নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিকশাও তেল খায়...আর মানুষ তো মানুষই

চাঁপাডাঙার চান্দু

অ আ ক খ গ

চাঁপাডাঙার চান্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Protofeminist বা প্রাচীন নারীবাদী

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১০

প্রায় সকল কিছুর মতোই নারীবাদেরও একটি সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। বিশ্বের প্রথম নারীবাদীর সাথে পরিচিত হতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে প্রায় ৪ হাজার বছর। নগর সভ্যতার শুরু থেকে গত ১৮ শতক পর্যন্ত নারী সমাজের উন্নতিতে কাজ করা এসব ব্যক্তিদের প্রোটোফেমিনিস্ট বা আদি নারীবাদী হিসেবে অভিহিত করা হয়।

একটি চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে মানব সভ্যতার পালাবদলেই নারী কখনো তার সম্মান হারিয়েছে, আবার কখনো মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। তুলনামূলক কম শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও শিকার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই অতিকায় শিকারকে বধ করেছে।
কিন্তু ১০,০০০ খ্রিস্ট পূর্বে কৃষির আবিষ্কারের সাথে সাথে সামাজিক সাম্যাবস্থায় বিচ্যুতি ঘটে। অধিক পরিশ্রম এবং ভারী কাজের জন্য ফসলের মাঠে নারীর বিচরন কমে যায়। বেশীরভাগ সমাজেই নারীর পরিচয় হয় শুধুই সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে এবং গৃহস্থালি কাজের জন্য। কিন্তু এই অবস্থা সব সময় একরকম থাকেনি, বিভিন্ন যুগে নারীর প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের দ্বারা এই পরিবর্তন হয়েছে।

এই ব্লগ পোস্টে মূলত প্রাচীন সমাজিক প্রেক্ষাপট ও বিভিন্ন ধর্মীয় আবহে নারীর অবস্থান এবং অনেক বিস্মৃত প্রোটোফেমিনিস্টদের ভূমিকা তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য। সে সময়ের প্যাগান সমাজে একজন সাধারণ নারীর মর্যাদা কেমন ছিল তা ভাইকিংস, গেম অব থ্রোনস অথবা প্রাচীন রোমানের স্পার্টাকাস জাতীয় সিরিয়ালগুলোতে দেখতে পাবেন। এর মাঝেই বিভিন্ন সময় প্রাচীন সুমেরীয়, ব্যাবিলন ও গ্রীসের সমাজ সংস্কারকরা নারীর উন্নতিতে অবদান রেখেছেন।
তো পরিচিত হওয়া যাক এই ইতিহাস বিখ্যাত নারীবাদীদের সাথে।

আকাদিয়ান সম্রাট সারাগন (Sargon of Akkad); ২৩৩৪-২২৭৯ খ্রিষ্টপূর্ব
বেশীরভাগই সম্রাট সারাগনকে নারীবাদীদের তালিকায় রাখতে চাইবে না। কিন্তু মানব ইতিহাসের প্রথম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সুমেরীয় সভ্যতার সম্রাট সারগন একটি বিশেষ কাজের জন্য অবশ্যই এই তালিকায় আসার যোগ্যতা রাখেন।
ইউফ্রেটিস-টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী কৃষি ভিত্তিক নগরগুলো মোটেই নারীদের জন্য আদর্শ জায়গা ছিল না। প্যাগান সমাজে উর্বরতাই ছিল তাদের মূল মর্যাদা। এদিকে উত্তরে ভূমধ্য সাগর হতে দক্ষিনে পারস্য সাগর পর্যন্ত বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সারাগনের মাথার উপর ছড়ি ঘুরানোর ক্ষমতা রাখতো শুধু প্যাগান পুরোহিতরা।

প্রাচীন প্রত্নশিলা এবং শিল্পির তুলিতে এন-হেদুয়ান্না

আর তাদের এই ক্ষমতা খর্ব করার জন্যই হোক অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্যেই হোক সারাগন চন্দ্র-দেবতার প্রধান পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ দেন নিজ কন্যা এন-হেদুয়ান্না’কে(Enheduanna)। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর সারাগনের এই নিয়োগ কতোটা দুঃসাহসী ছিল বলার অপেক্ষা রাখে না। হয়তো নারী সমাজে এর কোন তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েনি, কিন্তু এন-হেদুয়ান্না’র ভূমিকা ছিল সুদূরপ্রসারী। বিশ্বের প্রথম কবি, রচয়িতা, বর্ণনাকারী হিসেবে স্বীকৃত এই পুরোহিত রাজকুমারী যে প্রাচীন যুগে অনেক নারীর আদর্শ হয়েছিলেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর অনেকে স্বজনপ্রীতি হিসেবে দেখলেও একজন নারীকে প্রধান পুরোহিত বানানোর জন্য সম্রাট সারাগন ইতিহাসের প্রথম নারীবাদী হিসেবেই সম্মানিত হবেন।

কিং গুডিয়া (King Gudea); রাজত্ব- ২০৮০-২০৬০ খ্রিষ্টপূর্ব
তখনো সাধারণ নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নি। স্ত্রী-রক্ষিতার মাঝে তফাৎ ছিল না খুব একটা। বরং রক্ষিতাদের স্বাধীন জীবনের তুলনায় স্ত্রীদের উদয়াস্ত সংসারের হাজারো কাজ করতে হতো। একজন পুরুষের যথেচ্ছ বেশ্যাগামী হবার অধিকার ছিল, কিন্তু এক্ষেত্রে নারীদের একমাত্র শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। স্বামী বা পিতার মৃত্যুতে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হওয়া থেকেও সম্পূর্ণ বঞ্চিত হতো নারীরা।
সাধারণ নারীদের এমন অবস্থার উত্তরণে সর্বপ্রথম পদক্ষেপ নেন সুমেরীয় নগর লাগাশের রাজা গুডিয়া। ছেলেদের মতো মেয়েদেরও সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবার আদেশনামা জারি করেন এই মহান রাজা। বিধবা, এতিম, দুঃস্থ নারীদের জন্য অসীম কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে এই আইন।
গুডিয়া সিলিন্ডার বলে সুপরিচিত দুটি পোড়ামাটির সিলিন্ডার এবং কিছু শিলা খন্ডে পাওয়া যায় কিং গুডিয়ার আইন এবং আরাধনার বর্ণনা সমূহ।

রাজা গুডিয়ার সিলিন্ডার

ব্যাবিলনের রাজা হাম্মুরাবি (King Hammurabi); রাজত্ব- ১৭৯২-১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্ব
বিভিন্ন আশ্চর্য নির্মান শিল্প উপহার দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাবিলন সাম্রাজ্যের অন্যতম অবদান ছিল মানব ইতিহাসে প্রথম পরিপূর্ণ আইন প্রণয়ন। ইতিপূর্বে সুমেরীয় নগর রাজ্যগুলোতে নিজস্ব আইন বা কোড প্রচলিত থাকলেও কোনটাই ব্যাবিলনের দিগ্বিজয়ী রাজা হাম্মুরাবির মতো এতোটা সুলিখিত, ব্যাপৃত এবং বৈষম্যহীন ছিল না।

চেয়ারে বসা ব্যাবিলন গড শামাস/মারদুকের উদ্দেশ্যে আইনমালা উৎসর্গ করছেন রাজা

পোড়া মাটি এবং শিলায় উৎকীর্ণ ৪১৩০ লাইনে রাজার নির্দেশ মতো ২৮২টি আইন বা কোড লিপিবদ্ধ করা হয়। এর মাঝে ধারা ১২৭ হতে ১৯৪ পর্যন্ত মোট ৬৮টি কোড প্রণীত হয়েছিল শুধুমাত্র পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য। বিয়ে, তালাক, দেনমোহর, অসুস্থ স্ত্রীর সেবা, এই সবই স্থান পেয়েছিল ইতিহাস বিখ্যাত ‘হাম্মুরাবি কোডে’। এমনকি পরবর্তী ধর্মমতগুলোতেও এই আইনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়।

গ্রীক দার্শনিক প্লেটো (Plato); ৪২৭-৩৪৭ খ্রিষ্টপূর্ব

গ্রীক দার্শনিক প্লেটো

প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক প্লেটো একজন প্রথিতযশা নারীবাদ হিসেবে অনেকের কাছেই গৃহীত। দি রিপাবলিক গ্রন্থে তিনি যে আদর্শ রাষ্ট্রের বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে নারীরা যে কোন ক্ষেত্রে পুরুষের সমান ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। তিনি পশু সমাজের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, আমরা তো শুধু পুরুষ কুকুরকে দিয়ে পাহারা দেওয়াই না, এতো এতো বাচ্চা দেওয়ার পরেও স্ত্রী কুকুর পাহারা, শিকার, সব কাজই করে যাচ্ছে। উনি নারীদের শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করায়, আধুনিক নারীবাদীদের চোখে তিনি মিঃ পারফেক্ট ফ্যামিনিস্ট হতে পারেনি।
আর প্লেটোর নারীবাদ তত্ত্ব অনেকটাই ম্লান হয়ে যায় পরবর্তীতে উনার জগদ্বিখ্যাত, তীব্র নারীবিদ্বেষী ছাত্র এরিস্টটলের কল্যাণে।

আব্রাহামিক ধর্মের প্রবর্তক বৃন্দ
একটা দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছাড়া খ্রিষ্ট এবং ইহুদী, কোন ধর্মের প্রবর্তকেরই ঐতিহাসিক প্রমাণাদি পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থই তাদের ব্যাপারে জানার মূল তথ্য সূত্র। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে যথেষ্ট ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও মুসলমানেরাও ধর্মীয় নেতাদের বক্তব্যকেই তথ্যের একমাত্র উৎস বলে মনে করে। তাই অথেন্টিসিটি নিয়ে তাদেরও গর্ব করার কোন সুযোগ নেই।

হযরত মুসা আঃ (Moses); আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩শতক থেকে ১৬শতক এর মাঝে

ইতিপূর্বে বলেছিলাম ব্যাবিলনিয়ান রাজা হাম্মুরাবির আইনমালা পরবর্তী ধর্মমতে প্রভাব ফেলেছে। মুসা নবীর টেন কমান্ডমেন্টসেও নারীর দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার বিষয়গুলো এসেছে; বরং ইহুদী ধর্মে নারীকে পুরুষের প্রায় সমকক্ষ হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। ক্রিতদাসের ঘরে জন্ম ছিল বিধায় মোজেস বা মুসা নবী তাদের প্রতি অনেক উদার ছিলেন। এক্ষেত্রেও একজন পুরুষ ক্রিতদাসের পূর্বে একজন নারী ক্রিতদাসের মুক্তির বিধান আছে তাওরাতে। এসব বিবেচনায় হযরত মুসা আঃ কে আদর্শ নারীবাদী বলাই যায়।

যিশু খ্রিস্ট (Jesus); খ্রিষ্টপূর্ব ০৪ – আনুমানিক ৩৩ খ্রিষ্টাব্দ
শুধুই মাতৃ সাহচর্যে জন্ম এবং বড় হওয়া যিশু খ্রিস্ট নারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন সেটা সহজেই অনুমেয়। বাইবেলের গস্পেলগুলোতে উনার সাথে অনেক নারীর ঘটনাক্রম পাওয়া যায়। যার মাঝে রোগ সাড়িয়ে তোলা থেকে বিধবার মৃত সন্তানকে ফিরিয়ে দেবার মতো মিরাকলীয় ঘটনাও রয়েছে। যেহেতু বাকি দুই ধর্মের প্রবর্তকের মতো যিশু খ্রিস্ট কোন গোত্র বা অঞ্চলের শাসক ছিলেন না, তাই উনার কোন সরাসরি নির্দেশ বা বিধান সচরাচর মিলে না। তাও বাইবেলে অসংখ্য নারীর ঘটনা বর্ণনা হতে বুঝা যায়, নারীরা সেসময় অনেক স্বাধীন ছিল এবং ইচ্ছাপূরণ বা পূণ্য কামনায় যিশু খ্রিস্টকে স্পর্শ করার অনুমতিও তাদের ছিল।


মেরি মেগডালিয়ান
এক্ষেত্রে ম্যারি মেগডালিয়ানের (Mary Magdalene) কথা না বললেই নয়, যাকে আমরা ভিঞ্চি কোডের মাধ্যমে অনেকেই চিনেছি। ক্রুশবিদ্ধ হবার আগ পর্যন্ত যিনি যিশুর পাশে ছিলেন এবং ১৯৬৯ সালে ক্যাথলিক চার্চ তাকে দুশ্চরিত্রার পরিবর্তে যিশুর পবিত্র অনুসারী বলে রায় দেয়। পরবর্তীতে ধামাচাপা দেওয়া হলেও যিশুর অনুসারীদের মাঝে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই।

হযরত মুহাম্মদ সাঃ, ৫৭০-৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ
আব্রাহামিক ধর্মের প্রবর্তকদের মাঝে সবশেষে আলোচনায় আসে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। কিন্তু বাকি দুই প্রবর্তকের তুলনায় উনার পরিপার্শ্বের একটা মোটা দাগের পার্থক্য শুরুতেই চোখে পড়ে।
প্রথমত মুসা নবী বা মোজেসের আবির্ভাব হয়েছিল মূলত মিশরীয় সভ্যতার স্বর্ণযুগ এর সময়। এবং দ্বিতীয়ত যিশু খ্রিস্টের জন্ম হয়েছিল আধুনিক নগর আইন মেনে চলা রোমান শাসিত অঞ্চলে। সেই তুলনায় প্রফেট মুহাম্মদ (সাঃ) পেয়েছিলেন আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে আখ্যায়িত বর্বর আরব ভূখণ্ড। আভিজাত সমাজে কিছুটা মর্যাদা পেলেও সমাজের নিম্নস্তরে মেয়েদের বাজারের পণ্য হিসেবে কেনাবেচা, কন্যা শিশুকে হত্যা করা এসব ছিল অহরহ ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে নারীদের স্বার্থে কার পক্ষে কতোটুকু করা সম্ভব হতো জানা নেই। তবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একজন নারীকেই প্রথম মুসলমান ধর্ম গ্রহণের সম্মান প্রদান করেন, তাদের বাজারের পণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করেন, সম্পত্তির উত্তরাধিকার হওয়ার হক প্রদান করেছেন এবং শিক্ষা গ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছেন।
মক্কা জয়ের পর নারীদের কোন রকম অত্যাচার নির্যাতনের মাঝে পড়তে হয়নি। এমনকি নিজের চাচা হযরত হামজা রাঃ এর কলিজা চিবিয়ে খাবার পরেও আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ বিনতে উতবাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। সেসময় যুদ্ধ, অভিযানেও মেয়েরা মুসলিম সাহাবাদের সাথে অংশ নিতো। উহুদের যুদ্ধে নবীকে রক্ষার জন্য চারপাশে ব্যূহ সৃষ্টিকারীদের মাঝে অন্যতম ছিলেন একজন নারী সাহাবা নুসাইবা বিনতে কা’ব।
পরবর্তী যুগে যাই ঘটুক, আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে হযরত মুহাম্মদ সাঃ একজন উদার নারীবাদী ছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।

সনাতন হিন্দু ধর্ম
যেহেতু সনাতন যুগে হিন্দু ধর্মের একক কোন প্রবর্তক পাওয়া যায় না। তারপরেও বিভিন্ন শাস্ত্রে নারীর জন্য কল্যাণকর বিধানের বর্ণনা রয়েছে। মনু স্মৃতি অনুযায়ী একজন পুরুষের তত্ত্বাবধানে নারীরাও সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়ে পারে। মহাভারতে আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে শিখন্ডির ভূমিকা দেখতে পাই। এছাড়া রাজকন্যাদের সয়ম্বর অনুষ্ঠানেও নারীদের নিজের বর নিজেই পছন্দ করার ক্ষমতাও দেখতে পাওয়া যায়। তবে উনিশ শতকে সতীদাহ রদ এবং বিধবা বিবাহ চালুর পূর্বে হিন্দুধর্ম নারীর স্বার্থ রক্ষায় কিছুটা পিছিয়েই ছিল বলা চলে।

রাজকন্যার সয়ম্বর

মধ্যযুগীয় প্রখ্যাত নারীবাদী
ক্রিস্টিন ডি পিৎসান (Christine De Pizan); ১৩৬৪-১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দ
খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতকের ইটালির এই রাজকবি পরিচিত ছিলেন ইউরোপের প্রথম ‘ওম্যান অব লেটার’ হিসেবে। রাজ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ঘটনাবলী নিয়ে উপদেশমূলক কাব্য রচনা করতেন তিনি। ফ্রান্সের গৃহযুদ্ধের সমকালীন তার লেখাসমূহ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।


তবে তার সবচেয়ে অসাধারণ দুটি কাজ ছিল The Book of the City of Ladies এবং The Treasure of the City of Ladies। তার মৃত্যুর শত বছর পর বই দুটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়। পরবর্তী শত শত বছর ধরে বই দুটি বিভিন্ন দেশে নারী লেখিকাদের উদ্বুদ্ধ করেছে নারী সমাজে জাগরনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে। আমাদের দেশের বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের অনেক সাহিত্যকর্মও এই রচনাগুলো থেকেই অনুপ্রেরণা পাওয়া।

ক্যাথরিন অব অ্যারাগন (Catherine of Aragon); ১৪৮৫-১৫৩৬ খ্রিষ্টাব্দ
১৫৪৮ সালে ইংল্যান্ডের ইটন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিকোলাস উদাল মন্তব্য করেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইংল্যান্ডের তরুণী মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণে যে উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তা ইতিপূর্বে কখনোই দেখা যায়নি। শিক্ষার খাতিরে তারা তাদের প্রিয় মুহূর্তগুলোও বিসর্জন দিতে রাজি”।

রাণী ক্যাথরিন
নারী সমাজের এই অভূতপূর্ব পরিবর্তনে সম্পূর্ণ অবদান ছিল ইংল্যান্ডের রাণী রাজা অষ্টম হেনরীর প্রথম স্ত্রী ক্যাথরিন অব অ্যারাগনের। উনার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে স্পেনের বিখ্যাত রাজ দম্পত্তি ইসাবেলা-ফার্ডিনান্ডের কন্যা তিনি। কলম্বাসের অভিযান, গ্রানাডায় মুসলিম পতন এমন অনেক কিছুর সাথেই জড়িত আছে এই দম্পত্তির নাম।
স্পেন-ব্রিটেনের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ক্যাথরিনের সাথে ব্রিটিশ যুবরাজ আর্থারের বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অল্প কয়েক মাসের মাথায় যুবরাজ মারা গেলে ছোট রাজপুত্র হেনরির সাথে ক্যাথরিনের বিয়ে হয়।
নিজের মাকে দেখেই ক্যাথরিনের ধারণা হয়েছিল উপযুক্ত শিক্ষা পেলে মেয়েরাও সব কিছু করতে পারে। ব্রিটেনের নারীদের অনগ্রসরতাও তাকে ব্যাথিত করতো।মূলত, নিজের একমাত্র কন্যা প্রিন্সেস মেরির জন্য মেয়েদের শিক্ষার উপযোগী বই প্রণয়নের নির্দেশ দেন। প্রখ্যাত ব্রিটিশ মানবতাবাদী টমাস মুর এবং শিক্ষাবিদ হুয়ান লুই ভাইভসের প্রচেষ্টায় এবং রাণী ক্যাথরিনের অকুণ্ঠ সমর্থনে ইংল্যান্ডে নারী শিক্ষার জোয়ার শুরু হয়। ডাচ দার্শনিক ইরাসমাসের নারীবাদী গ্রন্থগুলোও অনুবাদ করে ইংল্যান্ডের মেয়েদের পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
সমগ্র গ্রেট ব্রিটেন, এমনকি ইউরোপ জুড়েই নারী জাগরণের ঢেউ লাগে। আর ক্যাথরিন অব অ্যারাগন স্বীকৃত হন ব্রিটেনে নারী জাগরণের পথিকৃত হিসেবে।

পরিশেষ
আলোচ্য ব্যক্তিদের পরে এবং মধ্যবর্তী সময়ে আরও অনেকেই নারীদের উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে। স্বাভাবিক ভাবেই স্থানাভাবে ব্লগপোস্টে সবার কথা বলা সম্ভব নয়। যুগে যুগে নারীদের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অনেকেই সরব হয়েছেন, এখনো এই আন্দোলন চলছে। তবে বর্তমান যুগে মৌলিক অধিকারের সাথে আরও অনেক অধিকার, দাবীনামা সংযুক্ত হওয়ায় তর্ক বিতর্কের অবকাশও বেড়ে গেছে। আধুনিক নারীবাদীদের দৃষ্টিতে অনেক প্রাচীন নারীবাদীই নারী বিদ্বেষী বলে প্রমাণিত হবে। বেশীরভাগ ধর্মেরই প্রবর্তক পরবর্তী অনুসারীরা নারীদের অধিকারের প্রতি কঠোরহস্ত হয়েছেন, প্রবর্তকের শিক্ষা থেকে দূরে সরে এসেছেন।

পৃথিবীতে যে জাতি উন্নত হয়েছে তারা নারীদের অধিকার এবং মর্যাদা পূরণ করেই হয়েছে। নারীদের অধিকার অবজ্ঞা করার কোন সুযোগ নেই।
“আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দিবো”- যতোদিন পৃথিবীর বুকে মানুষ থাকবে নেপোলিয়নের এই অমর বাণী সত্য হয়েই থাকবে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: নবিজি জন্মের কত বছর আগে এরিস্টেটল এঁর জন্ম?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: গুগোলে দেখেন। এটার সাথে পোস্টের সম্পর্ক কি ভাই??

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:


এখন বিশ্বের কোন কোন এলাকার নারীরা দারিদ্রতায় ভুগছেন ও অসন্মানজনক অবস্হানে আছেন?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৭

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: ফ্যামিনিস্ট মুভমেন্ট দেখলে মনে হয় কার্দেশিয়ান বোনেরাও নির্যাতিত হচ্ছে। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত নারী অনেক দেশেই আছে। কোথাও পরিমাণটা অনেক বেশী, কোথাও কম। আমার মতে আর্থ-সামাজিক অবস্থাই এর প্রধান কারণ, পরে ধর্ম।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৬

বালিশ বলেছেন:




সোনাগাজী বলেছেন: এখন বিশ্বের কোন কোন এলাকার নারীরা দারিদ্রতায় ভুগছেন ও অসন্মানজনক অবস্হানে আছেন?
চাঁদু দাদা আপনার গৃহপরিচারিকার কেইসটা সমাধান হল? ফেঁসে জাননিতো?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩২

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: 8-| :``>> =p~

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোবুজ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের প্রবর্তকের কি কি ঐতিহাসিক প্রমান আছে?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৯

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: আপনার প্রশ্নটা আসলে হওয়া উচিত ছিল কেন মোজেস বা যিশুর ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। ঐতিহাসিক তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে, কে লিখেছে, কখন লিখেছে। সাথে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণাদি তো আছেই।
মুসা নবীর কথা প্রথম উল্লেখ হয় উনার মৃত্যুর কয়েকশো বছর পরে। কাজেই ততোদিনে আসল ইতিহাস পাওয়া যাবে না। মিশরীয় ইতিহাসের কোথাও এক্সুডাসের কথা নেই। একই ভাবে রোমান ইতিহাসেও যিশুর কথা বলা নেই। উনার মৃত্যুর ৬০-৭০ বছর পর প্রথম উনার কথা লিপিবদ্ধ হয়। আর হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবদ্দশাতেই উনার ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়। যুদ্ধ বা ঐতিহাসিক অনেক ঘটনায় তিন, চারটি সোর্স থেকে উনার অস্তিত্বের সত্যতা মিলে।
এখন প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাপার ধরলে, মুসা নবী প্রায় ৬ লক্ষ ইহুদী নিয়ে ৪০ বছর মরুভূমিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এই যাত্রাপথ, অস্থায়ী বসতির অনেক প্রমাণ থাকার কথা। সেরকম কিছুই কখনো পাওয়া যায়নি। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাড়ি, কবর, মসজিদ তো আছেই। উনার কন্যা এবং চাচার বংশধারায় কয়েকশো বছরের খিলাফতের ইতিহাসও আছে।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩১

জ্যাকেল বলেছেন: অনেক গবেষণা করেছেন বুঝাই যাইতেছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩২

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: হুম, অনেক অনেক পড়তে হইছে। আমার বেশীরভাগ পোস্টই এরকম, সময় থাকলে পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। :)

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমে আমি সোনাগাজী জায়গায় সোনাগাছি পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল ঠিকই আছে। যার যা রুচি। =p~
অনেক সুন্দর একটা তথ্যবহুল লেখা। নির্বাচিত পোস্ট হতে পারে এটা।
অভিনন্দন আপনাকে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি এখন সামুতে কিছু লিখলে আপনাকে নিয়ে একটু হলেও ভয়ে থাকি। :P
আপনার কমেন্ট পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। সময় করে আরো পড়ব -ইনশাআল্লাহ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইলো।

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাসুম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ! সেই পুরান দিনে নিয়ে গেলেন

কয়টা অব্জারবেশানঃ

১। হামুরাবি কোডে নারীকে যতটা সম্মান দেয়া হয়েছে এর চেয়ে বেশী অসম্মান করা হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হয়েছে, সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার টা সমাজে নারীদের তিনটা ক্লিয়ার শ্রেণী বিন্যাস ও করে দিয়েছিল। যেমন- যদি কোন নারী কোন পুরুষ কে খুন করে তাহলে তার জন্য চোখের বদলে চোখ, আর কোন পুরুষ যদি নারীকে খুন করে তাহলে সেটা সোনা বা রৌপ্য মূদ্রায় পরিশোধ করা যায়।

আবার যদি সেই নারী বা পুরুষ এলিট সোসাইটি বা মুক্ত দাস কিংবা এখনো দাস/দাসী হয় তাহলে আবার তাদের সাজাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়, এবং দেখা যায় নারী বা দাসী দের দিকেই বেশিরভাগ সাজা এসে পরে।

ইভেন সবচেয়ে জঘন্য আইন যেটা, ২১০ নাম্বার কোড অনুযায়ী, একজন পুরুষ যদি কোন ফ্রি বর্ন নারীকে আঘাত করে এবং সে নারী গর্ভাবস্থায় মারা যায় তাহলে সেটার শাস্তি হিসেবে সেই পুরুষের নিরপরাধ কন্যাকে খুন করার আদেশ দেয়া আছে, যেটা কোন ভাবেই নারীবাদ তো নয়ই বরং একটা অসভ্য বাদ। ১৯৪ নাম্বার কোড অনুযায়ী, যদি কোন শিশুকে কোন ধাত্রী বা নার্সের কাছে দেয়া হয় এবং সেই নার্সের কাছে থাকা অবস্থায় বাচ্চা মারা যায় তাহলে সেই নার্স বা ধাত্রীর ব্রেস্ট কেটে নেয়া হবে, এটা নারীবাদ তো নয়ই বরং একটা অসভ্যবাদ।

তবে এটা ঠিক, পরের ধর্ম গুলো মানে ক্রিশ্চিয়ান এবং ইসলামের অনেক উত্তরাধিকার আইন হামুরাবির কোড অফ ল থেকে নেয়া এবং অনুপ্রাণিত। ইভেন ইসলামের উত্তরাধিকার আইনের প্রায় অনেক কিছুই হামুরাবির থেকে ছায়া পাওয়া যায়।

সো, হামুরাবির আইনে বা কোডে নারীকে অধিকার যা দেয়া হয়েছে তা একদম নগন্য বরং অনেক বেশি অপ্রেসড করার কথা লিখিত আকারে পাওয়া যায়।

২। আইয়ামে জায়েলিয়াত এর বর্বর যুগঃ এটা একটা ইস্লামীক মিথ যে আইয়ামে জায়েলিয়াত এর যুগ অসভ্য ও বর্বর ছিল। যেহেতু ইসলামিক ইতিহাসবিদ রা বিজয়ী হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছে সো প্রাক ইসলামিক ইতিহাস কে বর্বর ও আইয়ামে জায়েলিয়াত দেখাতে পারলে ইসলামের প্রচার কে জাস্টিফাই করা যায় এই কারনে দেখা যায় এই যুগ কে বর্বর হিসেবে দেখিয়েছেন উনারা ( আমরা সবাই জানি ইতিহাস রচনা করেন বিজয়ী রা এবং তারা নিজেদের ন্যারেটিভ সাজান নিজের মত করে ) বরং অন্য যুগের মতই একটা নরমাল যুগ ছিল প্রাক আরব এবং প্রাক ইসলামিক আরব অঞ্চল এবং বিভিন্ন পলিটিকাল এবং সোসিওলজিকাল কারনে ইসলাম এর প্রসার ও প্রচার এর কারনে সেই প্রাক আরব কে বর্বর হিসেবে ইতিহাসের পাতায় ঠাই দেয়া হয় এবং সেটার সকল দাবিদার ইসলামিক ইতিহাসবিদ রা।
এটা ঠিক কন্যা শিশু কে কবর দেয়ার রীতি ছিল যদিও সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাস/দাসী কিংবা নীচু স্তরের মানুষ দের মধ্যে প্রচলন ছিল ( এটা ব্যাপক ছিল না , ব্যাপক হলে তো পুরা নারী গোষ্টি সহ বিলীন হয়ে যেত, বরং কিছু স্পেশাল কেইস ধরা যায় , বাট প্রচলন ছিল এটা সত্য এবং নবী মুহাম্মাদ এর পরবর্তী শাসনে সেটার প্রচলন অনেক কমে আসে এবং আস্তে আস্তে এই ধারা থেকে বের হয়ে আসে আরবের মানুষ রা )

৩। সনাতন ধর্মে নারী অধিকারঃ এই ধর্মে নারীদের কে যে পরিমান হেনস্থা করা হয়েছে তা দিয়ে আরো কয়েকটা মহাকাব্য লিখা যাবে। এই সেদিন ও রাজা রামমোহন রায়ের আগে জামাইর সাথে একই চিতায় জোর করে তুলে দেয়া হত সদ্য বিধবা স্ত্রীকে , কারন?? এক্টাই- যাতে স্বামীর সম্পদ সহজেই রিলেটিভস রা খেতে পারে চিন্তা ছাড়াই। এর পাশাপাশি নীচু বর্ণের পুরুষ নারী দের প্রতি সমহারে অত্যাচার তো আছেই । আর এখনো মেন্স্ট্রুয়াল সাইকেল এর সময় হিন্দু অনেক নারীকে ঘর থেকে বের করে গোয়াল ঘরে রাত কাটাতে হয় কিংবা এই ক দিন আগেও বাচ্চা হবার পর প্রুসুতি মায়ের নিজ ঘরে ফেরার অধিকার ছিল না ৪০ দিন কিংবা এখনো অনেক হিন্দু মন্দিরে নারীকে প্রবেশ করতে দেয় না কারন নারীর মেন্সট্রুয়াল সাইকেল হয় এই কারনে।

কিংবা খ্রিস্টান ধর্মেই নারীকে অপ্রেশান এর ভুরি ভুরি উদাহরণ পাওয়া যায় ইভেন ২০১৯ সালের , এপ্রিল এর ২ তারিখ।
খ্রিস্টান ধর্মের ধারক ও বাহক এবং সকল ক্ষমতার অধিকারী- পোপ ফ্রান্সিস ৫০ পাতার একটা “Apostolic Exhortation” প্রকাশ করেন।
সেখানে হাজার বছর ধরে চলে আসা নারীর প্রতি পুরুষের ডমিনেশান এবং অত্যাচার কে এড্রেস করেন এবং এটা স্বীকার করে নেন।
A living Church can look back on history and acknowledge a fair share of male authoritarianism, domination, various forms of enslavement, abuse and sexist violence,”
ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই এবং স্বীকার করে নিতে হয় যে, নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বলপ্রয়োগ, ক্ষমতার অপব্যবহার, ডমিনেশান, এবিউস, কারারুদ্ধ করে রাখা এবং অন্যান্য সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স।
এর সাথে আরো বলেন,
“A Church always on the defensive, which loses her humility and stops listening to others, which leaves no room for questions, loses her youth and turns into a museum,” he said

আর ইসলামের কথা কি বল্ব! কিছু বললেই তো ইসলামের ধারক ও বাহক রা ঝাপিয়ে পড়বে । শুধু এক্টাই বলার, এখনো এই ব্লগের অনেক মহিরহী স্ত্রীকে মৃদু প্রহার এর জন্য হাদিস কালাম খুলে উপায় খুলে বসে।

সো দেখা যায়, প্রতিটা ধর্মেই নারীকে অবদিমিত করে রেখেছে পুরুষ দের নিজের ধান্দায় এবং সেটাকে জাস্টিফাই করেছে নিজেদের ধর্মের বই দিয়ে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৪

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: সত্যি ভাই, এরকম একটা কমেন্টের জন্যই এই পোস্টগুলো লেখা স্বার্থক হয়। ব্লগের এরকম সময় এ ধরনের একটা মন্তব্য পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।

আপনার কথার সাথে সহমত, হাম্মুরাবি আইনে কিছু অসভ্যবাদ আছে। কিন্তু পারিবারিক বিষয়ে এতোগুলো ধারা থাকার জন্যই নারীর শাস্তির চেয়ে নিরাপত্তাটাই বেশী অর্জিত হয়। রাজাদের খেয়ালি আইন তো কিছু থাকবেই। আপনি যে দুটো উদাহরণ দিলেন সম্ভবত চাঞ্চল্যকর কোন অপরাধের প্রেক্ষিতে এরকম বিধান এসেছিল, যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আর লেখাটায় বারবার প্যাগান সমাজ এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যেন তফাৎটা বুঝা যায়। পুরোপুরি মুক্তি তো দূরে থাক, মৌলিক অধিকার পূরণ থেকেও অনেক দূরে ছিল প্রাচীন আইনগুলো। তারপরেও উত্তরাধিকার আইন, তালাক আইন, ইত্যাদি একটু হলেও স্বস্তি এনেছে।

ভাইয়ের ইসলাম, আরব বিষয়ক কথাগুলোর সাথেও একমত। পোস্টেও নীচু সমাজের কথা উল্লেখ করেছি। তবে প্রফেট মুহাম্মদ (সাঃ) এই নীচু দিকেও নজর দিতেন। যেমন পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের রানীর কথা বলেছি। নিজের রাজকন্যা মেয়ের জন্য করতে গিয়ে গোটা জাতিকে বদলে দিয়েছেন, ব্যাপারটা সেরকম ছিল না। আর আমি শুধু প্রফেটেই সীমাবদ্ধ থেকেছি। কারণ বাকিটা আসলেই হতাশাজনক। আপনি ঠিকই বলেছেন, অধিকাংশই মিথ ছাড়া কিছুই না। সম্ভব হলে আমার আগের পোস্টটা দেখবেন, নবী পরবর্তী মিথগুলো নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। ইসলাম নিয়ে খুব সাবধানেই লিখতে হয়।

তবে ভাই, আধুনিক নারীবাদও খুব স্পর্শকাতর বিষয়। ইনারাও একটু এদিক সেদিকে খুব প্রতিক্রিয়াশীল হয়। যেমন প্লেটো নারীবাদী না, যৌনবাদী ছিল; আধুনিক নারীবাদীদের এরকম লেখা বাংলা, ইংরেজি দুই ভাষাতেই পাবেন অনলাইনে। :)

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।
চমৎকার পোষ্ট।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৭

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বড় ভাই।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: গুগোলে দেখেন। এটার সাথে পোস্টের সম্পর্ক কি ভাই??

ভাই সাহেব সম্পর্ক আছে।
অবশ্যই সম্পর্ক আছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৭

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: ভালোমতো পড়েন। কোন সম্পর্ক নাই।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫০

সাসুম বলেছেন: প্রসংগ নারীবাদঃ আধুনিক ফোর্থ ওয়েব নারীবাদ একটা অভিশাপ বলা যায়। যখনই নারীবাদ নারীর সমঅধিকার এর দাবি ছেড়ে পুরুষবাদকে প্রতিস্থাপন করার কথা বলে তখন ই তা বিপদজনক। এই কারনে তাস্লিমা নাসরিন দের নারীবাদ ঝামেলা জনক। এই নারীবাদী দের সাথে বহু বিবাহ লাভার বউ পিটানো যায়েজ করা ধার্মিক দের তফাত নেই। দুইপক্ষই তালগাছ তাদের মনে করে।

প্রসংগ ইস্লামঃ ইস্লামের নাম দিয়ে নারীদের কে যে পরিমান অপমান, হেনস্তা ও অবহেলা করা হয়েছে হাজার বছর ধরে এবং এই বর্তমানেও তার স্টোরি লিখতে গেলে হাজার বছরের আরব্য রজনী শেষ হয়ে যাবে। আর যেহেতু এই ব্লগে এখন ইস্লামিস্ট টেরোরিস্ট রা ওত পেতে তাই ইসলাম নিয়ে কিছু বলতে বেশ সাবধান থাকতে হয়৷ এই সুন্নীরা ইস্লামের ভিন্ন মতবাদের মানুষদের কল্লা ফেলে দেয় তাদের মতের সাথে না মিললে আমি নাস্তিকের কল্লা তো চাপাতির আগায়!

তবে শুধু ইসলাম না, উপরের কমেন্টেই দেখিয়ে দিয়েছি সকল ধর্মের গুরুরা নারী দের কে অপ্রেসন করার জন্য তাদের ধর্ম কে বেছে নিয়েছে এবং এ কাজে তারা ১০০% সফল।


তবে আমি আসলে এসব নিয়ে একদম চিন্তিত নই। কারন- আমার বাংুস্তান এর কয়েক কোটি বেকুব নারীদের নিয়ে ওমন কুচিন্তা করলেও দুনিয়া তো আর পিছিয়ে থাকবেনা। নারীরা এগিয়ে যাবেই জ্ঞান বিজ্ঞানের পথ ধরে।

আর আমরা বাংগালি হিজাব আর নেকাবের ঘের আর লুংগি প্যান্ট এর ঝুল এর মাপ হিসাব করব। মংগল মিশনে যাওয়ার জন্য এক নারী প্রস্তুত হচ্ছে ২০৩০ সালে সামনে রেখে আর বাংলাদেশে এখনো এই ব্লগে আজ ২০২২ সালে এসে জ্ঞানী ইস্লামিস্ট তর্ক করে ইস্লামে বউ পিটানো জায়েজ।

নারী মানব জীবনের অন্যতম একটা পার্ট। নারী এবং পুরুষ মানব সভ্যতা এবং হোমো সেপিয়েন্স এর দুইটা পার্ট। কেউ কারো চেয়ে কম না কিংবা কেউ কারো চেয়ে শ্রেষ্ঠ না কিংবা কেউ কারো মনিব না। নারীকে দমিয়ে রেখে কোন জাতি উন্নত করতে পারেনাই, পারবেনা। এটাই ধ্রুব সত্য

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১২

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: যারা বুঝেনি তারা আর বুঝবেও না। আর আমার নিজের যেহেতু একটা ধর্ম আছে, আর বাংলাদেশে আমরাই সংখ্যাগুরু তাই অন্যদেরটা নিয়ে বলার ইচ্ছা আসলে নেই।
আমরা নিজেরাই ওয়াজে নারীর দোষের কথা শুনতে চাই। নারীর কারণেই ঘরে অভাব, নারী পর্দা করে না বলেই ইসলাম আজ বিপর্যস্ত। কোন জ্ঞানের দরকার নেই, শুধুমাত্র বেপর্দা নারীর শাস্তি হলেই বিশ্বে মুসলমানেরা সুপার পাওয়ার হয়ে যাবে। লাখো, কোটি ঈমানদার মাদ্রাসার ছাত্র আজ পর্যন্ত ধানের জমিতে এক মুঠো ফলন বাড়াতে পারেনি, একমাত্র কথায় কথায় শহীদ হয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের আর দ্বিতীয় কোন উপযোগিতা নেই। কিন্তু তারা থাকা সত্বেও কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, রাখাইন, উইঘুর, সিরিয়া, চেচনিয়া তথা দুনিয়া জুড়ে মাইর খেয়ে মুসলিম জাতি কিভাবে ছাগলের পাঁচ নাম্বার বাচ্চায় পরিণত হয় সেটার কোন জবাব নেই। সব দোষ খালি নারীদের। নারী আর ঢোল দুইটাই বাড়ির উপর রাখতে হয়, এই অমূল্য বাণী এই ব্লগেই প্রথম শুনেছিলাম। এটা নিয়ে এক যুগ আগের একটা পোস্টও আছে আমার। সমস্যা হচ্ছে, কেয়ামত পর্যন্ত এমনটাই থাকবে।

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৩

জ্যাকেল বলেছেন: নারী মানব জীবনের অন্যতম একটা পার্ট। নারী এবং পুরুষ মানব সভ্যতা এবং হোমো সেপিয়েন্স এর দুইটা পার্ট। কেউ কারো চেয়ে কম না কিংবা কেউ কারো চেয়ে শ্রেষ্ঠ না কিংবা কেউ কারো মনিব না। নারীকে দমিয়ে রেখে কোন জাতি উন্নত করতে পারেনাই, পারবেনা। এটাই ধ্রুব সত্য।

নারীকে যে অবস্থানে দেখতে চাওয়া হয় তা আপনার মন্তব্যে ফুটে ওঠেছে। সায়েন্সের ক্লাসে আদর্শ গ্যাস পড়েছেন নিশ্চয়ই? ও, হাঁ আদর্শ গ্যাস কিন্তু শুধুই নন-প্রাক্টিক্যাল/অবাস্তব। সেইম- আপনি যেভাবে আদর্শ এক অবস্থা চাইতেছেন- ইহা শুধু কল্পনাতেই সম্ভব। সু-প্রাচীন অতীত থেকে দেখে আসুন, নারী কখনোই এইরকম আদর্শিক সম্মান, মর্যাদা, অধিকার একসাথে পায়নি, কোন সমাজে না। ১ টা সমাজ দেখাতে পারবেন না যেখানে প্রাক্টিক্যালি নারীকে এইভাবে ৫০% সর্বদিকে সম্মান দেওয়া হইয়াছে। আর বর্তমানে তো নারীর অবস্থা আরো করুণ। সরাসরি প্রোডাক্ট হিসাবে সো-কলড মডার্ন/সিভিলাইজড উভায়ে চালানো হইতেছে একেবারে নাকের ডগার সামনে। নারীবাদিরা তো দুরে থাক, স্বয়ং আদর্শ/বুদ্ধিজীবীরা পর্যন্ত সেটা দেখেও না দেখার ভান করতেছে।
F স্লেভ হিসাবে নারী কিনতে পাওয়া যায়, র‍্যাম্প হাঁটায় একদম ডগা/যৌনতা দেখিয়ে পয়সা কামানো হই।
এখন ভবিষ্যতে কি হইবে তাহা মালুম করা যায়। মানুষ আরো বেশি র‍্যাশনাল হইতেছে, স্বার্থান্ধ হইতেছে দিনকে দিন আরো বেশি। ক্যাপিটালিস্ট দুনিয়া আরো বিকশিত হইতেছে- এখানে নারীকে কেন পারলে নিজের মা/বাপকে এই ক্যাপিটালিস্টরা বেচে দেয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩০

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: ভাই, রোনালদো, বেকহ্যামরা আন্ডু পড়ে পোজ দিলে সেটার ব্র্যান্ড ভ্যালু বিলিওন ডলার বেড়ে যায়। সব দোষ রাঘা মাছকে দিলে তো হবে না ভাই। বৌ শিক্ষিত হবে কিন্তু চাকুরী করবে না, হিজাব পড়ে ফেসবুকে জামা-কাপড়, থালা-বাসন বিক্রি করবে। সংসারে দুইটা টাকা আসলে ক্ষতি কি? চাকুরীর মতো অসম্মানজনক তো আর কিছু করছে না। আর যেই বেটা ফুটপাতে সারাদিনে দুইশো টাকা লাভ করতো বা কোটি টাকায় দোকান দিয়ে লোকসান করছে তার পেটে লাথি পড়লে কার কি? এক দৌড়ে র‍্যাম্পে গিয়ে উঠার দরকার কি? যেই মেয়েটা আল্লাহু আকবার বলে স্লোগান দিল সে কি চাকুরী করবে না? আগে আমাদের দেশে নারীর যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী বা স্কুটি চালানোটাই স্বাভাবিক হোক না। এটা করা মানেই কিন্তু সমান হওয়া না। প্লেটো যেভাবে বলেছে নারী অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষের সমান কর্মদক্ষতা দেখাতে পারবে না, কিন্তু যেগুলায় পারবে সেগুলা বিবেচনা করে তারাও সর্বোচ্চ পদে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:২৫

সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট পড়লাম। এবং সাসুমের মন্তব্য ও আপনার প্রতিমন্তব্য পোস্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। প্রিয়তে রাখলাম কারন আমার লিখালিখির বিষয় বরাবরেই এটি। তাই বলে আমাকে তথাকথিত নারীবাদী বললে মাইন্ড করবো :P

বিষদ মন্তব্যে যাবো না, কারন আপনার বা সাসুমের মতো আমিও নিজের কল্লাকে ভালোবাসি। শুধু আমার মনের ভাবনাটাকে বলি, আসলে যুগ যুগ ধরেই নারীকে ভয় পেয়ে আসছে পুরুষশ্রেনী। তাই তাদের দমনের জন্য এতো কিছু। কারন শক্তির পাল্লা যে পুরুষদের ভারী! কিন্তু কেন এতো ভয় নারীকে? উত্তরটাও আমরা জনি।

আমি অন্ধ নারীবাদী নই। আমি শুধু চাই নারীকে নারীদের মতো করে বাঁচতে দিন। অনেক তো হলো, ধর্ম, আইন, কালচার..... বহু ভাবেইতো দমন হলো। এবার না হয় একটু ক্ষ্যাামা দেন!!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৮

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: আপু, আমি অমুসলিম বা নাস্তিক কোনটাই না। আধুনিক প্রগতিশেয়াল বান্ধবও না। যে খারিজিগুলা কল্লা নেয়, তারা এতোটাই মুর্খ যে তাদের ল্যাঞ্জায় ইহুদী, আরএস নাকি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূতা বেঁধে নাচাচ্ছে সেটাও ধরতে পারবে না।
মুসকান কিংবা বিদ্যা বালান কিভাবে চলবে সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। কিন্তু আধুনিক নারীবাদী বা মোল্লারা কেউই এই স্বাধীনতাটা তাদের দিবে না। অনেকের রুটি রুজির ব্যাপার জড়িত এতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.