![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় দেখতাম বাবা-মা স্কুলে যাওয়ার সময় শার্টের সবার উপরের বোতামটা ছাড়া সব বোতাম ঠিক-ঠাক লাগিয়ে, চুলে তেল দিয়ে সিঁথি করে দিয়ে আঁচড়িয়ে স্কুলে পাঠাইতো। স্কুলে গিয়ে সেই ছেলে স্পেশাল হেয়ার স্টাইলের জন্য মুর্গি/মফিজ/আবুল.........ইত্যাদি উপাধি পাইতো। এই ছেলেগুলো একটু বড় হয়ে আর চুলে তেল দিতো না, সিঁথি করতো না, শার্টের উপরের প্রথম দুইটা বোতাম খুইলা রাখতো; যেইটা আমরা স্টাইল বইলা জানতাম।
নিতান্তই চোখে সমস্যা না থাকলে কেউ চশমা পড়তোই না, চোখের সামনে বাউন্ডারি হয়ে থাকা দুই খন্ড কাঁচ আসলেই বিরক্তিকর, আমার চশমাওয়ালা জীবনের ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতেসি।
এই যুগের পর স্টাইল হইসিলো শার্টের আরো দুই-একটা বোতাম খুলে রাখা, বড় বড় চুল, ড্যামকেয়ার একটা ভাব। কেউ কেউ স্মার্টনেসের গরমে পাছায় বাতাস লাগানোর জন্য অর্ধেক উদামই রাখতো। Ass crack ইউ নো!! সেই যুগও স্বরগবাসী হয়েছে কিছুদিন হয়।
যুগ বলদাইসে, আমাদের জানাশোনাও হালনাগাদ করার টাইম হইসে। এখন পুলাপাইন শার্টের সব বোতাম-ই লাগায়, ইভেন সবার উপরেরটাও!! মোটা ফ্রেমের গোল গোল কিম্ভূতকিমাকার চশমা পইড়া নার্ড লুক আনে; দেখলেই বুঝতে পারি এইটা ফ্যাশন চশমা, সানগ্লাস হ্যাজ বিকাম ঠু মাচ মেইনস্ট্রিম দিজ ডেইজ। আরো অনেক কিছুই করে হয়তো, আমি এতো কিছু বুঝলে স্মার্টই হইয়া যাইতাম এতোদিনে। থাক সেই সব কথা।
এদের দেইখাই আমার মাঝে-সাঝে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। বাপ-মা তখন স্মার্ট বানাইতে চাইসিলো, কপালদোষে হইতে পারি নাই, আপ্সুস!! পিতাজি বলেছেন, "বেশি বুঝলেই ভ্যাজাল।"
©somewhere in net ltd.