নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিকশাও তেল খায়...আর মানুষ তো মানুষই

চাঁপাডাঙার চান্দু

অ আ ক খ গ

চাঁপাডাঙার চান্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময় Building-7 or WTC-7 Collapse (একটি ৯/১১ সম্পর্কিত জ্ঞান বিষয়ক পোষ্ট)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ৯/১১ অথবা টুইন টাওয়ার হামলা সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশী জানি। এমন কি সেদিন পেন্টাগনে বিমান নিয়ে হামলার কথাও সবাই জানি। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ৭ অথবা বিল্ডিং সেভেনের কথা আমরা কয়জন জানি??

নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার তথা বিল্ডিং-১ এবং বিল্ডিং-২ দুটো ধ্বসে পড়েছিল নিউইয়র্ক সময় সকাল পৌনে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মাঝে। কিন্তু এর ৭ ঘন্টা পর সেদিন বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ৭৪৩ ফুট উঁচু ৪৭ তলার বিল্ডিং-৭ ও ঠিক একই ভাবে ধ্বসে পড়ে। অথচ সারা দুনিয়াতে এই ঘটনা ধরতে গেলে বেমালুম চেপে যাওয়া হয়, খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ঘটনার ৫ বছর পর এক জরিপ চালিয়ে দেখা যায় ৪৩% আমেরিকানই বিল্ডিং সেভেন ধ্বংস হবার কথা জানেই না।

এখন আসুন বিল্ডিং সেভেন এর চাঞ্চল্যকর ফ্যাক্টসগুলো জেনে নেই।

- বিল্ডিং সেভেনে কোন বিমান আঘাত করেনি।

- নীচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন মূল টুইন টাওয়ার দুটো হতে বিল্ডিং সেভেন বেশ দূরে অবস্থিত। মাঝে বিল্ডিং-৫ এবং বিল্ডিং-৬ অবস্থিত।



- বিল্ডিং-৫ এবং বিল্ডিং-৬ অনেকগুণ বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সেগুলোর কোনটিই ধ্বসে পড়েনি।

- এই বিল্ডিংটিও বাকি দুটোর মতো ফ্রি কলাপস করেছে ভিতরের দিকে, কোন দিকে হেলে যায়নি; যা নিয়ন্ত্রিত ভবন ধ্বংসের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।

- বিখ্যাত ডাচ ডেমোলিশন এক্সপার্ট ড্যানি জোয়েঙ্কো ২০০৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটির ফুটেজ দেখেই বলেন এটি কন্ট্রোলড ডেমোলিশন (Controlled demolition)। অথচ তিনি সেই মুহূর্তে জানতেও না এটি ৯/১১ এ ধ্বংস হওয়া একটি বিল্ডিং। সেই সময় এটি বেশ আলোড়ন তুললেও ঘটনার রেশ তখনি শেষ হয়ে যায়নি।

- ৫ বছর পর “৯/১১ একটি স্যাবোটাজ”, এই মতবাদের স্বপক্ষের জেফ হিল নামক একজন ব্লগার ফোন করে ড্যানি জোয়েঙ্কার একটি সাক্ষাৎকার নেয়। মাত্র এর তিনদিন পরেই এক রহস্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় ড্যানি নিহত হন। সম্পূর্ণ ফাঁকা একটি রাস্তায় ড্যানির গাড়ি একটি গাছের সাথে গিয়ে ধাক্কা খায়। সর্বত্রই এটি জিওনিস্ট কিলিং হিসেবে প্রচার পায়।

- সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিটি ঘটায় বিবিসি। এদের রিপোর্টার যখন জানাচ্ছিল বিল্ডিং ৭ ধ্বসে পড়েছে, তখনো তার মাথার পিছনে বিল্ডিং ৭ দেখা যাচ্ছিল। অর্থাৎ সে একটি আগে থেকেই বানানো স্ক্রিপ্ট পাঠ করছিল। নীচের ছবিতে রিপোর্টার মহিলার পিছনের লাল বৃত্তের মাঝে ভবনটিই বিল্ডিং সেভেন। সেই সাথে নীচের স্ক্রলে ব্রেকিং নিউজটি খেয়াল করুন।



- ৯/১১ হামলার তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে কোথাও বিল্ডিং সেভেন এর কথা আসেনি।

- অপর একটি তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, দীর্ঘ সাত ঘন্টা আগুন জ্বলার কারণেই বিল্ডিংটি ধ্বসে পড়েছে। টুইন টাওয়ারে নিউইয়র্ক ফায়ার ব্রিগেড বিপুল জানমাল হারানোর পর হয়তো বিল্ডিং সেভেনের আগুন নেভানো তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু আগুনে এতো বড় ভবন ৭ সেকেন্ডে কন্ট্রোল ডেমোলিশনের মতো ধ্বসে পড়বে সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয় কিছুতেই।


৭ ঘন্টা আগুনে জ্বলার পর ৭ সেকেন্ডে ধ্বসে পড়ে বিল্ডিং ৭

টুইন টাওয়ার হামলা আমেরিকান সরকার এবং ইহুদিবাদীদের পরিকল্পিত নাটক এই প্রোপ্যাগান্ডা দীর্ঘদিনের। একসময় আমেরিকানরা বলতো এটা মুসলিম কান্ট্রি এবং এন্টি সেমিটিকদের বানানো গপ্পো। কিন্তু বিশ্বাস করবেন না, যারা অনলাইনে নিয়মিত ঘুরা ফেরা করে এমন আমেরিকানদের বেশীরভাগই এখন এটাই বিশ্বাস করে যে টুইন টাওয়ার এবং বিল্ডিং সেভেন কন্ট্রোলড ডেমোলিশন। বিশেষ করে ২০০১ সালের ২৪শে জুলাই ইহুদী ধনকুবের ল্যারি সিলভারস্টাইনের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ইজারা লাভ এবং মাত্র ১ মাস ১৮ দিনের মাথায় এই হামলা, যার ফলে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ লাভ, সব কিছুই ইহুদীদের প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। খোদ আমেরিকান খ্রিস্টানদেরও ইউটিউবে এসে সাক্ষ্য দিতে দেখেছি, তাদের পরিচিত ইহুদীরা সেদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে কাজে যায়নি।


ল্যারি সিলভারস্টাইন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কোন ঘটনাই এর মতো পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে দিতে পারেনি। ৪০ বছর ধরে চলা কোল্ড ওয়ারের ভূমিকাও এর তুলনায় বেশ কম। সেদিন ৩ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, পরবর্তীতে আরও কয়েক মিলিওন লোক মারা গেছে এর প্রেক্ষিতে এবং এখনো যাচ্ছে।
হয়তো স্বীকার করার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, কিন্তু সত্যটা একদিন প্রকাশ পাবে বলেই বিশ্বাস। বিশেষ করে নিজেদের মানুষ হত্যা করে কেউ পৃথিবী আর তেল দখল করতে গিয়েছে, এটা ইয়াং জেনারেশনের অনেকেই মানতে পারছে না।


নাইন ইলেভেনের ৬ মাস আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একটি এরিয়াল ভিউ। টুইন টাওয়ারের সামনে লাল বিল্ডিংটিই বিল্ডিং সেভেন।

ভিডিও
বিল্ডিং সেভেন ধ্বসে পড়া- https://www.youtube.com/watch?v=bWorDrTC0Qg
ধ্বংসের আগেই বিবিসির সেই রিপোর্ট- https://www.youtube.com/watch?v=s0qdLoobkUI
ড্যানি জোয়াঙ্কোর সাক্ষাৎকার- https://www.youtube.com/watch?v=k3DRhwRN06I

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

নতুন বলেছেন: । খোদ আমেরিকান খ্রিস্টানদেরও ইউটিউবে এসে সাক্ষ্য দিতে দেখেছি, তাদের পরিচিত ইহুদীরা সেদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে কাজে যায়নি।

এমন ঘটনা ঘটার সময় খুবই অল্প কয়েকজনই জানবে। তাই সাধারন ক্রমীরাও হামলার কথা যানতো এবং কাজে যায়নাই এটা ঠিকনা। এমন ঘটনা হলে ইহুদীরাও মারা যাবে। ওটা ওদের কাছে কিছু না।

তবে ৯/১১ এর হামলার ব্যপারটা অবশ্যই সাজানো। যুক্তি প্রমান তাই বলে।

পাশের ভবন ধসে পড়ার দৃশ্য আর নিয়ন্ত্রিত বোমা দিয়ে ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য একই।

সত্য একসময় সামনে আসবে আশা করি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: আমি ইউটিউবে দেখলাম ওদের ঝগড়া। কে জানে কতোটুকু সত্য। তবে অনেক ইহুদি মারা পড়েছিল সেদিন। প্রায় শ'চারেক হবে। আর কেউ কি আসলেই অনুপস্থিত ছিল কি না, দুই একটা অফিস আসলেই ছুটি দিয়েছিল কি না, এটা নিয়ে তেমন কিছু পেলাম না।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট
ভালো লাগলো ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। কেমন আছেন? দেখি না কেন ইদানীং আপনাকে!!

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ
ব্লগে আছি তো ফেবু ভেরিফিকেশনে পরে আছে তাই সেদিকে যাওয়া হয় না ।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নিজের লোকদের এইভাবে মারবে? বিশ্বাস করতে কস্ট হয়। আগ্রহ নাই, তাই এই সম্পর্কিত লেখা দেখলেও পড়তে ইচ্ছা করেনাই। তবে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ইশারা অথবা সায় ছাড়া এমন কিছু হইতেই পারেনা। সে সবই জানে সবসময়। সত্যি হইলে বুশ জানতো। বুশের চেহারা দেইখাই আমার শয়তানের মতো লাগে। ওবামা ক্লিনটনরে ভালোলাগে। বিশ্বের শান্তির জন্য ডেমোক্রাটরা ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.