটিং সার্ভিসের বাসটা সিটিং সার্ভিসের মতো করেই চললো। মিরপুর-১২ এর গাড়ি, মিরপুর -১২ তেই গেলো। তাহলে কি এই মারপিটের ঘটনাটা ঘটতো। মনে হয় না। তাহলে আপনার ঐ উপদেশটা ঐ বাসওয়ালাদের জন্যই প্রথমে প্রযোজ্য।

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সত্যি আমাদের মনুষ্যত্ব আজ বিগড়ে গেছে।
দিন দিন আমরা সুবিধাবাদী হয়ে উঠছি :|

৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু মানুষ আসলে আর মানুষের মধ্যে নেই। শয়ুর কিছু ঢুকে গিয়েছে ঢাকাতে...

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আমাদের মনুষ্যত্বের জায়গায় পশুত্ব স্থান নিয়েছে।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

মোহাম্মদ সজল রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণ যুক্ত মন্তব্যের জন্য।
আমি লেখার প্রথমে কিন্তু চিটিং সার্ভিস বলে উল্লেখ করেছি। তাছাড়া গত রাতে রাস্তা বাস খুবই কম ছিল। আর আপনার সাথে একমত যে বাস স্টাফদের থেকেই ভুলের শুরু, যার ফলশ্রুতি আমি কিন্তু ভদ্র লোকটি বলে লেখেছি।
তবে মাত্র কয়েকটা টাকা কিংবা কথা কাটাকাটির জন্য এমন প্রহর কাম্য নয় বলে মনে হয়েছে।
তাছাড়া ভাড়া নিয়ে আরেকটা কথা লেখা হয় নাই, সেটা হল চিটিং সার্ভিসের জন্য ঘটনার পুর্বেই কয়েকজন মাত্র ১০টাকা ভাড়া দিয়েছিল। এটার জন্য হয়তো সহকারী ছেলেটার দেহে রাগ দানা বেধেছিল। শেষ কথা উপদেশ তো সকলের জন্য এমন কি আমার নিজের জন্য জনাব।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে আবার তোরা মানুষ হ কথাটা আপনার নিজেকেই সব থেকে বেশী বলা উচিৎ

৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

হাঙ্গামা বলেছেন: সবাই মানুষ হইবো আর আপনে ছাগল, ছাগলই থাইকা যাইবেন।
আইসেন চুশীলগিরি চু***ইতে !!!

৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি দেখেছি, বাসে উঠলেই লোক গুলো কেমন জানি অমানুষ।

৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০০

এম এ কাশেম বলেছেন: বুঝলাম ছেলেটি অন্যায় করেছে , তাই বলে এমন করে মারাটা কি উচিৎ হলো?
এমন কি মাফ চাইতে গেলেও মারাটা তো অত্যন্ত অমানবিক মনে হলো আমার কাছে।

মানুষ হয়ে মানুষের গায়ে হাত তোলা অমনবিক একটা কাজ।

১০| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

বনসাই বলেছেন: আয়াত পরিবহনের গাড়ি শাহবাগ যায় না, এমন কি মিরপুর ১২ তেও যায় না। এটা ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে কমলাপুর যায় বাংলা মটর হয়ে। আপনি সম্ভবত অন্য কোনো পরিবহনে ছিলেন সে রাতে। মূল ফ্যাক্টর হলো, এতো রাতে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে নামিয়ে দেয়া। সারা দিনের পরিশ্রম, আগারগাও থেকে মেট্রোরেলের জন্যে রাস্তাজট ইত্যাদি কারণে যাত্রীদের মেজাজ মর্জি একটু চড়া হয়ে যায়। ঘরে দ্রুত ফিরে যেতেই সিটিং সার্ভিস এ মানুষ চড়ে, আর একটি কথা মিরপুরে যে পথেই যান না কেন আপনাকে কোনো লোকাল বাস স্বাগত জানাবে না কখনো। ওই পথে সবই সিটিং নামে লোকালই চলে। সারা পথেই যাত্রী উঠবেই। বিপদে পড়ে আমরাই উঠি।

কমেন্টগুলো পড়ে বুঝতে পারছি কিছু সংশয় আছে; ফার্মগেট থেকে আগারগাঁও হয়ে গেলে প্রথমে পড়বে মিরপুর ১০ গোল চত্বর, সোজা উত্তরে মিরপুর ১১ আর ১২, ডানে মিরপুর ১৩ ও ১৪, বামে মিরপুর ২ ও ১।

ফার্মগেট থেকে যাত্রী উঠানোর সময় মিরপুর ১২ ডেকেছিল কি না। বেশ রাত হয়ে গেলে সাধারণত মিরপুর ১০ পর্যন্তই গাড়ি যায় যদি গ্যারেজ ডানে-বামে থাকে। ডাইরেক্ট ভাড়া কিন্তু একই। মিরপুর ১২ এর কথা বলে ১০ এ নামানো অন্যায়। স্বেচ্ছায় ৫টাকা ফেরত দেয়া কন্ডাক্টরের উচিত ছিল। বয়স্ক যাত্রী ভাগ্যবান, ঘটনা ১০ এ ঘটেছে আর কিছু চ্যাংড়া জুটেছিল বলে। ১০ পেরিয়ে ১২ দিকে গেলে খবর ছিল; ঘটনা বরং উল্টো লিখতে হতো

আপনি নিজেই সেই সময় নিজ দায়িত্ব পালন করেন নি; আর অন্যকে বলছেন মানুষ হতে; আগে নিজে মানুষ হতে চেষ্টা করুন।

১১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪২

পবন সরকার বলেছেন: এমন নৃশংস ঘটনা প্রায়ই চোখে পড়ে কিন্তু কিছু করার থাকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.