নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হতে চাই মানবিক গুণ আর আমার মাঝে সেই গুণ কতটা আছে তা আপনি ভাল বলতে পারবেন। তবে ভাল হবার চেষ্টায়

মোহাম্মদ সজল রহমান

একজন সচেতন নাগরিক, ছাত্র, লেখক, এবং নাট্যকর্মী

মোহাম্মদ সজল রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনধিকার চর্চা নয়, শান্তিরক্ষি ভারতে প্রয়োজন

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় অভিযুক্ত এবং ইসকন সংগঠন থেকে বহিঃস্কৃত ধর্ম প্রচারক বিতর্কিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তার মুক্তির জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের এক শ্রেণীর জনগণ যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা শুধু মূর্খতার পরিচয় নয় বরং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছেন। এটা অনধিকার চর্চা ছাড়া কিছুই নয়।

আজ দেখলাম ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা করেছে কিছু উগ্র সম্প্রদায়ের মানুষ। দেখলাম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ঢাকা থেকে আগারতলা গামী শ্যামলী পরিবহনের একটা বাসের সাথে ছোট্ট একটা সড়ক দুর্ঘটনা কে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসাবে প্রচার করছে। কেননা বাসের যাত্রীর বেশিরভাগ ছিল ভারতীয়। এটাও অনধিকার চর্চা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রধান নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী এবং বিদেশ মন্ত্রী এস কে জয়শঙ্কর কে অনুরোধ করেছে যেন, জাতিসংঘে তারা অনুরোধ করেন বাংলাদেশে শান্তিরক্ষি পাঠাতে।

এখন বলতেই পারি মায়ের থেকে যখন মাসীর দরদ বেশি হয় তখন কিন্তু সন্দেহ বাড়তে থাকে।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তো শুধু প্রেস মিট করে ক্ষান্ত হননি, উনি আন্দোলন করছেন, উনি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি দিচ্ছেন, পেট্রোপোল ঘেরাও করছে। আমদানি - রপ্তানি বন্ধের ডাক দিচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন বাংলাদেশীদের।

হয়তো ওনাদের ভাবা উচিত দেশটা তাদের না। দেশটা আমাদের।

এই দেশটার হাজার বছরের সম্প্রীতির ইতিহাস রয়েছে। রয়েছে ভ্রাতৃতের অটুট বন্ধন।
এ ক্ষেত্রে তাদের (ভারতীয় রাজনৈতিকদের) নাক গলানোর প্রয়োজন পড়ছে না। কেননা আমার দেশের সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা এটা নিয়ে মোটেয় বিচলিত নয়, বরং ভারতের মিডিয়ার মিথ্যাচারের জন্য লজ্জিত এবং ভীতসন্ত্রস্ত।

যেখানে প্রতিবেশি দেশ ভারতে প্রতিনিয়ত হিন্দু নিম্ন বর্ণের মানুষেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, নিত্যদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা অন্তত্য বাংলাদেশের দিকে নজর না দিয়ে নিজ দেশের মানুষের সেবার প্রতি মনোনিবেশ করুক।

আমারা যদি একটু ভারতের মনিপুর রাজ্যে চোখ রাখি তবে দেখতে পাবো...
১৯৫০ সাল থেকে বর্তমান ২০২৪ সাল সময় পর্যন্ত ভারতের মনিপুর রাজ্যে ক্রমাগত সংঘাতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে রাজ্যটিতে গত ০৩ মে ২০২৩ থেকে ০৩ মে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলমান সহিংসতায় ২২১ জন নিহত হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সে হিসাবে বলতেই পারি শান্তি রক্ষী হিসাবে ভারতে বাংলাদেশি সেনা মোতায়ন প্রয়োজন। কেননা আমরা জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সেরা হিসাবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছি বহু বছর।

লেখকঃ সজল রহমান
নাট্যকর্মী ও সচেতন বাংলাদেশী নাগরিক
ঢাকা, বাংলাদেশ

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:২৭

সরকার পায়েল বলেছেন: মানুষ অতিরিক্ত ভয় পেলে পাগলের মত আচরণ করা শুরু করে একে কামড়ায় তার মাথায় বারি দেয় অযথাই সবাইকে ধাওয়ায় ‼️বর্তমান এন জি ও সরকারের আচরণ ঠিক এমন এত ভীত হলে আরও বড় বড় ভুল করে বসবে l

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৫

মোহাম্মদ সজল রহমান বলেছেন: ভয় নয় চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে।
বাংলাদেশের সাধারণ কিংবা ভারতের সাধারণ মানুষ যতটা দেখার সুযোগ হয়েছে, তাদের মাঝে দু দেশের প্রতি ভালোলাগা দেখিছি। তবে রাজনৈতিক ফায়দা নেবার জন্য বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ ও ভারতের বিজেপি দু দেশকে দুটো রাজনৈতিক দলের ভাবতে শুরু করেছিল। আর সেই ফায়দা নিতে গিয়ে আজ এই অবস্থায় উপনীত হয়েছি।
ভারতের কোন প্রতিবেশীর সাথে ভাল সম্পর্ক নেই সুতারাং ভারতের উচিত বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার বন্ধকরা। না হলে দু পক্ষের অশান্তির কারণ হবে।

আর আপনি এন জি ও সরকার বলেন বা অন্যকিছু, সরকার এখন পর্যন্ত এমন কিছু করেনি যা বিগত সরকারের মত ভয় পেয়ে সব দাদাদের কাছে ইজারা দিয়ে দিবে। দেশটা আমাদের সকলের, অন্যদেশ ইস্যুতে শুধুই বলবো ওটা বিদেশ, যদিও সেখানে আমার আপনার কিংবা আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন।
ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৬

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যকে এতটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে নেয়ার সুযোগ নাই। বর্তমান সরকারের নিরাপত্তা স্ট্যটেজি কি তা বোঝা যাচ্ছে না। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। আমরা এখন জানিনা আন্তর্জাতিক মিত্র হিসাবে কোন দেশ আমাদের পাশে আছে। মমতা ব্যানার্জি বরং বাংলাদেশের ভালই চেয়েছে বলতে হবে।

United Nations Peacekeeping helps countries torn by conflict create conditions for lasting peace. Peacekeeping has proven to be one of the most effective tools available to the UN to assist host countries navigate the difficult path from conflict to peace. পিস কিপিং টীম এসে বরং নিজ চোখে দেখুক কি হচ্ছে আমাদের দেশে । তারা পাশে থাকলে সত্য সংবাদ প্রচার হতে সুবিধা হবে এবং নির্বাচন না হওয়া অবধি দেশে শান্তিপুর্ন পরিবেশও বজায় থাকবে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

মোহাম্মদ সজল রহমান বলেছেন: যারা বলেছেন কথাগুলো তাদের নিজেদের দেশের অবস্থাগুলো আগে দেখতে বলেন। দক্ষিণ ভারত, আসাম, মনিপুর,মিজোরাম এর ইতিহাস আর বর্তমান অবস্থার দিকে নজর দিবেন আশাকরি।

বাংলাদেশ এখনো ভারত পাকিস্তান থেকে ভালো আছে। শুধু লুটেরা যা নিয়ে গেছে সেগুলো ফেরত আসলেই হবে। তাদের নিয়ে কিছু বলে যাবেন আশাকরি।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩১

মেঘনা বলেছেন: সবই তো ঠিক আছে, কিন্তু চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজ ঠিক কী রাষ্ট্রদ্রোহ করল সেটা আমার মাথায় এখনো ঢুকে নাই। একটু বুঝাইয়া কন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

মোহাম্মদ সজল রহমান বলেছেন: চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীসহ (৩৮) ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে।
সুত্রঃ Click This Link

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তীকালে, ১৯৭২ সালে পতাকা আইন করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুলাই মাসে আইনটি সংশোধিত হয়, যার পেছনে মূল পর্যবেক্ষণ ছিল বিশেষত নাগরিকদের অজ্ঞতার কারণে জাতীয় পতাকার অবমাননা। সংশোধনীতে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত শাস্তি এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়। না জেনে, না বুঝে আর অতি-উচ্ছ্বাসে যারা পতাকার ব্যবহারবিধি লংঘন করেন, তাদের অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে এ শাস্তিবিধান যথাযথ হতে পারে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বাণিজ্যিক প্রচারণায়, বিজ্ঞাপনে জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধিবহির্ভূতভাবে করে থাকে, সে জন্য ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ন্যায়সঙ্গত নয়। অপরাধের মাত্রা ভেদে অর্থদণ্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি করার আইনি বিষয়টি রাষ্ট্র বিবেচনায় আনতে পারে।

আপনাদের চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজা একজন জ্ঞানী ও বিচ্ছক্ষন (আপনাদের ভাষ্যমতে) ব্যাক্তি, তিনিও নিশ্চয় জানতেন যে জাতীয় পতাকার উপরে অন্য কোন সগঠন বা দলের পতাকা উত্তোলন জাতীয় পতাকা অবমাননার সামিল। আর রাষ্ট্রের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিষয়ে একজন নাগরিক মামলা করেছেন। বিচার চলমান রয়েছে। যেহেতু বিচার ব্যবস্থা নিয়ে গত ১৫ বছরে আপাদের আস্থা ছিল সেহেতু এখনো রাখেন। অপরাধী না হলে মুক্তি পাবেন। তবে আপনাদের ভয় কেন এত ! সব কিছুতে ভারতকে টেনে ঘরে বসাতে চান? আপনাদের মহারাজের তো আগেই গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন ছিল, কেননা তিনি খুনি হাসিনা সরকার গুনকির্তন করতে করতে বিভোর থাকতেন। প্রমাণ প্রয়োজন হলে প্রচুর ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে দেখে নিবেন।
যেখানে ইসকন নিজে বলছে, আপনাদের মহারাজের দায়িক্ত নিবে না। সেখানে কেন ভাই আপানারা দেশটাকে খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

এই তথ্য আপনাকে তিপ্ত করতে পারবে না জানি, আপনি একজন আইন বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিবেন আশাকরি।

আর আরেকটা কথা ভারত তার নিজের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে ব্যার্থ সেখানে তাদের সাহায্য চাওয়াটা বোকামি। একটু দক্ষিণ ভারত, আসাম, মনিপুর,মিজোরাম এর ইতিহাস আর বর্তমান অবস্থার দিকে নজর দিবেন আশাকরি।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: গোটা ভারত জুড়ে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা উচিৎ।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫

মেঘনা বলেছেন: জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, জাতীয় স্মারক.... অবমাননার দায়ে চিন্ময় বাবুর আগে আর কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন কী বাংলাদেশে?

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৩

মোহাম্মদ সজল রহমান বলেছেন: গ্রেপ্তার না হলে কি গ্রেপ্তার হবে না এটার কি কোন ভিত্তি আছে বলে মনে করেন?

আর আগেও মামলা হয়েছে। সূত্র : https://www.banglanews24.com/print/844166

এই আইনের কার্যক্ষমতা অপরাধের এবং অপরাধীর উপর নির্ভর করে। তাছাড়া আপনাদের বাবু যে ভালো লোক নন অর্থাৎ সুবিধাজনক লোক নন সেটা প্রমাণিত। আর যার জন্য একটা দেশ যুদ্ধ যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে সে অন্তত বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

মেঘনা বলেছেন: যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব একটা দেশ তখনই করে যখন তার নিজের ঘরে সমস্যা আছে । ভারত বড় দেশ তার অনেক মাথাব্যথা আছে তার মাথাব্যথা নিয়ে আমার সমস্যা নাই। কিন্তু বাংলাদেশের কি এমন সমস্যা হল যে বাংলাদেশকে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব নিতে হবে।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

মোহাম্মদ সজল রহমান বলেছেন: জানামতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বা সংঘাতের কোন কথা বলে নাই। বিভিন্ন সূত্রমতে বরং প্রতিবেশী দেশটি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধের রসদ মজুদে ব্যস্ত আছে। বাংলাদেশের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এটা বলেছেন যে তারা বাংলাদেশের উত্তর সীমান্ত ও উত্তর পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ঊর্ধ্বতন সামরিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বরং পরিকল্পনার কথাও বলেছেন, যে কত সময়ে কতটা জায়গা দখলে নিতে পারবে। ভারতের মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে চট্রগ্রাম দখল করবে তেমন নিউজ। প্রচার হচ্ছে হিন্দু দেশ বলে নতুন দেশের মানচিত্র যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বর জন্য হুমকি স্বরুপ।
এত কিছুর পর যদি চোখ বন্ধ করে এক মহারাজের মুক্তির আরাধনায় মগ্ন থাকেন তবে আপনাকে জাগাবে কে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.